ক্রাশ যখন বর Season_3Part_25/26/27

0
2699

ক্রাশ যখন বর Season_3Part_25
Writer-Afnan Lara

তনু চুল আর বাঁধলো না,
শিশির খেয়াল করলো তনু গিয়ে খাটে শুয়ে পড়ছে,
শিশির খুশি হয়ে গেলো,গিয়ে পাশে বসলো,
তনু ইচ্ছে করে চোখ বন্ধ করে আছে তা বুঝাই যাচ্ছে,
তনু আগে চেয়েও শিশিরের চোখ নিজের দিকে ফিরাতে পারতো না আর এখন সে সারাদিন তার দিকেই চেয়ে থাকে
শিশিরের ফোন বেজে উঠলো,তনু চোখ খুলে তাকালো
শিশির ফোন হাতে নিয়ে দেখলো নাতাশার কল,
শিশির তনুর দিকে ফোন বাড়িয়ে দিয়ে ইশারা করলো যাতে ও ব্যাপারটা Handle করে
তনু উঠে বসলো
তনু-পরে কথা শুনাবেন নাতো??
শিশির-নাহ
তনু-ওকে,হ্যালো
নাতাশা-তুমি??শিশিরকে দাও,শিশির কবে আসবে,আমার ভালো লাগে না
তনু -ওহ তাই?তোর আর ৫টা বফ তোরে খেয়ে ছেড়ে দিসে বুঝি??
নাতাশা-what do you mean?
তনু-তোর শা***,,আর কখনও এই নাম্বারে ফোন দিবি না,দিলে আমি ধরবো,গালি শুনতে তোর ভালো লাগবে?
নাতাশা-শিশিরকে দাও
তনু-না দিলে কি করবি?তোর বাপের সাধ্য আছে?
নাতাশা-হাত ভেঙে দিব বেশি কথা বললে
তনু-আর আমি কি করবো জানিস?তোরে মেরে চিড়িয়াখানায় বাঘের সামনে দিয়া আমু,কি দিয়া মারমু তোরে জানস??ব্লেড দিয়ে আঁকি আঁকি নুন মরিচ দিয়া তারপর বটি দিয়ে কেটে কেটে মারবো,experience আছে
নাতাশা-খুনি
তনু-মাছ এভাবে কাটি রে বোকা****?
নাতাশা-Whatever!শিশিরকে দাও
তনু-উফ disturb করিও না প্লিস,আমার জামাই আর আমি ব্যস্ত আছি,শাশুড়ি আম্মা নাতিপুতির মুখ দেখতে চেয়েছে বুঝছো,বাই
নাতাশা-এই খবরদার লাইন কাটবা না
তনু-হ্যাঁ চুমু দিবা আসো(নাতাশাকে শুনিয়ে শুনিয়ে)
নাতাশা রেগে লাইন কেটে দিলো
শিশির হা করে তাকিয়ে আছে তনুর দিকে,এসব কি বললো তনু,জীবনের ২৪টা বছর এগুলা শুনেনি সে?
তনু*-Next time call দিলে আমাকে দিবেন,Blk করতে পারেন না?
শিশির-১০+ number ব্লক করসি,ও নিউ নাম্বার নিয়ে কল দেয়
তনু-ওহ,আচ্ছা শুনুন
শিশির-বলো
তনু-কখনও ওর কাঁধে হাত দিয়েছেন??
শিশির-?না কেন
তনু-গলায়?
শিশির-না
তনু-পায়ে??
শিশির-আমাদের ৬মাসের রিলেশন ছিলো তারপরই ও কোমায় যায় আই মিন নাটক করে
তনু-আচ্ছা এই নাটকটা কেন করলো?
শিশির-জানি না আমি
তনু-ভাবার বিষয়
শিশির তনুর দিকে আড়চোখে তাকিয়ে আছে
তনু-কিয়া?
শিশির-নাতাশাকে কি বললা? আমি তোমাকে চুমু দিব?
তনু-তো কি বলবো বিপদে পড়লে চুমু দেন
তনু মুখ ভেঁংচি দিয়ে শুয়ে পড়লো
শিশির-এই এক মিনিট,বিপদে পড়লে মানে??
তনু-মানে আমাকে আটকানোর জন্যই তো কিস করেছেন,,ভালোবেসে তো আর না
শিশির-হুহ,
তনু-কি?
শিশির-কিছু না,ঘুমাও
শিশির গিয়ে শুয়ে পড়লো,
তনু-??????
পরেরদিন ♥♥
তনু সকালে উঠে মুখ ধুয়ে দরজা খুলেই অবাক
একটা মেয়ে মায়ের সাথে হাসাহাসি করতেছে
মা-আরে তনু বস,দেখ কে এসেছে,,আমার বান্ধুবীর মেয়ে,,কিছুদিন থাকবে এখানে,,আমার বান্ধুবী ওর husband কে নিয়ে বাইরে গেসে,একমাত্র মেয়ে তাই আমার কাছে রেখে গেসে,আমরা best friend ছিলাম?
রুশা-হাই?
তনু-hello?
রুশা-তা শিশির কই?
মা-ঘুমাচ্ছে মনে হয়
রুশা-আমি গিয়ে surprise দিচ্ছি ওকে,আসি
তনু-দাঁড়াও
রুশা-what?
তনু-ওকে ঘুমাতে দাও,সারা রাত ঘুমাতে পারেনি তো?,, আর surprise ঘুম থেকে উঠলেও দিতা পারবা আপু?
রুশা চোখ রাঙিয়ে আবার সোফায় এসে বসলো,
মা মুচকি মুচকি হাসতেছে
তনু রান্নাঘরে চলে গেলো,,
শিশির গোসল করে বের হয়ে,তোয়ালে দিয়ে মাথা মুছতে মুছতে রুম থেকে বের হতেই রুশা এসে ওর হাত দুটো ধরলো
রুশা-surprise!!!
শিশির-রুশা!কি অবস্থা??
রুশা শিশিরকে জড়িয়ে ধরতে যাবে তনু এসে শিশিরের কোমড়ে হাত দিয়ে পিছিয়ে আনলো
শিশির তনুর দিকে তাকাতেই তনু অগ্নি দৃষ্টিতে শিশিরের দিকে তাকালো
রুশা-জড়িয়ে ধরলে any problem তোমার?
তনু-একদম না, আসো জড়িয়ে ধরি
এটা বলে তনু রুশাকে ঝাঁপতে ধরে জড়িয়ে ধরে কোলাকুলি করলো
শিশির মুখ চেপে ধরে হাসতেছে,
রুশা মুখ বাকিয়ে শিশিরের হাত ধরে টান দিয়ে নিয়ে গেলো সোফায়,তনুর মেজাজ গরম হচ্ছে
সোফায় শিশিরকে বসিয়ে নিজে বসে গেলো,আর বিজয়ের হাসি দিলো তনুর দিকে তাকিয়ে
তনু এসে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলো
রুশা-আরে তনু এপাশে বসো এখানে তো জায়গা নেই
তনু মুচকি হাসলো?☺️☺️☺️
শিশির ইশারা করলো যে সে উঠে যাচ্ছে,কিন্তু তনু না করলো??
তারপর ধপ করে শিশিরের কোলে গিয়ে বসে পড়লো তনু?
শিশির আর রুশা দুজনেই অবাক?
রুশা তো ফুলতেছে
তনু-কি করবো বলো ননদ,,জায়গা নেই তাই, স্বামীর কোল তো ফ্রী,তাই না?
রুশা রাগে গজগজ করতেছে
তনু শিশিরের গাল ধরে টিপে দিলো,
তনু হেসে দিলো????
শিশির তনুর হাসি দেখে নিজেও হেসে দিলো,
তারপর শিশির হঠাৎ তনুকে কোলে তুলে নিলো,নিয়ে রুমে চলে গেলো,তনু এটা ভাবতেও পারেনি
রুশা চোখ বড়বড় করে তাকিয়ে আছে,
শিশির রুমে এসে তনুকে নামিয়ে দিলো
তনু-এটা করলেন কেন
শিশির-যাতে রুশা বুঝে we are happily married couple?
তনু-ওওও,very good?
২মিনিটেই রুশা দরজা নক করলো শিশিরদের রুমের
তনু-আবার এসেছে,??
আচ্ছা শুনেন,কাল বলছেন না ঢাকায় চলে যাবেন??ভোরে যাব কেমন??
শিশির-এত তাড়াতাড়ি?
তনু-এখানে থাকলে রুশা জ্বালাবে
শিশির-ওকে
শিশির দরজা খুলতে যাবে তনু কলার ধরে টেনে বিছানায় ফেললো
তনু-চুপচাপ শুয়ে থাকেন??
তনু শিশিরের শার্টের কয়েকটা বোতাম খুলে ফেললো
শিশির-এসব কি?আর কেন???
তনু-চুপপ?
তনু গিয়ে দরজা খুললো তাও ঠোঁট মুছতে মুছতে?
তনু-কি আপু??????
রুশা-?,
রুশা উঁচু হয়ে শিশিরের দিকে তাকালো,শিশিরের এমন অবস্থা দেখে মুখ কালো করে ফেললো
রুশা-আমার খুধা লাগসে,খাবার দাও,ততক্ষনে আমি আর শিশির গল্প করি????
রুশা তনুকে এক প্রকার ধাক্কা দিয়ে ভিতরে ঢুকে গেলো
তনু গিয়ে শিশিরের গা গেসে বসে পড়লো????
রুশা-বলসি না খিধা লাগসে?
তনু-বুয়ায়ায়ায়ায়াায়ায়ায়াা,খাবার দাও রুশা আপুকে???
শিশির-??
রুশা চলে গেলো রুম থেকে
শিশির-তুমি তো খুব শেয়ানা মেয়ে
তনু-আর কি দেখলেন??
রুশা-আহ আমার পায়ে লাগলো খুব,শিশির শিশির
তনু আর শিশির গিয়ে দেখলো রুশা পায়ে হাত দিয়ে বসে আছে,পা নাকি মচকে গেসে
রুশা-আমাকে কোলে তুলে রুমে নিয়ে যাও,হাঁটতে পারবো না??
তনু ফিসফিসিয়ে শিশিরকে বললো
তনু-যদি এখন কোলে তুলো তোমার পা ভেঙে দিব?
শিশির রোবট হয়ে দাঁড়িয়ে আছে?
রুশা-আহ মাগো
তনু-ব্যাথা পাইসো??আহারে
রুশা-হ্যাঁ????কোলে নাও আমাকে শিশির
তনু-আল্লাহ গোওওওওওওওও,তেলাপোকা ???
রুশা এক লাফ দিয়ে উঠে পিছনে তাকালো,
রুশা-কই কই??মাম্মিইইইইইইই
তনু-নাই,চলে গেসে
রুশা-কি গেসে
তনু-তোমার পায়ের ব্যাথা?
শিশির-?
চলবে♥

“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন


Crush যখন বর
#Season_3
Writer-Afnan Lara
#Part_26
রুশা চলে গেলো,,
তনু রুমে এসে জামাকাপড় গুছিয়ে নিলো,,
ভোর হতেই তনু শিশির রেডি হয়ে নিলো,মা দরজায় দাঁড়িয়ে আছে বিদায় দেওয়ার জন্য,
রুশা-প্লিস আমাকেও নিয়ে যাও,আমার এখানে ভালো লাগতেছে না
তনু-আরে দেখো তোমার আম্মু আব্বু????
রুশা পিছনে তাকাতেই তনু শিশিরের হাত ধরে এক টান দিয়ে দৌড় মারলো
দুজনেই গাড়ীতে বসে পড়লো,আর গাড়ী start করে দিলো শিশির,দুজনে হাঁপিয়ে গেসে,একসাথে হেসে দিলো???
রুশা-Cheating করলো?
বিকালের দিকে ঢাকায় গিয়ে পৌঁছালো দুজন,
তনু রুমে গিয়ে হাঁটতে হাঁটতে চুল খুলতে লাগলো,,
শিশির কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকলো,
তনু চুল খুলে চিরুনি নিয়ে আঁচড়াতে লাগলো,হঠাৎ তার খেয়াল হলো শিশির তাকিয়ে আছে
তনু-Fresh হবেন না?
শিশির -ওহ হুমম
শিশির চলে গেলো,,
তনু চুল বেঁধে বারান্দাতে গিয়ে গাছগুলো দেখতে থাকলো,,দরজায় নক হলো,শিশির এখনও বের হয়নি,
তনু বুঝলো কে এসেছে,,লাল মরিচের গুড়া নিয়ে গেলো দরজা খোলার জন্য
হনহনিয়ে গিয়ে দরজা খুলেই মরিচের গুড়া ছুড়ে মারলো তনু নাতাশার মুখে,
কিন্তু একি এটা তো নাতাশা নয়,এটা তো তন্ময় ????
তনু-আল্লাহ!
তনু ঠাস করে দরজা লাগিয়ে দিলো,ঐদিকে তন্ময় চিৎকার দিতেছে,
শিশির-কে??কে এমন চিল্লাচ্ছে
তনু-তন্ময়
শিশির হাতা উঠাতে উঠাতে যাওয়া ধরলো তনু আটকালো,
তনু-আরে আমি কাজ করে দিসি,আর জীবনে আসবে না?
শিশির তনুর হাতের দিকে তাকিয়ে দেখলো মরিচের গুড়া,তারপর ব্যাপারটা বুঝে হেসে দিলো
তনু রান্নাঘরে গিয়ে কফি বানিয়ে এসে দেখলো শিশির সোফায় নেই,
তনু-কই গেলো আবার??
তনু রুমে এসে দেখলো বারান্দায় শিশিরের শার্টের কোণা দেখা যাচ্ছে
তনু-এই যে কফি খাবেন না?আসেন
শিশির-এখানে আসো
তনু গিয়ে চেয়ার নিয়ে বসলো,দুজনেই গোলাপ গাছের দিকে তাকিয়ে আছে,শিশির তনুর দিকে তাকালো,তনুর মুখে বাঁকা হাসি
শিশির-আমি যেটা ভাবতেছি তুমি ও কি সেটা ভাবতেছো?
তনু-1st kiss?
শিশির-হুম!
এমন একটা দিনে করসো আজীবন মনে থাকবে
তনু-??
শিশির-আচ্ছা কাল সকালে রেডি হয়ে নিও,তোমাকে আমি আমার অফিসে নিয়ে যাব
তনু-কেন?
শিশির-সবার সাথে পরিচয় করে দিব
তনু-ওকে
দুজনে সারাদিন জার্নি করায় শুয়ে পড়লো তাড়াতাড়ি
সকালবেলা শিশির আগে উঠলো,তনু কাঁথা মুড়ি দিয়ে ঘুমাচ্ছে,শিশির জানালার পর্দা সরালো না
গিয়ে fresh হয়ে এসে দেখলো তনু বসে চোখ কচলাচ্ছে
শিশির-গুড মর্নিং ☺
তনু-কে?ওহ, হ্যাঁ গুত মর্চিং☕☕☕☕☕
শিশির-What?কি বললা
তনু-হুমমম
তনু ঠাস করে আবার শুয়ে পড়লে
শিশির -আরে আর কত ঘুমাবা
তনু মরার মত ঘুমাচ্ছে
শিশির গিয়ে দেখলে বুয়া নাস্তা বানাচ্ছে,সে ফিরে এসে দেখলো তনু নাই
শিশির-বাপরে মাত্রই তো দেখলাম গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন
তনু মুখ মুছতে মুছতে আলমারি খুললো
শিশির -কি পরবা?
তনু-শাড়ী?
শিশির-হুম ওটাই বেটার
তনু একটা কালো জর্জেটের শাড়ী নিলো পরার জন্য,
শিশির টিভি দেখতে চলে গেসে,
তনু রেডি হয়ে শিশিরের পিছনে এসে দাঁড়ালো
তনু-এহেম এহেম!
শিশির ঘুরে পিছনে তাকাতেই হা হয়ে গেলো
টিভিতে গান শুরু হলো
Ho ek ladki ko dekha to aisa laga
Ek ladki ko dekha to aisa laga
Jaise khilta gulaab
Jaise shaayar ka khwaab
Jaise ujli kiran
Jaise van mein hiran
Jaise chaandni raat
Jaise naghme ki baat
Jaise mandir mein ho ek jalta diya
Ho ek ladki ko dekha to aisa laga
তনু-?????
শিশিরের কাশি উঠে গেলো,কাশি থামিয়ে উঠে দাঁড়ালো
বুয়া-আপামনিরে আজ হেব্বি লাগতেছে???
তনু-???
শিশির তনুর পা থেকে মাথা পর্যন্ত দেখতে থাকলো,হাতে কালো কাঁচের চুড়ি,,চুল খোলা,,কানে দুল,,গলায় চিকন একটা হার,,সব মিলিয়ে নায়িকাদের মতন লাগতেছে
শিশির-নাইস
তনু*-নাইস?
বুয়া-Ocamm কন সাহেব,আমার পোলা কইসে এইডা মানে বেশি সুন্দর
তনু-?
শিশির-এক্কারি osammmmmm
তনু-??
শিশির-হয়সে এবার চলেন নাস্তা খেয়ে বের হবো
দুজনে নাস্তা করে বের হলো,শিশির নানা ছুতোয় তনুর দিকে তাকাচ্ছে গাড়ীতে বসে,না জানি অফিসের stuff দের কি অবস্থা হবে,,
শিশির তনুর হাত ধরে অফিসের ভিতরে নিয়ে গেলো
সবাই তনুকে সালাম দিলো,তনুর কেমন জানি শরম করতেছে,,
তনু-আপনার পি.এ কই???
শিশির-রিপন??
রিপন-জী স্যার বলুন
তনু-ওহ পোলা??তাইলে ঠিক আছে
শিশির-মেয়েদের প্রতি আমার তেমন interest নেই বুঝছো,
তনু নিজের শাড়ী ঠিক করতে করতে বললো তা তো দেখতেই পাচ্ছি
রিপন মুখ ধরে হেসে দিলো
শিশির-এহেম এহেম,,
একটা stuff উঠে এসে বললো ম্যাম আমাদের বসের ওয়াইফ হিসেবে আপনাকে একটা প্রশ্ন করতে পারি??
তনু-বলুন
stuff-ধুরুন একজন stuff ভুল করে ফেললো,আপনি মাফ করে দিলেন,যদি সে একই ভুল আবার করে তখন কি করবেন?
তনু-দুবার ভুল হতেই পারে,আমি তাকে ক্ষমা করে দিব,বাট 3rd time তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে দিব
তনুর জবাবে সবাই হাততালি দিলো,,
শিশির-ওয়াহ,!!!what a reply!!
তনু-হুহ,আমি কি জিনিস আগামীতে বুঝবা
সবার সাথে দিন কাটিয়ে দুজনেই বিকালের বাসায় আসলো,,
মেঘ ধরেছে আকাশে,,গর্জন বেড়ে গেসে,,হালকা বৃষ্টি শুরু হয়ে গেসে তার সাথে বাতাস
তনু বারান্দায় এসে চোখ বুজে দাঁড়িয়ে আছে,,খুব ভালো লাগতেছে,
হঠাৎ করে একটা হাত তনুর কোমড় ছুঁলো,তারপর তার পিঠের চুলো গুলো সরিয়ে সেখানে নাক লাগালো
তনু কেঁপে উঠে পিছনে তাকাতে যাবে শিশির শক্ত করে চেপে ধরে বললো ভয় নেই
তনু আর তাকালো না,বাইরে তাকিয়ে রইলো
হঠাৎ জোরো হাওয়ায় খুব জোরে বৃষ্টি বেড়ে গেলো এবং তনু শিশির দুজনকেই কাক ভেজা ভিজিয়ে দিলো,
তনু হা করে তাকিয়ে আছে
শিশির-ইস রে,ধুর
তনু-আমার শাড়ীটা গেলো
শিশির সরে গেলো কিন্তু তনু সরতে নিতেই ওর শাড়ী গোলাপ গাছের সাথে আটকে গেলো,তনু খুলতে যাবে
শিশির গোলাপটি সহ ছিঁড়ে নিলো,আঁচল ঘুরিয়ে এনে তনুর কানে লাগিয়ে দিলো ফুলটি,
তারপর কানের কাছে চুমু দিয়ে দিলো,খুব জোরে বিজলি চমকাতেই তনু ভয় পেয়ে গেলো,কিন্তু আর ৫টা গল্পের নায়িকাদের মতন সে শিশিরকে জড়িয়ে ধরলো না,ঠাঁই দাঁড়িয়ে রইলো,,শিশিরের শার্টের কলার চেপে ধরে
শিশির-নাতাশা হলে জড়িয়ে ধরতো
তনুর মেজাজটা গেলো গরম হয়ে,এক ধাক্কা দিয়ে শিশিরকে নিচে ফেলে দিলো ফ্লোরে,তারপর নিজে গিয়ে শিশিরের উপরে উঠে বসলো
তনু-নাতাশা ছাড়া তোর মাথায় আর কিছু আসে না??শয়তান বেয়াদব,লু****,,মা****,তোরে কাল আমি নাতাশার সামনে নিয়ে যাব তোর যত ইচ্ছা কাল পূরন করিস আমার সামনে
কথাগুলে তনু শিশিরের মাথার চুল টানতে টানতে বলতেছিলো
শিশির-মাগো বাঁচাও,,প্লিস আমার চুল ছাড়ো আর নাম নিমু না ছাড়ো,এবয়সে টাকলু হতে চাই না আমি
চলবে♥
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন



Crush যখন বর
#Season_3
Writer-Afnan Lara
#Part_27
তনু -চল তুই আমার সাথে এখন নাতাশাদের বাসায় যাবি,নইলে তোরে মেরে বিধবা হবো আমি
তনু শিশিরের কলার টেনে উঠালো শিশিরকে
শিশির-পাগলামি করো না,ছাড়ো
তনু টানতে টানতে নিয়ে গেলো,গাড়ীতে বসলো
তনু-drive কর,,এখনই!!!
শিশির চুপচাপ drive করে নাতাশাদের বাসায় আসলো,
তনু হাত ধরে টেনে নিয়ে নাতাশার পাশে ছুঁড়ে মারলো,
তনুর মাথায় রাগে ভর্তি হয়ে আছে
তনু-ওরে যা বলার বল
শিশির-তনু চলো এখান থেকে প্লিস
নাতাশা-বেবি কি হয়সে বলো??তনু ওকে আমার কাছে দিতে এসেছো??
শিশির-চলো তনু
তনু-তুই কাকে ভালোবাসস সেটা বল এখনই
তনু কেঁদে দিলো
তনু-সেই কবে থেকে ভালোবেসে এসেছি,,আমাকে শুধু অবহেলায় করেছে,শুধু নাতাশা নাতাশা,,আর কিছু না সবসময় নাতাশা
আজ তুই বলবি তুই কাকে ভালোবাসস,
তনু আঁচল দিয়ে মুখ মুছতেছে আর কথা গুলো বলতেছে
নাতাশা শিশিরের হাত চেপে ধরলো
নাতাশা-হুম বেবি বলো
শিশির দুমিনিট দাঁড়িয়ে থাকলো,,চুপ হয়ে
তারপর হঠাৎই তনুর দিকে এগিয়ে গিয়ে ওকে পাগলের মত কিস করতে থাকলো?
এটার জন্য নাতাশা তনু কেউই প্রস্তত ছিলো না
তনু চোখ বড়বড় করে তাকিয়ে আছে
নাতাশা চিল্লানি দিয়ে শিশিরের শার্ট ধরে ওকে সরানোর চেষ্টা করতেছে শিশির আরও জোরে চেপে ধরতেছে তনুকে
নাতাশা-?????
প্রায় ৬/৭মিনিট পর শিশির তনুকে ছাড়লো,,তনুর রাগ টাগ সব গায়েব,আর তনুর মুখে হাসি ফুটলো,কারণ শিশির যেটা প্রমান করলো সেটাই তনু চেয়েছিলো
শিশির আর এক মিনিট ও না দাঁড়িয়ে তনুর হাত ধরে বেরিয়ে গেলো,
তনু শিশিরকে দেখছে শুধু
গাড়ীতেও তাকিয়ে আছে তনু,
শিশির তাকাচ্ছে না,কারন সে মাত্র যেটা করেছে সেটা কি ছিলো,যাকে সে ভালোবাসত তার সামনে আরেকজনকে সে চুমু দিয়েছে,তাও কোনো বাধা তাকে আটকায় নি,
বাসায় এসে শিশির চুপ হয়ে আছে,কথা বলছে না তনুর সাথে
তনু ব্যাপারটা বুঝতে পেরে আর শিশিরের সামনে আসতেছে না
দুজনেই দুই রুমে বসে আছে,,
রাত ২টা বাজে,দুজনেই সজাগ,পার্থক্য একটি দেওয়ালের
তনু জামা পড়ার সময় দেখলো কাঁধে খাঁমচির দাগ বসে আছে,শিশির তখন খুব জোরে চেপে ধরেছিলো,
তনু জামা পড়ে শুয়ে পড়লো,২০মিনিট ধরে এপাশ ওপাশ করতে করতে ঘুমিয়ে গেলো,
ঠিক তখনই শিশির আসলো তনুকে দেখার জন্য,ঘুমিয়েছে কিনা,হুম ঘুমিয়েছে,
শিশির গিয়ে পাশে বসলো,মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো তনুর,
শিশির-আমি তোমাকে ভালোবাসি না,হয়ত এখনও বাসতে পারিনি,কিন্তু মায়া জিনিসটা কাজ করে আমাদের মাঝে,একসাথে থাকতে থাকতে একটা মায়া জন্মে গেসে,,হয়ত একদিন ভালোবেসে ফেলবো,তোমার পাগলামিতে আমি মুগ্ধ,,সেটাই তোমাকে ভালোবাসতে সাহায্য করবে, আমি চাই তোমাকে ভালোবাসতে,কিন্তু নাতাশা নামক মেয়ের নেশা আমার পিছু ছাড়ে না,বারবার তার সেই মুখ ভেসে উঠে যে মুখ দেখে আমি তার প্রেমে পড়েছি,,
যখন আমি তোমার কাছে যেতে চাই তখন ওর কথা মনে পড়ে,
?
বাসতাম, এখন আর বাসি না,সময় লাগবে, সময় দাও আমাকে,তোমাতে নিজেকে মগ্ন করে দিব আমি,
শিশির উঠে চলে গেলো,
পরেরদিন সকাল♥
তনু উঠে শিশিরের রুমে উঁকি মারলো,শিশির ঘুমায়
তনু গিয়ে ওর জন্য নাস্তা বানালো,,
বুয়া-আপামনিরে আজ অনেক খুশি লাগতেছে?
তনু-হুমমমম দিনটা বিশেষ
শিশির এসে বসলো টেবিলে,,তনু খাবার দিয়ে নিজেও বসলো,,
শিশিরের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে,শিশিরের নাক ঠোঁট সব দেখতেছে
তনু-ইস যেন একটা টমেটো ☺
শিশির-?
তনু-না না মিষ্টি কুমড়া!
শিশির-চুপ থাকো
তনু ধরে গাল টিপে দিলো
শিশির মুখ ভেংচি দিয়ে রেডি হতে চলে গেলো
রেডি হয়ে এসে দাঁড়াতেই তনু শিশিরের গলা ধরে জড়িয়ে ধরলো
শিশির-আরেহ এটা কি
তনু-ধরুন
শিশির-আমার লেট হচ্ছে
তনু-নাহলে ছাড়ব না
শিশির পিঠে হাত লাগিয়ে চলে গেলো,
তনু-??
তনু ভাবলো আজ কিছু একটা করে শিশিরের মন ভালো করবে
তাই দারোয়ানকে দিয়ে অনেক ফুল আর candle আনলো,
ফুল দিয়ে মেইন দরজা থেকে রুম পর্যন্ত রাস্তা বানালো,,
বুয়াও help করলো
Candle light dinner এর arrange করলো,আরও কত কি করলো
সন্ধ্যায় শিশির আসলো বাসায়,
দরজা খুলে দেখলো লাইট অফ,লাইট অন করে তনু দাঁড়িয়ে ঢুলতেছে,,আর মুচকি হাসতেছে,পরনে নাইটি
শিশির-নাইস
শিশির হেঁটে চলে গেলো
তনু মুখ ভেঁংচি দিয়ে ফুলের উপর পা দিয়ে হাঁটতে যেতেই দুম করে নিচে পড়ে গেলো
ধপাস!!ঠাস!?
শিশির পিছনে তাকালো,তনু কোমড়ে হাত দিয়ে নিচে বসে আছে
শিশির-ব্যাথা পাও নি তো
তনু-আপনি ভিতরে যান আমি আসতেছি
তনু বুয়ার দিকে তাকালো
বুয়া-হিহি আপা??রুম থেকে কেমন গন্ধ আসতেছিলো তাই গোলাপজল ছিঁটাই দিসি,ভালা করসি না????
তনু-খুব ভালা করসো
শিশির fresh হয়ে এসে বসলো টেবিলে,তনু সুন্দর করে টেবিল সাজিয়েছে
জুস দু গ্লাস নিয়ে টেবিলে রেখে নিজে বসলো শিশিরের পাশে
শিশিরের আগেই নিজে এক গ্লাস জুস নিয়ে মুখ দিতেই ফুরুত করে ফেলে দিলো,আর কাশতে থাকলো,এত লবন কেন??
তনু বুয়ার দিকে তাকালো,বুয়া উঁকি মেরে দাঁত বের করে তাকিয়ে আছে,ভুলে চিনির জায়গায় লবন দিয়ে দিসে
শিশির-কি হয়সে?
তনু-থাক এটা খেতে হবে না
তনু উঠে গেলো খাবার আনার জন্য পা পিছলে আবার দুম করে নিচে পড়ে গেলো,
শিশির হাসি আর আটকাতে পারতেছে না
হো হো করে হেসে দিলো
তনু-????
শিশির-হয়সে,আমার আজকের রাতের বিনোদন complete, thanks for the night ?????
তনু-নাহ খান প্লিস
শিশির-তাহলে তুমি বসো আমি খাবার আনতেছি,নইলে এবার খাবার নিয়ে পড়বা?
তনু গিয়ে বসলো,শিশির খাবার এনে টেবিলে রাখলো,শিশির চুপচাপ খাচ্ছে,
হঠাৎ তনুর কথা মনে পড়তেই ওর দিকে তাকালো,
তনু হা করে তাকিয়ে আছে,ওকে খাইয়ে দেওয়ার জন্য
শিশির চামচ নিয়ে ধরতেই তনু গাপুস করে খেয়ে নিলো,
শিশির তনুকে খাইয়ে দিলো,
বুয়া চলে গেলো,তনু দরজা লাগিয়ে এসে দেখলো শিশির শুয়ে পড়েছে,
তনু জানে শিশির এত তাড়াতাড়ি ঘুমায় না,ভান করতেছে,তাও তনুর থেকে distance এর জন্য
তনু নাইটির উপরের পার্ট খুলে শিশিরের গায়ে মারলো,
শিশির চুপ হয়ে আছে এখনও
তনু গিয়ে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলো শিশিরকে
শিশিরের গলায় চুমু খেলো,শিশিরকে নিজের দিকে ফিরিয়ে শার্টের কয়েকটা বোতাম খুলে সেখানে গিয়ে শুয়ে পড়লো,,
তনুর চুলের ঘষায় শিশিরের গা কাঁপতেছে,,
তনু শুধু নড়াচড়া করতেছে,,
২মিনিট পর শিশির উঠে বসলো,তনু ও উঠে বসলো,শিশিরের কাঁধে হাত রাখলো
শিশির-আমাকে সময় দাও
তনু হাত নামিয়ে নিলো,তারপর বালিশ নিয়ে চলে গেলো
চলবে♥
(অসুস্থতার জন্য লিখতে পারিনি,,কিন্তু তাও ভাবলাম অনেকেই অপেক্ষা করবে,তাই কষ্ট করে হলেও পার্টটা লিখেছি,দেরি হওয়ায় কেউ বকবা না আমাকে)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে