Dangerous_Villain_Lover part 11

0
3322

Dangerous_Villain_Lover
part 11
#Writer_Tanjina_Akter_Misti

হঠাৎ পেছনে থেকে কেউ চোখ ধরলো আচমকা এমন হওয়ায় ঘাবরে গেল ছোঁয়া অন্য সময় হলে হয়তো হতো না এমন অনেক সময় আববু ও করে কিন্তু আজ রাগ হচ্ছে এমনিতেই না না কথা ভাবছিল স্যার কে নিয়ে স্যার কেন এমন করছে তার মাঝে ব্যগাত ঘটাল এই হাত রেগে হাতের উপর হাত রেখে বলতে লাগল….

— ওফ আববু আমার ভালো লাগছে না সরাও হাত। কি হলো আমার সামনে এসে বসো দূরে আমি তো চিনেছি তোমাকে

বলেই ভুখ বন্ধ করে ফেলল একি এটা তো আববুর হাত না। আববুর হাতে আংটি আছে তিনটা যা ধরে বুঝতে পারি এটা আববু কিন্তু এই হাতে তো আংটি আছে দুইটি এটা কে তাহলে হাত ও সরাচ্ছে না। এবার ভ য় হতে লাগল ভয় মিশ্রিত গলায়,,, কে কে,,, বলে উঠে সারা না পেয়ে যেই কেদে দেবে কেউ হাত সরিয়ে সামনে এসে বসে। আমি তাকে দেখে অবাক হয়ে যায় এ আমি কাকে দেখছি প্রায় ছয়মাস পর দেখছি আমি হা করে তাকিয়ে আছি।

— কি হলো এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন?

— ভাইয়া তুমি!

— হুম আমি কেন?

— আমার তো বিশ্বাসই হচ্ছে না তুমি এতো দিন।

— খুব ব্যস্ত ছিলাম।

— ওহ কিন্তু তুমি এতো দিন আমাদের কারো সাথে যোগাযোগ করো নি কেন ফুফি তো তোমার চিন্তা শেষ।

— বিজি ছিলাম রে কাজে অনেক তাই।

— যত বিজিই থাক না কেন তোমার যোগাযোগ রাখা উচিত ছিলো যোগাযোগ করে একটু কথা বললে কি এমন ক্ষতি হতো।

সামনের লোকটি কানে হাত দিয়ে সরি বলল।

— এই যে কানে ধরে বলছি আর কখনো এমন করবো না হয়েছে।

ছোঁয়া যার সাথে কথা বলছে সে হচ্ছে ছোঁয়ার ফুফাতো ভাই রিফাত। ছয় মাস আগে রিফাত হঠাৎ ই উদাও হয়ে যায় তাই সবাই খুব চিন্তা কোথায় আছে কি করছে রিফাত শুধু বলেছিল ব্যবসা করবে। আজ হঠাৎ দেখে অবাক হয়েছে।
সব শুনে জানতে পারলো কি ব্যবসা করছে সেটা এখন ভালো আছে তাই এখন থেকে এখানেই থাকবে। কিছুক্ষণ গল্প করলাম কিন্তু আমি গল্প মন দিতে পারছি না বারবার স্যার এর ব্যবহার মনে পরছে কিন্তু ভাইয়া কে বলতে ও পারছি না।

— আচ্ছা ভাইয়া আমার না অনেক ঘুম আসছে কাল কথা বলি।

— আচ্ছা তাহলে ঘুমা কিন্তু কিল তো আর হবে না আমি তো সকালেই চলে যাচ্ছি।

— ওহ

— হুম একটা কথা কাল কোথায় ও ঘুরতে যাবি।

— আমার তো কলেজ আছে।

— কলেজ শুরু আগে।

— আচ্ছা।

রিফাত চলে গেল। ছোঁয়া আববু ঠোঁটে হাত দিয়ে আয়নার কাছে গেল স্যার আমাকে এখানে। না না ভাবতে কেমন লাগছে কিন্তু এটা স্যার কেন করলো অন্য কিছু করে ও তো ঝাল কমাতে পারতো ওটাই কেন, জেসি আর টিয়া যে বলল স্যার আমাকে ভালোবাসে সত্যি কি বাসে।

রাহুল গোডাউনে রাগী মুখ করে বসে আছে রাগে ওর শরীর কাপছে সবাই ভয়ে ভয়ে তাকিয়ে আছে।
চিৎকার করে উঠে।

— বস আমরা খুজ নিয়ে এসেছি?

সঙ্গে সঙ্গে রাহুল এর মুখ উজ্জল হয়ে উঠল ও রাগ সংবত করে তাকাল।

– বস আসিফ রবিবার মেয়ে পাচার করবে আর কালকে সবাইকে ওর গোপন গোডাউনে আনবে দুইজন মেয়ে এখন ও পায় নি।

— ভ্যারি গুড। আমরা তাহলে পরশু যাব সবাইকে উদ্ধার করতে ওকে।

সবাই মাথা নেরে সম্মতি দেয়।

পরদিন

রাহুল কলেজে যাওয়ার আগে ছোঁয়া নিতে আসে কিন্তু ছোঁয়া কে পায় না অনেক ক্ষণ ওয়েট করে অধীর আগ্রহ নিয়ে কিন্তু খবর নেই এক ধ্যান জানালা দিয়ে তাকিয়ে আছে ছোঁয়া কে দেখা যাচ্ছে না ছোকি চলে গেছে। ভালো লাগছে না কাল রাতে ও আসতে পারে নি ওই চিন্তা করে কখন থেকে মায়াবতী কে দেখি না কোথায় আছে কি করছে।
এক মূহুর্তে না দেখলে পাগল পাগল লাগে নিজেকে। ওই ভাবে দ্রুত কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দিল কলেজে গেলেই দেখা পাবে। কলেজে এসে সারা কলেজ খুজতে থাকে কিন্তু কোথায় ও নাই চাতক পাখির মতো খুজে চলেছে। আশেপাশের সবাই হা করে তাকিয়ে আছে সবাই ভাবছে স্যার এতো ঘুরে কাকে খুজছে।
ব্যর্থ হয়ে বারান্দায় দাড়ালো। হঠাৎ চোখ গেল গেটের কাছে ছোঁয়া দাড়িয়ে আছে সাথে ক।একটা ছেলৃ যার মুখ দেখা যাচ্ছে না ছোঁয়া হেসে হেসে কথা বলছে হঠাৎ ছেলেটা ছোঁয়া গালে হাত দিলো ছোঁয়া হেসে সরিয়ে দিলো তারপর বাই বলে গাড়ি তে উঠে বসলো ছোঁয়া হাত নারিয়ে দিলো।

আর রাগ সংবত করতে পারছে না রাগে ফর্সা মুখ লাল টকটকে হয়ে গেছে যেন সবাই ধংস করে দিবে। কে ওই ছেলে ওর সাহস কি করে হলো আমার মায়াবতীর সাথে হেসে হেসে কথা বলার ওর এতো বড় সাহস ও ছোঁয়ার গালে হাত দেয় ওকে আমি খুন করে ফেলবো।
ভেবেই জোরে হাটা দেয় ছোঁয়ার দিকে। হঠাৎ কেউ ছোঁয়ার হাত টেনে শক্ত করে ধরে তাকিয়ে দেখের আগেই সে হাত টেনে একটা খালি ক্লাস রুমে এনে দরজা বন্ধ করে দেয় তারপর ছোঁয়াকে দেয়ালে চেপে ধরে দুহাত মুচরে। ছোঁয়া হতবাক হয়ে তাকিয়ে আছে কি হচ্ছে কি সব ওর মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। এতত জোর হাত ধরেছে যে হাত ব্যাথা করছে স্যারের দিকে তাকিয়ে আতকে উঠে ছোঁয়া চোখ জোরা অসম্ভব লাল হয়ে আছে দেখেই বয় পেয়ে যায় ছোঁয়া।

কিছু বলতে যাবে স্যার বলে উঠে…..

— কে ওই ছেলে কি কথা বলছিলি ওর সাথে তুই?

— স্যা র

ভয়ে কথা বলতে পারছে না।

— কি হলো বল ওই ছেলের সাহস কি করে হলো তোর গালে হাত দেওয়ার।

বলেই আমার গালে হাত দিল তারপর অন্য হাত দিয়ে হাত শক্ত করে ধরে আছে।

— স্যার আমার লাগছে প্লিজ ছারুন কি বলছে এসব আমি কোন ছেলের সাথে কথা বললে আপনার কি তাতে।

কথা বলতে দেরি হলে ও তার দেরি হলো না চিৎকার করে বলল,,

– কি বললি আমার কি আমার ই তো সব। তোর সব কিছু আমার সব তুই আমার সাথে কথা বলবি আমি তোর গালে হাত দেব ওই ছেলে কেন দেবো হুয়াই ওকে আমি।

আর কিছু বলল না আচমকা আমার গালে কামরে ধরলো আমি ব্যাথায় আহ করে উঠলাম চোখ বন্ধ স্যার কি বলছে কি।

— কি বলছেন এসব স্যার আপনার সব মানে কি? ছারুন সামান্য কারণে এমন করছেন কেন কি হন আপনি যে আমার সাথে এমন করছেন কাল রেস্টুরেন্টে এসবের মান কি?

রেগে কথা গুলো বললাম।
স্যার এবার আমার হাত ছেড়ে দিয়ে দুগালে হাত রেখে বলল

— বিকজ আই লাভ ইউ।

চলবে❤

[লেট করার জন্য সরি। আমার আইডিটা হ্যাক হওয়ার জন্য এতোদিন গল্প দিতে পারি না। এখন থেকে নিয়মিত গল্প দেব]

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে