অনুরক্তি অন্তরিক্ষ পর্ব-১১+১২

0
1239

#অনুরক্তি_অন্তরিক্ষ [১১ পর্ব]
তাসনিম তামান্না

চারিদিকে আঁধার আলোর ছিটে ফোটাও নেই। আধার অম্বরিতে চাঁদ তারার দেখা নেই। দূরে বা কাছ থেকে রাত পোকা আর শিয়ালের ডাক ভেসে আসছে। কাছে কোথা থেকে রজনীগন্ধা ফুলের ঘ্রাণ ভেসে আসছে। কৌতুহলে ৬ মানব-মানবীর নিশ্বাসের যেন কয়েকগুন বেরে যাচ্ছে। জারা নিজেকে গড়ে তুলেছে পরিশ্রম করে। আজ সে এডভোকেট এটা তার দ্বিতীয় কেস। প্রথম কেসে সহজে জিতে গেলেও এই কেসটাই বড্ড কাঠ-খড় পোড়াতে হচ্ছে।পরশুদিন কেসের লাস্ট ডেট তার মধ্যেই সকল প্রমান জোগার করতে হবে। আর তাই সবাই মিলেই এসেছে সত্যউনেচ্চন করতে।

নিস্তব্ধ জায়গায় প্রীতি ব্যথাতুর শব্দ তুলে পা ধরে বসে বলল

-‘ আমার পা..’

সকলে থেমে গেলো প্রীতির দিকে সকলে স্থির দৃষ্টি দিয়ে সতর্ক বানী দিয়ে রুহান ফিসফিস করে বলল

-‘ হিশশ চুপ আস্তে কথা বল চিৎকার করছিস কেনো? কি হইছে? ‘

পলক প্রীতির পাশে গিয়ে বসে বলল

-‘ কি হইছে পায়ে দেখি ‘

পলক প্রীতির পা থেকে সু খুলে দেখলো জুতার সাথে কাচ বেঁধে পায়ে বিঁধে গেছে। পা বেশি কাটি নাই কিন্তু রক্ত বের হচ্ছে। জারা তারাতাড়ি করে ব্যাগ থেকে ফাস্টএডেট বক্স বের করে শায়রীর হাতে দিলো শায়রীও চটপট প্রীতির পায়ে ব্যান্জে করে দিলো। রুহান ধমক দিয়ে বলল

-‘ কেমনে হাঁটিস যে পায়ে কাচ বিঁধে যায়? ‘

-‘ আমি জানি। কাচে কেটে গেলে আমি কি করবো? ‘
রুহান বিরক্তিসুচক শব্দ বের করে বলল

-‘ এই পা নিয়ে হাঁটতে পারবি না তার চেয়ে এককাজ কর তোরা সকলে এখানে থাক আমি পজিশন বুঝে আসি ‘

জারা চাপা সুরে বলল

-‘ পাগল তুই? একা যাবি মানে কি? আমি ও যাবো ‘

সাইম চোখ মুখ কুঁচকে বলল

-‘ আমরা জানি তুই পুলিশ তাই বলে এমন ভাবে হিরোগিরি দেখাতে একা যাবি? আমিও যাবি ‘

পলক দাঁতে দাঁত চেপে বলল

-‘ আর আমরা কি ধুমা দিবো? ‘

সাইম মুখ চেপে হেসে বলল

-‘ না তোরা ডিম পাড় আমরা এসে পোস্ট করে খাবো ‘

শায়রী রেগে বলল

-‘ এখানে সিরিয়াস বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছে আর তোরা? সব কিছু তোদের মজা লাগে না? ‘

জারা হাত তুলে ঝ’গ’ড়া থামানোর চেষ্টা করে বলল

-‘ স্টপ স্টপ আমি বলি তোরা কোনো কথা না বলে শোন পলক প্রী…’

পলক জারাকে থামিয়ে বলল

-‘ তুই আমার নাম আগে নিলি কেন? ‘

জারা বিরক্ত হয়েও ঠান্ডা গলায় বলল

-‘ ইনপ্টেন কথা হচ্ছে দয়া করে থাম

পলক চুপ করলো জারা আবার বলতে লাগলো

-‘ পলক, প্রীতি, শায়রী তোরা এখানে থাকবি আমি, রুহান আর সাইম যাবো তো…’

শায়রী অধৈর্য্যে গলায় বলল

-‘ কেনো আমি যাবো না আমার সাথে এমন করছিস কেনো? ‘

জারা এবার আর বিরক্তি প্রকাশ করে বলল

-‘ তোরা ঠিক কর তোরা কি করবি আমি চললাম ‘

বলে জারা হাঁটা ধরলে রুহান জারার হাত ধরে আটকে বলল

-‘ কি বলছিলি বল আর তোরা যদি একটাও কথা বলিস কথার মাঝে তার অবস্থান খারাপ হবে এর পরের কেসে তোদের আনা হবে না ‘

সবার চুপ হয়ে গেলো জারা বলল

-‘ শোন পলক তুই প্রীতি আর শায়রীকে গার্ড দিবি কেনো না আমরা বলতে পারছি না এই জঙ্গলে কোথায় কোন বিপদ লুকিয়ে আছে আর শায়রী তোকে নিয়ে যাচ্ছি না কারণ আমরা যদি কোনো ভাবে আঘাত পাই তুই ড্রেসিং করে দিতে পারবি কেন না তুই নার্স ‘

সাইম ফোঁন কেটে বলল

-‘ তুই নার্স আর তোর ভাব ডক্টরের ওপরের ডক্টর ‘

শায়রী চোখ বাঁকা করে তাকালো। জারা গম্ভীর কন্ঠে বলল

-‘ সাইম এতো লাফাস না তোকেও নিয়ে যেতাম না তোর কাছে ক্যামেরা আছে বলে তোকে নিয়ে যাচ্ছি ‘

সাইম বলল

-‘ যা যাবো না ‘

জারা বিরক্ত হয়ে বলল

-‘ ভাব দেখাস না চল ‘

রুহান বলল

-‘ দাঁড়া পলক শোন শায়রী,প্রীতিকে নিয়ে তুই গাড়িতে গিয়ে বস এখানে তোরা সেভ নস পলক তুই ড্রাইভিং সিটে বসে থাকবি সব রেডি করে যেনো আমরা আসলেই গাড়ি এস্টেট দিতে পারিস ‘

সকলে রুহানে কথায় সাই দিলো।

জারা, রুহান, সাইম এগোলো গভীর জঙ্গলে আব্দেও প্রাণ নিয়ে ফিরবে তো। গিয়ে পৌঁছালো সঠিক গন্তব্যে বুক ঢিপঢিপ করছে অজানা অচেনা আতংকে। রুহান পুরনো অন্ধকার আচ্ছন্ন ভুতুড়ে বাড়িটার চারিদিকে ঘুরে এসে ফিসফিস করে বলল

-‘ শোন আমাদের ভিতরে যেতে হবে কোনো শব্দ করলে চলবে না দ্বিতীয় তালায় আলো জ্বলছে। আর সাইম শোন তুই ক্যামেরা অন রাখ ‘

দুরুদুরু বুকে সকলে নিঃশব্দে বাড়ির ভিতরে ডুকলো জারার দুইপাশের দুজন। একপাশে সাইম আর একপাশে রুহান জারার হাত ধরে রাখছে। উপরে গিয়ে কয়েকজনে কথার আওয়াজ শুনতে পেয়ে ওরা থেমে গেলো। সাইম ক্যামেরার ভিডিও রেকর্ড অন করে দিয়ে লুকিয়ে ভিডিও করতে লাগলো কিছুক্ষণ পর চারজন লোক বেড়িয়ে গেলো রুহান জারাকে ইশারায় লুকিয়ে থাকতে বলে ওখান থেকে কই যেনো গেলো। জারা জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে নিজেকে শক্ত করার প্রয়াশ চালানোর চেষ্টা করছে। তখনি কারোর ব্যথাতুর আওয়াজ ভেসে আসলো সাথে কয়েক জন পুলিশ ইউনিফর্ম লোক এসে কয়েকজনকে ধরলো। জারা থাকতে না পেরে বেড়িয়ে এলো দেখলো দুজন লোক কি যেনো মুখে পুরে দিলো আর কয়েক জন দিতে গেলে ধরে ফেললো পুলিশ গুলো। হঠাৎ কোথা থেকে একজন এসে জারার গলায় চু/রি ধরে বলল

-‘ ছেড়ে দে ওদের না হলে এর গলায় চু/রি চালিয়ে দিবো ‘

সকলের মুখে ভয়ের ছাপ স্পষ্ট জারা ভয়ে দোয়া পড়তে লাগলো এই বুঝি শেষ দিন রুহান দু-হাত তুলে বলল

-‘ ওকে ওকে ছেড়ে দিবো আগে ওকে ছেড়ে দাও ‘

-‘ না না সেটা হচ্ছে না তোরা পুলিশরা হচ্ছে পাল্টিবাজ আগে তোরা ছাড়…. ‘

আর কিছু বলতে পারলো না লোকটা। সাইম এসে পিছন দিক থেকে লোকটার মাথায় বারি মা/র/লো লোকটা নিজস্তেস হয়ে গেলেও জারাকে আ/ঘা/ত করতে ভুলল না। জারা ব্যাথায় ব্যথাতুর শব্দ তুলল।
.
.
শানের সারারাত ঠিক মতো ঘুম হলো না পায়চারি করেই রাতটা পার করে দিলো। সকালে ক্লান্ত হয়ে থাকতে না পেরে ঘুমিয়ে গেছিল। শান্তি বেগম রাতে উঠে শানের রুমে লাইট জালানো দেখে আনমনে হেসে দিয়ে নিজ মনেই বলল

-‘ ছেলেটা বউ পাগল হয়ে যাচ্ছে দেখছি। কত অস্থিরতা তার জন্য ‘
______________

জারা সকালে বাসায় এসেছে। তখন সকলে ঘুমে জারা নিজের রুমে গিয়ে শাওয়ার নিয়ে ফ্রিজ থেকে আপেল নিয়ে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে তখন সুমি উঠে ছিল জারা বলে দিয়েছে যেনো কেউ ডিস্টার্ব না করে।

সকালে সকলে নাস্তা করতে বসলো তখন ইশা বলল

-‘ আম্মু আপু কখন আসবে ফোন করে কিছু জানিয়েছে ‘

-‘ জারা সকালেই বাসায় এসেছে সুমি বলল ‘

ইশা খাবার ছেড়ে উঠে বলল

-‘ আচ্ছা পরে খাবো আগে আপুকে ডেকে আনি একসাথে খাবো ‘

-‘ না বস ও রেস্ট নিচ্ছে ওর সময় হলে ও আসবে নি তোকে যেতে হবে না সারারাত জাগা মেয়েটা এখন তুই যাচ্ছিস জ্বালাতে বস ‘

ইশা মুখটা পেচার মতো করে বসে পরলো।

চলবে ইনশাআল্লাহ

#অনুরক্তি_অন্তরিক্ষ [১২ পর্ব]
তাসনিম তামান্না

সূর্য ঠিক মাথার মাঝখানে ঝকঝকে তকতকে পরিষ্কার নীল আকাশে রোদের তীব্র ঝাঁজ গরমে অতিষ্ট মানুষ জন। বাসায় কেউ নেই বললেই চলে শান্তি সাওয়ার নিচ্ছে। সীমা কাজ করছে কিচেনে। আসলাম সাহেব বাসায় নাই অফিসে জরুরি মিটিংয়ে ইশার কলেজের এক্সাম চলছে এখনো সে বাসায় আসে নি। জারা ড্রাইংরুমে বসে টিভিতে কার্টুন ছেড়ে ফোনে ইনপটেন ডকুমেন্টস চেক করছে কালকেই কোটের রায় দিবে মেয়েটার ধ-র্ষ-ণে-র সঠিক বিচার নিতে হবে। অ’প/রা’ধীদের শা’স্তি দিতে হবে না হলে তারা বার বার অন্যায় করে সমাজে বুক উঁচু করে চলবে আর সমাজে দেশে অন্যায় বাড়তে থাকবে তখন অন্যায় করতে দ্বিধা বোধ করবে না কেউ।

জারা পুরো মনোযোগ ফোনে ছিল চারিপাশে কি হচ্ছে সে দিকে ওর খেয়াল ছিল না। হঠাৎ হেঁচকা টানে স্তম্ভিত ফিরে পেলো। চমকে দাড়িয়ে পরলো সামনে তাকিয়ে শানকে শক্ত চোখে তাকিয়ে থাকতে দেখে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে কিছু বলতে যাবে তার আগে শান বলল

-‘ কাল সারারাত কোথায় ছিলি? কোন ছেলের সাথে ছিলি? খুব সাহস বেড়েছে না তোর? ‘

-‘ মানে? কি বলতে চাইছেন আপনি? মুখ সামলে কথা বলবেন! ‘

-‘ মুখ সামলে রাখার মতো কোন কাজটা করিস তুই? রাত-বিরাতে ছেলেদের সাথে বাইরে রাত কাটাস ‘

জারা রেগে হাত ঝটকা দিয়ে ছাড়িয়ে বলল

-‘ জাস্ট সাটআপ ওকে। একদম উল্টো পাল্টা কথা বলবেন না। আপনার এসব কথা বলতে বাঁধছে না একটু ও? ওফ্ফ সরি আমি তো ভুলেই গেছিলাম আপনার মিনিমাম কমনসেন্সে নাই কিছু নাই। আমি তো আপনাকে আগেই বলেছি আপনি আপনার মতো থাকুন আমাকে আমার মতো থাকতে দিন। কেনো বার বার এমন করছেন? ‘

-‘ তোর সাথে এবাড়ির সম্মান জড়িয়ে আছে। আর তুই রাতে বাইরে থেকে এখন বড়বড় কথা বলছিস? ‘

-‘ সম্মান সম্মান আর সম্মান আপনার সম্মান বোধ আছে? আপনি সম্মান দিতে জানেন? আপনাকে কি বলছি আমার সাথেই সবসময় এমন করেন আপনি আমাকে মানুষ বলে মনে হয় না আপনার ‘

-‘ গলা নিচে নামিয়ে কথা বল। ন্যায় করে আবার গলা বাজি করছিস লজ্জা লাগে না তোর? ‘

-‘ আমার কেনো লজ্জা লাগবে? যেখানে আমার কোনো দোষ-ই নেই! আর গলা নিচে নামিয়ে কেনো কথা বলবো? জানেন আমার এখন আফসোস হয় খুব আফসোস যে সেই দিন কেনো আমার এই সাহস টা হলো না কেনো সেদিন গলা জোর দিয়ে বলতে পারলাম না যে আমি আপনাকে বিয়ে করবো না এই আফসোসটা হয়ত আমার সারাটা জীবন থেকে যাবে। চিন্তা করবেন না আমি আপনাকে এই বাঁধন থেকে মুক্ত করে দিবো কোনো বাঁধা থাকবে না আর ‘

শান চমকালো জারার দুই বাহু ধরতেই জারা ব্যথাতুর শব্দ তুলে ছলছল চোখে তাকালো শানের দিকে। শান বুঝতে না পেরে আরো জোরে বাহু খামছে ধরে বলল

-‘ কি বললি তুই? ‘

-‘ যেটা শুনছেন সেটাই ‘

আরো জোরে চেপে ধরতেই জারা আর সহ্য করতে না পেরে কেঁদে উঠে বলল

-‘ ছাড়ুন আমার লাগছে ‘

শান হাতে তরল পদার্থ অনুভব করলো সাথে সাথে বিষময় নিয়ে হাতে দিকে তাকালো জারা নিজের বা হাত দিয়ে ডান হাত চেপে ধরে নিজের রুমের দিকে দৌড় দিলো। শান তখন স্তব্ধা মেরে দাঁড়িয়ে রইলো। স্তম্ভিত ফিরতেই সেও জারা পিছনে গেলো।

জারা রুমে গিয়ে ডান হাতের থাকা ব্যান্ডেজ খুলে ফেললো। খতটা গভীর ধারালো ছু/রি লাগছে কাল যখন লোকটাকে সাইম মারছিল তখনি লোকটা সুযোগ বুঝে জারাকে আ’ঘা’ত করছিল। কাল রাতে শায়রী ব্যান্ডেজ করে দিয়েছিল আর খুলেলি অলসেমী করে কিন্তু এখন কিছুই করার নাই খুলতেই হবে কা*টা জায়গায় চাপ লেগে রক্ত বের হচ্ছে আবারও শুভ্র রংয়ের ব্যান্ডেজটা লাল রংয়ের হয়ে ভিজে চপচপ করছে। জারা হাতের ব্যথায় চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে।

জারা হাত নিয়ে এতোই ব্যস্ত ছিল যে দরজা আটকাতে ভুলে গেলো। শান রুমে ঢুকে এসে ফাস্ট এডেট বক্স নিয়ে জারার পাশে বসে জারার হাত টেনে নিজের কাছে আনলো জারা নিজের জেদ বজায় রেখে হাত ছাড়িয়ে নিতে চাইলো কিন্তু পারলো না শান লাল চোখে তাকিয়ে রইলো যেনো এখনি ঔ চোখ দিয়ে সব ভর্স করে দিবে জারা ভশ পেলেও বলল

-‘ ছাড়ুন কি করছেন? আমি ব্যান্ডেজ করতে পারবো ছাড়ুন ‘

-‘ আর একবারও হাত সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা কর তোর হাত কেটে রেখে দিবো ‘

জারা কিছু বলল না। শুধু চুপচাপ ব্যথা সহ্য করতে লাগলো দাঁতে দাঁত চেপে। চোখ দিয়ে অনলগল অঝর ধারায় পানির পরছে আর ফুপাচ্ছে। ব্যান্ডেজ শেষ শান বলল

-‘ এমনটা কিভাবে হলো? কে করেছে এমনটা? ‘

জারা কান্নারত অবস্থায় বলল

-‘ যে-ই করুক আপনি তো খুব খুশি হয়েছেন না। আমার কষ্টে তো আপনার খুশি হবারই তো কথা এই খুশিতে পার্টি দেন একটা ‘

শানের ইচ্ছে করছে জারাকে গাল ফাটিয়ে চ-ড় মারতে কিন্তু শান সেটা করলো না নিজেকে সংযত করে জারাকে ধমক দিয়ে বলল

-‘ আমি যেটা বলছি সেটার উত্তর দে না হলে খুব খারাপ হবে ‘

জারা কিছুটা দমে গেলো ভয় পেলো। মিনমিন করে কালকের ঘটনা সর্টকাটে শানকে বলল। সব শুনে শান বলল

-‘ গুড ‘

বলে উঠে চলে যাচ্ছিল গুড বলায় জারার মনোক্ষুন্ন হলো তবুও জারা নিজেকে সামলিয়ে তখন জারা বলল

-‘ এসব কথা মনিকে বলবেন না প্লিজ মনি টেনশন করবে আর আমি সেটা চাইছি না আশা করি আমার কথাটা রাখবেন ‘

শান শুনলো কি-না কে জানে গটগট করে চলে গেলো।

চলবে ইনশাআল্লাহ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে