প্রণয় প্রহেলিকা পর্ব-১০

0
912

#প্রণয়_প্রহেলিকা (কপি করা নিষিদ্ধ)
#১০ম_পর্ব

এর মাঝে ঘটলো আরেক বিপদ। বরের পেট খারাপ, সে শুধু বাথরুমে যাচ্ছে আর আসছে। হলুদ লাগাবার জন্য ও বসতে পারছে না। যেই একটু এসে বসছে অমনি পেট গুরগুর করছে আর ছুটতে হচ্ছে তাকে। প্লাবণের এমন অবস্থায় ধারাকে দেখা গেলো মিটিমিটি হাসতে। অনলের চোখ ব্যাপারটা এড়ালো না। তখন সে ধারার কানে মুখ ঠেকিয়ে বললো,
“কাজটা তোর তাই না?”

হঠাৎ করে উষ্ণ ঠোঁটের স্পর্শ পেতেই চমকে উঠলো ধারা। স্বয়ংক্রিয়ভাবে হাত চলে গেলো কানের কাছে। অনলের দিকে তাকাতেই আরেকদফা চমকালো, চোখদ্বয় ছোট ছোট করে তার দিকে কিটমিট করে তাকিয়ে আছে লোকটি। খানিকটা গলা খাঁকারি দিয়ে আত্মবিশ্বাসের সাথে উত্তর দিলো,
“প্রমাণ আছে যে এটা আমার কাজ? যত দোষ নন্দ ঘোষ। যাও যাও! নিজের বন্ধুকে দেখো গে”

বলেই নজর সরিয়ে নিলো। অনল এখনো সূচালো নজরে ধারার দিকে তাকিয়ে আছে। ধারা সামনের দিকে তাকালো, সেখানে বেশ চমৎকার ভাবে লেখা “প্লাবণের গায়ে হলুদ”। লেখাটি দেখে তার ঠোঁটের কোনায় জমে থাকা হাসিটি বিস্তারিত হলো। হ্যা, কাজটি ধারার। একে বলে “ঠান্ডা মাথার প্রতিশোধ”। অবশ্য এর সম্পূর্ণ কৃতিত্ব জমজ বি’চ্ছুদের। এইসব অদ্ভুত শ’য়’তা’নি বুদ্ধি সরল ধারার মাথা থেকে কখনোই বের হয় না। এই তো গত পরশু রাতের কথা, খাবার পর ধারা তার পুরানো ঘরে যায়। এখন এটা তার ঘর নয়, এখন এটা দ’স্যুদ্বয়ের আস্তানা। ধারাকে দেখতেই ওরা ফট করে সোজা হয়ে বসে। এশা আশাকে কনুই দিয়ে গু’তো দিয়ে বলে,
“ধারাপু এখানে মানে তুই কিছু করছিস?”

আশা চোখ উপরে তুলে মিনিট দুয়েক ভাবে। তারপর বলে,
“আজ কিছু করি না, তবে গতকাল ওর একটা ওড়ণা দিয়ে চা মুছছিলাম। তবে আমি প্রমাণ রাখি নি”
“তাইলে মহিলা আসছে কেন?”
“জিজ্ঞেস কর তুই”

আশাকে চোখ রাঙ্গিয়ে বিনয়ী স্বরে এশা প্রশ্ন করে,
“ধারাপু, কিছু বলবা?”

ধারা ধপ করে বিছানায় বসে। কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে। ফলে জমজদের বুকে ভয় জমে। তারা দুজন দোয়া পড়ে বুকে ফু দেয়। অনল এবং ধারাকে অত্যন্ত ভয় পায় তারা। কেনো পায় নিজেরাও জানে না। যদিও ধারা তাদের অনেক আদর করে কিন্তু শাসন করার সময় পিছপা হয় না। এশা যখন আবার জিজ্ঞেস করে,
“কিছু লাগবে তোমার?”
“আচ্ছা ধর, কারোর উপর শোধ তুলতে চাস কি করবি?”

এশা সন্দীহান চোখে তাকায় ধারার দিকে। তারপর জিজ্ঞেস করে,
“শোধটা কি তুমি নিবা?”
“আরে না, আমার বান্ধবী! বল না”
“অনেক উপায় আছে, তুমি কোনটা নিতে চাও? ইজি, মিডিয়াম নাকি হার্ড?”

বেশ ভাব নিয়ে গা এলিয়ে দিয়ে এশা বলে। এশার কথা শুনে মাথা ঘুরে ওঠার জোগাড় ধারার। অবাক কন্ঠে বলে,
“ক্যাটাগরিও আছে?”
“অবশ্যই আছে, এই ধরো যদি পরিবার বা আত্নীয় বা শিক্ষকদের উপর কোনো শোধ তুলতে হয় আমরা ইজি ওয়েতে যাই। পাশের বাড়ির আন্টি বা পাড়ার ব’দ’মা’ই’শ’দের শায়েস্তার জন্য মিডিয়াম। আর হার্ডটা এখনো এপ্লাই করি নি। এতোটা ক্ষোভ হয় নি কখনো”
“থাক থাক, ইজি, ইজি ই যথেষ্ট”

ধারার কথা শুনে এশা দাঁত বের করে হাসে। তারপর আশাকে বলে,
“ফর্মুলা নম্বর ২০৩ টা দে তো”

আশাও মাথা দুলিয়ে টেবিলের ডেস্কের ভেতর থেকে একটা ছোট কৌটা বের করে এশার হাতে দেয়। এশা কৌটাটা ধারার হাতে দিয়ে বলে,
“এটা স্পেশাল ঔষধ, বেশি ব্যবহার করবা না। আধা চামচ খাবারে আর পাখি এক বেলা বাথরুমে”
“সাইড ইফেক্ট?”
“স্যালাইন খেলেই ঠিক হয়ে যাবে। মাঝে মাঝে বাবার চায়ে মিলিয়ে দেই। কিন্তু শোধ তুলবাটা কার উপর?”

ধারার বিচিত্র ভাবে হাসে। তারপর চোখ টিপ্পনী দিয়ে বলে,
“সিক্রেট”

বিয়ে বাড়ি আসার পর এখানে প্লাবণের মা ফুফুর সাথে বেশ সখ্যতা হয় ধারার। ফলে বিকালে যখন তারা সবার জন্য চা-কফি বানাচ্ছিলো ধারার গল্পের ছলে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে পড়ে। ফাক তালে প্লাবণের কফির মগে আধা চামচ মিশিয়ে দেয় ফর্মুলা নম্বর ২০৩। যার ফলাফলরুপে প্লাবণকে শুধু বাথরুম টু স্টেজ আর স্টেজ টু বাথরুম ই করতে হচ্ছে। বুকে জমে থাকা ক্ষোভটা আজ বের করে বেশ শান্তি লাগছে ধারার। যদিও এখানে প্লাবণের তেমন দোষ নেই, কিন্তু একেবারেই যে নেই তা কিন্তু নয়। সে বুঝেও অবুঝ ভান করতো! কিশোরীর আবেগকে প্রশয় দিতো। সে কি সত্যি বুঝতো না, কেনো একটা মেয়ে তাকে এতোটা প্রাধান্য দেয়। তবে আজ শোধ তুলে সম্পূর্ণরুমে নষ্ট আবেগকে বিদায় জানালো ধারা। সে আর আবেগে ভাসবে না, কারণ ন্যাড়া বেলতলায় একবার ই যায়_________

প্লাবণের হলুদ অনুষ্ঠান অবশেষে সম্পন্ন হলো। অনুষ্ঠান ঠিক ই হলো কিন্তু তা হলো বড় বিচিত্র ভাবে। বরকে হলুদ লাগানো হলো, কিন্তু তা স্টেজে না, বাথরুমের পাশে চেয়ার বসিয়ে। মিষ্টিমুখের বদলে খাওয়ানো হলো কাঁচা কলা ভর্তা দিয়ে ভাত, আর পানির বদলে স্যালাইন। এই বুদ্ধিটি প্লাবণের মায়ের। যতই হোক একমাত্র পুত্রের গায়ে হলুদ, পেট খারাপ বলে তো সেটা আটকে রাখতে পারেন না। বেচারা প্লাবণ পড়লো বড্ড বিপাকে, মাকে বুঝানোর চেষ্টা করলো তবে কাজে দিলো না। ফলে সব বিনাবাক্যে মেনে নিতে হলো।

হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হলে ছাঁদে আড্ডা জমলো, প্লাবনের কাজিনবর্গ, বন্ধুমহল। অনল এবং ধারাও সেখানে বসলো। প্লাবণ স্যালাইনের বোতল হাতে উপস্থিত হলো। এখন বাথরুমে যাওয়াটা বন্ধ হয়েছে, ঔষধ খেয়ে কিছুটা হলেও এখন স্বাভাবিক। এমন একটা হলুদ কাটবে ইহজীবনে ভাবে নি। প্লাবণকে দেখেই রবিন বললো,
“কি পেট টাইট হলো! নাকি এখনো বেড টু বাথরুম, বাথরুম টু বেড?”

প্লাবণ অগ্নি দৃষ্টি প্রয়োগ করলো৷ একটু লজ্জায়ও পড়লো, ছোট ছোট বোনদের সামনে এমন কথা। এই রবিনের মুখে কখনো কিছুই আটকায় না। সর্বদা মুখড়া সে। হুটহাট কিছু একটা বলে লজ্জা দিয়ে দিবে। শুধু স্বচ্ছ মনের কারণেই পাড় পেয়ে গেলো। ধারা মিটিমিটি হাসলো। অনলের চোখ এড়ালো না সেই হাসি। কথায় কথায় গানের আড্ডা বসলো। রবিন হেরো গলায় গান গাইলো। সেই গান শুনে প্লাবণের এক বোন বলে উঠলো,
“ভাই থামেন, রাস্তার কুকুরগুলোও পালিয়ে যাচ্ছে আপনার গানে”

কিন্তু এতে রবিনের কিচ্ছু যায় আসে না সে গান গাইছেই। এর মাঝে প্লাবণের আরেক বোন বলে উঠলো,
“অনল ভাইয়া আপনি একটা গান গেয়ে শোনান”

কথাটা শুনতেই ধারা তীর্যক চাহনী নিক্ষেপ করলো মেয়েটির দিকে। মেয়েটাকে বহুক্ষণ যাবৎ লক্ষ্য করছে সে, অনলের প্রতি যেনো তার আদিক্ষেতা একটু বেশি। ধারা একটা ব্যাপার মোটেই বুঝতে পারলো না, মেয়েটার সমস্যা কি! একবার ছলে বলে ছবি তুলতে আসে, হলুদ লাগাতে চায়, এখন আবার গানের বাহানা। আরে এই প্রিন্স উইলিয়াম কি মধু নাকি যে মৌমাছির মতো তাকে ঘিরে ধরতে হবে! কথাগুলো মনেই রাখলো! যার যা খুশি করুক তার কি!

সকলের বায়নাকে নাকোচ করতে পারলো না অনল। অনলের গানের গলা যে ভালো এটা অজানা নয়। কিছু মানুষ আছে যাদের অনেক গুন থাকে। অনল তেমন ই, এই গানের জন্য স্কুল কলেজ থেকে কম পুরষ্কার সে পায় নি। ধারাও মুখে হাত দিয়ে মুগ্ধ হয়ে চাইলো তার দিকে। কত বছর পর অনল ভাই গান গাইবে, ব্যাপারটা কি হাতছাড়া করা যায়! অনল প্লাবণের গিটারটা নিলো। টুং টাং করে বাজলো সুর,
“আজ ঠোঁটের কোলাজ থামালো কাজ
মন, তোমাকে ছুঁয়ে দিলাম
নাম, বুকের বোতাম, হারানো খাম
আজ কেন যে খুঁজে পেলাম

দিন এখনও রঙিন
এই দিন এখনও রঙিন
তাকে আদরে তুলে রাখলাম
আজ ঠোঁটের কোলাজ থামালো কাজ
মন, তোমাকে ছুঁয়ে দিলাম”

আমাবস্যা বিধায় আকাশে চাঁদ নেই, বিক্ষিপ্ত কালো মেঘের আকাশটা আরোও কালচে লাগছে। ছাঁদের এদিকটাতেও আলো নেই। আঁধারে ডুবন্ত এই মূহুর্তটিকে সুরের জোয়ারে ডুবিয়ে দিলো প্রিন্স উইলিয়ামের মনোমুগ্ধকর কন্ঠ। ধারা যেনো হারিয়ে গেলো সেই সুরের জোয়ারে। তবে একটা ব্যাপার খুব ভাবালো, এতো আঁধারের মাঝেও কেনো যেনো তার মনে হলো অনলের চোখজোড়া তাকেই দেখছে। যেনো তার জন্যই গাওয়া এই গান। এটা কি কল্পনা নাকি বাস্তব জানে না ধারা। যদি অনল তার জন্য ই গেয়ে থাকে, তবে…. বেশি ভাবলো না ধারার। মরীচিকা হলে আবারোও পিছলা খেতে হবে। দরকার কি! থাক না কিছু সুন্দর মূহুর্ত স্বর্ণালী খামে মুড়িয়ে, না হয় কোনো এক সময় উলটে পালটে দেখবে ক্ষণ_________

*******

আজ প্লাবণের বিয়ে, জুম্মার বাদে বিয়ে। জমজমাট অবস্থা। এক দ্বন্দ কারোর শান্তি নেই। ছোটাছুটি, হুড়োহুড়ি লেগেই আছে। অনল রেডি হয়ে গেছে বহু আগে। ধারা এখন তৈরি হয় নি। শাড়ির কুচিটা কিছুতেই সামলাতে পারছে না৷ গতদিন জামদানি শাড়ি ছিলো তবুও তার বহু কষ্ট হয়েছে, আজ তো সিল্কের শাড়ি। শুধু পিছলে যাচ্ছে কুঁচি। কুচি সামলাতে নাজেহাল সে। যখন সকলে বের হতে উদ্ধত হলো তখন দেখা গেলো ধারা নেই। ফলে অনল তাকে খুঁজতে এলো। গতদিনের কাজের পর থেকে রুমে নক না করে ঢুকে না সে। দরজায় নক পড়তেই ধারা বললো,
“কে?”
“আমি, অনল। আর কত দেরি? বরপক্ষের গাড়ি বের হবে। সবাই রেডি তুই বাদে”
“দু মিনিট”
“সেই আধঘন্টা থেকে শুনছি। আর কত দুই মিনিট লাগবে?”

ধারা কিছু সময় চুপ করে রইলো। তারপর দরজাটা খুলে একটু মুখ বের করে বললো,
“একটু হেল্প লাগবে, আন্টি আছে আশেপাশে?”
“না আন্টি ব্যস্ত”
“কেউ নেই মহিলা!”
“না, সবাই নিচে”

ধারা মুখটা চিন্তায় ছেয়ে গেলো! তারপর বললো,
“তুমি কুঁচি ধরতে পারো? আমি বহুসময় চেষ্টা করেছি, ছুটে যাচ্ছে”

ধারার অসহায় মুখখানা দেখে মানা করতে পারলো না অনল। আর দেরিও হচ্ছে। তাও বাধ্য হয়ে গণিতের মাস্টারমশাইকে ছোট বউ এর কুঁচি ধরতেই হলো। অনলের স্পর্শ যখন ই লাগছিলো কেঁপে উঠছিলো ধারা। অনল যতই সংযত রাখতে চাচ্ছিলো কিন্তু একবার না একবার স্পর্শ হচ্ছিলো। রুক্ষ্ণ বিশাল হাতের উষ্ণ স্পর্শগুলো লাগলেই জমে যাচ্ছিলো ধারা। মেরুদন্ড বেয়ে বয়ে যাচ্ছিলো উষ্ণ রক্তের ধারা। একটা সময় শাড়ির কুচি সমস্যার সমাধান হলো। ধারা তাড়াতাড়ি খোপা করে নিলো চুলগুলো। অনল তখনও সেখানেই দাঁড়িয়ে ছিলো। হঠাৎ তার চোখে বাঁধলো ধারার ঘাড়ের কালো তিলটি। ফর্সা গায়ে যেনো নজরটিকার মতো লাগছে তিলটিকে। নজরটিকাতেও ঘোরে পড়া যায় জানা ছিলো না অনল। কখন সেটাকে ছুয়ে দেবার অবাধ্য ইচ্ছে তাকে ঘিরে ধরলো নিজেও হয়তো জানে না। অজান্তেই পা জোড়া এগিয়ে গেলো ধারার দিকে। ঘাড়ের উপর উষ্ণ নিঃশ্বাস পেতেই আয়নায় চোখ গেলো ধারার। অনল ঠিক তার পেছনে, ঘোর লাগা মাদক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার দিকে। তীব্র লজ্জা অনুভব করলো ধারা। অজান্তেই নরম গালজোড়া উষ্ণ হয়ে উঠলো। দৃষ্টি নামিয়ে নিলো। শাড়ির আঁচলটা চেপে ধরলো। কোনো মতে বললো,
“অনল ভাই”

ধারার স্মিত ধীর স্বর মস্তিষ্কে ঝংকার তুললো। অনলের হুশ ফিরলো। সে যেনো সম্মোহনের ভেতর ছিলো। স্বম্বিত ফিরতেই চোখ সরিয়ে নেয়। আড়ষ্ট কন্ঠে বলে,
“আমি নিচে যাচ্ছি, দুই মিনিটে আয়”

বলেই হনহন করে বেড়িয়ে যায় অনল। ধারা সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকে। এখনো লজ্জায় চোখ তুলতে পারছে না সে। এতো লজ্জা কেনো লাগছে তার!

বিয়েটা একটা কমিউনিটি সেন্টারে হচ্ছে। অবশেষে বরযাত্রী পৌছালো সেন্টারে৷ স্মৃতির মা বেশ আদরে বরণ করলেন জামাইকে। গেটে চাঁ’দা’বা’জি’ হলো কিন্তু বেশি সুবিধা করতে পারলো না বউ এর বোনেরা। প্লাবণকে বসানো হলো বরের চেয়ারে। ধারা দেখা পেলো নিজ পরিবারের। ইলিয়াস তাকে দেখেই বললো,
“তোর মামীকে বোঝা তো! আমি শুধু বলেছি এতো সাজের কি দরকার ছিলো! তুমি তো এমনেই সুচিত্রা সেন। রেগে ফুলে আছে”

ধারা কিছু বলার আগেই সুভাসিনী বেগমের প্রশ্নের ট্রেন চললো,
“তোকে রোগা লাগছে কেনো? খাস নি নাকি? এই অনল তুই ওর খেয়াল নিস নি?”

ধারা কার কথা ছেড়ে কার কথার উত্তর দিবে বুঝে উঠতে পারলো না। তখন ই অনল বলে উঠলো,
“বিয়ে তে এসেছো, বিয়ে খাও না। এখানে মজলিস বসানোর কি মানে!”

সুভাসিনী বেগম উত্তর দিতেই যাবেন তখন শোনা গেলো, বিয়ে হবে না। বউ নাকি পালিয়েছে………

চলবে

মুশফিকা রহমান মৈথি

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে