Gangster In Love Part-07

0
3135

#Gangster In Love🖤🥀___A psycho love story””

#Writer; Tamanna Islam

#Part__ 07

আব্রাহাম গাড়িতে বসে যাচ্ছে। চোখে Sunglass, কানে Air pod,

আব্রাহাম; কোথায় ও?
ওপর পাশ; স্যার ওকে তো তুলে এনেছি। কিন্তু প্রচুর দেমাগ দেখাচ্ছে কোন ভাবেই কথা স্বীকার করতে চাচ্ছে না
আব্রাহাম; হাহা ওর ওই দেমাগ গুড়িয়ে দিতে আমার মাত্র কয়েক সেকেন্ড লাগবে। ওকে ধরে রেখো আমি আসছি।

এই বলে আব্রাহাম ফোন কেটে দিলো। আব্রাহাম মূলত একটি গোডাউনে যাচ্ছে। কিছুক্ষন পরে আব্রাহাম পৌঁছে গেলো,,,,,

সেই লোকটিকে একটি চেয়ারের সাথে বেধে রাখা হয়েছে। লোকটি ছটফট করছে ছুটার জন্য কিন্তু পেরে উঠছে না।

আব্রাহাম; আরে থাম থাম এতো তাড়া কিসের মাত্র তো আসলাম এখনই চলে যাওয়ার জন্য এতো কাতড়াচ্ছিস।
লোকটি; দেখ ভালো হবে না বলে দিচ্ছি। যেতে দাও আমাকে। আমাকে তুলে এনে কোন লাভ নেই কারণ আমার কাছ থেকে এমন কিছুই তুমি জানতে পারবে না যা তোমার কাজে আসে….(ছটফট করতে করতে)

আব্রাহাম; যদি না ই জানতে পারতাম তাহলে কি তোর মতো সামান্য একটা ক্ষুদ্র পিপড়ে কে তুলে আনতাম।

লোকটি; কি চাই তোমার?
আব্রাহাম; কিছু প্রশ্নের উত্তর,, তোর নাম রহিম মোহাম্মদ তাই না!
রহিম মোহাম্মদ(লোকটি); হ্যাঁ,
আব্রাহাম; তুই আশরাফুল আহমেদ এর খুবই বিশ্বাসি একজন তাই না?
রহিম মোহাম্মদ; হ্যাঁ, আর আমি মরে যাবো কিন্তু তবুও স্যার এর কিছু হতে দিব না (রেগে)
আব্রাহাম; হাহাহাহাহা,,, আরে তোর স্যার এর তো অনেক আগেই অনেক বড়ো ক্ষতি আমি করে ফেলেছি তার একমাত্র কন্যা কে তুলে এনে। আর তোর মরার দরকার নেই কিন্তু তোর বদলে যদি অন্য কেও মরে তো?
রহিম মোহাম্মদ; মানে কি, কি বলতে চাচ্ছো তুমি?
আব্রাহাম; বুঝলি না তাই তো, ওকে আমি বুঝাচ্ছি তোর ছেলে আইডিয়াল স্কুলে পড়ে রাইট! আর এখন তো ফেয়ার ও সময় হয়ে গেছে তাই না,, আর তোর স্ত্রী এখন তোর ছেলে কে আনতে যাবে ঠিক?! একবার ভাব তো যে এখন যদি তোর ছেলে কে খুজে না পাওয়া যায় তাহলে আর তোর স্ত্রীর যদি এক্সিডে……

রহিম মোহাম্মদ; ননা না ককি বলছো তুমি না না প্লিজ এমন কিছু করো না প্লিজ।। যা করার আমাকে করো প্লিজ তবুও আমার ছেলে- স্ত্রী কে ছেড়ে দাও ওদের কিছু করো না ওরা কিছুই জানে না (অনেক ভয় পেয়ে)

আব্রাহাম; ঠিক এমন, ঠিক এমন ভাবেই আমি আমার বাবা-মা,ভাই ভয় পেয়েছিলাম বার বার আল্লাহর কাছে দোয়া করছিলাম যেন আমরা safe ভাবে বেচে যাই কিন্তু কি হয়েছে জানিস আমার পরিবার টা পুরোপুরি এলোমেলো হয়ে গেছে আর তা তোর স্যার আর তোর জন্য হয়েছে একমাত্র তদের জন্য।।। সেই দিন যদি তোরা মিলে আমাদের বাসায় বোমা লাগিয়ে না আসতি তাহলে আমার মা আজ বেচে থাকতো আমাদের সাথে থাকতো আমার বাপি এভাবে ভিতর থেকে ভেংে পড়তো না ( রেগে আগুন হয়ে)

রহিম মোহাম্মদ; আআআমাকে ক্ষক্ষমা করে দাও।
আব্রাহাম; হাহা ক্ষমা, ক্ষমা নামক কোন শব্দ আমার ডিকশনারি তে নেই ,, সরি ক্ষমা তো তোকে আর তোর স্যার কে করতে পারবো না। এবার বল কেন আশরাফুল আহমেদ কে সাহায্য করেছিলি একটা নির্দোষ পরিবার কে মেরে ফেলে জন্য,, বল ( জোড়ে চিল্লিয়ে ধমক দিয়ে)
লোকটা হালকা কেপে উঠলো আব্রাহামের ধমকে, সে বলতে লাগলো

রহিম মোহাম্মদ; আমি অনেক আআগে থেথেকেই আশরাফুল স্যার এর সাথে কাজ করি রাজনীতি তে। কিন্তু স্যার একদিন তার ই বড়ো ভাই কে এবং তার ছেলে-স্ত্রী কে মারার জন্য আমাকে বেশ কিছু টাকা দেন এবং বোমা লাগিয়ে আসতে বলেন। আমি লোভে পরে যাই এবং বোমা লাগিয়ে আসি সবার মারা যাবার জন্য।

আব্রাহাম লোকটির কাছ থেকে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে কপালে Gun দিয়ে স্লাইভ করছিলো আর কথা গুলো শুনছিলো। কিন্তু শেষ কথা টা যেন ওর মাথায় বারি খেলো এবং কথাটি সহ্য করতে না পেরে দ্রুত পিছনে ঘুরে আব্রাহাম লোকটির ঠিক কপাল বরাবর shoot করে দেয়। সব bodyguard আব্রাহামের ভয়ে থর থর করে কাপছে কেও কোন কথা বলার সাহস পাচ্ছে না।

আব্রাহাম; রাশেদ, (অনেক চিল্লিয়ে+রেগে)
রাশেস; জজজি সস্যার,
আব্রাহাম; ঠিক ৫ মিন. এর মধ্যে এর লাশ কে এখান থেকে বিদায় করো এবং এই জায়গা দেখে যেন এমন লাগে যে এখানে কিছুই হয় নি
রাশেদ; ওওওকে স্যার।

এই বলে আব্রাহাম হন হন করে বেরিয়ে পড়লো এবং বলতে লাগলো…..

আব্রাহাম; আমার প্রিয় চাচাজান উরফে আশরাফুল আহমেদ চৌধুরী এবং আমার হবু শশুড়মশাই এতো সহজে তো তোমাকে আমি ছেড়ে দিব না।। আমি তোমাকেও হারে হারে বুঝাবো যে যখন নিজের কাছ থেকে তার প্রিয় মানুষ দূরে চলে যায় তখন তার কেমন লাগে। তোমার সব কালো কির্তী-কলাপ সবার সামনে আনবোই আর তাও খুব তাড়াতাড়ি। তোমার ধ্বংসের Count down শুরু চাচাজান ( বাকা হেসে)
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
অন্য দিকে আইরাত ঘরে এক কোণে চুপ করে বসে আছে আর চোখের পানি ফেলছে কি করবে কি না করবে সে ভেবে পাচ্ছে না.

আইরাত; নাহ এভাবে কিছুই হবে না আমাকে এখান থেকে দূরে পালিয়ে যেতে হবে,, কিন্তু কিভাবে কিভাবে ভাব আইরু ভাব কিছু একটা করতে হবে ঠান্ডা মাথায় ভাব আইরাত। Ideaaaaaaa (চিল্লিয়ে এক লাফ দিয়ে দাঁড়িয়ে) পেয়ে গেছি আমি পেয়ে গেছি। কিন্তু এর জন্য তো আমাকে বাইরে বের হতে হবে আর ওই সাইকো টা তো আমাকে পিছন দিক দিয়ে বন্ধ করে রেখে গেছে।

ঠিক সেই সময় আইরাত বিছানার দিকে তাকালো, তার মাথায় একটা শয়তানি বুদ্ধি এলো।

আইরাত; পেয়েছি,,

এই বলে আইরাত বিছানার চাদর দরজার একটা পর্দা একসাথে বেধে নিলো এবং জানালা দিয়ে ধীরে ধীরে বেয়ে বাইরে নেমে পড়লো কিন্তু এবার সে পড়লো আর এক বপদে সামনে তাকিয়েই দেখলো ইয়ায়ায়ায়ায়া বড়ো বড়ো দেহ ওয়ালা সব bodyguard রা দাঁড়িয়ে আছে আইরাত কিছুটা শুকনো ঢোক গিললো।।

আইরাত; আইরু আইরু ভয় পাস না,এখন ভয় একদমই পাওয়া যাবে না,, যা ই করিস প্লিজ ভালো ভাবে করিস কিছু উলটা পালটা যেন না হয় ( নিজের মনে মনে সাহস জুটিয়ে)

.
.
.
.
.
.
.
.
আইরাত; আআব আমি বাইরা যাবো ( bodyguard এর সামনে দাঁড়িয়ে)
Bodyguard; সরি ম্যাম, আমরা আপনাকে বাইরে যেতে দিতে পারবো না স্যার এর কড়া order
আইরাত; আরে কিছু হবে না আর আমি তোমাদের স্যার এর কাছ থেকে already permission নিয়ে নিয়েছি
Bodyguard; No mem. Sorry we can’t let u go from here…
আইরাত; আরেএএ আমি বলছি না যে আমি তোমাদের স্যার এর কাছ থেকে পারমিশন নিয়ে নিয়েছি আর আমাকে যেতেও বলেছে তার পরেও তোমারা আমার কথা অমান্য করছো। ভাবতে পারো এর ফলে কি হবে (কিছুটা রেগে চিল্লিয়ে)
Bodyguard; ok mem wait,, তাহলে আমরা আগে একটু স্যার এর কাছ থেকে শুনে নেই (এই বলে বডিগার্ড আব্রাহাম কে ফোন করতে গেলো)
আইরাত মনে মনে; এএমা যদি এই লোক টা এখন ওই সাইকো কে ফোন দিয়ে সব বলে দেয় তাহলে তো নির্ঘাত ফেসে যাবো আর তারপর ওর পাগল টা যে আমাকে কি করবে,, না যে করেই হোক আমাকে আটকাতে হবে।

আইরাত; এই এই না,, তোমার স্যার একটি খুবই দরকারি কাজে গেছেন ওনাকে এখন আর ফোন দেয়ার দরকার নেই নইতো তিনি রেগে যেতে পারেন। আর আমি বলছি তো যে আমি পারমিশন নিয়ে নিয়েছে আমাকে এখন ভালোই ভালোই যেতে দাও বলছি।

দুটো Bodyguard একে অন্যের দিকে তাকাতাকি করছে, আসলে তারাও দোটানা তে পরে গেছে যে যেতে দিবে কি দিবে না।

আইরাত; কি হলো কথা কানে যায় না নাকি, যেতে দাও

অবশেষে Bodyguard রা আর আইরাতের সাথে কথা কাটাকাটি না করে আইরাতকে যেতে দিলো। আইরাত যেন হাফ ছেড়ে বাচলো। আইরাত এক দৌড়ে গেটের অপর পাশে এসে পড়লো। এক লম্বা নিঃশ্বাস ছাড়লো। কিন্তু পরক্ষনের আইরাতের মনে হলো যে তার কাছে তো কোন টাকা নেই সে তার বাড়িতেই বা যাবে কিভাবে, রাস্তা-ঘাট ও তো সে ভালো ভাবে চিনে না তাহলে। আইরাত এইবার হুট করেই পিছনে তাকালো দেখলো Bodyguard রা এখনো সেই মূর্তির মতো দাড়িয়ে আছে। আইরাত আবার bodyguard দের কাছে গেলো,, গিয়ে বলতে লাগলো………

আইরাত; এই শুনো
Bodyguard; জি ম্যাম বলুন
আইরাত; তোমাদের কাছে টাকা হবে?

আইরাতের এমন উদ্ভট প্রশ্নে Bodyguard একদম বোকা বনে গেলো। অবাক হয়ে সে অন্য আর এক bodyguard এর দিকে তাকিয়ে আছে।

আইরাত; আরে কি হলো বলো আছে? আসলে হয়েছে কি আমার কাছে না কোন ভাংা টাকা নেই তো তার জন্যই আর কি তোমাদের স্যার আসলে আমি তার কাছ থেকেই নিয়ে তোমাদের দিয়ে দিবো।

Bodyguard; না ম্যাম, তার কোন দরকার নেই কিন্তু আপনার টাকার কি দরকার আপনি স্যার এর গাড়ি নিয়ে যেতে পারেন… চাইলে আমি ড্রাইভার কে বলে দিচ্ছি সে আপনাকে নিয়ে যাবে আপনি যেখানে যেতে চাইবেন।

আইরাত; আরে না না তার কোন প্রয়োজন নেই আমি বরং একাই চলে যেতে পারবো। তোমার কাছে টাকা থাকলে দাও।

Bodyguard; জি ম্যাম আপনারা যতো লাগে আপনি নিয়ে যান। (আজব আব্রাহাম স্যার এর হবু বউ চাচ্ছে সামান্য একজন বডিগার্ড থেকে টাকা কি যে করি, মনে মনে) ম্যাম এই নিন।

আইরাত; আরে ১০০০ টাকার নোট দিয়ে কি করবো আমি তুমি এককাজ করো আমাকে ৫০০ টাকা ভাংা দাও

Bodyguard; 😳😳
.
.
.
.
.
.
.
এই বলে আইরাত বেড়িয়ে গেলো। একদম রাস্তায় এসে পড়েছে সে, সব কিছু কেমন অদ্ভুত লাগছে তার কাছে । কোন কিছুই সে ঠিক ভাবে চিনতে পারচ্ছে না। এদিক ওদিক তাকাতাকি করছে সে। কোন গাড়ি ও খুজে পাচ্ছে না

আইরাত; পালিয়ে তো এলাম কিন্তু এখন কোন দিকে যাবো কিছুই তো বুঝতে পারছি না।। নাহ এখান থেকে দ্রুত বেড়োতে হবে নইতো ওই আব্রাহামের বাচ্চা যদি একবার আমাকে ধরে ফেলে তাহলে আর আমার রক্ষে নেই। এই বলে আইরাত দৌড়ে যেতে লাগলো।
যেতে যেতে একটা রিকশা খুজে পেলো আইরাত এবং সেই রিকশা করেই যেতে লাগলো তার বাড়ির উদ্দেশ্যে।

আইরাত পালিয়ে চলে যাওয়ার ৩০-৪৫ মিন. পরেই আব্রাহাম আইরাতের জন্য এতো গুলো জিনিস নিয়ে বাড়ি ফিরে এলো। Bodyguard রা গেটের দরজা খুলে দিলো। আব্রাহাম গাড়ি থেকে নেমে দ্রুত পায়ে আইরাতের রুমের দিকের গেলো। কিন্তু দরজা খুলেই আব্রাহামের মাথায় রাগ উঠে গেলো। পুরো রুমের কোথাও আইরাত নেই আব্রাহাম হন্ন হয়ে পুরো ঘর খুজেও আইরাত কে পেলো না। আব্রাহাম বেশ বুঝতে পারলো যে আইরাত এখান থেকে পালিয়েছে।। আব্রাহাম রেগে তার হাতের সব জিনিস গুলো বিছানার উপর ছুড়ে ফেলে দিলো এবং রাগে ফুসতে ফুসতে বললো

আব্রাহাম; Baby girl, কাজটা তুমি একদম ই ঠিক করো নি। তুমি আবার ও আমার কাছ থেকে দূরে যাওয়ার চেষ্টা করেছ। তোমাকে তো আমি যে কোন মূল্যেই আবার আমার কাছে ফিরিয়ে আনবোই কিন্তু তার বদলে যে তোমাকে শাস্তি পেতে হবে বেবি (রেগে টেবিলের উপর লাথি দিয়ে)
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
অন্য দিকে নীড় মহলে………..

আইরাতের বাবা আশরাফুলে আহমেদ মেয়ের চিন্তায় এবং রাগে মাথায় Ice beg দিয়ে রেখেছে।। রাগে তার যায় যায় অবস্থা এবং তিনি বার বার পুলিশ অফিসারের কাছে ফোনে রাগারাগি করছেন। আর আতিয়া আহমেদ তাকে ধৌর্য্য ধরতে বলছেন।

কিন্তু আইরাত ভয়ে ভয়ে তার বাড়ির দিকে যাচ্ছে। বেশ কিছুক্ষন পর আইরাত তার বাড়িতে পৌঁছে গেলো এবং দৌড়ে রিকশা থেকে নেমে বাড়ির ভিতরে চলে গেলো।

আইরাত; পাপা পাপা,, আম্মু পাপা কোথায় তোমরা আম্মু পাপা!!! ( দৌড়ে বাসার ভিতরে যেতে যেতে)

আশরাফুল আহমেদ মেয়ে কে দেখে যেন প্রানে প্রান ফিরে পেলো। তিনি মেয়ে কে দেখে দৌড়ে কাছে গিয়ে মেয়ে কে জড়িয়ে ধরলেন এবং অঝোরে কেদে দিলেন।আতিয়া আহমেদ ও দ্রুত মেয়ের কাছে গেলেন।

আশরাফুল আহমেদ; মারে মা আমার কোথায় চলে গিয়েছিলি আমাদের ফেলে কত্তো হয়রান হয়ে গিয়েছিলাম আমরা কতোটা ভয়ে ছিলাম জানিস তুই ( আইরাতের কপালে চুমু দিয়ে)

আতিয়া আহমেদ; কোথায় গিয়েছিলি মা (কান্না করতে করতে)

আইরাত; জানি না মা পাপা আমি জানি না। কে যেন আমাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলো। আমি ওকে চিনি না এমনকি কখনো দেখি ও নি। আমি অনক পালানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু ওই লোকটি আমাকে ধরে ফেলেছে আজ সুযোগ বুঝে পালিয়ে এসেছি। তোমাদের অনেক মিস করেছি। (কান্না করে)

আয়ুশ; আপি আমাকে রেখে আর কথাও যাবে না তো?
আইরাত; না সোনা আর কোথাও যাবো না এইতো আমি চলে এসেছি (জড়িয়ে ধরে)

ঠিক সেই সময় বাসায় পুলিশ অফিসার আসলো। এবং আইরাত কে দেখে অবাক হলো

পুলিশ; স্যার (আশরাফুল আহমেদের উদ্দেশ্যে) স্যার আইরাত ম্যাম ফিরে এসেছে এখন আমরা একটু ওনার সাথে কথা বলতে চাই। মানে তাকে কে কিভাবে ধরে নিয়ে গেলো কোথায় ই বা নিয়ে গেলো আমাদের জানা টা খুবই জরুরি।

আশরাফুল আহমেদ; নাহ থাক তার আর এখন দরকার নেই। আমার মেয়ে অনেক ক্লান্ত এখন ওর রেস্ট দরকার। এই বপারে পরেও কথা বলা যাবে এখন আমার মেয়ে আমার কাছে ফিরে এসেছে এইটাই অনেক আপনারা এখন যেতে পারেন।

পুলিশ; জি স্যার ( এই বলে তারা চলে গেলো)

আশরাফুল আহমেদ; মা তুই তোর রুমে যা। তুই ফ্রেশ হয়ে নে তোর মা তোকে খাইয়ে দিবে। তারপর একটু বিশ্রাম নে।। পরে আমরা এই বিষয়ে আলাপ করবো ঠিক আছে মা (গালে হাত দিয়ে)

আইরাত; ঠিক আছে বাপি

এই বলে আইরাত তার রুমে চলে গেলো। আর আব্রাহাম রাগে সব কিছু তছনছ করে ফেলছে সব স্টাফরা এবং বডিগার্ড রা ভয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।

আব্রাহাম; কিভাবে, কিভাবে এতো কড়া safety, বডিগার্ড থাকা সর্তেও আইরাত এখানে থেকে পালিয়ে গেলো কিভাবে (রাগে প্রচন্ড চিল্লিয়ে চেয়ার দেয়ালে বারি দিয়ে)

সবাই ভয়ে জোড়োসড়ো হয়ে গিয়েছে।

আব্রাহাম; Speak up damn it

Bodyguard; সসসস্যার আমরা মেডাম কে অনেক চেষ্টা করেছি আটকানো জন্য কিন্তু মেডাম বলল যে মেডাম নাকি আপনার কাছ থেকে পারমিশন নিয়ে নিয়েছে।। আমরা আপনার কাছে ফোন ও দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু মেডাম আমাদের দিতে দেন নি আর অনেক জোড়াজুড়ি করছিলো যাওয়ার জন্য পরে আমরা আর আটকাই নি।

আব্রাহাম সাথে সাথে তার কোটের পকেট থেকে gun বের করে ওই bodyguard এর মাথায় তাক করলো
বডিগার্ড পুরো থতমত খেয়ে গেলো।

আব্রাহাম; এখন যদি আমি তোকে বিনা নটিসে পরোপারে পাঠিয়ে দি তাহলে।

বডিগার্ড টি থর থর করে কাপতে লাগলো এবং বলতে লাগলো

Bodyguard; স্যার স্যার প্লিজ আমায় ক্ষমা করে দিন স্যার প্লিজ এমন আর কখনো হবে না স্যার প্লিজ স্যার ক্ষমা করে দিন এইবারের মতো স্যার আর একটা সুযোগ দিন স্যার ক্ষমা করে দিন।

আব্রাহাম; ঠিক আছে যা দিলাম আরও একটা সুযোগ কিন্তু একটা কথা মাথায় রাখিস যদি আবার কোন ভুল হয় তাহলে আর কোন কথা বলবো না আমি Got that…..

এই বলে রাগে গজগজ করতে করতে আব্রাহাম বেরিয়ে গেলো।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
ওদিকে আইরাত দোলনাতে বসে বসে ভাবছে যে কে আসলে ওই লোক। আইরাত তো তাকে চিনেই না তাহলে কেন ওকে অযথা তুলে নিয়ে গেলো, এতে কি লাভ ওর, কি চায় সে।

🍁চলবে~~~~~~~

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে