স্মৃতির আড়ালে – যাকারিয়া হাসান

0
664

#গল্পপোকা_ছোটগল্প_প্রতিযোগিতা_আগস্ট_২০২০
_স্মৃতির আড়ালে
_যাকারিয়া হাসান

সবাই চুপ করে বসে আছে। বছরের প্রথম ক্লাস। এরা সবাই ভার্সিটিতে নতুন। লেকচার দিচ্ছেন জনাব রশিদ সাহেব।তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রধান। ছাত্রদেরকে বিভিন্ন উপদেশমূলক কথাবার্তা বলছেন। পাশে কয়েকজন স্যার দাঁড়িয়ে আছেন। হঠাৎ তিনি লক্ষ করলেন, ছাত্রদের মনোযোগ তার দিকে নয়, দরজার দিকে। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলেন, একটি ছেলে দরজায় দাড়িয়ে আছে। ভার্সিটির প্রথম ক্লাসে অনেকেই আসেনা। এটা স্বাভাবিক। কিন্তু কেউ দেরী করে আসে, এটা রশিদ সাহেবের জীবনে প্রথম। তিনি ছেলেটাকে ভিতরে ডাকলেন।
-নতুন ভর্তি হয়েছ?
_জি।
-কী নাম?
_শ্রাবণ।
– ক্লাস শুরু হওয়ার কথা কয়টায়?
_সকাল আটটা।
-তাহলে দেরী করলে কেন? এখন ক্লাস থেকে বের করে দেই?
এরপরের ঘটনার জন্য রশিদ সাহেব কেন, ক্লাসের কেউই প্রস্তুত ছিল না । শ্রাবণ উত্তর না দিয়ে মুখ তুলে উপরের দিকে তাকাল । মুখাবয়ব শান্ত, ভাবলেশহীন । ক্লাসে পিনপিন নীরবতা বিরাজ করছে ।রশিদ সাহেব অবাক হয়ে তাকিয়ে আছেন। কী অদ্ভূত আচরণ!
_”এক সপ্তাহ হয়ে গেল,একটাবার কথাও বলল না, ছেলেটার ভাব দেখলে গা জ্বলে যায়।“ মেঘলা ক্রমেই রেগে উঠছে। নাবিল বলল,
-আমার মনে হয়, বিষয়টা এরকম না, ছেলেটাকে দেখলে খুবই ভদ্র মনে হয়। বাকী সবাই তো আর একরকম হয়না। কারো জীবন বন্ধু ছাড়া অচল। আবার কেউ একা থাকতেই পছন্দ করে।
_ফালতু কথা বলবি না। ও মেধাবী, তাই এত দেমাগ।
-তুই কি করে জানলি যে শ্রাবণ মেধাবী?
_চেহারা দেখলেই বুঝা যায়।
-বাহ! তুই দেখি জ্যোতিষ ও ! তা বল দেখি, আমাকে দেখলে কী মনে হয়?
_আস্ত একটা রামছাগল !!
-আচ্ছা যখন আয়নায় নিজেকে দেখিস, তখন?
মেঘলা এমনভাবে তাকাল, যেন নাবিলকে আস্ত গিলে ফেলবে। অবন্তিকা চুপচাপ বসে বই পড়ছে। ভার্সিটির পড়ায় অবন্তিকা যতটা মনোযোগী, তার চেয়ে অধিক আগ্রহী সাহিত্যের প্রতি। নাবিল বলল,
-“অবন্তিকা, তোমার কী মনে হয়?” অবন্তিকা বই থেকে মুখ তুলে চাইল।
_কাহার সম্বন্ধে?
মেঘলা বলল,
-এতক্ষণ যে আমরা কথা বললাম, তোর কানে কি গুটি দেওয়া ছিল?
_শোন বৎস, জ্ঞান হইল অথৈ সাগর। তাহাতে নিমজ্জিত হইলে অতি সুস্বাদু পোলাও – কোরমাও বিস্বাদ। আর তোমাদের আলোচনা! সে তো অতি তুচ্ছ !!!
-শ্রাবণ ও কি অতি তুচ্ছ ?
_ সাধু! সাধু! অবয়ব যেন রজনীর চাঁদ , হাসি যার দোলা দিয়ে যায় সহস্র তরুণীর হৃদয় কানন, সে কেন তুচ্ছ হইবে? সে তো ……।“ হঠাৎ অবন্তিকার মুখে ভেসে উঠল আনন্দের হাসি।
-অদৃষ্ট তোমাদের প্রতি করুণা করিয়াছে। দেখো, সহস্র আঁখির কামনার ফুল তোমাদের দিকে আসিতেছে।“ মেঘলা তাকিয়ে দেখল, শ্রাবণ তাদের দিকে এগিয়ে আসছে। সাথে মাসরুর। শ্রাবণ সামনে এসে মেঘলার মুখোমুখি দাড়াল।
-“আমি মানুষটা একটু অন্যরকম। অনেকেই হয়তো ভাবছে, আমার অনেক হ্যাডম। আমি অনেক মেধাবী, তাই কারো সাথে কথা বলিনা। বিষয়টা আসলে এরকম না। আমি মানুষের সাথে মিশতে পারিনা। এটা আমার চারিত্রিক দোষ।“ শ্রাবণ কথা শেষ করে দাঁড়িয়ে আছে। মেঘলার মেজাজ আরও চড়ে গেল।
_”তা আদরের দুলাল, মাসরুরের সাথে এত মিশলেন কী করে? ওর বাবাও কি আপনার বাবার মত ধনকুবের?” শ্রাবণ মুখ তুলে তাকাল মেঘলার দিকে।মেঘলা আবিষ্কার করল, এ একটু আগের শ্রাবণ নয়। চোখ-মুখ ঠিকরে যেন আগুনের হল্কা বেরুচ্ছে । মেঘলার কেমন যেন ভয় করছে। কিন্তু না! কোন উত্তর না দিয়েই হেটে চলে গেল শ্রাবণ।
কয়েকদিন পর। মাঠের এক কোনে শ্রাবণ আর মাসরুর বসে আছে। মাসরুর বলল, ”শ্রাবণ ,তুই এই ঝামেলাটা না করলেও পারতি। রফিক ভাই পলিটিক্স করে। ওনার অনেক ক্ষমতা। চাইলেই তোর ক্ষতি করতে পারে।“
শ্রাবণ মুখ তুলে আকাশের দিকে তাকাল। দূর দিগন্তে টুকরো কিছু মেঘ বাতাসের ভেলায় ভেসে বেড়াচ্ছে। যেন নীল সমুদ্রের বুকে বয়ে চলা ছোট্ট তরী।
_কী করবে? মেরেফেলবে? শোন, মানুষ বেঁচে থাকতে চায় কিছু অর্জনের জন্য। প্রতিবাদ করেনা হারানোর ভয়ে। আমার জীবনে অর্জনের কিছু নেই। হারানোর প্রশ্ন এখানে অবান্তর।“
দূর থেকে মেঘলা, নাবিল, অবন্তিকার চেহারা দেখা যাচ্ছে। ওরা এদিকেই আসছে। মেঘলা একদম সামনে এসে বলল, “বসতে পারি?” শ্রাবণ আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। মাস্রুর বলল“বস! “
মেঘলা শ্রাবণের পাশ ঘেঁষে বসল। শ্রাবণ চোখ নামিয়ে বলল,”ক্ষমা চাইতে এসেছেন? আমি মানুষের প্রতি কষ্ট রাখিনা।“ মেঘলা মাথা নিচু করে বসে আছে।
-“একটা গল্প শুনবেন?” শ্রাবণ উত্তরের অপেক্ষা করল না।
_”আমার বয়স তখন পাঁচ বছর। বাবা-মার একমাত্র সন্তান। আর্থিক দিক দিয়ে যথেষ্ট সচ্ছল ছিলেন বাবা। না চাইতেই সব এসে পড়তো আমার জন্য। জীবনটা সুখেই কেটে যাচ্ছিল। কিন্তু ভাগ্যে মনে হয় খুব বেশিদিন সুখ লেখা ছিলনা। হঠাৎ নানা মারা গেলেন। আম্মুরা ছিলেন দুই ভাই একবোন। আম্মু সবার ছোট। বড় মামা ছিলেন গ্রামের মাতব্বর টাইপের লোক। মামাদের সাথে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক খুব একটা ভাল ছিলনা। আমরা নানা বাড়িতে গেলে ওনারা খুব বেশি কথা বলতেন না।

“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন

নানার সহায়–সম্পত্তি ছিল প্রচুর। নানা বুঝতে পেরেছিলেন তিনি মারা গেলে তার মেয়ে সম্পত্তির কিছুই পাবেনা। তাই তিনি জীবদ্দশায় নিজের বাড়ি লিখে দিয়েছিলেন ছোট মেয়ের নামে। কিন্তু এই বাড়িই কাল হয়েছিল আমার মায়ের জন্য। নানা মারা যাওয়ার পর দুই মামা উঠে পড়ে লাগলেন মায়ের পিছনে। বাবা ছিলেন শান্ত প্রকৃতির লোক। তিনি মাকে বোঝালেন“আমাদের জীবন তো ভালই চলছে। ওনারা প্রভাবশালী লোক, চাইলেই অনেক কিছু করতে পারে। ছেড়ে দাওনা ঐ বাড়িটা!” কিন্তু মা ছিলেন সিদ্ধান্তে অনড়। তিনি তো আর জোড় করে দখল করেননি। তা ছাড়া বাবার দেয়া স্মৃতি তিনি ছাড়বেন ই বা কেন? এটা নিয়ে দিন দিন ঝামেলা বাড়তে লাগল। বাড়িতে প্রতিনিয়ত লোকজন আসত। হটাৎ একদিন খবর এল, বড়মামা স্ট্রোক করেছেন। বড় মামার আগ থেকেই হার্টের অসুখ ছিল। মা-বাবা তাড়াহুড়া করে রওয়ানা হলেন নানা বাড়ি। সেই শেষ!মা আর কোনদিন ফিরেননি!!
সবাই চুপ করে বসে আছে। মেঘলা চশমা খুলে চোখ মুছল। শ্রাবণ বলা শুরু করল –
-“বাবা ঐ রাত্রেই ফিরে এসেছিলেন। ঘরে নগর টাকা যা ছিল, তা সাথে নিয়ে আমাকে সঙ্গে করে বের হয়ে পড়লেন। শুরু হলো নতুন জীবন। বাবা অনেক জায়গায় ঘোরাঘুরি করলেন কিন্তু কোথাও স্থির হতে পারছিলেন না। সবশেষে আমরা ঢাকা চলে আসলাম। কয়েকটা রাত রাস্তায় কাটালাম। আমার কাছে ভালই লাগছিল। মাঝেমধ্যে মনে হতো মা থাকলে আরও মজা হতো। এক রাতে বৃষ্টি এল। বাবা আমাকে জড়িয়ে ধরে বসে রইলেন। হঠাৎ দেখলাম, বাবা কাঁদছেন। ভাবলাম, হয়তো আমার মতো বাবারও মাকে মনে পড়ছে। বাবা কোন একটা ব্যবস্থার জন্য অনেক চেষ্টা করলেন। কিন্তু অচিন শহর অচেনার মতই আচরণ করল।এদিকে নগদ অর্থ-কড়িও প্রায় শেষ। শেষমেষ বাবা রিকশা চালানো শুরু করলেন। রিক্সার গ্যারেজেই থাকতাম আমরা। গ্যারেজের সবাই আমাকে খুব আদর করতো। মাঝে মধ্যে আমার জন্য এটা সেটা নিয়ে আসতো। দিনশেষে বাবা যখন গ্যারেজে ফিরতেন, আমি আর বাবা হোটেলে খেতে যেতাম। বাবা শুধু ডিম দিয়ে ভাত খেতেন। আমি ইচ্ছেমত মাছ,মুরগী যা মন চায় খেতাম। মাঝেমধ্যে বাবার উপর রাগ হত। মনে মনে ভাবতাম, দেশে ফিরে গেলেই তো সব ঠিক হয়ে যায়। এত বড় বাড়ি, পুকুর ভর্তি মাছ, যায়গা,জমি কী নেই আমাদের! কিন্তু পরক্ষণেই মনে হত, এবার যদি ওরা বাবাকেও নিয়ে যায়!! এক পর্যায়ে বাবা আমাকে একটি স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিলেন। প্রতিদিন ছুটি হলেই দেখতাম, বাবা রিকশা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা রঙিন গাড়িগুলো দেখে ছোট্ট হৃদয়ে প্রায়ই অভিমান হতো। একদিন বাবাকে বলেই ফেললাম,
-”আমাদের একটা গাড়ি থাকলে খুব মজা হত, তাইনা বাবা?”
বাবা রাস্তার একপাশে রিকশা থামালেন। মায়াভরা চোখে কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন।
_যাদের গাড়ি আছে, তাদের বাবা কি তাদের প্রতিদিন নিতে আসে?
আমি মাথা নেড়ে “না” উত্তর দিলাম।
_তোর বাবা কি প্রতিদিন তোকে নিতে আসে?” বাবার চোখ লাল হয়ে গিয়েছিল। উত্তর না দিয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরলাম। ঘামে ভেজা বাবার শার্ট আমাকেও খানিকটা ভিজিয়েছিল। কোমল হৃদয়ে সেদিন অনুভব করেছিলাম, আমি আর বাবা মায়ার বাঁধনে আবদ্ধ অভিন্ন এক সত্ত্বা! ধীরে ধীরে কেটে গেল বহু সময়। আমি তখন ক্লাস ফাইভে পড়ি। বাবা এক রুমের ছোট একটা বাসা নিলেন। সেদিন আমার কী যে আনন্দ হয়েছিল! দেখতে দেখতে পার হয়ে গেল আরো পাঁচটি বছর। বাবার স্বপ্ন পূরণ করে এসএসসি তে গোল্ডেন A+ পেয়েছিলাম । বাবা জিজ্ঞেস করলেন, কোন কলেজ পছন্দ আছে কিনা। আমি চুপ করে রইলাম। মনে অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু রঙিন ঘুড়ি তো আর গরিবের জন্য নয়! কয়েকদিন পর বাবা হাতে কিছু কাগজ দিয়ে বললেন,
-দেখে নে, শনিবার থেকে ক্লাস শুরু।“ খুলে দেখলাম ঢাকা সিটি কলেজের কাগজপত্র। আমি তো অবাক! এত টাকা বাবা কোথায় পেলেন! রাত্রে খেতে বসে বাবাকে বলে বসলাম,
_বাবা, এতগুলো টাকা খরচ করে ভর্তি হওয়ার কি দরকার ছিল! নরমাল কলেজে ভর্তি হলেই পারতাম!”বাবাবললেন,
-তুই যখন বড় ইঞ্জিনিয়ার হবি, তখন আমার টাকা আমাকে শোধ করে দিস!” বলেই হেসে উঠলেন বাবা।
শনিবার। সকাল 9 টায় ক্লাস শুরু। বাবা সকাল সকাল বের হয়ে গেছেন। আটটার দিকে বাসা থেকে রওনা হলাম। কিছুদুর যেতেই রহিম চাচার সাথে দেখা। রহিম চাচা সেই ঐতিহাসিক গ্যারেজের মালিক, যাতে আমার জীবনের বড় একটা সময় কেটেছে। ওনার সাথে বাবার খুব ভাল সম্পর্ক ছিল। সালাম দিলাম। তিনি আমাকে দেখে কেমন যেন চুপ হয়ে গেলেন। জিজ্ঞেস করলেন,
-কলেজে যাইতাছ?
_জ্বি চাচা, আজ প্রথম দিন। “তিনি থমথমে গলায় বললেন ,
-ভাল কইরা পড়া-লেখা কইরো,তোমার বাপ তোমার লেইগা অনেক কষ্ট করছে।“ এরপর তিনি যা বললেন, শুনে আমার মনে হল, পৃথিবীটা কেমন যেন থমকে দাড়িয়েছে। আমি বজ্রহাতের ন্যায় দাড়িয়ে রইলাম। রহিম চাচা ঝরঝর করে কাঁদছিলেন। বাসায় ফিরে এলাম।সারাটা দিন কাঁদলাম একাকী। রাতে বাবা এসে দেখলেন আমি শুয়ে আছি।
-কিরে,কলেজে প্রথম দিন কেমন লাগল? নিশ্চয় বন্ধু-বান্ধব জোগাড় করে ফেলেছিস? জানিস,আমি ভার্সিটির প্রথম ক্লাসে দেরী করে গিয়েছিলাম, স্যার এমন রাগ করেছিলেন! কিরে! তুই কথা বলছিস না কেন? কলেজ পছন্দ হয়নি?” আমি উঠে বাবাকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করলাম।
_তুমি কেন এমন করলে?
আলতো করে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বাবা বললেন,
“জানিস, তোকে নিয়ে তোর মায়ের অনেক স্বপ্ন ছিল। তোর মা বলত,”শ্রাবণ যেদিন প্রথম বেতন পাবে, সেদিনই আমরা একটা গাড়ি কিনবো। সেই গাড়ি দিয়ে আমি আর আমার ছেলে সারাদেশ ঘুরে বেড়াব।“ আমি বলতাম, আমায় নেবে না? “তুমি তো ড্রাইভার থাকবে” বলেই তোর মা হেসে উঠতো।“ সেদিন কাঁদতে কাঁদতেই বাবার কোলে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
শ্রাবণ চুপ করে আছে। মেঘলা কাঁপা গলায় জিজ্ঞেস করল
_”কী করেছিল আপনার বাবা?”
-শুনবেন? খুব বেশি কিছু না, সামান্য শরীরের রক্ত বিক্রি করেছিলেন!!”
অবন্তিকার কান্নার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। মেঘলার চোখ লাল হয়ে গেছে।
_এখন কোথায় আছেন আপনার বাবা?” শ্রাবণ হাসল।
-“আমার সাথে!” বলেই মুখ তুলে আকাশে তাকাল শ্রাবণ। মুখাবয়ব শান্ত। শ্রাবণের চোখ ঝাপসা হয়ে এসেছে। তাই সে দেখতে পেলনা, আরও চার জোড়া চোখ তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে। শূন্য,নির্বিকার দৃষ্টিতে!!!

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে