আজব প্রেমের কাহিনী part : 5

0
1781

আজব প্রেমের কাহিনী
part : 5
writer : Mohona

নীড় টেনে এনে ওর মুখ চেপে ধরলো।
নীড়: চুপ চুপ চুপ সারা বাড়ি চলে আসবে।
মেরিন নীড়কে দেখছে। shower on করা। পানিগুলো ২জনের ওপর পরছে।
নীড়: এখন যদি কেউ চলে আ…
তখন নীড় দেখলো যে মেরিন ওর দিকে তাকিয়ে আছে। কেন যেন মেরিনের গোলাপী চোখ দেখলে ও পুরো blank হয়ে যায়। তখনই বাইরে সবার চিৎকার চেচামেচি শুরু হলো
নীলিমা: নীড় তুমি ঠিক আছো?
সানিয়া: ছোট ভাইয়া তুমি ঠিক আছো?
দাদুভাই: দাদুভাই তুমি ঠিক আছো?
নীড়: oh…. পাগলা খান্দান চলে এসেছে।
মেরিন: মানে?
নীড়: চুপ…… তুমি এখানে চুপচাপ দারিয়ে থাকো। বের হবেনা।
আমি আসছি।
মেরিন: চলুন আমিও যাবো।
নীড়: বলেছিনা এখানে দারিয়ে থাকতে।

.

নীড় washroom এর বাইরে গেলো। দেখলো দরজা লাগানো।
নীড়: দরজা তো বন্ধ। মেরিন ঢুকলো কোথায় দিয়ে?
নাহিল: নীড় বাবা কথা বলছোনা কেন?
নীড়: oh no…. আমার dramabaaz family …..
নীড় গিয়ে দরজা খুলল। আর সবাই কি হয়েছে কি হয়েছে হয়েছে হামলা করলো। নীড় কোনো রকমে সামলে নিলো। এরপর washroom এ গেলো। গিয়ে দেখলো যে মেরিন নেই।
নীড়: আমি কি তবে ভুল দেখলাম??
তখন মেরিন পেছন থেকে এসে জোরে “হালুম করলো” । হঠাৎ এমন করে করায় নীড় চমকে পিছে ঘুরে মেরিনকে দেখে আরো চমকে ১কদম পিছে সরে গেলো। সেখানে ছিলো সাবান। যার মধ্যে পিছলে নীড় ধপাস করে গিয়ে পরলো বাথটবে। আর নীড়কে ধরতে গিয়ে মেরিনও পরলো। এতে মেরিনের মনে কিছু না হলেও নীড়ের মনে আবার love ki ghanti বাজতে লাগলো।
মেরিন:???। এতো বড় ছেলে হয়ে ভয় পায়???।
নীড় রাগ করবে কি? মেরিনের হাসি দেখছে। ভেজা চুলগুলো মেরিনের মুখে জরিয়ে আছে। নীড় সেগুলো সরিয়ে দিলো। ❤️❤️❤️।
মেরিন: ???।
নীড় মেরিনের ২ গালে ২হাত দিলো। আর দিয়ে দেখলো যে মেরিনের গাল একদম ঠান্ডা বরফ হয়ে আছে। তখন নীড়ের খেয়াল হলো যে ওরা সেই কখন থেকে ভিজে আছে। নীড় তারাতারি মেরিনকে নিয়ে উঠে দারালো।

.

নীড়: তুমি তো ভিজে একাকার….. ভেজা কাপড়ে কিভাবে থাকবে? কি করি?? দেখি কি করা যায়। নীড় দৌড়ে সানিয়ার
(প্রনয়ের ছোট বোন) রুমে গেল।
চুরি করে ওর ১টা dress নিয়ে এলো। আর নিয়ে এসে shocked + crushed…..
মেরিন নীড়ের কালো রঙের ১টা ট্রাউজার আর কফি রঙের টি-শার্ট পরে আছে। খোলা চুল। অন্যরকম লাগছে দেখতে। মেরিন ঘুরে দেখলো নীড় দারিয়ে আছে।
মেরিন: আপনি কোথায় গিয়েছিলেন?
নীড়: কা… বাদ দাও। তোমাকে ভীষন সুন্দর লাগছে ।
মেরিন: আমি জানি আমি সুন্দর। ☺☺☺
নীড়: পাগলি। এখন বলো তো তুমি আমার ঘরে কিভাবে এলে? দরজা তো বন্ধ ।
মেরিন: আমিতো….
মনে মনে: কি বলি বলি…..
তখন মেরিনের চোখ গেলো বারান্দার দিকে।
নীড়: বলো…
মেরিন: বারান্দা দিয়ে।
নীড়: what??
মেরিন: হামম।
নীড় মনে মনে: চুপ থাক নীড় যতো প্রশ্ন ততো ঝামেলা।
মেরিন: শুনুন না…. আমার না ভীষন ক্ষুধা লেগেছে… মিষ্টি দিবেন…..
নীড় মনে মনে: এখন কি করবো…. বাসায় যতোটুকু মিষ্টি আছে তা দিয়ে তো এর কিচ্ছু হবেনা….. idea…. ভাইয়া না সেদিন cargo তে কয়েক carton chocolate পাঠিয়েছে। ওগুলোই এনে দেই।
মেরিন : শুনতে পাচ্ছেন….???
নীড়: আমার কান….
মেরিন: মিষ্টি খাবো। দিন না ।
নীড়: দারাও

.

.

নীড় গিয়ে ২ carton chocolate নিয়ে আসলো।
নীড়: নাও খাও।
মেরিন: কাগজ খাবো!!!
নীড়: ??।
নীড় ১টা chocolate খুলে মেরিনকে দেখালো।
বলল: এটা খাও।
মেরিন: উহ… এমন বিদঘুটে রঙের কিছু খায়?????।
নীড়: খেতে বলেছি তো খাবে। বুঝেছো।
মেরিন গাল ফুলিয়ে মুখে দিলো। আর
দিয়েই : আমমম…. দারুন…… আমম।
নীড়: বলেছিলাম না….
মেরিন বাচ্চাদের মতো chocolate খাচ্ছে। নীড়ের মেজাজ খারাপ ছিলো। কিন্তু মেরিনের এমন আজব reaction দেখে না হেসে পারলোনা। মেরিন সব chocolate খেয়ে উঠলো। chocolate ওর চিবুক গাল…. মোট কথা ওর মুখের চারদিকে ছরিয়ে গেলো। বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি। সাথে ঝড়ো বাতাসও। তার মধ্যে মেরিনেপ গোলাপী চোখ। অন্যরকম ১টা romantic মুহুরিত। মেরিন খাওয়া শেষে দারালো।

.

মেরিন: কি দারুন কি মজা। আপনাকে এত্তো এত্তো এত্তোগুলা thank u….. আচ্ছা এই মিষ্টির নাম কি? ???
নীড় মেরিনের কথা শুনতে পায়নি। নীড় ধীর পায়ে মেরিনের কাছে গিয়ে ওর কোমড় টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো। মেরিনের সুরসুরি তে অবস্থা খারাপ।
মেরিন: আ….
নীড় মেরিনের ঠোটের ওপর আঙ্গুল রাখলো। নীড় মেরিনের মুখে ছরিয়ে থাকা chocolate গুলো lick করে খেয়ে নিলো। মেরিন জমে বরফ হয়ে গেলো। যে হাত ২টা দিয়ে এতোক্ষন নীড়কে দূরে ঠেলছিলো সেই হাত দিয়ে নীড়ের হাত খামছে ধরলে। একটুপর নীড় মেরিনকে ছারলো। দেখলো ও চোখ মুুুখ খিচে বন্ধ করে আছে।
নীড়: sor…..
মেরিন: অ্যা হ্যা হ্যা…. ???। আপনি আমার মিষ্টি খেয়ে উঠলেন কেন?
নীড় নিজের চুল নিজেই টানতে লাগলো। কারন আর যাই হোক এমন কোনো কিছুর শোনার জন্য নীড় মোটেও প্রস্তুত ছিলোনা।

.

মেরিন:???।
নীড় গিয়ে খাটে বসলো মাথায় হাত দিয়ে। মেরিন নীড়ের সামনে গিয়ে দারালো।
মেরিন: আপনি মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন কেন?? ???
নীড়: কারন আমার মাথার ভেতরে আগুন লেগেছে…..???
মেরিন: ???।
মেরিন দৌড়ে washroom এ গিয়ে ১বালতি পানি নিয়ে এসে ধপাস করে নীড়ের মাথায় ঢালল।
নীড় চমকে গেলো।
মেরিন: এখন নিভেছে আগুন?????
নীড়:???।
মেরিন: কান্না করছেন কেন…..
নীড়: কিছুনা…. দারাও change করে আসছি। ???।
মেরিন: মানুষেরা কতো আজব…. কথায় কথায় কান্না করে।

.

একটুপর….
নীড় বেরিয়ে দেখে মেরিন নেই।
নীড়: কোথায় গেল ….
নীড় বারান্দায় গিয়ে দেখে মেরিন “হা” করে আছে।
নীড়: কি করছো?
মেরিন: বৃষ্টি আর বাতাস খাচ্ছি……
নীড় মুচকি হাসলো।
নীড়: পাগলি…..
মেরিন: ☺☺☺।
নীড়: যে বৃষ্টি পরছে এর মধ্যে তো তোমাকে আর ওই বাসায় দিয়ে আসতে পারবোনা। bedটাও ভিজিয়ে ফেললে। ঘুমাবে কোথায়?
মেরিন: আমি তো এখানে দারিয়েও ঘুমাতে পারি।
নীড়: হ্যা তুমি তো alien …
মেরিন: no i m fairy ….
নীড়: হামম। naughty fairy… এখন চলো। ঠান্ডা লেগে যাবে।
মেরিন: আমার তো ঠান্ডা লাগেনা।
নীড়: হইসে চলেন রুমে।
নীড় মেরিনকে টেনে রুমে নিয়ে গেলো।
মেরিন: কি হলো????।
নীড়: কিছুনা।
মেরিন: এটা কি আপনার রুম?
নীড়: না। পাশের বাসার আন্টির….
মেরিন: ???। আপনি অন্যের রুমে থাকেন…..
নীড়: আরে বোকারে…. মজা করছিলাম।
মেরিন: huh…. আপনার রুমটা ঘুরে ঘুরে দেখি।
নীড়: দেখো।
মেরিন নীড়ের রুমের কোনা কোনা দেখতে লাগলো। আর জিজ্ঞেস করতে লাগলো এটা কি ওটা কি সেটা কি…
নীড় উত্তর দিচ্ছে।
তখন মেরিন globe দেখতে পেলো। মেরিন ওটা হাতে নিলো।
মেরিন: এটা কি এটা কি?
নীড়: এটা হলো globe … ভূ-গোলক। পৃথিবীর।
মেরিন: ওহ…….
মেরিন globe টা দেখছ।
মেরিন: নীড়…. এটা আফগানিস্তান , এটা পাকিস্তান, এটা উজবেকিস্তান ….
নীড়: হামম।
মেরিন: মেরিনস্তান কোথায়?
নীড়: ওই তো…. what??? কি বললে?
মেরিন: মেরিনস্তান কোথায়????
নীড়:??????
মেরিন:কি হলো?
নীড় ভাবলো মেরিন মজা করছে।
নীড়: মেরিনস্তান তো পৃথিবীতে নেই। নতুন করে বানাতে হবে। ???।
মেরিন মনে মনে : huh… কি পচা পৃথিবী…. মেরিনস্তান নেই? আমাদের পরীরাজ্যে তো মেরিনস্তান আছে। কারন আমি fairy princess …. কিন্তু এই পচা পৃথিবীতে মেরিনস্তান নেই?????
নীড়: এই যে কি ভাবছো?..
মেরিন: এই যে পৃথিবী খুব পচা…..
বলেই মেরিন globe টা ছুরে মারলো। সেটা ধরতে গিয়ে নীড় হাত অনেকটা কেটে রক্ত বের হতে লাগলো। মেরিন অবাক চোখে দেখছে। মেরিন তো জানে না যে রক্ত বের হলে কষ্ট হয়। তাই ও দেখছে। ওদিকে নীড়ের ভীষন কষ্ট হচ্ছে। নীড় globe টা রেখে first aid box নিয়ে বসলো। নীড়ের মুখ দেখে মেরিন বেশ বুঝতে পারছে যে নীড়ের কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু জানেনা কেন?
মেরিন মনে মনে: ওনার হাত থেকে এগুলো কি বের হচ্ছে? red red…. ওহ no…. আপু না বলেছিলো যে মানুষেরা রক্ত মাংসের তৈরী। এগুলো কি তবে রক্ত? দেখি তো খুজে…..
মেরিন চোখ বন্ধ করে দেখতে লাগলো।
মেরিন: oh my প্রিয় আল্লাহ….
মেরিন দৌড়ে নীড়ের কাছে গেলো।
মেরিন: খুব ব্যাথা করছে আপনার “নীড়”…..

.

নীড়ের সময়টা ওখানেই থেমে গেলো। কারন এই কয়দিনে এই প্রথম মেরিন নীড়ের নাম নিলো। সবাই নেয় নীড়ের নাম। কিন্তু কেন যেন মেরিনের মুখে নিজের নামটা অন্যরকম লাগছে।
তাই মেরিন “নীড়” বলতেই নীড় দুম করে মেরিনের দিকে তাকালো।
মেরিন:কি হলো? বলুন……
নীড়: তুমি বলো……
মেরিন: কি?
নীড়: নীড়…..
মেরিন:???।

.

৩ঘন্টাপর…..
নীড় মেরিনকে দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পরলো। নীড় নিচে শুয়ে আছে আর মেরিন সোফায়।
মেরিন এতোক্ষন ঘুমানোর ভান ধরে ছিলো। নীড় ঘুমাতেই মেরিন উঠে বসলো।
উঠে নীড়ের কাছে গিয়ে বসলো।
এরপর নীড়ের হাত ছুয়ে দিলো। আর মেরিনের ছোয়াতেই নীড়ের হাত ঠিক হয়ে গেলো।
মেরিন: আপনি অনেক রাগী হলেও এত্তোগুলা ভালো। আচ্ছা সব মানুষ কি আপনার মতো? তবে আপনার বন্ধুগুলাও ভীষন ভালো। আ…..
তখন মেরিনের কানে কারো কান্নার শব্দ এলো। যেটা খুব আস্তে তবুও মেরিন শুনতে পেলো। মেরিন সেখানে গেলো। গিয়ে দেখলো যে নীড়ের দীদা নীরবে কাদছে। আর দাদুভাই শ্বান্তনা দিচ্ছে। ওদের কথা শুনে মেরিন বুঝতে পারলো যে নীড়ের দীদা হাটতে পারেনা। পা প্যারালাইজড।
কিছুক্ষন পর ২জন ঘুমিয়ে পরলো। তখন মেরিন ওদের কাছে গেলো।
মেরিন: আহারে এই বুড়ো মানুষটার কি দুঃখ….. তাও কেবল হাটতে পারেনা বলে….

✨??

এই বুড়ো মানুষটা যেন হাটতে পারে।
ইলি গিলি ফুস।

✨??

..
magic করেই মেরিন চলে যাচ্ছিলো । দরজার কাছে যেতেই কিছুর শব্দ শুনে মেরিন পিছে ঘুরলো। আর তখন দীদার ঘুম ভেঙে গেলো। আর দীদা মেরিনের মুখটা দেখতে পেলো। তবে পলকেই আর দেখতে পেলোনা।
দীদা উঠে বসলো।
দীদা: কে ওখানে…..
দীদার কথা শুনে দাদুভাইও উঠলো।
দাদুভাই: কি হয়েছে?
দীদা: মনে হলো কাউকে দেখতে পেলাম। আলোর ঝিলিক।
দাদুভাই light জ্বালালো।
দাদুভাই: কোথায়? কেউ তো নেই….
দীদা: আমার তো লাগলো।
দাদুভাই: দরজাও তো বন্ধ। মনেহয় স্বপ্নে দেখেছো। ঘুমাও তো এখন।

.

ওদিকে…..
নীড়ের ঘুম ভেঙে গেলো। উঠে কোথাও মেরিনকে না পেয়ে চিন্তায় পরে গেলো। খুজতে বের হবে তখনই মেরিন ভেতরে ঢুকলো।
নীড়: কোথায় গিয়েছিলে…. (অস্থির ভয়ে)
মেরিন: এই তে এখানেই।
নীড়: কফি খাবে?
মেরিন: কফি কি?
নীড়: দারাও নিয়ে আসছি।
২জন ১সাথে কফি খেলো। এরপর ভোরের দিকে নীড় মেরিনকে নিয়ে লুকিয়ে বেরিয়ে গেলো।

.

পরদিন….
দীদা ঘুম থেকে উঠে অবাক হয়ে গেলো। কারন সে হাটতে পারছে। সারা চৌধুরী বাড়িতে আনন্দ বয়ে গেলো।

.

২দিনপর…..
নীড় মেরিনকে নিয়ে ice cream খেতে বের হলো। মেরিন নীড়কে দার করিয়ে রাস্তার ওপার ৩-৪টা অসহায় বাচ্চাকে টাকা আর ice cream দিতে গেলো। তখন সব কিছু স্থির হয়ে গেলো। মেরিন অবাক হলো।
মেরিন: এটা কি হলো??
???
তখন মেরিন কারো হাসির শব্দ পেলো। ২জনের হাসি।
মেরিন: কাদের হাসি….
তখন কেউ
বলল: আমাদের…..
মেরিন:???।
তখন সেই নীল পরীরাজ্যের রাজকুমার fairy prince নীল আর তার সাথে কালিরাজ্যের রানী কালিকা হাজির হলো।
মেরিন : oh… তোমরা? hi…..
নীল: কেমন আছো পরীদুনিয়ার শ্রেষ্ঠ সুন্দরী????।
মেরিন:ভীষন ভালো… কারন এখানে জল্লাদ বাপ নেই। তাই দিনরাত কোনো বকাও নেই আর শাস্তিও নেই।☺☺☺।তোমরা এখানে হঠাৎ ?
নীল: তোমাকে নিয়ে যেতে….
মেরিন:মানে….?
নীল:মানে তোমার সাথে তো আর সেদিন আমার বিয়েটা হলোনা। তুমি কাহিনী করলে। সবার সামনে আমাকে অপমান করলে….. সেদিন কিছু করতে পারিনি। তাই আজকে তোমাকে নিতে এসেছি। নিজের রানী করে না….দাসী করে নিয়ে যেতে….. আর তোমার সৌন্দর্য গ্রাস করতে….
মেরিন: মানে??
কালিকা:খুব সহজ….. তোমাকে শাস্তি দিবে। যার জন্য তোমার বাবা অস্থির হয়ে পরবে। আর আমি সেই সুযোগে পরীরাজ্য দখল করবো। আর তোমার বাবাকে বানাবো দাস। মেয়ে হবে নীল রাজ্যের দাসী। আর বাবা হবে কালিরাজ্যের।
মেরিন: সত্যি জল্লাদ বাপকে দাস বানাবে…
ওয় ঢিংকা চিকা। তারাতারি বানাও না।
২জন:???।
নীল: এই মেয়ে তোমার বাবা একা না তুমি দাসী হবে। আমার দাসী।
মেরিন: ইশ বললেই হলো।
কালিকা: নীল তারাতারি করো। ১৫ মিনিট শেষ হতে চলল। সময় সচল হয়ে যাবে। ওকে নিয়ে যেতে হবে আগে।
নীল:হামম।
২জন ২জনের শক্তি দিয়ে মেরিনকে ছুতে গেলেই ছিটকে গিয়ে অনেক দূরে পরলো। ওদের কোনো জাদুই কাজে লাগলো না। কারন মেরিনের হাতের আংটি। সময় আবার সচল হয়ে গেলো।
নীল-কালিকা: আজকে পারলাম না। কিন্তু পরের অমাবস্যায় আবার আসবো।
বলেই ওরা চলে গেলো।
মেরিন এসবের কিছুই বুঝলোনা।
মেরিন:wow… এদের কোনো জাদুই কাজ করলো না আমার ওপর। করবে কেন? আমি যে রাজকুমারী। ওরা কি ভুলে গেছে? আমাকে আসছে দাসী বানাতে। মেরিন কেবল আল্লাহর দাস। আর কারোনা। আসছে আমাকে দাসী বানাতে। পাগল না মাথা খারাপ….
নীড়: কার…
মেরিন;কি কার?
নীড়:মাথা খারাপ কার?
মেরিন: ওই যে কালিকা আর নীলের।
নীড়: মানে?
মেরিন: কিছুনা….
তখন নীড় দেখলো মেরিনের ওরনাটা অনেকটা সরে গেছে। আর ছেলেরা বাজে নজরে দেখছে।
নীড়: ওরনাটা ঠিক করো।
মেরিন: কেন?
নীড়:বলেছি তাই।
মেরিন: এই যে আপনার সব কথা কেন আমি মেনে চলবো? হামম?
নীড়: কারন তুমি শুনতে বাধ্য।
মেরিন: এই যে…. মেরিন কারো দাসী না।
নীড়:দাসীর কথা না। ওরনা ঠিক করো।
মেরিন রাগ করে ওরনাটা ফেলেই দিলো।
নীড় ঠাস করে থাপ্পর মারলো। এরপর ওরনা মেরিনের গায়ে জরিয়ে দিলো।
নীড়: কাল থেকে বাসা থেকে আর বের করবোনা। বের করলেও বোরকা পরিয়ে বের করবো।
বলেই নীড় মেরিনকে টেনে গাড়িতে বসালো।
কেন যেন নীড়ের হাত থেকে মেরিন কিছুতেই ছুটতে পারেনা।

.

মেরিন মনে মনে:

আমাকে মারা….. এতো সাহস?
✨??

এই মানুষটার হাত এখনই ভেঙে যাক।
ইলি গিলি ফুস।

✨??

.

মেরিন magic করতেই নীড়ের হাতে আরো শক্তি চলে এলো। আর এমন speed এ গাড়ি চালাতে লাগলো যে মেরিন ভয়ে কাপতে লাগলো।
মেরিনকে বাসায় পৌছে নীড় বাসায় গেলো। মেরিনকে থাপ্পর মারাতে নীড়ের কলিজাটা ছটফট করছে। কিছু করেই শান্তি পাচ্ছেনা। ও ইমানকে call করলো।
ইমান: কিরে…. কি হয়েছে?
নীড়: জানিনা। আমার ক্ষুধা পেয়েছে।
ইমান:তো খাবার খা… ??? । এতো রাতে আমার ঘুম হারাম করছিস কেন??? । খেয়েনে।
নীড়: খেতে পারলে কি খেতাম না?
ইমান: কেন তুই কি pregnant যে খেতে পারবিনা?
নীড়: ১টা থাপ্পর দিবো…..
ইমান: তো কি করবো? আচ্ছা আজকে কি কি হয়েছে বলতো….
নীড় বলল।
ইমান:???। my jaan u r in love …
নীড়: মানে…
ইমান: তুমি মেরিনকে ভালোবাসো।
নীড়:লাথথি খাবি।
নীড় ফোন রেখে দিলো।

.

২দিনপর…..
নীড় এই ২দিন মেরিনের সাথে দেখা করেনি। ইমানের কথাটা ভেবেছে। তবে ২দিন মেরিনকে না দেখে নীড় পাগল প্রায়। অবশেষে বুঝতে পারলে যে সত্যি ও মেরিনকে ভালোবাসে। আর বুঝতে পেরে ১মিনিটও দেরি করলো না। গাড়ি নিয়ে ছুটে গেলো মেরিনের কাছে। গিয়ে দেখলো মেরিন ঘুমিয়ে আছে।
নীড় গিয়ে হাটুগেরে মেরিনের সামনে বসলো।
নীড়: হ্যা আমি তোমাকে ভালোবাসি খুব ভালোবাসি। এতোদিন এটাকে আমি কেবল ভালোলাগা ভেবেছি। কিন্তু আমি তোমাকে ভালোবাসি। খুব…..

.

পরদিন সকালে…..
মেরিনের ঘুম ভাঙলো। দেখলো ওর হাত নীড়ের হাতের মুঠোয়। আর নীড় ওরদিকে তাকিয়ে আছে। মেরিন লাফ দিয়ে উঠলো।
নীড়: i lo….
মেরিন উঠে গিয়ে সোফা থেকে অনেকগুলা টাকা এনে নীড়ের ওপর ছুরে মারলো।
নীড় তো রেগে গেলো।
দাতে দাত চেপে বলল: how dare u….????.. এসবের মানে কি?
মেরিন: এসবের মানে টাকা। money is money …. এটাই তো মানুষের মূলমন্ত্র। মানুষের স্বভাব সম্পর্কে অজানা ছিলাম। তাই জানতাম না। যে মানুষ তাদের স্রষ্টার না অর্থের পূজারী।
নীড়: মেরিন…
মেরিন: একদম চিল্লাবেন না। আমি আপনার ৠণ পরিশোধ করে দিয়েছি। তাই আপনি আমার ওপর আর হুকুম চালাতে পারেন না। লোভী মানবজাতি।
বলেই মেরিন হনহন করে বেরিয়ে গেলো। কোথায় গেলো ? কিভাবে গেলো তা কেউ জানেনা।

.

৩মাসপর…..
নীড় office এ বসে আছে। এই ৩মাসে নীড় প্রনয়ের থেকে বেশি successful businessman হয়ে গেছে। কারন হলো জেদ। মেরিনের বলা কথা। এখন নীড় সত্যি অর্থের পূজারী হয়ে গেছে। আর মেরিন……

.

চলবে…..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে