ঝরে_যাওয়া_বেলীফুল পর্ব_২৪

0
2118

ঝরে_যাওয়া_বেলীফুল
পর্ব_২৪
লেখিকা : আফরোজা আক্তার

বেলীর চাওয়া জিনিস গুলো বড় অদ্ভুত লাগছিল ইরফানের কাছে । ইরফান ভেবেই পাচ্ছিলো না বেলী কেন এইসব চেয়ে বসলো । আবার পরে ভাবে দেখে সবারই তো পছন্দের রঙ আছে । হয়তো বেলীরও পছন্দের রঙ সাদা । আর নিজের নাম বেলী তাই হয়তো ফুলের মাঝে বেলীফুলটাই তার বেশি পছন্দের । কিন্তু পরক্ষনেই তার আবার মন অন্য কিছু ভাবতে থাকে । বেলীর কাছে যাওয়াটা , বেলীকে খুব কাছ থেকে ছোয়া , বেলীর চুপচাপ থাকাটা বড্ড বেশি তাকে টানে । এ যেনো এক ধরনের অন্যরকম টান । বেলীর মায়াভরা চাহনিটা তাকে বার বার ঘায়েল করে দিচ্ছে । মন চায় বেলীকে ঘিরেই থাকতে সারাক্ষণ । ইরফানের সারারাত কেটে যায় বেলীকে ভেবে ভেবে ।

সকালের দিকে ইরফান অফিস যাওয়ার আগে বেলীর সাথে দেখা করার জন্যে তার রুমে যায় । বেলী তখন জানালা দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে । আকাশের বুকে হাজারো সাদা মেঘের ছোটাছুটি দেখে নিজের ঠোঁটের কোণায় এক টুকরো মিষ্টি হাসি আসে তার । মাঝে মাঝে এই অকারণের হাসি গুলোও তার ভালো লাগে অনেক । ইরফান পিছন থেকে বেলীর আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকাটা দেখছিল । বেলী বড্ড উদাসীন থাকে । ইরফান নিজের মনে মনে ভাবে , কাল তো শুক্রবার অফডে । বেলীকে নিয়ে বের হবে কাল সে । এতে বেলীর মন মানষিকতাও ঠিক হবে কিছুটা । তারপর কি যেনো ভেবে বেলীকে কিছু না বলেই চলে গেলো সে । বেলীর রুম থেকে বেরিয়ে অফিস চলে যায় সে ।

অন্যদিকে , বেলী আকাশের দিকে তাকিয়ে আকাশের রঙ বদল দেখছিল । সবার থেকে হয়তো ওই আকাশটাই ভালো আছে । আকাশ সবার জন্যে ভাবে । আকাশের মনটা বড্ড বেশি বিশাল । সে তার এক বক্ষে কত কিছু ধারণ করে রেখেছে । এক বুকেই সূর্য , এক বুকে চন্দ্র , আবার এক গ্রুপেই গ্রহ নক্ষত্র । আর যখন মন খারাপ থাকে তখন নিজে কেঁদে অন্যদের সুখ দেয় । সব মিলিয়ে দিন শেষে আকাশটাই হয়তো অনেক বেশি ভালো থাকে । হঠাৎ করেই চারপাশ থেকে একটা ঘ্রাণ আসতে থাকে । ঘ্রাণটা বেলীর নাকে আসতেই এক অন্যরকম অনুভূতি জাগে তার মনে । বেলী চারপাশে খুজেও ঘ্রাণের সন্ধ্যান পায় না । ঘ্রানটার পরিধি এতই প্রখর ছিল যে নাক থেকে সরছেই না । বেলী ড্রইংরুমে এসে দেখে ড্রইংরুমেও ঘ্রাণটা । পুরো বাসা মনে হচ্ছিলো ঘ্রাণে মম করছে । সে মিনুকে ডেকে দেয় ,

– মিনু,,,,,,,,,,,,?
– জ্বে ভাবী ,
– মিনু , ঘ্রাণ পাচ্ছো ?
– কই , কিয়ের ঘেরান আবার ?
– হ্যাঁ , একটা ঘ্রাণ আসছে , আমি পাচ্ছি তো ।
– কি জানি ভাবী আমি তো পাই না , তয় আমার আবার নাক বন্ধ , এল্লাই মনে হয় আমি পাই না ।
– তোমার ভাই কি চলে গেছে ?
– হ , গেছে গা । ভাবী দুফুরে কি রানবেন কইয়া দেন , আমি ব্যবস্থা করি ।
– আমিই আসতেছি তুমি বরং প্লেটবাটি ধুয়ে দাও ।
– আইচ্ছা ভাবী ,
– হু ,

মিনু চলে যাওয়ার পর বেলী একবার ইরফানের রুমে যায় । ঘ্রাণটা সেইখান থেকেই আসছিল । রুমের মধ্যে ঢুকে এদিক ওদিক তাকায় বেলী । ইরফানের রুমের ড্রেসিং টেবিলের উপর রাখা পারফিউম এর বোতলের দিকে বেলীর নজর যায় । বেলী তখন পারফিউম এর বোতল থেকে নিজের হাতে একটু পারফিউম মেখে নাকের কাছে নেয় । হ্যাঁ এটা সেই ঘ্রাণটা যা এতক্ষন বেলীর নাকে লাগছিল । তার মানে এটা ইরফান দিয়ে গেছে ।
তার পর পরই তার মাথায় আসে এই ঘ্রাণ তাহলে তার রুমে গেল কিভাবে । বেলী নিজে নিজেই বলতে থাকে ,

– তার মানে কি তিনি আমার রুমে গেছিলেন ? গিয়ে থাকলে কথা বললেন না কেন ? আর কখন গেল আমি যে দেখলাম না ?

এইসব ভেবে ভেবে বেলীর মনটা উদ্বিগ্ন হয়ে যায় । তার মনটা এখন এই মুহুর্তে ইরফানের সাথে কথা বলতে চাইছে । ইরফানের গলার স্বরটা একবার নিজ কানে শুনতে খুব ইচ্ছে হচ্ছে তার । তার অন্তরটা একবার হলেও এই মুহুর্তে ইরফানের সাথে কথা বলতে চাইছে । কিন্তু কথা কিভাবে বলবে তার কাছে তো ফোন নেই । আর ইরফানের নাম্বারও তো জানা নেই তার । কিন্তু সব কিছুর কথা বাদ দিয়েও তার এখন ইরফানের সাথে কথা বলতে মন চাইছে ।

হঠাৎ করেই কোথাও থেকে একটা মোবাইলের আওয়াজ বেলীর কানে আসতে থাকে । রুমের এদিক সেদিক বেলী তার নজর ঘুরায় । কিন্তু কোথাও মোবাইল দেখতে পায় না সে । তাই মোবাইল খুজতে ড্রইংরুমে যায় সে । বেলী চারদিকে চোখ ঘুরাচ্ছে কিন্তু কিছুই দেখতে পাচ্ছে না । মিনুও মোবাইলের আওয়াজ পেয়ে রান্নাঘর থেকে চলে আসে ।

– ভাবী , মোবাইলের আওয়াজ আইয়ে কইত্তে ?
– বুঝতেছিনা তো ,
– ভাইয়ে কি মোবাইল রাইখা গেছে নাকি ?
– কি জানি হতেও পারে কিন্তু মোবাইলটাই তো দেখছি না ।
– ও ভাবী ,
– হু বলো ,
– মোবাইলের আওয়াজ দেহি আপনের রুমেরতে আইয়ে ।
– কি বলছো ?
– হ ভাবী , কান পাতেন , তাইলেই বুঝবার পারবেন ।

মিনুর কথায় কিছুক্ষন চুপ থাকার পর বেলী বুঝতে পারে মোবাইলের আওয়াজ তার ঘর থেকেই আসছে । তাড়াতাড়ি দৌড়ে নিজের ঘরে যায় সে , মিনুও তার পিছন পিছন যায় । সেখানে আশেপাশে তাকানোর পর ড্রেসিং টেবিলের এক কোণায় সাদা কাগজে মোড়া একটা ছোট প্যাকেট দেখতে পায় তারা ।

– ভাবী এইডার থিকাই আওয়াজ আইতাছে , খুইলা দেহেন তো ।

বেলী তখন কাগজে মোড়ানো প্যাকেট টা খুলে । আর খুলেই চরমভাবে অবাক হয় সে , সাথে মিনুও । একটা মোবাইল আর যার ফোন বাজছে তার নাম টাও সেভ করা আছে । বেলী মোবাইলের স্ক্রিনে ইরফান নামটা অতি সহজেই ধরে ফেলে ।

– ও মাগো মা , ভাইয়ের মোবাইল এইদিকে নি থুইয়া গেছে ।

কিন্তু বেলী জানে যে এটা ইরফানের মোবাইল না । সে ইরফানের মোবাইল দেখেছে আর এই মোবাইলটা ইরফানের মোবাইল না । এটা একদম নতুন , বেলী মিনুকে রান্নাঘরে পাঠিয়ে দেয় । তখন দরজাটা হালকা টেনে দিয়ে সে মোবাইলটা রিসিভ করে । বেলীর পড়াশোনা যদিও কম কিন্তু সে একেবারেই মূর্খ নয় যে ফোন রিসিভ করতে পারবে না । আর ইংলিশ মোটামুটি যা পারে তা যথেষ্ট তার জন্যে । তাই ইরফানের নামটা ধরতে তার সময় বেশি লাগে নি । মোবাইলে তখনও রিং হচ্ছে । বেলী ফোন রিসিভ করে নেয় ।

– আসসালামু আলাইকুম ,
– ওয়ালাইকুম আসসালাম , অবশেষে খুজে পেয়েছো ?
– হু ,
– এইজন্যই আমি বার বার ফোন দিচ্ছিলাম যাতে আওয়াজ পেয়ে অন্তত খুজে পাও ফোনটা ।
– হু পাইছি , কিন্তু এইটা কার ফোন আর এই রুমে এইভাবে রেখে গেছেন যে ?
– ফোনটা তোমার জন্যে , গতকাল রাতেই কিনেছিলাম আজ দিলাম । সব কিছু সেভ করা আছে । এখন যখন ইচ্ছে তোমার মায়ের সাথে কথা বলতে পারবে ।
– এইটা আমার ফোন ?
– হু ,
– আমার রুমে এসে আমার সাথে দেখা না করে চলে গেলেন সে ?
– ওইটা তো তোমার রুম যেদিন থেকে ওইটা আমাদের রুম হবে সেইদিন থেকে আমি তোমার সামনে থেকেই বিদায় নিবো ।

ইরফানের কথার ধাচ বুঝতে বেলীর সময় লাগে নি । সে বুঝে যায় ইরফান কি বোঝাতে চেয়েছে তাকে । তবে বেলী আর সেই কথা না বাড়িয়ে ইরফানকে আবারও সাদা শাড়ি আর বেলীফুলের মালার কথা মনে করিয়ে দেয় ।

– আজকে আসার সময় নিয়ে আসবেন তো ?
– কি ?
– সাদা শাড়ি আর বেলীফুলের মালা ।
– আচ্ছা নিয়ে আসবো ।
– কি করেন এখন ?
– এইতো কেবিনেই বসে আছি ।
– ওহ ,
– আমায় এত ভালোবাসো অথচ কাছে আসতে দেও না কেন বেলী ?

ইরফানের কথায় বেলী একদম চুপ হয়ে যায় । কিছুক্ষণ চুপ থেকে সে লাইন কেটে দেয় । ইরফান বুঝে যায় তার কথার জন্যে বেলী লাইন কেটে দিছে । ইরফান আবারও ফোন দেয় । এইবারও ফোন রিসিভ করে সে ।

– ফোন কেটে দিয়ে কি হলো ?
– কিছু না ,
– বেলীফুলকে ভালোবাসার মাঝে আলাদা মজা আছে । এর কারণ কি জানো ?
– কি ?
বেলীর ঘ্রাণে মাতাল হয়ে গিয়ে
সেই মাতালের মাঝে নিজেকে
বিলীন করে তোমায় আঁকড়ে ধরে
নিজের শরীরের ছাপ ফেলে দিবো

এর মাঝে অন্যরকম মজা আছে কিন্তু । এইবার বেলীর লজ্জা আরও দ্বিগুণ বেড়ে যায় ।

– এইসব কঠিন শব্দ আমি বুঝি না আল্লাহ হাফেজ ।

এটা বলেই লাইন কেটে দেয় বেলী । ইরফানের রোমান্টিক কথাগুলো তার উপর প্রভাব ফেলে দিচ্ছিল তাই সে লাইন কেটে দেয় ।
আর অন্যদিকে বেলীর কথা ভেবেই ইরফান মুচকি হাসি দেয় ।

সারাদিন পরে সন্ধ্যার কিছুক্ষণ পর ইরফান বাসায় আসে । এখনও সে আলাদা রুমেই থাকে । বেলীর কাছে যেতে অনেক ইচ্ছে করে তার কিন্তু বেলী রেসপন্স করে না তাই আর যেতে ততটা ভালো লাগে না । অফিস থেকে আসার সময় বেলীর জন্যে সাদা শাড়ি কিনে আনে ইরফান । সেই শাড়িটা দিতেই কেবল বেলীর রুমে যায় সে ।

– বেলী,,,,,,,,,,,,?
– জ্বি ,
– এই নাও তোমার শাড়ি ,
– আর মালা ?
– সেটা কাল এনে দিবো ,
– ওহ ,

বেলী ইরফানের সামনেই শাড়ির প্যাকেটটা ড্রয়ারে দেখে দেয় ।

– খুলে দেখলে না ?
– উহু , তার দরকার পড়বে না ।
– তোমার না-ও পছন্দ হতে পারে ।
– আপনি এনেছেন তো , শাড়িটা বেশ সুন্দরই হবে ।
– কাল শাড়িটা পরবে ?
– কাল ?
– হু , কাল বিকেলে তোমায় নিয়ে বের হবো ।

কিন্তু বেলী যে ভেবেছিল শাড়িটা আজকে পরবে সে । আর এখন ইরফান চাইছে কাল পরতে । বেলীও না ভেবে বলে দিয়েছে ,

– আচ্ছা কাল পরবো ।
– বের হওয়ার আগে তোমার বেলীফুলের মালা পেয়ে যাবে তুমি ।
– আচ্ছা ।

ইরফান বের হতে নিলে বেলী আবার ডেকে দেয় তাকে ,

– কোথায় যান ?
– রুমে , চেঞ্জ করবো ।
– এখানেই করে নেন ?
– জামা কাপড় ওই রুমে ,
– জামা কাপড় সব এখানেই রাখা আছে ,
– মানে ?
– মানে আজ থেকে এটা আমাদের রুম ।

এটা বলে বেলী রুম থেকে বের হতে নেয় আর ওমনি ইরফান বেলীর হাতটা ধরে নেয় । তারপর একদম নিজের কাছে নিয়ে আসে সে বেলীকে । নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে ধরে বেলীকে ইরফান । বেলীকে তখন অনেকটা পুতুলের মত লাগছিল । মাথায় ওড়নাটা দুই পেচ করে পরা তার ।

– এইদিকে তাকাও আমার দিকে ,,,

ইরফানের কথায় মাথা তুলে তাকায় বেলী । ইরফানকে বেশ সুন্দর লাগছিল । একদম সুদর্শন পুরুষের মত । বেলীর চোখে ঘোর লেগে যায় । বেলীর চোখের ভাষার মাঝে হারিয়ে যায় ইরফানের দৃষ্টি ।
নিরবতা ভেঙে আরেকটু শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বেলীকে প্রশ্ন করে সে ,

– আমাদের রুম মানে ?
– হ্যাঁ , এটা আজ থেকে আমাদের রুম । এই রুমে আজ থেকে আমি আর আপনি এক সাথে থাকবো ।
– ভেবে বলছো তো ?
– হু ,
– সহ্য করতে পারবে তো ?
– কি ?
– আমার ভালোবাসার যন্ত্রণা গুলো সহ্য করতে পারবে ?
– আপনার মা’রের যন্ত্রণা গুলো সহ্য করে গেলাম তো , এখন না হয় এই যন্ত্রণাটাও সহ্য করে দেখি ।
– এই যন্ত্রণার ব্যাথা আরও প্রখর , ভেবে দেখো আরেকবার ।
– ভাবা শেষ , এখন শুধু,,,,,,,,,,
– কি ?
– ধরা দেবার পালা ।

বেলীর কথায় ইরফানের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যায় মনে হচ্ছিল । ইরফানের মাথায় তখন অন্য কিছুই আসে নি । বেলীর দু’গালে ইরফান তার দু’হাত দিয়ে ধরে বেলীর আরও কাছে চলে যায় । ঠিক তখনই বেলী আবার সেই ঘ্রাণটা পায় । যা ইরফানের শার্ট থেকে আসছিল । ঘ্রাণটার মাদকতা এতই তীব্র ছিল যে , বেলীর ভেতরের সব কিছু নড়বড়ে করে দিচ্ছে । বেলীর চিকন ঠোঁট জোড়ার দিকে এগিয়ে যাওয়া ইরফান তখন যেন সব কিছু ভুলে গেছে । দু’জোড়া ঠোঁটের মাঝে হয়তো সর্বোচ্চ এক ইঞ্চি ফারাক ছিল । আর ঠিক তখনই ,

– ভাবীইইইই , ও ভাবীইইইই , আইজ্জা কি রুমের ভিত্রেই থাকবেন নি । মাগো মা , ভাইয়ের লাই কফি বানাইতেন না ?

মিনুর এমন চিল্লানিতে বেলী আর ইরফান উভয়েরই হুশ আসে । বেলী তখনই ইরফান থেকে একটু সরে আসে ,

– আপনি হাত মুখ ধুয়ে নেন , আমি কফি বানিয়ে আনছি ।
– ভয়ে দূরে সরে যাচ্ছো ?
– উহু ভালোবাসার মাঝে আরও শক্ত করে আঁকড়ে ধরার জন্য এই সরে যাওয়া । আর হ্যাঁ পারফিউমের ঘ্রাণটা অনেক সুন্দর , অনেক বেশিই সুন্দর ।

বেলী এইটা বলেই রুম থেকে বের হয়ে যায় । এর ইরফান তখন সেখানেই দাঁড়িয়ে মুচকি হেসে দেয় ।

– ভিষণ প্রেম প্রেম পাচ্ছে রে বেলী ,
ভিষণ প্রেম প্রেম পাচ্ছে আমার । প্রেম করতে ইচ্ছে হয় তোর সাথে । বেলীফুলের সাথে নতুন প্রেমের অধ্যায় টা এইবার না হয়ে যাক

.
.

চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে