নীল ডায়েরির সেই মেয়েটি পর্ব-১৭

0
383

#নীল_ডায়েরির_সেই_মেয়েটি
#আরদ্ধিতা_রুহি
#পর্বঃ১৭

🍁

আরোহীর চোখে বিন্দু বিন্দু জ্বলের রেখা দেখা দিয়েছে, অনেক কষ্টে কান্না আটকানোর চেষ্টা করে আরোহী কিন্তু না চাইতেও কয়েক ফোঁটা পানি গড়িয়ে নিচে পড়ে।

রাহি আঁধারের দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নিয়ে আরোহীর দিকে তাকাতেই তার নিজের ও কান্না পায়। তার মতে আরোহী অনেক কষ্ট সহ্য করছে প্রথম থেকেই!

আদরের এতো কিছু করার পর যখন আরোহী বিয়েতে রাজি হয়, তখন বিয়ে ভাঙ্গা,বড় বোনের বিশ্বাস ঘাতকতা আবার বিয়ে হওয়া,সেটা ও আবার তারই বড় ভাইয়ের সাথে। আবার আলিশার বেয়াদবি আচরণ, আঁধারকে নিয়ে কাড়াকাড়ি, আঁধার আরোহীর ভুল বোঝা বুঝি, এখন আবার এই আপদ!

রাহির এবারের রাগটা আঁধারের উপরই হয়, কিন্তু আরোহীর মুখের দিকে তাকিয়ে সামলে নেয়। তার মতে আগে আরোহীকে সামলানো দরকার!

–‘তুই কাঁদছিস আরো,কাঁদিস না দোস্ত চল গিয়ে আঁধার ভাইয়াকে প্রশ্ন করি, ওই আপুটা কেনো ভাইয়াকে এভাবে জড়িয়ে ধরে আছে?’

কিছুটা হতাশার সাথে বলে রাহি।

–‘না, ওনারা জাস্ট ফ্রেন্ড’স আর কিছুই না!’ আমি বিশ্বাস করি আঁধারকে।

চোখের পানি মুছে বলে আরোহী।

রাহি আরোহীর কথায় অবাক হয়ে যায়, কিন্তু পরক্ষণেই খুশি হয়ে যায় এইটা ভেবেই যে অবশেষে আরোহী আঁধারকে বিশ্বাস করতে পারছে! কিন্তু আবার আরোহীর চোখের পানি দেখে খারাপ ও লাগে,,,

–‘চল না গিয়ে প্রশ্ন করি, তুই কষ্ট পাচ্ছিস তো?’ ওরা ফ্রেন্ড বলে তো আর এভাবে চিপকা চিপকি করে থাকবে না?

–‘না রে, আমি বার বার এভাবে আঁধারকে সন্দেহ করতে পারিনা!’ আমার সহ্য হয় না তাই বলে তো আর তাদের থেকে দূরে থাকতে বলে পারিনা, তার ও তো একটা লাইফ আছে!

মুচকি হেসে ধরা গলায় বলে আরোহী। রাহি আরোহীর কথায় থম মেরে যায়,এই মেয়ে কি এখন সবকিছু সহ্য করবে নাকি? এতোটা চেঞ্জ কি করে হলো তার আরো?রাহির ভাবনার মধ্যেই আরোহী তাকে অন্য দিকে যাওয়ার কথা বলে।

রাহি আরোহীর সাথে অন্যদিকে না গিয়ে গাছ তলা থেকে আর একটু সামনে টেনে নিয়ে আসে সে আরোহীকে, রাহির মতে সম্পুর্ন ঘটনা দেখতে চায় সে, আসলে ঘটনা কি! আরোহী বারণ করার সুযোগ ও পায় না, তাই চুপচাপ ঘাসের উপর বসে পড়ে৷ আসলে সে মুখে যতোই অস্বীকার করুক না কেনো কিন্তু মেয়েটি কেনো তার বরকে জড়িয়ে ধরে আছে সে ও দেখতে চায়।

আঁধার নীলিমাকে নিজের থেকে ছাড়িয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয় আর বলে,,

–‘দেখ নীলি, সব ঠিক হয়ে যাবে এভাবে কাঁদিস না!’

–‘কিছুই ঠিক হবে না আঁধার,ওরা -ওরা আমার কথা ভাবে না রে, আমি কোথায় যাবো বল?’

অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে বলে নীলিমা।শিহাব এগিয়ে এসে নীলিমার চোখের পানি মুছিয়ে দিয়ে বলে,,

–‘হুস, কাঁদিস না, আমরা সবাই আছি তো? ‘ আমরা তো ভাবি তোর কথা, তুই আমাদের সাথেই থাকবি।

–‘হুম, আমরা কি মরে গেছি নাকি তুই এসব বলছিস নীলি?’

রাতুল এগিয়ে আসে বলে।

–‘তোরা সবাই আমায় ভালোবাসিস জানি, তোরা থাকতে আমার আর কোন সমস্যা ও হবে না জানি, কিন্তু সারাজীবন কি তোরা আমার দায়িত্ব নিবি?’ একা একটা মেয়ের বেঁচে থাকা এই সমাজে এতোটাও সহজ না।

সবার দিকে একপলক তাকিয়ে আঁধারের দিকে তাকিয়েই কথাগুলো বলে নীলিমা।

–‘তুই এভাবে কেনো বলছিস নীলি,আমরা আছি তো সারাজীবন তোর সাথে।’

নীলিমার কাঁধে হাত দিয়ে কথাটি বলে তরী৷ তরির কথা শুনে নীলিমা হাসে কিন্তু তার মনটা কেঁদে উঠে সে তো সবাই বলতে আঁধারকে মিন করেই কথাগুলো বললো অথচ আঁধার কিছুই বললো না।চোখ দিয়ে অনবরত পানি বের হয় নীলিমার।

–‘ তোর এক্সাক্ট কি হয়েছে একটু খুলে বলবি নীলি, ওনারা কি তোকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছে? ‘

আঁধার ভ্রুকুঁচকে বলে,,

আঁধারের কথা শুনে নীলিমা চোখের পানি মুছে নিয়েই বলে,,

–‘না আমার কিছু হয়নি, সব ঠিক আছে আমার তোরা চিন্তা করিস না!’

শিহাব, রাতুল ও তরী একে অপরের মুখের দিকে তাকায় কিন্তু কিছু বলে না আঁধার ও সোহেলের অগোচরেই দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।সোহেল একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে নীলিমার দিকে, আর নীলিমা আঁধারের দিকে।আঁধার চুপচাপ নিচের দিকে তাকিয়ে আছে, তাকে দেখে বুঝার উপায় নেই তার মনে কি চলছে।

রাহি ও আরোহী ও নিচের দিকে তাকিয়ে আছে ঠিকই কিন্তু তাদের আলোচনার সম্পূর্ণটাই তাদের কানে আসছে।তারা কিছুই বুঝতে পারছে না, নীলিমা কিসের কথা বলছে বা কি হয়েছে?

–‘দেখ নীলি, তুই পুরো কথাটা আমাদেরকে না বললে আমরা বুঝবো কিভাবে বল তো? ‘

মাথাটা উঁচু করে কথাটি বলে আঁধার!

–‘সে কি আর আমাদের বলবে সব,সে তো শুধু সারাজীবন তার দায়িত্ব নেওয়ার লোক খুঁজছে! ‘

শক্ত কন্ঠে কথাটি বলে এবার সোহেল, নীলিমা অবাক হয়ে যায়,,,

–‘তুই আমায় এটা বলতে পারলি সোহেল,তার মানে তুই আমায় সেলফিশ বলছিস?’

–‘যে যেটা তাকে তো সেটাই বলবো তাই না! ‘

–‘সোহেল!’

–‘শাট আপ নীলি,চেঁচাবি না একদম!’ সত্যি কথা যারা বলে তারা কখনো চেঁচিয়ে কথা বলে না।

–‘তাহলে তুই চেঁচাচ্ছিস কেনো, ভদ্র ঘরের ছেলেরা চেঁচায় না!’ আমরা তো আর ভদ্র ঘরের না।

তাচ্ছিল্য হেসে কথাটি বলে নীলিমা।

–‘শাট আপ নীলি, আর একটা বাজে কথা বললে তোকে আমি!’

বলেই চুপ হয়ে যায় সোহেল।

সোহেলকে চুপ করতে দেখে আবার তাচ্ছিল্য করে বলে নীলিমা,,

–‘ কি করবি বল, কি রে চুপ হয়ে গেলি কেনো বল?’ আমাদের কি সন্মান নেই তাই না রে! আমাদের ভালোবাসা যায় না!

বলেই ঢুকরে কেঁদে উঠে নীলিমা।

আঁধার চুপ করেই আছে, আর বাকি সবাই কি করবে ভেবে পাচ্ছে না। এরইমধ্যে আরোহীরা তাদের কাছে চলে আসে, আঁধার তবুও চোখ তুলে তাকায় না।

আরোহীদের দেখে সকলে তাকিয়ে একটু হাসার চেষ্টা করে শুধু মাত্র নীলিমা আর আঁধার বাদে! নীলিমার মুখ দেখেই মনে হচ্ছে আরোহীদের দেখে সে অসন্তুষ্ট, আরোহীদের আগমনে সে বিরক্ত! কিন্তু আঁধারকে দেখে বোঝার উপায় নেই সে আসলে কি ভাবছে।

–‘আরে ভা. না মানে ছোট আপু যে, তা কি মনে করে হঠাৎ! ‘

হেসে বলে সোহেল। আরোহী সামান্য হাসার চেষ্টা করে বলে,,

–‘ আসলে ভাইয়া আমার একটু ওনার সাথে দরকার ছিল!’

–‘ উনিটা কে জানি, মনে করতে পারছি না।’

মনে করার ভঙ্গিতে বলে রাতুল। রাতুলের মাথায় গাট্টা মেরে বলে শিহাব,,

–‘গাধা আঁধারের কথা বলছে! ‘

–‘আরে আঁধার তুই একটু সাইডে গিয়ে ওর সাথে কথা বল বেচারি হয়তো সকলের সামনে লজ্জা পাচ্ছে! ‘

হেঁসেই বলে উঠে তরী। মূহুর্তের মধ্যেই নীলিমা ও আঁধার বাদে সকলে উচ্চস্বরে হেঁসে উঠে!আরোহী অবাক হয়ে যায়, এই মানুষ গুলো সত্যিই অদ্ভুত! এই তো কিছুক্ষণ আগেও এরা কতো রাগারাগি, ঝগড়াঝাটি, ও চিন্তা করছিলো কিন্তু ওরা আসাতে এমন ব্যাবহার করছে মনে হচ্ছে সবকিছু স্বাভাবিকই ছিল।

রাহি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে নীলিমাকে দেখছে, ফর্সা দেখতে মেয়েটা তবে তার মতে তার আরোর মতো সুন্দরী না মোটেও না৷ তার আরোর ধারের কাছেও এই মেয়ে যেতে পারবে না।

শিহাব রাহির দিকে তাকিয়ে নীলিমার দিকে তাকায়,রাহির যে নীলিমাকে ভালো লাগে নি সেটা শিহাব ভালো করেই বুঝতে পারছে৷ কিন্তু ভালো না লাগার কারণটা এখন ও আন্দাজ করতে পারেনি সে।

–‘কি সমস্যা? ‘

আঁধারের রাশভারি কন্ঠে কথাটি শুনতেই রাহি ও শিহাবের ধ্যান ভাঙ্গে, তরী,সোহেল ও রাতুলের কপাল চাপড়ানোর মতো অবস্থা।

শিহাব বিরক্ত হয় আঁধারের কথায়,তারা বুঝতে পারে না তাদের মতো এতো কিউট বন্ধুদের এমন একটা নিরামিষ বন্ধু হয় কিভাবে? মেয়েটা তার সাথে কথা বলতে এসেছে কিন্তু সে কি বললো ” কি সমস্যা?” হাহ্

আরোহী আঁধারের কথা শুনে পূর্ণ দৃষ্টিতে তার দিকে তাকায়। আঁধার যে আগে থেকেই তার দিকে তাকিয়ে আছে, সেটা সে আগেই আন্দাজ করেছিলো।কিছু না বলেই আঁধারের দিকে এগিয়ে যায়।

নীলিমার বিরক্তিকর দৃষ্টি এবার অবাকে পরিনত হয়, আরোহী আসলে কি করতে চাচ্ছে সেটা সে বুঝতে পারছে না!

আঁধার তখন ও আরোহীর দিকেই তাকিয়ে আছে, আরোহী কিছু না বলেই নিজের হাতের ফোনটায় কাউকে কল দিয়ে আঁধারের দিকে এগিয়ে দেয়।আঁধার ভ্রুকুঁচকে ফোনটা হাতে নেয়।

–‘হ্যালো?’

আরোহীর দিকে তাকিয়েই বলে উঠে,

——

–‘কোন হাসপাতালে?’

——–

–‘আসছি আমি! ‘

——

–‘হ্যা ঠিক আছে, ওকে নিয়েই আসছি আমি!’

———

–‘বাসায়ই আসছি, তুমি নিজেই আরুর বাবা মাকে ফোন করে আসতে বলো! ‘

———

–‘ওকে!’

ফোন কেটে একপলক সবার দিকে তাকাতেই দেখে সবাই উৎসুক দৃষ্টি নিয়ে তার দিকেই তাকিয়ে আছে। ফোনটা আর আরোহীকে দেয় না আঁধার নিজের পকেটে ঢুকিয়ে, আরোহীকে বলে,,,

–‘তুমি জানতে?’

–‘কি! ‘

অবাক হয়ে বলে আরোহী। আঁধার ভ্রুকুঁচকে বলে,,,

–‘আম্মু তোমায় কিছু বলেনি? ‘

–‘না, শুধু বলেছে আপনাকে ফোনটা দিতে! ‘ আপনাকে নাকি ফোনে পাচ্ছে না তাই। কি হয়েছে বাসায়, আর আপনি আমার বাবা মাকেই বা কেনো আসতে বললেন এখন?

আরোহীর প্রশ্ন শুনে আঁধারের কুঁচকে যাওয়া ভ্রু স্বাভাবিক হয়ে যায়।কিন্তু উত্তর দেয় না।

–‘সোহেল আমাদের যেতে হবে ইয়ার, আমি পড়ে তোদের সাথে পড়ে এ বিষয়ে কথা বলছি!’ আর তরী বর্তমানে তুই নীলিকে তোর বাসায় নিয়ে যা কিছুদিনের জন্য।

প্রথমের কথাটি সোহেলের দিকে তাকিয়ে বললেও শেষের কথাটা তরীর দিকে তাকিয়ে বলে আঁধার।

আরোহী বিরক্ত হয় তার কথাটি ইগনোর করার জন্য কিন্তু কিছু বলে না। নীলিমা আঁধারের দিকে অস্রুশিক্ত চোখে তাকিয়ে বলে,,,

–‘আমি ম্যানেজ করে নিব তোদের ভাবতে হবে না!’

–‘তরী ওকে বলে দে আমি যেটা বলছি সেটাই, আমার কথার যেন একটু ও এদিক ওদিক না হয়!’

নীলিমার কথার প্রতিউত্তরে শক্ত চোখে তাকিয়ে বলে আঁধার। নীলিমা আর কিছু বলবে তার আগেই আরোহীর হাত চেপে ধরে যেতে যেতে বায় বলে চলে যায় আঁধার। আর রাহিকে শিহাব বা রাতুলের সাথে চলে যেতে বলে।

–‘ওই মেয়েটা আঁধারের সাথে যাচ্ছে কেনো?’ যাচ্ছেটা কোথায়, আঁধারের বাসায়?

নীলিমা তরীর দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করে। সকলে একে অপরকে একবার দেখে নেয়, আসলেই তো! তার মানে তারা আগে থেকেই একে অপরকে চেনে?

ততোক্ষণে আঁধার চলে গেছে সকলের দৃষ্টির বাহিরে।
নীলিমা আঁধারের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে চোখের পানি ফেলতে থাকে। কাঁধে কারো হাতের অস্তিত্ব পেতেই চোখ মুছে বলে,,,

–‘এক পক্ষিক ভালোবাসা এতোটা পোড়ায় কেনো বল তো তরী!’ সে কি কখন ও বুঝবে না আমি তাকে কতোটা ভালোবাসি, বন্ধুত্ব নষ্ট হওয়ার ভয়ে এতোদিন বলিনি ঠিকই তবে এখন কেনো জানি না খুব করে বলতে ইচ্ছে হচ্ছে তাকে। আমি যে পারছি না তরী, পারছি না।

বলে আবার ও ঝরঝর করে কেঁদে উঠে নীলিমা।

সোহেলের বুকের ভেতরটা ধক করে ওঠে, সে ও তো এক পক্ষিক ভাবে ভালোবাসে। কিন্তু তার প্রেয়শী ও তো বোঝে না, তার বুকের ভেতরটা পুরে যাচ্ছে।কিন্তু সে তো নীলিমার মতো কাউকে বলতে পারছে না বা কারো সাথে সেয়ার করতে পারছে না!

নিজের অনুভূতি গুলো সে বরাবরই নিজের ভেতর রাখতে পছন্দ করে সে। তাই তো এতোটা কষ্ট পাচ্ছে সে, না পারছে কাউকে বলতে আর না পারছপ সহ্য করতে। তাই আর কাউকে কিছু না বলেই চলে যায় সে।

–‘সোহেল এভাবে চলে গেলো কেনো?’

তরী অবাক হয়ে প্রশ্ন করে। রাতুল ও শিহাব একে অপরকে দেখে নিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।

–‘হয়তো কেনো কাজ আছে, বাদ দে তুই নীলিকে নিয়ে চলে যা!’

ছোট করেই বলে শিহাব।তরী মাথা নাড়িয়ে নীলির হাত ধরে বলে,,,

–‘চল! ‘

নীলিমা ও চোখের পানি মুছে তরীর সাথে চলে যায়।তাদের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে শিহাব ও রাতুল এক ধ্যানে তাকিয়ে মনে মনে ভাবে,, ‘ না জানি এদের পরিনতি কি হয়!’

চৌধুরী বাড়িতে,,,

আমজাদ শেখ অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আর শাহানাজ শেখ মাথা নিচু করে বসে আছে, ঠিক তারই সামনে আলিশা গালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে! তারেক চৌধুরী সোফায় বসে আছে তার চোখ মুখ রাগে লাল হয়ে আছে। আঁকলিমা চৌধুরী কটমট চাহনিতে ঠিক আলিশার দিকেই তাকিয়ে আছে। আদর নিচের দিকে তাকিয়ে মাথা নিচু করে আছে কিন্তু তার চোখমুখ ভয়ংকর রকমের লাল হয়ে আছে।

আঁধার দাঁড়িয়ে সকলের দৃষ্টির দিকে চোখ বুলিয়ে এক পলক তার সহধর্মিণীর দিকে তাকায়।মেয়টি এক কোণে দাঁড়িয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। এরইমধ্যে আমজাদ শেখ আবার গর্জে উঠেন,,,

–‘তোমার সাহস হয় কি করে বেয়াদব মেয়ে, নিজের বাচ্চার মতো একটা নিস্পাপ শিশুকে হত্যা করতে যাওয়া!’ এতো বড় কলিজা তোমার হয় কি করে?

আমজাদ শেখের গর্জনে সকলে কেঁপে উঠে, আলিশা ভয়ে থরথর করে কাঁপতে থাকে। তার বাবা সহজে রাগে না কিন্তু এক বার রাগলে তিনি নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে পারে না!

#চলবে?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে