আড়ালে ভালোবাসি পর্ব-০৬

0
995

#আড়ালে ভালোবাসি
#পর্ব:6
#লেখনিতে:রিদিকা আফরোজ রোজা

আরসাল আইরার একদম কাছে গিয়ে বলে কি করবি শুনি বল। আরসাল কাছে আসাতে আইরার যেনো সব গুলিয়ে যাচ্ছে মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না। আরসাল বলে কিরে আইরা বল কি করবি বলেই আইরার গালে আঙ্গুল দিয়ে স্লাইড করতে থাকে আইরার যেনো দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার অবস্থা। আইরা এবার খুব কষ্টে তুতলে তুতলে বলে উঠে আরসাল ভাইয়া কলেজে দেরি হয়ে যাচ্ছে প্লিজ। আরসাল আইরার অস্বস্তি বুজতে পেরে নিজের সিটে বসে গাড়ি নিয়ে ভার্সিটিতে চলে যাই। আরসাল যেতে মেয়ে গুলো ছোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে। এই গুলো দেখে কেনো যানি আইরার রাগ হচ্ছে । কোনো কিছু না ভেবে আইরা আরসাল এর হাত ছেরে মেয়ে গুলোর কাছে গিয়ে বলে লজ্জা করে না অন্যের জামাই কে দেখতে চুন্নির দল এটা আমার জামাই একদম নজর দিবিনা বলেই জিব কামর দেই আর বলে এই রে কি বলে পেললাম ভাইয়া কি ভাববে আমি নির্লজ্জ। আইরার কথা শুনে আরসাল এর মুখের হাসি ফুটে উঠে। আরসাল বলে উঠে আমি যানি আইরা তুই খুব তারা তারি আমাকে মেনে নিবি আর ভালো ও বেসে পেলবি শুধু সময় এর অপেক্ষা। আইরার কথা শুনে মেয়ে গুলো চলে যাই। আরসাল আইরার কাছে এসে বলে একটা থাপ্পর দিবো পেত্নী তোকে কে বলেছে ওদের বলতে আমি তোর জামাই মেয়ে গুলো আমাকে আর পাত্তা দিবে না তোর জন্য। আইরা এবার রেগে বলে খুব মজা লাগে না মেয়েরা প্রশংসা করলে? আরসাল ভাব নিয়ে বলে অবশ্যই পেত্নী লাগে তো তোর কি সমস্যা আইরু নাকি কোনো ভাবে তুই জেলাস? আইরা বলে মুটে ও না বলেই মাথা নিছু করে নেই আর ভাবে আমি তো বলে দিলাম কিছু না কিন্তু ভাইয়া কে কোনো মেয়ে কিছু বললে তো আমার খারাপ লাগে। আরসাল আইরার কাঁধে হাত রেখে বলে আইরা কি হয়েছে? আইরা বলে কিছু না চলো বলেই অফিস এর ভিতর ডুকে যাই দুই জন। আইরা কে ভর্তি করিয়ে দেই আরসাল আর পরিচয় দিয়ে আসে তার স্ত্রী। আরসাল যখন বলছিলো আমার স্ত্রী তখন আইরার মনে একটা ভালো লাগা ছুঁয়ে যাই।

আইরা গাড়িতে বসে আরসাল কে উদ্দেশ্যে করে বলে একটা কথা বলবো ভাইয়া? আরসাল বলে একটাই বলবি বেশি বক বক করলে মাইর খাবি। আইরা বলে তুমি sir এর সামনে আমার পরিচয় করালে কেনো তোমার বউ হিসেবে? আরসাল বলে বোকার মতো পশ্ন করিস না তো তুই আমার বউ তাই বউ বললাম। আইরা বলে তাহলে ওই মেয়েদের কে যখন বললাম তুমি আমার বর তখন কেনো বকা দিলে। আরসাল বলে তোর এই গোবর মাথায় ডুকবে না এসব আর হে ভেবে নিস না আমি তোকে ভালোবেসে নিজের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় করিয়েছি তুই তো এক নাম্বার এর গাঁধা আর পাগল অঘটন ঘটিয়ে পেলিস আবার বিপদ বাদিয়ে আনিস তাই পরিচয় করিয়েছি sir তোর খেয়াল রাখবে আর ভুল দেখলে আমাকে বলবে । আর দ্বিতীয়ত কলেজ এর কোনো বাজে ছেলে কিছু বলবে না। আরসাল এর কথা শুনে আইরার মনটা খারাপ হয়ে যাই । আইর মনে মনে বলে আমি কেনো ভুলে যাই আরসাল ভাইয়া পরিবার এর সম্মান বাঁচাতে বিয়ে টা করেছে আমাকে ভালোবেসে না আমি হয়তো বেশি আশা করি না আইরা তোকে ভালো করে পড়া শুনা করে নিজের পায়ে দারাতে হবে এরপর আরসাল ভাইয়া কে তুই নামক বুজা থেকে মুক্তি দিবি। আরসাল আইরার মলিন মুখ টা দেখে নিমিষে মন টা খারাপ হয়ে যাই আর বলে sorry পিন্সেস এই ব্যবহার এর জন্য আমার এই ব্যবহার তোকে শক্ত করে তুলবে দুনিয়া টা অনেক কঠিন আর তোর মতো ইমোশনাল মেয়েদের জন্য বিপদ আমি চাই তুই স্টং হ। আইরা বলে আচ্ছা আরসাল ভাইয়া তুমি কি সত্যি এই গুলো দায়িত্ব থেকে করছো? আইরার কথা শুনে আরসাল আইরা দিখে থাকিয়ে দেখে চোখে পানি চিক চিক করছে। আরসাল গাড়ি থামিয়ে আইরার কাছে গিয়ে গালে হাত রেখে বলে সব কিছু মন থেকে করছি আর তোকে ভালোবেসে মাই গার্ল। আরসাল এর নেশালো কন্ঠ শুনে আইরা চোখ বুজে যাই। তখনি আরসাল গম্ভীর কন্ঠে বলে তোর কি মনে হয় আমি এই গুলো বলবো আসলে তুই গাঁধা আইরা বুজলি আমি যা করছি তা নিজের দায়িত্ব থেকে করছি আর আমি আমার দায়িত্ব ভালো করে পালন করতে যানি। আরসাল এর কথা শুনে আইরা আর কিছু বলে না। আরসাল আইরা কে নামিয়ে দিয়ে অফিস এ চলে যাই।
চলবে…..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে