Dangerous_Villain_Lover part_16

0
2762

Dangerous_Villain_Lover
part_16
#writer_Tanjina_Akter_Misti

ছোঁয়া রাহুলের হাতে পরম যত্নে ব্যান্ডেজ করে দিলো। রাহুল ব্যান্ডেজ শেষ হতেই ছোঁয়া কে নিয়ে বেরিয়ে এলো পেছনে সিট থেকে ছোঁয়া কে সামনে বসিয়ে নিজে ও পাশের সিটে বসে পরলো ড্রাইভ করতে।

– কি হচ্ছে স্যার আপনি এই হাত ব্যাথা নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন কেন?

– জান তুমি ইদানিং বেশি স্যার বলছো।

– মানে কি আপনি স্যার আমি স্যার বলবো না তো কী বলবো?

– নো আমি কারো স্যার না এটা জাস্ট তোমার জন্য। এখন থেকে আর স্যার বলবে না ওকে। তোমার কাছাকাছি থাকার জন্য এই স্যার হয়েছি।

– হুয়াট আপনি কী আমাকে আগে থেকেই চিনতেন তাহলে।

– হুম জান।

– কিন্তু কিভাবে?

– ওসব পরে বলবো এখন কথা বাদ দাও নয়তো দেরি হয়ে যাবে।

– কোথায় যাচ্ছি আমরা?

– গেলেই দেখতে পাবে।

আমি তবুও জিগ্গেস করেই যাচ্ছি কিন্তু রাহুল কিছু বলছে না আমাকে। তাই রেগে অন্য দিকে তাকিয়ে আছি এই মাঝ রাতে এই ভাবে আনলো আবার হাতে ব্যাথা নিয়ে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে বলছে ও না রাগ লাগছে। হঠাৎ বাইরে তাকিয়ে আতকে উঠি একি এটা কোথায় এলাম এতো অন্ধকার জন্গলে কি জন্য এলো রাহুল আমি সঙ্গে সঙ্গে ভ্রু কুচকে তাকালাম রাহুলের দিকে কিছু জিগ্গেস করতে যাব সে আচমকা আমার কোমর ধরে নিজের কাছে নিয়ে এলো।

– কি হচ্ছে আমরা এমন জন্গলে এলাম কেন?

রাহুল কিছু না বলে ছেড়ে দিয়ে দরজা খুলে বেরিয়ে গেল আমি অবাক হয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছি। রাহুল আমার পাশে এসে দরজা খুলে হাত ধরে বাইরে নিয়ে এলো তার পর পেছনে গিয়ে আমার চোখে হাত রাখলো।

– কি হচ্ছে আমি কিছু বুঝতে পারছি না। এটা কোথায় এ জন্গলে কেন নিয়ে এলেন আপনার এই হাতে ব্যাথা নিয়ে শরীর গরম লাগছে এখন আবার চোখ আটকালেন কেন?

– মায়াবতী একটু চুপ থাক আর আমার সাথে পা মিলিয়ে চলো।

– কেন হাত চোখ থেকে সরান?

কিছু না বলে রাহুল হাটতে লাগলো আমি উপায় না পেয়ে হাটছি কিন্তু কথা বন্ধ করি নি। কি চাইছে কি পাগল হয়ে গেল নাকি এতোরাতে এ কোথায় নিয়ে এলো আচ্ছা কোন ভাবে পাগল হয়ে যায় নি তো বা ভূত প্রেত ধরে নি তো আমাকে মেরে ফেলবে না তো। এবার আর শান্ত না থেকে কিছু বলবো হঠাৎ রাহুল একাই চোখ থেকে হাত সরাতে লাগলো আমি রেগে পেছনে ঘুরতে যাব কিন্তু তা আর হলো না।
সামনের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেলাম সমস্ত রাগ নিমিশেই শেষ হয়ে গেল। নিজের চোখে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছি সামনে অসংখ্য জোনাকির আলো দিয়ে আলোকিতো হয়ে আছে। জোনাকি
গুলো খেলা করে বেড়াচ্ছে আমি মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে দেখছি।
রাহুল ছোঁয়া মুখে মুগ্ধ দেখে রাহুলের মুখে হাসি চলে আসে ও তো এই হাসি দেখার জন্যই এখানে এসেছে। রাহুল পেছনে থেকে ছোঁয়া কে জরিয়ে ধরলো।
ভালোবাসার মানুষ পাশে থাকলে সবার ই ভালো লাগে সময় টা অন্য রকম এক সপ্নের মতো চলতে থাকে ছোঁয়া ও তাই রাহুলকে প্রথম থেকে ওর ভালো লাগতে। আর যখন জানতে পেরেছে রাহুল ওকে ভালোবাসে তখন থেকে ও ওর খুশির সীমা আর থাকে না সব সময় আনন্দে কাটে। দেখতে দেএক মাস চলে গেল। এখন ছোঁয়া পরিক্ষা চলে এসেছে এইচ এস সি পরিক্ষা। এখন পুরো দমে পড়ায় নিজেকে ব্যস্ত থাকে।
এই এক মাস ছোঁয়ার অনেক ভালো কেটেছে প্রতিদিন রাহুল ওকে পিক করতে আসতো এক সাথে কলেজে যাওয়া। সপ্তাহে দুই দিন কলেজ শেষে ঘুরতে যাওয়া। হাতে হাত রেখে নদীর পারে হাটা। রাহুল ছোঁয়া কোলে মাথা রেখে সবুজ ঘিসের উপর শুয়ে থাকে কখনো ছোঁয়া করে। ভান অভিমান সব মিলিয়ে খুব ভালো কেটেছে। এখন পরিক্ষার জন্য কথা কম হবে কিন্তু প্রতি ঘন্টার একবার করে ফোন করে খাবার জন্য রেসট করতে বলবেই। না ধরলেই তুলকালাম বাধিয়ে দিবে।

প্রথম পরিক্ষার দিন আববু আমার সাথে গেল বলল প্রতি দিন যাবে কি জেমেলা হলো রাহুল বলেছে সে যেতে চায় এখন আববু কে মানা করবো কি করে। কিন্তু আমার জামেলা মুক্ত করে আববু অফিসের কাজ রে গেল আর আমি নিশ্চিত হতে পারলো। পরপর সব গুলো পরিক্ষা রাহুল আমার সাথে গেছে জীবনটা এতো সুন্দর আর ভালো কখনো লাগে নি রাহুল জীবনে আসার পর একে ভালো কাটছে সপ্নের মতো সুন্দর জীবন কাটছে সারাজীবন আমি এই লোকটার সাথে থাকতে টাই। প্রচণ্ড ভালো বেসে ফেলেছি যাকে বলে। রাহুল ছাড়া আর কিছু মাথাআসে না।
পরিক্ষা শেস করে শান্তির একটা ঘুম দিলাম। এখন আমি মুক্ত ওফ সারা দিন রাহুলের সাথে কথা বলবো নো পড়া শুনা।
দুই দিন পর
হঠাৎ আম্মু আমার রুমে এসে শাড়ি দিয়ে গেল পড়ার জন্য বারবার জিগ্গেস করছি কেন না বলে জোর করে পরিয়ে দিল কি জালা শাড়ি কেন পরাচ্ছে বলছেই না। এখন সাজাতে বসালো দূর ভালো লাগে না। আমি সাজবো না বারবার বলছি কিন্তু আম্মু সাজিয়ে চলেছে।

সুখ কি এমন এভাবে আমার সব সুখ কেড়ে নেব আমি ভাবি নি দুচোখে জল নিয়ে আববুর দিকে তাকিয়ে আছি।

-কিরে আসিফ আংটিটা তারাতারি পরিয়ে দে।

সঙ্গে সঙ্গে হাত গুটিয়ে নিলাম এই আংটি কিছু তেই আমি পরবো না। আমার রাহুলের কি হবে ও যে পাগল হয়ে যাবে না না কিছু তেই না রাহুল কি ছাড়া অন্য কারো হতে পারবো না আমি অসহায় চোখে তাকিয়ে আছি কিন্তু আববু কিছু বলছে না।

চলবে❤

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে