স্বামীর_বিয়ে১২

0
1369

#স্বামীর_বিয়ে১২
#সাখেরীন

রুহীনিঃপায়েস রান্না শেষে…. গোসল করে…. চুলগুলো টাওয়াল দিয়ে মুছে নিলাম। এখন দোলনায় বসে ইতি আপুর ফাগুন প্রেম গল্প পড়তে লাগলাম।
পড়ার শেষ হয়নি এখনো কলিংবেল বেজে উঠলো বুঝতে পারলাম অভ্রা এসে পড়ে। অভ্রকে সকাল থেকে দেখি না তাই ফোনটা রেখে দৌড়ে নিচে নামলাম।
অভ্রঃ ভেজা চুলে অপূর্ব লাগছে আমার বউটাকে।
নূর সবাইকে এক একে হাগ করছে আর কথা বলছে।
নূরঃতুমিই এই বান্দরের বউ বান্দরনী( বলেই হাসতে লাগলাম)
রুহীনিঃ ( আসলেই অভ্র ঠিকই বলেছি নূর অনেক ফানি আমিও হেসে পড়লাম)
অভ্রঃবউয়ের সামনেও বললো হুহ রুহীনিও কম জ্বালাবে এই কথাটা নিয়ে।
নূর আর রুহীনি হাগ করলো।
নূর যখন অস্ট্রেলিয়াতে থাকতো তখন ফোনে কয়েকবার কথা হয়েছিলো রুহীনির সাথে।
রুহীনি মমসিকে সালাম দিলো।
মমসিও রুহীনিকে আপন করে নিলো। এতে রুহীনির খুব ভালো লাগলো।
রুহীনিঃ খুব কষ্ট হচ্ছে আজ আমার নূর ও অভ্রকে দেখে খুব মিস করছি আজ তোকে নিহাল মিস ইউ সো মাচ (মনে মনে)
মমসি আর নূর আর আমার বরটা ফ্রেশ হয়ে এলেই আমি খাবার সার্ভ করি। সবাই খেয়ে সবাই প্রশংসা করলো খুব। আমার খুব ভালো লাগলো।
তারপর সবাই হল রুমে বসে আড্ডা দিলাম।
আমি আজ একটু বেশি মিস করছি নিহালকে তাই আমার রুমে চলে এলাম।
অভ্র খেয়াল করলো বেপারটা।
কিং কিং কিং
নিহালঃ( ঘুম ঘুম চোখে তাকিয়ে দেখি রুহীনির কল আসছে চটজলদি উঠে ফোনটা রিসিভ করলাম)বল
রুহীনিঃ আমার কেনো জানি খুব কান্না করতে ইচ্ছে হচ্ছে তাই ফোনটা কেটে ফোন অফ করে রাখলাম। বারান্দায় গিয়ে জানলা দিয়ে মুখ উবুড় করে চোখ অফ করে নিহালের সাথে কাটানো স্মৃতি মনে করতে লাগলাম।
নিহালঃ যা বাবা কি মেয়েরে ফোন দিয়ে না কথা বলেই ফোনটা অফ করে রাখলো…হুহ।
কিং কিং কিং
নূরঃ( ফোনের দিকে তাকিয়ে চোখ বড় বড় হয়ে এলো) আহহহ…অনেক আড্ডা দিলাম এখন মনে হয় একটু রেস্ট নেওয়া হোক।
অভ্রঃ হ্যা হ্যা আমি খুব ক্লান্ত ( ক্লান্ত নাই ছাই আমি আমার বউকে সকাল থেকে পাইনি)
মমসিঃ তোরা রেস্ট নে… আমরা আড্ডা দেই।
অভ্র ও নূরঃওকে।
অভ্র আর নূর চলে গেলো নিজেদের রুমে।
অভ্র রুমে এসে দেখে রুহীনি গল্পের বই পড়ছে।
অভ্রঃ( যাক বাবা আমি আবার ভাবছিলা বউটা কোন কারনে হয়তো মন খারাপ এখন দেখি তেমন কিছুই না গল্প পড়ছে)
রুহীনিঃ( অভ্র এসেছে দেখেও না দেখার মতো করে বইয়ে চোখ দিলাম । আমি চাই না অভ্রের আমার জন্য মন খারাপ হোক। তাই দেখানোর জন্য বই নিয়ে বসে আছি।
অভ্রঃ পিছনে থেকে রুহীনির চুল গুলো সরিয়ে চুমু খেলাম।
রুহীনিঃসামনে ঘুরে অভ্রকে জড়িয়ে দড়লাম।
অভ্রঃ আমিও জড়িয়ে দড়লাম আমার বউটাকে।
রুহীনিঃ আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম সাথে বুকে একটা চুমু দিলাম।
অভ্রঃ রুহীনির কপালে থাকা চুল গুলো সরিয়ে চুমু খেলাম তারপর চুলগুলোতে বিলি কেটে দিতে লাগলাম।
রুহীনিঃ আমি চোখ অফ করে রইলাম।
টুই টুং টুই….
অভ্রঃ ( দেখাল আমার ফোনের মেসেজ আসছে তাই সিন করলাম)
ফোনের ওপাশ থেকে______
এক ঘন্টার মধ্যেই যদি তুমি বাসায় না আসো তাহলে আমি প্রথমে তোমার পরিবারকে জানাব তারপর মিডিয়া ও প্রেসকে যে আমার গর্ভ তোমার সন্তান।
অভ্র ফোন থেকে মেসেজ ডিলিট করে দিলো।
রিতিমত অভ্র ঘামতে লাগলো।
অভ্রঃ( নিজেকে সামলে নিয়ে) ব বউ…
রুহীনিঃ হুমমম বলো
অভ্রঃ আর্জেন্ট কাজ পরে গেছে যেতে হবে।
রুহীনিঃকি কাজ পরে গেলো আবার এখন ( অভ্রের বুকের থেকে উঠতে উঠতে বিরক্তি ভাব নিয়ে)
অভ্রঃ সরি জান অানভির একটু প্রবলেম পড়ে গেছে।
রুহীনিঃ ওকে যাও।
অভ্রঃ রুহীনির কপালে চুমু খেয়ে ওয়াশরুমের গেলাম ফ্রেশ হতে। ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে বেরিয়ে পরলাম।
রুহীনিঃ হুহ অভ্রের ফ্রেন্ড গুলো দুদিন পর পর প্রবলেম পরে। ( বলে বেডে শুয়ে পরলাম)
কলিংবেল বাজতেই দরজা ঘুলে দিলো ইলা। ইলা এতোক্ষণ দরজার সামনে হাটছিলো।অভ্র কলিংবেল বাজাতেই চটজলদি ইলা দরজা খুলে দিবো।
ইলাঃ জড়িয়ে ধরলাম অভ্রকে।
অভ্রঃইলার থেকে নিজেকে বাসার ভিতরে গেলাম।
ইলাঃ পানি এগিয়ে দিলাম অভ্রকে।
অভ্রঃএকটু খেয়ে পাশের টেবিলে রেখে দিলাম। ভালো করে তাকিয়ে দেখি ইলাকে আজ অপূর্ব লাগছে। ডোলা গেঞ্জি সাথে পাল্জু। এক টানে নিজের কাছে নিয়ে আসলাম ইলাকে।
ইলাতো লজ্জায় লাল হয়ে এলো গাল দুইটি।
চলবে….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে