বর্ষন ছোঁয়ায় মিষ্টি রোদ পর্ব-০৯+১০

0
1090

#বর্ষন_ছোঁয়ায়_মিষ্টি_রোদ💖
#লেখিকা-লামিয়া রহমান মেঘলা
পর্ব-০৯
–আচ্ছা আমার মা চল যাচ্ছি আমি কেন তোর সাথে ঝগড়ায় পারি না বলত।
–কারন তুমি মিথ্যা ঝামেলা করো (দাঁত বের করে ছোঁয়া)
–দিবো এক চড়।
–আম্মু জাবা কি।
–আচ্ছা চল নে চল
নয়লা বেগম মেয়ের সাথে বের হলেন।
বাগান টা প্রধানত ছোঁয়ার শখে বানানো হয়েছে
ছোঁয়া সত্যি ভিশন খুশি হয় বাগানে গাছ লাগিয়ে।
তাই বাবাও কখনো বারন করে নি।।
–বাহ অনেক সুন্দর ফুল ফুটেছে ছোঁয়া।
–হ্যাঁ মা দেখো সুন্দর ত বটেই।
ছোঁয়া আর নয়লা বেগম হাঁটছিল হটাৎ গাড়ির শব্দ শুনে নয়লা বেগম পেছনে তাকালো,
–ওই দেখ বর্ষন এসে গেছে।
–কিন্তু মা বৃষ্টি কিন্তু হচ্ছে।
–ত আমি বলেছিলাম না।
–আচ্ছা চলো
ছোঁয়া ভেরতে গিয়ে হাত পা ধুয়ে নেয়।
বৃষ্টির কারনে ভিশন ঝামেলা হয়েছে হাঁটতে।
ছোঁয়া রুমে আসতে ছোঁয়ার চোখ আঁটকে যায়।
ছোঁয়ার টেবিল টা জানালার কাছে।
জানালায় গ্লাস দেওয়া।
জানালাটা একটু বড়ো।
ঝির ঝির বৃষ্টি হচ্ছে।
জানালা টা ঘোলা।
আর এদিকে কালো টিশার্ট পরে জালানার দিকে মুখ করে ছোঁয়ার রাজ্যের সেই কল্পনার ছেলেটা বসে আছে।
হাতে তার একটা কালো বেল্ট এর ঘড়ি।
চুল গুলো উপরে একটা টুপি।
ছেলেটাকে টুপিতে বেশ ভালো লাগে।
এতো ভালো কেন লাগে তারে বুঝে উঠতে পারে না ছোঁয়া
বর্ষন পাশে তাকিয়ে ছিল।
হটাৎ করে ছোঁয়ার দিকে তাকাতে দেখতে পায় ছোঁয়া তারি দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
বর্ষন মুচকি হাসে,
–ছোঁয়া রানি আমায় দেখা হলে এখন চুপচাপ পড়তে বসো।
বর্ষন এর কথায় ছোঁয়ার ধ্যান ফিরে,
ছোঁয়া বেশ লজ্জা পায়।
মাথা নিচু করে পড়তে বসে।
–তোমার বাচ্চামি সভাব যাবে না তাই না।
–আমি বাচ্চামির কি করলাম
–এই যে আম্মুকে নিয়ে বৃষ্টির মাঝে বাগানে গেছো ঘুরতে।
–হ্যাঁ একটু ইচ্ছে হচ্ছিল।
–শাড়িতে কেন এতো সুন্দর দেখায় তোমায়।
–প্রেমিকের চোখে প্রেমিকাকে সব সময় সুন্দর দেখায়।
–আচ্ছা আমি ত ভুলেই গেছিলাম।
–হুম পড়তে বসি।
–হুম বের করো পড়া।
–একটা কথা বলব।
–হুম বলো।
–থাক কিছু না।
বর্ষন ভ্রু কুঁচকে তাকায়।
–আরে পড়ান।।
বর্ষন পড়ায় মন দেয়।
,
,
,
–মিষ্টি,
–হুম৷। –
–বাইরে কি সুন্দর বৃষ্টি হচ্ছে না?
–হুম আমার বৃষ্টি ভালো লাগে ভিশন।
–আমারো সত্যি ভিশন ভালো লাগে।
–চলো বের হও তোমায় দেখবো
–দেখবো মানে!
–দেখবো মানে দেখবো আসো।
–আরে না এখন কি করে কি ভাইয়া।
–প্রথমত ভাইয়া বলা বন্ধ করো।
–কেন?
–উফ মিষ্টি তুমি বের হও।
–আরে বৃষ্টি একে।
–ছাতা নেই?
–আছে বাট।
–বাট নাই এসো।
মিষ্টি রেইন কোর্ট পরে ছাতা নিয়ে বাসা থেকে বের হয়।
–বের হইছো?
–হুম।।
–এগোতে থাকো।
–আচ্ছা।
মিষ্টি হাঁটতে থাকে।
–কতো দুর।
–আর একটু৷।
আরেকটু সামনে গিয়ে মিষ্টি রোদ কে পায়।
–কোথায় যাবো।
রোদ মিষ্টির চোখ বেঁধে দেয়,
–এসো।
–আরে।।
–কোন কথা নাই চলো।
মিষ্টি রোদের সাথে হেঁটে চলছে,
কিছু সময় পর মিষ্টির চোখ খুলে দেয় বর্ষন।
সামনে কিছু চুড়ি যা দিয়ে আই লাভ উ লিখা।
মিষ্টি অবাক হয়ে রোদের দিকে তাকায়।
রোদ হেসে বলে,
–ভালোবাসি মিষ্টি । –
–কিন্তু আমাদের দেখা ত মাত্র হলো কিছু দিন।
–হ্যাঁ কিন্তু তাও ভালোবাসি।
প্রথম দিন থেকে।
–এতো জলদি ভালোবাসদ হয় বুঝি।
–হুম হয়।।
–কিন্তু আমি এখন জানাবো না।
–তাহলে!
–চুড়ি গুলো পরিয়ে দিন।
–ওকে,
রোদ মিষ্টিকে চুড়ি গুলো পরিয়ে দেয়।
মিষ্টি এবার বলে,
–আমি বাসায় যাচ্ছি ভেবে বলব।
মুচকি হেসে সেখান থেকে চলে আসে।
আর রোদ সেখানে দাঁড়িয়ে রয়,
–ওর মনে কি চলছে আল্লাহ ই জানে।
,
,
এদিকে,
–ছোঁয়া। (নয়লা বেগম)
–হ্যাঁ মা.
–শুন আমি একটু বাইরে যাচ্ছি।
বর্ষন বাবা যাবার সময় দরজা দিয়ে জাস।
–আচ্ছা আম্মু তুমি কই যাবা আমি নিয়ে যাবো এই বৃষ্টিতে।
–না আর্জেন্ট আসি ছোঁয়া দেরি হতে পারে।
বর্ষন পারলে থেকে জাস আজ।
বলতে বলতে নয়লা বেগম চলে যায়।
ছোঁয়া বসে রয়।
হটাৎ কি হলো
বর্ষন পড়ানো শেষ করে একটু ওয়াসরুমে যায়।
আর ছোঁয়া জানালার কাছে দাঁড়ায়।
আবহাওয়া টা ছোঁয়ার ভিশন পছন্দ।
সত্যি ভিশন সুন্দর লাগে যখন এই বৃষ্টি হয়।
আর এমন ছায়া ঘেরা পরিবেশ থাকে আর মিষ্টি বাতাস বয়।
হটাৎ কারোর ঠান্ডা দু’টো হাত ছোঁয়া কোমড়ে পায়।
ছোঁয়া চোখ বন্ধ করে নেয় কারন এই ঘ্রাণ টা তার ভিশন পছন্দ।
চর ছোঁয়া জানে এটা কে।
–বাসায় যাওয়া লাগবে না।
–হুম কিন্তু এভাবে থাকতে ভালো লাগে।
–এখন সময় না ছাড়ুন।
বর্ষন বুঝতে পারে ছোয়ার কথা।
বর্ষন ছোঁয়াকে ছেড়ে দেয়,
–সময় আমারো আসবে ছোঁয়া।।
–হুম জানি।
–কি জানো?
–জানি যে সময় আসবে আপমার ও।
–হুম আম্মু না আসা পর্যন্ত থাকব এখানে?
–না আব্বু চলে আসবে হয়ত।
কিন্তু আপনি বসুন কফি বানিয়ে আনি।
ছোঁয়া বর্ষন কে রেখে কফি বানাতে যায়।
বৃষ্টি থেমে যায় ছোঁয়া হাসি মুখে কফি হাতে ভেরতে আসে,
–নিন।
–তুমি কফি বানাতে পারো?
–হুম পারি।
–কবে থেকে।
–অনেক আগে থেকে।
বৃষ্টি থেমে গেছে।
সামনে ছয়া ঘেরা পরিবেশ।
ঠান্ডা বাতাস।
বেলকনিতে দাড়িয়ে ছোঁয়া আর বর্ষন।
বর্ষনের ঘাড়ের উপর ছোঁয়ার মাথা।
কি মধুর পরিবেশ।
সময় থমকে জাক না এখানে।
এখানপ শেষ হোক না গল্প।
–ছোঁয়া । —
–হুম।
–আমাদের না ১০ টা বাচ্চা হবো।
–কি!
–হুম।
–১০ টা বাচ্চা দিয়া কি করবেন আপনি?
–কিছুই না ফুটবল টিম বানাবো।
–হ হয়ে গেল।
–কি সত্যি বলছি (চোখ মেরে)
আচ্ছা আমায় যেতে হবে।
–আরেকটু।
–না ছোঁয়া আর না আম্মু আর আঙ্কেল যদি রাতে না আসে তবে বইলো নিয়ে যাবো।
–ওকে।
ছোয়ার মন খারাপ হয়ে যায়।
ছোঁয়া চুপচাপ বর্ষন কে বিদায় দিয়ে বিছনায় গা এলিয়ে দেয়।
বর্ষনের ইচ্ছে হচ্ছে না ছোঁয়াকে রেখে যেতে কিন্তু কি করবে কোন উপায় নেই যে।
চাইলেও পারবে না তার একাকিত্ব দুর করতে।
,
,
চলবে,

#বর্ষন_ছোঁয়ায়_মিষ্টি_রোদ💖
#লেখিকা-লামিয়া রহমান মেঘলা
পর্ব-১০
বর্ষনের জাবার পর ছোঁয়া চোখ বন্ধ করে শুয়ে পরে।
ক্লান্ত লাগছে ভিশন৷।
হটাৎ মায়ের কথা মনে হওয়ায় চিন্তা হতে লাগলো ছোঁয়ার।
হটাৎ করে এই বৃষ্টির মাঝে ছোঁয়াকে একা রেখে গেল।
কখনো এমন করে না নয়লা বেগম
ছোয়া ফোন বের করে মাকে ফোন করলো,
রিং হয়ে কেটে গেল নয়লা বেগম ফোন ধরলো না৷
ছোঁয়া চিন্তায় পরে গেল
এদিকে কিছু রান্না করা নেই।
রাত ৮ টা।
ছোঁয়া দের বাসা টা একটু গলির মাঝে গিয়ে।
আশেপাশের বাড়ি গুলোর সাথে তাদের তেমন কোন সম্পর্ক নেই।
রাতের আঁধারে ভয় যেন খুব বেশি গ্রাস করছে ছোঁয়াকে।
বাইরে তুমুল বৃষ্টি,
এর মাঝে মাকে অনেক বার ফোন দেওয়া হলো এক বারও ধরলো না।
–আল্লাহ শেষ বার না ধরলে এবার বসে থাকবো হাত গুটিয়ে।
ছোঁয়া আবার ফোন লাগায়,
এবার নয়লা বেগম ফোন ধরে,
–হ্যাঁলো মা কই তুমি।
–ছোঁয়া মা আমি আসলে তোর বাবার একটা একসিডেন্ট এর কথা শুনে এসেছি।
–মা কি বলছো এগুলা।
–হ্যাঁ মা তোকে বলি নি তুই কাঁদবি তাই।
চিন্তা করিস না তোর বাবা এখন ঠিক আছে কিন্তু আমি ত আসতে পারছি না আজ রাতে।
বর্ষন আর মিষ্টি কে বলেছি ওরা দু’জন আসছে তুমি রান্না করে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ো ওদের নিয়ে।
–কিন্তু মা ভয় হচ্ছে ভিশন।
–আমার লক্ষি মা এমন ভশ পেও না। আমি কালকেই চলে আসবো।
নেট সমস্যার জন্য ফোনটা কেটে যায়।
ছোঁয়ার চোখে পানি।
–বাবার কি হলো মা কিছুই বলে মা আমায়।
এরি মাঝে হটাৎ বিদ্যুৎ চলে গেল।
–আল্লাহ এগুলা কি এবার কি হবে।
বিদ্যুৎ কখনো যায় না এখনে তাই ছোঁয়া দের বাসায় কোন আলাদা আলোর ব্যাবস্থা নেই পুরাই অন্ধকারে।
ছোঁয়ার হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে।
ছোঁয়া জলদি ফোন হাতে বর্ষন কে কল করে,
–হ্যালো।
–বর্ষন।। —
–হ্যাঁ ছোঁয়া কি হয়েছে কাপছো কেন?,
–বর্ষন কোথায় জলদি আসো।
–এই ত আর কিছুটা রাস্তা তুমি চিন্তা করো না ছোঁয়া।
–জলদি এসো অনেক অন্ধকার।
ছোঁয়ার গলা আঁটকে আসছে।
বর্ষন দ্রুত গাড়ি চালায়।
–ছোঁয়া ভয় পাচ্ছে না?(মিষ্টি)
–হ্যাঁ চারিদিকে দেখো বিদ্যুৎ নেই।
এই শহরে বিদ্যুৎ যায় না আজ এতো বাজে ভাবে বৃষ্টি হচ্ছে আর বাতাস বইছে যে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া লাগছে।
বর্ষন এক প্রকার প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে পৌঁছালো ছোঁয়ার বাসায়।
এদিকে,
ছোঁয়া ভয়ে এক কোনে বসে আছে বাসার।
হটাৎ কলিংবেল এর শব্দ পেয়ে ছোঁয়া প্রান ফিরে পায়।
দৌড়ে আসে দরজার কাছে।
দরজা খুলতে বর্ষব কে পেয়ে জড়িয়ে ধরে ছোঁয়া।
আর কাঁদতে থাকে,
–কাঁদছো কেন চলে এসেছি ত।
ছোঁয়া ভয়ে একপ্রকার কাঁপছে।
বর্ষন বুঝতে পারে মেয়েটা ভিশন ভয়ে ছিল।

–আরে বাবা কেঁদো না।
বর্ষন কোন মতে ছোঁয়াকে সামলে ঘরে নিয়ে আসে।
মিষ্টি ঘরে মোমবাতি জ্বালায়।
–দেখ ছোঁয়া আলো হয়ে গেছে ঘর এবার থামো।
ছোঁয়াকে শক্ত করে ধরে রেখেছে বর্ষন।
কিছু সময় পর ছোঁয়া শান্ত হয়।
–ছোঁয়া পানি খা
মিষ্টি ছোঁয়াকে পানি খাইয়ে দেয়।
–রান্না কি কিছু হয়েছে।
–নারে।
–চল রান্না করি। খুদা লাগছে।
মিষ্টি ছোয়াকে স্বাভাবিক করার জন্য কথাটা বলল।
–হ্যাঁ ছোঁয়া চলো আজ রান্না করবো সবাই মিলে (বর্ষন)
ছোঁয়া হাত মুখ ধুয়ে আসে,
–চলো।
–কি রান্না করা যায় (বর্ষন)
–খিচুড়ি করলে কেমন হয় (মিষ্টি)
–মন্দ হয় না কিন্তু আমার না বাবার কথা মনে পরছে৷
–আরে ছোঁয়া আঙ্কেল ঠিক আছে আসলে কেউ হটাৎ আম্মুকে ভুল ইনফরমেশন দিয়েছিল।
আঙ্কেল এর সাথে কাজ করে যে তার এক্সিডেন্ট হয়েছে।
এখন আঙ্কেল যেখানে থাকে সেখান থেকে ত উনি আসেন না এমনিতেও তেমন একটা।
তার উপরে বৃষ্টি এর জন্য আম্মু আজ ওখানে থেকে গেছে।
তুমি আঙ্কেল এর সাথে কথা বলো

বর্ষন ছোঁয়াকে ফোন ধরিয়ে দেয়,
–আসসালামু আলাইকুম আব্বু।
–ওয়া আলাইলুম সালাম আম্মু তুমি চিন্তা করছো কেন আমি ঠিক আছি ত।
–আব্বু আম্মু যে বলল,
–তোমার মাকে কি বলব ভুল ভাল শুনে সবাইকে ভয় পাইয়ে দেয়।
–তুমি কাল বাসায় আসবা৷
–হ্যাঁ মা আমি কালকেই বাসায় আসবো তুমি লক্ষি মেয়ে হয়ে থাকো।
বাবার সাথে কথা বলে ছোঁয়ার ভালো লাগছে।
বর্ষন মিষ্টি আর ছোঁয়া মিলে খিচুড়ি আর বেগুন ভাজি রান্না করে ফেলে।
–বাহ আমরা রান্না ও পারি জানতাম না ত (মিষ্টি)
,–হ্যাঁ শ্বশুর বাড়ির কাজটা আগে থেকে শুরু করলি (ছোঁয়া)
–এহ আমার শ্বশুর বাড়ি আমার বর রান্না করবে
–ও তাহলে ত ভালো আমারও বর রান্না করবে তাই না (বর্ষনের দিকে তাকিয়ে)
–বউ পেলে এতো সুন্দর রান্না করতে ক্ষতি নেই (বর্ষন)
–বাহ চোখে চোখে প্রেম দেখেছি এখন দেখি মুখে মুখেও শুরু হয়ে গেছে (মিষ্টি)
–তুই এতো পাজি কেন মিষ্টি (ছোঁয়া)
–ও মা খাবার খেতে আয়।
তিন জনে খাবার শেষ করে নেয়।
ছোঁয়া দের বাসায় ছোঁয়ার একটা রুম ছোঁয়ার মা বাবার একটা রুম আর অন্য বাড়তি আছে দুইটা রুম।
বর্ষন গিয়ে ছোঁয়ার পাশের রুমে শুয়ে পরে।
আর মিষ্টি আর ছোঁয়া এক রুমে থাকে।
মিষ্টি ওয়াসরুম থেকে এসে শুয়ে পরে
মিষ্টির ফোন হটাৎ বেজে ওঠে,
–মিষ্টি।
–হুম।
–কার ফোন রে? (ভ্রু কুঁচকে)
–রোদের।
–রোদ ভাইয়ার।। (অবাক হয়ে)
–হুম ধরে কথা বলতে দে।
–ওরে আল্লাহ কি কয় কি মাইয়া।
–বর্ষন ভাইয়া ডাকে।
–কই।
–শুন।।
ছোঁয়া খেয়াল করে শুনে দেখে বর্ষন সত্যি ডাকছে।
ছোঁয়া শোয়া থেকে উঠে বাইরে চলে আসে,
–হ্যালো আসসালামু আলাইকুম।
–ওয়া আলাইকুম সালাম।
মিসেস.রোদ কি খবর।। –
–এখনো ত হয়ে পারি নি মিসেস রোদ।
–হয়ে যেতে আর বোধহয় দেরি নেই।
–মুহুম আছে অনেকটা দেরি।। —
–মোটেই না।
আমার উত্তর কই।
–আপনার উত্তর ত এখন পাবেন না।
–কেন এখন পাবো না।। –
–এমনি মিষ্টির ইচ্ছে আপনি অপেক্ষা করুন মিস্টার রোদ।
–এটা কেমন কথা মিসেস রোদ।
–সহজ বাংলা মিস্টার রোদ।
তাদের খুনসুটি ভালোবাসা যেন সত্যি এক মধুর সম্পর্ক।
,
,
,
এদিকে,
–কি হয়েছে বর্ষন।। –
–গুড নাইট কোথায়?
–পাচ্ছেন না?
–পেলে কি আর ডাকতাম।
–আলমারি তে আছে দিচ্ছি ওয়েট।
ছোঁয়া গিয়ে গুড নাইট এনে দেয় বর্ষন কে।
বর্ষন ছোঁয়ার হাত ধরে বর্ষন এর কোলে বসায়।
–কি হয়েছে।
–এখনো কিছু হয় নি ভবিষ্যৎ এ ১০ টা বাবু হবে।
ছোঁয়া বর্ষন এর দিকে তাকায়,
–মোটেই না।
–মোটেই হ্যাঁ মিসেস.বর্ষন।
ছোঁয়ার ঘাড়ে নাক ডুবায় বর্ষন।।
ছোঁয়ার ভেতর শীতল হাওয়া বয়ে চলে
–কি
–হুস আমার ভালো লাগছে এই ঘ্রাণ টা তুই এতো মিষ্টি কেন?
ছোঁয়ার কথা আঁটকে আসছে।
বর্ষন এর কাজে।। কিছুই বলতে পারছে না বর্ষন কে।
বর্ষন ছোঁয়ার ঘাড়ে একটা ছোট্ট কামড় বসিয়ে দেয়,
–আউ।
কি করছেন।
ছোঁয়া সরে আসতে চাইলে বর্ষন ওকে আরও পেঁচিয়ে ধরে।
–ছোঁয়া।। –
–হুম।
বর্ষন কিছু সময় চুপচাপ থেকে ছোঁয়াকে ছেড়ে দেয়,
–ঘুমিয়ে পরো যাউ।।
ছোঁয়া দৌড়ে বাইরে চলে আসে।
চলবে,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে