Khatarnak Isq Part-10

0
1801

#Khatarnak_Isq.[Impossible Love]
#Sumaiya_Moni.
#Part_10.
_______________________
প্রতিটা চ্যানেলে।খবরের কাগজে কাল রাতের ঘটনা ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনা স্থানে পুলিশ কর্মকর্তারা কাউকেই এলাউ করছে না। কে বা কারা পুরো পরিবাবের লোকদের এমন নির্মম ভাবে খুন করেছে তদন্ত করছে পুলিশ। কিন্তু তাঁদের ধারণা এই খুন কোনো মানুষের দ্বারা করা সম্ভব নয়। জন্তুজানোয়ার করেছে। যেহেতু তারা জঙ্গলের পাশেই বসবাস করতো।

আলফি আগের চেয়ে অধিক পরিমাণে চিন্তিত! সারাটা রুম জুড়ে পায়চারি করছে। পাশের সোফায় ইয়ান বসে ছিল।তার চোখেমুখে লেপ্টে আছে চিন্তার ছাপ। জিনান কাগজ হাতে নিয়ে আলফির রুমে প্রবেশ করে বলল,
-“দেখেছো এগুলো কি? আজ, কি দিন দেখতে হচ্ছে আমাদের। কিভাবে তারা মানুষদের হত্যা করছে। একবার দেখো ভালো করে।” বলেই পেপারের কাগজ ছুঁড়ে মারল মাটিতে।

ভীষণ রাগ হচ্ছে জিনান রহমানের। আলফি ধপ করে বিছানায় বসে পড়ে। এখন কী করা উচিত বুঝতে পারছে না আলফি।

-“এভাবে বসে থাকলে হবে না আলফি। আরলেন কে মারতে হবে।”রেগে বললেন জিনান।

আলফি চুপ……।

-“কী বলছি তুমি কী শুনতে পেয়েছো?” কিছুটা ধমকের স্বরে বলে জিনান।

আলফি অগ্নিশর্মার মতো দাঁড়িয়ে বলে,
-“আজই শেষ করবো এলেনকে!ওর মৃত্যু আমার হাতেই হবে।” কথাটা শুনে ইয়ান ও জিনান রুম থেকে বেরিয়ে যায়। আলফি সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে চোখ বন্ধ করে রাগ নিয়ন্ত্রণে আনছে।
.
.
ভ্যাম্পায়ার কিংডম……….

-“এগুলো হবে,আমি আগেই জানতাম।স্যাম নেকড়েদের সাথে মিলে এমনটা করছে যাতে শাহজাদীর ভুল ধারণা হয়,আমরা এসব করছি।” কিং এবিল হুংকার দিয়ে বলে।

এলেন,এরোন,ইয়াঙ্ক পাশে বসেছিল। ভ্যাম্পায়ার সদস্য রা সামনে দাঁড়িয়ে কথা শুনছিল।

-“কিভাবে স্যামকে খুঁজছো তোমরা! এত বড় তান্ডব বাঁধিয়ে স্যাম নিশ্চই চুপ করে থাকবে না। অন্য প্লান অবশ্যই ভাবছে। আর এদিকে! শাহজাদী কায়রা কী করছে কোনে খবর পাচ্ছি না। তাকেও খুঁজে বের করতে পারোনি তোমরা।”

সবাই চুপ করে কিংয়ের কথা গুলো শুনছে। কারো মুখে কোনো কথা নেই।

-“খোঁজ করো! ভালো করে খোঁজ করো তোমরা। স্যামকে না মারলে আমাদেরি বিপদ হবে। জ্বীন রাজ্য আমাদের আয়াত্তে আসবে না। পাবো না জ্বীনি তলোয়ার।”

-“তার কোনো দরকার নেই ড্যাড! জ্বীনদের রাজ্যে আক্রমণ করার স্বপ্ন ছেড়ে দেও। তাঁদের কে তাঁদের মতো থাকতে দেও।জ্বীনরা যখন আমাদের ক্ষতি করছে না। তখন আমরা কেন তাদের ক্ষতি করতে যাব।” ফোনের দিকে তাকিয়ে কথা গুলো বললো এলেন।

এলেনের কথা গুলো শুনে কিং অবাক হয়। শুধু কিং নয়। কোষাগারে উপস্তিত সব ভ্যাম্পায়ার রা অবাক হয়। সবার নজর এলেনের দিকে। কিং এবিল এলেনের দিকে তীক্ষ্ণ নজরে তাকিয়ে বলে,
-“আরলেন! তুমি কী হুঁশে আছো? কী বলছো এসব?”

এলেন বসা থেকে ওঠে দাঁড়িয়ে দু পা হেঁটে ভ্যাম্পায়ার সদস্যদের সামনে দাঁড়িয়ে চিল্লিয়ে বলে,
-“আজ থেকে জ্বীন ও মানুষের কোনো ক্ষতি আপনারা কেউ করবেন না। আমরা যেমন আমাদের প্রিয় মানুষদের নিয়ে বসবাস করি। তারাও তাঁদের প্রিয় মানুষ,আত্মীয়-সজনদের নিয়ে বসবাস করে। তাঁদের যদি কারো মৃত্যু হয় বা কোনো ক্ষতি হয়। তাহলে তাঁদের ঐ পরিবারের কী হবে ভেবে দেখুন একবার।আমরা অনেক মানুষের রক্ত খেয়েছি। জ্বীনদের দেখলেই হত্যা করেছি। অথচ,আজ পর্যন্ত জ্বীন ও মানব জাতি রা কেউ আমাদের কোনো ক্ষতি করেনি। কারণ,তারা আমাদের মতো পাথরের দিলের দালাল নয়। তাঁদের মধ্যে মানবতা,মনুষ্যত্ববোধ আছে। যেটা আমাদের মধ্যে নেই। আজকের পর থেকে কোনো নিরীহ মানুষ, জ্বীন বা অন্য কোনো প্রজাতি লোকদের কোনো ক্ষতি করার চেষ্টা করবেন না। নিজেদের রক্তের পিপাসা জন্তুজানোয়ার,পশু-পাখী দের রক্ত খেয়ে মিটাবেন। আপনাদের দ্বারা যদি কারো ক্ষতি হয় তাহলে এই প্রিন্স আরলেন তাঁর মৃত্যু দিয়ে ক্ষতি পূরণ করবে। মাইন্ড ইট!”

কথাটা বলে এলেন হন হন করে রাজ কোষাগার থেকে বের হয়ে যায়। সবার চোখেমুখে অন্যরকম খুশির ঝলক প্রকাশ পাচ্ছে। এলেনের ডিসিশনে এরোন, ইয়াঙ্ক হ্যাপি। কিন্তু কিং হ্যাপি হতে পারছেন না। তার মনে এলেনের প্রতি ভয় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জমাট বাঁধছে। হঠাৎ করে এলেনের পরিবর্তনে তিনি বিপদের লক্ষ্মণ টের পাচ্ছেন।
.
.
-“আমার কাজ সফল হয়েছে। শাহজাদী কায়রা ঠিক প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছে। ভ্যাম্পায়ার দের উপর তিনি প্রতিশোধ নিবেই। এটাই তো চেয়েছিলাম আমি। ” কথাটা বলে জোরে জোরে হাসতে লাগল স্যাম।

নেকড়ে রাও তাঁর কথায় খুশি হয়।নেকড়েদের কোনো রাজা ছিল না। আজ থেকে স্যাম তাঁদের রাজা। নেকড়ে রা সবাই স্যামকে রাজা হিসাবে মেনে নিয়েছে।

-“শোনো সবাই? রাতে সবাই বের হবে শিকার করতে। মানুষদের মেরে খেয়ে ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে আসবে। যাতে কেউ বুঝতে না পারে একাজ তোমরা করেছো।”

সবাই স্যামের কথায় সহমত হয়। বেশ খুশি হয় আগের মতো আর ভয় ভয় থাকতে হবে না। নতুন রাজাকে পেয়ে সবাই হৈ-হুল্লোড়ে মেতে ওঠে।
___________________
গভীর রাত। কোলাহল বিহীন রাতের আকাশটা বেশ স্বচ্ছ লাগছে। আকাশে আজ বড় কাঁসার থালার মতো চাঁদ ওঠেছে। ফকফকা চারদিক। একদিন হলো আলফির সাথে দেখা হয়না এলেনের। আর যাই হোক আলফির কাছ থেকে দূরে থাকা অসম্ভব। জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে আর কথা গুলো ভাবছে। এলেন ধীরে ধীরে হাঁটছিল।বাতাসের গতিতে দৌড় দিতে যাবে তখনি কারো পায় এসে বুকের মাঝখান বরাবর লাগে। দূরে ছিটকে পড়ে এলেন। গাছের সাথে পিঠে ধাক্কা লাগে। এলেন বুকে ও পিঠে ব্যাথা অনুভব করছে। এমন ভাবে কে ওঁকে ধাক্কা দিল সেটা দেখার জন্য এলেন বাতাসের বেগে দৌড় দিয়ে আসতে নিলেই ফের কেউ ওর পিঠে লাথি মারে। এলেন একটি মোটা গাছের ডালের সাথে বারি খেয়ে মাটিতে উপুড় হয়ে পড়ে যায়। ডান হাতের উল্টো পিঠে গাছের ডাল গেথে যায়। যার কারণে বড় ক্ষত সৃষ্টি হয়। সেই ক্ষত স্থান থেকে চুই চুই করে রক্ত ঝড়ছে। এলেন বুকে হাত রেখে ওঠে দাঁড়ায়। হাতের দিকে তাকিয়ে দেখে রক্ত বের হচ্ছে।

এলেন বাম হাত ক্ষত স্থানে রাখতেই ক্ষত সেরে যায়। এলেন চারদিক তাকিয়ে খুঁজতে থাকে কে ওঁকে সামনে ও পেছন থেকে আঘাত করছে। কিন্তু অবাক করার বিষয় এলেন কাউকে দেখতে পাচ্ছে না। চোখ লাল হয়ে যায় এলেনের। হঠাৎ ঝড়ের বেগে একটি গাছের টুকরো উঁড়ে এসে মাথায় লাগে। এলেন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ব্যাথায় কপাল কুঁচকে ফেলে এলেন। ওঠতে নিলে উঁড়ে এসে একটি সাদা পালক এলেনের পাশে পড়ে। এলেন পালকটির দিকে তাকিয়ে হাতে ওঠিয়ে নেয়। বুঝে যায় এটা কার এবং কিসের পালক। এলেন পালকটি হাতে নিয়ে জোরে চিৎকার করে বলে,
-“শাহজাদী কায়রা! আড়াল থেকে আঘাত না করে সামনে আসুন। মোকাবেলা করুন আমার সাথে।”

এলেনের কথাটা শেষ হতে না হতেই জোরে জোরে বাতাস বইতে থাকে চারদিক। বাতাসে ডাল-পালা ভেঙে পড়ছে। গান নইয়ে নইয়ে যাচ্ছে। এলেন চোখ মেলে রাখতে পারছে না। এক হাত দিয়ে চোখ ডেকে ফেলে। তখনি এলেনের সামনে থেকে বড় পাখা আলা সাদা রঙের গাউন পড়া একটি মেয়ে নেমে এলো। মেয়েটির শরীর থেকে এক অদ্ভুত আলো ছড়াচ্ছিল। যার কারণে চারদিক চাঁদের আলোর চেয়ে বেশি আলোকিত হয়ে ওঠেছে। এলেন চোখের উপর থেকে হাত সরাতেই কিংকর্তব্যবিমূঢ়, অবাকের শীর্ষে পৌঁছে গেছে। শাহজাদী আর কেউ নয়,আলফি!
আলফি মনের মধ্যে রাগ-ক্ষোভ নিয়ে তাকিয়ে আছি এলেনের দিকে। মনে হচ্ছে চোখের দৃষ্টিতে ভষ্ম করে দিবে এলেনকে।

এলেন হাত সামনের দিকে তুলে নরম ভঙ্গিতে বলে,
-“আ…আলফি!”

-“হ্যাঁ! আমি শাহজাদী কায়রা। যাকে তোরা হন্য হয়ে খুঁজছিস।” হুংকার দিয়ে কথাটা বলেই আলফি এলেনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। পাখা ভেতরে নিয়ে জোরে জোরে আঘাত করতে থাকে।
এলেনের নাক দিয়ে কালো রক্ত বের হচ্ছে।
আলফির তাতে কিচ্ছু যায়-আসে না। হাত মুঠ করে নাকে,মুখে,বুকে আঘাত করতে থাকে। জোরে জোরে লাথি মেরে গাছের উপর ফেলে। এলেনের গাল,মুখ শরীরের অনেকটা অংশ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। আলফির রাগ সান্ত হয়নি। আরো মারছে এলেনকে। এলেন শুধু তাঁর ভালোবাসার মানুষটিকে নয়ন ভরে দেখছে। এ দেখা যেন শেষ হবার নয়।
এত মারছে তারপরও এলেনের মুখ থেকে কোনো শব্দ বের হচ্ছে না। নরম ভঙ্গিতে তাকিয়ে আছে আলফির দিকে। আলফি মেরে মেরে রক্তাক্ত করে ফেলেছে এলেনকে। লাস্টের দিকে আলফি এলেনকে ধাক্কা মেরে গাছের সাথে ঠেস দিয়ে ধরে।
হাত নিচের দিকে নামিয়ে জ্বীনি তলোয়ার এনে এলেনের বুকে গেথে দিতে যাবে তখনি আলফির নজর পড়ে এলেনের নীল চোখ জোড়ার উপর। আলফি থমকে যায়। এলেনের চোখের দিকে তাকিয়ে হারিয়ে গেছে অন্য জগতে। চোখ সরাতে পারছে না এলেনের চোখের দিক থেকে।

নজর বন্দি হয়ে যায় এলেনের নীল চোখের উপর। আলফির আগের কথা মনে পড়ে যায়। কিস,জড়িয়ে ধরা,এলেনের দুষ্টুমি,হাসি। হাত কাঁপছে আলফির। নিমিষেই হাতের তলোয়ার উধাও হয়ে যায় হাত থেকে। এলেনের প্রচুর কষ্ট হচ্ছে তবুও,আলফির এমন কাণ্ডে এক চিতলে হাসি ফুটে ওঠে ঠোঁটে। আলফি জোরে জোরে নিশ্বাস টেনে পিছিয়ে যাচ্ছে। কেন জানি বুকের মাঝে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে। চোখ জোড়া টলমল করছে। রাগের মাথায় অনেকটা আঘাত করেছে এলেনকে। যেটা দেখে আলফির রূহ কাঁপছে। আলফি আর দাঁড়িয়ে না থেকে ঘায়েব হয়ে যায়। এলেন এটা দেখে হাসে। হেসে হেসে লুটিয়ে পড়ে মাটিতে। প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছে।নিজের শরীরের ঘাঁ ঠিক করা সম্ভব নয়।

তখনি সেখান থেকে একজন নেকড়ে যাচ্ছিল। এলেনকে মাটিতে পড়ে গোঙাতে দেখে নেকড়েটি খুশি হয়। এলেন কে মারার এ সুযোগ হাত ছাড়া করতে চায় না নেকড়েটি। হাতের ধারালো নখ দিয়ে এলেনের পিঠে আঘাত করতে যাবে তখনি এরোন সেখানে উপস্থিত হয়। রূপ পাল্টে নেকড়েটিকে মারতে থাকে, অনেক মারে। এক পর্যায় নেকড়েকে দু ভাগ করে দূরে ছুঁড়ে মারে। স্বাভাবিক রূপে ফিরে এসে এলেনের কাছে আসে।

-“দোস্ত,কিভাবে হলো এসব? কে করেছে?”

এলেনের মুখ দিয়ে কোনে কথা বের হচ্ছে না। শুধু চোখের ইশারায় মাইন্ড পড়তে বলে। এরোন নীল আলোর রশ্মি ছুঁড়ে দেয় এলেনের দিকে। মাইন্ড পড়ে ফেলে এলেনের। এরোন অবাক হয়ে যায়। আলফি শাহজাদী কারয়া এটা দেখে। এলেন ইশারায় এরোনকে ওর মাইন্ড ডিলেট করতে বলে। আর না হলে কিং এবিল মাইন্ড পড়ে বুঝে যাবে কে করেছে ওর এমন অবস্থা। এরোন এলেনের মাইন্ড ডিলেট করে দেয় বুকে হাত দিয়ে। এলেন নিশ্চুপ হয়ে যায়। এরোন এলেনকে পাঁজরা কোলে নিয়ে বাতাসের বেগে ভ্যাম্পায়ার কিংডমে ফিরে আসে।
রিচুয়াল কক্ষে এলেনকে রেখে কিং এবিল কে দ্রুত ডেকে নিয়ে আসে। এবিল এলেনের এমন অবস্থা দেখে থমকে যায়। তার মনের ধারণা সঠিক হয়। বিপদ এলেনের উপরে দিয়েই গেছে।

-“কে করল এটা? আরলেন? মাই সন কথা বলো?” অস্থির হয়ে এলেনকে ডাকছেন।

-“এটা বলার সময় নে কিং। এলেনের চিকিৎসা শুরু করুন। অবস্থা অনেক খারাপ এলেনের।”

-“হ্যাঁ,হ্যাঁ… আমি রেড বুক বের করছি তুমি সব ব্যাবস্থা করো। ইয়াঙ্ক এসো আমার সাথে।” দ্রুত তারা পাশের দেয়ালের সামনে এসে দাঁড়ায়। এরোন এলেনের শার্ট খুলে ফেলে। পাশে ছোট ছোট মোমবাতি দিয়ে সাজাতে শুরু করে।

এবিল ছোট্ট ছুঁড়ি দ্বারা হাতের আঙুল কেটে একটি গর্তে ফেলে। সাথে সাথে খটখট আওয়াজ তুলে পাথরের দরজা খুলে যায়।বেরিয়ে আসে একটি রেড বুক। এবিল বুকটি বের করে আরো এক রক্তের ফোঁটা বইয়ের উপর ফেলে। সঙ্গে সঙ্গে রেড আলো ছড়িয়ে বইটি খুলে যায়। গম্ভীর কন্ঠে কেউ কথা বলে ওঠে বইয়ের ভেতর থেকে।

-“কেন ডেকেছিস আমায়? কি হয়েছে বল শুনি?”

-“ফাদার এলেনের অবস্থা অনেক খারাপ। আপনি প্লিজ এলেনকে সুস্থ করে দিন।” করুন স্বরে বলে কিং এবিল।

-“এটা তো হবারি ছিল। তোর কুকর্মের ফল আজ তোর ছেলে পেয়েছে।”

-“আমি জানি! তাই আমি আগের সব অন্যায় মেনে নিলাম। আপনি শুধু আমার ছেলেকে ভালো করে দিন। আগের মতো করে দিন ফাদার।আমি আপনাকে কথা দিচ্ছে,মানুষ ও জ্বীনের কোনো ক্ষতি আমি করব না।”

-“শুধু তাদের নয়! কারো ক্ষতি করে তুই সুখে থাকতে পারবি না। প্রকৃতি তার প্রতিশোধ নিয়েই নিবে। এটাই নিয়ম। যেটা এখন তোর ছেলের উপর দিয়ে গেছে। ”

-“ফাদার মাফ করে দিন। আমি আর কোনো খারাপ কাজ করবো না। দয়া করুন ফাদার! দয়া করুন।”

-“বেশ! আমি তোর ছেলেকে ঠিক করে দেবো। কিন্তু আরলেন সাধারণ ভ্যাম্পায়ার থাকবে না। ভ্যাম্পায়ার মন্সটার হয়ে যাবে। অধিক পরিমাণ শক্তিশালী হবে। যার শক্তির কাছে বড় বড় শক্তিও হার মানতে বাধ্য হবে।”

-“ফাদার আপনি যা কারার করুন শুধু আরলেনকে ঠিক করে দিন।” হাত জোর করে বলে কিং।

-“ঠিক আছে।” কথাটা বলে ফাদার এলেনের বুকে লাল রশ্মি ছুঁড়ে দেয়। এলেন ছটফট করতে থাকে। সারা শরীর লাল বর্ন ধারণ করে এলেনের। শরীরের রগ সব ফুলে ওঠছে। জলন্ত মোমবাতি গুলো দুপ করে নিভে যায়। রুমটির ভেতরে বাতাস বইতে থাকে।
.
.
আলফি বাসায় এসে বিছানার নিচে বসে কান্না করতে থাকে। কেন? কী কারণে কান্না করছে আলফি সেটা জানে না। শুধু এলেনের ক্ষতবিক্ষত শরীরের কথা মনে পড়তেই অটোমেটিক চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়ছে। নিজের প্রতি রাগ,ঘৃণা জন্মাচ্ছে। কেন? করণ নেই কোনো।
.
.
.
.
.
.
Continue To…….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে