Gangstar In Love Part-08

0
3124

#Gangstar In Love🖤🥀___A psycho love story””

#Writer; Tamanna Islam

#Part_08

❣️❣️
.
.
.
.
.
.
.
.
.
আব্রাহাম একটি অন্ধকার ঘরে চেয়ারে হেলান দিয়ে সুয়ে আছে। একদৃষ্টিতে উপরে তাকিয়ে আছে। আইরাত এর চেহারা টা চোখে ভাসছে তার। মানুষ বলে যে প্রথম দেখাইতেই কেও কাউকে ভালোবাসতে পারে না। আর যদি বাসেও তাহলে তা Attraction ভালো বাসা না। কিন্তু না তারা ভুল বলে ভালোবাসার জন্য শুধু মাত্র কয়েক সেকেন্ড এর দরকার পরে, ভালোবাসা যে কারো সাথে যে কনো মূহুর্তের মধ্যে হয়ে যেতে পারে,, ঠিক যেমনটি হয়েছে আব্রাহাম এর ক্ষেত্রে। আইরাত কে তো সে ঠিক ভাবে চেনতো ও না কিন্তু এই আইরাতের মায়াতেই সে আবদ্ধ হয়ে গেছে। আর আব্রাহাম চাইলেও এই মায়ার বেড়াজাল থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারবে না। আর আব্রাহাম তা চায় ও না। আইরাত এখন তার নিঃশ্বাস এ পরিনত হয়েছে। এক বিন্দু ও আইরাত কে ছাড়া তার চলবে না আর আব্রাহাম এখন তা হারে হারে টের পাচ্ছে। প্রচন্ডভাবে ভালোবেসে ফেলেছে সে আইরাত কে। কিন্তু হঠাৎ করেই আব্রাহাম এর আইরাতের পালিয়ে যাওয়ার এবং তার আশরাফুল আহমেদ এর ধোকা দেয়ার কথা মনে পড়ে গেলো,,, প্রতিশোধের আগুনে জ্বলতে লাগলো আব্রাহাম,, রাগ তার মাথা চেপে বসেছে চোখ গুলো মূহুর্তেই রক্তের মতো লাল হয়ে গেছে। আব্রাহাম লাগাতার Vodka খেতে লাগলো, এইটা আর নতুন না আব্রাহামের রাগ যখন কোন্ট্রলের বাইরে চলে যায় তখন সে এমনই করে। আব্রাহাম আইরাতের একটি ছবি তার সামনে ধোরলো এবং নেশা নেশা চোখে বলতে লাগলো……….

আব্রাহাম; যতই দূরে চলে যাও,, পালিয়ে যাও শেষে তো তোমাকে এই আমার কাছেই ফিরে আসতে হবে। সেটা তুমি চাইলেও আর না চাইলেও আর আমি আব্রাহাম আহমেদ চৌধুরী বেশ ভালো করেই নিজের জিনিস আদায় করে নিতে জানি। এখন আমি দেখি মিস. নুজাইফা বিনতে আইরাত যে তুমি আমার কাছ থেকে দূরে পালিয়ে কোথায় আর কতো দূর যেতে পারো। (Alcohol খেতে খেতে)…………

In নীড় মহল “”””””””””””

আইরাত আব্রাহাম ভয়ে ভীত হয়ে আছে আর ওর কথা ভাবছিলো হঠাৎ করে পিছন থেকে কারো হাত কাধে পড়ায় আইরাত চমকে পিছনে তাকালো দেখলো তার পাপা। আইরাত অশ্রুসিক্ত চোখে তার পাপা কে জড়িয়ে ধরলো। আশরাফুল আহমেদ তার মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলেন।

আইরাত; পাপা, আমি সত্যিই জানি না যে ওই লোকটি কে ছিলো। কেনই বা আমাকে তুলে নিয়ে গেলো, আমি কিছুই বুঝতে পারছি না পাপা। ওই লোক সবসময় বন্দুক নিয়ে ঘুরে, খুবই ভয়ংকর ওই লোক। পাপা ওই লোক বলেছে যে আমাকে যে করেই হোক আবার ধরে নিয়ে যাবে। পাপা ও পাপা প্লিজ আমি যাবো না ওর সাথে। আমার তো ওকে দেখলেই ভয় লাগে।

আশরাফুল আহমেদ; না মা তুই একদম ভয় পাস না আমি থাকতে তোর কিছুই হবে না। ওই ছেলে কেন ওর ছেলের চৌদ্দগুস্টি ও তোমাকে কিছুই করতে পারবে না। তুই নিশ্চিন্তে থাক মা, ভয় পাস না। আমি বাসার বাইরে কড়া নজরদারি দিয়ে রেখেছি। বিনা অনুমতিতে কেও বাইরে থেকে ভিতরে আসতে পারবে না। তুই খেয়ে দেয়ে চুপ করে সুয়ে পর তোর রেস্ট দরকার মা চিন্তা করিস না পাপা এখনো বেচে আছে তোর।

আইরাত; ঠিক আছে পাপা Good night…

আশরাফুল আহমেদ; Good night মামনি (আইরাতের মাথায় হাত বুলিয়ে বেরিয়ে পড়লেন)
.
.
.
.
.
.
আব্রাহাম; আইরাত Baby girl তুমি কি ভেবেছো আমি তোমাকে এতো তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিবো,, ন্যাহ। তোমাকে তো আমি নিজের করেই ছাড়বো। I am coming জান।

এই বলে আব্রাহাম গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে গেলো আইরাত দের বাড়ির উদ্দেশ্যে। অবশেষে আব্রাহাম আইরাত দের বাড়ি পৌছে গেলো গিয়ে দেখলো আইরাতের বাবা আশরাফুল আহমেদ অনেক কড়া Guard দিয়ে রেখেছেন। আব্রাহাম তা দেখে তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে বললো…..

আব্রাহাম; আরে চাচাজান উরফে শশুড়মশাই আপনি যদি পৃথীবির সকল Guard দের ও পাহারাতে রেখে যান তাহলেও আপনার মেয়ে কে আপনি আমার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারবেন না। আপনার মেয়ে কে আমি আমার আর আপনাকে তো আমি ধ্বংস করেই ছাড়বো। Get ready শশুড় তোমার জামাই আসছে।

আব্রাহাম তার গাড়ি থেকে কালো হুডি আর একটা মাস্ক পরে নিলো। তারপর ঝরের গতিতে বাইরে থাকা Guard দের সামনে গিয়ে দাড়ালো এবং সাথে সাথে তাদের মুখে কিছু একটা স্প্রে করে দিলো Guard রা কিছু বলার সময় টুকু পেলো না। তারপর আব্রাহাম ধীরে ধীরে গেট দিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢুকে একটা Guard এর ঘাড়ে তার বুড়ো আংুল দিয়ে প্রেস করলো Guard টি সাথে সাথে অজ্ঞান হয়ে নিচে পরে গেলো। তারপর আব্রাহাম ধীর পায়ে হেটে বাড়ির পিছনে গেলো এবং দেয়াল টপকে করিডোরে উঠে সোজা আইরাতের রুমে ঢুকে পড়লো। আব্রাহাম গিয়ে দেখে তার প্রানপাখি তাকে অশান্তি তে রেখে আরামছে ঘুমাচ্ছে। তা দেখে আব্রাহাম হালকা কিছুটা রেগে গেলো, আইরাত তার কাছ থেকে বার বার পালানোর চেষ্টা করে বলে আব্রাহাম এর রাগ চড়ে গেলো। কিন্তু আইরাতের মায়া ভরা মুখ খানা দেখে মূহুর্তেই আব্রাহাম রাগ যেন হাওয়া হয়ে গেলো। আব্রাহাম নিজেকে আর আটকাতে না পেরে আইরাতের পাশে গিয়ে বসে পড়লো। বাইরে থেকে আসা চাঁদের আলো তে আর একটি চাঁদের মুখে উজ্জ্বল হয়ে গিয়েছে।। আব্রাহাম আইরাতের মুখের সামনে এসে পরা চুল গুলো হালকা হাতে সরিয়ে দিলো।এতে আইরাত কিছুটা নড়েচড়ে উঠলো।
আইরাতের না চাইতেও কেন জানি তার অনেক ভয় লাগছে। কেন জানি মনে হচ্ছে যে কেও তার উপর নজর রাখছে। ঘুমানোর বেশ কিছুক্ষন পর আইরাত বুঝতে পারছে যে কেও তাকে খুব কাছ থেকে গভীরভাবে দেখছে। তার নিঃশ্বাস গুনতে পারছে আইরাত। কিন্তু প্রচন্ড ঘুমের ঘোরে থাকার কারণে আইরাত এর শক্তি হচ্ছে না চোখ মেলে তাকানোর। আইরাতের ভয় যেন দ্বিগুণ হয়ে গেলো। আব্রাহাম এক ধেনে আইরাতের দিকে তাকিয়ে আছে। আব্রাহাম খুব করে চাচ্ছে আইরাত কে নিজের করে নিতে। কিন্তু সে এখন চাইলেও তা পারবে না। কিন্তু আইরাত কে নিজের কাছে রাখতে পারবে তারপর আপন করে নিতেও সময় লাগবে না তার। আব্রাহাম এগুলো ভাবছে আর আইরাত কে দেখে মুচকি হাসছে। আব্রাহাম আইরাতের একদম কাছে গিয়ে কানের কাছে বলতে লাগলো ””””’

আব্রাহাম; I am back baby girl……… (বাকা হাসি)

আইরাত সাথে সাথে চোখ মেলে তাকালো,, সামনে তাকিয়েই আইরাত দেখতে পেলো একজন লোক পুরো কালো জামা পরে তার দিকে উপুড় হয়ে তাকিয়ে আছে। মুখে মাস্ক থাকায় এবং অন্ধকার থাকার ফলে চেহারা কিছুই বুঝতে পারছে না আইরাত। আইরাত তো দেখে ভয়ে জমে গেছে। যেই না আইরাত চিৎকার দিতে যাবে, তখনই আব্রাহাম আইরাতের মুখ চেপে ধরলো এবং বলতে লাগলো

আব্রাহাম; আরে আরে কি করছো কি জান,, ধরা পড়ে যাবো তো ওই তোমার so-called পাপার কাছে। চাইলে আমি তোমাকে সবার সামনে থেকেই তুলে নিয়ে যেতে পারবো কিন্তু আমি এখন তা করছি না কেননা সবার ঘুমের বেঘাত ঘটবে আর তোমার পাপা কে আমি একটু surprise দিতে চাই। আর তুমি কেন আমার কাছ থেকে পালিয়ে এসেছো তার শাস্তি না হয় আমি তোমায় পরে দিবো কেমন জানপাখি। তো Baby girl যাওয়া যাক Let’s go (এক ভ্রু উচিয়ে বাকা হেসে)

এই বলে আব্রাহাম আইরাতের নাকের কাছে ক্লোরফোম স্প্রে করে দিলো এবং সাথে সাথেই আইরাত জ্ঞান হারিয়ে ফেললো। আব্রাহাম খুবই সাবধানে আইরাত কে তুলে এনে গাড়িতে বসালো এবং ড্রাইভ করে আব্রাহামের বাসার নিয়ে যেতে লাগলো।
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
পরের দিন দকালে🌞………….

.
.
.
.
.
.
আইরাতের মা আইরাতকে প্রতিদিন কার মতো ডাকতে এলো।

আতিয়া আহমেদ; আইরাত মা আই,, আয়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া ( পুরো কথা তিনি আর শেষ করতে পারলেন না তার আগেই দিলেন এক চিৎকার)

উপর থেকে আতিয়া আহমেদ এর চিৎকার শুনে নিচে থেকে আশরাফুলে আহমেদ দৌড়ে এলেন উপরে।

আশরাফুল আহমেদ; ককি হয়েছে এভাবে চিল্লালে কেন আতিয়া কি………………

তারপর সামনে তাকালো আশরাফুল আহমেদ। তার মেয়ের রুমের দেয়ালে সুন্দর করে রক্ত দিয়ে লেখা
“” হবু শশুড়মশাই আপনার মেয়ে আমার ছিলো আর আমারই থাকবে, আমি আপনার মেয়ে কে নিয়ে গেলাম একদম নানুভাই বানানোর প্রস্তুতি নিয়ে আসবো কেমন,, আর আপনার বরবাদ হওয়ার দিন এগিয়ে আসছে So get ready for that আর হ্যাঁ আপনার মেয়ে কে খুজার একদমই ব্যার্থ চেষ্টা করবেন না কেননা আপনি তা পেরে উঠবেন না শুধু এইটা ভেবে রাখুন যে আপনার মেয়ে আমার কাছে ভালো এবং সাবধানে আছে Goodbye””……..

এই দেখে আতিয়া আহমেদ কেদে দিলেন এবং নিচে বসে পড়লেন। আশরাফুল আহমেদ তো রাগে দাত কোটমোট করছে এবং রাগে হাত মুসঠিবদ্ধ করে ফেললেন। তিনি দ্রুত পুলিশ অফিসারের কাছে ফোন দিলেন।

অন্যদিকে……..

সূর্য্যের আলো আইরাতের চোখে পড়তেই আইরাতের চোখ জোড়া কুচকে নিলো,, মাথায় হাত দিয়ে ধীরে ধীরে বিছানায় বসে পড়লো,, মাথা টা বেশ ভারি ভারি লাগছে তার। উঠে বসতেই আইরাত তার চারপাশে চোখ বুলাতে লাগলো। রুমের চারপাশে দেখে আইরাতের চোখ যেন চড়কগাছ। আইরাত এখানে এলো কি করে। সে তো কাল রাতে তার পাপার বাড়িতে নিজের রুমে ছিলো কিন্তু হুট করেই এখানে কিভাবে এসব ভাবতে ভাবতে আইরাত আবার মাথা চেপে ধরলো। এবার আইরাত ভালো করে ঘরটি দেখতে লাগলো
.
.
.
.
.

আইরাত; আআমি, আমি এখানে কি করে। কে নে এলো আমাকে এখানে।.
.
.
.
.
ধীরে ধীরে আইরাতের কাল রাতের সব কথা মনে পোড়তে লাগলো এবং আইরাত ভয়ে আৎকে উঠলো। আইরাত ভাবতে লাগলো যে তাকে তুলে এনেছে সে আব্রাহাম নয় তো। এজন্যই তার আরো বেশি ভয় লাগছে।
আইরাত রুমটির সারা টা ভালোভাবে দেখছে আর যতোই দেখছে ততোই অবাক হচ্ছে কেননা সম্পূর্ণ ঘর জুড়ে রয়েছে শুধু আইরাত আর আইরাতের ছবি,, আইরাতের চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে থাকার ছবি,, হাসোজ্জল ছবি,, বিভিন্ন রকম পোজের ছবি রয়েছে আইরাত। আইরাত এগুলো দেখে পুরো ধমে অবাক হয়ে গেলো কারণ এই ছবি গুলো যে কখন,কিভাবে তুলা হয়েছে তা সে জানে না। আইরাত এগুলো গোল গোল চোখে দেখছিলো ঠিক তখনই আব্রাহাম এলো রুমে। আইরাত এতো টাই ছবি দেখাতে বেস্ত হয়ে ছিলো যে আব্রাহাম কখন রুমে এসেছে তা সে খেয়াল ই করে নি। আব্রাহাম এসে দেখলো আইরাত ঘুম থেকে উঠে ছবির সামনে দাঁড়িয়ে আছে আব্রাহাম তা দেখে মুচকি হেসে আইরাতের পিছনে গিয়ে দাড়ালো। কানের একদম কাছে এসে আব্রাহাম বলল……….

আব্রাহাম; Baby girl (স্লো ভয়েসে)

আব্রাহামের এমন করে বলায় আইরাত চমকে উঠ দূরে সরে আসে। এবং হাপাতে লাগে

আব্রাহাম; Hay baby chill It’s me তোমার জামাই😉

আইরাত; আপনি আবার,, আমাকে কেন আবার তুলে এনেছেন আপনি। আসলে কি চাই আপনার, কেন এভাবে জালাচ্ছেন আমাকে এবং আমার পুরো পরিবার কে। আমি মুক্তি চাই মুক্তি প্লিজ যেতে দিন আমাকে। কেন পাগলামি করছেন কি চাই আপনার?!

আব্রাহাম; তোমাকে, তোমাকে শুধুই তোমাকে চাই আমার (আইরাতের দিকে এগোতে এগোতে)

আইরাত; আআআপনি এভাবে এএএগোচ্ছেন কেকেন। আর এক পা ও এগোবেন না বলে দিচ্ছি,, খুব খাখারাপ হয়ে যাবে কিকিন্তু,,

আব্রাহাম; জানপাখি, আমার থেকে খারাপ আর কেও কখনো হতেও পারবে না। আমি খারাপ ও হবো তোমার জন্য, ভালো ও হবো তোমার জন্য,, আমি তোমার জন্য সব করতে পারি Baby girl সব।। তোমার জন্য জান দিতেও পারি আবার এই তোমার জন্য কারো জান নিতেও পারি ( চোখ লাল করে রাগে).
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
🍁চলবে~~~~~

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে