ডাইনামিক হিস্ট্রি পর্ব ০৮

0
911

ডাইনামিক হিস্ট্রি পর্ব ০৮

সানজানা জামান

-ফাদার যোসেফ!আপনি কোথায়?
-ওয়েলকাম মাই চাইল্ড!ওয়েলকাম টু দ্যা হেল!
খালি গির্জাতে প্রতিধ্বনি টা ভেসে আসছে স্পষ্টভাবে।কিন্তু প্রতিধ্বনিটা কোথা থেকে ভেসে আসছে?মুহুর্তের মাঝে উল্টে গেলো গির্জাটা।ওমেগা খেয়াল করলো সে এখন পাতালপুরীর নিচে চলে গিয়েছে।

একটা অন্ধকার জায়গায় নির্বিঘ্নে দাড়িয়ে টলছে ওমেগা।মনে হচ্ছে মাটিতে কিছু নড়ছে কিন্তু কি নড়ছে তা বুঝতে পারছেনা সে।হঠাৎ করে মনে হলো দুই তিন জন যেন তার পা কামড়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।ওমেগা চিৎকার দিয়ে উঠলো ব্যথায়।
-ব্লাডি ডিয়ারস।ওনাকে কামড়িও না।উনি আজকে আমাদের অন্দরমহলের মাননীয় বিশেষ অতিথি।হা হা হা!

ভয়ংকর এই হাসিতে চারিপাশ কেঁপে উঠলো।ওমেগা বলে উঠলো-
-মিয়াকো আপনি?
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন


সাথে সাথে অন্ধকার থেকে সবকিছু আলোতে ভরে গেলো।ওমেগা ঠিকমতো তাকাতে পারছেনা আলোর কারণে।কুমির গুলো তার পাশ থেকে সরে দৌড়ে যেয়ে ঝাপিয়ে পড়ে মিয়াকোর কোলে।এতক্ষনে মিয়াকো কে দেখতে পেলো ওমেগা।সারা শরীরে ইলুমিনাতির চিহ্ন আঁকা।এমনকি সে যেখানে দাড়িয়ে আছে সে জায়গাটাতেও সম্পুর্ণ ইলুমিনাতির ব্যবহার প্রদর্শন করছে।ওমেগা বুঝতে পারলো যে সেই মৃত্যুপুরীতে এসেছে সেদিন যেখানে সে পড়ে গিয়েছিলো।
-তোমরা সি আই ডি অফিসার রা বড্ড বোকা ওমেগা।সেদিন অফিসে আমার ছোট ভাইয়ের হারিয়ে যাওয়া নিয়ে এতো সুন্দর কাহিনী বানালাম তোমরা বুঝতেও পারলে না।অবশ্য দানবদের ষড়যন্ত্র বুঝতে পারে না কেউ!!!হা হা হা!

হাসিতে আবার কেঁপে উঠলো সমগ্র।ওমেগা বলে উঠলো –
-মানে?
-মানে টা আমি বুঝিয়ে বলছি ওমেগা।।।মানুষের মাথার খুলি খেতে খেতে এলো ফাদার যোসেফ।
-ফাদার যোসেফ!ইউ ব্লাডি ফুল!
-আহা ওমেগা এতো উত্তেজিত হচ্ছো কেন?এতো উত্তেজিত হওয়া ভালো বলো?যতই শরীরে গরম রক্ত থাকুক।আমি জানি তুমি আগে থেকেই সব জানো।এখন উত্তেজিত হওয়ার শাস্তি তো তোমাকে পেতেই হবে।

সাথে সাথে কিছু বাদুর এসে তুলে নেয় ওমেগাকে।এরপর সোজা ফিকে মারে ফাদার যোসেফ আর মিয়াকোর সামনে।মুখ থুবড়ে পড়ে যায় ওমেগা।গর গর করে রক্ত পড়তে থাকে।মিয়াকো বলে উঠে-
-মাই ডিয়ার ক্রোকোডাইলস!নতুন অতিথির সেবা করবে না তোমরা?যাও ট্রিট হিম!!!

সাথে সাথে কুমিরগুলো হামলে পড়লো ওমেগার শরীরে।ওমেগার হাত পা টেনে নেওয়ার চেষ্টা করছে তারা।রক্তে ভরে গেছে এক এক জনের মুখ।ফাদার যোসেফ বলে উঠলো-
-অনেক সেবা যত্ন করেছো অতিথিদের।এবার তাকে ছেড়ে দাও।আমরাও সেবা যত্ন করি একটু।

কুমিরগুলো চলে গেলে ওমেগার মুখ ধরে উঠায় যোসেফ।ওমেগা ততক্ষণে নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
-আজ তোমার তাজা রক্ত আমরা খাবো এবং আমাদের ডাইনামিক দল কে চেটেপুটে খাওয়াবো সেদিন যেভাবে তোমার প্রেমিকাকে খেয়েছিলাম।
-কিন্তু যোসেফ মরার আগে ওর তো সব কিছু শুনে যাওয়া উচিত।তাই না?বেচারা এতো চেষ্টা করলো!!!হা হা হা!!!
-ইউ আর রাইট মিয়াকো।তাহলে শুনো ইয়াং বয়!আমি যোসেফ কিন্তু ফাদার যোসেফ না।আমি শয়তান উপাসক!ইলুমিনাতি নিয়ে উপাসনা করা আমার প্রধান কাজ।
-আর আমি মিয়াকো ক্যামেরন।ব্রাদার অফ ডেভিড ক্যামেরন।আমিও একজন আদর্শ শয়তান উপাসক।এই যে দেখছো এত কিছু সব আমাদের তৈরি করা।এবার তোমাকে আসল ঘটনা বলি।যেই ডেভিড ক্যামেরন এর নিখোঁজ হওয়ার কেস টা নিয়েছিলে সেই মানুষ একজন আদর্শ খুনি।কিভাবে বলি?এই যে এতো ব্র্যান্ডেড কোম্পানির ব্যাগ,জুতা সব কি দিয়ে তৈরি জানো?মানুষের চামড়া!!আর এই মানুষ খুন করতাম কারা জানো?আমরা দানবেরা!!!আর এই ডাইনামিক ভ্যাম্পায়ার আবিষ্কার করেছি কারা জানো?এই যে আমরা!!!!
-পিশাচসিদ্ধ, শয়তানের উপাসনা এসব তো জানোই?তোমার বাপ দাদাদের প্রিয় একখানা টপিক।সেই টপিকের উপর আমারও প্রবল আগ্রহ ছিলো।সবার সামনে আমি সাধু ফাদার যোসেফ।কিন্তু আড়ালে আমি একজন শয়তান উপাসক।অমরত্ব লাভ করার নেশা আমার মনে!!!
-আর আমি মিয়াকো ফাদার যোসেফর সহোদর।আমি কখনোই ইলুমিনাতিতে বিশ্বাসী ছিলাম না।কিন্তু যোসেফ আমাকে তার গোপন কুঠুরিতে নিয়ে আসে।আমার মনে ইলুমিনাতি নিয়ে বিশ্বাস করিয়ে দেয়।এরপর আমিও হয়ে যাই ইলুমিনাতির উপাসক।সরাসরি শয়তানের উপাসনা শুরু করি।
-একবার শয়তান উপাসনা করতে করতে আমি ডাইনামিক ভ্যাম্পায়ার দের কথা জানতে পারি এবং এটাও জানতে পারি যে আমি যদি মানুষ খুন করে একটা ভ্যাম্পায়ার জাতি বানিয়ে ফেলতে পারি আমি তাহলে অমরত্ব পাবো।বলে উঠে যোসেফ।
-ডেভিড ভাইয়ের ব্যবসার জন্য সমস্ত টাকা আমি দিয়েছিলাম কিন্তু ডেভিড ভাই আমাকে প্রাপ্য টাকা দিলেও আমাকে আমার সম্মান দেয়নি।সবসময় খোটা দিতো।আমি আর পারছিলাম না।যোসেফের কথা শুনে আমার মন প্রতিশোধী হয়ে উঠলো সেই সাথে অমরত্ব পাওয়ার লোভ।ব্যাস খুন করলাম নিজের ভাইকে।টুকরা টুকরা করলাম তার মাংসগুলোকে।এরপর সেই দিয়ে উপাসনা করে বানিয়েই ফেললাম ডাইনামিক ভ্যাম্পায়ার। ওদের সৃষ্টি আগুনে জ্বালানো রক্ত থেকে!!কিন্তু একটা ব্যাপার জানো ওমেগা?আমি যখন আমার ভাইকে কুচি কুচি করে কাটছিলাম তখন তার মাংসগুলো আমাকে টানছিলো।খুব চেখে দেখতে ইচ্ছে করছিলো নিজের ভাইয়ের রক্ত আর মাংসগুলো।খাওয়ার পর মনে হলো আমি যেন অমৃত খাচ্ছি।সাথে সাথে হয়ে উঠলাম দানব।ডাইনামিক ভ্যাম্পায়ার দলের দানব!
-মিয়াকো আমাকে ব্যাপার টা জানায়।আমি রিসার্চ করা শুরু করি।এরপর জানতে পারি যে এক ধরণের অদ্ভুত শক্তির মাধ্যমে আমরা এ ক্ষমতা লাভ করি যার সময়সীমা মাত্র কয়েক ঘন্টা।আমরা এটাও জানতে পারি যে আমরা নিজ হাতে দানব হয়ে মানুষ খুন করে ডাইনামিক ভ্যাম্পায়ার জাতি উৎপন্ন করতে পারলে আমরা চিরকালের জন্য এই দানব বেশ ধারণ করতে পারবো।তারপর থেকে শুরু করি হত্যাযজ্ঞ।মানুষ খুন করা!আর তা থেকে ভ্যাম্পায়ার তৈরি করার কাজে লাগিয়ে বাকিটুকু নিজেদের আয়েশ করা।
-এর জন্য এরিন আর মিলান্ড কে মেরে ফেললেন?
-আজ এতো বোকার মতো কথা কেন বলছো ওমেগা?বুদ্ধিসুদ্ধি লোপ পেয়েছে নাকি?আমরা শয়তানের উপাসক।আমাদের পথে যে বাঁধা দিতে আসবে তাকে কি পালং এ তুলে রাখবো?সবাইকে মেরে দিয়েছি।এতে লাভ ও হয়েছে।সৃষ্টি করেছি ভ্যাম্পায়ার আর মাংস খেয়ে হয়েছি দানব।
-এরিনকে তো সেদিনই মেরে ফেলেছিলাম ওমেগা যেদিন নিজের ভাগনী ডায়ানাকে মেরে ফেলেছি।তারপর যে তোমার সাথে হেঁটেছিলো সে ভ্যাম্পায়ার ই ছিলো।আমাদের উদ্দেশ্য ছিলো তোমাকে আমাদের ফাঁদে আনার।আর তার জন্য তোমাকে স্বপ্নের মাধ্যমে হ্যালুসিয়েট করাই।এরপর নিয়ে আসি নিজেদের কাছে।কেন নিয়ে আসি জানো?নিজের ভালোবাসার মানুষকে নিজের সামনে খুন হতে দেখা।মিলান্ডকেও আমরাই মারি।এমন কি সব মানুষ আমরাই মেরেছি।যা ভ্যাম্পায়ার রা মেরেছে বলে তুমি মনে করেছিলে।ভ্যাম্পায়ার রা আমাদের নিয়ন্ত্রণে তাই তাদের আমাদের অনুমতি ছাড়া কিছু ক রতে পারবে না।তখন অবশ্য টের পাওনি।এখন তো পাচ্ছো।এখন নিশ্চয়ই জানো তোমাকে কেন মারি নি?
-কারণ আমার কাছে রক্ষা কবজ আছে।
-তা বটে!এই রক্ষা কবজ যতদিন আছে গায়ে টোকা লাগাতেও পারবো না।তবে রক্ষা কবজ সাধারণ কবজ হতে দেরি নেই।তুমি তো জানোই এই কবজ তোমার গলায় থাকলে কেউ তোমার কিছু করতে পারবে না।কিন্তু তুমি নিজ থেকে বাঁচার জন্য শক্তি প্রয়োগ করতে পারবে যা কেবল তিনবার প্রযোজ্য।তুমি ইতিমধ্যে দুই দুইবার ব্যবহার করে ফেলেছো।আর একবার ব্যবহার করলেই ক্ষমতা শেষ।
-একবার স্বপ্নে আর একবার ভ্যাম্পায়ার দের হাত থেকে রক্ষা পেতে কবজ ব্যবহ্রত হয়েছিলো আপনাদের প্ল্যানে।তাই না ফাদার যোসেফ?
-তুমি নিতান্তই সঠিক বৎস।সি আই ডি অফিসার বলে কথা।আহা এতো রেগে যাচ্ছো কেন?একটু পর তো পৃথিবী থেকে চলেই যাবে।হাসিমুখে বিদায় নাও।
-তোমাকে ভ্যাম্পায়াররা এতদিন না ছুতে পারলে কি হয়েছে আজ আমরা তোমাকে মারবো।ভ্যাম্পায়ার রা খুব বোকা জানো?ওদের সাথে না পেরে উঠলেও বুদ্ধির দিক থেকে ওরা একদম শূন্য।কেবল মানুষের রক্ত খেতে জানে।নাহলে তোমাকে কায়দা করে মেরেই ফেলতো।যেমন টা আমরা কোদাল দিয়ে দুইভাগ করি।এতোদিন তোমার সাথে তোমার রক্ষা কবজ থাকায় তোমাকে মারা সম্ভব হয়নি।ওহ ভালো কথা জানো ওমেগা?তুমিও কিন্তু মানুষ খুন করেছো।মনে আছে সেদিন হাওয়ায় উড়ে গিয়েছিলে যে?এটা এক ধরণের কালো জাদু ছিলো।যা প্রথমবার তোমাকে দিয়ে ট্রাই করেছিলাম।তোমার চুল দিয়ে।হা হা হা!সেদিন ও তোমাকে মেরে ফেলা যেতো। বাট তুমি আমার খুব পরিচিত ছিলে ওমেগা।তাই সে যাত্রায় ছেড়ে দিয়েছিলাম।হা হা হা!!!!!কিন্তু আজ লকেট টা আমাদের হাতে।কিভাবে নিয়েছি এটা তো শুনবে তাই না?বলতে পারো চুরি করিয়েছি।তুমি সেদিন আমাদের সব কথা শুনে ফেলেছিলে।তাই তো আমি আমার গির্জার এক শিষ্য দিয়ে চুরি করাই লকেট টা।সব ক্লাইমেক্স শেষ।এবার ট্রাজেডি শুরু।

যোসেফ কোদাল উঠাতে নিলেই সাথে সাথে সব ভ্যাম্পায়ার একসাথে জড়ো হয়।ভয় পেয়ে যায় মিয়াকো এবং যোসেফ।
-যোসেফ এরা এভাবে কেন?
-ওদের সম্পর্কে বাজে কথা শুনে নিয়েছে ওরা।আর ওদের নামে বাজে কথা শুনলে ওরা জেগে উঠে নিজ আপন শক্তিতে।
-কিন্তু এখন তো রাত তিন টা বাজে না।তিনটার আগে তো ওদের অস্তিত্ব থাকেনা।

পাশে থাকা ঘরিতে তাকালো মিয়াকো।টং টং করে ৩:০৫ বাজছে।পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিপাকে।
-ওদের শান্ত করার মন্ত্র টা পড়ো যোসেফ।
-আমার মাথায় আসছে না।যজ্ঞ করার সময় পড়েছিলাম।

মিয়াকো মন্ত্র পড়তে যাবে ততক্ষণে ভ্যাম্পায়ার গুলো হামলে পড়ে দুই নরপিশাচের উপর।নখের আচড় বসিয়ে দেয়।পিশে ফেলে দুইজনকে।অবশেষে সমাপ্তি ঘটে এক নোংরা খেলার।

ওমেগা মৃদু হেসে যেতে নেয়।কিন্তু হঠাৎ করে হাপিয়ে এসে এরিন রক্ষা কবজ টা ছুড়ে মারে।ওমেগা সেটা নিয়ে গলায় পড়ে নেয়।
-যেও না ওমেগা।তোমার কাজ এখনো শেষ হয়নি।ওরা ধ্বংস হয়েছে ঠিকই কিন্তু ডাইনামিক ভ্যাম্পায়ার জাতি বিনাশ হয়নি।একমাত্র তুমিই পারবে এখন সব শেষ করতে।
-আমি কিভাবে?
-ওরা একবার রেগে গেছে ওমেগা।এদের শেষ না করলে কেলেন্কারি হয়ে যাবে।এরা এখন ছন্নছাড়া।এরা যেখানে খুশি সেখানে যেতে পারবে।রাতের বেলায় মানুষ খুন করতে পারবে।তোমাকে এখন কিছু করতে পারবে না।তাই তুমি এক্ষুনি উপাসনা ঘরে যাও সেখানে বইয়ে ওদের ধ্বংস করার উপায় বলা আছে।

ওমেগা দেখলো এরিনের বলা মুহুর্তেই ভ্যাম্পায়ার রা এরিনের দিকে তেড়ে আসছে।
-আমার দিকে তাকিও না।ওরা যা মন চায় তাই করুক আমার সাথে।তুমি যাও!

দৌড়ে ভিতরে চলে গেলো ওমেগা।এর মধ্যে অনেক ভ্যাম্পায়ার চেষ্টা করলো তার উপর হামলে পড়তে।কিন্তু রক্ষা কবজের জন্য পারলো না।ওমেগা যেয়ে বই গুলো খুঁজতে লাগলো।অবশেষে পেয়েও গেলো।মন্ত্রটা মুখে আসছে না তবুও বহু কষ্টে মুখস্ত করে ফেললো।এরপর ম্যাচ খুঁজে বের করলো অনেক কষ্টে।আগুন জ্বালিয়ে এক কুন্ডলী তৈরি করলো সে।মন্ত্রগুলো পড়ে বইটা আগুনে ফেলে দিলো ওমেগা।সাথে সাথে ভ্যাম্পায়ারগুলোর বিভৎস চেহারাগুলো সামনে পড়লো তার।ভ্যাম্পায়ারগুলো চিৎকার করছে সাথে সাথে গলে গলে পড়ছে।চোখ কান বন্ধ করে রইলো ওমেগা।বিনষ্ট হলো ডাইনামিক জাতি।হুট করে নিজেকে প্রবেশ করলো গির্জার সামনে।একদম অক্ষত অবস্থায় ফিরে পেলো নিজেকে।ওমেগা খুঁজতে লাগলো এরিন কে।
-আকাশের দিকে তাকাও ওমেগা।
ওমেগা আকাশের দিকে তাকালো।স্বচ্ছ আকাশে এরিনের মায়াবী চেহারা ভেসে উঠেছি।
-আমি তোমার কাছে যেতে চাই এরিন।আই ডোন্ট হ্যাভ এনিওয়ান উইথআউট ইউ।কান্না স্বরে বললো ওমেগা!!!
-সেটা আর সম্ভব না ওমেগা।আমি আর তুমি এখন সম্পুর্ণ ভিন্ন পথের পথিক।এ পৃথিবীতে তুমি যেদিন আসবে সেদিন আবার আমি তোমার হায় ধরে হাটবো কেমন?যেমনটা বারো টা বছর হেঁটেছি একসাথে।
-আই মিস ইউ।
-আই মিস ইউ টু।চিন্তা করো না আমি তোমার সাথেই আছি সব সময়।তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে।মনে করবে আমার তরফ থেকে।আজ আসি!!দেখা হবে অন্য কোনো এক সময়।
-এখনি যেতে হবে?
-হ্যাঁ এখুনি যেতে হবে।ওমেগা আই লাভ ইউ।
-আই লাভ ইউ টু এরিন।

কাঁদতে লাগলো ওমেগা।গায়েব হয়ে গেলো এরিন।কে জানে আবার কবে দেখা হবে!আকাশ থেকে স্নো ফল হচ্ছে।ওমেগা হেঁটে যাচ্ছে আপনমনে।মনের ভিতর প্রিয়জন হারানোর আর্তনাদ।হঠাৎ একটা প্রাইভেট কার থেকে একটা মেয়ে গড়িয়ে গিয়ে পড়লো ওমেগার পায়ের সামনে।ওমেগা নিচু হয়ে মেয়েটাকে নিজের দিকে ফিরিয়ে বলে উঠলো-
-এরিন!!!!!!!!

#সমাপ্ত।

(আমি যাচ্ছি তো যাচ্ছি না!#ডাইনামিক_হিস্ট্রি রহস্য শেষ।কিন্তু #দ্যা_টুইন_সিটি রহস্য সবে শুরু।)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে