সিঁদুর রাঙা মেঘ পর্ব-১৪+১৫

0
1228

#সিঁদুর_রাঙা_মেঘ
#সুরাইয়া সাত্তার ঊর্মি
পর্ব-১৪,১৫
দুপুরের খাবার রেডি করছে মাইশা। তার পাশেই তাকে এটা সেটা এগিয়ে দিচ্ছে সুমি। দুজনের মধ্যে নিরবতা কিছুক্ষণ চললেও প্রথম কথা মাইশা বলল,,
–” হেরে সুমি! কুহুর জন্য বিয়ের ঘর দেখচ্ছিস নাকি?”
সুমি দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো বলল,,
—” হে ভাবি দেখছি তো বটে। কিন্তু মেয়ের কাহিনী শুনে আগেই পালিয়ে যায়! কি করি বলো। আর মেয়েটিও দিন দিন খিটখিটে মেজাজের হয়ে যাচ্ছে!”
সুমির চোখে কোনে পানি চিকচিক করছে।মাইশা সুমির কাঁধে হাত রেখে আশ্বাস দিয়ে বলল,,
—“মন খারাপ করিস না। দেখবি ভাল কিছু লিখা আছে আমাদের কুহুর কঁপালে।”
কিছুক্ষণ চুপ থেকে মাইসা আবার বললেন,,
–“শুন আমাদের পরিচিত এক ঘটক আছে। অনেকের চার হাত এক করেছেন।তার নাম ডাক অনেক। আমি বরং তাকে আসতে বলি! কুহুকে তুই রেডি করে রাখিস। তিনি কুহুকে দেখেই না হয় পাত্র খুঁজে দিবেন!”
–“দেখো যা ভালো হয়! তোমরাতো আর পর না। যা করবে ভালর জন্যই।”
মাইশা মনে মনে যেন খুশি হলেন অনেক। এবার যেন তিনি নিশ্চিন্ত হতে পারবেন। তার যে ছেলে, পরবর্তীতে সত্য জানলো দুবারো পিছপা হবে না কুহুর কাছে যেতে। কিন্তু তিনি যেনে শুনে তা কিভাবে করবেন?

—“তুই কেন যাবি না কুহু? আমরা সবাই যাচ্ছি! চল না খুব মজা হবে!”
—” আপি তোমরা ঘুরে এসো আমার ইচ্ছে নেই তাছাড়া আমার ভার্সিটিতে কাজ আছে। যেতেই হবে!”
কুহু তার ব্যাগে কাপড় ভড়তে ভড়তে বলল। মিশু এবার নিরাশই হলো। বলল,,
—” আমি জানি তুই এসব থেকে পালাতে চাইছিস কুহু!”
কুহু থেমে গেল। এক পলক মিশুর দিক তাকায় অসহায় দৃষ্টিতে,,
—“বড়পু প্লীজ জেদ করো না। যেতে দাও!”
মিশু এবার কুহুর দু হাত ধরে খাটে বসালো। তার পাশে বসে বলল,,
—” তুই কত পালবি কুহু? পালিয়ে বেড়িয়ে এত মানুষ গুলো প্রশ্ন কি মুছে দিতে পারবি?”
কুহু কান্না ধরে রাখতে পাড়লো না। বলল,,
—” এসব আমার ভাগ্যের লিখন।”
হু হু করে কেঁদে উঠে কুহু।মিশু এক হাতে মুখ তুলে বলল,,
—” আমরা চাইলে ভাগ্য বদল করতেও পারি কুহু। আল্লাহ বলছেন তাকদীর বিশ্বাস করো, আবার তদবির ও করো!”
—” কিন্তু বড়পু আমি তদবির কিভাবে করবো? যেখানে আমি জানি আমার নিজের কমতি?”
মিশু অবাক হয়ে গেল কুহুর কথায়।বলল,,
—“মানে!”
কুহু “কিছু না ” বলে আবার কাঁপড় গুছাতে লাগলো। মিশুর এবার কেমন জানি সব ধোঁয়াশা লাগচ্ছে। মনে হচ্ছে কুহু বিয়ে থেকে নিজের ইচ্ছায় পালায়নি। কারণ আছে নিশ্চয়। আজ তা জেনেই ছাড়বে। মিশু কুহুর দু বাহু ধরে তার দিক ঘোরালো। কুহু মাথা নত করে আছে। মিশু অস্থির হয়ে বললে,,
—” কুহু সত্যি করে বলতো? সেদিন বিয়ের আসর থেকে কেন পালিয়েছিলি? এর পিছনে নিশ্চয় কোনো কারণ আছে? কারণ তুই ভাইকে এবাবে ধোকা দিতে পারিস না! বল প্লীজ!”
লাষ্ট কথাটুকু ঝাঁকুনি দিয়ে বলল কুহুকে মিশু।কুহু এবার আর কান্না আটকাতে পারে নি। অনেক বছরে জমা হয়ে থাকা কান্না আজ দলা পাকিয়ে বর্ষণ শুরু করেছে। কুহু মাটিতে বসে পড়লো বলল,,
—” অনিশ্চিত এক সম্পর্কে ইউসুফ ভাইকে বাঁধতে চাইনি আমি!”
মিশু কুহুর সামনে বসে পড়ে। বলে,,
—” অনিশ্চিত সম্পর্ক মানে?”
কুহু তার চোখের জল মুছে বলে উঠে,,
—” একটা সম্পর্ক তখনি নিশ্চিত হয়, আরো গারো হয় যখন দাম্পত্য জীবনে একটি বাচ্চা আসে। আমি কখনো বাচ্চা দিতে পাড়বো না ইউসুফ ভাইয়াকে। জানোই তো! কত বাচ্চার শখ উনার? আমি কি করে তাকে এ সুখ থেকে বঞ্চিত রাখি!”
মিশু আঁতকে উঠল,,
—” এসব কি বলছিস তুই?”
—“ঠিক বলছি!বিয়ের রাতেই জানতে পারি সব। তাই…”
কুহু ফুঁপিয়ে উঠলো। মিশু ও কেঁদে দিলো তার বোনটা এত গুলো বছর এ কষ্ট বুকে চেপে বসে আছে!আর পরিবারের প্রতিটা মানুষ তাকে হেয় করেছে। মিশু বলল,,
—” ভাইকে কেন বললি না! উনি একটা রাস্তা বের করতেন না?”
—” তোমার কি মনে হয় আপি? আমি রাস্তা খোঁজার ট্রাই করিনি? অনেক করেছি। আর ভাইয়া যদি জানতো আমি বাচ্চা দিতে অক্ষম তিনি কখনো ছাড়তেন না আমায়। কিন্তু আমি এ অপরাধ কেমনে করি? পরিবারে এক মাত্র ছেলে সে! সবার আশা তাকে নিয়েই। আর সেখানে আমি স্বার্থপরের মতো নিজেরটা কিভাবে দেখি!”
মিশুুর কান্না পাচ্ছে খুব। সাথে ছোট বোনটির উপর গর্ব করতে ইচ্ছে হচ্ছে। নিজের ভালবাসর মানুষটি সুখের জন্যই নিজের সব বিসর্জন দিল? মিশু জড়িয়ে ধরলো কুহুকে। মনে মনে বলল,,
—” ভাইয়া খুব ভাগ্যবান। এমন একজন ভালবাসার মানুষ পেয়েছেন!”

পর্ব_১৫
চিত্রাও অবাক হলো। তার চোখে পানি। তার অগোচরেই চোখের জল বেড়িয়ে এসেছে। বুকে আবার কষ্ট অনুভব করছে।
—” এমন কেন হয়? আমরা যাকে ভালবাসি তাকেই কেন হারাতে হয়? হয়তো তার সুখের জন্য, নয়তো পরিবারের জন্য?”

সিক্ত চোখ জোড়া মুছে আবার খুললো ডায়রিটা।

ঢুলু ঢুলু শরীরে বাসায় ফিরে ইউসুফ। সদর দরজা দিয়ে প্রবেশ করতেই চোখ পরে হল রুমে। যেখান থেকে টিভির মৃদু আওয়াজ ভেসে আসচ্ছে। ভ্রু কুচকায় সে। সময়টি মধ্যরাত। এত রাতে হল রুমে কে?সে দিকে পা বাড়ায় সে। পা যে চলছেই না। নেশাটা আজ বেশী করে ফেলেছে সে। চোখের সামনে ঝাপসা হয়ে উঠছে বার বার।কোনো রকম শরীরটা টেনে আসতেই থমকে যায় সে। চোখের সামনে ভেসে উঠে ষোড়শ বছরের এক কিশোরী যেন গুটি শুটি মেরে সোফায় শুয়ে আছে।ইউসুফ কাছে গেল। হাটু গেরে তার সামনে বসে দেখতে লাগলো তাকে।তার সেই ছোট্ট বাবুইপাখিটির চোখের কোনে জমে থাকা জলের কণা। সে কি কেঁদেছে?ইউসুউ তার হালকা স্পর্শে তার চোখের জল মুছে দেয়।তখনি কুহু হালকা চোখ মেলে তাকায়। ঘুমের ঘোর তখনো কাঁটেনি তার।সে তার হাত উঁচু করে ইউসুফের গালে রাখে। কান্না মিশ্রিত কন্ঠে বলে উঠে,,

–” ইউসুফ ভাই আপনার জন্য আমার মনটা যে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে? প্লীজ ইউসুফ ভাই আমাকে ছেড়ে যাবেন না।”

মুহূর্তে ইউসুফের মনে পড়ে গেল এই কিশোরীর করা সেই ভুলটি কথা। সাথে এক রাশ ঘৃণা নিয়ে ছিটকে সরে তার রুমে চলে আসে। বিছনায় বসে নিজের চুল টানতে থাকে সে। এ যে তার ভালবাসার বাবুইপাখি না। এতো কায়া। যে তার অনুভূতি গুলো তুচ্ছ করে ছিল। একগাদা মানুষের সামনে তাকে অপমানিত করেছিল। সবচেয়ে বড় কথা তার ভালবাসার গলা টিপে হত্যা করেছিল সে। ভাবতে লাগে সে দিনটির কথা যেদিন কুহু ইউসুফের আদর, স্নেহ, ভালবাসা লাথি মেরে পালিয়ে গেছিলো।সেদিনও ছিল এমনি একটি রাত। সাথে সাথে ডুব দিলো সেই বেদনা দায়ক পুড়নো স্মৃতির korbo

বিয়ের তোরজোর বেশ ভালোই চলছিল ইউসুফ কুহু। দু পরিবারের সম্মতিতে প্রতিটি অনুষ্ঠান সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হলো ইউসুফ আর কুহু। সব ঠিক থাকলেও কবুল বলার আগ মুহূর্তে কুহুকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। বাড়ি ভর্তি মানুষের সমাগমে কানাঘুঁষা শুরু হয় রীতিমতো।বিয়ের আসর থেকে বউ পালিয়েছে।

ইউসুফ তখন স্টেজে বসে ছিল। সব উপেক্ষা করে কুহুকে রাখা রুমটিতে যেয়ে উপস্থিত হয়।মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে তার। পুরো দুনিয়া উল্টে যায় তার। কুহু নেই। ঠিক সেই মুহূর্তে ইউসুফের নাম্বারে একটি মেসেজ আসে,,

“Yusuf vai, ami apnk biya korte parbo na…ami onno kauk Bhalobashe. jani ami kosto diya felam apnk. Amk maf kore diben…”

ইউসুফের যেন রাগে ধপ করে মাথায় আগুন ধরে যায়। নিজেকে সামলাতে না পেরে পুরো রুম ভাঙচুর শুরু করে। আর চিৎকার করতে থাকে। কুহুকে লাগাতার কলও করতে থাকে কিন্তু কুহু কল রিসিভ করছেই না। আর এদিকে ইউসুফের বাবা-মা ছেলের অবস্থা দেখে নিজেরাই ভেঙ্গে পড়চ্ছে৷ ইউসুফকে সামলানোর জন্য তুহিন মহসিনকে বুঝায়, যেন ইউসুফকে সামলায়। মহসিন যায় ইউসুফকে সামলাতে। ছেলের এ হালে মহসিন নিজেই বেহাল। তা কষ্টে ছেলের কাছে যায়। ইউসুফ তার বাবাকে দেখে বাচ্চাদের মত জড়িয়ে ধরে কেঁদে দেয়। মহসিন তার ছেলের এ হাল দেখে নিজেও কেঁদে দেন। বুঝাতে লাগেন শুধু। সেদিন থেতেই মহসিনের মনে চাঁপা এক রাগ কুহুর প্রতি। ছেলেকে তিনি খুব ভালোবাসতেন। ইউসুফ তাদের অনেক স্বাদের ছেলে। ডাক্তার যখন তাদের বলেছিল তাদের কোল কখনো ভড়া হবেনা। কিন্তু তার ঠিক তিন বছর পর আল্লাহকে ডাকতে ডাকতে তাদের কোল আলোকিত করে আসে ইউসুফ। মহসিন ছেলের চোখ মুছে দিয়ে বলল,,
—“বাবা কাঁদিস না! কুহুকে আমি ফিরিয়ে আনবো!”
ইউসুফ তা যেন থামছিলই না। একটু একটু তৈরি করা তার ভালবাসার ঘর তা কি এতো সহজে ভোলা যায়?

ইউসুফকে না পেরে ঘুমের ইঞ্জেকশন দেয়া হলো। ঘন্টা চারেক বাদে যখন ইউসুফের ঘুম ভাঙ্গে তখন সব নিঃশব্দ। ইউসুফের মাথা ভার হয়ে আছে। মাথাটা চেপে ধরে বসে সে। যখন সব মনে পরে তখন পাগলের মতো ফোনটি হাতরে খুঁজে। ফোন পেয়ে ইউসুফ আবার কুহুকে কল করে। তিনবারের মাথায় কুহু কল রিসিভ করে। ইউসুফের যেন ফিরে আসে আসে। ফোনটি ধরে ছোট একটি শ্বাস ফেলে ইউসুফ।
—“কুহ!”
ধরে আসা কন্ঠে নামটি উচ্চারণ করলো অনেক কষ্টে।
কুহু তখনো চুপ। ইউসুফ আবার বলল,,
–“এমন কেন করলি? কেন করলি কুহু?বল না? কথা কেন বলছিস না? আমাকে এভাবে ধোকা দিতে পারলি? তোর ইউসুফ ভাইকে??”
কুহু তখন চুপ। ইউসুফ তার কথা আওড়াতেই লাগলো। কুহু হেলদোল নেই। সে চুপ। এক পর্যায় ইউসুফ নিজেও চুপ হয়ে যায়। শুধু বলল,,
–” কথা বলতেও সমস্যা এখন?”
এবার কুহুর কথা শোনা গেল ওপর প্রান্ত থেকে।
—“আমি যা বলার আপনাকে তো কাল বলেই দিয়ে ছিলাম। তাহলে এমন ভাবে আমাকে ডিস্টার্ব কেন করছেন?আমি বুঝতে পাড়চ্ছেন না! আমি আপানার সাথে কথা বলতে ইচ্ছুক না?”
কুহুর শক্ত কথায় ইউসুফের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। বলল,,
,—“এসব কি বলছিস তুই? আমি তোকে ডিসটার্ব করছি?”
—“হে অবশ্যই! ফারদার আর কল করবেন না!”
—“তুই আমার বাবুইপাখিই তো?”
—“আমি কারো বাবুইপাখি না। আমি কায়নাত কুহু।”
—” আচ্ছা? তাহলে দুটো বছর আমাদের মাঝে কিছিল?”
—” মোহো ছিল আমার তরফ থেকে যা কেঁটে গেছে।”
ইউসুফ বিস্মিত হয়ে বলল,,
—” আমাদের ভালবাসা তোর কাছে যাষ্ট মোহো ছিল? আমার কাছেতো ছিল না? আমার ভালবাসা ঠুনকো ছিল না যে কেঁটে যাবে?”
কুহু এবার বিরক্তি প্রকাশ করে বলল,,
—” দেখুন ইউসুফ ভাই, আমি এখন শকডে আছেন। কিছুক্ষণ ঘুমান দেন উঠে আমার বলা কথা গুলো ভাববেন। আমার আর আপনার মাঝে যা ছিল তা শেষ। আপনি আপনার মতো থাকেন আর আমাকে আমার মতো বাঁচতে দিন। আমি সব ভুলে গেছি আপনি ও ভুলে যান। আর এসব প্রেম টেম টাইমপাস ছাড়া কিছু না। আর এমনিতেও আমি অন্য কারো সাথে রিলেশনে আছি। কথাটা আপনাকে আরো আগে বলতেই চাইছিলাম। কিন্তু সময়টুকু আর দিন নি আপনি। ভেবেছিলাম বিদেশ চলে যাবেন এমনি ঠিক হবে সব। কিন্তু আপনি এখানে বিয়ের ঘন্টা বাজিয়ে দিলেন। আমার সেদিন থেকে মনে হচ্ছিল দম নিতে পারছিলাম না। আটকে গেছিলাম একটি সম্পর্কের বেড়াজালে। আমি এখনি বিয়ে করতে চাই না। আর ৫ টা মেয়ের মতো বন্ধু-বান্ধবদের সাথে ঘুরে ফিরে কাঁটাতে চাই। যা আপনার সাথে থাকলে পারতাম না। বোঝা মনে হচ্ছিল আপনার ভালবাসা। বলতে গেলে হাপিয়ে উঠেছিলাম।তাই আমি ডিসিশন নিলাম পালিয়ে আসার। আর তাই করলাম। এখন আপনিও সব ভুলে আমায় মুক্ত দিন। প্লীজ আর কল বা কোনো যোগাযোগ করার ট্রাই করবেন না।নয়তো আইনি পথ বেছে নিবো!”
কল কেঁটে দিলো কুহু। ইউসুফ হতভম্ব। তার বাবুইপাখি কত সাবলীলভাবে কথা গুলো বলল। একটুও কষ্ট হলো না তার। ইউসুফের ভালবাসা বোঝা এখন, হাফিয়ে গেছে সে, মুক্ত চায় তার বাবুইপাখি। কথা গুলো কানের মাঝে বাজতেই লাগলো ইউসুফের। সেদিন যেন পাথর হয়ে গেছিল সে। তার কিছুদিন পর সে তার বাবাকে বলে বিদেশের চলে যায়। মুলত পালাতে চায় সে। খুব দূরে।
চলবে,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে