আজব প্রেমের কাহিনী part : 6

0
1887

আজব প্রেমের কাহিনী
part : 6
writer : Mohona

আর মেরিন….
সেই ৩মাস আগে নীড়ের থাপ্পর মারাতে ভীষন রেগে গিয়েছিলো। রেগে গিয়ে মেরিন তারার দেয়া সব তথ্য দেখলো। এর মধ্যে ১টা তথ্য ছিলো যেখানে মানুষের অর্থলোভের ১টা অধ্যায় ছিলো। সেই সাথে আরো ছিলো যে সবার ভালোবাসা নিঃশ্বার্থ হয়না। এরমধ্যে প্রাচীন কৃতদাস প্রথার chapter টাও পরলো। তাই মেরিনের মনে মানুষ সম্পর্কে ১টা ভুল ধারনা ঢুকলো যে মানুষের পচা হয়। লোভী হয়। আর তাই নীড়ও তেমন। শুরু থেকে নীড় মেরিনকে অনেক সাহায্য করে়ছে। টাকা পয়সা খরচ করেছে। তাই নীড় মেরিনের ওপর অধিকার দেখায়। ওকে দাস মনে করে।
তাই মেরিন সেদিন অনেক রেগে গিয়েছিলো। টাকা নীড়ের ওপর ছুরে মেরেছিলো। magic করে আসতে পারবেনা বলে সরাসরি চলে এসেছিলো। সবকিছুরই ভালো খারাপ ২টা দিকই থাকে। মেরিনের চলে আসাতে যে ভালো দিকটা হয়েছে তা হলো এই যে মেরিনের সব জাদুই এখন আর উল্টাপাল্টা হয়না। কিছু জাদু ঠিকও হয়। সেই সাথে পৃথিবী আর মানুষের সম্পর্কেও মেরিনের অনেক কিছু জানা হয়ে গেছে। কিন্তু ভুল ধারনাটা রয়েই গেছে। আর সেদিনের ঘটনার খারাপ দিকটা হলো নীড়ের মন ভাঙা। যখন কাউকে ভালোবাসা হয় তখন তার কাছে থেকে আঘাত মেনে নিতে কষ্ট হয়। তাই নীড়কে এতোটা affect করেছে।
তবে আজও মেরিনের
সেই “নীড়” বলে ডাকাটা ভুলতে পারেনি। ওর কানে আজও সেই ডাকটা বাজে।

.

…… মেরিন এই ৩মাসে অনেক ঘুরেছে। পৃথিবীর এই প্রান্ত থেকে সেই প্রান্ত।
যেখানে ভালো লেগেছে সেখানে গিয়েছে। আজকে মাথায় headphone গুজে রাস্তা দিয়ে হাটছে। সুনসান রাস্তা। মাঝে মাঝে ২-১টা গাড়ি যাচ্ছে। পাশে ১টা ফুচকার দোকান। সেখানে ৪-৫জন ফুচকা খাচ্ছে। ১টা ২৩-২৪ বছরের মেয়ে। নাম নীলা। তার বাবা আর মামা-মামি….. মেরিন ওদের দেখেও দেখেনি…… ও ওর মতো কানে headphones গুজে রাস্তা
মাঝখান দিয়ে হেটে যাচ্ছে। তখন পেছন থেকে ১টা ট্রাক আসতে লাগলো। মেরিনের তো কোনো তাল নেই। আর তাল হলেও হয়তো সরতো না। কারন ট্রাকের আঘাতে তো আর মেরিনের কিছু হবেনা। কিন্তু তা তো আর অন্যকেউ জানেনা। তাই যখন ট্রাকটা এগিয়ে এলো তখন নীলার বাবা দৌড়ে এসে মেরিনকে বাচালো। ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলো মেরিনকে। কিন্তু সে নিজে বাচতে পারলোনা। ট্রাকটা তাকে পিষে দিলো।
নীলা: বাবা……

.

মেরিন: আমাকে ধাক্কা দিলো ক…..
তখন মেরিন নীলার চিৎকার শুনে পিছে ঘুরলো। আর দেখে থমকে গেলো। মেরিন চোখ বন্ধ করে ৪০সেকেন্ড পেছনের দৃশ্য দেখলো। আর দেখে অবাক হয়ে গেলো। মেরিন দৌড়ে লোকটার কাছে গেলো। লোকটা মারা গেছে।

মেরিন:
✨??

এই লোকটা বেচে উঠুক
ইলি গিলি ফুস।

✨? ?

কোনো কাজ হলো না। মেরিন আবার চেষ্টা করতে নিলো। তখন ওখাে তারা উপস্থিত হলো। ওকে কেবল মেরিনই দেখতে পেলো।
তারা: মেরিন magic করিসনা। মৃত্যু জগতের নিয়ম।
মেরিন: কিন্তু আপু….
তারা: লাভ হবেনা। করিসনা।
বলেই তারা চলে গেলো।

.

নীলা হাউমাউ করে কাদছে… আর মামা-মামির কান্নার পেছনের খুশি হওয়ার চেহারাটা মেরিন ঠিকই দেখতে পেলো। নীলার
বাবার দাফন কাফন হলো। আর তারপরদিন থেকেই নীলার ওপর অত্যাচার। মেরিন নীলার অতীত দেখতে লাগলো। আর অতীত দেখে মেরিন যা জানতে পারলো তা সত্যি মেরিনকে নরিয়ে দিলো….

.

মেরিন: পৃথিবীতে যেমন নীড়ের মতো মানুষ আছে নীলার মামা-মামির মতো মানুষ আছে তেমনি নীলা আর ওর বাবা কামালের মতোও মানুষ আছে। আমি নীলার সাথে এমন অবিচার হতে দিতে পারিনা। আর না ওর ভাগ্যের এই পরিহাস মেনে নিতে পারবো। কিন্তু কি করবো??

✨??

নীলার জীবনটা আনন্দ ভরিয়ে দিতে চাই।
ইলি গিলি ফুস।

✨??

মেরিন magic করতেই কোথায় থেকে যেন ১টা খবরের কাগজ উরে এলো। মেরিন দেখলোও না। তাই আবারও magic করলো। তখন আবার ওই খবরের কাগজটাই ওর মুখের সামনে চলে এলো।
মেরিন: আজব তো….. আমি চাইছি উপায় আর এই হাতির হালুয়াটা বারবার সামনে আসছে।???।
মেরিন সেটা ছুরে মারতে নিলে ওর মাথায় নীড়ের বলা ১টা কথা মাথায় এলো।
নীড় ১দিন বলেছিলো: ” যেখানে দেখিবে ছাই উরাইয়া দেখিবে তাই।”
যার মানে মেরিন জানতো চাইলে নীড় খুব ভালোভাবে মেরিনকে বুঝিয়েছিলো।
মেরিন: তবে কি এই জিনিষটা আমার কাজের???

✨??

যদি এই কাগজটা আমার কাজের হয় তবে এর মধ্যে আমার দরকারী জায়গাটা চিহ্নিত হোক।
ইলি গিলি ফুস।

✨??

তখন ১টা জায়গায় লাল রং দিয়ে ১টা circle তৈরি হলো। যেখানে লেখা আছে….
” চাকরী বিজ্ঞপ্তি….
চৌধুরী fashion city তে PA নিয়োগ করা হবে। candidate রা apply করুন।”
মেরিন: এগুলো কি…. চাকরী কি? fashion city কি? PA কি? চৌধুরী কি? ??? চৌধুরীরা তো মানুষ। দেখি তো এই চৌধুরীরা নীলার সেই চৌধুরীরা কিনা….
মেরিন চোখ বুঝে মিলিয়ে দেখলো।
মেরিন: আরিপাস। এরা তো তারা। কি করা যায় এখন?
১টা কাজ করি সেই মটু বইটা পড়ি। তাহলেই জানতে পারবো।

✨??

পরীরাজ্য থেকে পৃথিবী ও মানুষ নামের হাতি বইটা আমার হাতে আসুক।
ইলি গিলি ফুস।

✨??

তখন ওর ওপর বইগুলো ধপাস ধপাস পরতে লাগলো।
মেরিন: আম্মুগো….. এই বইয়েরা… আমাকে মারছো কেন?????।
বইয়েরা: কারন তুমি আমাদের বন্ধুনা শত্রু ভাবো।
মেরিন: তোমরা তো আমার শত্রুই।??। সেই সাথে killer…
বইয়েরা: কি? নাও তবে….
তখন বই গুলো মেরিনকে পেটাতে লাগলো। খুব জোরেনা। তবুও
মেরিন ভ্যা ভ্যা করে কাদতে লাগলো। মেরিন এমন উদ্ভট সুরে কাদছে যে বইয়েরা নিজেদের কানে হাত দিলো।
বইয়েরা: আরেরে fairy princess মেরিন কান্না থামাও.. ভেতরের যে বেরিয়ে আসবে…..
মেরিন:???। আমাকে মারে আবার কাদতে না করে….
বইয়েরা: ও লে লে লে…. কাদেনা সোনা। আর মারবোনা।
মেরিন: আমি আরো বেশি কাদবো। ??।
বইয়েরা:এই যে নাক কান মলে sorry…. তবুও থামো সোনামা…..
মেরিন: কান ধরে উঠবস করো। ২৫বার।
বইয়েরা: আচ্ছা। ???।
বইয়েরা করলো।
বইদাদু: তুমি আমাদের সবাই এখানে আনালে কেন বলোতো????
মেরিন: তোমাদের সবাইকে কেন আনাবো? আমি তো পৃথিবী ও মানুষ বইটা আনিয়েছিলাম।
বইদাদু: কবে যে magic টা ঠিক মতো শিখবে? তাইতো বলি বই পড়ো।
মেরিন: ভাষন না দিয়ে ওই হাতিটাকে সামনে আনো।
বইদাদু: তা না হয় আনবো। কিন্তু ঘটনাটা কি বলবে ?
মেরিন সব বলল।
মেরিন: ওই মানুষ ২টা খুব ভালো।
বইদাদু: মানুষেরা ভালোই হয়। ব্যাতিক্রম তো সবজায়গাতেই থাকে।
মেরিন: জ্ঞান না ঝেরে বুদ্ধি ঝারো তো।
বইদাদু: please বলো….
মেরিন: আমি please বলবো আমি…… ???
বইদাদু: হামম।
মেরিন: দেখো বইদাদু idea দাও।
বইদাদু: no…. request করো।
মেরিন মনে মনে: দারাও দেখাচ্ছি মজা।

✨??

বইদাদু আর ওর চ্যালাপেলাদের এতো এতো সুরসুরি লাগুগ।
ইলি গিলি ফুস।

✨??

সাথে সাথে বইদের গায়ে সুরসুরি লাগতে শুরু হলো। তবে সেই সাথে মেরিনের গায়েও। সেখানে হাসির বন্যা বয়ে গেলো।

১৫মিনিটপর….
বইদাদু: ওরে… হাসতে হাসতে শেষ।
মেরিন: ও বইদাদু। দাও বুদ্ধি….. ??☺☺
বইদাদু: তোমার মতো কলিজাকে বুদ্ধি দেবোনা? তুমি যে আমাদের সকলের দুলালী।
বইদাদু প্রয়োজনীয় বুদ্ধি দিয়ে পরীরাজ্যে চলে গেলো।

.

৭দিনপর……..
নীড় কানাডা থেকে business conference থেকে ফিরেছে। কাল office যাবে।

খাবার টেবিলে…..

নিহাল: ওহ নীড়।
নীড়: বলো…
নিহাল: তোমার জন্য ১টা নতুন PA ঠিক করেছি।
নীড়: নতুন PA মানে?
নীলিমা: নতুন PA মানে নতুন PA…
নীড়: তনিমাই তো ছিলো আমার PA…. তাহলে…..
নীলিমা: ওই মেয়ের নজর ভালোনা। খালি তোর গায়ের ওপর ঢলাঢলি করে। তাই বাতিল করে দিয়েছি।
নীড়: what? ও কতো experienced ছিলো জানো? damn it… কাকে না কাকে রেখেছো…. কিভাবে না কিভাবে কাজ করবে।
নিহাল: ভীষন ভালো মেয়ে। খুব মিষ্টি।
নীড়: মিষ্টি দিয়ে কি হবে? মিষ্টির দোকান দিবো নাকি??? ???
নীলিমা: নজর টজরও ভালো। কি মিষ্টি চেহারা।
নীড়: মামনি….. its not any beauty contest ….. its office work….. বাবা এর আগে কতো জায়গায় কাজ করেছে…..

নিহাল: এএএটাই first…. ???….
নীড়: what??????…. ত…

প্রনয় : আমি ওকে নিয়েছি।
নীড়: আরে ভাইয়া তুমি……
প্রনয়: any doubt ….
নীড়: তুমি always আমাকে চমকে দাও কেন বলোতো….।☺☺☺
প্রনয়: এতো রাগ দিয়ে business চলেনা।
নীড়: হামম। এখন বলোনা যে কাল পরশুই চলে যাবে।
প্রনয়: না আছি এই ১ মাস…..

.

পরদিন……
নীড় office এ গেলো। অথচ PA এখনো আসেনি।
নীড়: manager… manager…..
manager হাজির হলো।
manager: জী স্যার।
নীড়: কেমন PA… যে আজকে প্রথম দিনেই late….
manager: না স্যার late না।
নীড়: late না….. তবে এখনও আসেনি কেন?
manager: স্যার…. ও …..
PA: may i come in sir….
নীড়: এসে আমাকে উদ…..
মনে মনে: কার কন্ঠ…..
নীড় দুম করে পিছে ঘুরল। যা বুঝেছে তাই। এটা মেরিন।
মেরিন: আপনি?????।
নীড়: তুমি????।
মেরিন মনে মনে; oh my প্রিয় আল্লাহ। এই লোকটা কেন আবার…. selfish এর গোডাউন।???। নিখুজি পরেছে মানুষের বেগার খাটার।
নীড়: এই মেয়েটা তুমি এখানে কেন???। তোমাকে এখনই আমি বাদ করে দিবো।
মেরিন: আমি নিজেই চলে যাবো।
manager: না না। ৬ মাসের agreement ।
মেরিন: জাহান্নামে যাক agreement ..
বলেই মেরিন হাতের file ছুরে মারলো। আর unfortunately সেটা গিয়ে নীড়ের ওপর পরলো।

.

মেরিন office এর নিচে গেলো। তখন ওর চোখে নীলার সেই আহাজারি , নীলার বাবার রক্তাত্ব দেহ আর মামা-মামির পশুত্ব ভেসে উঠলো। কোনো উপায় না পেয়ে মেরিন আবার নীড়ের রুমে গেলো।

..

.

মেরিন: may i come in sir…. ???
নীড়:come….???..
মেরিন ঢুকলো।
নীড়: manager….
manager: sir….
নীড়: get out please …..
manager চলে গেলো।
manager চলে যেতেই নীড় মেরিনকে দেয়ালে ঠেকিয়ে ১হাত দেয়ালে রেখে দারালো।
নীড়:???।
মেরিন damn care look দিলো।
নীড় মেরিনের গাল চেপে ধরে
বলল: এই মেয়ে এই তোমার সাহস তো কম না। তুমি আমাকে look দিচ্ছো।
মেরিন: look আবার দেয় কিভাবে? আহ আম্মুগো …. আমার গাল ছারুন। ব্যাথা পাচ্ছি।
নীড় গাল ছেরে দিলো।
নীড়: তুমি এখানে আমার PA হয়ে কিভাবে job করো। you are fire now….
মেরিন মনে মনে: fire… মানে যেন কি? গোলাবারূদ।
মেরিন: আমি কেন fire হবো? আমি তো প…. আমি তো মেরিন….
নীড়: shut up…. তুমি যদি ভেবে থাকো আবার তোমার ন্যাকামো দিয়ে আমাকে ঘায়েল করবে তবে ভুল ভাবছো। আমি তোমাকে এখনই বরখাস্ত করলাম।
মেরিন: অ্যাহ… বললেই হলো। আপনি আমাকে বরখাস্ত করতে পারেন না। কি জানি বলে। হ্যা agreement আছে। আগামী ৩মাসের আগে আপনারা আমাকে ছারতে পারবেন না আর আমিও বেগার মানে আপনাদেরকে ছারতে পারবোনা। its a deal…
নীড়: বাহ তুমি তো দেখি সবই জানো। বোঝো। তবে ৩মাস আগে অমন অবুঝ সেজে ছিলে কেন?
মেরিন: very simple তখন জ…. আমার ইচ্ছা।???।
নীড়: তোমার ইচ্ছা না…. আমার মনটাকে….
৩মাস…. ৩মাস তো অনেক দূরের কথা ৩দিনও তুমি এখানে চাকরী করতে পারবেনা।
মেরিন: ইশ বললেই হলো। আমার যাওয়ার ইচ্ছা না হলে কারো ক্ষমতা নেই আমাকে সরানোর।
নীড়: উল্টা পায়ে দৌড়াবে।
মেরিন: কেন? আমি তো উল্টা পায়ে দৌড়াবো? আমি তো সোজা পায়েই দৌড়াবো। ☺☺☺।
নীড়: shut up…. আর যাও গিয়ে storeroom থেকে গত বছরের সব file নিয়ে আসো।
মেরিন: আমি কি আপনার চাকর নাকি যে শুনবো???।
নীড়: you are my PA ….
মেরিন: তাতে আমার বাপের কি?
নীড়:go & bring that…
মেরিন:ওই….
মনে মনে: উফফ আমি তো PA… ধুর। ভালোলাগেনা।
নীড়:যাও।
মেরিন: যাচ্ছি তো চিল্লান কেন?

.

মেরিন নীড়কে বকতে বকতে গেলো।
নীড়: i hate love & i hate you && i hate woman ….. আমি তোমাকে দেখতে চাইনা….. তোমার গোলাপী চোখ দেখতে চাইনা।
মেরিন: এই selfish টা কোথায় থেকে এলো? আগে জানলে বইদাদুকে অন্য উপায় দিতে বলতাম।

.

৫মিনিটপর….
নীড়: খুজতে খুজতেই বুড়ি পালিয়ে যাবে।
মেরিন: may i come in sirrr….
নীড় অবাক হলো।
নীড়: come….
নীড় দেখলো যে মেরিন file এর মধ্যে ডুবে আছে। মাথাও ঢাকা।
নীড় মনে মনে: এ হেটে আসলো কিভাবে এখানে….
মেরিন: sir এগুলো কি করবো?
নীড়: আমার মাথায়।
মেরিন: ok…
বলেই মেরিন file গুলো নীড়ের মাথায় রাখলো।
নীড়:ওই…
আর সব file নীড়ের মাথা থেকে পরে গেলো।
মেরিন: হাহাহাহা…..
মেরিনের হাসি নীড়কে পাগল করার জন্য যথেষ্ট। তবুও অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে
বলল: shut up…. সব গুলো ওঠাও। উঠিয়ে টেবিলে রাখো।।
মেরিন: হামম।
চোখের পলকে মেরিন তুলে ফেলল। নীড় অবাক হলো।
মেরিন: এখন কি আমার ছুট????।
নীড়: এটা কি তোমার মামা বাড়ি?
মেরিন: না আমার মামা বাড়িতো পর…
নীড়: চুপ। file গুলো check & solve করো।
মেরিন: okk….

.

৭মিনিটপর….
মেরিন: sir….
নীড় মনে মনে : ৭মিনিটেই হাপিয়ে গেছে। ৭মিনিট ধরে তো কেবল file এর পাতাই উল্টালো।
মেরিন: sir sir sir….
নীড়: solve করতে পারবেনা। তাইতো????।
মেরিন: শেষ।
নীড়: কি শেষ?
মেরিন: file check & solve করা শেষ। ???।
নীড়: good… what??? ???..
মেরিন: হামম।
নীড়: ফাজলামো করবেনা। কাজের মধ্যে আমি মোটেও ফাজলামো পছন্দ করিনা।
মেরিন:তাতে আমি কি করতে পারি?
নীড়: ১টা থাপ্পর দিবো। চুপচাপ কাজ শেষ করো।
মেরিন: কিন্তু কি কাজ সেটাতো বলবেন?
নীড়: file check & solve …
মেরিন: বললাম না হয়ে গেছে।
নীড়: বললাম না মজা করবেনা।
মেরিন: মজা করবো কেন? সত্যি হয়ে গেছে।
নীড়: ফাজিল….
বলেই নীড় ১টা file নিলো। দেখলো। আর দেখে চোখ চরক গাছ। পরপর ৫টা file দেখলো। আর দেখে অজ্ঞান হবার অবস্থা।
নীড়:??। কেমনে সম্ভব!!! ????।
মেরিন: ???।
নীড় : cool… nir cool….
মেরিন: ok sir….
তখন মেরিন নীড়ের টেবিলে থাকা পানির মগটা নীড়ের ওপর ছুরে মারলো।

.

নীড়:what the hell are you doing ….
মেরিন: আপনিই তো বললেন যে cool nir cool…… তাই…
নীড়: you…. পুরো ভিজিয়ে দিলে। dress টা খারাপ করে দিলে। এখন যদি বলি ঠিক করে দাও। পারবে?
মেরিন: অবশ্যই……

.

চলবে……

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে