Gangstar In Love Part-24+25

0
3343

#Gangstar In Love🖤🥀___A psycho love story””

#Writer; Tamanna Islam

#part__ 24

💜💜
..
..
..
..
..
সকাল🌄

————-

ধীরে ধীরে আইরাতের ঘুম ভেংগে গেলো। কিন্তু পাশে তাকিয়ে দেখলো কেউ নেই বিছানা ফাকা। আইরাত কিছুটা কপাল কুচকালো কেননা সে প্রতিদিন উঠে দেখে যে পাশে আব্রাহাম ঘুমিয়ে আছে কিন্তু আজ সে নেই। আইরাত উঠে বসলো। তখনই আব্রাহাম ফোনে কথা বলতে বলতে রুমে প্রবেশ করলো। আইরাতকে ঘুম থেকে জেগে ওঠতে দেখে সে ফোন কেটে দিলো।

আব্রাহাম;; Good morning Beautiful……
আইরাত;;…………………..

আইরাত কোন কথা না বলে বিরক্তি নিয়ে ওয়াসরুমের দিকে যেতে ধরতে আব্রাহাম পিছন থেকে তার হাত ধরে টেনে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে এবং একটা এটিটিউড নিয়ে আইরাতের দিকে তাকায়।
আইরাতকে টেনে আনার ফলে তার চুলগুলো এলোমেলো ভাবে মুখের ওপর উপচে পড়ে।

আব্রাহাম;; আমি কিছু বলেছি জান (হাত দিয়ে চুলগুলো সরিয়ে)
আইরাত;; (রাগে দাত কটমট করে আব্রাহামের দিকে তাকায়)
আব্রাহাম;; হায় তেরি তিরছি নাজার😉
আইরাত;; ছাড়ুন
আব্রাহাম;; (কিছু না বলে অন্যদিকে তাকিয়ে সিটি বাজাতে থাকে)
আইরাত;; বয়রা নাকি আপনি কিছু বলছি তা কি শুনতে পারছেন
আব্রাহাম;; আমি সকালে মর্নিং উইস করেছিলাম উত্তর পাই নি।
আইরাত;; আসলে কি জানেন কোন একটা ছোট ইসু কে টেনে টেনে বড় করা আপনার অভ্যাস। এখন ছাড়ুন
আব্রাহাম;; We will go out of country today,, so get ready fast… ( আইরাতের গালে টুক করে একটা কিস দিয়ে চলে গেলো)
আইরাত;; আচ্ছা মানুষ তো, যখন ইচ্ছে এভাবে ধরবে যখন ইচ্ছে নিজের order জারি করবে আমি কি রোবট নাকি। এহহ বাইরে যাবে নিকুচি করেছে বাইরে যাওয়ার। (মনে মনে)

আইরাত রেগেমেরে ওয়াসরুমে চলে গেলো। ফ্রেশ হয়ে বের হয়েই তার চোখ ছানাবাড়া। আইরাত অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে। কেননা তার সামনে বিছানার ওপর কমছেকম ৩০-৩৫ জোড়া ড্রেস সাজানো।

আব্রাহাম;; এভাবে মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে না থেকে তাড়াতাড়ি পেকিং শুরু করে দাও
আইরাত;; আমরা কি তাহলে সত্যি যাচ্ছি?! (অবাক হয়ে)
আব্রাহাম;; না আমরা তো সার্কাসে যাচ্ছি
আইরাত;; 😒😒
আব্রাহাম;; যত্তসব আজগুবি কথা। ৫ মি. এ যদি তোমাকে রেডি না পাই তাহলে কপালে শনি আছে।
আর শুনো এটা পরবে (একটা নেভি ব্লু কালারের গাউন তার ওপর সাদা স্টোনের কাজ করা হাতে ধরিয়ে)
আর সাথে white Stone এর ornaments… এখন আমি নিচে ওয়েট করছি জলদি এসো।

আব্রাহাম গড়গড় করে কথা গুলো আইরাতের উদ্দেশ্যে বলে চলে গেলো। আইরাত বোকার মতো করে তাকিয়ে আছে। তার আর উপায় কি রেডি হয়ে নিলো নয়তো আসলেই কপালে শনি লাগিয়ে দিবে এই বান্দর।
আব্রাহাম নিচে দাঁড়িয়ে তার বাপি অয়নের সাথে কথা বলছিলো। বেশ খানিক সময় কেটে যায় কিন্তু আইরাতের আসার নাম গন্ধ ও নেই। আব্রাহাম শুধু সিড়ির ওপরে তাকাচ্ছে কিছুক্ষন পর পর এবং নিজের রাগ সামলাচ্ছে। নাহ, এবার আব্রাহামের বাধ ভেংগে গেছে কারো রেডি হতে এতো সময় লাগে। আব্রাহাম সবে মাত্রই বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়েছে ওপরে যাবে বলে কিন্তু তখনই ওপর থেকে কারো নেমে আসার আওয়াজ এলো। আব্রাহাম ওপরের দিকে তাকালো। তাকিয়ে যেন পরমূহুর্তেই সবকিছু ভুলে গেলো। একদমকা হাওয়া এসে আব্রাহামের বুক ছুয়ে গেলো। ওপর থেকে আইরাত নেমে আসলো। পরনে নেভি ব্লু কালার গাউন, হাতে চিকন সাদা স্টোনের কাজ করা চুড়ি, গলাতে সাদা সিম্পলের মধ্যে একটা নেক্লেস, চুলগুলো কিছুটা বাধা বাকি কিছুটা ছেড়ে দেওয়া, সাথে হালকা মেকাপ এককথায় কোন বারবি ডলের থেকে কম লাগছে না। আইরাত দেখলো যে আব্রাহাম একধ্যানে তার দিকে তাকিয়ে আছে,, তা দেখে সে মাথা নিচু করে ফেললো। আইরাত নেমে এসে আব্রাহামের পাশ কাটিয়ে চলে গেলো। চলে যাওয়ার সাথে সাথে আব্রাহাম ক্ষুদ্র একটা শ্বাস নিলো এবং মুচকি হেসে উঠলো।

আবির আহমেদ;; আমার মেয়েকে যেন কারো নজর না লাগে। অসম্ভব সুন্দর লাগছে।
আইরাত;; ধন্যবাদ বাপি
অয়ন;; ওও বউমনি গো, বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। কি যে কিউট লাগছে।
আইরাত;; 😅
আব্রাহাম;; তো যাওয়া যাক
আইরাত;; কিন্তু আমরা যাচ্ছি টা কোথায়?!!
আব্রাহাম;; ওটা তোমার জেনে লাভ নেই।
আইরাত;; আজব তো
আব্রাহাম;; আজব ই এবার চলো,, রাশেদ বাইরে গাড়ি পার্ক করো hurry up…
আইরাত;; হারামি (মনে মনে),,, আচ্ছা বাপি শুনো তোমার ঔষধগুলো ড্রোয়ারে রেখে দিয়েছি সময় করে খেয়ে নিবে। আর আমি লিজাকে বলে গিয়েছি যদি এসে শুনেছি যে তুমি আবার মিষ্টি খাবার খেয়েছ তাহলে….
আবির আহমেদ;; আরে বাবা ঠিকআছে ঠিকআছে খাবো না
আইরাত;; মনে থাকে যেন। অয়ন নিজের খেয়াল রেখো এবং বাপির ও। ভালো থেকো।
আবির আহমেদ;; তোরাও ভালো থাকিস এবং নিজেদের খেয়াল রাখিস।

আব্রাহাম-আইরাত তার বাপি এবং অয়নের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে এলো। আব্রাহাম ড্রাইভ করছে। আইরাত ও আব্রাহামের পাশে বসা। আইরাতের অনেক কৌতুহল হচ্ছে তারা কোথায় যাচ্ছে তা জানার জন্য কিন্তু এই বেটা ঘাড় তেড়া তো কিছু বলে না। অবশেষে না পেয়ে আইরাত জিজ্ঞেস করেই ফেলল…

আইরাত;; আচ্ছা আমরা যাচ্ছি কোথায়?
আব্রাহাম;;………………
আইরাত;; বলুন না কোথায় যাচ্ছি!
আব্রাহাম;; যেদিকে দুচোখ যায়…
আইরাত;; 🤦‍♀️

আইরাত আর কোন কথা না বলে রেগে সোজা হয়ে বসে পড়লো। আব্রাহাম বাকা চোখে তাকিয়ে মুচকি হাসলো। বেশকিছুক্ষন ড্রাইভ করার পর আব্রাহাম গাড়ি থামিয়ে দিলো। আব্রাহাম সুন্দর করে সানগ্লাস পড়ে নিলো এবং আইরাতের সামনে গিয়ে বললো

আব্রাহাম;; জানপাখি নেমে পড়ো

আইরাত নেমে পড়লো, তাকিয়ে দেখলো তারা Airport এ এসেছে। ওপরে সুন্দর করে বড় বড় করে লেখা “” বাংলাদেশ বিমানবন্দর ✈””। আব্রাহামদের পিছনের গাড়ি থেকে তার কিছু বডিগার্ড রা নেমে এলো। তারা গাড়ি থেকে সব জিনিসপত্র নামিয়ে নিলো। আব্রাহাম কিছুদুর দাঁড়িয়ে ফোন ঘাটাঘাটি করছে। আইরাত একপাশে হাত ভাজ করে দাঁড়িয়ে আছে। Airport এর প্রায় সব মেয়েরাই আব্রাহামের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে আর এই বেপারটা আইরাতের চোখ এড়ায়নি। ব্লেক পেন্ট, হুয়াট টি-শার্ট, এবং ওপরে স্কাই ব্লু কালারের জেকেট সাথে চাপদাড়িতে অনেক বেশিই Handsome লাগছে। মেয়েদের চোখ যেন নামছেই না, যে একবার তাকিয়ে আছে সে তাকিয়েই আছে। কিন্তু আব্রাহাম এসব কিছু তোয়াক্কা না করে নিজের মতো ফোন ঘাটছে। আইরাতের কেমন যানি সবকিছু অসহ্য লাগছে, তাই সে অন্যদিকে চখ ঘুড়িয়ে নিলো। চোখ ঘুড়িয়ে নেয়ার সাথ সাথে আইরাত খুশিতে মেতে উঠলো। সে এক দৌড়ে চলে গেলো।

বডিগার্ড;; স্যার গাড়ি থেকে সবকিছু নামানো শেষ এবং আপনাদের ফ্লাইটের সময় ও হয়ে গেছে।
আব্রাহাম;; হুমমম..জানপাখি চলো

ওপাশ থেকে কোন শব্দ না আসায় আব্রাহাম তাকায়, তাকিয়েই দেখে আইরাত সেখানে নেই। সেখানে নেই বলতে সেই জায়গার কোথাও নেই। আব্রাহাম কপাল কুচকে সেদিকে তাকায় আবার ডাক দেয়..

আব্রাহাম;; আইরাত,আইরাত।

এবার আব্রাহামের কেমন চিন্তা হতে লাগে। কোথায় গেলো মেয়েটা। আবার পালিয়ে গেলো না তো। আব্রাহাম সব জায়গায় খুজতে থাকে। বডিগার্ড দের বলে চারিদিকে তন্নতন্ন করে খুজতে। কিন্তু কোথাও নেই। আব্রাহামের এবার চিন্তা,রাগ সবকিছু চেপে বসে। আব্রাহাম আর একটু এগিয়ে গেলো সামনে কিন্তু না কোথাও নেই। আব্রাহাম পিছনে ঘুরে চলে আসতে নিলে কিছু ছোট বাচ্চাদের হাসির শব্দে আবার ফিরে তাকায়। দেখে যে আইরাত একটা ছোট আইসক্রিম পার্লারের সামনে দাঁড়িয়ে বাচ্চা দের সাথে হেসে হেসে আইসক্রিম খাচ্ছে। আব্রাহাম আহাম্মকের মতো তাকিয়ে থাকে।

আব্রাহাম;; হায় আল্লাহ (মাথায় হাত দিয়ে) এই মেয়েকে নিয়ে আমি কি করি।

আব্রাহাম আর কোন কথা না বলে তাড়াতাড়ি করে হেটে সেখানে যায়। কিন্তু আইরাত নিজের মতো করে খেয়েই যাচ্ছে। এদিকে আব্রাহাম যে রাগি দৃষ্টিতে তার পিছনে দাঁড়িয়ে আছে তার কোন খেয়ালই নেই।

আব্রাহাম;; আইরাত
আইরাত;;…………….
আব্রাহাম;; আইরাত (জোড়ে চিল্লিয়ে)

আইরাত চমকে পিছনের দিকে তাকায়। দেখে যে আব্রাহাম রেগে আগুন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু সত্যি বলতে আব্রাহামের এখন মোটেও রাগ পাচ্ছে না বরং প্রচুর হাসি পাচ্ছে। কারণ আইরাত আইসক্রিম দিয়ে নিজের গাল,ঠোট পুরোটা শেষ করে রেখেছে। আইরাত ডেবডেব করে আব্রাহামের দিকে তাকিয়ে আছে।

আব্রাহাম;; এগুলো কি
আইরাত;; এমা আপনি এগুলো চিনেন না আরে এটা আইসক্রিম, আইসক্রিম। আপনি তো খান না জানবেন কি করে (দাত বের করে হেসে)
আব্রাহাম;; এই মেয়ে এটা আইসক্রিম খাওয়ার সময়। আর কোথায় গেলে বলে যাবে না। এভাবে হুট করেই চলে আসতে কে বলেছে। জানো কতটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম আমি। এখনো কি বাচ্চা আছো তুমি। এসব ছেলে মানুষী করার মানে কি আর এই নিজের কি হাল করে রেখেছো হ্যাঁ। দেখেছো নিজেকে জোকারের মতো লাগছে পুরা। (রেগে)

আইরাত কিছু না বলে গাল ফুলিয়ে মাথা নিচু করে ফেললো চোখে তার পানি টলমল করছে। আব্রাহাম কথা থামিয়ে দিলো সে বুঝতে পারলো যে আইরাতের চোখে পানি জমেছে। সে চুপ হয়ে গেলো। অন্যদিকে তাকিয়ে চোখ বন্ধ করে আবার চোখ খুললো সামনে তাকিয়ে আইরাতের বাহুতে টান দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। একহাতে কোমড় অন্য হাত আইরাতের মাথায় বুলিয়ে দিতে দিতে বলে উঠলো

আব্রাহাম;; আমাকে বলে যেতে, খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। ভেবেছি আবার আমার থেকে পালানোর চেষ্টা করেছো। এমন বাচ্চামো কেন করো বলতো। (আইরাতের মাথায় চুমু দিয়ে)

তারপর আইরাত কে তুলে চোখ মুখ মুছে দিলো। এবং আইরাতের হাত ধরে Airport এর ভিতরে নিয়ে যেতে লাগলো। আইরাত ও কোনরকম কোন কথা না বলে তার সাথে যাচ্ছে। আব্রাহাম আইরাতকে নিয়ে ফ্লাইটে উঠে পরে। তার আগে আব্রাহাম নিজের এবং আইরাতের পাসপোর্ট দেখায়। আইরাত তার পাসপোর্ট দেখে বেশ অবাক হয়।

আইরাত;; পাসপোর্ট, তাও আমার। আপনি আমার পাসপোর্ট কবে বানালেন?
আব্রাহাম;; তা তোমাকে বলার প্রয়োজনবোধ করি না।
আইরাত;; কালা হনুমান (মনে মনে)

আইরাত বাইরের দিকে তাকিয়ে রইলো। তারা যে অনেক উচুতে রয়েছে তা আইরাত বুঝতে পারছে। সাদা মেঘগুলো দেখা যাচ্ছে। মাঝে মাঝে পাখি ও উড়ে চলেছে মেঘের সাথে তাল মিলিয়ে। আইরাতের ভালোই লাগছে। তার পাশেই আব্রহাম বসে আছে। তার দিকে তাকিয়ে দেখলো সে এক ইংলিশ মেগাজিনে মুখ গুজে রেখেছে। আইরাত একগাদা বিরক্তি নিয়ে আবার জানালার দিকে থাকালো। এভাবে থাকতে থাকতে কখন যে আইরাতের চোখ লেগে এসেছে তা সে জানেই না। হুট করেই আব্রাহামের কাধের ওপর নিজের মাথা ছেড়ে দেয়। আব্রাহাম আইরাতের দিকে তাকিয়ে দেখে ঘুমিয়ে পরেছে। আব্রাহাম মুচকি হেসে আইরাতের মাথায় একটা কিস দিয়ে আবার মেগাজিন পড়াতে মনোযোগ দেয়।

প্রায় অনেক সময় পর ফ্লাইট লেন্ডিং করলো। আইরাতেরও অনেক আগেই ঘুম ভেংগে গেছে। ঘুম থেকে উঠে দেখে সে আব্রাহামের কাধের ওপর শুয়ে আছে তাই তাড়াতাড়ি করে সরে আসে। আব্রাহাম তা দেখে বলে ওঠে

আব্রাহাম;; পুরোটা সময় আমার কাধের ওপর থেকেই এসেছ so relax…

আব্রাহাম বিমান থেমে নেমে এলো। আইরাত ও তার পিছু পিছু। কিন্তু ফ্লাইট থেকে নেমে আইরাতের চোখ কপালে। তারা এখন সুইজারল্যান্ড আছে।

আইরাত;; সুইজারল্যান্ড!!
আব্রাহাম;; Yes baby girl…
আইরাত;; আমরা সুইজারল্যান্ড কেন এলাম
আব্রাহাম;; হেই বেবি আমি জানি যে সুইজারল্যান্ড তোমার ড্রিম প্লেস তো এসে পড়লাম।
আইরাত;; আপনি কিভাবে জানলেন?
আব্রাহাম;; আমি তোমাকে যতটুকু চিনি তুমি নিজেও নিজেকে ততটুকু চিনো না বুঝলে জান (আইরাতের দিকে তাকিয়ে বাকা হেসে)

আইরাত সত্যি ভেবে পায় না যে আব্রাহাম তার বিষয়ে এতো বেশি কি করে জানে। যাই হোক আব্রাহাম আইরাত কে নিয়ে যেতে লাগলো। তারা আরো এক গাড়িতে উঠে গেলো। গাড়ি গিয়ে থামলো এক বড়সড় প্যালেসের সামনে। আইরাত শুধু দেখেই যাচ্ছে। সবকিছু অনেক সুন্দর। তারা ভিতরে গেলো। সকল স্টাফরা তাদের উষ্ণ অভিনন্দন জানালো। তারা একদম ভিতরে চলে গেতেই ফার্মাল গেটাপে একটা মেয়ে আসলো।

জুলি (মেয়েটি);; স্যার, এটা আপনাদের ঘরের চাবি এবং এখানে প্যালেসের সব ফাইল (একটা পেপারআপ আব্রাহামের দিকে এগিয়ে দিয়ে) ইভেন আপনি যেকোন ফাংশন অরগানাইজ করতে পারেন।
আব্রাহাম;; Thank u…
জানপাখি Let’s go..

আইরাত কোন কিছুই বলছে না শুধু পুতুলের মতো করে আব্রাহামের সাথে যাচ্ছে। আব্রাহাম চাবি দিয়ে তার রুমের দরজা খুলে ভিতরে গেলো। আইরাত ভিতরে গিয়ে আরো একদফা অবাক। সারাটা ঘর সাদা রঙের কিন্তু মাঝে মাঝে দু একটা জিনিস বেবি পিং কালারের। কিন্তু বাথরুম দেখে আইরাতের চোখ বড়ো বড়ো হয়ে গেলো। কারণ বাথরুম সম্পূর্ণ কাচের। বাইরে থেকে সবকিছু স্পষ্ট দেখা যায়।

আইরাত;; রুমটা অনেক বেশি সুন্দর। কিন্তু বাথরুম এমন কেন?
আব্রাহাম;; কেমন?
আইরাত;; এতো কাচের তৈরি। মানে A-Z সব কিছু দেখা যায়। এটা কোন কথা
আব্রাহাম;; হাহাহা এই প্যালেসটা পুরোটাই আসলে হানিমুনের জন্য। তো এখানকার সবকিছু তো তেমনই থাকবে তাইনা জান
আইরাত;; না মানে, না আমি এখানে থাকবো না আপনি অন্য রুম দেখেন প্লিজ
আব্রাহাম;; কিন্তু আমি তো এখানেই থাকবো আর তোমাকেও এখানেই থাকতে হবে।
আইরাত;; মানুষের কি রুচিবোধ বাবাহ।
আব্রাহাম;; তোমার মতো সবাই আনরোমান্টিক না ওকে…
আইরাত;; হাহ্ আসছে আমার রোমিও রে। আচ্ছা, আপনি কি এই পুরো প্যালেসটা বুক করেছেন?
আব্রাহাম;; কিনেছি
আইরাত;; মানে
আব্রাহাম;; মানে হলো এই যে আমি সুইজারল্যান্ড আসবো অনেক আগে থেকেই প্লেন ছিলো। আসলে তোমাকে সারপ্রাইজ দিবো বলে। তো আসার একদিন আগেই আমি এটা কিনে নিয়েছি।
আইরাত;; ওও আচ্ছা।
আব্রাহাম;; কেন পছন্দ হয়নি (আইরাতকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে)
আইরাত;; জানি না (আব্রাহামের কাছ থেকে নিজেকে সরিয়ে)

আইরাত বসে তার ornaments গুলো খুলতে লাগলো। আব্রাহাম ও তার জেকেট খুলে ফেললো। হঠাৎ আব্রাহাম আইরাতের হাত ধরে টান দিলো।

আইরাত;; আরে আজব এভাবে টানাটানি করছেন কেন।
আব্রাহাম;; ফ্রেশ হবো
আইরাত;; হ্যাঁ ভালো তো যান না
আব্রাহাম;; যাচ্ছি ই তো

এই বলে আব্রাহাম আইরাতকে কোলে নিয়ে সোজা বাথরুম ঢুকে পরলে আইরাত চিল্লিয়ে ওঠে

আইরাত;; এইই এইই দাঁড়ান আপনি কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন
আব্রাহাম;; আমি এককথা বার বার বলতে পছন্দ করি না। বলেছি না যে সবসময় আমার সাথে ফ্রেশ হতে হবে তাই এখন চলো
আইরাত;; কিন্তু আমি ত….. আয়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া

আব্রাহাম আইরাতকে তার কোল থেকে নামিয়ে সোজা সাওয়ার এর নিচে দাঁড় করিয়ে দেয় আর নিজেও আইরাতের সাথে গা ঘেসে দাঁড়িয়ে পরে। আইরাত কিছু বলতে যাবে তার আগেই আব্রাহাম সাওয়ার অন করে দেয়। যার ফলে দুজনের ওপরেই ঝড়ঝড় করে ঠান্ডা পানি পরে যায়। একে তো সুইজারল্যান্ড হিমশীতল কান্ট্রি, সবসময় আবহাওয়া প্রচন্ড ঠান্ডা থাকে। এমনকি এখনো হাড়কাপানো শীত, তার ওপর আব্রাহাম এভাবে আইরাতকে নিয়ে পানির নিচে দাঁড়িয়েছে যার ফলে আইরাত চিৎকার দিয়ে ওঠে। ভিজতে ভিজতে এখন দুজনের এমন অবস্থা যা বলার বাইরে। কিন্তু আব্রাহাম ঠাই দাঁড়িয়ে আছে যেন তার কিছুই হচ্ছে না। কিন্তু আইরাত কাপতে কাপতে শেষ। আরো কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থেকে আব্রাহাম সাওয়ার অফ করে দিয়ে একটা টাওয়াল এনে আইরাতের মাথা মুছে দিতে থাকে। তার পর চেঞ্জিং রুমে গিয়ে দুজনে চেঞ্জ করে এসে পরে।















অন্যদিকে In নীড়মহল…..

আতিয়া আহমেদ;; মেয়েকে চোখের সামনে থেকে একটা অজানা অচেনা ছেলে এসে এভাবে তুলে নিয়ে গেলো আর তুমি, তুমি হাতে হাত ধরে বসে আছো এভাবে। কেমন বাবা তুমি। বাড়ির ভিতর থেকে তুলে নিয়ে গেলো। না জানি আমার মেয়েটা কি করছে কেমন আছে। আমার মেয়ের কিছু হয়ে গেলে আমি পাগল হয়ে যাবো আইরাতের বাবা
আশরাফুল আহমেদ;; আতিয়া মাথা ঠান্ডা করো। মেয়ে কি তোমার একার নাকি মেয়ে আমার ও চিন্তা আমার ও হয়। আমি তো দেশের সব জায়গাতেই লোক লাগিয়ে দিয়েছি এবং তারা তাদের সাধ্য মতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমার মেয়ের কিছুই হবে না, কিছুই হবে না। ভরসা রাখো আতিয়া।
আতিয়া আহমেদ;; কি শান্ত হবো আমি কি করে শান্ত হই,, মেয়েকে এভাবে নিয়ে গেলো। আমাদের এতো গুলো বডিগার্ড দের মেরে রেখে গেছে। আমাদের চোখের সামনে সব হয়েছে। সব কিছু থাকা সর্তেও তুমি কিছুই করছ না।

আতিয়া আহমেদ মেয়ের চিন্তায় প্রায় আধা মরা। নীড়মহল যেন এক মৃতবাড়িতে পরিনত হয়েছে। কারো মনেই শান্তি নেই। বাড়ির সবার একমাত্র চোখের মণি উধাও।






সুইজারল্যান্ড…

আব্রাহাম;; আমি সেদিন আইরাতকে তার বাড়ি থেকে সবার সামনে তুলে এনেছি এবং বাড়ি তে যত বডিগার্ড ছিলো সবাইকেই মেরে এসেছি। আমার মনে হয় না যে এতো কিছু করার পর আমার প্রিয় শশুড় আব্বু উরফে চাচাজান চুপ করে বসে থাকবেন। কারণ উনি চুপ করে বসে থাকার মতো মানুষ নন। তাই আমি বেশকিছুদিনের জন্য বাইরে চলে এসেছি। ইনফেক্ট কেউ জানেই না যে আমি কোথায় এসেছি বা কোথায় আছি। (ফোনে কথা বলতে বলতে)

………… জি স্যার, আপনি এইদিক কার জন্য একদম চিন্তা করবেন না বাকি কাজ সব আমি সামলে নিব।

আব্রাহাম;; হুমম কাজ শেষে বাকি টাকা তুমি তোমার হাতে পেয়ে যাবে।

………… জি স্যার, আপনার মেহেরবানি।

আব্রাহাম এতোক্ষন করিডরে থেকে ফোনে কথা বলছিল। ফোন কেটে দিয়ে রুমে গেলো। দেখলো যে আইরাত একদম শীতের কাপড়চোপড় পরে আছে তবুও একটু কাপছে। পাশেই হালকা তেজে আগুন জ্বলছে। বাইরে তুষারপাত হচ্ছে, আইরাত তা কাচের জানালা দিয়ে দেখছে। আব্রাহাম ফোন দিয়ে দুকাপ কফি অর্ডার করে। ৫-৬ মিন পর কফি এসে পরে। আব্রাহাম আইরাতের দিকে এগিয়ে যায়…

আব্রাহাম;; হুমমম ধরো (কফির মগ আইরাতের দিকে এগিয়ে দিয়ে)
আইরাত;; Thank you
আইরাত;; আচ্ছা আমরা কি ঘুরতে যাবো না?
আব্রাহাম;; একে তো এখনই শীতে থরথর করে কাপছ আবার বাইরে এই তুষারপাতের মধ্যে ঘুরতে যাবে।আইরাত;; না আমি যাবো ঘুরতে যাবো মানে যাবোই আব্রাহাম;; কাল আমরা একটা পার্টি তে যাবো রেডি থেকো।
আইরাত;; কোন পার্টি
আব্রাহাম;; আমার এক ক্লোজ ফ্রেন্ডের পার্টি। And we are the Chief Guests…
আইরাত;; ওহহ আচ্ছা।
আব্রাহাম;; হুম এবার বলো রাতে কি খাবে।
আইরাত;; বিরিয়ানি
আব্রাহাম;; 🤨 Really!
আইরাত;; Any doubt?
আব্রাহাম;; Not at all…

———————–

আব্রাহাম স্টাফকে ফোন দিয়ে বিরিয়ানির কথা বলে দিলো। কিছুক্ষন পর তাদের রুমে খাবার দিয়ে গেলো। আইরাত তো বিরিয়ানির গন্ধে পাগল প্রায় বিকজ এটা ওর সবচেয়ে বেশি পছন্দের। আইরাত তাড়াতাড়ি করে নিজের প্লেট নিয়ে বসে পড়লো। আব্রাহাম আইরাতের কান্ড দেখে হাসবে না কাদবে কিছুই বুঝতে পারছে না।

আব্রাহাম;; ওওও হ্যালো মিসেস, এভাবে ভুক্কারের মতো নিজের টা নিয়ে বসে পরলে কেন
আইরাত;; কিইইইইই আমি ভুক্কার। দেখুন বিরিয়ানির বেলায় কিছুই বলবেন না। আজ সকালে আইসক্রিমের জন্য যথেষ্ট বকেছেন কিন্তু বিরিয়ানি না খবরদার।
আব্রাহাম;; খাইয়ে দাও( আইরাতের সামনে বসে)
আইরাত;; নিজের হাতে কি হয়েছে
আব্রাহাম;; এই মেয়ে মুখে মুখে এতো কিথা বলো কেন। খাইয়ে দিয়ে বলেছি এখন খাইয়ে দিবে বেস
আইরাত;; এ আমি কোন পাগলের পাল্লায় পরলাম খোদা (মনে মনে)
আব্রাহাম;; কাদো কাদো চেহারা বানিয়ে লাভ নেই। খাইয়ে দিতে বলেছি বেস খাইয়ে দিবে, দাও (ধমক দিয়ে)

আব্রাহামের ধমক শুনে আইরাত পারছে না কেদে দিতে। আর কোন উপায়-উপান্তর না পেয়ে আইরাত বাধ্য হয়ে আব্রাহামকে খাইয়ে দিতে লাগলো। সেদিন এভাবে আইরাতকে জ্বালিয়ে জ্বালিয়েই আব্রাহামের দিন গেলো।









💞💞চলবে~~~~~

#Gangstar In Love🖤🥀___A psycho love story””

#Writer; Tamanna Islam

#part; 25

🍁🍂
..
..
..
..
..
আইরাত ঘুমিয়ে আছে। যাকে বলে বিভর ঘুম। কিন্তু আব্রাহাম আইরাতের আগে জেগে ওঠে পাশে তাকিয়ে দেখে আইরাত গুটিশুটি মেরে বাচ্চাদের মতো করে ঘুমাচ্ছে। আব্রাহামের মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি কাজ করে। আইরাতের এলোমেলো চুল গুলো নিয়ে সে আইরাতের মুখে, গালে, ঘাড়ে সুরসুরি দিতে থাকে। এতে আইরাত কিছুটা নড়েচড়ে উঠে। আব্রাহাম মিটমিট করে হাসে। কিন্তু আব্রাহাম আর কোন কথা বলে আইরাতের ঘাড়ে নিজের মুখ ডুবিয়ে দেয় এবং জামার নিচ দিয়ে হাত দেয়। আইরাত সাথে সাথে চোখ খুলে ফেলে। দেখে যে আব্রাহাম তাকে এভাবে ধরে আছে। আইরাত তাড়াতাড়ি করে লাফিয়ে ওঠে।

আইরাত;; একি কি করছেন আপনি?
আব্রাহাম;; রোমেন্স (আইরাতকে আবার টান দিয়ে শুইয়ে)
আইরাত;; দেখুন আমার এভাবে থাকতে একদম ভালো লাগে না, প্লিজ ছাড়ুন।
আব্রাহাম;; ভালো না লাগলে করার কিছুই নেই, আমার তো ভালোই লাগে তাই আমি এভাবেই থাকবো।
আইরাত;; আজাইরা সব

কিছুসময় পর আব্রাহাম নিজেই আইরাতকে ছেড়ে দেয়। আইরাত যেন প্রাণে বাচে। আইরাত ওঠে দেখে যে তার গায়ে ওরনা নেই সে আসেপাশে ওরনা খুজতে লাগে। কিন্তু পিছনে তাকিয়ে দেখে তার ওরনা আব্রাহামের হাতে পেচানো। আব্রাহাম তা নিয়ে পরম আবেশে ঘুমিয়ে আছে। আইরাত একটু তাকিয়ে চলে যায় ওয়াসরুমে। ওয়াসরুমে গিয়ে অনেক বড়ো বড়ো পর্দা নামিয়ে দিলো। আইরাত বের হয়ে দেখে আব্রাহাম ফোনে কার সাথে যেন কথা বলছে। আইরাত তা দেখে সোজা নিচে চলে আসে। নিচে আসতেই বাড়ির স্টাফরা একে একে আইরাতকে মর্নিং জানাচ্ছে আইরাত ও তাদের সাথে হেসে হেসে কথা বলছে। তখন কালকের সেই মেয়েটি জুলি আইরাতের কাছে এলো…

জুলি;; Good morning ম্যাম,
আইরাত;; Morning
জুলি;; ম্যাম খাবারে কি বানাবো
আইরাত;; যা ইচ (কথা শেষ না হতেই)
আব্রাহাম;; আজ তোমাদের ম্যাম রান্না করবে (আইরাতের পিছন থেকে সামনে এসে)

আইরাত মাত্রই বলবে কিন্তু আব্রাহাম আইরাতের পিছন থেকে এসে আইরাতকে রান্না করতে বলল। আইরাত তো রাগি চোখে তাকিয়ে আছে।

আব্রাহাম;; তোমাদের দরকার নেই আজ আইরাত রাধবে। আর আইরাত অনেক ভালো ও রাধতে পারে তাই না জানপাখি (আইরাতকে পিঞ্চ করে)
আইরাত;; আপনি কেন আদা-লবণ খেয়ে আমার পিছু লেগেছেন বলুন তো। রান্না যে আমি তেমন পারি না তা আপনার অজানা নয় কিন্তু তারপর ও আমাকে বলছেন রান্না করতে।
আব্রাহাম;; Listen তোমার রান্না যতই জঘন্য হোক না কেন, আমি খাবো। আমি খেতে পারলে তোমার সমস্যা কোথায়। Now go to the kitchen আর হ্যাঁ শুনো মাংস ভুনা রাধবে আমার জন্য, that’s my favourite…

আব্রাহাম নিজের মতো করে বলে চলে গেলো। এদিকে আইরাত তো রেগে মেগে শেষ এমনকি রাগের চোটে চোখ দিয়ে পানি পর্যন্ত বের হয়ে পরেছে। আইরাত আব্রাহামের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করতে করতে রান্নাঘরে গেলো। তার সামনে সবকিছুই সাজানো আছে এখন শুধু সে রাধবে।

আইরাত;; তুমি মাংস ভুনা রাধবে that’s my favourite (বেংজ্ঞ করে) দাঁড়া তোকে তোর মাংস ভুনা খাওয়াচ্ছি। আমাকে এভাবে সবার সামনে অপমান করা তাই না,, রান্না পারি না জেনেও বার বার রান্না করতে বলা তাও বাড়িতে এতোগুলো স্টাফ থাকার পরেও। দাঁড়াও দাঁড়াও খাওয়াচ্ছি তোমাকে মাংস ভুনা। এমন ঝাল দিবো না যে একদম নাকের পানি চোখের পানি এক হয়ে যাবে তখন বুঝবে মজা।

আইরাত রাগে রান্না করছে আর মুখে মুখে এইকথা গুলো বলছে। আইরাত রাগের বশে তরকারি তে এতোই ঝাল দিয়েছে যে তরকারি গাঢ় লাল রঙ ধারণ করেছে। দেখেই চোখে পানি আসছে। সেইসময় জুলি রান্নাঘরে আসলো এবং আইরাতের রান্না দেখে আতকে উঠলো…

জুলি;; ম্যাম এ আপনি কি করেছেন!
আইরাত;; কি করেছি
জুলি;; ম্যাম আপনি মাংসে এতো ঝাল দিয়েছেন আমারই কান্না পাচ্ছে, কিকরে খাবেন এটা
আইরাত;; নাহ, আমি তো খাবো না এটা খাবে তোমাদের স্যার,, স্পেশালভাবে তার জন্যই বানানো

জুলি মাংসের দিকে তাকিয়ে একটা বড়সড় ঢোক গিল। তার নিজেরই প্রাণ যেন যায় যায় এমন অবস্থা।
বেশকিছুক্ষন পর আইরাতের রান্না শেষ হলো। আইরাত খুব যত্নের সাথে মাংসের বাটি ডাইনিং টেবিলের ওপরে নিয়ে রাখলো। আব্রাহাম ওপর থেকে নিচে নেমে এলো এসেই আইরাতের দিকে তাকায়ে বলল…

আব্রাহাম;; হুমমম স্মেল তো অনেক ভালোই বের হয়েছে।
আইরাত;; খেতেও অনেক ভালো হয়েছে চান্দু, একবার খেয়েই দেখো (মনে মনে)

আব্রাহাম আর এক মূহুর্ত দেরি না করে সোজা এসে টেবিলে বসে পড়লো।
আইরাত অনেক সুন্দর করে আব্রাহামকে খেতে দিলো।

আইরাত;; আরে বসে আছেন কেন খান খান (হেসে)
খা বজ্জাত কোথাকার বেশি করে খা(মনে মনে)

আব্রাহাম আইরাতের দিকে কিছুটা সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকালো। তার কেমন যেন ডাল মে কুছ কালা লাগছে।

আব্রাহাম;; কি বেপার আজ এতো ভালোভাবে কথা বলছো কেন বলত

আইরাত আব্রাহামের কোথায় ভেবাচেকা খেয়ে গেলো।

আইরাত;; কককই না না তো, আম আমি ঠিক আআছি, আপনি খান
আব্রাহাম;; তুমি খাবে না, তুমিও খাও
আইরাত;; এইরে সেরেছে, এখন আমি কি বলি(মনে মনে)
আইরাত;; না মানে আসলে আমি খাবো তো খাবো কিন্তু আপনার খাওয়ার পর,, মেয়েদের আগে খেতে নেই তো
আব্রাহাম;; সূর্য কোন দিক দিয়ে ওঠেছে আজকে
আইরাত;; আরে এতো কথা বলছেন কেন খান আপনি আমি এতো কষ্ট করে বানিয়েছি
আব্রাহাম;; হুমমম দেখি কি বানালে

আব্রাহাম প্রথম বাইট খেলো খাওয়ার সাথে সাথে চোখে পানি চলে এলো। আব্রাহাম আইরাতের দিকে তাকালো দেখলো আইরাত তার সামনে দুহাত ভাজ করে দাঁড়িয়ে আছে। আইরাত কিছুটা ঝুকেঁ আব্রাহামের সামনে গিয়ে বলল…

আইরাত;; আমি রেধেছি, খুব মজা তাইনা

আব্রাহাম বেশ বুঝতে পারলো যে মাংসে ইচ্ছে করেই ঝাল দেওয়া হয়েছে। আব্রাহাম কোন কথা না বলে উল্টো আইরাতকে চোখ মারলো। আইরাত সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে গেলো। আব্রাহাম বাকা হেসে লাগাতার খেয়েই যাচ্ছে। যেন এটার মতো অমৃত অন্য আর কিছুই নেই। আইরাত প্রায় অনেক টুকু মাংস আব্রাহামকে দিয়েছিলো আর যে পরিমান ঝাল দিয়েছে তাতে এই সম্পূর্ণ কারোরই পক্ষে খাওয়া সম্ভব না। কিন্তু আইরাতকে অবাক করে দিয়ে আব্রাহাম সম্পূর্ণ খেয়ে উঠলো। খাওয়া শেষে আব্রাহাম শুধু এক দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়লো। মাথা তুলে আইরাতের দিকে তাকালো।

আইরাত;; বাপ রে বাপ এই কি আদৌ মানুষ নাকি ভুত। মরিচের পেকেটে থাকা সবটুকু মরিচ দিয়েছি তাও এভাবে খেয়ে ফেললো। কিন্তু উনি তো এতো ঝাল খান ই না তাহলে কেমনে কি। আমি সিওর এই বেটা মানুষ না (মনে মনে)

আব্রাহাম আইরাতের মুখের সামনে তুরি বাজালো তাতে আইরাত তার ভাবনার জগৎ থেকে বেরিয়ে আসলো। আইরাত চমকে আব্রাহামের দিকে তাকালো। দেখলো যে আব্রাহামের চখ, মুখ, নাকের ডগা সব টমেটোর মতো লাল টুকটুকে হয়ে আছে কিন্তু তবুও তিনি কোন রিএক্ট করছেন না। আব্রাহাম এবার মাংসের বাটি টা আইরাতের সামনে এগিয়ে দিলো।
আইরাত বোকার মতো আব্রাহামের দিকে তাকিয়ে আছে। আইরাতের প্রশ্নবদ্ধ ভাবে আব্রাহামের দিকে তাকালে আব্রাহাম তাকে ইশারা করে এটা খাওয়ার জন্য। আইরাত কেদে দেয়, আব্রাহামের দিকে কান্না কান্না মুখ নিয়ে তাকালে আব্রাহাম হিংস্র চোখে তার দিকে তাকায়। একদিকে ঝাল আর একদিকে আব্রাহামের রাগ দুটোই যেন সমান। আইরাত আর কোন উপায় না পেয়ে একটু মাংস মুখে দিলো। দেয়ার সাথে সাথে গগন বিদারি চিৎকার। আইরাত চোখের জলে নাকের জলে হয়ে গেছে। সারা টেবিলে পানি খুজে বেড়াচ্ছে। আব্রাহাম এবার ওঠে দাঁড়িয়ে আইরাতকে জোড় করে টেনে ওপরে নিয়ে যেতে লাগলো। আইরাত অনেক চিল্লাচ্ছে কিন্তু কে শুনে কার কথা আব্রাহাম তো তার মতো করেই আইরাতকে টেনে হিচড়ে ওপরে নিয়ে যাচ্ছে। ঘরে আসার সাথেই আব্রাহাম আইরাতের বুক থেকে ওরনা টেনে খুলে ফেললো,, আইরাত একে তো ঝাল এ শেষ তার ওপর লজ্জায় অন্যদিক ঘুড়ে দাঁড়ালো। আব্রাহাম আইরাতকে কোলে তুলে নিয়ে ওয়াসরুমের দিকে যেতে লাগলো। আইরাতকে কোল থেকে নামিয়ে সাওয়ারের নিচে দাঁড় করিয়ে দিলো। আব্রাহাম পাগল হয়ে গেছে ঝালে কিন্তু সহ্য করছে। সাওয়ার অন করে দুজনেই ভিজতে লাগলো। আব্রাহাম এক প্রকার জোড় করেই আইরাতের ঠোঁটজোড়া নিজের করে নেয়। ঝালে এবং রাগে আব্রাহাম আর কোন উপায় না পেয়ে আইরাতের ওপর সব ঝাড়ছে। আব্রাহাম পাগলের মতো করে আইরাতকে কিস করে যাচ্ছে। এই দিকে আইরাত কান্না করতে করতে শেষ প্রচন্ড শীত ও করছে। আব্রাহামের কিস গুলো কামড়ে পরিনত হচ্ছে। আইরাত হাজার ধাক্কাচ্ছে কিন্তু আব্রাহাম আইরাতকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরেছে। ঠান্ডা পানিতে আইরাতের মুখ যেন আরো স্নিগ্ধ রুপ ধারণ করেছে। আব্রাহাম নিজের শার্ট একটানে খুলে ফেলে, আইরাতের জামার হাতা ছিড়ে ফেলে, বুকের দিকে ছিড়ে ফেলে। আব্রাহাম আইরাতের গলায়, ঘাড়ে নিজের মুখ ডুবিয়ে দেয়। আইরাত আর না পেরে আব্রাহামকে জোড়ে ধাক্কা দেয় যার ফলে সে কিছুটা পিছিয়ে যায়। আইরাত দৌড়ে চলে যেতে ধরলে আব্রাহাম পিছনে থেকে আইরাতের কোমড় ধরে কাছে টেনে আনে এবং পিছনে জামার ফিতা টেনে ছিড়ে ফেলে। সে আইরাতকে আবার একদফা নিজের করে পায় কিন্তু আইরাত কখনোই আব্রাহাম কে মেনে নিতে পারে না।












আইরাত শীতে কাপছে আর চোখের পানি ফেলছে। কেন তার সাথে এমন হলো। যাকে সে কখনোই চায় নি তার সাথে নিজের ইচ্ছের বিরুদ্ধে থাকতে হচ্ছে।

আব্রাহাম আইরাতের সামনে এসে দেখে যে সে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করছে। আব্রাহামের বুকে কেমন এক মোচড় দিয়ে উঠলো। আব্রাহাম আইরাতের পাশে তার কোমড় চেপে ধরে বসে পড়লো।

আব্রাহাম;; পরেরবার যেন এমন কিছু করার আগে আজকের দিনটা মনে থাকে ঠিকআছে জান (আইরাতের মাথায় চুমু দিয়ে)

আইরাত রাগ+বিরক্তি নিয়ে অন্য পাশে মুখ ঘুড়িয়ে নেয়। আব্রাহাম তার পাশ থেকে ওঠে পরে। আইনার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের চুল ঠিক করতে করতে আইরাতের উদ্দেশ্যে বলে ওঠে…

আব্রাহাম;; জানপাখি জলদি রেডি হয়ে নাও আমরা বাইরে যাবো
আইরাত;; আমি আপনার সাথে কোথাও যাবো না..
আব্রাহাম;; যাবে না!
আইরাত;; না
আব্রাহাম;; যাবে না!
আইরাত;; না বললাম তো

আব্রাহাম আইরাতের দিকে তাকিয়ে দেখে মুখ ফুলিয়ে বসে আছে।

আব্রাহাম;; তুমি যাবে না আমার সাথে তাই না! (আইরাতের দিকে তাকিয়ে শার্টের বোতাম খুলতে খুলতে এগিয়ে যাচ্ছে)
আইরাত;; এগিয়ে কেন আসছেন এভাবে (ঢোক গিলে)
আব্রাহাম;; কারণ তুমি যাবে না বেবি (আরো কাছে এগিয়ে এসে)
আইরাত;; এএএ না না আমি আমি যাবো, যাবো আমি। এভাবে ভয় দেখানোর মানে কি। আমি, আমি যাচ্ছি এবং আপনার সাথে যাবো
আব্রাহাম;; গুড, যাও রেডি হও

আইরাত দৌড়ে ওঠে চলে গেলো। আর আব্রাহাম হেসেই শেষ।

আব্রাহাম;; ডোজ টা ভালোই কাজ করে,, মাঝে মাঝে দিতে হবে।

আইরাত রেডি হয়ে এলো,, আজকে আইরাতকে বেশ স্মার্ট লাগছে। পরনে ব্লেক কালার পেন্ট, ক্রিম কালারের লং উইন্টার অফ সোল্ডার টপ, কিন্তু চুলগুলো ছেড়ে দেওয়ার ফলে কাধ বুঝা যাচ্ছে না, পায়ে ব্লেক হিল সুজ, কানে টপ এবং ঠোঁটে লিপস্টিক বেস ফাটাফাটি লাগছে আইরাতকে❤️
অন্যদিকে আব্রাহাম ও রেডি হয়ে নিলো। সে ও কম কিসে। পরনে ব্লেক কালার পেন্ট, ধবধবে সাদা শার্ট, শার্টের হাতা ফোল্ড করা, নীলাভ চোখ, চুল গুলো হালকা বড়ো বড়ো,, সামনের চুলগুলো কপালে উপচে পরছে, চাপদাড়ি,, হাতে ব্লেক ব্রেন্ডেড ওয়াচ, পায়ে ব্লেক সু। পুরাই কাতিলানা লুক❤️

আব্রাহাম পারফিউম দিচ্ছিল সেই সময় আইরাত এলো। আব্রাহাম আইরাতকে দেখে এক ভ্রু উচু করে ফেললো।

আব্রাহাম;; আর কতো কতো লুক আছে তোমার
আইরাত;; মানে
আব্রাহাম;; You ar looking cool…
আইরাত;;……………..
আব্রাহাম;; Let’s go babe💕

আব্রাহাম-আইরাত গাড়িতে উঠে পরলো। গাড়ির ড্রাইভার ড্রাইভ করছে পিছনে আব্রাহাম আইরাত বসা। আব্রাহাম একদম আইরাতের সাথে লেপ্টে বসেছে। আইরাতের অসহ্য লাগলেও সহ্য করে যাচ্ছে। বেশখানিক সময় পর গাড়ি এসে থামলো এক বড়ো বাংলোর সামনে। ড্রাইভার নেমে আইরাতের সামনের দরজা খুলে দিলো। তারা নেমে পরলো। আইরাত-আব্রাহামকে সসম্মানে ভিতরে নেওয়া হলো। ভিতরে যেতেই একটা লোক এসে আব্রাহামকে জড়িয়ে ধরলো। যদিও এটা সুইজারল্যান্ড কিন্তু লোকটিকে দেখে বুঝা যাচ্ছে না যে উনি বিদেশি, পুরো বাংলাদেশি।

সোহেল;; কেমন আছো আব্রাহাম, অনেক দিন পর তোমাকে দেখার ভাগ্য হলো। আমি চিফ গেস্ট হিসেবে তোমায় ডেকেছিলাম। তুমি যে সত্যি আসবে তা আমি ভাবতেও পারিনি,
আব্রাহাম;; আরে তুমি ডেকেছ আসতে তো হতোই।

আব্রাহাম ও সোহেলকে জড়িয়ে ধরলো এবং তার কানে কানে বলল…

আব্রাহাম;; আমি যে “আমেরিকান আন্ডারগ্রাউন্ড মাফিয়া” তা যেন ভুল করেও আইরাত টের না পায় ওকে (কানে ফিসফিসিয়ে)
সোহেল;; একদম পাবে না…

আব্রাহাম সোহেলকে ছেড়ে দাঁড়ালো।।

আব্রাহাম;; সোহেল, Met is my one & only beautiful wife Airat…
সোহেল;; Nice to met you মিসেস. আইরাত চৌধুরী। (আইরাতের সামনে হেন্ডশেকের মতো করে হাত এগিয়ে দিয়ে)

আইরাত সৌজন্যের খাতিরে হালকা হেসে হাত এগিয়ে দিতে চাইলে তার আগেই আব্রাহাম সোহেলের হাতে নিজের হাত থামিয়ে দেয় এবং হেসে উঠে। সোহের বেপার টা বুঝতে পেরে তাড়াতাড়ি করে হাত নামিয়ে ফেলে এবং তাদের কে একদম ভিতরে নিয়ে যায়। এটা যে অনেক হাইফাই একটা পার্টি তা বুঝায় যাচ্ছে। অনেক মানুষজন এসেছে এখানে,, প্রায় সবাই ওয়েস্টার্ন ড্রেসাপে এসেছে,, হাতে বিভিন্ন ধরনের ড্রিংকস। সোফট্ মিউজিক বাজছে তার তালে তালে অনেকে নাচছে। একটা কাপল ডেকোরেটেড টেবিলে গিয়ে আব্রাহাম-আইরাত বসে পড়লো। আইরাত তাকিয়ে তাকিয়ে পার্টি দেখছে কিন্তু আব্রাহাম আইরাতের দিকে ঘুরে মুগ্ধ হয়ে মাথার কিনারে হাত রেখে তাকে দেখছে,, মুখে লেগে আছে মুচকি হাসি। আইরাত এবার আব্রাহামের দিকে তাকাল..

আইরাত;; এভাবে তাকিয়ে থাকার কি আছে!
আব্রাহাম;; মায়া আছে,জাদু আছে, ভালোবাসা আছে এমনকি এখানেই আমি আমার নিজেকে হারিয়েছি। ও তুমি বুঝবে না…

আইরাত বেংচি কেটে আবার অন্যদিক তাকালো। তখন আব্রাহামের একটা বডিগার্ড এলো। আব্রাহামের কানে কানে কি যেন একটা কিছু বলে চলে গেলো।

আব্রাহাম;; জানপাখি তুমি এখানেই থেকো কেমন, আমি আসছি
আইরাত;; যেখানে খুশি যান আমার কি

আব্রাহাম একটা ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে উঠে চলে গেলো। আসলে আব্রাহাম গ্রেট মাফিয়া হওয়ার জন্য প্রায় সব জায়গাতেই তার পাওয়ার এবং সুনাম রয়েছে। খানিক পূর্বে যে বডিগার্ড টি এসেছিলো সে আসলে বিভিন্ন রিভলবার, সাইলেন্সার, গান এর খবর নিয়ে এসেছিল। এক ডিলার এসেছে আব্রাহামের সাথে ডিল করার জন্য তাই আব্রাহাম কে যেতে হয়েছে। আব্রাহাম চলে যাওয়ার কিছুক্ষন পর আইরাতের চোখ যায় কিছু Foreign Police Officer দের ওপর। তারা তাদের হাতে বড়ো Gun নিয়ে বাড়ির আসেপাশে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। এতে আইরাতের টনক নড়ে। আইরাত ভাবে যে যদি এদের কাছ থেকে কিছু সাহায্য নেওয়া যায়, কোন ভাবে যদি এরা তাকে আব্রাহামের কাছ থেকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে তাহলে। যেই ভাবা সেই কাজ। আইরাত দ্রুত পায়ে হেটে গিয়ে Police Officer দের কাছে যেতে নিলো। হাটতে হাটতে আইরাত অনেক বড়ো এক করিডরে চলে এলো। সামনে গিয়ে দেখলো দুটো অফিসার দাঁড়িয়ে আছে।

আইরাত;; Hlw, hlw excuse me hlw…

আইরাত Police Officer দের ডাক দিলে তারা আইরাতের দিকে তাকায়। আইরাত ধীরে ধীরে তাদের দিকে এগিয়ে যায়। অনেক সাহস নিয়ে আইরাত তাদের বলে ওঠে…

আইরাত;; Excuse me officer, can you help me out…?!
অফিসার;; Yes miss, tell us how can we help you!
আইরাত;; Actually i was kidnapped, and a guy forcefully took me to him… I want to go home plz help me
অফিসার;; What, who is he?
আইরাত;; He is Ab…..

আইরাত কিছু বলবে তার আগেই অফিসাররা আইরাতের পিছনে তাকালো এবং বলল..

অফিসার;; Good evening Sir (অতি সম্মানের সাথে)

পিছন থেকে অফিসারদের চলে যাওয়ার জন্য ইশারা এলে তারা সোজা চলে যায়। আইরাত অফিসারদের এভাবে হুট করে চলে যাওয়াতে কিছুটা ভরকে গেলো। ধীরে ধীরে আইরাত পিছন ঘুড়ে তাকলো। পিছনে তাকিয়ে আইরাতের প্রাণভোমরা পালিয়ে যায়। কারণ পিছনে তাকিয়ে দেখে আব্রাহাম পেন্টের পকেটে এক হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আর অন্য এক হাতে সেম্পেনের বোতল যা অর্ধেক খাওয়া। এখন আব্রাহামকে টোটালি মাফিয়া লাগছে। আব্রাহাম হাতে সেম্পেনের বোতল নিয়েই আইরাতের দিকে এগিয়ে এলো।

আব্রাহাম;; Are you lost Baby Girl !!
আইরাত;; Actually আমি, মানে আমি আসলে
আব্রাহাম;; তোমাকে কিডন্যাপ করা হয়েছে, তুমি এখান থেকে যেতে চাও।
আইরাত;;……………………….
আব্রাহাম;; Speakup baby girl (আইরাতের থোতাতে ধরে মুখ ওপরে তুলে, রাগ কন্ট্রোল করছে কোনভাবে)
আইরাত;; Leave me
আব্রাহাম;; Never,, তুমি কি ভেবেছ তুমি ওই অফিসারদের কাছ থেকে সাহায্য চাইবে আর ওরা এতো ইজিলি তোমাকে হেল্প করবে তাও আবার আমার কাছ থেকে পালানোর জন্য হাহাহাহাহাহাহাহা (ডেভিল হেসে) Baby girl it can’t happen even in your imagination… so অযথা ব্যর্থ চেষ্টা করো না। কোন লাভ হবে না ওকে (আইরাতের মুখের কাছে মুখ এনে)

আব্রাহাম আইরাতের দিকে তাকিয়ে হেসে আইরাতের ঠোঁটে চুমু একেঁ দেয় এবং আইরাতকে দিয়ে ভিতরে যেতে লাগলো।।।









💟🌷চলবে~~~~

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে