Sunday, October 5, 2025







Love At 1St Sight Season 3 Part – 29

Love At 1St Sight
~~~Season 3~~~

Part – 29

writer-Jubaida Sobti

In Restaurant,
জারিফা আর রিদোয়ান বসে আছে লাঞ্চ অর্ডার করে,

জারিফা : এতোকিছু অর্ডার করার মোটেও প্রয়োজন ছিলো না!

রিদোয়ান : আহা! অর্ডার করেছি যা মন চাই খাবা না খেলে ইগনোর করবা ব্যাস! [ বলেই চোখ টিপ মারলো ]

জারিফা : যা মন চাই খাওয়ার প্রয়োজন নেই ব্যাস আমাকে তাড়াতাড়ি পানি খাওয়ান আমার গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে!

রিদোয়ান : ওয়েটারকে তো বললাম আগে একটা পানি দিতে কই গেলো ইডিয়টটা, আচ্ছা তুমি বসো আমি আসছি, [ বলেই চেয়ার থেকে উঠে দাড়ালো ]

[ হঠাৎ, কোনো একটা মেয়ে এসে হেইই রিদ বলে জড়িয়ে ধরলো, রিদোয়ান অবাক হয়ে তাড়াতাড়ি জারিফার দিক তাকালো ]

– হ্যালো রিদ! ইউ রিমেম্বার মি?…

রিদোয়ান : ইয়া,ইয়াহ! তারিনা রাইট?..

তারিনা : [ এক্সাইটেড হয়ে ] ইয়েস্! [ জারিফার দিক তাকিয়ে ] হু ইজ শি?…

রিদোয়ান : আব…শি ইজ জারিফা! এন্ড জারিফা শি ইজ তারিনা!

তারিনা : অউউ! সো্ সুইট, হ্যালো!

জারিফা : [ হ্যান্ডশেক করে ] হাই!

তারিনা : নাইস্ টু মিট ইউ গাইস্ নাও বাই, সি্ ইউ লেটার! ইনজয় ইয়র ডে, বাইইইই!

রিদোয়ান : বাই!

[ চলে গেলো তারিনা, ওয়েটার এসে পানি দিয়ে গেলো, জারিফা গ্লাসে পানি ঢেলে নিচ্ছে ]

রিদোয়ান : [ চেয়ারে বসে হালকা একটু হেসে ] আর ইউ জেলাস্?

জারিফা : ওহ! নো শি ইজ এ ফ্রেন্ড! [ বলেই পানি খেতে লাগলো ]

রিদোয়ান : ইয়াহ! শি ইজ এ ফ্রেন্ড! বাই দ্যা ওয়ে! জারিফা You know আমি তোমার সাথে রিলেশনের আগে…

জারিফা : [ পানির গ্লাস টেবিলে রেখে ] ইয়াহ I know আমার সাথে রিলেশনের আগে আপনি আরো রিলেশন করেছিলেন, ভার্সেটির র্যাগিং মাষ্টার ছিলেন,মেয়েদের সাথে টিচ্ করতেন,পার্টিসার্টি, ডান্স, বেয়ার,গার্লস্ উইথ লং ড্রাইভ, Etc Etc

– আব..আই মিন লাইক এ প্লে বয় রাইট?…

রিদোয়ান : [ একটু হেসে ] ইয়াহ! রাইট বাট নো্ এক্সুলি রিলেশন তো শুধু তোমার সাথে করেছি এর আগে করিনি,

– কিন্তু জারিফা! এতোকিছু জেনে ও তুমি আমাকে হ্যা বললে যে?..

জারিফা : [ মুচকি হেসে ] তো আপনার কি মনে হয়?… আমার হ্যা বলাটা উচিৎ হয়নি?…

রিদোয়ান : [ ব্লাশিং হয়ে ] ইয়াহ দ্যাটস্ ইন্টেলিজেন্ট কুয়েশন [ বলতেই জারিফা ও হেসে উঠে ]
________________________________

গাড়ীতে,

আসিফ : [ একটু হেসে ] তুমি যা করেছো তাতে আমি একটু ও অবাক হয়নি! You know বেশিরভাগ মেয়েরায় এই কাজটা করে থাকে… সো্ সিম্পল!

মার্জান : হুহ! I know আপনি আমাকে বাকি মেয়েদের মতোই মনে করবেন! বাট you know what!

– no chance!

আসিফ : এক্সুলি আই হেভ নো ইন্ট্রেষ্ট! [ বলেই হেসে অন্যদিক ফিরে গেলো ]

মার্জান : [ নাক ফুলিয়ে ] আচ্ছা আপনি নিজেকে নিজে কি মনে করেন বলেন তো?…আমি কি ক্লাস টু তে পড়ি?..আমাকে আপনি বোকা পেয়েছেন?…

– [ মুখ ভেংগিয়ে ] হুহ! এতোটাই ইন্ট্রেষ্ট না থাকলে আমার পিছন ঘুর ঘুর করছিলেন কেনো?…আপনি কি ভেবেছেন আপনি আমাকে কেন্টিনে ফলো করে ঢুকেছিলেন সেটা আমি ঠের পাইনি?…পার্কিং এ ও আমাকে ফলো করতে করতে এসে হাজির হয়েছিলেন,

আসিফ : Compulsory ছিলো?…

মার্জান : [ অবাক হয়ে ] হোয়াট?..Compulsory ছিলো মানে?… কে করেছে Compulsory ?..

– আরে বলেন কে বলেছে আপনাকে আমাকে ফলো করতে?…

আসিফ : সব কথা বলা যাবে না!

মার্জান : গাড়ী থামান!

আসিফ : বাট হোয়াই?..

মার্জান : [ চেঁচিয়ে ] আই সে্ স্টপ দ্যা কার!

আসিফ : হাইওয়েতে আছি, বললেই কি হুট করে গাড়ী থামানো যায় নাকি?..কিন্তু কি হয়েছে সেটা তো বলো!

মার্জান : [ গাড়ীর দরজা ধরে ] আপনি গাড়ী থামাবেন নাকি আমি লাফ দিবো?…

আসিফ : ওকে ওকে ওয়েট!

[ বলেই আসিফ একপাশ করে গাড়ী থামালো এবং সাথে সাথেই মার্জান গাড়ী থেকে হুটহাট করে বেড়িয়ে এলো ]

আসিফ : হ্যালো কই যাও!

মার্জান : [ জানালা দিয়ে মাথা ঢুকিয়ে ] জাহান্নামে যাচ্ছি! যাবেন?..[ আসিফ হেসে উঠে ] এন্ড You know I have no interest on your help! so get lost! [ বলেই কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে টেক্সি একটা ঠিক করে চলে যায় ]

আসিফ রাহুলকে ফোন দিলো,

রাহুল : হ্যালো!

আসিফ : ইয়ার কি মেয়েরে বাবা! আমাকে এমন ভাবে ধমক দেই যেনো আমি ওর আগের জন্মের গোলাম ছিলাম,

রাহুল : এগেইন হোয়াট হ্যাপেন?..

আসিফ : ও বুঝতে পেরেছে আমি ওকে ফলো করেছিলাম, আমি বললাম আমার ইন্ট্রেষ্ট ছিলো না এটা করা আমার জন্য compulsory ছিলো,

রাহুল : এটা বলার কি দরকার ছিলো?..

আসিফ : আরে না বলে পারছিলাম না ও আমাকে মনে করছে আমি আমার নিজ ইচ্ছায় ওকে ফলো করছিলাম…

রাহুল : আচ্ছা এখন কই?…

আসিফ : গাড়ী থামিয়ে টেক্সি নিয়ে বেড়িয়ে গেছে!

রাহুল : আরে তুই পাগল নাকি একা যেতে দিলি কেনো?…আমি স্নেহাকে কথা দিয়েছি আসিফ!

আসিফ : আরে গাড়ী থামাচ্ছিলাম না বলে ও বলছে নাহলে লাফ দিবে! তাই আর কি করার!

রাহুল : বাড়ী না পৌছা পর্যন্ত টেক্সি ফলো কর! আর আমি রাখছি পরে কথা হবে এখন Busy আছি,

[ বলেই ফোন কেটে পকেটে ঢুকিয়ে নিলো, কিছুক্ষণ পরেই হসপিটাল এসে পৌছালো, তাড়াহুড়ো করে উপরে উঠতেই দেখে কেবিন থেকে দাদী বেরুচ্ছে ]

রাহুল : [ দাদীর দিক এগিয়ে গিয়ে ] দাদী! কি হয়েছে আব…ডক্টর এসেছে ?…

দাদী : হার্ট এট্যাক করেছে!

রাহুল : টাইমলি মেডিসিন না নিলে তো এমন হবেই! [ বলে অন্যপাশ ফিরে গেলো ]

দাদী : [ বিরক্তি হয়ে ] রাগ দেখানোর সীমা আছে একটা রাহুল!

– কতোবারই বলেছি বাবার সাথে বিজনেসে্ টুকটাক হাত বাটা,

রাহুল : আবার এসব স্টার্ট করোনা দাদী আমি আগেও বলেছি ওনার বিজনেসে্ আমার কোনো ইন্ট্রষ্ট নেই! ওনাকে বলো ওয়ার্ক প্রেশার কমাতে যাকে ইচ্ছে তাকে পার্টনার করে নিতে!

দাদী : পাঁচ-দশটা ছেলে আছে তাই না?.. যে যাকে ইচ্ছে তাকে বিজনেস্ পার্টনার করে নিবে?… [ রাহুলের হাত ধরে ] দেখ রাহুল! এসব সবই তো তোর জন্য…করছে

রাহুল : ফরগেট ইট দাদী! এটা বলো এখন কেমন আছে?…

দাদী : [ নাক ফুলিয়ে ] আমি কি জানি কেমন আছে?..জানার ইচ্ছে থাকলে নিজে গিয়ে দেখ!

রাহুল : [ একটু হেসে দাদীর গাল টেনে ] উফ! দাদী তুমি রাগ করলে না ইচ্ছে করে টাইট করে দুইটা পাপ্পি দি!

দাদী : [ রাহুলের হাত ঝাড়ি দিয়ে ] ছিঃ বদমাইশ!

[ রাহুল হেটে এগিয়ে গিয়ে কেবিনের দরজা খুলে তাকাতেই দেখে তার বাবা শুয়ে আছে, মাথা ফিরিয়ে তার বাবা ও দরজার দিক তাকাতেই রাহুলকে দেখতে পাই, সাথে সাথেই রাহুল দরজা বন্ধ করে আবার দাদীর দিক এগিয়ে আসে ]

দাদী : [ রাগান্বিত ভাবে ] হয়ে গেছে দেখা তাই না?…

রাহুল : [ হেসে ] ডিসচার্জ কখন দিবে?…

দাদী : তোকে বলার প্রয়োজন নেই!

রাহুল : [ হেসে ] ওকে ডক্টর থেকেই জেনে নিবো!

[ দাদী নাকফুলিয়ে রাহুলকে হাত দিয়ে সরিয়ে কেবিনে ঢুকে গেলো, রাহুল হাসতে থাকে দাদীর কান্ডে হঠাৎ আবার কেবিনের দিক তাকিয়ে মুখ গোমড়া করে ফেলে , চোখে পানি টলমল করছে…আশেপাশে তাকিয়ে কন্ট্রোল করে নিলো নিজেকে,ডাক্তার থেকে ও জেনে নিলো তার বাবাকে ডিসচার্জ কখন দিবে, নিচে গিয়ে বাইকে উঠে বসলো হঠাৎ আবার স্নেহার কথা মনে পড়তেই মোবাইলটা বের করলো ]
________________________________

In Dance class,
সব ডান্স টিচারদের কনফারেন্স রুমে একত্র করা হলো,

সিনিয়র টিচার : যা বলেছি সব বুঝতে পেরেছো তো! আমি এসব বারবার বলবো না,

– বার বার ব্রেক নেওয়া আমাদের স্টুডেন্টসদের জন্য অনেকটাই ক্ষতি হচ্ছে!

[ হঠাৎ, স্নেহার ফোনটা বেজে উঠলো, সাথে সাথেই সবাই স্নেহার দিক তাকালো, ফোনটা কাটতেই ছিলো স্নেহা, কিন্তু রাহুলের কল দেখে তাড়াতাড়ি রিসি্ভ করলো ]

স্নেহা : [ ধীরো কন্ঠে ] হ্যালো!

রাহুল : কামঅন স্নেহা! তুমি আমার সাথে বিনা দেখা করেই চলে গেলা! আর এসব কি শুনছি তুমি নাকি ওভারটাইম…

স্নেহা : রার…রাহুল আমি আপনাকে পড়ে কল দিচ্ছি [ বলেই স্নেহা ফোন কেটে দিলো ]

সিনিয়র টিচার : স্নেহা! ইউ আর এ গ্রেট ডান্সার! বাট তোমার ক্ষেত্রেই কিছুদিন ধরে দেখি…তুমি রুলস একদমই…
[ বলতেই স্নেহার ফোনটা আবার বেজে উঠলো ]

স্নেহা : [ তাড়াতাড়ি কেটে দিয়ে ] সরি! স্যার!

সিনিয়র টিচার : তুমি অনেকদিন এভসে্ন ছিলা! এই কারণে স্যালারি কাটা যায় তুমি নিশ্চয় জানো?..

স্নেহা : জি স্যার!

সিনিয়র টিচার : আই হোপ নেক্সট থেকে এমন হবেনা, [ বলতেই স্নেহার ফোনটা আবার বেজে উঠে ] ফোনটা সুইচ অফ করলে ভালো হয়!

[ স্নেহা তাড়াতাড়ি ফোন বন্ধ করে দিলো
রাহুল আবার ও কল দিলে দেখে স্নেহার ফোন বন্ধ, রেগে ফোন পকেটে ঢুকিয়ে বেড়িয়ে পড়লো হসপিটাল থেকে, বাসায় এসে রুমে ঢুকতেই দেখে ফোনটা বেজে উঠলো ]

রাহুল : জরুরী ছিলো না আমাকে ফোনটা করার,

স্নেহা : আরে রাগছেন কেনো রাহুল! আমি কনফারেন্স রুমে ছিলাম তাই..

রাহুল : ওহ ইয়াহ স্নেহা! আই গেট ইট প্রতিদিনই তোমার কোনো না কোনো বাহানা, ঐ দিন মামা সামনে ছিলো তাই রিসি্ভ করতে পারোনি,আজ কনফারেন্স রুমে ছিলা,কাল অন্য জায়গায় থাকবা, বাট স্নেহা বেরুবার সময় অন্তত আমার সাথে একবার দেখা করে যেতে পারতে,

স্নেহা : রাহুল আপনি রেগে বেড়িয়েছিলেন, আপনাকে কিছু বলবো ঐ সময়টাই আপনি আমাকে দেননি,

রাহুল : [ রাগান্বিত ভাবে ] ওভারটাইম জব করার এতোটাই কি দরকার ছিলো ?…কিছু লাগলে আমাকে বলতে পারতে আমাকে শেয়ার করতে পারতে, ওহ ইয়াহ, কেনো বলবা আমি কে তোমার?…

স্নেহা : রাহুল আপনি এভাবে রাগছেন কেনো?..

রাহুল : স্নেহা! I don’t know তুমি আমার থেকে কি হাইড করছো, [ জোড়ে একটি শাস ফেলে ] আমি তোমাকে বুঝতেই পারছি না,

স্নেহা : রাহুল!

[ কেটে দিলো রাহুল ফোন,স্নেহা আবার কল বেক করতে যাবে তখনি রুমে সিনিয়র টিচার এসে হাজির হয়, ফোনটা তাড়াতাড়ি সরিয়ে বেগে ভরে নিলো

এইদিকে,

মাথার চুল মুঠি বেধে ধরে চোখ বটে সোফায় বসে পড়লো রাহুল, কিছুক্ষণ চুপ করে বসে থেকে আবার উঠে গিয়ে ফ্রিজ থেকে বেয়ারের বোতোলটা এগিয়ে নিলো, বোতোলের দিক তাকাতেই শিপে স্নেহাকে বলা কথাটি মনে পড়লো ]
________________________________

{ রাহুল : i swear স্নেহা আমি Addicted না! বাট, যখনি পেইন লাগে…সজ্য হয় না..তখনি এটাকে পার্টনার করেনি!

স্নেহা : [ রাহুলের হাত কাছে টেনে জড়িয়ে রাহুলের দিক তাকিয়ে কাধে মাথা রেখে ] এখন তো আর একা নয়! হুম?…

[ রাহুল মুচকি হেসে স্নেহার হাত মুঠি বেধে শক্ত করে তার হাতে ধরে স্নেহার দিক তাকিয়ে মাথা নাড়ালো! ]

স্নেহা : আজ থেকে আর খেতে হবে না!ওকে?…আর যখনি এসব সামনে থাকবে…আপনি আমার কথা মনে করবেন দেখবেন! আপনার খেতে ইচ্ছেই করবে না }
________________________________

ভাবতেই বোতোলটা আবার ফ্রিজের মধ্যে ছুড়ে ধপ করেই ফ্রিজটা বন্ধ করে দিলো, মোবাইলটা আবার বেজে উঠলো স্নেহা মনে করে তাড়াহুড়ো করে এগিয়ে গিয়ে রিসি্ভ করতেই গেলো দেখে ড্রাইভার ফোন করেছে,

রাহুল : হ্যা বল,

ড্রাইভার : রাহুল ভাইয়া গাড়ী সব সার্ভিসিং থেকে এনে রেখেছি!

রাহুল : ওকে ডোর ওপেন আছে চাবি টেবিলে রেখে যা!

[ বলেই ফোনটা সোফায় ছুড়ে মাড়লো, ওয়াসরুমে গিয়ে শাওয়ার নিয়ে তৈরী হয়ে নিলো, আলমিরা থেকে রেড জ্যাকেটটা নিতেই যাচ্ছিলো হঠাৎ স্নেহাকে পড়তে দেওয়া এশ কালারের জ্যাকেটটার দিক চোখ পড়লো আর কিছু না ভেবে ঐটাই নিয়ে পড়ে নিলো, নিচে গিয়ে টেবিল থেকে সানগ্লাস টা টি-শার্টে ঝুলিয়ে নিলো, ফোন, মানিবেগ, কার কিইস্ পকেটে ভরে বেড়িয়ে যাচ্ছে, হঠাৎ স্নেহার বলা কথাটি মনে পড়লো ]
________________________________

{ স্নেহা : [ ব্লাশিং হয়ে রাহুলের দিক তাকিয়ে ] জানেন রাহুল! আমার না অনেক ইচ্ছে ছিলো! এমন…উইদাউট সা্নরুফ গাড়ীতে চড়ার, ইনফেক্ট! ছোটবেলায় যখন স্কুলে যেতাম তখন এমন গাড়ী দেখলে না, হা করে তাকিয়ে থাকতাম }
________________________________

ভেবে উঠতেই আবার টেবিলের দিক এগিয়ে এসে হাতে নেওয়া গাড়ীর চাবির দিক তাকালো Audi Q7 কার কিইস্ দেখেই টেবিলে রেখে দিয়ে BMW I8 কার কিইসটা উঠিয়ে নিলো, একটা তেডি স্মাইল দিয়ে বেড়িয়ে পড়লো স্নেহার ডান্স ক্লাসে যাওয়ার উদ্দ্যেশে!

বিকেল হয়ে গেলো,গাড়ীতেই বসে আছে রাহুল দু-ঘন্টা ধরে স্নেহাকে ফোন দিয়ে যাচ্ছে কিন্তু স্নেহা রিসি্ভই করছে না!
________________________________

In dance class, হঠাৎ একজন সিকিউরিটি এগিয়ে এলো স্নেহার কাছে,

সিকিউরিটি : স্নেহা! মেম আপনার জন্য বারান্দায় কেউ একজন অপেক্ষা করছে,

স্নেহা : [ অবাক হয়ে ] আচ্ছা! আসছি, [ বলেই স্নেহা দু-মিনিটের ব্রেক দিয়ে বারান্দায় বেড়িয়ে এলো, হঠাৎ রাহুলকে দেখে চমকে উঠলো স্নেহা ]

স্নেহা : [ রাহুলের কাছে এগিয়ে এসে ] আপনি? এইখানে?…

রাহুল : আমি তোমাকে ফোন করছিলাম!

স্নেহা : [ রাহুলকে টেনে একপাশ দাড় করিয়ে ] সরি রাহুল! ফোন সাইলেন্ট ছিলো! দেখেন প্লিজ আমি জানি আপনি রেগে আছেন কিন্তু রাহুল….

রাহুল : ওকে স্টপ! [ স্নেহা থেমে গেলো ] আই এম সরি!

স্নেহা : সরি?..কিক…কিন্তু কেনো?

রাহুল : তখন তোমার উপর চেঁচিয়ে ছিলাম বলে!

স্নেহা : পাগল নাকি আপনি সরি বলছেন কেনো?..সরি তো আমার আপনাকে…

রাহুল : আমার কথা এখনো শেষ হয়নি!

– স্নেহা!

স্নেহা : হুম?..

রাহুল : আমি তোমাকে মিস্ করছিলাম!

[ স্নেহা অবাক দৃষ্টিতে রাহুলের দিক তাকিয়ে রইলো,কিছুক্ষণ পর ঠোটের কোণে একটু হাসি ভেসে উঠলো ]

রাহুল : তোমাকে মনে পড়ছিলো বার বার,

[ স্নেহা মুচকি হেসে রাহুলের টি-শার্ট থেকে সানগ্লাসটা ছুটিয়ে নিয়ে চোখে লাগিয়ে দিলো ]

স্নেহা : দু মিনিটের ব্রেক নিয়েছি! যেতে হবে!

রাহুল : হুম!

স্নেহা : রাতে কথা হবে!

রাহুল : আমি নিচে ওয়েট করছি তুমি! আই মিন শেষ করে আসলে তখন ড্রপ করে দিবো!

স্নেহা : [ অবাক হয়ে ] রাহুল! আমার শেষ হতে রাত হবে!

রাহুল : [ জোড়ে একটি শাস ফেলে ] I know!

স্নেহা : [ একটু হেসে ] পাগল হয়েছেন আপনি?…আমি বাসে্ই যাবো! আর আপনি এখন বাসায় যান! রেষ্ট করেন…রাতে কথা হবে!

রাহুল : হুম!

স্নেহা : [ তাড়াহুড়ো করে ] ওকে রাহুল! বাই হুম! তখন আবার ওরা চেঁচাবে এবার যান!

[ রাহুল স্নেহার দিক তাকিয়ে ধীরেধীরে পেছনে পা বাড়িয়ে বেড়িয়ে গেলো আর স্নেহা ব্লাশিং হয়ে রাহুলের কথাটি ভাবছে { রাহুল : স্নেহা আমি তোমাকে মিস্ করেছি } মুচকি মুচকি হেসে ক্লাসে চলে এলো স্নেহা ]

রাত হয়ে গেলো, স্নেহা সব শেষ করে বেড়িয়েছে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে, দাঁড়িয়ে আছে রাস্তার একপাশ বাসে্র অপেক্ষায়! বাস্ আসতেই উঠে পড়লো স্নেহা, খালি একটা সি্টে গিয়ে জানালার পাশেই বসলো, বাস ছেড়ে দিলো কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার পরই স্নেহা খেয়াল করলো তার পাশের সিটে কেউ এসে বসেছে, তাকিয়ে দেখে অপরিচিত একজন লোক, লোকটার বিহেভিয়ার স্নেহার মোটেও পছন্দ হলো না গায়ের সাথে একদম লেগেই বসেছে, কিছুক্ষণ পায়ের সাথে পা লাগাচ্ছে তো কিছুক্ষণ হাতের সাথে হাত, ইচ্ছে করেই গায়ের মাঝে হেলিয়ে পড়ছে খুব একটা সুবিধা না লাগায় স্নেহা উঠে যেতে চাইলো কিন্তু লোকটি এমনভাবে বসেছে যে উঠে অন্যসিটে যাওয়ার কোনো ওয়ে রাখেনি,ডাক দিয়ে সা্ইড দিতে বললেও লোকটি না শোনার ভান হয়ে থাকে…

হঠাৎ, খেয়াল করলো বাস্ খুব জোড়ে ব্রেক নিয়ে থেমে গেলো, মাথা তুলে তাকাতেই দেখে রাহুল এগিয়ে আসছে…এবং এসেই স্নেহা কিছু জিজ্ঞেস করবে এর আগেই স্নেহার পাশের সিটে বসা লোকটির কলার ধরে দাড় করিয়ে ফেললো রাহুল!

লোকটি : আরে কি করছেন?…

রাহুল : সোজা প্রশ্ন করবো সোজা উত্তর দিবি! বল কে পাঠিয়েছে?… [ বাসে্র সবাই অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে ]

লোকটি : আরে কে পাঠিয়েছে মানে?..আপনার মাথা ঠিক আছে?…

রাহুল : [ লোকটিকে টেনে বের করে ] তুই কি ভেবেছিস আমি কিছু দেখিনি?..অনেক্ষণ ধরেই তুই ওকে ফলো করছিলি! ইনফ্যাক্ট বাস্ অনেকটাই এসেছে কিন্তু তুই একটাই ও উঠিসনি যেই না ও এইবাসে্ উঠলো হুট করেই তুই ও উঠে পড়লি হোয়াই?…

[ লোকটি হিমসিম খেয়ে আর কোনো জবাব না দিয়ে হুট করে রাহুলের হাত ঝাড়ি দিয়ে ফেলে দৌড়ে বাস্ থেকে নেমে গেলো ]

রাহুল : [ চেঁচিয়ে ] এই দাড়া…[ বলেই দৌড়াতে ছিলো কিন্তু স্নেহা রাহুলের হাত ধরে ফেলে শক্ত করে ]

স্নেহা : ব্যাস্ রাহুল!

রাহুল : [ চেঁচিয়ে ] স্নেহা প্লিজ!

স্নেহা : নাহ! [ বলেই রাহুলের হাত আরো শক্ত করে ধরে রইলো ]

রাহুল : Damn it! [ বলেই স্নেহাকে সহ নিয়ে বাস থেকে নেমে গেলো, স্নেহা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে রাহুলের দিক ]

রাহুল : গাড়ীতে উঠো!

স্নেহা : আপ…আপনি?…

রাহুল : [ চেঁচিয়ে ] কোথাও যাচ্ছিনা আমি ও উঠছি! [ স্নেহা চমকে উঠে দরজা খুলে উঠে বসলো, রাহুল ও আশেপাশে একবার তাকিয়ে উঠে বসলো গাড়ীতে ]

গাড়ী চলছে, স্নেহা ভয়ে ভয়ে রাহুলের দিক তাকাচ্ছে রাহুল গাড়ীর Steering এমনভাবে ঘুরাচ্ছিলো তা দেখে স্নেহার কলিজাটা বিন্দু পরিমাণ হয়ে যাচ্ছে!

রাহুল : [ দাত কিলিয়ে ] ব্যাস! একবার জেনেনি কে পাঠিয়েছে ওকে… [ বলেই হাত দিয়ে steering এ জোড়ে বাড়ি মারলো, স্নেহা ভয় পেয়ে উঠলো ]

কিছুক্ষণ পর,

স্নেহা : আপ…আপনি বাব..বাসায় যাননি?…

রাহুল : [ চেঁচিয়ে ] ভাগ্যিস যায়নি! আর তোমার মাথার এসব ওভারটাইম Disgusted আইডিয়া গুলা না!

– কি বলবো…

[ স্নেহা মাথা নিচু করে চুপ হয়ে রইলো ]

রাহুল : ডিনার করেছো?…

স্নেহা : নাহ! আপ…আপনি?…

[ রাহুল হাত বাড়িয়ে স্নেহার সামনের ডেক্সটা ওপেন করে একটা খাবারের প্যাকেট এগিয়ে দিলো স্নেহাকে ]

স্নেহা : এটাই কি?…

রাহুল : সে্ন্ডুইচ!

স্নেহা : আপনি খেখ…খেয়েছেন?…

রাহুল : খিধে নেই! তুমি কমপ্লিট করো!

– [ স্নেহার দিক তাকিয়ে ] কি হলো কথা কানে যায় না?..বললাম খাবার কমপ্লিট করতে!

[ স্নেহা ধীরেধীরে প্যাকেট খুলে এক কামড় খেয়ে নিলো ]

রাহুল : সরি!

স্নেহা : [ অবাক হয়ে তাকিয়ে ] আবার সরি! কেনো?..

রাহুল : তোমার উপর চেঁচালাম বলে!

স্নেহা : [ একটু হেসে ] ওকে নো্ নিড সরি কিন্তু একটা কথা শুনলে ভালো লাগতো!

রাহুল : কি?…

স্নেহা : আমার সাথে সেন্ডুইচ শেয়ার করতে হবে!

রাহুল : ড্রাইভ করছি!

স্নেহা : তাতে কি হয়েছে আমি খাইয়ে দিবো! [ বলেই রাহুলের মুখের দিক সেন্ডুইচটি এগিয়ে দিলো, রাহুল স্নেহার দিক একটু তাকিয়ে এক কামড় খেয়ে নিলো ]

স্নেহা : [ কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে ] সারাদিনে খেয়েছেন?..

রাহুল : [ হেসে ] কার কি যায় আসে ?…

স্নেহা : [ মুখ গোমড়া করে ] এমনটাও না রাহুল! আমি জানি আপনি রেগে আছেন! কিন্তু রাহুল ওভারটাইম জব করা আমার জন্য খুবই দরকার!

রাহুল : স্নেহা! তোমার যদি কিছু চাই আমাকে বলতে পারো! তুমি এমনটাও মনে করোনা যে আমি কিছু ভাববো এতে নিজেকে ছোট মনে করার প্রশ্নই আসে না!

স্নেহা : হুম [ বলেই একটু হেসে রাহুলের মুখের সামনে আবার সেন্ডুইচটা এগিয়ে দিলো ]

রাহুল : [ নাক ফুলিয়ে ] কথা এভোইড করছো কিন্তু স্নেহা!

স্নেহা : আরে আপনি খাবারের মাঝে এতো কথা বলেন কেনো বলেন তো?..

রাহুল : এটা তোমাকে ফিনিশ করতে দিয়েছি ওকে?

[ বলেই একহাত দিয়ে স্নেহার ঠোটের কোণে লেগে থাকা Mayonnaise গুলো আংগুল দিয়ে মুছে দিলো, স্নেহা তাকিয়ে থাকে রাহুলের দিক, রাহুল ড্রাইভ করছে, কিছুক্ষণ পর রাহুল বুঝতে পারলো স্নেহা এখনো তাকিয়ে আছে তাই রাহুল ও তেডি স্মাইল দিতে লাগলো! স্নেহা ও হেসে রাহুলের মুখের দিক সেন্ডুইচটা আবার এগিয়ে দিলো, রাহুল খেতে গেলেই স্নেহা রাহুলের নাকের সাথে সেন্ডুইচের Mayonnaise লাগিয়ে দিয়ে কিটকট করে হাসতে থাকে ]

রাহুল : This is not fair sneha!

স্নেহা : [ হেসে ] দারুণ লাগছে আপনাকে সত্যি!

[ রাহুল স্নেহার দিক তাকিয়ে হুট করেই স্নেহার চুলের ক্লিপটা খুলে নিলো ]

স্নেহা : [ অবাক হয়ে ] আরে?…

[ রাহুল কোনো জবাব না দিয়ে গাড়ীর সানরুফটা নামিয়ে দিলো, সাথে সাথেই বাতাস এসে স্নেহার চুল গুলি বিলিয়ে দিচ্ছে, স্নেহা বুঝতে পেরে ব্লাশিং হয়ে অন্যপাশ তাকিয়ে ফেললো ]

চলবে…

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
গল্প পোকা
গল্প পোকাhttps://golpopoka.com
গল্পপোকা ডট কম -এ আপনাকে স্বাগতম......
RELATED ARTICLES

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments

Md masrur Hasan mahi على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
আমিনুল ইসলাম على প্রয়োজন পর্ব: ৩০ ( অন্তিম)
সাজিবুল ইসলাম على ধর্ষিতাবউ২ ৯ তথা শেষ পর্ব
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
শাহিদুল ইসলাম على জীবন সঙ্গী ১ম পার্ট
Nita Sarkar على স্বপ্নীল ৬৮
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على রহস্য শেষ_পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على অলক্ষ্যে তুমি পর্ব-০৬ এবং শেষ পর্ব
Nazmun Nahar Akhi على Psycho_is_back? part_7
Nazmun Nahar Akhi على Dangerous_Villian_Lover part 2
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على জানালার ওপারে পর্ব-১৭ এবং শেষ পর্ব
শিয়াসা ইসলাম হুরিজিহান على লীলা বোর্ডিং ১২১৫ পর্ব-১১ এবং শেষ পর্ব
মিজানুর রহমান রাহুল على সেই তুমি পর্ব-০১
@feelings على প্রহেলিকা
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Anamika Basu على সে পর্ব-১২
Nusrat jahan على coffee & vanilla Part-10
Pallabi Roy على স্বপ্নীল ৬৮
M.D Mahabub على The_Villain_Lover Part_2
Labani sarkar على Dangerous_Villain_Lover part 23
MD Akas Apc على বিবেক
Tanisha Ahmed على Devil love part-18 
Aius Barmon shorob على নারীর দেহকে নয়
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Chandan roy على স্বপ্নীল ৬৮
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Priya Banerjee على devil love married life last part
Riya Biswas على তুমি রবে ৬০
Riya Biswas على তুমি রবে ৫২
Mohammad Adib على তুমি রবে ৬০
Avni Ayesha على তুমি রবে ২৮
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
সুমিত على তুমি রবে ২৮
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
TANJIBA ZENIFAR على তুমি রবে ৫০
Samiah Begum على তুমি রবে ৫১
biddut das rocky على নর নারী
গল্প পোকা على নষ্ট গলি শেষ পর্ব
Md Jobayer Hossain Shohag على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على দুই অলসের সংসার
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤৪২.
A.J.S Rakib على মন ফড়িং ❤৪২.
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
গল্প পোকা على গল্পঃ ভয়
Samiya noor على গল্পঃ ভয়
Sadikul على গল্পঃ ভয়
Samia Islam على গল্পঃ ভয়
শূন্য মায়া على মন ফড়িং ❤ ৪০.
Sutapa biswas على মন ফড়িং ❤৩৯.
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৮.
sutapa biswas على মন ফড়িং ❤ ৩৭
Foysal Mahmud على My_Mafia_Boss_Husband Part: 16
Siyam على বিবেক
Sudipto Guchhait على My_Mafia_Boss পর্ব-৯
saptami karmakar على devil love married life last part
saptami karmakar على devil love married life last part
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ৩০.
মায়া على মন ফড়িং ২৬.
Shreyashi Dutta على  বিয়ে part 1
Sandipan Biswas على  বিয়ে part 1
Paramita Bhattacharyya على অনুরাগ শেষ পর্ব
জামিয়া পারভীন তানি على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
মায়া على মন ফড়িং  ২২
সুরিয়া মিম على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على মন ফড়িং ২১
গল্প পোকা على নষ্ট গলি পর্ব-৩০
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على Love At 1st Sight Season 3 Part – 69
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
Sahin ssb على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ২১
মায়া على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ২০.
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
গল্প পোকা على খেলাঘর /পর্ব-৪২
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৮. 
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৭.
Jannatul Ferdous على খেলাঘর পর্ব-৩৫
গল্প পোকা على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ফাল্গুনের_ফুল last_part_8
মায়া على মন ফড়িং ❤ ১৬. 
গল্প পোকা على ছাত্রী যখন বউ পাঠঃ ১
গল্প পোকা على বাজির প্রেম পাঠঃ ১
Foujia Khanom Parsha على মা… ?
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৮
HM Ashraful Islam على অবুঝ_বউ পার্ট: ৫
Ibna Al Wadud Shovon على স্বার্থ