লাভ টর্চার❤ Part-5

0
4374

#লাভ_টর্চার❤
#Part-5
#Nusrat_Jahan_Abida
.
.
শুভ্র ভাইয়া একটু বেশিই উড়ছে, তাকে ঠিক করতেই হবে! শুভ্র ভাইয়া, তোমার উল্টো গিনতি শুরু! রুমে যেতে যেতে কথাগুলো মনে মনে বললাম। তবে তার আগে নিজেকে একটু রিল্যাক্সড করা দরকার তাই রুমে এসেই ঘুম দিলাম। সকাল সকাল উঠার সাইড এফেক্ট এটা!! ঘুম থেকে উঠতেই দেখি সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে। তবে পুরো বাড়ি শান্ত কিভাবে? তাও আবার শান্ত ভাইয়া থাকাকালে!! আল্লাহই জানে যে, কে এই অশান্ত পোলার নাম শান্ত রেখেছে। আমি যদি তখন থাকতাম তাহলে এ ঘোর অপরাধ কখনোই মেনে নিতাম না। আর শুভ্র ভাইয়ার খবর কি!! তিনি কি চলে এসেছে নাকি ফ্যায়রি ট্যালের ডাইনির মতো ঝাড়ু নিয়ে উড়ে বেড়াচ্ছে! নিচে গিয়ে দেখা দরকার! ফ্রেশ হয়ে সিড়ির কাছে আসতেই দেখি শান্ত ভাইয়া হলরুমে বসে লেপটপ দিয়ে কিছু একটা করছে। কিন্তু কি করছে? এটা তো গিয়েই দেখতে হয়। সিড়ি থেকে নেমে ধীর পায়ে শান্ত ভাইয়ার কাছে গিয়ে হালকা গলায় বললাম,
– কি করছো?
.
.
শান্ত ভাইয়া একবার ঘুরে আমার দিকে তাকিয়ে আবার সামনে ঘুরে নিজের কাজে লেগে পড়লো। এই মুহুর্তে উনার সাথে ঝগড়া করার মুড নেই তাই নিজের রুমের দিকে পা বাড়ালাম। কিন্তু মাঝপথেই বাধা দিয়ে শান্ত ভাইয়া বলল,
– তোর সাথে একটা দরকারী কথা ছিলো!
.
.
দরকারী কথা ছিলো …… বলে পাঁচ মিনিট যাবৎ খাম্বার মতো দাঁড়া করিয়ে রেখেছে। না আছে কোন কথা, না আছে কোন বার্তা। এ কারণেই এই লোকটাকে আমি দেখতে পারি না। যখনই দেখা হয়, তখনই জ্বালিয়ে খায়। কেন যে উনার কথা শুনতে গেলাম, আল্লাহ মালুম। মন তো চাচ্ছে মাথা ফাটিয়ে দিই, কিন্তু কি করি বলুন? আমি তো সবার মতো নির্দয় না, তাই ছেড়ে দিলাম। যা জিলে আপনি জিন্দিগি। কিন্তু এখানে দাঁড়িয়ে থাকার কোন মানে হয় না তাই বললাম,
– তোমার কথা তোমার কাছেই রাখো! একটা মাসুম বাচ্চাকে এভাবে দাঁড় করিয়ে রাখতে লজ্জা লাগে না! মায়া দয়ার অংশবিশেষও তোমার মাঝে নেই! যদি এক বিন্দুও থাকতো তাহলে আমি ধন্য হয়ে যেতাম। গলা ছেড়ে গাইতাম,
ধন ধন্য পুষ্পে ঘেরা,
আমাদেরই শান্ত ভাইয়া।।
.
.
শান্ত ভাইয়া আমার গানকে পাত্তা না দিয়ে বলল,
– নিজে যেমন আজিরা তেমন কথাও বলিস আজিরা! এখন আজিরা পেঁচাল বাদ দিয়ে আমার কথা শুন!
.
.
ভ্রু কুচকে বললাম,
– এতক্ষণ যাবৎ তো মনে হয় উগান্ডায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, তাই না?
– তোর মতো মানুষ উগান্ডায়ও ঠাঁই পাবে না! (শান্ত)
– তোমার মতো মানুষ তো পাবে! যাও, ভাগো!
.
.
শান্ত ভাইয়া এবার কাঁচুমাচু করে বলল,
– শোন না!
.
.
এবার আমার মুখে বিজয়ের হাসি! ভ্রু নাচিয়ে বললাম,
– কি!
.
.
শান্ত ভাইয়া কাঁচুমাচু করেই যাচ্ছে। তার কাঁচুমাচু দেখে এখন বিরক্তি লাগছে। রেগে বললাম,
– না বললে ফুটো!
.
.
শান্ত ভাইয়া এবার নিজেকে শক্ত করল। আমার চোখে চোখ রেখে বলল,
– আ-ম ইন লাভ!
.
.
ভ্রু কুঁচকে বললাম,
– এটা কি নতুন কিছু ছিলো!
.
.
শান্ত ভাইয়া হালকা রেগে বলল,
– শুনবি!
– বলো!
– এখন টিপস দে! তখন ফাজলামি করে বললেও এখন কিন্তু সিরিয়াস! আমি টিপস চাই মানে চাই! কেননা আমি জানি, এক্ষেত্রে তোর থেকে ভালো টিপস কেউ দিতে পারবে না!
.
.
ভ্রু কুঁচকে বললাম,
– তোমার কি মনে হয়, আমি হাজারটা প্রেম করি যে ভালো টিপস দিতে পারবো!
– প্লিজ, না করিস না!
.
.
করুণ কন্ঠে বলল শান্ত ভাইয়া! আইডিয়া!! ভাব নিয়ে বললাম,
– আচ্ছা, আর পাও ধরতে হবে না! দয়া খেলাম!
.
.
শান্ত ভাইয়া ভ্রু কুঁচকে বলল,
– আমি কবে তোর পা ধরলাম!
– টিপস চাও নাকি না!
.
.
শান্ত ভাইয়া ভেবে বলল,
– আচ্ছা, যা মন চায় বল! এখন তোরই দিন!
.
.
দুর্গ বিজয় হাসি দিয়ে বললাম,
– তুমি আমার ভাই বলে হেল্প করছি! তবে যা যা বলবো তাই তাই করতে হবে!
– ঠিক আছে, বুঝলাম! (শান্ত)
– তাহলে এখন থেকেই শুরু করা যাক!
– এখন! (শান্ত)
– হুম!
– ওকে, বল কি করতে হবে! (শান্ত)
.
.
একটু ভেবে বললাম,
– বর্তমান জিএফ মানেই প্যারা তা তো জানোই! সুতরাং, তোমাকে বেশ খাটাখাটনি করতে হবে। এ টু জেড সব পারতে হবে! আর আমি শুধু জিএফ সামলানোর না, বউ সামলানোরও টিপস দিবো বুঝলে!
– হুম (শান্ত)
.
.
শান্ত ভাইয়ার সাথে কথা বলে নিজের রুমের গেলাম। সেখান থেকে ফিরে এলাম কিছু বইপত্র নিয়ে! শান্ত ভাইয়া ভ্রু কুঁচকে বলল,
– এগুলো দিয়ে কি করবি!
.
.
আমি মুখে হাসি এঁকে বললাম,
– তুমি এখন আমার পড়াতে হেল্প করবে!
.
.
শান্ত ভাইয়া বিরক্তি নিয়ে বলল,
– আমার তো আর খেয়ে দেয়ে কাজ নেই!
– না করলে নাই! তবে মনে রেখো, গার্লফ্রেন্ডকে কিন্তু পড়াশুনায় হেল্প করতে হয়! তাহলেই না বুঝবে তুমি জেন্টালম্যান অফ দ্যা ইয়ার!
– আচ্ছা, বস!
.
.
ফিজিক্স বই হাতে নিয়ে বসে পড়লাম। শান্ত ভাইয়া একটা টপিকের উপর লেকচার দিচ্ছে যার কিছুই বোধগম্য হলো। হঠাৎ দেখলাম শুভ্র ভাইয়া ভিতরে আসছে। এই তো সুযোগ! মুহুর্তেই এমন ভাব নিলাম জানি পড়ে দুনিয়া উল্টিয়ে ফেলছি! শুভ্র ভাইয়া আমাদের দেখে সেখানেই দাঁড়িয়ে গেলো। সেখান থেকে চোখ সরিয়ে শান্ত ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে বললাম,
– আচ্ছা, এটা পড়ে কি লাভ!
.
.
শান্ত ভাইয়া ভ্রু কুঁচকে বলল,
– লাভ! লাভ আছে বলে মনে হয় না! তবে পাশ করতে হলে পড়তে হবে!
.
.
আমি খুশিতে গদগদ হয়ে বললাম,
– কি সুন্দর উত্তর দিয়েছো! তুমি আসলেই সত্যিবাদি! সবাই বলে লাভ আছে! লাভ আছে! তবে তুমি সত্যিটা তুলে ধরলে! আচ্ছা, নিউটন কি ছ্যাকা খেয়েছিলো নাকি যে গাছের নিচে বলেছিলো!
.
.
শান্ত ভাইয়া বিরক্ত হলেও মুখে প্রকাশ করছে না। মুখে জোরপূর্বক হাসি নিয়ে বলল,
– আসলে সে তো তোর মতো বুদ্ধিমান ছিলো না যে জানবে ছ্যাকা খেলেই গাছের নিচে বসতে হবে!
.
.
অন্য সময় হলে এটাকে অপমান হিসেবে নিলেও এখন এটাকে তারিফ হিসেবেই নিলাম। গদগদ কন্ঠে বললাম,
– তুমিই প্রথম যে কিনা আমার বুদ্ধির মূল্য বুঝেছো! মন তো চাচ্ছে তোমাকে জরিয়ে ধরি!
.
.
শুভ্র ভাইয়ার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে দেখলাম বাতির মতো জ্বলে জ্বলে লাল নীল হচ্ছে! শুভ্র ভাইয়ার থেকে শান্ত ভাইয়ার দিকে তাকাতেই শান্ত ভাইয়া বলল,
– থাক! লাগবে না!
.
.
একথা শুনে আমার খুশির মাত্রা দ্বিগুণ হয়ে গেলো! খুশির ঠ্যালায় বললাম,
– তুমি কতো ভালো! একটা মেয়ে জরিয়ে ধরতে চাইলেও তুমি মানা করছো। আসলে আমি পরীক্ষা করে দেখছিলাম কি বলো! তুমি উত্তীর্ণ হয়েছো! যেকোন মেয়ে বিনা দ্বিধায় তোমাকে বিয়ে করে নিবে!
.
.
এবার শান্ত ভাইয়ার মুখে হাসি ফুটলো,
– তাই নাকি!
– হুম, হুম!
.
.
আমার কথা হয়তো শুভ্র ভাইয়া ভাইয়ার পছন্দ হয় নি। তাই এগিয়ে এসে বলল,
– পড়া বাদ দিয়ে এসব হচ্ছে! আস, আমি তোকে পড়াই!
– কিন্তু….
.
.
শুভ্র ভাইয়া রাগী কন্ঠে বললো, আরেকটা কথা বললে স্কেল দিয়ে মারবো! চুপচাপ পড়!
.
.
চুপচাপ পড় বলে শুভ্র ভাইয়া একটানে ছয় ঘন্টা পড়ালো। খাওয়া দাওয়া সব বাদ। শেষে রাত একটায় ছাড় দিলো। পা ব্যথায় টনটন করছে। এদিকে দেখি শান্ত ভাইয়া খুশিতে লাফিয়ে লাফিয়ে যাচ্ছ। আইডিয়া!! হালকা জোরে বললাম,
– শান্ত ভাইয়া!
.
.
শুভ্র ভাইয়া আমার দিকে তাকালো। শান্ত ভাইয়া ভ্রু কুঁচকে বললো,
– বল!
.
.
করুণ কন্ঠে বললাম,
– পা ব্যথায় মরে যাচ্ছি। একটু টিপে দাও না!
– আমি! (শান্ত)
– দেখো জেন্টালম্যানরা অনেক কেয়ারিং হয়! আর কেয়ারিং কাউকেই মেয়েরা চায়!
.
.
শান্ত ভাইয়া একটু ভেবে বললো,
– আচ্ছা, দিচ্ছি!
.
.
শান্ত ভাইয়া কাছে আসতেই শুভ্র ভাইয়া বললো,
– তোমার কষ্ট করতে হবে না! আমার জন্য পা ব্যথা হয়েছে, আমিই ঠিক করছি!
.
.
ইয়াহু! শুভ্র ভাইয়া আমার পা টিপবে! বিশ্বাসই হচ্ছে না! মনে মনে জান বাজছে, উড়ি উড়ি যায়, উড়ি উড়ি যায়, দিল কি পাতাং দেখো উড়ি উড়ি যায়! কিন্তু শুভ্র ভাইয়াকে দেখে মনে হচ্ছে না তিনি খুশি! এভাবে পাও টিপছে যেন লোহাতে হাতুড়ি চালাচ্ছে! করুণ কন্ঠে বললাম,
– ভাইয়া, এটা আমার পা! মুরগীর লেগপিস না!
.
.
শুভ্র ভাইয়া ভ্রু কুঁচকে তাকাতেই বললাম,
– আপনার দ্বারা এসব সম্ভব না। রাখুন!
.
.
শুভ্র ভাইয়া ভ্রু কুঁচকে বলল,
– দোষটা আমার না, দোষটা তোর পায়ের!
.
.
অবাক হয়ে বললাম,
– আমার পায়ের!
.
.
শুভ্র ভাইয়া কষ্ঠভরা কন্ঠে বললো,
– হ্যাঁ, তোর পায়ের! আল্লাহ! কি শক্ত রে বাবা!
.
.
আমি চিৎকার করে বললাম,
– শান্ত ভাইয়া! শান্ত ভাইয়া!
.
.
শান্ত ভাইয়া আস্তে আস্তে ধীরে সুস্থে এসে বলল,
– কি হয়েছে! এতো রাতে এভাবে বাজখার গলায় চিলাচ্ছিস কেন! মানুষরা তো ভূতনীর কন্ঠ মনে করে ভয় পাবে!
.
.
আমার কন্ঠকে ভূতনীর কন্ঠ বলা! দাঁড়াও, দেখাচ্ছি মজা! রেগে বললাম,
– পাও টিপো!
– না, টিপবো না। ওই অফার স্বলপ সময়ের জন্য ছিলো, এখন শেষ! (শান্ত)
– একটু কাছে আসো তো!
.
.
শান্ত ভাইয়া ভ্রু কুচকে বললো,
– ক্লোজ আপের এড দিচ্ছিস নাকি!
– আসো না একটু!
.
.
একরাশ ভাবনা নিয়ে শান্ত ভাইয়া কাছে আসলো। কাছে আসতেই কানে ফিসফিস করে বললাম,
– আজ আমার গার্লফ্রেন্ডের বিয়ে গানটা গাওয়ার জন্য তৈরি থেকো!
.
.
শান্ত ভাইয়া আমার দিকে তাকাতেই ভ্রু নাচালাম। শান্ত ভাইয়া আর কিছু না ভেবে আমার পা টিপায় লেগে পড়লো! শান্ত ভাইয়ার এই রূপটা মোটেও সুবিধার মনে হচ্ছে না। অন্য কোন সময় হলে পা না টিপে, পা ভাঙ্গতো! আর আজকে এতো সহজে সব মেনে নিচ্ছে! কারণটা কি!! আর এদিকে শুভ্র ভাইয়ার রিয়েকশন দেখে মনে হচ্ছে তিনি পারলে এখন শান্ত ভাইয়াকে কাঁচা চিবিয়ে খাবে। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে ফোন কানে নিয়ে বলল,
– রিয়া, কালকে কি ফ্রি আছো!
.
.
শুভ্র ভাইয়া তাহলে কালকে ঝাড়ুর সাথে দেখা করবে! করুক, তাতে আমার কি! আমি তো ফুট ম্যাসাজ নিয়ে বিন্দাস আছি! শুভ্র ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে ম্যাসাজ ইনজয়ে লেগে পড়লাম।
.
.
রুমে এসে দেখি মেধার এত্তোগুলো কল! শুভ্র ভাইয়ার পড়ানোর কারণে মেয়েটাকে ঠিকমতো বিদায়ও জানাতে পারি নি! কল ব্যাক করতেই মেধা রিসিভ করলো। অভিমানী স্বরে বলল,
– এখন সময় হলো তোর কল ব্যাক করার!
.
.
করুণ কন্ঠে বললাম,
– আমার কি দোষ! শুভ্র ভাইয়া সেই যে পড়ানো শুরু করেছে এখন ছাড়লো!
.
.
মেধা অবাক হয়ে বলল,
– এতক্ষণ ধরে পড়িয়েছে!
– হুম!
.
.
উদাস কন্ঠে কথাটা বললাম। মানুষকে ফাঁসালে যে নিজে ফাঁসতে হয় তা একদম সত্যি! শুভ্র ভাইয়াকে #লাভ_টর্চার করতে গিয়ে নিজেই #টর্চার হয়ে গেলাম। কথাগুলো ভাবছি এমন সময় মেধা বললো,
– শান্ত ভাইয়া অনেক মেধাবী, তাই না!
.
.
আমি ভ্রু কুঁচকে বললাম,
– এতো বছরে আমি মেধার ছিঁটেফোঁটাও দেখলাম না, তুই বলিস মেধাবী!
.
.
কথাটা বলতেই মেধা বললো,
– না মানে, তোকে পড়াতে দেখেছিলাম। তো বিদায় নিয়ে তোর বাসার নিচে আসতেই দেখি শান্ত ভাইয়া দাঁড়িয়ে আছে। কথা না বললে কেমন জানি লাগে তাই বললাম যে, ভালোই তো পড়ান! এই টপিকে আমারও একটু সমস্যা! আপনি দেখি খুব সহজেই আরোহীকে বুঝিয়ে দিলেন। এই কথা বলতেই শান্ত ভাইয়া সেখানে দাঁড়িয়েই টপিকটা আমাকে বুঝানো শুরু করলো। সেই সাথে বাসা পর্যন্ত পৌঁছেও দিলো!
.
.
অবাক হয়ে বললাম,
– তাই নাকী!
– হুম (মেধা)
.
.
মেধার সাথে কথা বলা শেষ করে চিন্তায় পরে গেলাম! তাহলে তলে তলে এসব চলছে! পড়াও বুঝিয়েছে, আবার বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছেও দিয়েছে। ডাল ম্যাহ কুচ না কুচ কালা জারুর হ্যা! আরোহী, কাজে লেগে পড়! তোকে এই রহস্য উদঘাটন করতেই হবে।
.
.
Continue…………………

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে