প্রেম পর্ব-১৮

0
1235

#প্রেম
#পর্বঃ১৮
#Tanisha Sultana

কৃশ মিষ্টিকে নিয়ে একটা পার্কে এসেছে। কৃশ মিষ্টি পাশাপাশি বসে আছে। কৃশ মিষ্টিকে অনেক কথা বলছে মিষ্টি শুধু শুনছে।

“তুমি কিছু বলছো না কেনো?

” কি বলবো?

“কিছু বলার নেই

” নাহহ

“জীমকে খুব ভালোবাসো

মিষ্টি আড়চোখে একবার মিষ্টির দিকে তাকায়

” হুম

“কতোটা

” ভালোবাসা পরিমাপ করা যায় না। তবে উদাহরণ দেওয়া যায়।

“বাহহ।

” হুম

“জীমকে ছাড়লে কেনো?

” বাবার জন্য

“ওহহহ

হঠাৎ মিষ্টি দেখে দুরে জীম বাইকে বসে আইসক্রিম খাচ্ছে সাথে ওই মেয়েটা। মিষ্টি উঠে বসে

” আমি এখানে থাকবো না

“কিন্তু কেনো?

” ভালো লাগছে না

মিষ্টি চলে যায়। কৃশও মিষ্টির পেছনে চলে যায়।

এভাবেই পাঁচ মাস চলে যায়। এই পাঁচ মাসে মিষ্টি একবারও জীমকে দেখে নি। জীমও গান নিয়ে ব্যস্ত। আজ মিষ্টির ভার্সিটির প্রথম দিন। এই পাঁচ মাসে জীম গান গেয়ে অনেক বড় হয়েছে সবাই এক নামে চেনে জীমকে।

রাত বারোটা। জীম মিষ্টির রুমের দিকে তাকিয়ে সিগারেট খাচ্ছে। আর সিগারেট বাজাচ্ছে। মিষ্টির দেওয়া সেই গিটারটা। তখন অননং নাম্বার থেকে ফোন আসে। এই পাঁচ মাসে মাঝেমধ্যেই এরকম কল আসে। কিন্তু ওপাশ থেকে কেউ কথা বলে না। জীম জানে মিষ্টি ফোন দিয়েছে

“কে আপনি?

“কথা বলেন না কেন?

“ভালো তো বাসেন না তাহলে লুকিয়ে কল কেনো দেন? আমার ভয়েজ শুনতে?

“ঠিক আছে কথা বলতে হবে না। গান শুনবেন?

” হুম

“বাহহ আপনি কথা বলতে পারেন? আমি তো ভাবছিলাম বোবা

ওপাশ থেকে মিষ্টি নিশ্বব্দে হাসে যেটা জীম বুঝতে পারে। ফোনটা সাইডে রেখে জীম গিটার হাতে নেয়

” গল্প গুলো সব মিথ্যা ছিলো বুঝতে পারি নি আমি
মিথ্যা স্বপ্ন দেখিয়ে কোথায় হারালে ওরে ছলনাময়ী

“বুকে জরিয়ে কেঁদে বলেছিলে আমায় ছেড়ে যেও না
কোথায় গেলো তোমার মিথ্যা কান্না এখন কি মনে পরে না

” এ কেমন ভালোবাসায় তুমি জরালে ভুলিতে পারি না তোমাকে
“তোমার আমায় মনে আর কি পরে না
কি করে ভুলে গেলে আমাকে

জীমের গান শুনে মিষ্টির চোখ থেকে দুফোটা পানি পরে।
জীম গিটার রেখে ফোনটা কানে নিয়ে বলে

“শুনুন আমি জানি আপনি আমার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন বাট চান্স নেই আমি বিবাহিত

জীম ফোন কেটে দেয়। মিষ্টি একটু হেসে ফোন রেখে দেয়।

ভার্সিটির গেটে দাঁড়িয়ে আছে মিষ্টি। তিথি আসবে বলে। তিথি আসে। আজ প্রথম দিন তাই ক্লাস হবে না। সিনিয়র ছেলেমেয়েরা ওদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেবে। ক্লাস রুমের এক পাশে বসে আছে মিষ্টি আর তিথি। সবার হাতে একটা ফুল দিচ্ছে। যাকে দিচ্ছে সে বেরিয়ে যাচ্ছে।

সমনে প্রচুর ভির তাই দেখা যাচ্ছে না কারা ফুল দিচ্ছে। মিষ্টি নিচের দিকে তাকিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। হাত বাড়িয়ে ফুল নিতে চমকে ওঠে সামনে থাকা মানুষটাকে দেখে। সামনে জীম দাঁড়িয়ে আছে। মিষ্টির দিকে ফুল এগিয়ে দিয়ে। মিষ্টি মাথা নিচু করে ফুলটা ধরে। জীম মিষ্টির হাত ধরে। মিষ্টি চমকে ওঠে

” হাত ধরছেন কোনে

জীম ফট করে হাত ছেড়ে দিয়ে চলে যায়।

ফাঁকা একটা রুমে মিষ্টির গিটারটা নিয়ে বসে আছে জীম। পাঁচমাস পরে মিষ্টির মুখটা দেখলো। এই মায়া ভরা মুখটা দেখার জন্য জীম যে কতো ছটফট করেছে সে শুধু জীমই জানে।

তিথি মিষ্টিকে নিয়ে জীমের রুমে আসে

“তিথি তুই আমাকে এখানে আনলে কেন

” আমার জীমের সাথে কথা আছে

“তো তুই বল না আমি কি করবো?

” একটু দারা প্লিজ

তিথি জীমের পাশে মিষ্টি জীমের সামনে বসেছে। জীমের নজর মিষ্টির দিকে। তিথি তো কথা বলায় বিজি।

“তিথি এই মেয়েটাকে তো চিনলাম না

জীমের কথায় মিষ্টি তিথি দুজনই চোখ বড়বড় করে জীমের দিকে তাকায়

” কি এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো?

“আপনি ওকে চিনেন না

” না তো

“ও মিষ্টি আমার বেস্ট ফ্রেন্ড

” ওহহহ

“তিথি তুমি যখন আমার সাথে কথা বলতে আসবে তখন অন্য কাউকে নিয়ে আসবে না

জীমের কথায় মিষ্টির কান্না পাচ্ছে। তবুও দাঁতে দাঁত চেপে কান্না আটকে রেখেছে

” ঠিক আছে

মিষ্টি দৌড়ে চলে যায়

“আপনি এভাবে বললেন কেনো?

” ওর বোঝা উচিৎ আমার কেমন লেগেছে

“তারপর খুব কষ্ট পেয়েছে ও

” আই ডোন্ট কেয়ার

মিষ্টি দৌড়ে ভার্সিটির গেটের কাছে চলে আসে কৃশ দাঁড়িয়ে আছে

“মিষ্টি কি হয়েছে

” কিছু না

“মিথ্যে বলছো

” সত্যি কিছু হয় নি।

“তাহলে এভাবে দৌড়াচ্ছো কেনো

” এমনি

“মিষ্টি লুকাচ্ছো কেনো?

” বাসায় যাবো

“কিন্তু

চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে