স্বামীর_বিয়ে১৩

0
1367

#স্বামীর_বিয়ে১৩
#সাখেরীন

ইলাঃ জড়িয়ে ধরলাম অভ্রকে।
অভ্রঃইলার থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বাসার ভিতরে গেলাম।
ইলাঃ পানি এগিয়ে দিলাম অভ্রকে।
অভ্রঃএকটু খেয়ে পাশের টেবিলে রেখে দিলাম। ভালো করে তাকিয়ে দেখি ইলাকে আজ অপূর্ব লাগছে। ডোলা গেঞ্জি সাথে পাল্জু। এক টানে নিজের কাছে নিয়ে আসলাম ইলাকে।
ইলাতো লজ্জায় লাল হয়ে এলো গাল দুইটি।
অভ্রঃ( গালে চুমু খেলাম তারপর পেটে চুমু খেলাম) আমার বাচ্চাটাাাাাা
ইলাঃ তোমার না বলো আমাদের।
অভ্রঃ হুম আমাদের। ( ইলা আমার সাথে বসিয়ে দিলাম। ইলার দুহাত ধরে) এমন পাগলামি করলে হবে বলো?? আমি তো সকালেও তোমার কাছে ছিলাম যখন নূরেদের ফ্লাইটের টাইম হয়েছে তখন শুধু গিয়েছি।
ইলাঃ( মাথা নিচু করে কাঁদো কাঁদো কন্ঠে) আমার খুব খারাপ লাগে তুমি চলে গেলে। ( অভ্রের বুকে মাথা রেখে) তোমাকে ছাড়া একদমই ভালো লাগে না।
অভ্রঃ( ইলার কপালে চুমু খেয়ে) আমি জলদিই তোমাকে দুনিয়ার সামনে নিয়ে যাবো বউ হিসাবে।
ইলাঃতাই কর আমার আর ভালো লাগে না একা থাকতে।
অভ্রঃতা সব সময় এতো হুমকও দাও কেনো?? ( একটু রেগে)
ইলাঃ কই??
অভ্রঃফোনের মেসেজটার কথা বলছি আমি।
ইলাঃসরিই আর হবে না।
অভ্রঃ প্রতিবারই তো বলো একই কথা আর হবে না আর হবে না। ( মিথ্যে রাগ দেখিয়ে)
ইলাঃউমম….তুমি রুহীনির সাথে থাকো সেটা আমার মোটেও পছন্দের নাহ তাই বলি।
অভ্রঃ হয়েছে হয়েছে আর মন খারাপ করতে হবে না। রেডি হও তোমাকে ডক্টর কাছে যাবো।
ইলাঃনাাাাাাাা ডক্টরের কাছে যাবো না ডক্টর খুব খারাপ গেলেই ইনজেকশন দেয়( সত্যিই সত্যিই কেঁদে দিলাম খুব ভয় করে আমার ইনজেকশনকে)
অভ্রঃ( ইলার চোখ গুলো মুছে দিয়ে) আরে আমার বাবুর আম্মু দেখি কান্না করছে… ভয় পাচ্ছো কেনো?? আজ তো শুধু চেক-আপ করবে।
ইলাঃ না আমি জানি তুমি মিথ্যে বলছো।
অভ্রঃনা সত্যি বলছি।
ইলাঃনা তারপর যাবো না।( আমি জানি অভ্র মিথ্যে বলছে)
অভ্রঃ(ইলার হাত ধরে চোখে চোখ রেখে) বাচ্চার জন্য…।
ইলাঃ মাথা নিচু করে রইলাম কতক্ষন তারপর উপরে গিয়ে রেডি হয়ে নিচে নামলাম।
অভ্রঃ(ইলার কপালে চুমু খেয়ে) চলো এবার।
অভ্র ইলাকে খুব সাবধানে গাড়িতে বসিয়ে দিলো তারপর সিট বেল লাগিয়ে দিলো।
অভ্র ড্রাইভ করতে লাগলো।
অভ্রঃএকটা হাত দিয়ে ইলার হাতটা ধরে রাখলাম মুচকি হাসি দিলাম।
ইলাঃঅভ্রের দিকে তাকিয়ে আমিও মুচকি হাসিঁ দিলাম।
নিহাল সব গুছিয়ে নিয়েছে এখন শুধু ফ্লাইটে উঠাটা বাকি।
নিহালঃরুহীনি আম ব্যাক।
রুহীনিঃ সবার জন্য নাস্তা বানাচ্ছি।
নূরঃওহো রুহীনি তুমি এসব করো কেনো?? কাজের লোকগুলো তাহলে কি জন্য রাখা।
রুহীনিঃ নূর আমার এসব করতে খুব ভালো লাগে। আর কাজের লোকেরা অন্য কাজ করুক।
নূরঃরুহীনি তুমি হয়তো ভুলে যাচ্ছো তুমি একজন নায়িকা তাও ফেমাস।
রুহীনিঃ (একটু হেসে) নায়িকা হওয়ার আগে আমি একজন আর্দশ বউ এবং সাধারণ মেয়ে। নায়িকাতো শুধু বাহিরের দুনিয়াতে।
নূরঃতুমি না আসলেই….( বিরক্তি ভাব নিয়ে)
রুহীনিঃ হিহিহি কি??
নূরঃ আবার হাসে তোমার সাথে না কথায় পারবো না। আমি গেলাম তুমিই থাকো।
রুহীনিঃ হাসতে লাগলাম ।
নূর চলে গেলো মামনির ( অভ্রের মা) কাছে।
রুহীনিঃ সবাইকে নাস্তা সার্ভ করে দিলাম।সবাই খেয়েতো খুব প্রশংসা করলো।
নূরঃ রাতে কিন্তু কোন রান্না হবে না।
সবাই একসাথে বললাম ঃ কেনো??
নূরঃআমি রেস্টুরেন্ট বুক করেছি সবাই খাবো আর অনেক ইনজয় করবো।
সবাই সহমত হলো নূরেরে সাথে।
রুহীনিঃ আমি অভ্রকে ফোন দিয়ে জানিয়ে দেয়
নূরঃ হ্যা করো ফোন। আমি আসছি আর ও ওর কাজ নিয়ে পরে আছে আসুক আজ অভ্র খবর আছে।
সবাই নূরের রাগ দেখে খিলখিল করে হেসে দিলো সাথে নূরও।
রুহীনিঃ হুম দিও আজকে ওনাকে একটু বেশি কাজ থাকে আজকাল। ওপরের রুমে
আমি চলে এলাম অভ্রকে ফোন দেওয়ার জন্য।
অভ্রের মাঃ ইহি গো আ….
কলিংবেল বেজে উঠলো।
অভ্রের মাঃ তোরা বস আমি আসছি।
রুহীনিঃ এই যে অভ্রকে কল করছি ফোন শুধু বন্ধ বলে ওপাশ থেকে।
অভ্রের মাঃ আসো বাবা ভিতরে আসো।
আনভিঃ জ্বী আন্টি।
অভ্রের মাঃ( রুহীনিকে ডেকে ডেকে) রুহীনি রুহীনি দেখ কে এসেছে?? দেখ এসেছে অানভি….
রুহীনিঃ কিহহহ আনভি ভাইয়া এসেছে??? তাহলে অভ্র যে যাওয়ার সময় বলে গেলো অানভি ভাইয়া প্রবলেমে পরেছে তাই যাচ্ছে….। না রুহীনি অভ্র কখনো তোকে মিথ্যে বলেনি আর আজ বলেনি হয়তো আনভি ভাইয়ার সাথে অভ্রও এসেছে। যাই নিচে গিয়ে দেখি আসছে নাকি…?
নূর আর আনভি হাগ করলো তারপর সোফায় বসলো।
নূরঃকিরে অনু আপু কেমন আছিস??
অানভিঃ ঠিক করে কথা বল নূরের বাচ্চা।
নূরঃ ও হ্যালো আমার এখনো বিয়ে হয়নি তো বাচ্চা কি করে আসবে??
আনভিঃ তো আমিও ছেলে বুঝছিস মেয়ে নয় যে তুই আমাকে অনু আপু বলে ডাকবি।
নূরঃ ব্যালা ব্যালা ব্যালা
আনভিঃ ভাব কম দেখা হুহ
নূরঃ কি বললি ( আনভির চুল টেনে ধরলাম)
আনভিঃ আমি ওর চুল টানতে লাগলাম।
রুহীনিঃ ( নিচে এসে দেখি নূর আর অানভি মারামারি করছে তাই তাদরে থামালাম) কি হচ্ছেটা কি??
আনভিঃ রুহী নূর আমাকে ( যা যা হলো সব বললাম)
রুহীনিঃ(বুঝতেই পারছি না হাসবো না কাদঁবো)
ইলাঃ ভালো করেছো ফোনটা অফ করে দিয়ে??
নাহলে এতোক্ষনে রুহীনি ফোনের ওপরে ফোন করতো।
অভ্রঃ( ড্রাইভ করছিলাম আজ ইলাকে নিয়ে পিজা বার্ডে গিয়ে ছিলাম ডক্টর থেকে আসার সময় ইলা বায়না ধরলো তাই যেতে হলো। এসবই কথা মনে মনে বলছিলাম হঠাৎ ইলার কথা শুনে হুস হলো) হুম ঠিক বলছো।
রুহীনিঃ(এতোক্ষনে ভালো করে খেয়াল করে দেখি অভ্র নেই ওদের সাথে। চোখ বড় বড় হয়ে এলো)আচ্ছা অভ্র আসেনি আনভি ভাইয়া??
আনভিঃ( হেসে হেসে) আরে রুহী অভ্র কি আমার সাথে ছিলো নাকি যে ও আমার সাথে আসবে….?
রুহীনিঃ ওহ। তুমি বসো আমি কিচেন থেকে আসছি। ( এর মানে অভ্র আনভি ভাইয়ার সাথে ছিলো না। আনভি ভাইয়াকে কিছু বুঝতে না দিয়ে চলে এলাম কিচেনে)
চলবে….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে