হিজিবিজি (৬ষ্ঠ পর্ব)

0
1009

গল্পঃ #হিজিবিজি (৬ষ্ঠ পর্ব)
লেখায়ঃ #তাজরীন_খন্দকার

কি নিষ্পাপ চেহেরায় ঘুমিয়ে আছে! মিনিটে মিনিটে তার মধ্যে একেকটা রূপ খোঁজে পাচ্ছি আমি! কিন্তু এখন যেটা পেয়েছি সেটা তো দুই বছর আগের জাবের আমার!
তার কাছে এসব ছবি কেন থাকবে?
সকালেই না বললো আমাকে ছেড়ে তার ভালোবাসাকে আপন করে নিবে।
একটা একটা করে সব ছবি দেখতে লাগলাম,কোথাও কিছু খোঁজে পাই কিনা! নাহ শেষ পর্যন্ত নিরাশ হলাম। ফোন রেখে দিবো তখনই মনে হলো ক্যামেরার এলবামটা দেখা বাকি। এরপর চিন্তা এলো এটাতে কিছু থাকতে পারেনা,কারণ ওর ক্যামেরা দিয়ে তো আর আহানের সাথে আমি ছবি তুলিনি।
তাও উৎসুক বশত এটাতে গেলাম। গিয়ে যা দেখলাম তা দেখার জন্য প্রথমত প্রস্তুত ছিলাম না।
কালকে রাতে আমি যে বারান্দায় গ্রীলে ভর করে শুয়ে ছিলাম সেই অবস্থায় ছবি। তার মানে জাবের রাতে ওখানে গিয়েছিল। ঘুমন্ত অবস্থায় আমার ছবিও তুলেছে। মানে কি এসবের? আরেকটু নিচে গেলাম গিয়ে কিছু বার্থডে সিলেব্রেটের ছবি সামনে আসলো। সে ছবিগুলোতে টাচ করে আমি বড় রকম শকড খেলাম।
গত মাসে আমার যে জন্মদিন ছিল সেটা জাবের তার বন্ধুদের নিয়ে উৎযাপন করেছে। পেছনে বড় করে একটা ব্যানারে লিখা ” আই ওয়ান্ট টু গেট বেক ইউ টু সোন্ ! হ্যাপি বার্থডে টু ইউ রিতা!

এটা দেখে মূহুর্তে আমার অনূভুতি বদলে গেলো।
সে এখনো আমার জন্মদিন পালন করে?
এতো ভালোবাসে!
এখন তো একটু আগে জাবেরের পলকহীন দৃষ্টি চোখে ভাসছে। সেটা ভাবতেই জানি কেমন লাগছে।
কিভাবে সে তাকিয়ে ছিলো! তার সেকি ঘোর লাগানো দৃষ্টি, অতঃপর ঘুম ঘুম চোখে বলা শেষ বাক্যটা, এতো নেশা কেন!
কেন জানি আমারও এখন তার দিকে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করছে। এতো ভালোবেসে ছেলেটা অথচ কিভাবে পারলো এমন করতে?
সত্যি বুঝলাম না আমার সাথে এমন নাটক সিনেমা করার কি দরকার ছিল।
অদ্ভুত মানুষ। আমাকে আধারাত বাইরে রেখেছে,সকালে কয়েকবার ধমকি শুনিয়েছে। এদিকে তলে তলে কতো আবেগ তার!
তার দিকে তাকিয়ে মনে মনে বললাম, তুমি গোপনে ভালোবাসবা আর উপরে আমাকে কষ্ট দিবা, তা আর হবেনা বাপু। এবার আমি নাটক শুরু করবো। আজ ঘুম ভাঙুক !
তারপর সাহস করে জাবেরের মেসেঞ্জারে ঢুকলাম। প্রথমেই অবন্তীকা শ্রেয়া প্রোফাইল দেখে বুঝলাম কালকে বউ সেজে আসা জাবেরের ২য় প্রেমিকা।
কিন্তু ভেতরে গিয়ে দেখলাম তুই তুকারি কথাবার্তা৷ শেষ টেক্সট মেয়েটার ছিল, তুই পারসরে ভাই! এতো সুন্দর বউরে কেমনে বাইরে রাখলি?
সেখানে জাবেরের কোনো রিপ্লে নেই৷
এটা দেখে বুঝলাম আম্মুর কথাই ঠিক,তার সাথে কোনো সম্পর্ক ছিলো না,যেটা করছে আমাকে রাগাতে। কিন্তু এমনটা করে আমাকে দূরে সরালো কেন? সে তো আমাকে ভালোবাসতো!
এরপর গেলাম আহানের সাথে কি কি বলে দেখতে,
সেখানেও দেখি আহান বলছে ভাইরে যা হয়েছে সব এবার খোলে বল। বেশি অভিনয় করতে গেলে দেখবি আবার ফেঁসে গেছস!

এগুলো দেখে একটা স্বস্তির হাসি হাসলাম। যাক এবার নিশ্চিন্ত হলাম। তার মুখ বাকিকিছু শোনার অপেক্ষা! তারপর চুপচাপ শাড়ী বদলে স্বাভাবিক হয়ে আমার ফোনে সবকিছুর প্রমাণ রেখে তার মোবাইলটা তার জায়গায় রেখে জাবেরের পাশেই গুটি মেরে আমিও ঘুমালাম। আমার ঘুমের নিয়ম বড়ো অদ্ভুত, যতো বেশি ঘুমাবো তত বেশি ঘুমে ধরবে!
দুপুরের দিকে আম্মুর ডাকাডাকিতে উঠে বসলাম। এখনো জাবের ঘুমাচ্ছে। আম্মু ফ্রেশ হয়ে খেতে ডাকছে।
এখন আমি কি করবো? জাবেরের ঘুম ভাঙাবো কিভাবে? এদিকে আম্মু তারাতাড়ি না গেলে বকা দিবে।
কয়েকবার ডাকলাম, কিন্তু এটা যে কুম্ভকর্ণের ঘুম। যার জন্য আমিই দায়ী! তারপর ঝাকালাম। এবারও উঠছেনা। শেষে টেনে বসানোর চেষ্টা করলাম।
অতঃপর জাবের চোখ খোলে জিজ্ঞাসা করলো
___ কি হয়েছে ডাকছো কেন? ঘুমাতে দাও।

___ আম্মু ডাকছে উঠেন না প্লিজ! উঠে ফ্রেশ হয়ে খেতে হবে। দুপুর হয়ে গেছে।

___ নায়ায়া আমি আরো ঘুমাবো,আসো তুমিও ঘুমাও।

বলেই আমার হাত ধরে আবার শুয়ে পড়লো।
হাত টেনেটুনে ছাড়িয়ে জগ থেকে পানি ছিটিয়ে দিলাম। বেচারা পানি মুছে আবার ঘুমিয়ে গেলো।
এখন আর কোনো উপায় না পেয়ে আমি গেলাম তার কাছে। আমার মুখ তার মুখ বরাবর নিয়ে হাত দিয়ে দুইগালে ঝাকিয়ে ডাকলাম।কিন্তু সে উম উম করে আবারও সেই ঘুম! এরপর আস্তে করে তার চোখের উপরে আমার ঠোঁট ছোঁয়ালাম ৷ তৎক্ষনাৎ সে তড়িঘড়ি করে চোখ খুললো। আমি দ্রুত সরে গেলাম,আর জাবের উঠে বসে রাগী চেহেরায় কিছু একটা বলতে যাবে,সেটার সুযোগ না দিয়েই আমি বললাম
___আম্মু খেতে ডাকছে জলদি আসেন।
বলেই রুম থেকে বেরিয়ে গেলাম।

একবারও ফিরে তাকালাম না, ভীষণ লজ্জা লাগছে। তবে জাবেরকে কিছু বলার সুযোগ দিলে জানি সে ওভার এক্টিং করবে,রাগ দেখাবে, ভাব করবে সাথে ধমকাবে। আমি বাইরে যাওয়ার সাথে সাথেই নোহা আমার দিকে তাকিয়ে মিটমিট করে হাসছে৷ বুঝলাম না সে আমাকে হাসার কি পেলো। মনে হয় সকালের সাজোগুজোর বিষয় নিয়ে হাসছে,সে কি জানি কি ভাবছে!
হাসুক আমার কি!
খাবার রেডি করার পর আম্মু বললো..
__ সে আসছেনা কেন? আবার ডাক দে।

আমি ডাকতে পা বাড়াবো তখনই দেখি জাবের আসতেছে। তাকে দেখেই চোখ ফিরিয়ে নিলাম। কেমন জানি লাগছে, আচ্ছা তাকে দেখার পর এখন এমন লাগছে কেন? বহুদিন পরে এমন অনূভুতি! ভেবেছিলাম তার প্রতি কখনোই আমার ভালোলাগা ফিরে আসবেনা। কিন্তু এতো তারাতাড়ি এতটা পরিবর্তন আশা করিনি। মন এতো নড়েচড়ে কেন?

তারপর খাবার বাড়লাম। জাবের এসে চেয়ার টেনে বসেই আমার দিকে তাকালো।
আমি সেটা বুঝেও পাত্তা দিলাম না।
দুজনেই চুপচাপ খেয়ে নিলাম। আমার আগে আগে জাবের রুমে চলে গেলো। আমি ইচ্ছে করে একটু দেরি করে গেলাম। গিয়ে দেখলাম সে এক ধ্যানে কিছু ভাবছে।
আমাকে দেখেই বলে উঠলো..
___কিছু মনে করো না একটা প্রশ্ন করি। আচ্ছা তোমার কখনো এমন হয়, দিনের বেলা ঘুমের মধ্যে স্বপ্নকে বাস্তব বাস্তব লাগে!

ওর কথা শুনে আমার মাথায় এলো আমি যে সকালে ঘুমের ঔষধ খাওয়ালাম,তার আগে শাড়ী পরে তাকে তাক লাগিয়ে দিলাম সেটাকে সে এখন স্বপ্ন ভাবছে।
তার মানে অতিরিক্ত ঘুমের জন্য এর আগের বাস্তবতাটা গুলিয়ে ফেলেছে। আমিও তাকে বুঝতে না দিয়ে বললাম..
___ হ্যাঁ এমন হয় তো। যেমন আপনি কাউকে স্বপ্নে দেখলেন, সেটা ঘুম থেকে উঠে মনে হবে সত্যিই সে এখানে এসেছিল। কিংবা কিছু বলেছে। আসলে কেউ আসেনি কিন্তু স্বপ্নটা এতো নিখুঁত ছিল আপনার সেটাকে বাস্তব মনে হবে।

___ ওহহ আচ্ছা। আর প্রশ্নটা জরুরি ছিল তাই করেছি, এতে অন্য কিছু ভেবোনা। আর ঘুম ভাঙানোর জন্য ঘুমন্ত মানুষের সাথে সুযোগ পেয়ে উল্টা পাল্টা কিছু করলে ভালো হবেনা,প্রথমবার তাই কিছু বলিনি। শুনো আমার কাছে কিন্তু তোমার আর আহানের..

___ ভাইরে ভাই থামেন। অনেক হয়েছে। কাকে দেখাবেন বাবাকে? মাকে? বাসার সব আত্মীয়কে? যান যান দেখিয়ে দেন,দেখি কি করতে পারেন৷ হুহহ!
বারবার একটা পাইছে!

বলে আমি বারান্দায় চলে গেলাম। খুব হাসি পাচ্ছে আমার। জাবের তো জানেনা আমি যে তার সব ঢংই ধরে ফেলেছি! বারান্দায় গিয়েই একটা ফেইক আইডি খোললাম। সাথে ইন্টারনেট থেকে একটা সুন্দরী মেয়ের ছবি ডাউনলোড দিলাম। আইডি খোলে সেটা যে নতুন আইডি তা বুঝা না যাওয়ার জন্য আইডিতে লক দিলাম। এরপর জাবেরকে রিকুয়েষ্ট পাঠালাম। আর প্রোফাইলে কোনো পোস্টই রাখলাম না,জাস্ট প্রোফাইল সেটাও অনলি মি করা। আর প্রোফাইল লক হলে ভেতরে কি আছে না আছে সেটা তো আঁচ করা যায়না। তাই এক্সেপ্ট করার সম্ভাবনা আছে।

দুইমিনিটের মধ্যে দেখি এক্সেপ্ট করে ফেলেছে। আমি একটু উঁকি দিয়ে দেখলাম জাবের ফোন টিপছে। ভাবলাম নিজে থেকে ম্যসেজ দিবো কিনা। কিন্তু রিকুয়েষ্ট দেওয়ার সাথে সাথে ম্যসেজ দিলে বুঝে ফেলতে পারে। তাই ভাবতে লাগলাম কি করা যায়?
তার টাইমলাইন অনেকদিন যাবৎ দেখা হয়না, দেখতে লাগলাম। কিন্তু সেখানে বিরহের কিছু শেয়ার পোস্ট ছাড়া কিছুই নেই।

তার টাইমলাইন ঘুরাঘুরি শেষে রুমে চলে যাবো তখনই দেখি সে মাই ডেতে কি জানি পোস্ট করেছে। সেটা তারাতাড়ি সিন করলাম, ডে টা এমন ছিল..
“আজকের মতো স্বপ্ন প্রতিদিন দেখা হতো যদি!”

আমি মনে মনে ভাবলাম পাইছি সুযোগ, সাথে সাথে ডেতে রিপ্লে দিলাম।
“কেমন স্বপ্ন?”

জাবের সাথে সাথে ম্যসেজটা সিন করলো কিন্তু সাথে সাথে রিপ্লে দিলো না৷ মনে হয় আমার প্রোফাইল ঘুরে আসছে। সে বললো.. সেটা বলা যাবেনা। কিন্তু আপনি কে, আপনার প্রোফাইলে তো কোনো পোস্টই নেই।

যা ভেবেছিলাম তাই হয়েছে। সে আমার প্রোফাইল ঘুরে আসছে। আমিও উত্তর আগে থেকে রেডি করে রেখেছিলাম। বললাম

___ আসলে আমার টাইমলাইনে পোস্ট টোস্ট করা ভালো লাগেনা। প্রোফাইলে একটা ছবি দিয়েছি এটাই যথেষ্ট!

___প্রোফাইলে ছবিটা আপনার?

___ জ্বী আমার।

___আপনি মাশাল্লাহ সুন্দরী!

ম্যসেজটা দেখে রাগে ইচ্ছে করছিল ওর মাথাটা ফাটিয়ে ফেলি। রাগে হাত কাঁপছে এরপরও রিপ্লে দিলাম..
___ আপনাকে দেখলে তো যে কেউ প্রথম দেখাতে প্রেমে পড়ে যাবে! আহা আপনার চোখ যেন চুম্বকের মতো হৃদয়কে টানে! কি করছেন আপনি?

এটা বলার পর পর দরজায় বাচ্চাদের চেচামেচি শুনে আমি ফোনটা লুকিয়ে গেলাম। গিয়ে দেখি সবাই পরিপাটি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সবাই একসাথে তাড়া দিয়ে বলতে লাগলো..
___ ৫ মিনিটে তোমরা দুজন রেডি হয়ে আসো,আমরা ঘুরতে যাবো!

আমি পেছনে জাবেরের দিকে তাকালাম,সে মোবাইলেই তাকিয়ে আছে। আমি আমার ফোনে তাকিয়ে দেখলাম সে চারটা ম্যসেজ পাঠিয়েছে..

ম্যসেজ ১.. আমাকে দেখলে প্রেমে পড়ার কথা এই প্রথম আপনার মুখে শুনলাম!

ম্যসেজ ২..কি আর করবো একা মানুষ, বসে আপনার সাথে কথা বলছি,আপনি কি করছেন?

ম্যসেজ ৩.. দুপুরে কি খেয়েছেন?

ম্যসেজ ৪.. রিপ্লে দিচ্ছেন না যে?

আমি কোনোভাবে একটা রিপ্লে দিলাম..
___ আসলে খাইনি আজকে দেরি হয়ে গেছে। আম্মু খাওয়ার জন্য ডাকছে।

তারপর মোবাইলটা রেখে জাবেরকে বললাম.
___ কি বলেছে শুনেছেন? বাইরে বেরুবে সবাই। তারাতাড়ি রেডি হন।

জাবের মনে হয় এরপর আমার ফেইক আইডিতে রিপ্লে দিবে আচ্ছা খেয়ে আসো এমন টাইপের কিছু।
যাচ্ছে দেক। একটা আস্ত ফাজিল। মেয়ের আইডি দেখে কতো রঙঢঙ করে কথা বলে। সব ঠিক হোক এরপর বুঝাবো আপনাকে। এখন কিছু বলতে পারছিনা৷

তারপর জাবের উঠে রেডি হতে লাগলো। আমার বেশিক্ষণ লাগেনি কারণ বোরকা পরেছি আজ। তারপর সবাই মিলে গেলাম তিতাস নদীর পাড়ে।

জাবের একটু দূরে দূরে হাঁটছে আর মোবাইল টিপছে। আমিও মোবাইলটা বের করে তার টেক্সটের রিপ্লে দিতে লাগলাম। জাবের খুব কেয়ারফুল আর কি মধু মিশিয়ে কথা বলছে, এসব দেখে ইচ্ছে করছে ধাক্কা মেরে এই মূহুর্তে পানিতে কতক্ষণ চুবাই!
এক ফাঁকে আমাকে জিজ্ঞাসা করলো আমার বয়ফ্রেন্ড আছে কিনা!
আমি বললাম মনের মতো কাউকে এখনো পাইনি।

ওমা, এটা বলার সঙ্গে সঙ্গে সে বলে..
__আই লাভ ইউ! আজকে থেকে আমরা দুজন সিঙ্গেল থাকবোনা।

এতো থার্ড ক্লাস মানুষ জীবনেও দেখিনি,চিনেনা জানেনা। আমি ছেলে নাকি মেয়ে সেটারও প্রমাণ নেই। অথচ আই লাভ ইউ বলে বসে আছে। আল্লাহ এই ছেলেকে বিশ্বাস করলে মরবো। সে আরো কতজনের সাথে জানি সম্পর্ক করছে আল্লাহ জানে৷ আরো জানি সামনে কত করবে! আমার জীবন ত্যানাত্যানা করবে!
রাগে আমি তার এই কথার কোনো জবাব দিলাম না।
রাগী চেহেরায় জাবেরের দিকে তাকালাম। সেও মোবাইলের ব্যস্ততার মধ্যে কিভাবে জানি একটু আড়চোখ হলো,
তারপর আবার তার ম্যসেজ আসলো যেখানে লেখা..
___ এমন পেঁচামুখো হয়ে আছো কেন?

আমি আবারও ম্যসেজটা পড়লাম। কি বলছে এসব।
তারপর না বুঝার ইমুজি দিয়ে বললাম
__মানে?

তারপর সে বললো..
___ মানে কিছুই না, তারাহুরো করে আইডি খুলতে গিয়ে নিজের নাম্বার হাইড করতে ভুলে গেছেন!

এ আল্লাহ লজ্জায় নিজের চোখ নিজেই ঢেকে ফেললাম। এতো বড় ধরা খেলাম জাবেরের কাছে। এখন আমি মুখ দেখাবো কিভাবে?

চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে