স্বপ্নীল ৫২,৫৩

0
1130

স্বপ্নীল ৫২,৫৩
সোহাকে খুজে না পেয়ে সেদিন তামিম ফিরে আসে।আজ দুদিন ঘর ছাড়া একটু বের হয়নি।দুইদিন ধরে কেউ কিচ্ছু খাওয়াতে পারেনি।একে একে তিন জা তামিমের জন্য খাবার এনেছে।সবার খাবার ফ্লোরে ছুড়ে মেরে একটা কথা বলে,
-“আগে আমার সোহাকে এনে দাও।তারপর তোমাকে আনার খাবার খাবো।”
কেউ কোনো কথা বলেনি।বলবে কি করে।তারা তো জানে না সোহা কোথায়।ছেলে আজ দুদিন না খেয়ে আছে তা দেখে সোহাগী আহাজারি করে কান্না করছে।মায়ের এই আর্তনাদ তামিমের কানে যায়নি।সে তো সোহার ধ্যানে ছিল।তার মনে হচ্ছে সোহা তার পাশে বসে আছে।আর তাকে বলছে বাবা হতে চলেছে সে।সোহার ভ্রম হয় তামিমের।

কারো মনে অবস্থা ভালো নয়।ভাইয়ের কষ্টে দেখে নীলের বুক ফেটে যাচ্ছে।আগে হলে হয়তো বুঝতে পারতো না ভাইয়ের কষ্টটা।এখন বুঝে!এখন যে একজনকে ভালোবাসে সে।তার ভালোবাসার মানুষটার তার কাছে নেই।কথা বলে না তার সাথে।খুব কষ্ট হয়।কত রাত কান্না করেছে।

ভাতের প্লেট নিয়ে তামিমের সামনে বসে।তামিম নীল কে দেখে বলল,
-” কেন সোহা চলে গেল।বল না!”
ঠোঁট কামড়িয়ে চোখের জল আটকানোর বৃথা চেষ্টা করছে।
-” চলে আসবে সোহা।তোমার ভালোবাসার টানে আসতেই হবে সোহাকে।”
-” কবে আসবে।আমি যে থাকতে পারছি না আর।দম বন্ধ হয়ে আসছে।নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।
নীল কান্না করে দেয়।
-” ভাইয়া শান্ত হোও।কিছু খেয়ে নাও।”
-” সোহা না আসা পর্যন্ত আমি খাবো না।”
-” সোহা আসবে।সোহা এসে যদি তোমার এই দেবদাস চেহারা দেখে খুব রাগ করবে।সোহা জন্য হলে খাও।সোহাকে খুঁজে পাওয়ার জন্য বেঁচে থাকতে হবে।”
নীলের জোরাজুরি ভাত খায়। নীল নিজের হাতে খাইয়ে দিয়েছে।খাওয়া শেষে পানি গ্লাস এগিয়ে দেয়।ওড়না কোণা দিয়ে তামিমের মুখ মুচে দেয়।
-” খুব শীঘ্র আমরা সোহাকে খুঁজে পাবো।দেখো তুমি।”

নীল ফোন করে কান্না করতে করতে সমুদ্রকে সব বলে।সমুদ্র নীল কে বলে সে তামিমের সাথে কথা বলবে।নীলের সাথে কথা বলার পর তামিমের ফোনে দেয়।
-” হ্যালো!
-” তুই বিয়ে করেছিস।একবার আমাকে জানানোর প্রয়োজনবোধ করিস নি।”
-” তোর উপর দিয়ে একটা ঝড় গিয়েছিল তাই জানায় নি।”
-” ঢাকা এসেছিস তখন বলতে পারিস নি।”
-” ভেবেছি বাড়িতে এসে সবাইকে জানাবো।তখন তো এমনি জানতে পারবি।”
-” শালা।বিয়ে করিস ভালো কথা।মেয়েটাকে মা বানানোর কি দরকার ছিল।তাহলে এই সিচুয়েশন আসতো না।”
সত্যি তো সে অনেক ভুল করেছে।সোহাকে এত কাছে টানা উচিত হয়নি।সবাইকে জানানো পর সোহাকে কাছে টানা উচিত ছিল।মস্ত বড় ভুল করে ফেলেছে।সে ভুলের মাশুল গুনতে হচ্ছে।
তামিমকে নিরব হয়ে যেতে দেখে সমুদ্র বলল,
-” আছিস তুই।”
উদাসিনী হয়ে বলল,
-” হুম!”
-” ভালো করে খুঁজেছিস তো।”
-” এমন কোনো জায়গা নেই এই দুদিন আমি যাইনি।”
-” ওর কোনো বন্ধু বান্ধবের বাসায় যায়নি।”
-” নীল ছাড়া ওর কোনো বন্ধুবান্ধব নেই।”
-” চিন্তা করিস না। পেয়ে যাবি ঠিকই।আমরা সবাই মিলে দরকার হলে খুঁজব।”
লাইন কেটে দেয় তামিম।কারো সাথে কথা বলতে তার ভালো লাগে।একা থাকতে ভালো লাগে।

অনেক রাত হয়েছে তৃণ এখন বাসায় ফিরেনি।প্রাচ্য বুঝতে পাচ্ছে এখন কেন আসছে না।স্বপ্ন, ধূসরকে ফোন করা হয়েছে।তাদের ওখানে যায়নি।তাহলে কোথায় এখন? ড্রয়িং রুমে এসব ভেবে পায়চারী করছে।তখনই ডোরবেল বেজে উঠে।দরজা খুলে তৃণকে দেখে।দরজা ঠৌকাঠ ধরে ঝুকে আছে।
-” এত রাত হলে আজ…!
বাকি টুকু বলার আগেই তৃণ প্রাচ্য’র গায়ে ঢলে পড়ে।প্রাচ্য দুই হাত দিয়ে তাকে সামলাতে চেষ্টা করে।তৃণ এমন আচরণ বুঝতে পাচ্ছে, তৃণ ঠিক নেই।মদ খেয়ে মাতাল হয়ে আছে।অনেক কষ্ট করে মাতাল তৃণকে রুমে এনে ধপাস করে খাটে পেলে দেয়।প্রাচ্য চলে যেতে নিলের আঁচল ধরে টেনে তার উপরে ফেলে দেয় তৃণ।প্রাচ্য রাগ দেখিয়ে চলে যেতে নিলে কোমর চেপে ধরে।প্রাচ্যকে এভাবে চটপট করতে দেখে তৃণ তার নিচে প্রাচ্যকে ফেলে দেয়।মাতাল কণ্ঠে বলল,
-” এবার চটপট কর।”
-” মাতাল কোথায় কার।মদ খেয়ে মাতলামি করতে এসেছিস।”
-” কে মদ খেয়েছে?”
-” ডং দেখতে বাঁচি না।সর!”
তৃণ তার দু’পা দিয়ে প্রাচ্য’র পা দুটো চেপে ধরে।হাত দুটো নিজের হাতে বন্ধী করে নেয়।
-” আমার ডং দেখলে বাঁচিবে কেন? ওই ছেলের ডং দেখলে প্রেম পায় তোর।কিসের এত মেলামেশা ওই ছেলে সাথে। ”
প্রাচ্য কপাল কুঁচকে যায়।সে বলল,
-” কি যা তা বলছিস তুই।”
-” আমি সব জানি।আমি সব দেখছিস।”
প্রাচ্য রাগ দেখিয়ে বলল,
-” কি দেখছিস বল? ”
-” আমি কেন বলব?”
-” আজব।”
নিজেকে ছাড়িয়ে উঠে যেতে নিলে তৃণ আবার হেচকা টান দিয়ে ফেলে দেয়।তৃণ বলল,
-” আমি কি তোকে কম ভালোবাসি।তাহলে কেন ওই ছেলের সাথে এত প্রেমালাপ করিস।”
তারপর আবার তৃণ বলল,-” আমি সত্যি তোকে কম ভালো বাসি।তোকে আদর করি না আমি।এই জন্য তো সেদিন রাগ করেছিস।আজ তোকে খুব আদর করব।আদর করলে ওই ছেলের সাথে আর কথা বলবি না তো।”

প্রাচ্য বুঝতে পাচ্ছে না তৃণ কার কথা বলছে।কার সাথে সে প্রেমালাপ করেছে।সে শিহাবের সাথে কথা বলেছে।তাও অনিচ্ছাকৃত। সেগুলোর কথা কী তৃণ বলছে।কিন্তু সে শিহাবের সাথে প্রেমালাপ করেনি।শিহাব তাকে ডিস্টার্ব করে।একটা উষ্ণ ছোঁয়া তার হুস ফিরে।তৃণ তার ঠোঁটে কিস করেছে।মুখ থেকে মদের বাজে গন্ধ আসছে।পেট গুলিয়ে বমি আসার উপক্রম। রাগ দেখিয়ে দুইহাত দিয়ে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে বলল,
-” মাতলামি করে ভালোবাসা দেখানোর হচ্ছে।”
উঠে দাঁড়ায়।তৃণ ও হেলেদুলে উঠে দাঁড়ায়।
-” বাবু তুই রাগ করিস কেন।তোকে আমি আদর করছিস।”
না! আর একমুহূর্ত থাকা যাবে না।মাতালটার সাথে।কোন সময় কি করে বসে।এসব ভেবে দরজা খুলে বের হতে যাবে তখনই প্রাচ্য’র বাহু ধরে টেনে রুমের মাঝখানে এনে দরজা আটকিয়ে ফেলে।
-” বাবু তুই কোথায় যাচ্ছিস?আজ আমরা প্রেম প্রেম খেলব।”
চরম বিরক্ত প্রাচ্য।মাতালটা থেকে ছাড়া পাচ্ছে না কিছুতেই।প্রাচ্য আবার দরজা খুলতে গেলে হেঁচকা টান দিয়ে দেওয়ালের সাথে মিশে দাঁড় করায়।তৃণ বলল,
-” বাবু তুই এমন করিস কেন? একটু ও সুন্দর করে আদর করতে দেস না।”
এটা বলে প্রাচ্যকে কাঁধে তুলে নেয়।বিছানায় নামিয়ে দেয়।ঝাপটে ধরে যাতে প্রাচ্য যেতে না পারে।প্রাচ্য’র বুকে মাথা দিয়ে শুয়ে থাকে।প্রাচ্য দাঁত মুখ খিঁচে চুপ করে থাকে।প্রাচ্য নড় চড় না দেখে মুখ তুলে তাকায়।
-” বাবু তুই কি ঘুমিয়ে গেছিস।”
দেখে প্রাচ্য সজাগ।তৃণ আবার বলল,
-” আজকে নো ঘুম।আজকে শুধু রোমান্স হবে।”
এটা বলে প্রাচ্য’র ঠোঁটে চুমু খায়।ভ্রু কুঁচকে বলল,
-” বাবু এটা কি হলো।আমি শুধু চুমু খাবো। তুমি খাবে না।”
-” তৃণ প্লিজ ছাড় আমায়! আমার এসব ভালো লাগছে না।”
প্রাচ্য’র ঠোঁটে স্লাইড করতে থাকে আঙুল দিয়ে।সে বলল,
-” বাবু তোমার ঠোঁট দুটো এত মিষ্টি কেন? চিনি কী এখানে থেকে উৎপাদন করা হয়।”
প্রাচ্য হাসবে না কাঁদবে বুঝতে পাচ্ছে না।তৃণ বলল,
-” কি হলো বাবু! বলো না কেন? ”
-” তোর মাথা!”
তৃণ নিজের মাথা হাত দিয়ে বলল,
-” এই তো আমার মাথা।”
প্রাচ্য’র ইচ্ছা করছে তৃণকে এখন পিটাতে।সে ভেবে নিয়েছে যখন তৃণ হুস ফিরবে তখন সত্যি সত্যি এই ব্যাটাকে আস্তো রাখবে না।প্রাচ্য দেখে তৃণ’র হাতের স্পর্শ তার পেটে পাচ্ছে।তৃণ প্রাচ্য’র শাড়ি কুচি খুলে ফেলে।উন্মুক্ত পেট ভেসে উঠছে তৃণ চোখে সামনে।প্রাচ্য জানে আজকে এই মাতাল থেকে রক্ষা পাবে না।তাই চোখ বন্ধ করে চাদর খামচে ধরে তৃণ স্পর্শ গুলো অনুভব করছে।হাতের আঙুল দিয়ে তৃণ কি যেন আকঁছে।অনেক্ষন আঁকা আঁকি করে।নাভির একটু নিচে খুব জোরে কামড় দেয়।প্রাচ্য ব্যথা পেয়ে আর্তনাদ করে উঠে।চোখে কোণে পানি জমা হয়।তৃণ বাচ্চাদের মত হয়ে বলল,
-” ব্যথা পেয়েছো বাবু।”
প্রাচ্য কোনো কথা না বলে তৃণ’র দিকে তাকায়।তৃণ আবার বলল,
-” খুব ব্যথা পেয়েছো!”
প্রাচ্য মাথা নাড়ায় হ্যাঁ বলে।তৃণ খিলখিল করে হেসে বলল,
-” আমার খুব ভালো লাগে।আরেকটা কামড় দি।” বাচ্চাদের মত আবদার করে।

# কাউছার স্বর্ণা
গঠন মূলক মন্তব্য করবেন প্লিজ।
স্বপ্নীল
৫৩
তৃণ খুব মাথা যন্ত্রনা করছে।দুহাত দিয়ে মাথা চেপে ধরেছে।এই জন্য সে ড্রিংক করে না।এই অসহ্য যন্ত্রণা ভুগতে ভালো লাগে না তার।প্রাচ্য তেতুল জল নিয়ে রুমে ঢুকে।গ্লাস তৃণ’র দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল,
-” টক খেয়ে আমায় উদ্ধার কর!”
চোখ তুলে তাকায় তৃণ।প্রাচ্যকে আজকে অন্য রকম লাগছে।বাট এই সাত সকালে কেন প্রাচ্যকে তার অন্য রকম লাগছে।হয়তো মদের নেশা এখন কাটেনি বলেই।হাত বাড়িয়ে ঢক ঢক করে খেয়ে নেয়।কিছুক্ষণ পর যেন তার মাথা যন্ত্রনা কেটে যায়।প্রাচ্য’র চুলের দিকে চোখ যায়।ভেজা চুল! টুপটুপ করে পানি পড়ে পিঠের দিকে ব্লাউজ ভিজে গেছে।এত সকাল প্রাচ্য কেন গোসল করেছে।এসব ভাবতেই তখন তৃণ’র চোখ যায় নিজের দিকে।যা বুঝার বুঝে গেছে।মাথা যন্ত্রণা যেন বেড়ে গেল।কি করে পারল সে এমন করতে? কালকে রাতে মদ খেয়েছে, প্রাচ্য’র আর শিহাবের এই প্রেমালাপ কিছুতে মানতে পাচ্ছে না।এসব যেন সে ভুলে থাকতে পারে।এখন দেখছে মদ খেয়ে অনেক বড় ভুল করে ফেলেছে।চোরে মত করে তাকায় প্রাচ্য’র দিকে।না প্রাচ্য নিজের সাজগোজ নিয়ে ব্যস্ত।তৃণ উঠে দাঁড়ায়।ওয়াশরুমে যেয়ে গোসল সেড়ে আসে।

মদ খেয়ে মাতাল হয়ে প্রাচ্যকে কাছে টেনে নিয়েছি।অনেক বড় ভুল করেছে।প্রাচ্য’র কাছে তার একবার ক্ষমা চাওয়া উচিত।এসব ভেবেই হাত থেকে তোয়ালে সোফা রেখে প্রাচ্যকে বলল,
-” আ’ম স্যরি।”
তৃণ দেখতে পাচ্ছে আয়নার ভিতরে তার কথা শুনে প্রাচ্য’র কপাল কুঁচকে গেছে।প্রাচ্য উঠে এসে তৃণ মুখোমুখি দাঁড়ায়।মুখ কঠিন করে বলল,
-” তোকে কে বলেছে মদ গিলতে।”
-” আসলে…!”
-” মদ খেয়ে হামলে পড়ে আমায় কিস করেছিস।মদের গন্ধে যেন আমার নাড়িভুঁড়ি বেড়িয়ে আসছিল।”
তৃণ ভেবেছে প্রাচ্য রাগ করবে।কালকে হয়তো জোর করেই প্রাচ্যকে কাছে টেনেছে। এটা নিয়ে অনেক অপমান করবে বাজে কথা শুনাবে।
।তৃণকে চুপ থাকতে দেখে প্রাচ্য বলল,
-” কালকে কি করেছিস মনে আছে তোর।”
প্রাচ্য’র কথা শুনে মুখটা গোমড়া হয়ে যায় তৃণ’র।প্রাচ্য বলল,

-” কি হলো বল?”
অপরাধী মুখ করে তৃণ বলল,
-” রাতের কিছু মনে নেই।সকালে বুঝেছি আমি…!”
তৃণ আর বলতে না দিয়েই প্রাচ্য ব্যঙ্গ করে বলল,
-” রাতের কিছু মনে নেই।মনে থাকবে কী করে।মাতাল ছিলি তো।সব ঝড় তো আমার উপর দিয়ে গেছে।”
-” আ’ম সরি।”
-” তোর স্যরি গুষ্টি কিলাই।রাতে কি সব কথা বলেছিস আমায়।মনে আছে তোর।
-” না।”
প্রাচ্য কোনো কথা বলল না।সোজা গিয়ে তৃণ’র ঠোঁটে হাত দিয়ে বলল,
-” বাবু তোমার ঠোঁট দুটো এত মিষ্টি কেন? চিনি কী এখানে থেকে উৎপাদন করা হয়। এসব কি কথা।”
তৃণ এসব বিশ্বাস হচ্ছে না।সে বলল,
-” আমি এসব কিছুই করিনি।”
-” করবি কেন? এই দেখ।আমায় কামড় দিয়ে বলেছিস।তোর নাকি কামড় দিতে ভালো লাগে।”
শাড়ি সরিয়ে কামড়ের দাগ গুলো দেখায়।তৃণ সত্যি কামড়ের দাগ দেখতে পায়।দেবে গেছে।প্রাচ্য তৃণ কলার চেপে ধরে খাটের ফেলে দেয়।বুকের মধ্যে কিল ঘুষি দিতে থাকে।
-” কালকে মারতে মারনি।তোর সাথে না পেরে।আজকে সব শোধ নেব।কালকে অনেক জ্বালাইছিস।”
তৃণ আজকে প্রাচ্যকে আটকাচ্ছে না।প্রাচ্য কেন তাকে একবার জিজ্ঞেস করে নাই।তাকে কেন কাছে টেনে নিয়েছে।তার মানে কি প্রাচ্য এতে খুশি ছিল।তাহলে প্রাচ্য কেন এখন আবার শিহাবের সাথে যোগাযোগ করে, দেখা করে।কিছুতে খুশিতে হতে পাচ্ছে না সে।কিছু একটা বাঁধা দিচ্ছে তাকে।অফিস থেকে বের হয়ে রিক্সসা উঠবে তৃণ।তখনই চোখ যায় একটা গাড়িতে।একটা ছেলের ড্রাইভিং করছে।পাশে একটা মেয়ে বসে আছে।হ্যাঁ মেয়েটা প্রাচ্য! সাথে শিহাব।
তৃণ রাগে শিরা উপশিরা টগবগ করছে।হাত মুষ্টিবদ্ধ করে রিক্সাশশার সিটে ঘুষি মারে।রিকশা ওয়ালা কেঁপে উঠে।তৃণদের দিকে তাকায়।তৃণ কিছু না বলে রিকশার চেপে বসে।

সন্ধ্যায় প্রাচ্য বাসায় আসে।রুমে ভিতরে ঢুকলে দেখে।পুরো রুম অন্ধাকার। লাইট জ্বালাতে তৃণকে দেখতে পায়।সোফা বসে আছে।সেন্টার টেবিলে দুইহাত ভর দিয়ে ঝঁকে আছে।সে বলল,
-” লাইট না জ্বালিয়েছে অন্ধাকারে বসে আছিস কেন? মন খারাপ নাকি তোর,,,!”
এটা বলতে প্রাচ্য’র চোখ যায় রুমে।রুমের মধ্যে সব জিনিস ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছে।ফুলদানী ভেঙে পড়ে আছে।প্রাচ্য বুঝতে পাচ্ছে না এসব ভাঙা কেন? সে তৃণকে প্রশ্ন করল,
-” এভাবে জিনিস পত্র ভেঙে ছিস কেন? ”
তৃণ চোখ তুলে তাকায়।প্রাচ্য ভড়কে যায় নীল ওই রক্তিম মাখা চোখ দুটো দেখে।কি ভয়ংকর লাল! চোয়াল দুটো খুব শক্ত করে রেখেছে।প্রাচ্য ভয় পেয়ে কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলল,
-” তোকে এমন দেখেচ্ছে কেন? কি হয়েছে তোর?”
তৃণ চোখ বুঝে রাগ কন্ট্রোল করে।শীতল দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলল,
-” কোথায় গিয়েছিস তুই?”
প্রাচ্য ভয় পেয়ে গেলো।প্রাচ্য জানে তৃণ রেগে গেল ভয়ংকর হয়ে যায়।
এখন যদি শিহাবের কথা তৃণ কে বলে।তাহলে উল্টে ভুল বুঝবে। মেজাজ যখন ঠান্ডা থাকবে তখনই না হয় সত্যিটা বলবে।গলা পরিষ্কার করে বলল,
-” আমি রোদের কাছে গেছি।”
তৃণ সুর টেনে বলল,
-” ওহ!”
এটা বলে তৃণ উঠে দাঁড়ায়।প্রাচ্য’র পাশ কেটে নিচে চলে যায়।প্রাচ্য বুঝতে পাচ্ছে না তৃণ’র রেগে যাওয়ার কারণ কি?

কাউছার সুলতানা স্বর্ণা

ভুল হলে ধরিয়ে দিবেন।সাড়া চাই সবার।

https://m.facebook.com/groups/884724498624937?view=permalink&id=967230720374314

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে