রং বদল পর্ব-০৮

0
1478

#রং_বদল
#IH_Iman_Haque
#পর্ব_০৮

আচ্ছা আমি কি পড়বো বলো না,শাড়ি নাকি বোরকা?

আমি যেটা বলবো সেই পড়বে তো।

তুমি যেটা বলবে সেটাই পড়বো।কারন তুমি তো আমার স্বামী, তোমার সব কথা শুনা বা মেনে চলা কর্তব‍্য তাই যেটা পড়তে বলবে সেটাই পড়বো।

ঠিক আছে আমার হিসাবে তুমি একটা থ্রিপিজ পড়ে তার উপরে বোরকা পড়ো।কারন আমাদের নবী (সাঃ) বলেছেন প্রতিটা নারীর পর্দা করা ফরজ।আরো বলেছে নারী তোমার সৌন্দর্য শুধু তোমার স্বামী দেখবে,অন‍্য কেউ নয়।সেই জন‍্য প্রতিটা নারীকে এমন ভাবে চলতে হবে যাতে করে পরপুরুষ তাদের শরীরে একটুও অংশ দেখতে না পাড়ে।

চলুন সবাই আমাদের নবী (সাঃ) এর আদর্শ নিয়ে জীবন গড়ি তাহলে আমরা আখিরাতেও শান্তি পাবো।সব সময় সবাই এটা ভাববেন সৎ পথে পৃথিবীতে বাঁচা কঠিন হলেও আখিরাতে শান্তী পাবে।কথায় আছে না,

কষ্ট করলে,কিষ্ঠ মিলে তেমনি আখিরাতে শান্তী পেতে হলে দুনিয়াতে সৎ পথে চলতে হলে,নবী(সাঃ) এর আদর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।

এই তোমার কাপড় পড়া হয়েছি কি?

আমার তো হয়েছে,ছেলেদের বাহির হতে কি টাইম লাগে নাকি?যতো শত টাইম লাগে মেয়েদের আটা-ময়দা মাখতে।

ওই আমি কি আটা-ময়দা মাখি নাকি?

আটা-ময়দা যদি নাই মাখো তাহলে এভাবে কাপড় হাতে ধরে বসে আছো কেনো তাড়াতাড়ি পড়ে নেও,বলেই তো দিলাম কি কি পড়বে?

আমি ওই জন‍্য বসে আছি না,শুধু তোমার জন‍্য বসে আছি।

আমার জন‍্য কেনো বসে থাকবে তুমি,
.
কারন তুমি রুমের ভিতরে আছো তাই আমি কাপড় চেন্জ করতে পাড়ি নি।

আরে আমি রুমে আছি তো কি হয়েছে,আমার সামনে চেন্জ করলে কি সমস‍্যা বুঝতেছি না?

সমস‍্যা হচ্ছে আমি তোমার সামনে চেন্জ করতে পারবো না,লজ্জা করে।

বউ তোমার লজ্জা যে কবে শেষ হবে আল্লাহ্ ভালো জানে।(আগে সুস্হ তুমি তারপর বাসর টা করি আগে, দেখবো কেমন লজ্জা লাগে তোমার।)

তুমি বাহিরে একটু যাও না গো,আমি কাপড়টা পড়ে নেই।

আমি বাহিরে যেথে পারবো না,এই যে আমি বিছানায় শুয়ে পড়লাম আর যেথে পারবো না কোথাও ।চেন্জ করতে হলে আমার সামনে চেন্জ করো, না হলে আসো দুই জন দুইজনাকে জরিয়ে ধরে ঘুমাই কোথাও যেথে হবে না।

তুমি খুব খারাপ (কি এক মছিবতে পড়লাম আবার বাবা-মা নিতে আসছে আমাদের দাড়িয়ে দাড়ি এগুলো ভাবতেছি )

বউ তুমি এতো বোকা কেনো বলো তো।

আমি বোকা মোটেও না,

আমি বলবো আমার বউ একটা বোকা,যে কিনা কাপড় চেন্জ করার জায়গা পাচ্ছে না,আবার আমার সামনে চেন্জ করলে নাকি লজ্জা করে।

তো রুমে ছাড়া কই চেন্জ করবো।

কেনো বউ তুমি তো বাথরুমে গিয়েও চেন্জ করতে পারো,তুমি শুধু রুম নিয়েই পড়ে আছো?

ধন‍্যবাদ, তোমাকে আমি তো বাথরুমের কথা ভূলেই গেছিলাম।

আরে বউ আসতে যাও দৌড়াচ্ছো কেনো পড়ে যাবে তো।তুমি পড়ে গিয়ে অসুস্হ হলে আবার আমার জ্বালা হবে।

আমি পড়বো না,তুমি শুয়ে থাকো আমি পাঁচ মিনিট পড়ে আসতেছি চেন্জ করে।

ওকে আমি শুয়ে শুয়ে তোমার জন‍্য ওয়েট করি।জান্নাতুন যতক্ষন না বাথরুম থেকে আসতেছে আপনাদের সাথে কিছু কথা শেয়ার করি,
গল্পটা আমার হচ্ছে নারীদের পিরিয়ড বিষয়ে তাই এক আপু আমাকে পিরিয়ড বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলো যে ভাই রমজান মাসে পিরিয়ড হলে আমাদের কি করোনিও, আমি বলেছিলাম আজকের পার্টে ওই বিষয়ে তুলে ধরবো তাই মাসায়ালাটা দিয়ে দিলাম,

মহিলাদের পিরিয়ড হওয়াটা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার। আল্লাহ তায়ালা তাদের এভাবেই সৃষ্টি করেছেন। এতে তাদের কোনো দোষত্র“টি নেই। পিরিয়ড অবস্থায় নামাজ মাফ। আর রোজা পিরিয়ড অবস্থায় রাখা নিষেধ। এ রোজা না রাখায় তাদের কোনো গোনাহ নেই। তবে পরে তা কাজা করতে হয়। এজন্য রমজান মাসে পিরিয়ড হলে তা নিয়ে মনঃক্ষুণœ হওয়ার কোনো যুক্তি নেই। তবে কেউ যদি শুরু হওয়ার আগেই ওষুধ-বড়ি খেয়ে পিরিয়ড বন্ধ রেখে রোজা রাখেন তবে সে রোজা সহিহ হয়ে যাবে। ফলে তা আর পরে কাজা করতে হবে না। (শামী ১/৫০৮, আলমগীরি ১/৩৮, বাদায়ে ১/৩৯, ফাতহুল কাদির ১/১৪৫, আপকে মাসায়েল ৩/২০৭)।

এই তুমি একা একা কার সাথে কথা বলতেছো।

আরে তুমি আসছো,কখন আসলে চেন্জ করে ,!

এই তো একটু আগে,এখন বলো একা একা কার সাথে কথা বলতেছিলে,

আমি এতোক্ষন কথা বলতেছিলাম পাঠক বন্ধুদের সাথে।

পাঠকদের সাথে আবার কিসের কথা বলতেছিলে?

ও তুমি বুঝবে না,পাঠকদের রোজার মাসায়ালা দিলাম।

কি মাসায়ালা দিলে আমাকে একটু বলো?

তোমাকে পরে বলবোবববব,

তোমার আবার কি হলো, পরে বলবো বলে আমার দিকে এমন করে কি দেখতেছো?

চূপ করে এক ধেনে দেখতেছি।

কি হলো বলো আমাকে এমন ভাবে দেখতেছো কেনো,আমাকে কি দেখতে খারাপ লাগতেছে?

মোটেও খারাপ লাগতেছে না তোমাকে,অনেক সুন্দর লাগতেছে যে তোমার উপর থেকে আমি চোখ সরাতে পারতেছি না,।

তাই বুঝি।

হুম অনেক সুন্দর লাগতেছে।

ওনার এমন কথা শুনে লজ্জা শেষ আমি।

ওরে বাবা রে প্রংসা করলেও বুঝি মানুষ লজ্জা পায়।

তুমি এমন ভাবে বলতেছো লজ্জা পাওয়া ছাড়া আমার উপাই নাই।

আর লজ্জা পেতে হবে না,লজ্জাবতী বউ আমার এখন বোরকাটা পড়ে নেও তাড়াতাড়ি আমি চাই না আমার বউ এর সৌন্দর্য বাহিরের কেউ দেখুক।বউ এর সৌন্দর্য শুধু আমি দেখবো।

ঠিক আছে আমি বোরকাটা পড়তেছি।এই কথা বলে আমি বোরকাটা পড়তে শুরু করলাম।প্রায় পাচঁ মিনিট পরে বোরকাটা পড়া শেষ হলো।বোরকা পড়া শেষে আমি ওনাকে বলতেছি,

এই যে আমার পরানের স্বামী আমাকে বোরকা পড়ে কেমন লাগতেছে দেখো তো।

মাস্আল্লাহ্ অনেক সুন্দর লাগতেছে বোরকা পড়ে।

সত‍্যি,

হুম সত‍্যি,আচ্ছা তোমার পেট ব‍্যথা কমেছে?

হুম একটু একটু করে আছে পেট ব‍্যথা।

ও আর একটু ধর্য‍্য ধরো সব ঠিক হয়ে যাবে।

ওকে,তাহলে এখন বাহিরে চলুন বাবা-মার কাছে যাই।

এই দারাও তুমি আগে আমার কাছে আসো একটু কাজ আছে।

কেনো কি হয়েছে গো?

আরে আগে আমার কাছে আসো তো ,

হুম এই যে তোমার কাছে আসলাম,কি হয়েছে এবার বলো?

আমি জান্নাতুনকে কাছে ডেকে একটা চুমু দিলাম কপালে।

কি হলো কপালে চুমু দিলে কেনো?

নবী (সাঃ) এর সুন্নত পালন করলাম।বউ এর কপালে চুমু দিয়ে।

আলহামদুলিল্লাহ্ তোমাকে ধন‍্যবাদ নবী (সাঃ) এর সুন্নত পালন করার জন‍্য।

এবার চলো বাবা-মা আমাদের জন‍্য অপেক্ষা করতেছে।

হুম চলো তাহলে।তারপর আমরা দুই জনে রুম থেকে বাহির হয়ে নিচে নামলাম।নিচে এসে দেখি সবাই কি যেনো একটা বিষয় নিয়ে হাসাহাসি করতেছে?আমাদের দেখে ওনারা হাসা বন্ধ করে দিলো।সবার মাঝে দেখতেছি আমার ছোট বোন এশায় আছে।আমরা দুই জনে ওনাদের পাশে গিয়ে দাড়ালাম।

তোমরা আসছো।(আমার মা বলতেছে )

হুম মা।

বিয়াই সাহেব আপনাদের মেয়ে জামাই বাহির হয়েছে, এখন আপনারা ওদের নিয়ে যেথে পাড়েন।

ওকে তাহলে আমরা মেয়ে জামাইকে নিয়ে যাচ্ছি।

তারপর সবাইকে বিদাই দিয়ে শশুবাড়িতে যাও পাড়ি দিলাম।শুনেছি শশুর বাড়ি মধুর হাড়ি,দেখি কতো মধু আছে শশুর বাড়ি।

কথা আছে না,

টাকা না থাকলে নাকি,বউ জালনা দিয়ে পালায় সেই দষা হয়েছে আমার।অভাব কাকে বলে বুঝতেছি।আজকে সারাদিন ফোন চার্জে লাগিয়ে রেখে ছিলাম কিন্তু একটুও চার্জ হয় নি,পরে চেক করে দেখি চার্জার নষ্ট হয়ে গেছে।চার্জার কি দিয়ে যে কিন্তু বুঝতেছি না,ভাবতেছি আমার তো দুইডা কিটনী আছে একটা বিক্রি করে দিবো ভাই আপনারা যদি আমার অচল কিটনী নিতে চান আমার সাথে যোগাযোগ করিয়েন,কিটনী বেচে ফোনের চার্জার কিন্তে হবে।অভাবে সভাব নষ্ট।

(চলবে)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে