হৃদয়ে তুমি পর্ব-১৩+১৪

0
1032

#হৃদয়ে_তুমি
#লেখিকাঃতানিমা_আক্তার_মিরা
#পার্টঃ১৩

তরী- কি বল।
আরু- আমার এতোটাই মনে নেয়,আর আমি পুরোটাও জানিনা।
তরী- আচ্ছা যতটুকু জানিস সেটাই বল।
আরু- দাদাভাই একবার একজনকে জেলে দিয়েছিলো।
তরী- কেন?
আরু- ছেলেটা কোনো একটা খারাপ কাজ করেছিলো আমি পুরোটা ঠিক জানিনা।তবে দাদাভাই বিনা কারনে কাউকে জেলে দেবেনা।
তরী- হুম,আমাকে ওই ছেলেটার ব্যাপারেও জানতে হবে।
আরু- হুম।
তরী- এটা কতদিন আগের ঘটনা বল
আরু- তোর সাথে দাদাভাই এর কথা বলা বন্ধ হবার ১ বছর পর।
তরী- ওহ। চল বাড়ি যেতে হবে।
আরু- হুম তবে তরী যা করবি সাবধানে করবি,তুই যেটা করতে চাইছিস এতে কিন্তু অনেক বিপদ আছে।
তরী- আমি জানি কিন্তু কিছু করার নেই।
আরু- হুম।

রাত্রেবেলা-

তরীর মা- তরী তোকে তোর বাপি একবার ডেকেছে।
তরী- কেন।
তরীর মা- বিয়ের ব্যাপারে কিছু বলবে বলে।
তরী- ওহ।
তরীর মা- তরী বল তো তোর মাথায় কী ঘুরছে।
তরী- মা তোমার মেয়ে কোন ভুল স্টেপ নেয়না।যা করবো ভেবে চিন্তে করবো।
তরীর মা-আমি জানি।
তরী- হুম।

তরী ওর বাবার কাছে যায়।

তরী- বাপি ডেকেছো।
তরীর বাবা- হুম
তরী- বলো।
তরীর বাবা- তরী তোমার বিয়ে শুক্রবার, তুমি যাদের কে বলতে চাও বলে দাও।
তরী – ওকে।

তরী নিজের রুমে চলে যায়। এবং ভাবতে থাকে এর পর তাকে কি করতে হবে।

অন্যদিকে, তরীর বাবা- তরী তুই আমার মেয়ে আর আমার মেয়েকে আমার থেকে ভালো কেউ চেনে না।আমি এটাও জানি এই বিয়েতে রাজি হবার পেছনেও তোমার কোন কারন আছে।তবে আমার এতটুকু বিশ্বাস আছে তুই কোন ভুল স্টেপ নিবি না।

________________________

কয়েকদিন কেটে যায়,

আজকে তরীর গায়ে হলুদ,রিতা ওহ এসেছে।

তরী- কীরে রিতা মন খারাপ কেন।

রিতা তরীর দিকে করুন চোখে তাকাল।তরী রিতার তাকানোর কারন বুঝতে পেরে বাঁকা হাসলো।

তরী- আমি জানিনা রিতা আমার মতো তোকেও শাড়ি পড়তে হবে।
রিতা-তরী আমার ভালো লাগছে না।
তরী- প্লিজ।
রিতা- ওকে।

তরীকে রিতা নিজের হাতে রেডি করিয়ে দেয়।ওর আর রিতার শাড়িটা পুরো এক। রিতা আর তরী কে খুব সুন্দর লাগছে।রিতা বুঝতে পারছেনা তরী কেন এমন করছে।

তারপর তরী আর রিতা একসাথে নীচে নামে ওদের হলুদের অনুষ্ঠান শুরু হয়। সবাই আনন্দ করছে মন খারাপ শুধু রিতার।তরীর গায়ে হলুদ ছোঁয়ানো হলো তরী রিতা কে প্রথম হলুদ মাখিয়ে দেয়।

হলুদের অনুষ্ঠান ভালো ভাবে শেষ হয়,তরীর হাসি মুখ দেখে ওর মা বাবা খুব খুশি হয়।

পরেরদিন…

আজকে তরীর মেহেদির অনুষ্ঠান।কয়েকটা মেয়ে সবার হাতে মেহেদি করে দিচ্ছে।রিতা এসব করতে চাইনি তরী জোড় করে রিতার হাতে মেহেদি করিয়েছে।

তরী- জানিস রিতা সবাই বলে যার হাতে মেহেদি যত লাল হয় তার বর তাকে তত বেশি ভালো বাসে।
রিতা- হুম।

রাত্রি বেলা……

রিতা তরীর রুমের বারান্দায় বসে আছে মন খারাপ করে। রিতা ভাবছে তরী কে বলা কথাগুলো..

রিতা- আসলে তরী আমি আর্দ্রকে ভালোবেসে ফেলেছি। জানিনা কখন কীভাবে যেন আর্দ্রকে আমার ভালো লেগে যায় আর ভালোবেসে ফেলি।
তরী- সত্যি।
রিতা- হুম।

এই কথাটা বলার পর তরী ফোন রেখে দেয় আর তার পরেরদিন রিতা শোনে আর্দ্র আর তরীর বিয়ের
কথা।রিতা কথাটা প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেনি কিন্তু ওটাই সত্যি।ওহ কখনো কল্পনাও করতে পারেনি ওর ভালোবাসার মানুষকে ওর বেস্ট ফ্রেন্ডের সাথে ভাগ করে নিতে হবে।আবার সেই বিয়েতে ওকে থাকতে হবে।

রিতা এসব ভাবছিলো তখন ওর কাঁধে কেউ হাত রাখে।

তরী- কীরে রিতা মন খারাপ।
রিতা- না তো, আমার মন খারাপ হবে কেন আমার বেস্ট ফ্রেন্ডের বিয়ে আর আমার মন খারাপ হবে এটা হতেই পারে না।

তরী রিতার দিকে তাকিয়ে আছে রিতা খুব চাপা স্বভাবের মেয়ে।নিজের কস্ট কখনো কাউকে বুঝতে দেয়না।তরী জানে রিতার কস্ট হচ্ছে কিন্তু ওহ যে নিরুপায়।

রিতা- কিরে কি ভাবছিস।
তরী- নারে কিছু না।
রিতা- ওহ।
তরী- জানিস রিতা আমাদের জীবন কখন কোন জায়গায় দাড় করায় কেউ জানেনা।
রিতা- এতো মন খারাপ করিস না সবঠিক হয়ে যাবে।
তরী- সেই আশাতেই আছি তো।চল ঘুমাতে চল।
রিতা- হুম।

দুজন বিছানায় শুয়ে পড়লো দুজনের চোখেই ঘুম নেয়।একজন ভাবছে কালকে তার ভালোবাসার মানুষটা অন্য কারোর হয়ে যাবে।আর অন্য জন ভাবছে কালকের সকাল কোন নতুনের সূচনা ঘটবে।

পরেরদিন সকালে…..

পুরো বাড়ি জুড়ে বিয়ের তোড় জোর চলছে। চৌধুরী বাড়িতে ও একই অবস্থা কিন্তু কারোর মুখে হাসি নেই আর না আছে কোনো আনন্দ । সবাইকে আরুশের না থাকাটা কস্ট দিচ্ছে।

আরুশের মা- মেয়েটার তো আমার আরুশের সাথে বিয়ে হবার কথা ছিল কিন্তু ভাগ্যের এই নির্মম পরিহাসে বিয়ে হচ্ছে আমার আর্দ্রের সাথে।
আরুশী- মা মন খারাপ করো না যা হবে ভালোর জন্যই হবে।
মা- হুম।
আরুশী- মা নাও বিয়ের আয়োজন শুরু করো।

ওদিকে..

আর্দ্র- আরুশ আজ আমার বিয়ে জানিস আবার কার সাথে তোর ভালোবাসার মানুষটার সাথে যাকে আমি নিজের ছোটো বোন এর চোখে দেখতাম।আমাকে আমার ভাগ্য কোথায় এনে দাঁড় করালো।আমি কীভাবে ওকে মানবো নিজের স্ত্রী হিসাবে। বাড়ির সকলের মুখে হাসি ফোটাতে গিয়ে আমরা নিজেরাই নিজেদের হাসিটা বিসর্জন দিচ্ছি শুধুমাত্র তুই নেয় বলে।আরুশ তোর না থাকাটা আমাদের প্রতি মুহূর্তে আঘাত করে।( আরুশের ছবির দিকে তাকিয়ে)

আর্দ্রের কাঁধে কেউ হাত রাখে। আর্দ্র মাথা ঘুরিয়ে দেখে অদ্রি।

আর্দ্র- তুই।
অদ্রি- হুম কি করছিস দাদাভাই এর ছবি নিয়ে।
আর্দ্র- কিছু না খুব মিস করছি ওকে।
অদ্রি- হূম। দাদাভাই চলে যাবার পর সবটা কেমন যেন হয়ে গেছে, হারিয়ে গেছে চৌধুরী বাড়ির সকলের বেঁচে থাকার ইচ্ছা।
আর্দ্র- আমার না কেন জানি মনে হচ্ছে সবটা আবার ঠিক হয়ে যাবে।
অদ্রি- কীভাবে ঠিক হবে দাভাই।আমরা সবাই দাদাভাই এর লাশ দেখেছি যদিও লাশের পুরো মুখটা থেঁতলে গিয়েছিলো।
আর্দ্র- জানিস মাঝে মাঝে তো মিরাকেল হয়।যদি আমাদের আরুশ ফিরে আসে।
অদ্রি- এটা আমরা সবাই চাই, কিন্তু যেটা সত্যি সেটাই তো মানতে হবে।
আর্দ্র- হুম।
অদ্রি- চল‌ সবাই নিচে ডাকছে সবাই।
আর্দ্র- হুম চল।

___________________

তরীদের বাড়িতে বরযাত্রী আসে। কনেকে নিয়ে আসা হয়। বিয়েটার পুরোটাই তরীর মুখ ঢাকা ছিলো।ওদের বিয়ে হয়ে যায়।বিদায় পর্ব শেষ করে ওরা সবাই বর- কনেকে নিয়ে চলে যায়।

বাসর রাত…..

আর্দ্র নিজের রুমে যায়।কোনো বাঁধা ছাড়াই কারন কোনো কারোরই আনন্দ করার মতো ইচ্ছা নেয়।

আর্দ্র- যা গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আয়।আমরা মানি আর না মানি আমাদের বিয়েটা কিন্তু হয়ে গেছে।

ফ্রেশ হয়ে আসে।তরী চুপচাপ কোন কথা না বলে চলে যায়। তরী ফ্রেশ হয়ে আসে।

আর্দ্র ওয়াশ রুমের দরজা খুলার শব্দ শুনে ওদিকে তাকিয়ে ৪২০ভোল্টের শক খেলো……….

#চলবে…..

#হৃদয়ে_তুমি
#লেখিকাঃতানিমা_আক্তার_মিরা
#পার্টঃ১৪

আর্দ্র ওয়াশ রুমের দরজা খুলার শব্দ শুনে ওদিকে তাকিয়ে শক খেলো।

আর্দ্র- তুমি এখানে???

আর্দ্র বুঝতে পারছে না রিতা এখানে কি করছে, ভেতরে তো তরী গেলো তাহলে রিতা আসলো কেমন করে।

রিতা- হুম,অবাক হবার কি আছে।
আর্দ্র- তুমি এখানে কীভাবে তরী ভিতরে গেলো আর তুমি বাইরে এলে।
রিতা- তরী এখানে আসবে কেমন করে
আর্দ্র-মানে,আমি কিছু বুঝতে পারছি না প্লিজ আমাকে বলো।

রিতা কিছু একটা বলতে যায় তখনি রিতার ফোন আসে।

রিতা-হ্যালো
তরী- ফোনটা স্পিকারে দে।

রিতা ফোনটা স্পিকারে দিতে তরী বলে- কি মি. আর্দ্র শক খেয়েছেন।
আর্দ্র- এই এসব কি হয়েছে আমাকে একটু বলবি
প্লিজ।
তরী- তোমার সাথে আমার নয় রিতার বিয়ে হয়েছে।
আর্দ্র-কি
তরী- হুম।আমার পক্ষে মিথ্যা সম্পর্ক বয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই আমি তোমাদের বিয়ে দিয়েছি।
আর্দ্র- সবটা বুঝতে পারছি কিন্তু আমার পরিবার।
তরী- সবাই সবটা জানে,বিয়ে হয়ে যাবার পর সবাইকে সবটা বলেছি।
আর্দ্র-ওহ।
তরী- ওকে শুভ রাত্রি।

তরী ফোনটা কেটে দেয়। আর্দ্র রিতার দিকে তাকায়। আর্দ্রর রিতাকে প্রথম দেখাতেই ভালো লেগেছিলো কিন্তু কারোর মুখ না দেখে তাকে ভালবাসাটা থেকে এখনো বেড়িয়ে আসতে পারেনি।

রিতা- ঘুমিয়ে পড়ুন,গুড নাইট।

রিতা বিছানায় ঘুমিয়ে পড়ে আর আর্দ্র সোফায় ঘুমায়।

রিতা বিছানায় ই ভাবতে থাকে বিয়ের কথা….

তরী কে পার্লার থেকে সাজতে এসেছে,তরী তো দেখি হচ্ছে না।একজন এসে রিতা কে নিয়ে যায়।

– রিতা দি তাড়াতাড়ি এসো তরীদি তোমাকে ছাড়া সাজবে না।।
– ওকে।

রিতা তাড়াতাড়ি তরীর কাছে যায়।

রিতা- কিরে তরী তুই সাজচ্ছিস না কেন।

তরী কিছু না বলে রিতার হাত ধরে পার্লারের মেয়েদেরকে বলে- একে সুন্দরকরে বউ সাজিয়ে দাও তো।
মেয়েটা- ওকে ম্যাম।
রিতা- কি সব বলছিস তুই।।
তরী- চুপচাপ থাক। নতুন বউ এর এতো কথা বলতে নেয়।
রিতা- তরী এসবের মানে কি।
তরী- মানে হলো এটাই তোর সাথে আর্দ্রের বিয়ে ।।
রিতা- পাগল হয়েছিস,মা জানলে কস্ট পাবে।
তরী- বাপি, আঙ্কেল আর আন্টি সবটা জানে তাই তোকে চিন্তা করার কিছু নেই।
রিতা- ওহ।

রিতা কে ওরা সাজিয়ে দেয়,তারপর বিয়ের সময় রিতার মুখটা পুরো ঢাকা ছিলো।

তরী বিয়ে শেষে সবাইকে সত্যিটা বলে শুধু আর্দ্র জানতো না।

পরেরদিন-

আজকে রিতা আর আর্দ্রের বৌভাত। রিতা কে বাড়ির বউ হিসাবে মেনে নিতে কারোরই কোনো অসুবিধা নেয়।

রিতা কে খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। রিতাকে বসানো হলো স্টেজে।

তরী এসে রিতার সাথে কথা বলছে। হঠাৎ একজন তরী বলে ডাকলো সবাই ওদিকে তাকিয়ে শক খায়।
কারন ডাকটা নিরব দিয়েছিলো।

আরুশের মা-আরুশ।

মা চলে যেতে গেলে আরু আটকে দেয়। তরী স্টেজ থেকে নেমে ওনাদের কাছে যায়।নিরব ওর মা- বাবা আর চাঁদনী এসেছে।

তরী- আপনারা ভেতরে আসুন‌।
নিরব- হুম,চলো সবাই।

উপস্থিত সকলের চোখেই অবিশ্বাস।এটা কীভাবে আরুশের মতো দেখতে একটা মানুষ।

আরুশের বাবা- তরী ওনি কে
তরী- নিরব।
আর্দ্র- এটা হতে পারেনা ওহ আমার আরুশ ( নিরবকে গিয়ে জড়িয়ে ধরে)

নিরবের পরিবারের সদস্যদের চোখে মুখে আতঙ্ক‌
তরী সবটা খেয়াল করছে।আর চাঁদনী ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে।

নিরব- কি হচ্ছে এসব।

আর্দ্রের কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে।

তরী- তুমি একটু ওয়েট করো সবটা বুঝতে পারবে।
নিরব- ওকে।
তরী- হুম।

নিরবের বাবা নিরবকে টেনে নিয়ে বললো- নিরব বাবা বাড়ি চল এখানে ঝামেলার মধ্যে না থাকাই ভালো।
নিরব- বাপি একটু ওয়েট করে যায়।

নিরব ওর বাবার কাছ থেকে চলে যায়।

আরুশের বাবা- তরী
তরী- হুম
বাবা- সত্যি করে বল তো ওহ কে ওকে তো দেখতে পুরো আরুশের মতো।
তরী- আমি জানি,ওনার সবকিছু আরুশের মতোই।
অদ্রি- তাহলে কি ওহ।
তরী- সেটা প্রমাণ হবেই এখানে।

তরীর দিকে সবাই তাকায়।

তরী- আচ্ছা নিরব তোমার পুরানো কথা কিছু মনে আছে।
নিরব- মানে।
তরী- মানে হলো তোমার ২ বছর আগের কোনো কথা মনে আছে। কোনো ঘটনা।
নিরব- না।তেমন কোনো ঘটনা আমার মনে নেয়।
তরী- ওহ,তা তুমি আগে কোথায় পড়ালেখা করেছো,কোন স্কুল, কলেজ এসব নিশ্চয় ভুলবে না।
নিরবের বাবা- এসব কি হচ্ছে আমাদের ডেকে নিয়ে এসে হ্যারাস করা হচ্ছে।নিরব চল এখান থেকে।
তরী- ভয় পাচ্ছেন।
নিরবের বাবা- ভয় পাবো কেন‌
তরী- সত্যিটা সামনে আসার।
নিরবের মা- কী সত্যি।
তরী- অনেককিছু‌।আপনি আমাকে একটা কথা বলুন তো চাঁদনীর সাথে নিরবের সম্পর্ক কী??
নিরব- আমার ফুফাতো বোন হয় ওহ।
তরী- না, চাঁদনী নিরবের বিবাহিত স্ত্রী।

সবাই চমকালো এমনকি গোটা নিরবের ফ্যামিলি।

নিরব- কি সব বলছো।
তরী- হুম। তুমি যদি নিরব হও তাহলে তো তোমার এটামনে থাকার কথা তাই না।
নিরব- আমার মাথায় কিছু আসছে না প্লিজ আমাকে সবটা বলো।
তরী- সবটা বলবো,একটু ওয়েট করো।
নিরব- বাপি তুমি সবটা বলো।
বাবা- কিছু নয়, তুই এখান থেকে চল।
নিরব- না আমি সবটা জানতে চাই।

তরী ওখান থেকে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর চলে আসে।

তরী- প্লিজ আঙ্কেল আপনি সব সত্যিটা বলুন নাহলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।
নিরবের বাবা- কি বলবো।
তরী- আমি সবটা জানি আমি সবকিছু খোঁজ নিয়েছি।
নিরবের বাবা- কী খোঁজ নিয়েছো।
তরী- বলবো সব বলবো আপনি আগে বলুন আপনি আগে কোথায় থাকতেন??
নিরবের বাবা- আমি এখানেই থাকতাম।
তরী- মিথ্যা কথা,আপনি আগে …. অর্থাৎ যে এলাকায় যেখানে আরুশের দুর্ঘটনাটা হয়েছিলো সেখানে।
আরুশের বাবা- কি,তরী তুই কি বলতে চাইছিস।
তরী- এটাই যে ওটা নিরব নয় ওহ আরুশ আমার আরুশ।
চাঁদনী- না এটা হতে পারে না ওহ আমার নিরব
তরী- চাঁদনি তুমি আমাকে চিনতে পারছো।
চাঁদনী- কে তুমি।
তরী-তুমি সত্যি আমাকে চিনতে পারছো না না নাটক করছো।
চাঁদনী- আমি সত্যি আপনাকে চিনি না আপনি কেন এমন করছেন।
তরী- চাঁদনী তুমি এতটা ও বোকা নয় যে আমাকে ভুলে যাবে।
চাঁদনী- আমি বলছি তো চিনি না।
নিরবের বাবা- আপনি কিন্তু চাঁদনীকে হ্যারাস করছেন,এটা ঠিক নয়।
তরী- কি ঠিক নয়।আমি ওনাকে চিনি ওনি চিনতে পারছে না তাই জিজ্ঞাসা করছি আমাকে চিনতে পারছে কিনা।
নিরবের বাবা- ওহ চিনতে পারবে না।
তরী- কেন।
নিরবের বাবা- আমি সেটার উওর দিতে আপনাকে বাধ্য নয়।
তরী- আপনি বাধ্য,কারন আপনি আপনার পরিবারের কথা ভেবে অন্য পরিবারের একটা ছেলেকে নিজের ছেলে হিসাবে রাখতে পারেন না।
নিরব- তরী তোমার কাছে কি কোনো প্রমাণ আছে আমি নিরব নয় আরুশ।
তরী- আছে।
নিরব- কি বলো।

তরী আরুশের সমস্ত ডকুমেন্টস সবাইকে দেখায়,নিরব এসব দেখে অবাক হয়।

তরী- এবার আপনি বলবেন ওহ আপনার ছেলে নিরব।
নিরবের বাবা- হুম বলবো,আর আমার কাছে প্রমান ওহ আছে।
তরী- কি দেখান।

নিরবের বাবা একটা ফাইল তরীর হাতে দেয়।তরী সেসব দেখে চমকায়। শুধু তরী নয় সবাই চমকায়।
তরী করুন চোখে নিরবের দিকে তাকালো….

#চলবে….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে