প্রণয়ের রংধনু পর্ব-০৯

0
337

#প্রণয়ের_রংধনু ✨
#পর্ব-৯
#Jannatul_ferdosi_rimi (লেখিকা)
ফারিশ তার কেবিনে থাকা জুঁইকে দেখে ভ্রু কুচকে তাঁকায়। জুঁই ফারিশকে দেখেই দৌড়ে গিয়ে, ঝাপটে জড়িয়ে ধরে ফারিশকে। ফারিশ তৎক্ষনাৎ জুঁইকে নিজের থেকে সরিয়ে চেঁচিয়ে বলে, ‘ ওয়াট হেপেন্ড ইউথ ইউ? আর ইউ ইডিয়েট? তুমি জানো না? কোন মেয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরুক, আমি তা মোটেও পছন্দ করি না। নেক্সট টাইম এমন কাজ করলে, কিন্তু এর পরিনতি খুবই খারাপ হবে। ‘
কথাটি বলেই, ফারিশ তার চেয়ারে গিয়ে বসে। জুঁই রাগে থরথর করে কাঁপতে কাঁপতে বলে, ‘ সেদিন অজ্ঞান অবস্হায় অনন্যাকে জড়িয়ে ধরার সময়, তোমার এই নিয়ম কোথায় ছিলো ফারিশ?’

ফারিশ শান্ত দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে বলে, ‘ ফাষ্ট অফ অল, আমাকে ফারিশ ভাইয়া বলে সম্মোধন করো এবং দ্বিতীয়ত আমি ভালোবেসে সেদিন অনন্যাকে জড়িয়ে ধরে নি তুমিও জানো। বাই দ্যা ওয়ে ফারিশ খান কাউকে কৈফিয়ত দিতে ইন্টারেস্ট নয়। আই জাস্ট ডোন্ট লাইক দিজ। ‘

জুঁই ফারিশের থেকে তার ফাইল কেড়ে নিয়ে প্রশ্ন করে, ‘ ভাইয়া বলবো মানে কী?’

‘ হ্যা এনা আমাকে ভাই বলে সম্মোধন করে, তাই তুমিও করবে। ‘

‘ এনা তোমার বোন ফারিশ, আমি নই। ভুলে যেও না। শুধুমাত্র তোমাকে সাহায্য করবো বলে, নিজের বন্ধুকে ঠকিয়েছি এমনকি অভির সাথে মিথ্যে প্রেমের অভিনয়ও করছি, যেনো অভিকে অনন্যা তার কঠিন মুহুর্তে কোন ভাবেই পাশে না পায়। ‘

জুঁই সম্পর্কে ফারিশের ছোট চাচি অর্থাৎ রেশমি খানের বোনের মেয়ে। ছোট বেলা থেকেই সে পছন্দ করে ফারিশকে কিন্তু প্রতিবারই প্রতাক্ষ্যান করেছে তাকে ফারিশ। ফারিশ বিরক্ত হয়ে উঠে দাঁড়িয়ে, জুঁইয়ের থেকে ফাইল টা হাতে নিয়ে বলে,

‘ আমি একবারও তোমায় বলেনি অভির সাথে মিথ্যে প্রেমের অভিনয় করতে। আমি শুধু অনন্যার সাথে ফেইক ভিডিও তৈরিতে তোমার হেল্প চেয়েছিলাম।
কিন্তু তার বদলে মোটা টাকার অফার ও দিয়েছিলাম।’

জুঁই ফারিশের গালে হাত রেখে কান্নার সুরে বলে,

‘ আমি তো টাকার জন্যে তোমায় হেল্প করেনি, আমি শুধু চেয়েছিলাম যেনো তুমি আমায় ভালোবাসো। আমার ভালোবাসা লাগবে শুধু। একবার আমার অনুভুতিগুলোকে অনুভব করো ফারিশ। আমি তোমায় বড্ড ভালোবাসি। ‘

জুঁইয়ের থেকে ফারিশ নিজেকে সম্পূর্ন ছাড়িয়ে নিতেই, কিছুটা পিছু হটে যায় জুঁই। ফারিশ জুঁইয়ের দিকে আঙ্গুল তাঁক করে চেঁচিয়ে বলে,

‘ আমি জাস্ট ১০ সেকেন্ড টাইম দিবো, জাস্ট ১০ সেকেন্ড এর মধ্যে আমার অফিস থেকে বেড়িযে যাবে। সময়ের হের ফের হলে, আমি ভুলে যাবো তুমি রেশমি খানের ভাগ্নি। জাস্ট গেট আউট। ‘

ফারিশের রক্তচক্ষু চাহনীতে ভয়ে কেঁপে উঠে,জুঁই তড়িঘড়ি করে বেড়িয়ে যায়। জুঁই চলে যেতেই,ফারিশ তার চেয়ারে বসে জোড়ে জোড়ে নি:শ্বাস থাকে। নিজের আখিজোড়া নিবদ্ধ করে ভাবতে থাকে, ‘ আই ডোন্ট ওয়ান্ট লাভ…আই জাস্ট নো নিড দিজ।’

_________________________
রুমা খানের কথা শুনে, অনন্যা উঠে দাঁড়ায়। রুমা খানকে দেখে মিষ্টি রুমা খানের কাছে গিয়ে জড়িয়ে হাঁসিমুখে বলে, ‘ দেখো বড় গ্রেনি মিষ্টির মা চলে এসেছে। আমি আমার মাকে কোথায় যেতে দিবো না।’

রুমা খান মিষ্টির মাথায় হাত বুলিয়ে, অনন্যার দিকে তাঁকিয়ে বলে, ‘ তুমি চিন্তা করো না মা। তোমার মা, কোথাও যাচ্ছে না। মিষ্টির মা তার কাছেই থাকবে এখন থেকে। ‘

রুমা খানের কথা শুনে জোড়ে জোড়ে হাত তালি বাজাতে থাকে মিষ্টি। অনন্যা অবাক হয়ে রুমা খানের দিকে তাঁকায়। রুমা খান অনন্যার চাহনী বুঝতে পেরে, মিষ্টির গালে চুমু খেয়ে বললেন,

‘ মিষ্টি মা এখন তুমি লক্ষ্যি মেয়ের মতো খেয়ে নাও। আমি তোমার মায়ের সাথে একটু কথা বলবো।’

মিষ্টি চলে যেতেই, অনন্যা রুমা খানের দিকে তাঁকিয়ে প্রশ্ন করে, ‘ ম্যাম আপনি মিষ্টিকে কেন বললেন? আমি ওর মা। ‘

রুমা খান তার চশমার ফ্রেম ঠিক করতে করতে, বিছানায় বসে। হাতের ইশারায় অনন্যাকেও তার পাশে বসতে বলে। অনন্যাও রুমা খানের সামনে থাকা চেয়ার বসে পরে। রুমা খান কিছুক্ষন থেমে বলতে থাকেন, ‘ আমি জানি, তোমার মনে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। সবটাই বলছি আমি। মিষ্টি বাচ্চা এক মেয়ে। খুব ছোটবেলা থেকেই মাকে ছাড়া বড় হচ্ছে সে। কখনো সে তার মাকে দেখেনি। ছোট্ট মেয়েটাকে নিজেই একা বড় করে চলেছে ফারিশ। বাচ্চা মানুষ তো তবুও প্রতিনিয়ত মাকে খুঁজে বেড়ায়। একজন সন্তানের যেমন তার বাবাকে প্রয়োজন। তেমনি প্রয়োজন তার মাকে। ‘

অনন্যা বড্ড মনোযোগ সহকারে রুমা খানের কথা গুলো শুনে চলেছে। রুমা খান ফের বলতে থাকলেন,

‘ আমি প্রায়ই মিষ্টিকে সান্ত্বনা দেই, তার মা একদিন আসবে। মেয়েটা মায়ের জন্যে কান্না করতো, তাই একপ্রকার সান্তনা দিয়ে বলতাম, তার মা একদিন হুট করে সাদা পরীর বেশে এসে, মিষ্টির কাছে ধরা দিবে এবং নিজের দিকে একবার তাঁকিয়ে দেখো তোমার পড়নেও সেই সাদা সেলোয়ার কামিজ। স্নিগ্ধ সুন্দর মুখস্রী। টানা টানা হরিনের ন্যায় মায়াবী আখিজোড়া। ঠিক আমার সেই বর্ননার মতো সাদা এক পরী। তাছাড়া ইশিতার সাথে তোমার চেহারার কিছু কিছু মিল রয়েছে। ইশিতাকে কখনো সামনসামনি দেখনি মিষ্টি। ছবিতে যা একটু দেখেছে। তাই তোমাকে দেখেই সে তার মা ভেবে ফেলেছে। আশা করি তুমি বুঝবে এখন। মেয়েটার বড্ড প্রয়োজন তার মাকে।’

রুমা খান মিষ্টির রুমের বিছানার সাথে থাকা ছোট্ট ড্রয়ার থেকে ইশিতার একটি ছবি বের করে দেখালো অনন্যাকে। অনন্যা বেশ মুগ্ধতা নিয়ে ইশিতার ছবিখানার দিকে তাঁকিয়ে, মিষ্টি হাঁসি উপহার দিলো। সাদা পারের গোলাপী তাঁতের শাড়ি পরহিত রমনী, মাথায় শাড়ির আচল দিয়ে ঘোমটা দেয়া। সাঁজহীন সুন্দর মুখস্রী। ছবিটা দেখে অনন্যার মনে হচ্ছে, বাগানে দাঁড়িয়ে ফুলের গাছে পানি দেওয়ার রমনীর দৃশ্য বড্ড মুগ্ধতা নিয়ে কেউ নিজের ক্যামেরা বন্ধী করে নিয়েছে। ইশিতাকে ভালো করে পর্যবেক্ষন করে অনন্যা বুঝতে পারলো সম্পূর্ন না হলেও, ইশিতার চেহারা কিছুটা হলেও অনন্যার চেহারার সাথে মিলে যায়।

‘ ইশিতা কোথায়? ‘

‘ সে, মিষ্টির জন্মের সময়ই মা/রা গিয়েছিলো। ‘

‘ ওহ ‘ বলে থামলো অনন্যা। অর্থাৎ ইশিতা ফারিশের স্ত্রী ছিলো কিন্তু তাদের বিয়ে হয়েছিলো কীভাবে? এমন হার্টলেস লোকের সাথে ইশিতা সংসার কীভাবে করতো? জানার বড্ড কৌতহূল জন্ম নিলো অনন্যার মনে। তবে অনন্যা করলো অন্য প্রশ্ন। সে ছবিটার দিকে তাঁকিয়ে থেকেই জিজ্ঞাসা করলো,

‘ মিসেস ইশিতা বড্ড সুন্দরী ছিলেন। তার এই ছবিটা বড্ড ভালোবাসা নিয়ে তোলা হয়েছিলো, কিন্তু কে তুলেছিলো? ওই হার্টলেস লোকটা? উনার মতো হার্টলেস লোকের মনে বুঝি ভালোবাসা ও আছে। ‘

রুমা খান তৎক্ষনাৎ বলেন,’ আরে না না। ফারিশ তুলে নি..’

রুমা খানের কথা বোধহয় কান অবদি পৌঁছায় নি অনন্যার। নীচ থেকে রেশমি খান অননরত অনন্যার নাম সম্মোধন করে চেঁচিয়ে যাচ্ছেন। অনন্যা দ্রুত উঠে, রুমা খানের হাতে ছবিটা দিয়ে, তাড়াহুড়োর সাথে বললো, ‘ আমি যাচ্ছি ম্যাম। রেশমি ম্যাম নীচে ডাকছে। আপনার সাথে কথা বলে খুব ভালো লাগলো।’

রুমা খান অনন্যার মাথায় হাত বুলিয়ে বললে, ‘ এনা- আরশের মতো তুমিও আমায় দাদি বলে ডাকলে, আমি খুশি হবো। তুমিও তো আমার নাতনী। ‘

রুমা খানের কথা শুনে ক্ষীন্ন হাসে অনন্যা।

______________

অনন্যা নীচে নামতেই, রেশমি খান রান্নাঘর থেকে বেড়িয়ে এসে বললেন, ‘ তা লাটসাহেবের বেটি! বুঝলাম তুমি আমাদের কোন ফরমাস খাটতে আসো নি, কিন্তু এত্তো এত্তো পদের রান্নার যে লিস্ট ফারিশ ধরিয়ে দিয়ে গিয়েছে, তা করবে কখন? বেলা যে পেরিয়ে যায়। ‘

অনন্যা কোন উত্তর না দিয়ে, ওড়নাটা গাঁয়ে ভালোভাবে জড়িয়ে, রান্নাঘরে ঢুকে গেলো। রেশমি খান ভ্রু কুচকে বললেন, ‘ লাটসাহেবের মেয়ে কী বোবা নাকী। ‘

‘ এখন যদি উত্তর দিতে যাই, তখন তো বলবেন লাটসাহেবের মেয়ের মুখে বলি ফুটেছে। কি তার কথার ধরণ! ‘

অনন্যার উত্তরে, রেগে আগুন হয়ে গেলেন মিসেস রেশমি। রেশমি খান ক্ষিপ্ত গলায় বললেন,

‘ এই মেয়ের সাহস কি? রেশমি খানকে টেক্কা দিয়ে কথা বলছে। ‘

এনা ভার্সিটির থেকে এসেছিলো সবেমাত্র, মায়ের কথা শুনে সে ফিক করে হেসে উঠলো। রেশমি খান হয়তো আরো কিছু বলতে চাইছিলেন, কিন্তু মিষ্টি দ্রুত এসে, অনন্যাকে ঝাপ্টে ধরে বলে,

‘ ছোট দিদুন, তুমি কেন মিষ্টির মাকে বকছো? দেখছো না আমার মা কতদিন পরে, তার মিষ্টির কাছে ফিরে এসেছে, কই ভালো করে কথা বলবে, তা না করে, বকেই যাচ্ছো। ‘

‘ এসেছেন আরেকজন জ্ঞান দিতে আমাকে। পাঁকা মেয়ে একটা। আবার মা বলে ঢং করা হচ্ছে। হু!’

রেশমি কথাটি বলেই রাগে গটগট পায়ে উপরে চলে যায়।এনাও উপরে চলে যায়। অনন্যা সামান্য ঝুঁকে মিষ্টির মাথায় হাত বুলিয়ে, ‘ তা মা, তুমি এখন নীচে নেমে এলে কেন? চুলোর কাছে বেশিক্ষন থাকতে নেই। ‘

‘ না, মা। আজ মিষ্টি তার মাকে ছেড়ে কোথাও যাবে না। আমিও তোমার সাথে আজকে সারাদিন থাকবো।’

মিষ্টির কথা শুনে আলতো হেঁসে তার চুলগুলো হাত দিয়ে এলোমেলো করে দেয় অনন্যা। মিষ্টিও খিলখিলিয়ে হেসে উঠে। বাচ্চা মেয়েটা সত্যি মিষ্টির মতো। যে কেউ দেখলে তাকে ভালো না বেসে থাকতে
পারবে না। অনন্যার বড্ড মায়া হয়। অনন্যা মনে মনে স্হীর করে, যতদিন সে থাকবে, সে নিজের মমতা দিয়ে আগলে রাখবে মা- মরা মেয়েটিকে। মায়ের জায়গা কেউ নিতে পারবে না অন্তত মায়ের মতো হলেও সবটুকু দিয়ে ভালোবাসবে মিষ্টিকে।

__________________

রান্নাঘরের এক কোণে আনমনে দাঁড়িয়ে আছে, অনন্যা। মিষ্টি পাইচারি করতে করতে অনন্যাকে দাঁড়িয়ে থাকতে বললো, ‘ কি ভাবছো মিষ্টির মা?’

‘ তোমার খারুশ বাবা এতোগুলো রান্নার লিস্ট ধরিয়ে গিয়েছে, কিন্তু আমি তো এইসব রান্না পারিই না।’

‘ খারুশ বাবা’ শব্দটি বেশ মনে ধরেছে মিষ্টির। সে যদি তার বাবাকে বাপি না ডেকে খারুশ বাবা বলে সম্মোধন করে, তবে কেমন হবে? যেমন…

‘ খারুশ বাবা তুমি মিষ্টির মাকে এতো রান্না করতে বলেছো কেন?মিষ্টির মা তো রান্না করতে পারে না এতো। মিষ্টির মায়ের বুঝি কষ্ট হবে না? মিষ্টির মাকে এতো রান্না করতে বলবে না। নাহলে মিষ্টি কিন্তু তার খারুশ বাবাকে খুব বকুনি দিবে। ‘

মিষ্টির ভাবনাকে বাস্তবে রুপান্তরিত করতে, মিষ্টি রান্নাঘর থেকে চলে যেতে উদদ্ব হলে, পিছন থেকে অনন্যা ডেকে উঠে, ‘ কোথায় যাচ্ছো মিষ্টি? কিছু খাবে? ‘

‘ বাপিকে বলে দিবো, তুমি রান্না করতে পারবে না। তোমায় যেন ছুটি দিয়ে দেয়। ‘

অনন্যা তৎক্ষনাৎ বলে উঠে, ‘ না, মা! এমন করো না। দেখবে তোমার খারুশ বাবা তোমাকেও বকবে, আমাকেও উল্টো বকবে। ‘

মিষ্টি ঠোট উল্টে বলে, ‘ তবে কি করা যায়? ‘

‘ ইউটিউব দেখে রান্না করা যায়। ‘

অনন্যার কথা শুনে পাশে থাকা করিমা চটজলদি উত্তর দেয়, ‘ কিন্তু আফা, খাবারে যদি উনিশ- বিশ হয়, তাইলে কিন্তু স্যার মেলা রাগ করব। ‘

‘ কিন্তু চেষ্টা তো করতে হবে তাইনা? তুমি কিংবা অন্য কোন সার্ভেন্টের সাহায্য তো নিতে পারবো না। এদিকে রান্না গুলোও পারিনা। সেই দিক বিচারে, আপাতত ইউটিউবই ভরসা। করিমা আপু জিনিস গুলো নিয়ে আসো। আমি রান্না শুরু করছি। ‘

অনন্যা ইউটিউভের ভিডিও মনোযোগ সহকারে দেখে, অত:পর রান্না শুরু করে দেয় অনন্যা। মিষ্টি গালে হাত দিয়ে মনোযোগ সহকারে তার মাকে দেখতে থাকে। যেন বেশ ইন্টারেস্টিং নাটকের সিকোয়্যাল চলছে। নাটকের মা – মেয়ে রান্নাঘরে আছে, কিছুক্ষন পর অফিস থেকে সেই নাটকে বাবার ভূমিকায় এন্ট্রি নিবে ফারিশ খান। সে অতি আদরে মেয়েকে বুকে জড়িয়ে, অনন্যার পাশে দাঁড়িয়ে, অনন্যাকে জ্বালাতন করার চেষ্টা করবে। সবাই দূর থেকে বলবে কি সুন্দর পরিবার! কিন্তু বাস্তবতা আলাদা। আরশ কফি হাতে সোফায় বসে এক দৃষ্টিতে বসে অনন্যার দিকে তাঁকিয়ে রইলো কিন্তু কোন কথা বললো না।

______________________
দুপুর পেরিয়ে, রাত ১০ টা বাজতে চললো। সকাল থেকে না খেয়ে এক টানা রান্না করে যাচ্ছে অনন্যা। কষ্ট হলেও সে বিরতি নেয়নি। সময়ের হের ফের হলে ফারিশ এসে ঝামেলা করবে। কিছুক্ষন পরেই ফারিশ চলে আসবে। তার মধ্যেই, অনন্যার ফোনের রিং বেজে উঠে……..

শব্দসংখ্যা-১৬৪২
চলবে কি?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে