গল্পের নাম-শক্তিরূপেণ সংস্থিতা [পর্ব-২]

0
849

#গল্পপোকা_ধারাবাহিক_প্রতিযোগিতা_২০২০
গল্পের নাম-শক্তিরূপেণ সংস্থিতা [পর্ব-২]
লেখায়-সমন্বিতা ঘোষ

ক্যান্টিনে দুটো টেবিল পাশাপাশি রেখে খুব সুন্দর করে বেলুন আর ফুল দিয়ে সাজিয়েছে ইমরান।ফুলের মাঝে ছোটো ছোটো ক্যান্ডেল। একটা টেবিলে নানা রঙিন কাগজে মোড়া গিফ্ট
রাখা ।”এসে গেছে,এসে গেছে ,স্পেশাল ব্ল্যাকফরেস্ট কেক এসে গেছে” বলতে বলতে নীলাশা হাঁফাতে হাঁফাতে ক্যান্টিনে এসে ঢুকল।ইমরান কেকের বক্সটা ওর হাত থেকে নিয়ে ওর দিকে একটা চেয়ার এগিয়ে বলল, “নে বোস। নইলে তো লীনাকে বলবি জানিস তোর বন্ধু তোর জন্মদিন পালনের জন্যে আমাকে খাঁটিয়ে মেরেছে।” নীলাশা একটু দুষ্টুমি হাসি দিয়ে বলে উঠল,”না রে ইমু ভাই।আমি তো বলতাম জানিস, তোর হবু বর মানে আমার ইমু জিজু আমাকে তার উডবির জন্মদিন পালনের জন্য খাঁটিয়ে মেরেছে।”ইমরান কিছুটা লজ্জা পেলেও কেক সাজাতে সাজাতে বলে উঠল,”তোর মাথার ঠিক নেই।যা তো এখান থেকে। নইলে গাট্টা খাবি।” নীলাশা এবারে টোন কেটে বলল,”ছেলের লজ্জা দ্যাখো..”
ইমরান এবার,”তবে রে ” বলে নীলাশাকে গাট্টা মারতে যেতে ও ছুটে পালাতে লাগল। হঠাৎই সামনে আরাধ্যাকে আসতে দেখে নীলাশা ওর পেছনে লুকিয়ে বলল,”ও ঐতিহাসিক ম্যাডাম বাঁচা প্লিজ।প্লিজ।”
–আরাধ্যা তুমি সরে যাও। এই ইঁচড়ে পাকা মেয়ে বেরিয়ে আয় বলছি।
–যাস না রে। আরে ইমু তোকে তো শুধু জিজু বলেছি ;লজ্জাবতী তো আর বলিনি।
–আবার শুরু করলি?এই আরাধ্যা তুমি দেখছ?

দুজনের মাঝে দাঁড়িয়ে আরাধ্যা এবার গলাখাঁকারি দিয়ে কিছুটা চিৎকার করে,”চু—-প—-“বলতেই ওরা দুজনেই শুধু নয় ক্যান্টিনের বাকিরাও থেমে ওর দিকে চেয়ে রইল। আরাধ্যা সেদিকে নজর না দিয়েই বলে উঠল,”তোরা এরকম ঝগড়া করছিস কেন?অদ্ভুত তো!আর নীলাশা তুইই বা ওকে জিজু,লজ্জাবতী এসব বলছিস কেন? ইমু ভাইয়া তো ঠিকই বলছে।”

— তুমি আমাকে ভাইয়া বললে?
–কেন কোনো সমস্যা?
–না, মানে আগে কেউ কলেজে ডাকেনি এমনভাবে। খুব ভালো লাগল শুনে।

ইমরান,আরাধ্যার কন্ঠ থেকে “ভাইয়া ” ডাকটা শুনে যেন চলে যাচ্ছিল স্মৃতির গভীরে,যেখানে নদীর পাড়ে বসে দুটি বাচ্চা ছেলে মেয়ে গল্প করত রোজ; আদর করে ছেলেটির হাতে রাখি বাঁধত।এক শ্রাবণে হারিয়ে খেল মেয়েটি।সাথে
“ভাইয়া “সম্বোধনটাও অতলে তলিয়ে গেল;হারিয়ে গেল রাখীবন্ধনের খুশি তাদের জীবন থেকে।

“ভাইয়া, এত কিছু কীসের জন্য?” আরাধ্যার প্রশ্নে ইমরানের চিন্তাচ্ছেদ ঘটে। তবে রিস্টওয়াচ পড়া নিজের ডান হাতটা দেখে বুকটা মোচড় দিয়ে ওঠে ইমরানের।এই হাতে আজ কত বছর রাখি পড়ে না সে।কেউ আর অমন আদর করে ঘুম না পেলে ঘুম পাড়িয়ে দেয় না…
একটা দীর্ঘশ্বাস আড়াল করে ইমরান বলে উঠল,”ঐ আজ লীনার জন্মদিন যে।”
–কি? এই নীলাশা তুই তো আমায় কাল বলিসনি।
–কি আর বলব?এলেই তো অত রাত করে ভিজে জুবজুবে হয়ে। তারপর জামাকাপড় ছেড়ে সেই যে ঘুম দিলি;আমি যে তোর রুমমেট নামক প্রাণী আছি তার কোনো খেয়ালটুকুও নেই । এই ইমরান তুই যা লীনাকে নিয়ে আয়।”
ইমরান চলে গেল।

“কিন্তু আমি ওকে কি দেব?আমার কাছে তো কিছুই নেই” মনে মনে ভাবল আরাধ্যা।

“আরে ইমরান,করছোটা কি?এমন চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়ার কি আছে?”আকাশলীনা বলল।ইমরান কোনো উত্তর না দিয়ে ওর হাত ধরে এগোতে লাগল।এরপর একটা জায়গায় এসে থেমে লীনার চোখের কাপড়টা খুলতেই লীনা অবাক হয়ে গেল। সকলে বলে উঠল,”হ্যাপি বার্থডে আকাশলীনা।”
–এসব আমার জন্য?
–হ্যাঁ সব ইমরান করেছে রে লীনা।
–না,না। নীলাশা কেক না আনলে তো হতই না। আর যদি আরাধ্যা বকা না দিত তবে হয়তো এখনো ঝগড়াই চলত।
লীনা একটু হেসে কেকটা কেটে ফার্স্টে ইমরানকে আর তারপর নীলাশাকে খাইয়ে দিল। আরাধ্যা কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে ছিল।লীনা ওর কাছে গিয়ে কেক খাইয়ে বলল,”এতদূরে দাঁড়িয়ে কেন?উইশটাও ওখান থেকে করলে?আমার কিন্তু খুব কষ্ট হল।”
আরাধ্যা বলে উঠল,”এ মা! আমি তোমাকে কষ্ট দিতে চাইনি। আসলে মানে…” ইমরান তখনি লীনার হাতে একটা গিফ্ট দিয়ে বলে ওঠে,”এটা আমার আর আরু বনুর তরফ থেকে। আশাকরি পছন্দ হবে।” লীনা হেসে বলে,”তোরা ভালোবেসে দিয়েছিস আমি এতেই খুশি।”
আরাধ্যা বিস্মিত হয়ে কিছু বলতে যেতেই ইমরান ওর পাশে গিয়ে কানে কানে বলে ,” ভাইয়ার দেওয়া যা বনুর দেওয়াও তাই।”আরাধ্যার চোখ ছলছল করে ওঠে।মনে মনে ভাবে,”আজ কতদিন পর কেউ এত ভালোবেসে আদরমাখা গলায় কথা বলল। আর আমার দাদা..”
এরই মাঝে আকাশলীনা আবার বলে উঠল,”তবে আমি সত্যিই খুব কষ্ট পেয়েছি আরাধ্যার ব্যবহারে।আর আমি এও ভেবেছিলাম ও আলাদাভাবে আমাকে কিছু দেবে ”
–আমি সত্যিই তোমাকে আঘাত করতে চাইনি।
–আমার যা চাই দেবে?
–সাধ্যের মধ্যে থাকলে নিশ্চয়ই দেব।
–আছে ,আছে।সাধ্যের মধ্যেই আছে। তোমাকে আমার,নীলাশার আর ইমরানের দেবীপুরে এই পুজোটা কাটাতে হবে।ওখানে আমাদের পৈতৃক বাড়ি আছে।
–দেবীপুর!
–হ্যাঁ
এমনসময় হঠাৎই আরাধ্যার মোবাইলে কারো একটা কল আসতেই ও “এক্সকিউজ মি” বলে ক্যান্টিন থেকে বেড়িয়ে গেল।

দিল্লির কমিশনার হলের কনফারেন্স রুম ………….

“আমাদের দেশের যে সকল স্থানে ঐতিহাসিক নিদর্শন রয়েছে তার মধ্যে একটি স্থান হল বর্ধমান। এখানকার কিছু শহরে ইতিহাসের গোপন কাহিনী লুকিয়ে রয়েছে।রয়েছে মহামূল্যবান প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।সেগুলো আমাদের দেশের সম্পদ;তা রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। কিন্তু আমাদের চোখে ধুলো দিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে মিশে গিয়ে এমনভাবে স্মাগলিং এর পাঁচটা দল ওখানে চালাচ্ছে মস্তানরাজ যে তাদের ধরা যাচ্ছে না। আর দেশের সেই সকল সম্পদ চলে যাচ্ছে বাইরে।এই মস্তানরাজের আসল নাম বির্জু প্রধান। শুধু
এগুলিই নয় আরো কিছু একটা পাচার করছে ওরা যেটা আমাদের টিম ধরতে পারছে না। আর এই কেসটার দায়িত্ব আমাদের উপর দিয়েছেন হোমমিনিস্টার। আজকের মিটিং এই নিয়েই” অফিসার মজুমদার থেমে অফিসার হকের দিকে চেয়ে বলে উঠলেন,”আপনার মতামত জানতে চাই।”
অফিসার হক চশমাটা খুলে টেবিলের উপর রেখে বললেন,”প্রথমে তাদের গতিবিধি নজরে রাখতে হবে ওদের সাথে মিশে।ধীরে ধীরে প্রমাণ সংগ্রহ। এরপর ঝোপ বুঝে কোপ। আর এই কেসটার দায়িত্ব সঠিকভাবে একজনই পালন করতে পারে।”
অফিসার মজুমদার মাথা ঝাঁকিয়ে বললেন,”আমি যদি ঠিক ধরে থাকি তবে তবে তুমি আই. পি .এস . অফিসার এ .সিংহ র কথাই বলছ। কারণ আমিও মনে মনে ওর কথাই ভাবছিলাম। আপনাদের কি মতামত?”
বাকিরা সকলেই মাথা নাড়িয়ে সায় দিয়ে বলল,”ওনার থেকে ভালো কেউ কেসটা সামলাতে পারবেনা। ”
” বেশ।ওকে আমার কেবিনে আসতে বলো ফিরলে আমি নিজে পার্সোনালি ওর সাথে কথা বলতে চাই। ”

কিছুক্ষণ পর…………

–মে আই কাম ইন স্যার?
–ইয়েস।
–স্যার আপনি আমাকে ডেকেছিলেন?
–তোমাকে স্মাগলিং এর কেসটার দায়িত্ব নিতে হবে।
–কিন্তু স্যার আমি তো নারীপাচারকারীর কেসটা দেখছি। ওটা ছেড়ে…
— তুমি ওটা নিয়ে অনেকটাই এগিয়েছ জানি। তবে তুমি না ফেরা পর্যন্ত ওটা আবির দেখবে ।
–ওকে স্যার।
— পরশুই তুমি বেড়িয়ে যাও দেবীপুরের উদ্দেশ্যে।
–দেবীপুর!
–হ্যাঁ। হোমমিনিস্টারের লেটারটা মনে করে আমার থেকে নিয়ে যেও। থানার থেকে সবরকম সাহায্য
পাবে । আর তোমার তো থাকার কোনো অসুবিধা নেই ওখানে।
–হুম।

বিকেলবেলা………..
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share


একটা কফিশপে বসে আছে আরাধ্যা। একটা ছেলে এসে ওর মুখোমুখি বসল।
–এতক্ষণে তোর আসার সময় হল?আর বাড়িতে ক্যাম্পিং এর নামে মিথ্যা কথা বলে আসার
কোনো দরকার কি ছিল আহির?
–আরো বল।
–মানে?
–কতদিন তোর কাছে বকা খাই না,ঝগড়া করি না। একটু আদর ও করিস না। আজ তোর রাগী কথাগুলো শুনতে ও খুব ভালো লাগছে রে।
–এসব বাদ দে। সকলে কেমন আছে বল?
–তোকে ছাড়া যেমন থাকা থাকা যায়। তুই ফিরবিনা সত্যিই?
–আমি মরে গেছি রে। আমার জন্য কেউ ভাবে না। তুই বারবার কেন ছুটে আসিস আমার কাছে?
–দিভাই!আর একবারো যদি মরার কথা বলিস
আমি ও বাড়ি ছেড়ে চলে আসব কিন্তু।
–না।তুই এলে মা -বাবাকে কে দেখবে?
–তুই কি দেখিস না?কেন তুই সেদিন বেড়িয়ে আসার পর পুলিশকাকুকে প্রমাণগুলো দ্যাখাতে বললি?তাহলে তো এমন হত না।
–মা-বাবাও যে মনেরটা না বুঝে আর খালি চোখে যেটুকু দেখেছে সেটুকুতেই বিশ্বাস করবে সেটা ভাবিনি রে।না ঐ দশ বছর বয়সে আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল সমাজের ভয়ে আর না সেদিন দাঁড়িয়েছিল….তুই না থাকলে হয়তো…বাদ দে।
“দিভাই এটা তোর জন্য ” বলে আহির একটা ছোট্ট লাল বক্স বের করে বলল।
আরাধ্যা বক্সটা বের করে দেখল,একটা সোনার চেনে পেনডেন্ট লাগানো। চেনটা ঢুকিয়ে বক্সটা বন্ধ করে আহিরের হাতে ফিরিয়ে দিয়ে ,”ভাই সেদিন আমি গয়না কেন শাড়িটুকুও নিয়ে আসিনি। আর আজ তুই আবার আমাকে গয়না দিচ্ছিস?আমি যেমন সাধারণ তেমনভাবেই বাঁচতে চাই। এসব বড়লোকি জিনিস তুই লুকিয়ে আমায় দিচ্ছিস শুনলে মা-বাবা রাগ করবে ” বলে উঠে চলে যেতে লাগল। আহির বলে উঠল,”দি, যাসনা। এটা আমার নিজের উপার্জিত পয়সা জমিয়ে বানানো। প্লিজ দিভাই। তুই না নিলে ভাববো তুই আমাকেও পর করে দিয়েছিস।”
আরাধ্যা থেমে যায়। পেছন ফিরে আহারের দিকে এগিয়ে ওর মাথায় চুল ঘেঁটে দিয়ে বলে,”খুব পেকেছো তাই না? বাড়িতে কেউ জানে? তা কি কাজ করছ তুমি শুনি?আর এটা না দিয়ে একটা চকলেট কিনে দিলেই খুশি হতাম। ”
আহির একটু লজ্জাসূচক হেসে বলল,”তুই তো জানিসই আমি গান করতে ভালোবাসি। কয়েকটা শো করেছিলাম। তবে মা-বাবা জানে না।”
আরাধ্যা একদৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে বলল,”আমার ভাইটা কবে এত বড় হয়ে গেল বুঝলামই না।”এরপর ব্যাগ থেকে একটা খাম বের করে আবার বলল,”এই নে এতে বাকি পঁচিশ হাজার টাকা আছে। আশাকরি আমার জন্যে হওয়া ফালতু খরচ ইনস্টলমেন্টে তাড়াতাড়ি মিটিয়ে দিতে পারব।বল?”
–দিভাই ?
–এ বিষয়ে আমি কথা শুনব না। এটা গিয়ে কাকানকে দিয়ে দিবি। আর অবশ্যই সেটা মিহিরদার সামনে। আর যতদিন না সব ঋণ মিটিয়ে দিতে পারছি আমি নিজের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারব না।
–বেশ।কিন্তু ওরা একা খরচ করেনি।অর্ধেকের বেশিই তো বাবার করা।আর বাবার টাকা মানে তোরও টাকা।তবে তুই সম্পূর্ণ টা কাকানকে দিতে চাইছিস কেন?
–মন বলেছে তাই। আমি আপাতত আর এই নিয়ে কথা বলতে চাইনা।আর হ্যাঁ সাবধানে যাবি ; আর তোর ট্রেনের টাইম হয়ে এল। কাল সারাদিন বাড়ি ছিলিস না আর আজও যদি ফেরার ট্রেনে উঠে মা-কে না জানাস তবে সমস্যা হতে পারে।

আহির সোনার চেনটা বক্স থেকে বের করে আরাধ্যাকে পড়িয়ে ওর গালে একটা হামি দিয়ে বেড়িয়ে গেল। সকালে ইমরানের কাছ থেকে স্নেহ আর বিকেলে আহিরের ভালোবাসা পেয়ে আরাধ্যার মনটা বেশ ভালো হয়ে গেল। আহিরের মনটাও আজ বেশ ফুরফুরে কতদিন পর তার
আদরের দিভাই ওর চুল ঘেঁটে দিল।

(ক্রমশ)
[????আমার ভুল ত্রুটি ধরিয়ে দেবেন ]

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share