তোমার নেশায় আসক্ত পর্ব-১০+১১

0
2125

#তোমার_নেশায়_আসক্ত
#part:10
#Suraiya

আরুকে পিছন থেকে সুইমিংপুলে ধাক্কা মেরে মাথাভর্তি রাগ নিয়ে আরিশ ও জলে নেমে পড়ল ৷

হঠাৎ আচমকা ঘটনাটা হয়ে যাওয়ার কারণে আরু বেশ অবাক হয়ে গেল, এত রাত্রে কে এমন কাজ করলো তা দেখার জন্য সামনে তাকাতেই দেখলো আরিশ জলে নামছে , আর মুখটা লাল হয়ে রয়েছে, চোখ দুটো দিয়ে যেন আগুন ঝরছে…..

আরূ মনে মনে ভাবছে : হঠাৎ কি হলো যে উনি এভাবে আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিলেন আর এত রেগে আছেন কেন ? তাহলে আমাকে কি এখনই এই সুইমিংপুলে ,,,,,,,,, না না এসব আমি কী ভাবছি ! এ কথা ভাবতেই আরু চমকে উঠলো ৷ আরিসের রাগী ফেস দেখে আরু পিছাতে লাগল….

আরিশ যত এগিয়ে আসছে আরু তত পিছিয়ে যাচ্ছে ৷

আরিসের একেই মাথায় রাগ করে রয়েছে তার উপরে আরুশিকে পিছিয়ে যেতে দেখে রাগটা যেন দ্বিগুন হয়ে গেল ৷

আরিশ : আর একপাও যদি ওখান থেকে সরেছ তো আজই তোমার শেষ দিন এটা মনে রেখো৷

আরু আর পিছিয়ে যাওয়ার সাহস দেখাল না , যা হওয়ার এমনিতেও হবে তাই আরিশের এর ভয়য়ে দাঁড়িয়ে রইলো সেখানে ৷

জলে ফেলে দেওয়ার কারণে আরুশির গোটা শরীর ভিজে চুপচুপে হয়ে গেছে ৷ মাথার চুলগুলো ভিজে গিয়ে একত্রিত হয়ে আছে, শাড়িটা একেবারে শরীরের সাথে লেপ্টে রয়েছে , দেখতে অনেক আকর্ষণীয় লাগছে, তবে এই মুহূর্তে আরিশের ঠিক চোখে ধরবে কি সেটা ও জানেনা ‌৷

আরিশ গিয়ে আরূর চুলের মুঠি ধরে ওর কাছে নিয়ে আসলো ৷

চুলের মুঠিটা ধরার কারণে ব্যথায় আরূ আহ করে শব্দ করে উঠল ৷

আরিশ : কি খুব কষ্ট হচ্ছে ? এখন আমার থেকে ছাড়া পেতে ইচ্ছা হচ্ছে তাই না? খুব ইচ্ছা আমাকে ছেড়ে তোমার ওই প্রেমিক অভ্রের কাছে যাওয়ার তাই না?

পানির মধ্যে আরুর হাত পা কাপাকাপি শুরু হয়ে গেছে আরিশের ধমকানিতে ৷ ওর প্রশ্নটা হল যে অভ্র যে এখানে এসেছিল আরিশ সেটা জানল কি করে?

আরিশ : কি হল চুপ করে আছো কেন উত্তর দাও ৷ খুব ইচ্ছা তাই না আমাকে ছেড়ে ওর কাছে চলে যাওয়ার?

আরুশি কোন কথা বলছে না দেখে আরিশ এবার আরুর মুখ মুখটা জোরে চেপে ধরল ৷

আরিশ: আমার কাছ থেকে ভালোবাসা পাওনা বলে খুব কষ্ট হয় তাই না ? আর ওই অভ্র তোমাকে পৃথিবীর সব ভালোবাসা এনে দেবে তাই তো ? নিজের চোখকে সঠিকটা দেখতে শেখাও, এখনো তো বুঝতে শেখোনি নিজের ভালো-মন্দ , আর কবে শিখবে ? কবে শিখবে ? (জোরে ধমক দিয়ে)

আরিশ মুখটা এতটাই জোরে চেপে ধরেছে যে ব্যাথায় আরুর চোখ দিয়ে ক্রমাগত জল পড়েছে ৷ চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ছে আর তা মাথা থেকে ঝরে যাওয়া সুইমিং পুলের জলের সাথে মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে, সেই চোখের জল টুকু কতটা আরিশ অব্দি পৌঁছাচ্ছে তা আরুশি জানে না ৷

আরু কোন কথা বলতে পারছেনা ৷

আরিশ এবার ধাক্কা দিয়ে আরুকে দূরে সরিয়ে দিয়ে পাগলের মতো করতে লাগল ৷

আরিশ নিজের মাথার চুলগুলো জোরে টেনে ধরেছে আর জোরে জোরে চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে বলছে : এতই যখন ভালোবাসো ওই অভ্রকে তাহলে কেনই বা আমার জীবনে এলে?কেন? আমাকে শেষ করে দেওয়ার জন্য? একটা কথা মনে রেখো যতদিন আমি বেঁচে থাকব তুমি আমার সাথেই থাকবে , সে তোমার ইচ্ছা হোক আর না হোক ৷ আমার থেকে তোমা নিসতার নেই,#তুমিই_আমার_আসক্তি ৷

আরিশ এবার আরুর কাছে গিয়ে দাঁড়িয়ে ওর মুখে আলতো করে স্পর্শ করে বললো : তুমি তো আবার আমাকে ভালোইবাসোনা , আর চাও না যে আমি তোমার জীবনে থাকি,তাই তোমার মুক্তির পথ একটাই, তুমি আমাকে মেরে ফেলো ৷

আরুশির চোখ দিয়ে অনবরত জল গড়িয়ে পড়েছে আরিশ এর পাগলামো দেখে ৷ ও কি করবে কিছুই বুঝতে পারছেনা কারণ এর আগে ও আরিশকে কখনও এত পাগলামি করতে দেখেনি, ৷আর আরুর মনে একটাই প্রশ্ন জাগছে যে আরিশ অভ্র কে নিয়ে এত বেশি কেন ভাবছে? সে তো আর অভ্রর কাছে ফিরে যাচ্ছে না তাহলে !
এই সমস্ত কথা আরুশি ভাবছে আর তখনই আরিশ আবার ও জোরে চেঁচিয়ে বলতে লাগল : কি বলছি আমি, বললাম না মেরে ফেলো আমাকে ৷এটাইতো তুমি চাও ৷

আরিশের ধমক শোনামাত্রই আরুশির হার্টবিট যেন থেমে যাওয়ার উপক্রম ৷ আরিশের পাগলামিটা ক্রমশই বেড়ে যাচ্ছে তাই ওকে এখন থামানোর প্রয়োজন দেখে আরুশি আরিশের আরো কাছে গিয়ে ওর চুলের মুঠি ধরে ওর ঠোটে ঠোট ডুবিয়ে দিল , এ ছাড়া আর কোন উপায় ও দেখল না ৷

আচমকা আরুশির থেকে এমন কিছু হবে তা ভেবে আরিশ বেশ অবাক হল , কিন্তু আরিশ আরুশিকে দূরে ঠেলে দিল না বরং আরো নিজের কাছে নিয়ে এলো, ঠান্ডায় আর আরিশের থেকে নিজেকে আর না ছ্রাড়িয়ে আরুশি আরিশের জামার কলারটা আঁকড়ে ধরল…..

বেশ কয়েক মিনিট পর আরিশ শান্ত হলেই আরিসকে ছেড়ে দিয়ে পাশে দাঁড়াল আরু, ক্রমশ হাপাচ্ছে আরুশি , বড় বড় শ্বাস নিচ্ছে তার সঙ্গে আরিশ ও ৷

আরিশের আরুর উপর সমস্ত রাগ গলে জল হয়ে গেছে ,পুরনো সমস্ত কথা ভুলে গেছে ও ৷

আরুশির এখন খুব লজ্জা লাগছে , হঠাৎ আচমকা ও নিজেও যে এরকম কিছু করে ফেলবে সেটা হয়তো ভাবতেই পারেনি নিজেও , তবুও যে করেই হোক আরিশকে ও থামাতে সক্ষম হয়েছে…..

আরিশ এবার আরুশিকে কোলে তুলে নিয়ে ঘরের দিকে হাঁটা দিল ৷

রুমে এসে দুজনেই চেঞ্জ করে নিল, এরমধ্যে আরুশি অনেকবারই হাচ্ছি দিয়েছে ৷ বৃষ্টিতে ভিজতে ও বরাবরই খুব ভালোবাসে কিন্তু রাতে ভিজলে ওর সমস্যা হয়…..

আরিশ দেখলে আরোশী বারবার হাচ্ছি দিচ্ছে তাই আর বেশিক্ষণ দেরী না করে কিচেনে গিয়ে দুকাপ কফি করে আনল দুজনের জন্য ৷

আরোশী ব্ল্যাঙ্কেট এর নিচে চুপচাপ গুটিসুটি হয়ে শুয়ে রয়েছে আর আরিশ হঠাৎ এসে ওকে ডাকলো,,,,

আরিশ ধীর কন্ঠে: এই নাও তোমার কফি ৷

আরু কফিটা হাতে নিয়ে এক চুমুক দিল,

আরিশ : কেমন হয়েছে?

আরুশি : ভালো হয়েছে বাট এটা কি আপনি করেছেন?

আরিশ: বাঁকা চোখে তাকিয়ে: তোমার কি মনে হয় এত রাতে আমার অন্য কোন বউ এসে তোমার জন্য কফি করে দিয়ে যাবে!

আরুশি : ঠিক তা না , আসলে আপনি নিজেই এত হট তার ওপরে আবার কফি ৷ আনবিলিভএবল ৷

আরিশ আরুশির মুখের কাছে গিয়ে বলল: রিয়েল আরুপাখি!

আরোশী : এই না না , আমি সে ভাবে বলতে চাইনি যেভাবে আপনি ভাবছেন ৷

আরিস : তুমি যদি বল তো এক্ষুনি আমি শুরু হয়ে যাব ৷ বাকা হসে ৷

আরোশী: একদম না ৷ বলে আর একবার কফি তে চুমুক দিয়ে blanket এর নিচে ঢুকে গেল আর আড় চোখে আরিশের দিকে তাকাতে লাগলো, আর দেখল যে আরিশ মুচকি হেসে ওর খাওয়া কফির কাপটা নিয়ে ব্যালকনির দিকে চলে গেল ৷

আরোশী : লোকটা বড়ই অদ্ভুত , কখন কি চায় বোঝা মুশকিল ৷
|
|
|💖
|
|

সকালবেলা,,,,,,,

আজকে ওদের বৌভাত তাই সকাল থেকে বাড়ি সাজানো শুরু হয়ে গেছে , বাইরে বেশ কোলাহলের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে ৷
কাল রাতে অনেক বেশি দেরি করে ঘুমানোর কারণে আরোশীর সকাল বেলা উঠতে দেরি হয়ে গেছে ৷ ঘুম থেকে উঠে পাশে দেখল যে আরিশ নেই ৷

তাড়াতাড়ি করে ফ্রেশ হয়ে ব্রেকফাস্ট করার জন্য নিচে যেতে লাগল, এমনিতেও আজকে দেরি হয়ে গেছে ,প্রথম দিন এবাড়িতে আর আজই দেরী, না জানি সকলে কি ভাববে ৷

নিচের যাওয়ার জন্য রুম থেকে বের হতেই দেখল যে সানা ওর রুমের দিকেই আসছে আর হাতে ট্রে, তাতে ব্রেকফাস্ট সাজানো , বুঝতে পারল যে অনেক বেশী দেরী হয়ে যাওয়ার কারণে সকলের ব্রেকফাস্ট হয়ে গেলেও ওর হয়নি ৷ এই মুহূর্তে আরিশের উপর খুব রাগ হচ্ছে ওর , কেন ডাকলো না ওকে, সবাই ওকে এখন কী ভাববে!

সানা আরুশি রুমে ঢুকে বিছানায় খাবারটা রেখে আরুশিকে বলল : তা রোজ রোজ আমার ভাইয়া তোকে এত ভালোবাসা দিলে তুই বেঁচে থাকবি তো জানু ৷(দাঁত বার করে হেসে বলল )

আরুসি ঘাবড়ে গিয়ে : মানে !

সানা : ওরে আমার অবুঝ বালিকা যে ,মেয়ে এখনো মানে বুঝলো নারে !

আরুশি : আরে বলবি তো কি হয়েছে , না হলে আমি বুঝবো কি করে?

সানা : কালকে রাতে সুইমিংপুলে বেশ রোমান্টিক সিন চলছিল তা কিন্তু আমি দেখেছি,( চোখ মেরে)

আরুশি: কি দেখেছিস তুই? (ও ভাবল হয়তো সানা আরিশের করা পাগলামো গুলোর কথাও জেনে গেছে)

সানা : তোরা যা সিনেমা দেখালি তাই দেখলাম,একদম সুপার ডুপার হিট একটা মুভি ৷ বাট দুর্ভাগ্য এটলাস্ট কিছুই দেখতে পারলাম না তার কারণ হিরো হিরোইন কে নিয়ে রোমান্টিক ভাবে কোলে তুলে নিয়ে ঘরে চলে গেল ৷ তারপরে কি হয় সেটা আমি না জানলেও তুই আশাকরি ভাল করেই জানিস( দাঁত বার করে হেসে)

আরোশী কথা ঘোরানোর জন্য বলল :তোরা সবাই ব্রেকফাস্ট করেছিস? না করলে আমার সঙ্গে করে নে৷

সানা : ব্রেকফাস্ট আমরা সবাই করেছি কিন্তু তুমি কথা ঘুরিয়ো না এখন ৷

আরোশী :যেমননটা তুই ভাবিস ঠিক তেমন টা হয় না সবসময় ৷

সানা : বুঝি বুঝি, তুমি আর আমাকে বোঝাতে এসো না বাবু ৷

|
|
|💖
|
|

সন্ধ্যাবেলা আরুশিকে বসানো হয়েছে, বেশ ভালই ডেকোরেশন করেছে অল্প সময়ের মধ্যে , আর প্রচুর লোকজন এসেছেন ৷ সবাই গিফট দিয়ে যাচ্ছে আর কথা বলে যাচ্ছেন আরুশির সাথে, আরুশি কেবল হ্যাঁ হু করে মাথা নাড়িয়ে তাদের কথার উত্তর দিচ্ছে ৷ সানা আর তিথি ওর পাশে বসে বেশ হাসি মজা করছে ওকে নিয়ে…..

সকলে উপস্থিত থাকলেও আরিশ উপস্থিত নেই৷

তিথি আরুশির কানে কানে ফিসফিস করে বলল: তা আমাদের জিজু কোথায় ? সে কি লজ্জায় পালিয়েছে নাকি?

সানা: তার আবার লজ্জা ! কালকে রাতে তো,,,,,,

সানা আরও কিছু বলতে যাচ্ছিল তাই কথা ঘোরানোর জন্য জন্য আরু বলে উঠলো :
আমাকেও ঠিক বলে যাননি যে কোথায় যাচ্ছেন , তাই আমি জানিনা ৷

ওদের কথা বলতে বলতেই আরিশ এসে পৌছালো
মুখে সেই মন মাতানো হাসির সঙ্গে , যেটা দেখলে যে কোন মেয়েই ক্রাশ খাবে ৷

আজকে আরিশকে দেখে আরূও একদফা ক্রাশ খেয়েছে, তবে সঙ্গে সঙ্গে তা হজম করে নিয়েছে আরিশের করা কর্মকাণ্ড গুলোর কথা ভেবে ৷ ওগুলো ভাবলেই ও আতঙ্কিত হয়ে যায় ৷ তার সাথে মনে পরল কালকে রাত্রে আরিশের করা পাগলামো গুলো ৷ আরিশ ওদের কাছে গেল ৷

তিথি : কি জিজু কোথায় ছিলেন এতক্ষণ? আপনার বউ যে আপনাকে অনেক মিস করছিল ৷

আরু তিথির দিকে অবাক চোখে তাকালো ৷

আরিশ তারপর আরুশির দিকে তাকিয়ে বলল: বড্ড ভালোবাসে কিনা আমাকে, তাই মিস করছে , তাই দেখো আমিও তাড়াতাড়ি চলে এলাম ৷

তিথি : আরুশি বলছিল আপনি কত রোমান্টিক৷

আরিশ: ওহহ রিয়েলি ! ফাইনালি আমার রোমান্টিসিজম আমার বউয়ের মনে ধরেছে ,ভেবে খুশি হলাম , ক্যারি অন ৷ বলে আরুর দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিয়ে অন্য দিকে চলে গেল ৷

আরোশী : তুই সব বানিয়ে বানিয়ে কেন মিথ্যা কথা বললি?

তিথি: সে সব ছাড় ,আজ দেখিস আরিশ ভাইয়া তোকে কেমন আদর করে ৷

💖

সব আত্মীয়-স্বজন চলে যেতে লাগল, এই মুহূর্তে আহানের কথাটা খুব মনে পড়ছে আরুর ৷ এতক্ষণ ওখানে বসে ছিল একটাই আশা নিয়ে যে আজ হয়তো আহান আসবে বা তার বাড়ি থেকে কেউ আসবে ৷ এতটা হয়তো তাকে দূরে সরিয়ে দেবে না৷ কিন্তু কিছুই হলো না তেমন ৷

এসব ভেবে ওর মনটা খুবই খারাপ লাগছে ৷

রাত সাড়ে এগারোটার সময় আরুশিকে আরিশের ঘরে আরুকে বসিয়ে থেকে সানা বাইরে থেকে দরজা দিয়ে চলে গেল ৷

চারিদিকে লাল রঙের মোমবাতি জ্বলছে , পুরো খাটটা গোলাপ ফুলের পাপড়িতে সাজানো, মেঝেতে গোলাপের পাপড়ি ছড়ানো রয়েছে অনেক, একটা খুব সুন্দর ঘ্রান ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রুমজুড়ে ৷ খুবই রোমান্টিক পরিবেশ ,খাটের মাঝখানে আরিশের অপেক্ষায় আপেক্ষারত হয়ে আরূ বসে আছে ৷

Suraiya Aayat
চলবে,,,,,,

#তোমার_নেশায়_আসক্ত
#part:11
#Suraiya_Aayat

বাসর ঘরে একা বসে আছে আরূ আরিশ এর জন্য অপেক্ষা করছে ৷ প্রথম দিন ওর সাথে কি কি ঘটেছে না ঘটেছে সেগুলো আর কিছুই মনে নেই কিন্তু এতদিনে দ্বিতীয়বার আর এরকম কোন কিছু হয়নি আরিশের থেকে , তাই আজও আরিস ওর উপরে হামলে পড়বে কি সেই নিয়ে কিঞ্চিৎ প্রশ্ন আছে আরুর মনে৷

সাড়ে 11 টার সময় ওকে সানা বসিয়ে রেখে চলে গেছে আর এখন প্রায় ঘড়ির কাঁটা একটা ছুঁই ছুঁই, এতক্ষণ ধরে এক জায়গায় বসে রয়েছে আরূ ঘুমাতেও পারছে না শুধু মনে হচ্ছে এখনি আরিশ যদি এসে ওকে ঘুমাতে দেখে তাহলে ভাববে ও আরিশ এর জন্য অপেক্ষা করেনি তখন তো আরিস বকাবকি করবে ওকে ৷ এই সব কথা এখন ওর মাথর ভিতরে চলছে ৷

এক জায়গায় এতক্ষণ ধরে বসে থেকে হাঁসফাঁস করছে আরূ, না পেরে গায়ের কোন পোশাক পরিবর্তন না করেই ঘুমিয়ে পড়ল , এর মাঝে যদি আরিস বাড়ি আসে, যদি ওকে বকে তাহলে ওর কিছু করার নেই কারণ ও নিজে জানে যে ও অনেকক্ষণ আরিশ এর জন্য অপেক্ষা করেছে……

অনেকক্ষণ ড্রাইভ করার পর ফার্মহাউস এ পৌঁছেছে আরিশ ৷ সারাদিন অত্যন্ত ধকল গেছে তাই খুব ক্লান্ত৷ দারোয়ানকে কিছু একটা বলে ঘরের ভেতর চলে গেল আরিস, গায়ে থাকা পাঞ্জাবিটা খুলে শুয়ে পড়ল৷
শুয়ে পড়েছে আর মাথায় চলছে আরুশিকে নিয়ে হাজার জল্পনা-কল্পনা ৷

আজকে এমন একটা দিনের রাতে ও এখানে আসতে বাধ্য হয়েছে কারণ ও জানে আরুশিকে দেখলে হয়তো নিজে কে আর কন্ট্রোল করা সম্ভব নয় কোনোভাবেই তাই তার থেকে ভালো আজকের দিনটায় ওর থেকে একটু ডিসটেন্স রেখে থাকা ৷ এমনিতেও আরিশ কখনো আরুশিকে খারাপভাবে স্পর্শ করেনি , প্রথম দিন কেবলমাত্র আরুশিকে ভয় দেখানোর জন্যই সবকিছু করেছিল তবে কোনো রকম শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেনি আরুশির সঙ্গে , আর এতটা নিচ মানসিকতার মানুষ নয় আরিশ ৷ ও আরুশিকে ভয় দেখাবে কি তার আগেই আরুর জ্ঞান হারিয়ে যায় তার জন্য কাজটা সহজ হয়ে যায় ওর কাছে ৷ যতখন আরু অজ্ঞান অবস্থায় পড়েছিল ততক্ষণ আরিশ আরুর থেকে এক পলকও সরাইনি , হয়তো এটাই নিজের ভালোবাসার মানুষটাকে দেখার সুখ ৷

ভালোবাসি কথাটা আরূ কে না বলতে পারলেও কখনো ভালোবাসার কমতি রাখেনি ও ৷ সব সময় ভয় হয় ওর এই ভেবে যে এই বুঝি ওর আরূপাখি ওর থেকে হারিয়ে গেল , হয়তো কেউ কেড়ে নিল ওর থেকে ৷

হাজারো কল্পনা জল্পনা করতে করতে কখন চোখের পাতা দুটো হয়ে গেল তা আরিশের খেয়ালই নেই…..

|
|💖
|

হঠাৎ দরজায় ঠকঠক করে আওয়াজ এর শব্দে ঘুম ভেঙে গেল আরুশির ৷ সারারাত ঘুম খুব একটা ভাল হয়নি , অনেকটা টেনশন মিশ্রিত ঘুম ছিল ৷ তবে এখন ঠিক কয়টা বাজে আরুশি জানে না, ও ভাবল হয়তো অনেক দেরি হয়ে গেছে ঘুম থেকে উঠতে তাই কেউ ডাকতে এসেতে ৷ চোখ খুলেই ঘড়ির দিকে তাকাতেই দেখলো ভোর সাড়ে চারটে বাজে ৷

আরুশি : ঘড়ি টা কি খারাপ হয়ে গেল? কিন্তু কাল তো ঠিকই ছিল ৷

এসব কথা ভাবতে ভাবতেই আবার দরোজায় টোকা পড়ল ৷

আরুশি আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি দরজাটা খুলে দিল, হয়তো আরিশ এসেছে এই ভেবে , আর ঠিক তাই হলো ৷ আরিশ এসেছে ৷

আরু দরজা খুলতেই আরিশ শান্ত কন্ঠে বলল: ঘুম হয়েছে সারারাত?

আরুশি চুপ করে আছে…

আরিশ : ঘুম তো ভালো হবেই, আমি বিহীন একটা রাত কাটালে তাই ৷ তা ভালো ঘুমোলে চোখ মুখের এ অবস্থা কেন ? কেমন ফোলা ফোলা লাগছে চোখদুটো৷

আরুশি শান্তকণ্ঠে : আপনার জন্য অপেক্ষা করেছিলাম অনেক রাত অব্দি, তবে আপনি আসেননি ৷ কোথায় গিয়েছিলেন আপনি ? মাথা নিচু করে কথাগুলো বলল ৷

আরিশ শব্দ করে হেসে ফেললো তারপরে আরুশিকে ওর বুকে জড়িয়ে নিল ৷

আরিস : আমার ছোট্ট বউটা আমার জন্য অপেক্ষা করছিল রাত জেগে শুনে খুশি হলাম ৷ আচ্ছা এখন আমি চলে এসেছি এখন আমার সাথে ঘুমাবে ৷

আরিশ : তুমি এখনও জামাকাপড় পড়ে চেঞ্জ করোনি কেন?

আরোশী : আপনার জন্য অপেক্ষা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম তাই আর মনে নেই ৷

আরিশ: আচ্ছা করনি যখন আমি এখন করিয়ে দিচ্ছি৷

আরূর চোখ দুটো যেন বার হয়ে আসবে এরকম অবস্থা ৷ তাড়াতাড়ি আরিশৈর থেকে দূরে সরে গেল ৷

আরু: না না , আপনাকে কিছু করতে হবে না , আমি আসছি বলে তাড়াতাড়ি একটা শাড়ি নিয়ে ওয়াশ রুমে ঢুকে গেল ৷

আরু চলে যেতে আরিস হেসে বিছানায় গড়াগড়ি দিতে লাগলো আরূর কান্ড দেখে ৷ আরু যে সত্যিই ওর কথা বিশ্বাস করে নেবে এটা আরিশ ভাবেনি, তবে এটুকু করার ক্ষমতা রাখে আরিশ সেটা হয়তো আরু ভালোই বুঝতে পেরেছে ৷

আরুশি ড্রেস চেঞ্জ করে এসে দেখল আরিশ ঘুমিয়ে পড়েছে ৷ আরিশ এর কাছে গিয়ে নিজের মুখ নিয়ে গিয়ে বেশ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে লাগল আরিশ ঘুমিয়ে আছে কি! তারপর দেখল যে আরিশ ঘুমিয়ে পড়েছে, এটা ভেবে একটা দীর্ঘশ্বাস নিতেই আরিশ আরুর হাত ধরে বিছানায় ফেলে দিল…..

আরিশ : কি ভেবেছিল আরূপাখি আমি ঘুমিয়ে পড়েছি ৷ নাহহহ !

আরোশী : আমি ভাবলাম আপনি হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছেন তাই দেখছিলাম আর কি!

আরিশ : কেন গো ঘুমিয়ে পড়লে কি অনেক কিছু মিস করে যেতে আরূপাখি ৷

আরু: আপনি এসব কি যা তা বলছেন , মোটেও না৷

আরিশ : ওয়েট. , আমার একটা খুব একান্ত ব্যক্তিগত কাজ বাকি আছে সেটা আমাকে করতে দাও ৷

আরোশী : এই ভোরবেলা আপনার আবার কি কাজ?

আরিশ সাথে সাথে আরুর কোমর ধরে নিজের কাছে এনে হালকা করে আরুশির ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ছোঁয়ালো ৷

আরিস : কালকে রাতের পেনডিং কাজটা এখন করছি ৷

আরুশি আর কিছুই বলল না চুপ করে রইল কারণ আর কিছু বললে যদি আরিস আবার বেশি কিছু করে ফেলে সেই ভয় ৷

আরিশ : এখন তুমি নিজে ঘুমাও আর আমিও ঘুমাই বলে আরুশিকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়ল…..

|
|💖
|

আজকে আরিশ অফিসে যাবে, কলেজে বেশি যাচ্ছে না এই কদিন অফিসের চাপে , আর সমস্ত নোটস ও পেয়ে যায় বলে ব্যাপারটাতে বেশি কিছু মনে হয় না ৷ এই বছরের ওর পিএইচডির শেষ বছর, ওর ইচ্ছা ছিল বিদেশে প্রফেসরি করার তবে আপাতত সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে এখনও ভেবে দেখেনি ৷

আরুশিকে কলেজের সামনে নামিয়ে দিল আরিশ ৷

আরিশ: ঠিক টাইমে আমি তোমাকে নিতে আসবো আরুপাখি, আর সামান্য দেরি হলেও এক পাও নড়বে না বলে দিলাম ৷আমি যতক্ষণ না আসব ততক্ষন এখানেই দাঁড়িয়ে থাকবে ৷ আর আজকে সানা কলেজে আসেনি বলে এটা ভেবো না যে আমি কিছুই জানতে পারবো না , তোমার অগোচরে সমস্ত কিছু আমি জেনে যাব এটা মনে রেখো ৷ বলে গাড়িটা নিয়ে চলে গেল ৷

আরূ: কেমন মানুষ উনি, যাওয়ার আগেও শাসিয়ে গেল আমাকে ,” আরুপাখিই কোথাও যাবেনা” আরিশের মিমিক্রি করে ৷
এই বলে কলেজে ঢুকে গেল আরূ….

💖

অফিসে ,,,,,,,

আরিশ ওর কেবিনে বসে ইম্পরট্যান্ট ফাইল টা একটু চেক করছে তখনই আফজাল সাহেবের রুমে আসল,উনি কখনো আরিশ এর পারমিশন নেন না কারণ আরিশ সেটা পছন্দ করেনা ৷

আরিশ: বাবা কোন দরকারি কাজ ? না হলে তুমি তো সচরাচর আমার কেবিনে আসো না ৷

আফজাল সাহেব হেসে বললেন : তোমার খালাম্মা ফোন করেছিলেন ৷

আরিশ: তো !(ফাইলে চোখ রেখে)

আফজাল সাহেব : উনারা আর একমাস পরে এখানে শিফট হচ্ছেন, আর তুমি তো জানো যে তোমার খালাম্মা কি চান?

আরিশ : একথম নাহ ৷ ওনার মনে কি আছে ,উনি কি চান না চান সেটা আমি কি করে জানব বাবা ? উনি তোমাকে হয়তো বলতে পারে কিন্তু আমাকে তো বলেননি তাই আমি জানিনা ৷

আফজাল সাহেব শান্ত ধীর কণ্ঠে বললেন : রাইসার সাথে তোমার বিয়েটা দিতে চান ৷

আরিশ আগের মত থেকেই বললো : এটাতো একেবারে সহজ কাজ ৷

আফজাল সাহেব : কিভাবে?

আরিশ: সরাসরি জানিয়ে দাও যে আমি বিয়েটা করতে পারব না ৷আমার বউ আছে ৷

আফজাল সাহেব দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বললেন: আমি জানিয়ে দিয়েছি তবে কথাটা এখনো পৌঁছায়নি রাইশার কান অবধি ৷

আরিশ : পৌঁছায়নি , পৌঁছে যাবে কোন টেনশন করো না ৷ আর এটা নিয়ে তুমি এত বেশি ভেবো না , আই উইল ম্যানেজ ৷

আরিশ : বাই দ্যা ওয়ে, হট কফি নাকি কোল্ড কফি?

আফজাল সাহেব: কোল্ড কফি চ্যাম্প , আই এম প্রাউড অফ ইউ , এত সহজভাবে আমি ব্যাপার গুলো ভেবে দেখি না তাই হয়তো আমার কাছে কমপ্লিকেটেড হয়ে গেল, কিন্তু তুমি যে কি করে এগুলো পারো , বুঝতে পারিনা ৷

আরিশ ফিসফিস করে: টপ সিক্রেট বাবা ৷(বলে চোখ মারল)

বাবা-ছেলে উচ্চস্বরে হেসে উঠলো….

|
|💖
|

বাইরে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নেমেছে ৷ আষাঢ় মাস শেষ করে শ্রাবণ মাসের আগমন হওয়ার সাথে সাথেই যেন বৃষ্টির ধারা টাও ক্রমশ বেড়ে চলেছে , আর তার সাথে চঞ্চল হয়ে উঠছে আরুর মন ৷ ও খুব বৃষ্টি তে ভিজতে ভালোবাসে ৷ এই মুহূর্তে ইচ্ছা করছে বাইরে গিয়ে দুই হাত মেলিয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে ৷
এটা ওর লাস্ট ক্লাস এরপরে আর কোন ক্লাস নেই তাই নিঃসন্দেহে ভিজবে এ রকমই মনস্থির করল আরু….

ছুটির সাথে সাথে ছাতাটা মেলিয়ে কোনরকমে বাইরে একটা নিরাপদ জায়গায় এসে দাঁড়াল আরূ তবে মনটা আনচান করছে বৃষ্টিতে ভেজার জন্য ৷ আরিশ এর কথাটা যেন প্রায় ভুলেই গেছে , অবশেষে মস্তিষ্ক আর মনের সঙ্গে দীর্ঘ সংঘাতের পর মন জয়ী হল৷ কোন পিছুটান না রেখে নেমে গেল বৃষ্টির মাঝে ৷ বৃষ্টির প্রত্যেকটা ফোটা শরীরকে স্পর্শ করছে আর তেমনই আরো প্রাণবন্ত হয়ে উঠছে আরু ৷

এখন একটা কবিতা ওর প্রচন্ড মনে আসছে আর অপেক্ষা না করে মুখের বুলিতে কবিতাটা ফুটে উঠল,,,,,

“মাসটা নাকি শ্রাবণের”!
বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি মুখর পরিবেশ,,,,
চারিদিকে মেঘের ঘনঘটায় আচ্ছন্ন,,,,

একাকিত্ব জিনিসটা যেন আজকাল
বড়ই গ্রাস করেছে আমাকে|| ||

কোনো এক শ্রাবণে,,,,,
তোমার হাতটা ধরেই আমি হাঁটতে চেয়েছিলাম,,,,, কোন এক বৃষ্টি ভেজা পথে৷৷৷৷

বৃষ্টির প্রথম ফোঁটা মাটিতে পড়ার সাথে সাথে,,,,,
বাতাসে যেমন সুগন্ধ ছড়িয়ে,,,,
এক প্রেমময় পরিবেশের সৃষ্টি করে,,,,,
তখন সেই ঘ্রাণটাই আমি তোমার সাথে নিতে চেয়েছিলাম ৷

যখন বৃষ্টিতে ভিজে চুপচুপে শরীর নিয়ে,,,,,,
তোমার সামনে এসে দাঁড়াতাম…..
তখন কোন রকম লোভাতুর দৃষ্টিতে নয়,,,,,
হয়তোবা ভালোবাসার চাহনিতেই দেখতে আমাকে!!!! তখন আলতো করে গালে স্পর্শ করে বলতে,,,,,
” পাগলী আমার “৷৷৷৷

কোনো রকম কোনো বিরক্তি ছাড়াই চুলগুলোকে আলতো করে মুছে দিতে,,,,,,
হয়তো এটার মাধ্যমেই তুমি আমার সৌন্দর্যটাকে খোঁজার চেষ্টা করতে!!!!

বৃষ্টিতে ভেজা সন্ধ্যার সময় ধোঁয়া ওঠা কফির মগটা যখন তুমি আমার হাতে ধরিয়ে দিতে,,,,,,
আর আমার সাথে তাল মিলিয়ে বৃষ্টির ফোঁটা গুনতে মও হতে তখন তুমি বলতে,,,,
“তুই যে আমার বৃষ্টি বিলাসী”৷৷৷৷
……………………………………..সুরাইয়া🍁( বৃষ্টিবিলাসী)
(Plz don’t copy this)

তবে ওর কল্পনার মত আরিশ ও কি কখনো এই বৃষ্টির মধ্যে ওর সৌন্দর্যটা খুঁজে পাবে ? এই সমস্ত প্রশ্ন আরুর মাথায় আসছে কিন্তু মন থেকে উত্তর এলো যে যেদিন দুজন দুজনকে ভালবাসবে সেদিন হয়তো এই অনুভূতি গুলো কাজ করবে দুজনেরই…

ভিজতে ভিজতে প্রায় কাকভেজা হয়ে গেছে আরূ, প্রায় কুড়ি মিনিট ধরে বৃষ্টিতে ভেজার পরও আরিশকে আসতে না দেখে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে শুরু করল আরূ,
হাটতে হাটতে রাস্তার পাশ দিয়ে একটা গাড়ি যেতেই জামা কাপড়ে কাদা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে গেল ৷

গাড়ি টা আরুকে ছাড়িয়ে অনেকটা দূরে যেতেই আরুর প্যাচাল শুনে হয়তো গাড়িটা থেমে গেছে৷

গাড়িটার কাছে গিয়ে আরূ জোরে চেঁচিয়ে বলতে লাগলো: স্টুপিড আপনি ? দেখে চালাতে পারেন না? চোখ কি বাড়িতে রেখে এসেছেন নাকি বউকে যত্ন করে রেখে দিতে বলেছেন?

এসমস্ত কথা বলতে বলতে গাড়ি ভিতরে থাকা মানুষটা হাত ধরে আরুশিকে গাড়ির ভিতরে টেনে নিতেই আরুশি চিৎকার করে উঠলো বাঁচাও বলে , আর তার আগেই গাড়িটা স্টার্ট দিয়ে চলতে শুরু করলো….

চলবে,,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে