LOVE part:09+10

0
2321

#LOVE❤
part:09+10
Writer:Suvhan Årag(ছদ্মনাম)

নোভাতো জলছে আবেগ আর রিদিতা র চোখাচোখি দেখে

-আবেগগগ

আবেগ বিরক্তি নিয়ে নোভা র দিকে তাকালো

-কি হচ্ছে টা কি চেঁচাচ্ছ কেন
-তা কি করবো।তুমি কই আমাকে দেখবে তা না ঐ মেয়ে টাকে দেখছো
-তুমি কি পরেছো এটা।যাও গিয়ে চেন্জ করে এসো।এসব পোশাক পরে পুরুষ আকর্ষণ করার কি খুব দরকার
-আমি না হয় এসব পরি।কিন্তু ঐ মেয়ে টা খুবতো চলতো হুজুর হয়ে অথচ তলে তলে,,,,
-নোভা আর কোন কথা শুনতে চাই না আমি

আবেগ রিদিতার দিকে এগিয়ে গেল

-তোমার মন থেকে ঐ মেয়ে টাকে একদম মুছে ফেলাবো আমি

রিদিতা আবেগকে দেখে একটু অপ্রস্তুত হয়ে পরলো

-কেমন লাগছে আমার এনগেজমেন্ট দেখতে
-হুমম।ভালো । congratulations স্যার
-তোমার আমাকে congratulations জানানোর ইচ্ছে ও জাগছে
-না জাগার তো কিছু নেই।আপনি নতুন জীবন শুরু করতে যাচ্ছেন এটা না জানালে হয়
-খুব কথা শিখেছো না
-উহুমম ।কথা আগে থেকে জানতাম ।কিন্তু দূরভাগ্য ।এই কথাগুলো যদি আগে বলতাম তাহলে হয়তো এই দৃশ্য টা দেখতে হতো না
-মানে
-মানে আর কি।নিজের স্বামী,,,,,,

রিদিতা থেমে গেল

-কি হলো চুপ হয়ে গেলে কেন
-আপনি যান।আপনার মা বাবা হয়তো জানেনা আমি এখানে আছি।সবাই অন্য কিছু মনে করবে।আপনার ফিঅন্সির কাছে যান
-কে কি মনে করলো তাতে আমার কিছু যায় আসে না
-আসবে।যখন নোভা কষ্ট পাবে তখন আসবে
-নোভা কিসে কষ্ট পেলো না পেলো সেটা আমার দেখার বিষয় নয়
-এটা কি বলছেন।আপনার স্ত্রী র ব্যাপার আপনার দেখার বিষয় নয়
-নোভা আমার স্ত্রী নয়।শুনেছো তুমি
-হুমম
-ভালোই লাগছে
-কি
-তোমাকে

আবেগ এর কথা শুনে রিদিতা আবেগের চোখের দিকে তাকালো।অনেক দিন পর তার প্রিয় মানুষটা তাকে এই কথা বললো

-এটা কি আশফির পছন্দ এর রঙ না কি
-না।এটা তো আমার জীবনের রঙ।না লালের মতো উজ্জ্বল না নীলের মতো সুন্দর না হলুদের মতো রঙিন না কালোর মতো আধার।।পুরোটাই সাদা।যার জীবনে কোন রঙ নেই তার সাদাই বেটার
-আমাকে কেমন লাগছে বললে না তো
-আপনাকে দেখার মানুষ ঐ দিকে দাঁড়িয়ে আছে তাকেই জিজ্ঞাসা করুন
-আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করেছি
-বলবো
-হুমম
-যেদিন প্রথম ভালোবেসেছিলাম সেদিনের মতো

বলতেই রিদিতার চোখে পানি চলে আসলো

-হুহহ ভালোবাসা।কাজলটা ঘেঁটে যাবে চোখের পানি মুছে নেও
-নাহ্ আমার কাজল আর ঘেঁটে যায় না।কাজলটা ঠিক করে দেওয়ার কেউ নেই তাই ঘেঁটেও না
-তুমি,,,,
-আপনি প্লিজ যান।আমার কথা বলতে ভালো লাগছে না
-আমাকে তো ভালো তোমার কখনোই লাগেনি
-আমার কিছু বলার নেই
-তুমি প্লিজ রিং পরানোর সময় আমার সামনে থাকবে
-কেনো কষ্ট পেতে দেখতে চান তাই
-হ্যাঁ
-আমি আপনার সামনে থাকবো।নিশ্চয়ই থাকবো।নিজের প্রিয় মানুষটা ভালো থাকতে চাই সেটা দেখবো না।একটা কথা ছিল
-বলো
-শেষবারের মতোই বলবো।আর কখনো বলবো না
-কিইইই
-ভালোবাসতাম ভালোবাসি ভালোবেসে যাব

বলেই রিদিতা অন্য দিকে চলে গেল

আবেগ থ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে

-আমিও।ভালোবেসে যাব।কিন্তু আমার টা সত্যি ।তোমার টা নাটক।আমি তোমাকে সামনে থাকতে বলেছি কষ্ট দেব বলে।কিন্তু আমি যে পারব না রিদি অন্য কারোর হাতে রিং পরাতে–মনে মনে

নোভা এতক্ষণ দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছিল ।হঠাত্ আবেগের দিকে এগিয়ে এলো

-আবেগ প্লিজ আজকে তুমি আমার জন্য একটা গান গাও
-আমি কারোর জন্য গান গাইতে পারবো না

আবেগের কিছু বন্ধু ও এসে রিকোয়েস্ট শুরু করলো

-ঠিক আছে গাইবো ।কিন্তু আমার পছন্দ মতো

আবেগ মাউথ নিয়ে বলা শুরু করলো

-আজ আমি গান গাইবো ।এই গানটা আমি তার জন্য ডেডিকেটেড করলাম যে হবে আমার অনুভূতি

নোভা ভাবছে আবেগ ওর জন্য গান গাইছে।আর রিদিতা অনেক খুশি আজ অনেক দিন পর আবেগের গান শুনবে

আবেগ শুরু করলো

——chod diya woh raasta
Jis raaste mein tum the rojre
Tod diya o ayna
Jis ayneme
Tera cehra deke
……….
,,,,,,,,,,,,,
,,,,,,,,,,,,,,
Mein seher me tere
Ha roj ghurno
Muje apna koie na mila
,,,,,,,,,,,,,,(chod diya-arijit singh)

(গানটা আমার মুখস্থ না ।ভুল হলে সরি)

চলবে——

#LOVE❤

part:10
Writer:Suvhan Årag(ছদ্মনাম)

আবেগ গান শেষে নিজের চোখের কোন থেকে পানিটা মুছে নিল

রিদিতার সেদিকে খেয়াল নেই।রিদিতার শরীরটা আরো খারাপ লাগছে।রিদিতা একটা টেবিল এর গা ঘেষে দাঁড়ালো ।কোথাও তো বসার জায়গা নেই

-আল্লাহ্ আর কিছুক্ষণ।বাড়ি যাওয়ার পর যা করবার কোরো।আল্লাহ্

দিশা রিদিতা র দিকে এগিয়ে এলো

-রিদি তোর কি খারাপ লাগছে
-না ।তেমন না।তুই এনজয় কর
-না আমি তোর কাছে দাঁড়িয়ে থাকি।এই নে।জুস খা দেখ ভালো লাগে কিনা
-হুম

রিদিতা জুস একটু মুখে নিলো

সবাই প্রস্তুত ।নোভা তো খুশীতে যায় যায় অবস্থা ।কারণ এখন রিং বদল হবে।আগে আবেগ তারপর নোভা দুজন দুজনকে রিং পরাবে

আবেগ রিং টা হাতে নিয়ে নোভার হাতে পরাতে যাবে।তার আগে ভেজা চোখে রিদিতা র দিকে তাকালো

এইদিকে রিদিতা র চারিদিক অন্ধকার হয়ে আসছে।হঠাত্ করে হাত থেকে জুসটা পরে গেল।তার শব্দ এ সবাই রিদিতা র দিকে তাকালো।সাথে সাথে রিদিতা ও জ্ঞান হারালো

এই দৃশ্য দেখে আবেগের হাত থেকে রিংটা পরে গেল।আর নোভাকে পরাতে পারলো না সেই রিং

-রিদিতাআআআ

কয়েক ঘন্টা পর

সবাই চলে গেছে।দিশা রিদিতা কে নিয়ে আবেগদের ড্রয়িং রুমে বসে আছে।নোভা রাগে শেষ।আবেগ এর মা বাবা নোভা র বাবা সবার একি অবস্থা ।রিদিতার ঐ অবস্থা দেখে আবেগ ওকে কোলে নিয়ে ড্রয়িং রুমে নিয়ে আসে।সাথে ক্যানসেল করে দেয় এনগেজমেন্ট

রিদিতার জ্ঞান ফিরছে।চোখ খুলছে

-রিদি আসতে ওঠ।আসতে
-দিশা আমি এখানে,,,,

নোভা তো ফুঁসছে

-তুমি কেন এখানে বুঝতে পারছো না ।আমাদের এনগেজমেন্ট ক্যানসেল করার জন্য এই প্ল্যান করলে।শয়তান মেয়ে

আবেগ রিদিতার থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে আছে।রিদিতার জ্ঞান ফিরে দেখে আবেগের যেন দেহে প্রান এলো

আবেগের মা গিয়ে রিদিতা কে টেনে তুলে কষে থাপ্পড় মারলো।ঘটনাটি দেখে সবাই স্তব্ধ

-শয়তান নষ্টা মেয়ে ।আমার ছেলে র জীবন নষ্ট করে তোর শান্তি হয় নি।এখানে ও চলে এসেছিস তুই।নোভা তুই আগে কেন আমাকে বলিস নি যে এই মেয়ে এখানে আছে

নোভা তো কান্না শুরু করে দিয়েছে

-মামোনি আমিতো ভেবেছিলাম এই মেয়ে কে দিয়ে আমাদের বিয়ে র কাজ করিয়ে তারপর একে বের করে দেব।কিন্তু এই মেয়ে যে এতো বড় নাটক করবে সেটি ভাবতে পারিনি

আবেগ দূর থেকে দাঁড়িয়ে সবই দেখছে।কিন্তু কিছু বলছে না

-যদিও আমি চাইছিলাম যেন এনগেজমেন্ট না ক্যানসেল হয়।কিন্তু তুমি যে এভাবে নাটক করবে আমি ভাবিনি।আমি জানি এটাও তোমার নাটক(মনে মনে)

রিদিতা এবার মুখ খুলল

-আজ আপনি বয়সে বড় বলে আপনাকে কিছু বললাম না।নাইলে আপনাকে,,,,

আবেগের মা আবার রিদিতা কে মারতে গেল

-কি করবি তুই দেখি,,,,

রিদিতা মহিলা র হাত ধরে জোরে মোচড় দিল

-আআআ

আবেগ মায়ের চিত্কার শুনে এসে রিদিতা র হাত থেকে ওর মায়ের হাত ছারিয়ে রিদিতা কে কষে এক থাপ্পড় মারলো

রিদিতার চোখের পানি আর বাধ মানলোনা।শেষমেশ যে আবেগ তাকে মারবে এটা ভাবতেই পারেনি

-আবেগগগ,,,,,
– তোমার সাহস হয় কি করে আমার মার হাত ধরার।মা তো ঠিকই বলেছে এসব তোমার নাটক
-আমার নাটক,,,
-হ্যাঁ

রিদিতা র বুকে যেন কেউ সুই ফোটাচ্ছে ।আবেগ যে তাকে এতটা খারাপ ভাবে তা জানা ছিল না।চোখে র পানি মুছে নিল।কারণ তার প্রতিবাদ তাকেই করতে হবে

-স্যার আমি আপনার কাছে সকালেই ছুটি চেয়েছিলাম কিন্তু আপনিই দেননি।আর কোন নাটক না।আমার শরীর ভালো না তাই হয়তো মাথা ঘুরে পরেছি।আর হ্যাঁ আপনার মা ঐ মহিলা কে বলে দেবেন যে তার কোন অধিকার নেই আমার গায়ে হাত তোলার।উনি তো আমাকে নষ্ট আ বললেন।আসল নষ্ট আ কে তা আপনার মাকেই জিজ্ঞাসা করুন
-রিদিইই
-চেচাবেন না।আপনার চেচানো শোনার জন্য আমি বসে নেই।আর হ্যাঁ চাকরি নিজের যোগ্যতা তে পেয়েছি।কারোর কুলাঙ্গার কাপুরুষ ছেলের জন্য নয়
-রিদিইই
-আজ যেই চড় আপনি আমাকে মারলেন।একদিন এই চড়টার জন্য ই আপনার আফসোস করতে হবে।দিশা চল

রিদি দিশাকে নিয়ে চলে গেল

নোভার বাবা তো আবেগের প্রতি খেপেছে

-আবেগ আমি তোমার কাছে অনুমতি নিয়ে ই এই বিয়ের আয়োজন করেছি।এখন যদি তুমি কথা ঘোরাও তোমাকে আমি ছারব না
-আপনি চিন্তা করবেন না।নোভাকে আমি আবেগের বৌ করবো
-ঠিক আছে ভাবি

নোভা গিয়ে কাঁদতে কাদতে আবেগের সামনে দাঁড়ালো

-আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি আবেগ অনেক

নোভা চলে গেল

বাড়িতে ফিরে

-রিদিতা স্যার কে হয় তোর বল আমাকে
-,,,,,
-কি হলো বল।তুই তো আমাকে আগে বলিসনি এই কথা।যে স্যার ই তোর আবেগ
-হ্যাঁ স্যার ই আবেগ।আমার আবেগ।যাকে আমি ভালোবাসি যে আমার সন্তান এর বাবা
-কিহহহ
-হ্যাঁ
-রিদি আজ আমি সব শুনতে চাই।তুই অজ্ঞান হওয়ার পর স্যার যেভাবে ছটফট করছিল তাতে মনে হয় না যে তোকে ঘৃনা করে।কি এমন হয়ে ছিল যার জন্য তোর আর স্যার এর ভালোবাসা আজ এইভাবে পরে আছে
-শুনতে চাস
-হ্যাঁ চাই
-শুন তাহলে আবেগ আর রিদিতা র গল্প

আমি তখন অনার্স ফাসর্ট ইয়ার এ ন্যাশনাল ভারসিটিতে পরি।হঠাত্ কলেজ থেকে বাড়ি ফিরে শুনি আমাকে কারা দেখতে আসবে

ছোট বেলা থেকে মা বাবা আমাকে পছন্দ করেনা।কারণ মা বাবা ছিল অনেক সুন্দর ।যেন ফিল্ম এর হিরো হিরোইন ।বড় আপু যখন হয় তখন মা বাবা খুশি ছিল।কারণ তাদের প্রথম সন্তান ।আপু ও অনেক সুন্দর ঈ।আপু আমাকে খুব ভালো বাসতো ।আমরা দুই বোন।আমি ছোট বেলা থেকেই দেখতে খারাপ তারপর আপুর মতো পড়াশোনা তেও ভালো না।বড় হয়ে হয়তো চেহারা একটু ভালো হয়েছে।তারপর বাবা মার অনেক শখ ছিল যেন একটা ছেলে হয়।কিন্তু আমি ছিলাম মেয়ে ।তাতে ও আক্ষেপ ছিল না।বাবা আপু আমাকে ভালো বাসতো ।কিন্তু মা সবসময় খারাপ ব্যবহার করতো।আপুকে সবসময় আগলে রাখতো ।কোন কাজ করতে দিত না।আমাকে দিয়ে সব করাত।আপু যখন ক্লাস টেনে পরে তখনই তার বিয়ে হয় অনেক বড়লোক পরিবার এ।ভাইয়া এখন আর্মির একজন মেজর।আর আমার বয়স বাড়ে কিন্তু তেমন কোন সম্বন্ধ আসে না ।আসলেও গায়ে র রঙ চাপা পড়াশোনা ভালো না বলে চলে যায়

এঐদিন আবেগ ওর মা বাবা আমাকে দেখতে আসে।আবেগের নাকি কথা ছিল ওর কোন বড় ঘরের মেয়ে পছন্দ নয়।ছিমছাম ধার্মিক মেয়ে চাই

ওদের সামনে গেলে আবেগের বাবা আমাকে পছন্দ করে ফেলে।আবেগের মা কোন কথা বলেনি।ওনার মুখ দেখে বুঝেছিলাম হয়তো আমাকে পছন্দ হয় নি।কিন্তু আবেগ এর বাবা র ওপর কিছু বলতেও পারছেন না

আবেগ আর আমাকে আলাদা কথা বলতে পাঠানো হয় ।কথা আবেগি আগে শুরু করে

-নাম রিদিতা তাই তো
-হুম
-আমি কিন্তু ও তো বড় নাম বলতে পারবো না রিদি বলেই ডাকবো

আবেগের কথা শুনে অনেক অবাক হই।তারপর আবেগকে প্রথম ভালোভাবে দেখি আর প্রথম দেখাতেই যেন ভালোবেসে ফেলি।এত সুদর্শন পুরুষ

-উহহহম।হা হয়ে দেখবেন না।মাছি ঢুকে যাবে

আমি লজ্জা পেয়ে যাই ওর কথাতে

-আমার নাম জানো
-না
-আবেগ।আচ্ছা সব তো আমি বলছি।তোমার কিছু বলার নেই
-আপনি আমাকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছেন কেন

আমার প্রশ্ন শুনে আবেগ হাসা শুরু করে

-আমি হাসার কি বললাম
-আচ্ছা তোমার কেন এই প্রশ্ন মাথা তে আসলো
-আসবেই তো।আমি দেখতে আপনার মতো না।পড়াশোনা তেও ডাববা ।তারপর,,
-তোমার চোখ তোমার নাকের পাশের তিল ওটাই আমাকে প্রেমে ফেলেছে।আর চেহারা ই সব নয়।উঠি আজ।বিয়ে র দিন দেখা হচ্ছে

এরপর ধুমধাম করে আমাদের বিয়ে হয়

বিয়ে র দিন আমার মা আমাকে বলে

-যা বড়লোক ভেগিয়েছিস দেখ সংসার করতে পারিস কি না।কি দেখে যে ঐ ছেলে তোকে পছন্দ করলো কে জানে

সেদিন মা র কথা শুনে অনেক কষ্ট লেগেছিল

চলবে——

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে