Crush যখন বর Season_3 Part_19/20/21

0
2382

Crush যখন বর Season_3 Part_19
Writer-Afnan Lara

দুপুর হয়ে গেসে তনু খিধায় মরে যাচ্ছে,,এদিকে শিশির মরার মত ঘুমাচ্ছে,,
তনু আস্তে করে শিশিরের পাশে বসলো,,ওর গাল ধরে টেনে দিলো,,শিশির চোখ মেলে বড়বড় চোখ করে তাকাতেই তনু ভয় পেয়ে নিচে পড়ে গেলো
তনু-উফ
শিশির উঠে বসলো
তনু-?আমার খিধা লাগসে
শিশির ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো ২টা বাজে,
শিশির তাড়াতাড়ি করে fresh হতে চলে গেলো
বের হয়ে দেখলো তনু রেডি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে,,একটা লং থ্রি পিস পরেছে,কিন্তু ওড়না কই??
তনু-আমি দেখসি সবাই ওড়না ছাড়া আসছে
শিশির রাগ করে গিয়ে ব্যাগ থেকে ওড়না এনে তনুর গায়ে ছুড়ে মারলো
শিশির-সবার মত হতে যাইও না,তুমি শিশিরের ওয়াইফ বুঝছো,বাকিদের না
তনু-মানে?কি বললো এটা
শিশির ফোন নিয়ে বেরিয়ে গেলো,তনু ও পিছন পিছন গেলো,,শিশির মাকে কল দিয়ে জানিয়ে দিলো যে তারা পৌঁছে গেসে,,
খাওয়া শেষ শিশির হোটেলের দিকে যাওয়া ধরলো
তনু-ঘুরতে যাব না?
শিশির-কাল,আজ আমি ঘুমাবো
তনু-আসেন না প্লিজ
শিশির-নাহ
একটা ছেলে-তুমি চাইলে আমি তোমাকে ঘুরিয়ে আনতে পারি??
তনু-?
শিশির-?No thanks
শিশির তনুর হাত ধরে রুমের দিকে নিয়ে গেলো
তনু-এ্যা???আমি সমুদ্র দেখতে যাব?????
শিশির-কাল
তনু-আমি একাই যেতে পারবো,হাত ছাড়েন
শিশির-না
তনু হাতে কামড় বসিয়ে এক দৌড় দিলো
শিশির-আরে দাঁড়াও,উফ!
তনু বাইরে বেরিয়ে গেলো দেখার জন্য,শিশির মুখ গোমড়া করে চেয়ার নিয়ে বসে তনুকে পাহারা দিচ্ছে আর তনু বিচে চরকার মত ঘুরতেছে,
শিশির-একটা কফি প্লিস?
সাইডে তাকিয়ে দেখলো তনু এসে হাজির
শিশির-মাত্রই তো ওখানে ছিলা
তনু-আমাকে রেখে কফি খাবেন??
শিশির -আচ্ছা দুটো দিয়েন
তনু শিশিরের হাত জড়িয়ে ধরলো শিশির ছাড়িয়ে নিলো
পাশে একটা বয়স্ক মহিলা বসে ছিলো,,তেমন বয়স্ক নয়,,
মহিলাটি শিশিরের দিকে তাকিয়ে বললো,কি??জোর করে বিয়ে দিসে নাকি তোমার মা বাবা,
তনু ব্রু কুঁচকে তাকালো
শিশির-None of your business
মহিলাটি হেসে দিলো,,তারপর বললো এটাতে স্বাদ না মিটলে বলিও,,
শিশির তনুর হাত ধরে উঠে চলে যেতে নিলো তনুর হাত ছাড়িয়ে মহিলাটির দিকে তেড়ে গেলো
শিশির-তনু ওয়েট
তনু-কি বললি তুই??আরেকবার বল
মহিলাটি উঠে দাঁড়ালো
মহিলা -বললাম যে তোমার দ্বারা কাজ না হলে আমার কাছে আসতে
তনু-ওহ তাই,তোমাকে দিয়ে কাজ হবে?
মহিলা-of course
তনু-তাহলে test করে দেখি?
এটা বলেই তনু নিজের সব শক্তি দিয়ে মহিলাটিকে ধাক্কা দিয়ে সাইডের পুলে ফেলে দিলো
তনু-☺Feeling কেমন??Post করে ট্যাগ দিও??
শিশির-????
তনু -কি বলো আমাতে কাজ হবে না??
শিশির-চুপ,চলো তুমি,আদৌ জানো এই বাক্যের মানে কি
তনু-জানি তাই তো গায়ে লাগসে,
মহিলাটি চিল্লাচ্ছে পানিতে থেকে
তনু শিশিরের হাত ধরে টানতে টানতে বিচে নিয়ে গেলো,
দুজনেই বালিতে বসে আছে,,মাঝখানে এক হাত দূরত্ব
তনু সেই অনেকক্ষন ধরে পানির দিকে তাকিয়ে আছে,কথা বলতেছে না,মহিলাটির কথা ওর কানে বাজতেছে
শিশির-মানুষের কথায় কান দিও না
তনু উঠে দাঁড়ালো
তনু-মানুষ তো এমনি এমনি বলে না,যা দেখে তাই বলে
তনু চলে গেলো
শিশির তাকিয়ে আছে,,
তখনকার ছেলেটা এসে হাজির
ছেলেটা-চলো আমরা পানিতে পা ভিজাবো
শিশির ছেলেটিকে দেখে শার্টের হাতা উঠাতে উঠাতে এগিয়ে আসতে লাগলো
তনু-তোর আর কাম নাই??আমার পিছনে লাগছস কেন??বেশি কথা বললে তোরে নিয়ে আমি পানিতে ভিজামু
ছেলেটি-প্লিস ভিজাও
তনু-রাগ control হচ্ছে না আমার????
শিশির আসার আগেই তনু ছেলেটির হাত ধরে নিয়ে পানিতে ফেলে গলা টিপে ধরলো
শিশির-আরে তনু পাগল হইসো
ছেলেটি -বাঁচাও আমাকে কেউ,এই মেয়ে মেরে ফেলবে আমাকে
শিশির গিয়ে তনুর হাত ধরে ছাড়ানোর চেষ্টা করতেছে,কিন্তু তনু ছাড়তেছেই না,আশেপাশে মানুষ জড় হয়ে গেসে,
শিশির আর কোনো উপায় না পেয়ে তনুর কোমড় ধরে উঁচু করে নিয়ে গেলো
তনু-ছাড়ুন বলতেছি,আমি মেরে দিব এটারে
শিশির-চুপ থাকো,মানুষ কি বলবে,বাচ্চাদের মত কাজ করে সবসময়?
তনু-তোরে আমি দেখে নিব শয়তান
শিশির-হ্যাঁ দেখে নিয়েন
শিশির তনুকে নিয়ে চলে এলো হোটেলে
তনু বারান্দায় বসে নিচে দেখতেছে,কি একটা অনুষ্ঠান হচ্ছে,,
তনু-আমি যাব ওখানে
শিশির-আজ আর না
তনু-আসেন না প্লিস,,কি সুন্দরর করে সাজানো হয়সে,,আসেন না
শিশির না শুনার ভান করে টিভি দেখতেছে
তনু গিয়ে টিভির সামনে দাঁড়ালো
তনু-যাবেন না??
শিশির-নাহ
তনু-last বার ask করতেছি
শিশির-যাব না
তনু-আমি কিন্তু গায়ের সব খুলে ফেলে দিব,
শিশির-হুহ?ভয় দেখাচ্ছো.?
তনু-নাহ,Threat দিচ্ছি
শিশির মুখ ভেংচি দিয়ে টিভি দেখতে লাগলো
তনু নিজের ওড়না নিয়ে শিশিরের মুখ মারলো
শিশির-what the!!?
তনু নিজের জামার চেইনে হাত দিয়ে টানতেছে আর হাসতেছে
শিশির-ওকে ওকে যাব,খুশি??
তনু-অবশ্যই খুশি
শিশির তনুকে নিয়ে নিচে গেলো,সব কাপলরা মজা করতেছে,,
তনু দেখলো সবাই অনেক খুশি,শুধু শিশির আর তনু বাদে,,তাদের কে এলিয়েন মনে হচ্ছে,কারন সব কাপলই dance করতেছে,,একদম কাছাকাছি দাঁড়িয়ে
শিশির-দেখো এবার,আমি এসব পারবো না
শিশির গিয়ে সিটে বসলো,,
তনু গিয়ে পাশে বসলো
তনু একটা মেয়েকে দেখতেছে যে তার স্বামীকে নিয়ে নাচতেছে,,মেয়েটা দেখলো তনু আর শিশির আলাদা হয়ে বসে আছে,,মেয়েটা তনুর দিকে তাকিয়ে সো স্যাড বললো,এক প্রকারর ভেঁংচি দিয়ে
তনুর মাথায় আবার রাগ উঠলো,,শিশিরের দিকে তাকালো,যেন এখনই চিবিয়ে খেয়ে নিবে,
শিশির-আমি কি তোমাকে বলসিলান এখানে আসতে??চলো হোটেলে ফিরে যাই
তনু-যামু না আমি,আপনি আমার সাথে নাচবেন এখন,নাহলে কেঁদে দিব
শিশির-পারবো না
শিশির উঠে চলে গেলো,
এবার মেয়েটা হো হো করে হেসে দিলো তনুর দিকে তাকিয়ে
তনুর চোখে পানি এসে গেসে,
শিশির রুমে এসে পিছনে তাকিয়ে দেখলো তনু নেই,উফ আবার যেতে হবে,শিশির আবার সেই জায়গায় গেলো কিন্তু তনুকে পেলো না,
শিশির-এবার আবার কই খুঁজবো আমি
একটু এগোতেই দেখলো তনু মুখ গোমড়া করে বসে আছে
শিশির-আচ্ছা এত জ্বালাও কেন বলোতো
তনু-??????
শিশির তনুর হাত ধরলো
শিশির-অনেক হয়সে চলো,
তনু-নাহ
ঐ মেয়েটা এবার আবার ঢং করে হেসে দিলো,তনু সেটা দেখে কেঁদে দিলো
শিশির-হায়হায় কি হয়সে
তনু-মেয়েটা তখন থেকে পিরিত করতেছে আর আমাকে দেখাচ্ছে,হাসতেছে,আমার জামাই আমাকে আদর করে না তাই আরও বেশি করে হাসতেছে
শিশির এবার বুঝলো পুরো ব্যাপারটা,,
শিশির-চলো
এটা বলেই তনুকে কোলে তুলে নিলো,,
তনু -?ঢং
তনু খেয়াল করলো ঐ মেয়েটা মুক কালো করে তাকিয়ে আছে এমনকি ওখানের সব কাপলরাই তাকিয়ে আছে শিশির আর তনুর দিকে,সবাই হাততালি দিচ্ছে
তনু এবার হাসলো,আর ঐ মেয়েটার দিকে তাকিয়ে ভেঁংচি কেটে দিলো???
চলবে♥
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন



Crush যখন বর
#Season_3
Writer-Afnan Lara
#Part_20
শিশির রুমে এসে তনুকে নামিয়ে দিলো,,
তনু সেই সুযোগে শিশিরের গালে চুমু দিয়ে দিলো
শিশির-এটা কি করলে
তনু-খুশি হইসি তাই দিলাম
শিশির গাল মুছে ফেললো,তারপর গিয়ে জামা নিয়ে বাথরুমে চলে গেলো
শিশিরের ফোনে কল আসলো, তনু গিয়ে রিসিভ করলো
নাতাশা-শিশির আই লাভ ইউ
তনু-আই লাভ শিশির অলসো???
নাতাশা-শিশিরকে দাও
তনু-কেন রে??তোর কথা আমার শুনতে হবে কেন
নাতাশা-দাও বলসি
তনু-আমরা হানিমুনে আসছি,ডু নট disturb
নাতাশা-কই??
তনু-সিলেট??
নাতাশা-ওকে
তনু-এবার তুমি সিলেট যাইয়া বসে থাকো,আমরা এখানে শান্তি করি☺?
শিশির-আমার ফোন আসছিলো??
তনু-হ্যাঁ,জিপিআলারা ফোন দিসে,,
শিশির-ওহ,,
শিশির গিয়ে খাটে বসলো,তনু পাশে গিয়ে হাত জড়িয়ে ধরে বসলো
শিশির-হাত ছাড়ো,সারাদিন জোঁকের মত লেগে থাকে
তনু-আমি না আপনার ওয়াইফ???
শিশির-তা বলে মাথায় উঠে বসবা?
তনু-কই বসলাম,মিথ্যা কথা বলেন কেন??
শিশির-???
শিশির টিভি দেখতে দেখতে খেয়াল করলো তনু ওর পেট জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে গেসে,
শিশির কাঁথা টেনে দিয়ে নিজে সরতে যাবে তনু আরও চেপে ধরলো,,
শিশির রেগে গিয়ে এক ধমক দিলো,তনু উঠে গেলো
তনু-কি হয়সে এমন করেন কেন
শিশির-জোঁকের মত লেগে থাকতে মানা করসি না
তনু-তাই বলে কাঁচা ঘুম ভাঙিয়ে দিবেন?এখন তো নাতাশা হলে এমন করতে পারতেন না,ও যত বেয়াদবই হোক আপনি সবসময় ওকে কাছে টেনে নিতেন
তনু উঠে বারান্দায় চলে গেলো,ওখানে বসে পড়লো মুখ গোমড়া করে
শিশির আরেকদিকে ফিরে শুয়ে পড়লো
সকালে উঠে শিশির দেখলো পাশে তনু নেই,,বাথরুমের দরজা খোলা,তনু কই
বারান্দায় গিয়ে দেখলো নিচে ফ্লোরে বসে ঘুমিয়ে আছে,,
শিশির অনেকবার ডাকলো তনু উঠে না দেখে কাঁধে হাত দিয়ে ধরতেই দেখলো গা জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে,,
শিশির-তনু,এই তনু
তনু চোখ খুলে তাকালো
শিশির-দেখি উঠে এখান থেকে,উঠো
তনু শিশিরের হাত ছাড়িয়ে উঠে চলে গেলো,ঠিকমত হাঁটতে পারতেছে না,,শিশির ধরতে যাবে হাত সরিয়ে ফেললো তনু,,
গিয়ে খাটে গিয়ে কাঁথা টেনে শুয়ে পড়লো
শিশির ড্রয়ার থেকে ঔষধ বের করে রাখলো, খাবার অর্ডার করে এনে তনুকে ডাকলো,
শিশির-তনু উঠে ঔষধ খেয়ে নাও
তনু-লাগবে না এত পিরিতের
শিশির অনেকক্ষন বসে রইলো,মায়ের সাথে কথা বলে নিলো,মা বললো জোর করে খাওয়াতে,
শিশির উঠে গিয়ে তনুকে জোর করে উঠে বসালো
তনু-আমি মরে গেলে আপনার কি??
শিশির তনুর চোখের দিকে তাকালো,,,কাল রাতের জন্য সরি, তোমাকে বলসি এত জোঁকের মত লেগে থাকিও না তারপরেও কথা শুনো না তুমি,আর এখন বারান্দায় গিয়ে সারা রাত থেকে জ্বর করলা,,
শিশির খাবার নিয়ে মুখে ধরলো তনু উঠে চলে গেলো,,,
শিশির-আবার কই যাও
তনু বারান্দায়য় গিয়ে দররজা লাগিয়ে দিলো
শিশির-তনু পাগলামো করো না তোমার জ্বর
তনু আবার নিচে বসে পড়লো
শিশির দরজা ধাক্কাচ্ছে,তনুর খবর ও নেই,তনু বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে
শিশির নিচে গিয়ে বারান্দার চাবি এনে খুললো,,রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছে শিশিরের,,
শিশির এক টান তনুকে টেনে উঠালো
তনু একটুও ভয় পাচ্ছে না
শিশির তনুকে কোলে তুলে রুমে নিয়ে গেলো,,
তারপর গাল টিপে ধরে খাইয়ে দিলো,,
খাওয়া শেষে তনু আরেকদিকে ফিরে শুয়ে পড়লো,,
শিশির-চলো ঘুরতে যাই
তনু-যাব না আমি
শিশির-ঠিক আছে আমি যাচ্ছি,হেঁটে আসি বিচ থেকে
শিশির রেডি হয়ে দরজা খুললো পিছনে তাকিয়ে দেখলো তনু আড়চোখে তাকিয়ে আছে,,
তারপর দরজা লাগাতে যাবে তনু এসে দাঁড়ালো,
শিশির মুচকি হেসে তনুর হাত শক্ত করে ধরে ওকে নিয়ে গেলো,,
দুজনেই চুপচাপ হাঁটতেছে,,শুধু আর ৫দিনের মত নয় আজ,,আজ তাদের দূরত্ব কম,,দুটি হাত এক হয়ে যাচ্ছে
তনুর সেদিকে খেয়াল নেই,মাথা ঘুরাচ্ছে,,বারবার পড়ে যাচ্ছে,শিশির আগলে ধরে হাঁটতেছে,,
তনু-একটা জিনিস চাইবো দিবেন?
শিশির-কি বলো
তনু-???
শিশির-পাগল হইসো তুমি?/এই তো সবে এত ভাব দেখাইলা আর এখন আবার,এত মানুষের মাঝে
তনু-কি করবো,আপনার সাথে রাগ করে থাকতে পারি না,আর আমি তো মানুষের সামনে দিতে বলিনি,রুমে গেলে দিবেন??
শিশির কিছু বললো না আবার হাঁটা ধরলো,,
শিশির-আজ হিমছড়ি যাওয়া যেত,তোমার জ্বর তাই যাওয়া হলো না
তনু-কাল যাব
শিশির-এই জ্বর আগামী ১০/১২দিনে ভালো হবে??
তনু-কিস দিলে হয়ে যাবে
শিশির চোখ বড়বড় করে তাকিয়ে হাঁটা ধরলো,,অনেকক্ষন হেঁটে রুমে চলে আসলো দুজনে,,
তনু আলমারী থেকে একটা প্যাকেট নিয়ে বাথরুমে চলে গেলো,শিশির বারান্দাতে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতেছে,,তুলতে তুলতে রুমের দিকে ফোন ঘোরাতেই আটকে গেলো শিশির
এটা কে?
ফোন নিচে নামিয়ে নিজে তাকিয়ে দেখলো তনু দাঁড়িয়ে আছে সেদিনকার সেই টপস টা পড়ে,,দেখে মনে হচ্ছে এখনই পড়ে যাবে জ্বরে তাও আমাকে জ্বালানো ছাড়ে না?
তনু ক্যাট walk দিয়ে আসতেছে, শিশির রোবটের মত দাঁড়িয়ে আছে কি করবে কে জানে, শুধু টপস টাই পড়েছে আর কিছু পড়েনি,,লজ্জায় শিশির মরে যাচ্ছে,,
তনু-লজ্জা পামু আমি, আপনি পান কেন??
শিশির ঘামতেছে,,
তনু মুছতে দিলো
শিশির মুখ মুছে তাকিয়ে দেখলো যেটা দিয়ে মুছতে দিলো সেটা হলো তনুর টপসের ফিতা
ব্যস টান খেয়ে ফিতা খুলে টপস নিচে,,শিশির যখন সেটা বুঝতে পারলো এক চিৎকার দিলো
তারপর কাশতে কাশতে গিয়ে খাটে বসলো
তনু টপস টা পড়ে এসে শিশিরের পাশে বসলো
তনু-কি হয়সে??Anything wrong??
শিশির-তোমাকে কে শেখায় এগুলা??
তনু -টিভি
শিশির-পুরা নষ্ট করে দিসে
তনু-??
তনু পানি এগিয়ে দিলো,,
শিশির পানি খেয়ে সরে গেলো,তনু ও এগিয়ে গেলো
শিশির সরতে সরতে খাটের stand এর সাথে লেগে গেলো,
তনু-????☺️???????
শিশির-প্লিস সরো
তনু-ধুর!
তনু গিয়ে টিভি অন করে বসলো,
শিশির শার্টের কয়েকটা বোতাম খুলে নিজেকে ঠিক করলো,এতক্ষন দম বন্ধ হয়ে আসতেছিলো বাপরে,,
তনু -ঠিক করলেন না এটা,শোধ আমি উঠাবো
শিশির-কি করবা
তনু-দেখবেন কি করি
শিশির দুপুরে গোসল করে বের হলো,,
তনু-এ্যা এ্যা আমার চোখে কি পড়সে????
শিশির-যাব না ধরে কিস করে ফেলবা
তনু-?ধুর planningটা নষ্ট হলো
শিশির-টপস পাল্টিয়ে নাও,নিচে গিয়ে খেয়ে আসবো
তনু-এখানে আনেন,আমার যেতে মন চায় না
শিশির কল করে খাবার আনলো,,
শিশির প্রতি পদে পদে ভয় পাচ্ছে, না জানি কখন কি করবে,তাই সাবধানে চলতেছে,তনু নরমালি খাচ্ছে,,
তনু-ভয় পাইয়েন না,সুযোগের সদ্য ব্যবহার করবো আমি
???
শিশির ভয়ে পানি এক গ্লাস খেয়ে নিলো,শিশিরের কল আসলো,শিশির ধরার আগেই তনু ধরলো
তনু-হ্যালো
নাতাশা-সিলেটের কোন জায়গায় তোমরা
তনু-সো স্যাড আমরা তো সিলেট থেকে ঢাকায় চলে আসছি
নাতাশা-??????
তনু লাইন কেটে দিয়ে ফোন রেখে দিলো
শিশির-কে কখন সিলেট গেলো,আর কার সাথে কথা বলসো
তনু-নাতাশা
শিশির-বুঝলাম না
তনু-বুঝতে হবে না টিসু পেপার টা দিন
শিশির টিসু নেওয়ার জন্য উঠতেই তনু শিশিরের খাবারের প্লেট টা নিয়ে নিলো
শিশির-দাও
তনু-দিব না
শিশির-দাও
শিশির এগিয়ে যেতেই তনুর মুখে হাসি ফুটলো,শিশির বুঝতে পেরে সরে গেলো,
তনু-হয়সে থাক,করলাম না কিস,ধরেন আপনার প্লেট?
পুরো বিকাল শিশির দূরে দূরে থেকে শেষে তনুর পাশে এসে বসে টিভি অন করলো,,টিভি দেখতে দেখতে ফোনটা হাতে নিলো,,
ফোনে কে যেন মেসেজ দিসে
????Edike jan
??????nice jan
????Dan dike
???????Bam dike
??????Upore takao
?????dan pase takao
শিশির লেখাটা পড়তে পড়তে যেই না ডান পাশে তাকালো তনু ঝাপটে ধরে চুমু দিয়ে দিলো
শিশির ভুলেই গেসিলে এটা তনুর চাল হতে পারে
চলবে♥
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন



ক্রাশ যখন বর
#Season_3
Writer-Afnan Lara
#Part_21
শিশির তনুকে একটা আলতো করে ধাক্কা দিতেই তনু balance করতে না পেরে নিচে পড়ে যেতে নিলো শিশিরের জামার কলার ধরে টান দিলো পড়ে যাওয়ার সময়,দুজনেই নিচে পড়ে গেলো,,তনু শিশিরকে জড়িয়ে ধরলো,শিশির সরে যেতে নিলো কিন্তু তনু ছাড়লো না
অনেকক্ষন পর
শিশির-উঠবো
তনু ছেড়ে দিয়ে নিজেই উঠে গেলো,,
রাতটা দুজনে আলাদা আলাদা কাটিয়েছে
শুধু রাতে শিশির বারবার তনুর গায়ে কাঁথা টেনে টেনে দিসে,,গায়ে জ্বর কমেনি
পরেরদিন ♥♥
শিশির ঘুমের মধ্যে অনুভব করলো চুলের খোঁচা দিতেছে কেউ,,
শিশির-আজ খবর আছে তোমার
শিশির এক টান দিয়ে হেসে উঠে বসলো,তনুর চুল ছিঁড়ে হাতে এনেছে শিশির ভাবলো
নিজের হাতে তাকিয়ে দেখলো মেক আপ করার ব্রাশ
তনু-আমি এত বোকা না যে নিজের চুল দিয়ে আপনাকে জাগাবো,খুব জানি আমার চুল ছিঁড়বেন,
শিশির আড় চোখে তাকিয়ে উঠে গেলো,হঠাৎ কি মনে উঠে পিছনে ঘুরে তাকালো,,তনুকে আজ অন্য রকম লাগতেছে,,পড়নে লাল টুকটুকে শাড়ী,,খোলা চুল,,হাতে লাল চুড়ি,শিশির মিনিট খানেক তাকিয়ে রইলো হা করে
তনু-এই যে ক্রাশ খেলেন নাকি
শিশির-হুহ,মানুষ আমাকে দেখে ক্রাশ খায়,আমি খাই না কারোর উপর?
তনু-তাহলে এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?এর মানে কি বুঝবো?
শিশির-পেঁচার মত লাগতেছে তাই
তনু-কিহ!!!!আপনাকে আমি!!!
শিশির এক দৌড়ে বাথরুমে চলে গেলো
তনু আয়নায় গিয়ে দাঁড়িয়ে শিশিরকে গালি দিলো,হুহ আমাকে নাকি পেঁচার মত দেখতে তাহলে নাতাশা পেঁচার বাসার বুয়া,,
শিশির বের হয়ে শার্ট পড়ে হাতে ঘড়ি দিতে দিতে রুমে হাঁটতেছে আর ফোনে কথা বলতেছে
তনু আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে Lipstick দিচ্ছে,,
শিশিরের ফোনের দিকে খেয়াল করে কথা বলতেছিলে
তনু আঁচল পিছনের দিকে ছুড়তেই শিশিরের হাতের উপর পড়লো,,শিশির ভাবলো এটা হইতো ওর রুমাল হবে,হাতে নিয়ে পকেটে ঢুকিয়ে হাঁটা ধরতেই
তনু হকচকিয়ে পিছনে তাকালো
তনু-আরে আরে কি করতেছেন কি
শিশির -ওকে বাই
শিশির-কি?
শিশির পিছনে তাকালো
তনু গায়ের অর্ধেক শাড়ী শিশিরের হাতে
তনু লজ্জায়,, তার উপর এমন কান্ডে হেসে দিলো?????
শিশির তনুর হাসি দেখে নিজেও হেসে দিলো,,দুজনে হাসতে হাসতে খাটে বসলো
শিশির-আমি ভাবসি আমার রুমাল
তনু-?দুষ্টু
শিশির-আমি ইচ্ছে করে করসি?
তনু-তাই তো মনে হয়
শিশির-আমার আর কাজ নেই
তনু-নেই??
দুজনে বাইরে বের হলো,,পাহাড়ে উঠে শিশির চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে শ্বাস নিচ্ছে,,আর তনু সেই সুযোগে শিশিরের অনেকগুলো ছবি তুলে নিলো,,
আকাশ-কিরে শিশির!!!
শিশির সাইডে তাকিয়ে আকাশকে দেখে লাফিয়ে উঠে একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরলো,,
তনু-কে?
শিশির-এটা আমার খালাতো ভাই আর আমার close frd ও
তনু-ওহ
আকাশ -বিয়ে করছিস?????
শিশির-তোরে জানানোর সময় পাইনি হুট করে হয়ে গেলো
আকাশ তনুর দিকে তাকালো, তনুকে আজ সত্যি অনেক সুন্দর লাগতেছে আকাশ ভালো চোখে তাকায়নি তনু বুঝতে পেরে শিশিরের হাত চেপে ধরলো
আকাশ-রিয়া রিয়া
রিয়া আসলো,,
আকাশ-মিট মাই ওয়াইফ রিয়া
সবাই গল্প গুজব করতে করতে পাহাড় থেকে নামলো,,,আকাশ বারবার তনুকে দেখতেছে,,
আকাশ-তা তোরা কোন হোটেলে?
শিশির-টিউলিপ
রিয়া-আরে আমরাও তো টিউলিপে
শিশির-তাই নাকি,
আকাশ-দেখসো আমরা একসাথে এক হোটেলে অথচ মিট হলো এখানে
শিশির-যাক ভালো হইসে,আজ রাতে অনেক গল্প হবে
আকাশ -তা তো অবশ্যই
হোটেলে এসে তনু শিশিরের হাত টেনে ধরলো
শিশির-কি?
তনু-আকাশ ভাইয়ার নজর ভালো না
শিশির-না জেনে শুনে কথা বলবা না,ও খুব ভালো ছেলে
তনু-বারবার আমার দিকে কেমন করে তাকাচ্ছিলো
শিশির-এমনি তাকাইসে,নেগেটিভলি নাও কেন,আমি আর কিছু শুনতে চাই না,ও শুধু আমার frd ই না খালাতো ভাই ও
শিশির fresh হতে চলে গেলো
তনু মন খারাপ করে বসে আছে,,
শিশির বের হয়ে দেখলো তনু এখনও বসে আছে,,
শিশির-রেডি হয়ে নাও,আমরা নিচে গিয়ে বসে সবাই গল্প করবো
তনু শাড়ী change করে লং থ্রিপিস পরে নিলো,
আকাশ বারবার খারাপ চোখে তনুকে দেখছে,তনুর একটুও ভালো লাগতেছে না
শিশির-কি হয়সে?
তনু-আমার শরীর ভালো লাগতেছে না,রুমে যাব
শিশির-আচ্ছা তাহলে কাল দেখা হবে,,আজ আমার ওয়াইফ অসুস্থ
আকাশ-ওকে ব্রো
তনু শিশিরের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে আর শিশির ফোনে কথা বলতেছে,
শিশির-আচ্ছা শুনো আকাশ আমাকে নিচে ডাকতেছে,তুমি rest নাও আমি ২০/৩০মিনিটে আসতেছি
তনু-ওকে
শিশির যাওয়ার ২/৩মিনিট পর দরজা নক করলো কে যেন
তনু ভাবলো শিশির, তনু গিয়ে দরজা খুললো
আকাশ -শিশির কই??
তনু -উনি তো নিচে গেসে আপনি নাকি ডাকসেন
আকাশ-তাহলে ঠিক আছে
এটা বলেই আকাশ ভিতরে ঢুকে গেলো,,
তনু-আপনি,!! শিশির নেই,এখন যেতে পারেন
আকাশ-নাহ,একটু থাকি
বেশ ভালোই কপাল শিশিরের, দেখতে হবে
তনু চলে যেতে নিলো আকাশ দরজা লক করে ফেললো
আকাশ-আসো আমরা enjoy করি,তোমার স্বামী ও জানবে না আর আমার বউ ও জানবে না
তনু পিছচ্ছে আর আকাশ এগোচ্ছে,,
তনু-শিশির!!!শিশির
আকাশ কাছে যেতেই তনু একটা চড় মেরে দিলো
আকাশ রাগে ক্ষোভে তনুর হাত চেপে ধরলো,
আকাশ -এই থাপ্পড় কিছু না
তনু চিৎকার করতেছে,,তনুর হাতের চুড়ি ভেঙে রক্ত পড়তেছে
তনুর বাম হাত হালকা হতেই তনু আরেকটা চড় মেরে দিলো,,
তখনই শিশির দরজা ধাক্কাতে লাগলো
শিশির-তনু??
আকাশ উঠে গিয়ে দরজা খুললো,,
শিশির-তুই এখানে??
আকাশ-তুই আসোস না দেখে এখানে আসলাম আর তোর বউ আমাকে চড় মারলো,আমি নাকি ওর সাথে খারাপ কিছু করবো
শিশির তনুর দিকে তাকালো,তনুর গা কাঁপতেছে
শিশির-তনু??তুমি ওকে চড় মারছো??
তনু কাঁদতে কাঁদতে বারান্দার দিকে চলে গেলো
আকাশ-থাক বাদ দে,,রিয়া যেন না জানে,নইলে তনুকে মেরে ফেলবে,আসলে আমার চরিত্র এত খারাপ না রিয়া জানে,আর কেউ তা খারাপ বললে ওর তো কষ্ট হবে তাই না
আকাশ চলে গেলো
শিশির বারান্দাতে গিয়ে দেখলো তনু নিচে বসে আছে,,চোখ মুছতেছে বসে বসে
শিশির-ও কিছু করসে?
তনু নিজের হাত এগিয়ে দেখালো,লাল দাগ হয়ে আছে,অনেক জায়গায় রক্ত জমে আছে
শিশির কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে রইলো,,তারপর বেরিয়ে গেলো
সন্ধ্যা হয়ে গেসে শিশির এখনও আসতেছে না
তনু কল দিতেছে,ফোন ও রিসিভ করতেছে না,
অবশেষে ৭টার দিকে আসলো,,
কপালে ব্যান্ডেজ করা,হাতে ও করা
তনু-কি হয়সে আপনার,এমনটা হলো কিভাবে??
শিশির খাটে বসলো,,
শিশির-মেরেছি খুব,রাগ যাওয়া পর্যন্ত সাথে ও মারছে আমাকে,তাই এই অবস্থা
তনু-কি দরকার ছিল এসবের
শিশির-বিশ্বাস করো আমি ভাবতেও পারিনি ও এমনটা করবে,, যদি না তোমার হাত না দেখতাম হয়ত বিশ্বাস করতাম না,আসলে কে আপন আর কে পর তা বোঝা মুসকিল,আর আই এম সরি,আমি তোমার কথা প্রথমে বিশ্বাস করিনি করলে হয়ত এসব হতো না
তনু কান্না করে দিলো শিশিরের এমন অবস্থা দেখে
শিশির-কেঁদো না সব ঠিক হয়ে গেসে,
তনু বসে বসে দুহাত দিয়ে চোখ মুছতেছে আর আবার কেঁদে চোখ ভাসিয়ে ফেলতেছে
শিশির তনুর দিকে তাকিয়ে দেখতেছে,এত কিউট লাগতেছে বলে বোঝানো যাবে না,শিশির ভুলেই গেসে সে তনুর দূরে দূরে থাকতো,মনে হচ্ছে যেন খুব কাছের একটা মানুষ
তনু শাড়ীর আঁচল দিয়ে মুখ মুছতেছে
কেঁদে পানির গ্লাস নিতে যাচ্ছিলো পানি খাওয়ার জন্য শিশির এক হাত দিয়ে আটকালো আরেক হাত দিয়ে টেনে কাছে নিয়ে এলো তনুকে
তনুর কোমড় চেপে ধরে কিস করলো তনুকে
তনুর কান্না নিমিষেই বন্ধ হয়ে গেলো,তনু শিশিরের চোখের দিকে তাকিয়ে আছে
আর শিশিরের চোখ তনুর দিকে সম্ভবত তনুর নাকের নাকফুলের দিকে,,তনুকে আরেকটু টেনে কাছে আনলো শিশির,হঠাৎ করে এমনটা কেন করতেছে শিশির সেটা সে নিজেও জানে না,,
তনু শিশিরের চুলে হাত দিয়ে ধরলো,,
চলবে♥

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে