ক্রাশ যখন বর Season_3Part_22/23/24

0
2451

ক্রাশ যখন বর Season_3Part_22
Writer-Afnan Lara

৫মিনিট যেতেই তনুর হাত যখন শিশিরের শার্টের বোতামের দিকে গেলো শিশির উঠে গেলো
তনু জিজ্ঞাসাসূচক ভাবে তাকিয়ে আছে
শিশির পানি নিয়ে খেলো তারপর গিয়ে সোফায় বসলো
তনু কিছুক্ষন চুপ হয়ে নিজেই কথা বললো
তনু-কি হয়সে?

শিশির-কিছু না,,খাবা এখন??আনতাম?
তনু-খিধে নেই আমার
তনু গিয়ে বারান্দায় দাঁড়ালো,,
শিশির তাকিয়ে তনুকে দেখলো,কাঁদতেছে মনে হয়,বারবার চোখ মুছতেছে,,আজ এটা করাও আমার ঠিক হয়নি,আমি তো তনুকে ভালোবাসি না,তাহলে ওকে কেন আজ,,,,, শুধু শুধু ও এখন কষ্ট পাচ্ছে
রাত হতেই তনু এসে খাটে বসলো,,

তনু-বাসায় যাব
শিশির -আরও দুদিন থাকো
তনু-না
শিশির আর কিছু বললো না,,সব গুছিয়ে নিলো,,
সকাল হতেই দুজনে বেরিয়ে পড়লো,,
তনু একটা কথাও বলছে না,,পুরো জার্নিতে দুজনে একটা কথাও বলেনি
বাসায় এসে দেখলো নাতাশা দাঁড়িয়ে আছে দরজার বাইরে
শিশিরকে দেখে জোরে দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরলো
তনু চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে দেখলো শিশির কি করতেছে
শিশির -এসব কি ছাড়ো আমাকে
শিশির ছাড়ানোর চেষ্টা করতেছে কিন্তু নাতাশা আরও শক্ত করে ধরতেছে
তনু শিশিরের দিকে তাকিয়ে ভিতরে চলে গেলো
শিশির-তনু!
শিশির নাতাশাকে এক ঝটকায় ছেড়ে দিলো
শিশির-don’t touch me!
তনু রুমে এসে শাড়ী হাতে নিতেই দেখলো শিশির দাঁড়িয়ে আছে
তনু কিছু না বলেই fresh হতে চলে গেলো,
নাতাশা শিশিরের পিছন পিছন এসে আবার জড়িয়ে ধরলো শিশিরকে
শিশির-ছাড়ো আমাকে,অনেক হয়সে তোমার নাটক
নাতাশা-বিশ্বাস করো,আমি তোমাকে ভালোবাসি অনেক
নাতাশা কান্নাকাটি শুরু করে দিলো
আর যাই হোক শিশির তো নাতাশাকে ভালোবাসে,শিশির নাতাশার চোখে পানি দেখে থেমে গেলো,
তনু বাথরুম থেকে বেরিয়ে দেখলো ওরা একজন আরেকজনের দিকে তাকিয়ে আছে,নাতাশার হাত শিশিরের শার্টের কলার ধরে আছে
তনু ২মিনিট তাকিয়ে থাকলো
তনু-শুনুন
শিশির তনুর দিকে তাকিয়ে নাতাশার হাত ছাড়িয়ে নিলো
শিশির-বলো
তনু-আমাকে ৫০০টাকা দিন
শিশির-কেন?কিছু লাগবে?
তনু-হুম,দিন
শিশির পকেট থেকে ১হাজার টাকার নোট নিয়ে তনুকে দিলো,তনু চলে গেলো
শিশির যেতে গেলো নাতাশা হাত ধরে ফেললো,শিশিরের গলা জড়িয়ে ধরলো
শিশির-শুনো আমার বিয়ে হয়ে গেসে,এসব অফ করো,,আর আমি আমাদের রিলেশন টা সেদিনই শেষ করে দিয়েছি,
নাতাশা-শেষ বললেই শেষ??আমাদের মধ্যে যে কত কিছু হলো??
তনু সোফার রুমে থেকে সব কথা শুনে আর চোখের পানি আটকে রাখতে পারলো না,ভাবসিলো যাবে না,কিন্তু এ কথা শুনে আর থাকা তনুর পক্ষে সম্ভব নাহ,
তনু হাতে টাকা নিয়ে চলে গেলো,সাথে করে আর কিছুই নিলো না
শিশির-কিছুই হয়নি আমাদের মধ্যে,আন্দাজে কথা বলবা না
নাতাশা নিজের ওড়না খুলে নিচে ফেলে দিয়ে শিশির কলার টেনে বিছানায় নিয়ে যেতে নিতেই শিশির একটা চড় মেরে দিলো নাতাশাকে
শিশির-গেট আউট ফ্রম হিয়ার,নইতো দারোয়ান ডাকবো
নাতাশা চোখ বড়বড় করে তাকিয়ে চলে গেলো
শিশির বাইরে এসে তনুকে ডাকলো,তনু নেই,হয়ত টাকা নিয়ে দোকানে গেসে,কি লাগতো আমাকে বললেই হতো
শিশির পুরো বিকেল বসে রইলো,
মাগরিবের আযান দিসে,
শিশির-অনেকক্ষন হয়সে তনু আসতেছে না কেন,শিশির তনুকে কল দিলো কিন্তু ফোন সোফার উপর বাজতেছে,ফোন ও নেই নি,শিশির বাইরে এসে দারোয়ান কে জিজ্ঞেস করলো তনু কোনদিকে গেসে
দারোয়ান -আপা মনি তো কাঁদতে কাঁদতে ঐদিকে চলে গেসে
শিশির-কাঁদতে কাঁদতে?oh shit!
শিশির মাকে কল দিলো,মা তনু কি ওখানে গেসে??
মা -না রে,কেন??ওরে তুই একা ছাড়ছস??
শিশির-আসলে রাগ করে বেরিয়ে গেসে
শিশির কি করবে এখন,যদি ও ঢাকায় থেকে থাকে আমি ওদের বাসায় গেলে তো আবার উল্টা হয়ে যাবে
শিশির এক ঘন্টা ওয়েট করে যখন দেখলো তনু আসতেছে না তনুদের বাসার দিকে রওনা দিলো
সোজা তনুদের বাসায় গিয়ো পৌঁছালো রাত ১টায়,
অনেক ক্লান্ত হয়ে গেসে শিশির,,
তনুদের বাসার বুয়া দরজা খুলেছে,সবাই নাকি ঘুমাচ্ছে,
শিশির তনুর রুমের দিকে গেলো,তনু কাঁথা মুড়ি দিয়ে এক কোণে শুয়ে আছে
দরজা খোলা শব্দ পেয়ে তনু পিছন ঘুরে তাকালো,রুমের লাইট অফ ছিলো
তনু-বুয়া মানা করসি না আমাকে disturb করবা না
শিশির লাইট অন করতেই তনু অবাক হলো শিশিরকে দেখে
শিশির দেখলো তনুর চোখ মুখ ফুলে গেসে,মনে হয় খুব কেঁদেছে
তনু চোখ মুছে ফেললো,
তনু-আপনি এখানে?
শিশির-না বলে আসছো কেন,জানো না আমার চিন্তা হয়?
তনু-হয়?
শিশির -হ্যাঁ হয়
তনু-না হয় না,হলে নাতাশাকে পেয়ে আমাকে ভুলে যেতেন না
শিশির-কই ভুললাম,নাতাশাকে বের করে দিসি
তনু কিছু না বলেই শুয়ে পড়লো আবার
শিশির শার্ট খুলে রেখে গিয়ে পানি খেলো,,৫মিনিট পর তনু উঠে চলে গেলো
শিশির বাইরে এসে দেখলো বুয়া টেবিলে খাবার দিচ্ছে
শিশির-তনু কই?
বুয়া-আপা মনি সোফার রুমে
শিশির সোফার রুমে গিয়ে দেখলো তনু সোফায় ঘুমাচ্ছে,
শিশির আর জাগালো না,একটা চাদর এনে ওর গায়ে দিয়ে চলে গেলো
সকালে তনু উঠে দেখলো টেবিলে খাবার রাখা,তনু বুয়ার দিকে তাকাতেই বুয়া বললো শিশির কিছু খায়নি
তনু নিজের রুমে গেলো,শিশির ঘুমাচ্ছে,এমন মায়া চেহারাই তনু কিছুক্ষনের জন্য সমস্ত কষ্ট ভুলে গেলো,শিশিরের মাথাই হাত বুলিয়ে দিলো,নাতাশার কথা মাথায় আসতেই তনু উঠে চলে যেতে নিলো শিশির শাড়ীর আঁচল ধরে ফেললো
শিশির-আরেকটু হাত বুলিয়ে দাও,ভালো লাগতেছে
তনু আঁচল ছাড়িয়ে নিলো
তনু-নাতাশার কাছে যান
শিশির -??
শিশির উঠে Fresh হয়ে নিলো,,
তনুর মা শিশিরকে ডাকলো খাওয়ার জন্য,,
শিশির বললো ওর শরীর ভালো না পরে খাবে,,
তনু ছাদে তখন
শিশির বাসা থেকে বেরিয়ে চলে গেলো,তনু ছাদে দাঁড়িয়ে তাকিয়ে আছে,,
সন্ধ্যার দিকে শিশির বাসায় আসলো,মুখ শুকিয়ে আছে,,কাল যে বিকালে এক কাপ কফি খেয়ে এসেছিলো গোটা একদিনের বেশি হয়ে গেলো শিশির মুখে কিছু দেয় নি
রুমে এসে হঠাৎ ওর মাথা ঘুরে উঠতেই পড়ে যেতে নিলো,তনু দেখতে পেয়ে ধরতে গেলো শিশিরকে,,একটা বডি বিল্ডারকে তো এভাবে ধরা সম্ভব না,তনু ভার নিতে না পেরে দেওয়ালের সাথে লেগে গেলো,
শিশির চোখ খুলে তাকালো তনুর দিকে,,
তনু-এখনও কিছু খান নি?
শিশির-তুমি খাইয়ে না দিলো খাবো না
তনু-আমার থেকে এসব আশা করবেন না আর
আমি জোর করে আপনার লাইফে interfere করসি,,যেখানে নাতাশাকে আপনি পাগলের মতন ভালোবাসেন,,কালই তা বুঝেছি আর তাই চলে এসেছি,তাও আপনি কেন আমার পিছু চলে এলেন,আমার তো কোনো অভিযোগ নেই
কথা গুলো বলতে গিয়ে তনু কেঁদে দিলো
শিশির দেওয়ালে হাত রাখলো
শিশির-তোমরা মেয়েরা কাঁদা ছাড়া আর কিছু পারো না?
তনু সরতে গেলো শিশির আরেক হাত দেওয়ালে রেখে আটকালো
শিশির-কি ভাবসো?একদিন না খেয়ে সব শক্তি গেসে আমার??আরেহ আমি তো ৩/৪দিন কিছু না খেয়েও থাকতে পারি
তনু-হাত সরান
শিশির এগিয়ে গেলো,তনুর খুব কাছে
শিশির-কি করবা?
তনু-আম্মুর কাছে যাব
শিশির আরেকটু এগিয়ে গেলে,এবার নাকে নাক লাগলো
শিশির-তারপর কি করবা?
তনু মুখ সরিয়ে নিয়ে বললো সরুন
শিশির দেওয়াল থেকে হাত নামিয়ে তনুর ডান হাত টেনে কোমড়ের পিছনে নিয়ে চেপে ধরলো
আরেকহাত ধরে রেখেছে দেওয়ালের সাথে চাপ দিয়ে
শিশির-না ছাড়লে??
তনু-নাতাশা কিছু করতে দেয়নি কাল??
তনুর মুখে এমন কথা শুনে শিশিরের মেজাজ টা প্রচন্ডভাবে গরম হয়ে গেলো,এক ধাক্কা দিয়ে তনুকে নিচে ফেলে দিলো
শিশির-আমারই দোষ,যে যেটা পাওয়ার যোগ্যতা রাখে না তাকে কেন আমি দিতে যাই
চলবে♥
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন



ক্রাশ যখন বর
#Season_3
Writer-Afnan Lara
#Part_22
৫মিনিট যেতেই তনুর হাত যখন শিশিরের শার্টের বোতামের দিকে গেলো শিশির উঠে গেলো
তনু জিজ্ঞাসাসূচক ভাবে তাকিয়ে আছে
শিশির পানি নিয়ে খেলো তারপর গিয়ে সোফায় বসলো
তনু কিছুক্ষন চুপ হয়ে নিজেই কথা বললো
তনু-কি হয়সে?
শিশির-কিছু না,,খাবা এখন??আনতাম?
তনু-খিধে নেই আমার
তনু গিয়ে বারান্দায় দাঁড়ালো,,
শিশির তাকিয়ে তনুকে দেখলো,কাঁদতেছে মনে হয়,বারবার চোখ মুছতেছে,,আজ এটা করাও আমার ঠিক হয়নি,আমি তো তনুকে ভালোবাসি না,তাহলে ওকে কেন আজ,,,,, শুধু শুধু ও এখন কষ্ট পাচ্ছে
রাত হতেই তনু এসে খাটে বসলো,,
তনু-বাসায় যাব
শিশির -আরও দুদিন থাকো
তনু-না
শিশির আর কিছু বললো না,,সব গুছিয়ে নিলো,,
সকাল হতেই দুজনে বেরিয়ে পড়লো,,
তনু একটা কথাও বলছে না,,পুরো জার্নিতে দুজনে একটা কথাও বলেনি
বাসায় এসে দেখলো নাতাশা দাঁড়িয়ে আছে দরজার বাইরে
শিশিরকে দেখে জোরে দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরলো
তনু চুপ হয়ে দাঁড়িয়ে দেখলো শিশির কি করতেছে
শিশির -এসব কি ছাড়ো আমাকে
শিশির ছাড়ানোর চেষ্টা করতেছে কিন্তু নাতাশা আরও শক্ত করে ধরতেছে
তনু শিশিরের দিকে তাকিয়ে ভিতরে চলে গেলো
শিশির-তনু!
শিশির নাতাশাকে এক ঝটকায় ছেড়ে দিলো
শিশির-don’t touch me!
তনু রুমে এসে শাড়ী হাতে নিতেই দেখলো শিশির দাঁড়িয়ে আছে
তনু কিছু না বলেই fresh হতে চলে গেলো,
নাতাশা শিশিরের পিছন পিছন এসে আবার জড়িয়ে ধরলো শিশিরকে
শিশির-ছাড়ো আমাকে,অনেক হয়সে তোমার নাটক
নাতাশা-বিশ্বাস করো,আমি তোমাকে ভালোবাসি অনেক
নাতাশা কান্নাকাটি শুরু করে দিলো
আর যাই হোক শিশির তো নাতাশাকে ভালোবাসে,শিশির নাতাশার চোখে পানি দেখে থেমে গেলো,
তনু বাথরুম থেকে বেরিয়ে দেখলো ওরা একজন আরেকজনের দিকে তাকিয়ে আছে,নাতাশার হাত শিশিরের শার্টের কলার ধরে আছে
তনু ২মিনিট তাকিয়ে থাকলো
তনু-শুনুন
শিশির তনুর দিকে তাকিয়ে নাতাশার হাত ছাড়িয়ে নিলো
শিশির-বলো
তনু-আমাকে ৫০০টাকা দিন
শিশির-কেন?কিছু লাগবে?
তনু-হুম,দিন
শিশির পকেট থেকে ১হাজার টাকার নোট নিয়ে তনুকে দিলো,তনু চলে গেলো
শিশির যেতে গেলো নাতাশা হাত ধরে ফেললো,শিশিরের গলা জড়িয়ে ধরলো
শিশির-শুনো আমার বিয়ে হয়ে গেসে,এসব অফ করো,,আর আমি আমাদের রিলেশন টা সেদিনই শেষ করে দিয়েছি,
নাতাশা-শেষ বললেই শেষ??আমাদের মধ্যে যে কত কিছু হলো??
তনু সোফার রুমে থেকে সব কথা শুনে আর চোখের পানি আটকে রাখতে পারলো না,ভাবসিলো যাবে না,কিন্তু এ কথা শুনে আর থাকা তনুর পক্ষে সম্ভব নাহ,
তনু হাতে টাকা নিয়ে চলে গেলো,সাথে করে আর কিছুই নিলো না
শিশির-কিছুই হয়নি আমাদের মধ্যে,আন্দাজে কথা বলবা না
নাতাশা নিজের ওড়না খুলে নিচে ফেলে দিয়ে শিশির কলার টেনে বিছানায় নিয়ে যেতে নিতেই শিশির একটা চড় মেরে দিলো নাতাশাকে
শিশির-গেট আউট ফ্রম হিয়ার,নইতো দারোয়ান ডাকবো
নাতাশা চোখ বড়বড় করে তাকিয়ে চলে গেলো
শিশির বাইরে এসে তনুকে ডাকলো,তনু নেই,হয়ত টাকা নিয়ে দোকানে গেসে,কি লাগতো আমাকে বললেই হতো
শিশির পুরো বিকেল বসে রইলো,
মাগরিবের আযান দিসে,
শিশির-অনেকক্ষন হয়সে তনু আসতেছে না কেন,শিশির তনুকে কল দিলো কিন্তু ফোন সোফার উপর বাজতেছে,ফোন ও নেই নি,শিশির বাইরে এসে দারোয়ান কে জিজ্ঞেস করলো তনু কোনদিকে গেসে
দারোয়ান -আপা মনি তো কাঁদতে কাঁদতে ঐদিকে চলে গেসে
শিশির-কাঁদতে কাঁদতে?oh shit!
শিশির মাকে কল দিলো,মা তনু কি ওখানে গেসে??
মা -না রে,কেন??ওরে তুই একা ছাড়ছস??
শিশির-আসলে রাগ করে বেরিয়ে গেসে
শিশির কি করবে এখন,যদি ও ঢাকায় থেকে থাকে আমি ওদের বাসায় গেলে তো আবার উল্টা হয়ে যাবে
শিশির এক ঘন্টা ওয়েট করে যখন দেখলো তনু আসতেছে না তনুদের বাসার দিকে রওনা দিলো
সোজা তনুদের বাসায় গিয়ো পৌঁছালো রাত ১টায়,
অনেক ক্লান্ত হয়ে গেসে শিশির,,
তনুদের বাসার বুয়া দরজা খুলেছে,সবাই নাকি ঘুমাচ্ছে,
শিশির তনুর রুমের দিকে গেলো,তনু কাঁথা মুড়ি দিয়ে এক কোণে শুয়ে আছে
দরজা খোলা শব্দ পেয়ে তনু পিছন ঘুরে তাকালো,রুমের লাইট অফ ছিলো
তনু-বুয়া মানা করসি না আমাকে disturb করবা না
শিশির লাইট অন করতেই তনু অবাক হলো শিশিরকে দেখে
শিশির দেখলো তনুর চোখ মুখ ফুলে গেসে,মনে হয় খুব কেঁদেছে
তনু চোখ মুছে ফেললো,
তনু-আপনি এখানে?
শিশির-না বলে আসছো কেন,জানো না আমার চিন্তা হয়?
তনু-হয়?
শিশির -হ্যাঁ হয়
তনু-না হয় না,হলে নাতাশাকে পেয়ে আমাকে ভুলে যেতেন না
শিশির-কই ভুললাম,নাতাশাকে বের করে দিসি
তনু কিছু না বলেই শুয়ে পড়লো আবার
শিশির শার্ট খুলে রেখে গিয়ে পানি খেলো,,৫মিনিট পর তনু উঠে চলে গেলো
শিশির বাইরে এসে দেখলো বুয়া টেবিলে খাবার দিচ্ছে
শিশির-তনু কই?
বুয়া-আপা মনি সোফার রুমে
শিশির সোফার রুমে গিয়ে দেখলো তনু সোফায় ঘুমাচ্ছে,
শিশির আর জাগালো না,একটা চাদর এনে ওর গায়ে দিয়ে চলে গেলো
সকালে তনু উঠে দেখলো টেবিলে খাবার রাখা,তনু বুয়ার দিকে তাকাতেই বুয়া বললো শিশির কিছু খায়নি
তনু নিজের রুমে গেলো,শিশির ঘুমাচ্ছে,এমন মায়া চেহারাই তনু কিছুক্ষনের জন্য সমস্ত কষ্ট ভুলে গেলো,শিশিরের মাথাই হাত বুলিয়ে দিলো,নাতাশার কথা মাথায় আসতেই তনু উঠে চলে যেতে নিলো শিশির শাড়ীর আঁচল ধরে ফেললো
শিশির-আরেকটু হাত বুলিয়ে দাও,ভালো লাগতেছে
তনু আঁচল ছাড়িয়ে নিলো
তনু-নাতাশার কাছে যান
শিশির -??
শিশির উঠে Fresh হয়ে নিলো,,
তনুর মা শিশিরকে ডাকলো খাওয়ার জন্য,,
শিশির বললো ওর শরীর ভালো না পরে খাবে,,
তনু ছাদে তখন
শিশির বাসা থেকে বেরিয়ে চলে গেলো,তনু ছাদে দাঁড়িয়ে তাকিয়ে আছে,,
সন্ধ্যার দিকে শিশির বাসায় আসলো,মুখ শুকিয়ে আছে,,কাল যে বিকালে এক কাপ কফি খেয়ে এসেছিলো গোটা একদিনের বেশি হয়ে গেলো শিশির মুখে কিছু দেয় নি
রুমে এসে হঠাৎ ওর মাথা ঘুরে উঠতেই পড়ে যেতে নিলো,তনু দেখতে পেয়ে ধরতে গেলো শিশিরকে,,একটা বডি বিল্ডারকে তো এভাবে ধরা সম্ভব না,তনু ভার নিতে না পেরে দেওয়ালের সাথে লেগে গেলো,
শিশির চোখ খুলে তাকালো তনুর দিকে,,
তনু-এখনও কিছু খান নি?
শিশির-তুমি খাইয়ে না দিলো খাবো না
তনু-আমার থেকে এসব আশা করবেন না আর
আমি জোর করে আপনার লাইফে interfere করসি,,যেখানে নাতাশাকে আপনি পাগলের মতন ভালোবাসেন,,কালই তা বুঝেছি আর তাই চলে এসেছি,তাও আপনি কেন আমার পিছু চলে এলেন,আমার তো কোনো অভিযোগ নেই
কথা গুলো বলতে গিয়ে তনু কেঁদে দিলো
শিশির দেওয়ালে হাত রাখলো
শিশির-তোমরা মেয়েরা কাঁদা ছাড়া আর কিছু পারো না?
তনু সরতে গেলো শিশির আরেক হাত দেওয়ালে রেখে আটকালো
শিশির-কি ভাবসো?একদিন না খেয়ে সব শক্তি গেসে আমার??আরেহ আমি তো ৩/৪দিন কিছু না খেয়েও থাকতে পারি
তনু-হাত সরান
শিশির এগিয়ে গেলো,তনুর খুব কাছে
শিশির-কি করবা?
তনু-আম্মুর কাছে যাব
শিশির আরেকটু এগিয়ে গেলে,এবার নাকে নাক লাগলো
শিশির-তারপর কি করবা?
তনু মুখ সরিয়ে নিয়ে বললো সরুন
শিশির দেওয়াল থেকে হাত নামিয়ে তনুর ডান হাত টেনে কোমড়ের পিছনে নিয়ে চেপে ধরলো
আরেকহাত ধরে রেখেছে দেওয়ালের সাথে চাপ দিয়ে
শিশির-না ছাড়লে??
তনু-নাতাশা কিছু করতে দেয়নি কাল??
তনুর মুখে এমন কথা শুনে শিশিরের মেজাজ টা প্রচন্ডভাবে গরম হয়ে গেলো,এক ধাক্কা দিয়ে তনুকে নিচে ফেলে দিলো
শিশির-আমারই দোষ,যে যেটা পাওয়ার যোগ্যতা রাখে না তাকে কেন আমি দিতে যাই
চলবে♥
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন



ক্রাশ যখন বর
#Season_3
Writer-Afnan Lara
#Part_24
তনু-আমি তো সোফায় ছিলাম
শিশির-আমি নিয়ে আনছি,রাতে খুব শীত পড়সে তো
তনু-আর কখনও এমন করবেন না
তনু উঠে চলে গেলো
গিয়ে নাস্তা বানিয়ে টেবিলে দিতে থাকলো,
মা-তনু
তনু-হ্যাঁ মা বলো
মা-শিশিরকে ডাক তো,এখনও উঠে নাই?
তনু-বাথরুমে মনে হয়,কি হয়সে?
মা-সুসংবাদ কবে পাবো
তনু-কিসের??
মা-বোকা মেয়ে,,আমি দাদি হবো কবে??
কথাটা শুনে তনুর মন খারাপ হয়ে গেলো,কারন শিশির তো কখনও এটা করবেনা,বরং সে চায় নাতাশাকে ফিরিয়ে আনতে
মা-কিরে??
শিশির-কি হয়সে মা
মা-তোর বউরে বলসিলাম দাদি হবো কবে
শিশির-হয়ে যাবা,প্রচুর টাইম আছে
শিশির এমনভাবে কথা বললো যেন সে পুরো নরমাল
ওদিকে তনুর মন টা পুরো খারাপ হয়ে গেলো
খাবার খেয়ে গিয়ে বারান্দাতে বসে থাকলো,,
শিশির ল্যাপটপ নিয়ে বসলো খাটে
শিশির-এক কাপ কফি কি পাবো না?
তনু কথাটা শুনে গিয়ে কফি বানিয়ে এনে দিলো,
শিশির-কিসের এত চিন্তা করো তুমি
তনু-ভাবতেছি কি বলে আপনাকে ডিভোর্স দিব,মাকে কি বলবো
শিশির-তোমার মাথা কি খারাপ হয়ে গেসে??
তনু কিছু না বলে চলে যাওয়া ধরলো শিশির হাত ধরে টান দিয়ে বিছানায় বসালো
শিশির-দেখো তুমি আমার লিগালি ওয়াইফ,আর ডিভোর্স আসে কোথা থেকে,তুমি কি ভাবতেসো আমি নাতাশাকে এখনও ভালোবাসি??আরে আমি ওরে ভালোবাসি না
তনু হাত ছাড়িয়ে চলে গেলো
শিশির ঘুমিয়ে পড়লো,দুপুর একটার দিকে জেগে গেলো
রান্নাঘরে গিয়ে দেখলো তনু রান্না করতেছে,,শিশির হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে থাকলো
মীম-নাতাশা ??
শিশির-কই??
মীম-ভয় পেলি??নাকি খুশি হলি
শিশির-ভয়,,
তনু আরেকদিকে ফিরে কাজ করতে থাকলো
শিশির-মীম যা এখান থেকে
মীম-ভাবি রাগ করলা?
তনু-নাহ,রাগ করবো কেন
শিশির-তুই যা এখান থেকে
তনু সালাদ তৈরি করতেছিলো,,সালাদ মেখে এখন হাত ধুতে যাবে শিশির হাত ধরে ফেললো
তনু-??
শিশির তনুর হাত থেকে চেটে সালাদ খেতে থাকলো,তনু চোখ বন্ধ করে আছে,,হঠাৎ তনুর হাত গিয়ে গরম পাতিলের সাথে লাগতেই তনু কেঁপে উঠলো,কিন্তু আওয়াজ করলো না
শিশির-কি হয়সে?
তনু-কিছু না,যান আমার কাজ আছে
তনু কাজে মন দিলো,
শিশির গিয়ে টিভি দেখতে বসলো,,রান্না শেষে তনু খাবার টেবিলে দিয়ে গোসল করতে চলে গেলো,,গোসল শেষে সবাইকে খাবার বেড়ে দিতে থাকলো
মা-কিরে তনু তোর হাত পুড়সে কেমনে
তনু আঁচল টেনে লুকিয়ে ফেললো
তনু-কই??এমনি মসলার দাগ এটা
মীম হাত টেনে বের করে দেখে বললো সত্যি পুড়ে গেসে
তনু-বাদ দাও এটা কিছু না
শিশির-আমার খাওয়া শেষ
মা-একি মাত্রই তো বসলি,
শিশির-খিধে চলে গেসে
শিশির উঠে চলে গেলো,
তনু সবাইকে খাবার দিলো কিন্তু নিজে খেলো না,একটা প্লেট এ খাবার নিয়ে শিশিরের কাছে গেলো
শিশির-তখন তোমার হাত পুড়ে গেসে আমাকে বলোনি কেন?
তনু-সামান্য কিছুতে আমার লাগে না,নিন খেয়ে নিন
শিশির-কি চাও তুমি??
তনু খাবার রেখে চলে গেলে,
এত avoid আর সহ্য হচ্ছে না শিশিরের
শিশির মলম নিয়ে বসে আছে তনু আসলে লাগিয়ে দিবে,কিন্তু তনু আসতেছেই না,
শিশির গিয়ে দেখলো তনু মীমের সাথে ঘুমিয়ে আছে,,
বিকালে♥♥
তনু উঠে দেখলো হাতে মলম লাগানো,,শিশির এসেছিলো মনে হয়,নাহ আমি তো শিশিরের রুমে,মীমের রুমে ঘুমিয়েছিলাম আমি
মাথা ঘুরিয়ে উঠতেই শিশিরের মাথার সাথে বাড়ি খেলো তনু
মাথা মুছতে মুছতে তনু সরে গেলো
শিশির -বসো কফি আনতেছি
তনু-লাগবে না
শিশির চোখ রাঙিয়ে তাকালো
তারপর গিয়ে কফি নিয়ে আসলো,
তনু কফি হাতে নিয়ে বললো সে বাসায় যেতে চায়,,আর একা থাকতে চায়
শিশির-নাহ,দিব না
আমি পরশু ঢাকায় চলে যাব,তুমি আমার সাথে যাবা
তনু-গিয়ে আপনার আর নাতাশার ভালোবাসা দেখবো??
শিশির-আজব তো,আর কতবার বলবো যে নাতাশাকে আমি ভালোবাসি না
তনু-আমাকেও তো ভালোবাসেন না,তাহলে আমি থেকে কি করবো??
শিশির-বিয়ে করার আগে ভাবা উচিত ছিলো তোমার,মা তোমাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখে আর আমি চাই না তোমার জন্য আমার মা কষ্ট পাক
তনু-স্বপ্ন?বাচ্চার স্বপ্ন দেখে,দিবেন সেটা??পারবেন না,
তনু উঠে চলে যেতে নিলো শিশির টান দিয়ে তনুকে বুকে নিয়ে এলো
তনু-আমি থাকবো না এখানে
শিশির-থাকবা
তনু-ছাড়ুন,বাধ্য না আমি
শিশির তনুর মুখ ধরে ঠোঁটে চুমু দিতে থাকলো?,তনু শিশিরের হাতে খাঁমছি দিয়ে ধরলো?
শিশির তনুকে দেওয়ালের সাথে ঠেকে ধরলো?
তনুর মনে পড়লো সেদিনকার কথা,নাতাশার দিকে শিশিরের চাহনি,কষ্ট ক্ষোভে তনু শিশিরকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো
শিশির গিয়ে আবার ধরলো তনুকে
তনু যতই শিশিরকে হাত দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করতেছে ততই শিশির আরও জোরে চেপে ধরছে,একটা সময় শিশির ছেড়ে দিলো তনুকে,তনু মুখ মুছতে মুছতে বারান্দায় চলে গেলো
শিশির বেরিয়ে গেলো রুম থেকে
রাতে বাসায় আসলো,,এসে দেখে তনু রুমে নেই
শিশিরের ভয় লাগলো,চলে গেলো না তো
বের হয়ে খুঁজে দেখলো মায়ের রুমে মায়ের সাথে কথা বলতেছে
শিশির শান্তির নিশ্বাস নিয়ে চলে এলো,
তনু রুমে এসে দেখলো শিশির এসে গেসে,
তনু-আমি কাল সকালে চলে যাবসবার আগে আমার গল্প পড়তে চাইলে “নীল ক্যাফের ভালোবাসা” পেজে পাবেন।
শিশির-তুমি চাও আমি তোমাকে আবার কিস করি?
তনু-না,একদম না
শিশির-তাহলে বললা কেন?,তখন বলায় কি করসি মনে নেই??নাকি আবার মনে করাই দিতাম,, গরুর ভূড়ি খেয়ে আসছি একটা frd এর বাসা থেকে,কিস করবো নাকি?
তনু-ইয়াক ছিঃ ছিঃ
শিশির-?????????
তনু-?
তনু বিছানা ঠিক করে সোফায় চলে যেতে নিলো শিশির আঁচল ধরে ফেললো
শিশির-তুমি যদি সোফায় যাও আমি কিন্তু বাসা থেকে বেরিয়ে যাবো আর আসবো না
তনু-(মজা করতেছে)যান আমার কি
শিশির সত্যি সত্যি উঠে চলে গেলো
১০মিনিট হয়ে গেসে এখনও আসতেছে না,তনু ভয় পেয়ে গেলো,বের হয়ে দেখলো সদর দরজা খোলা,,
চিন্তায় ফোন নিয়ে কল দিতে যাবে মাবাবার কথা শুনলো
মা বলতেছে
মা-আমার সোনা ছেলে
তনু উঁকি মেরে দেখলো শিশির তার বাবা মার মাঝখানে লম্বা হয়ে শুয়ে আছে
তনু-শয়তান ছেলে,আমাকে পুরা ভয় পাইয়ে দিসিলো
তনু রুমে চলে আসলো,
শিশির মুচকি মুচকি হাসতেছে,কারন সে আয়নায় তনুকে দেখেছে,,
তনু খোঁপা বাঁধতেছে আর ভিজা গোলাপ গাছের একটি ফোটা ফুলে গাল লাগিয়ে ঘষতেছে,,কিছুক্ষন আগের বৃষ্টিতে ভিজে গেসিলো গাছটা
তনু চোখ বন্ধ করে আছে হঠাৎ খোঁপাটা আবার খুলে গেলো,তনু মাথায় হাত দিয়ে দেখলো কাঠিটা নেই,পিছন ফিরে তাকাতেই শিশিরকে আচমকা দেখে পড়ে যেতে নিলো,শিশির ধরে ফেললো,
তনু-আপনি
শিশির-কেন আমার রুমে আমি আসতে পারি না?
তনু-পারেন,
তনু সরে গেলো,
শিশির-এটা নিবা না?
তনু তাকিয়ে দেখলো শিশিরের হাতে কাঠি,তনু হাত বাড়িয়ে নিতে গেলো শিশির হাত সরিয়ে ফেললো
শিশির-চুল খোলাই থাকুক
চলবে♥

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে