নীল ডায়েরির সেই মেয়েটি পর্ব-৪৯ এবং শেষ পর্ব

0
527

#নীল_ডায়েরির_সেই_মেয়েটি
#আরদ্ধিতা_রুহি
#পর্বঃঅন্তিম

🍁

০২ ডিসেম্বর ২০২৩,, সময় ও সালটার দিক থেকে নজর সরিয়ে নিলো আরোহী!

হ্যা আজকে ডিসেম্বর মাসের দুই তারিখ ২০২৩ সাল।আর মাত্র কয়েকটা দিন তারপর তেইশের কাজ শেষ তখন চব্বিশ সাল চলে আসবে!হয়তো কেউ খুশি মনে গ্রহন করবে কিংবা কেউ দুঃখী মনে!

তবে আজকের তারিখটা দেখে আরোহীর হয়তো মনে পড়ে গেলো তিন বছর আগের সেই দিনটির কথা।সেদিন ও ছিলো ০২ ডিসেম্বর তবে সালটা ছিলো ২০২০!

সেই দিনটির কথা মনে পড়লে যেমন আরোহীর দুঃখের সময়ের কথা মনে পড়ে ঠিক তেমনি আনন্দ ও হয়!কারণ এই দিনেই তো সেদিন তার দুই প্রাণ তার কোল জুড়ে এসেছিলো,তার ঘর আলো করে এসেছিলো।

হ্যা আজকে আদ্র ও আয়রার জন্মদিন সাথে রাহির ছেলে রাদিফের ও! আদ্র ও আয়রার সাথে রাদিফের জন্মদিনটি কাকতালীয় ভাবে মেলেনি অবশ্য!

দুই বছর আগে রাহীর জোড়াজুড়িতে মিলাতে বাধ্য হয়েছিলো সকলে।রাহীর জেদের কাছে হার মেনে সকলকে ওইদিনেই রাহির সিজারের ব্যাবস্থা করতে হয়েছিলো।

রাহির মতে তাদের বাচ্চাদের জন্মদিন যেনো স্বরণীয় হয়ে থাকে তাই তার এই দিনে সিজার করার জেদ বেশি ছিলো।সবকিছু মনে করে খানিকটা হাসলো আরোহী!

তারপর শাড়ি পড়ে সাজতে বসে পড়বে সে।তাই শাড়ি হাতে নিয়ে পড়তে শুরু করলো,আর আজকে যেহেতু তার ছেলেমেয়ের জন্মদিন তাই মা হিসেবে নিজেকে একটু অন্যরকম দেখাটা তো দরকার নাকি?

তাই সে আর রাহি ঠিক করেছে আজকে তারা সেম সেম শাড়ি পড়বে, হয়তো রাহি ও এতোক্ষণ তৈরি হতে ব্যাস্ত হয়ে গেছে।

আরোহীর শাড়ি পড়া প্রায় শেষের দিকে ঠিক তখনই কোথা থেকে আঁধার এসে নিচে বসে তার শাড়ির কুঁচি ঠিক করতে শুরু করলো!

আরোহী চমকে দু ‘কদম পেছনে চলে গেলো,তার চোখ মুখে ভয়ের রেস স্পষ্ট!আঁধার বসেই ভ্রুকুঁচকে আরোহীর দিকে তাকালো!আরোহী নিজের বুকে থু থু দিয়ে আঁধারের দিকে অদ্ভুত চাহনিতে তাকায় এবার!

আঁধার একটা ভ্রু নাচিয়ে জিজ্ঞেস করে,,,

–‘কি?’

–‘এই আপনি হঠাৎ কোথায় থেকে আসলেন বলেন তো?’

অদ্ভুত নজরে তাকিয়ে বলে আরোহী।

–‘কেনো,তোমার মনের ভেতর থেকে?’

বাঁকা হেসে বলে আঁধার। আরোহী বিরক্ত হয়ে এবার দরজার দিকে তাকায়,দরজা তো বন্ধ তাহলে আসলো কোথায় থেকে এই লোক!

আরোহীর ভাবনার মাঝেই আঁধার তাকে কোমড় চেপে এগিয়ে নিয়ে আসে,কানের কাছে ফিসফিস করে বলে,,,

–‘আমি রুমেই ছিলাম মিসেস চৌধুরী কিন্তু আপনি আমায় লক্ষ করেননি, আর আমার সামনেই চেঞ্জ করে ফেললেন!’ এবার কি হবে আমি যে আপনার সব দেখে ফেললাম!’

আরোহীর মাঝে হঠাৎ করেই লজ্জা লজ্জা ভাব আসা শুরু করলো! লজ্জায় মাথা নিচু করে নিলো আরোহী।আঁধার মুখে বাঁকা হাসি নিয়ে আবার ফিসফিস করে বলে উঠে,,,

–‘সব বলতে বুঝো আরুপাখি?’ সবববববববববব কিন্তু!

শেষের কথাটা খানিকটা টেনে টেনেই বললো আঁধার।আরোহীর লজ্জারা যেনো এবার দ্বিগুণ হয়ে গেলো,আরোহীর গালগুলো মুহুর্তের মাঝেই লাল নীল হতে শুরু করলো!

আঁধার আরোহীর লজ্জা মাখা মুখ দেখে এবার নিজেই হাসফাস করতে শুরু করলো।হঠাৎ করেই আরোহীকে নিজের আরও খানিকটা কাছে টেনে নিলো সে!

আরোহী এবার আড় চোখে আঁধারের দিকে তাকায়, কিন্তু আঁধারের নেশা ভড়া চোখজোড়া দেখে আরও খানিকটা নুইয়ে যায় সে!

আঁধার ধিরে ধিরে আরোহীর ওষ্ঠের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, দু’জনের ওষ্ঠের মাঝে যখন কিঞ্চিৎ ফাঁক ঠিক তখনই কেউ একজন দরজায় বারি মারলো!

আঁধার চমকে উঠলো,মুহুর্তের মাঝেই বিরক্তিরা এসে হানা দিলো তার ভেতর!কিন্তু ছোট ছোট একটা কন্ঠের স্বর শুনে বিরক্ত মুখটা এবার স্বাভাবিক হয়ে যায় তার।

আরোহী ফিঁক করে হেঁসে ফেলে! আঁধার চোখ পাকিয়ে তাকায় তার দিকে, ভেংচি কেটে দরজা খুলে দেয় আরোহী!

আদ্র তার বড় বড় চোখদ্বয় দিয়ে অবাক হয়ে আরোহীর দিকে তাকিয়ে বলে,,,

–‘পাপা!’

আরোহী ভেংচি কেটে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় আর বলে,,,

–‘বুঝি না মানুষের ছেলে সারাদিন মা মা করে আর তুই পাপা পাপা করিস কেনো রে?’ বলি তুই কি তোর পাপার পেট থেকে বের হয়েছিস!

আদ্র এবার ছোট ছোট চোখ করে তার মাম্মামের দিকে তাকায়, এতো কথা একসাথে তার ছোট মস্তিষ্কে ঢুকেনি!

তাকে ফ্যাল ফ্যাল করে আরোহীর দিকে তাকানো দেখে হেঁসে এগিয়ে এসে কোলে তুলে নেয় আঁধার! আদ্র গলা জড়িয়ে ধরে তার পাপার!

আরোহী দুঃখী দুঃখী মুখ নিয়ে এগিয়ে এসে জোর করে নিজের কোলে ছিনিয়ে নেয় আঁধারের থেকে আদ্রকে।আদ্র তখনো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে তার পাপার গলা!

আরোহী জোর করে সেটাও ছাড়িয়ে নেয়!আদ্রের চোখ এবার ঝাপসা হয়ে যায়, মুহুর্তের মাঝেই ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কেঁদে উঠে সে।

আরোহী হতবম্ভ হয়ে যায়,আঁধার এবার তাড়াতাড়ি কোলে নিয়ে নেয় আদ্রকে! আদ্রের কান্না ও থেমে যায়, আরেক দফা হতভম্ব হয়ে যায় আরোহী!

–‘এ কি ধরিবাজ ছেলে রে বাবা,এই ছেলে এই তুই কি আদৌও আমার ছেলে হ্যা?’ বাপের কপি তো পুরাই হইছিস,বাপ কা বেটা!আমার কোলে তো আসতেই চাস না, আর আসবি কেনো আমি তোর মা হই নাকি? ভালোবাসে না কেউ আমায়, থাকবো না আমি আর এইখানে! তোর জন্মদিনের জন্য আমি কতো সুন্দর করে সাজগোছ করছি আর তুই কি না আমার কোলে আসছিস না। খাওয়ার সময় তো ঠিকই মাম্মা মাম্মা করিস, তখন তোর পাপার কাছে যেতে পারিস না।

চেঁতে গিয়ে কথাগুলো বলে আরোহী, কিন্তু শান্ত হয়নি সে আবার বলে উঠে,,,

–‘আজকে থেকে তোর পাপাকে বলবি খাওয়াতে আমার কাছে যেনো খাইতে চাস না তুই!’

বলেই উল্টো দিকে ঘুরে যায় আরোহী, আদ্র তার পাপার দিকে তাকায়! তার পাপার চোখের দিকে তাকাতেই তার পাপা আসতে করে তার কানের কাছে বলে,,,

–‘চ্যাম্প মাম্মাম ক্ষেপে গেছে, এবার যাও তাকে গিয়ে জড়িয়ে ধরো নাহলে কিন্তু মাম্মাম আরও রাগ করবে!’

আদ্র কি বুঝলো কে জানে,আঁধারের কোল থেকে নেমে গিয়ে আরোহীর দু’পাঁ জড়িয়ে ধরে বললো,,,

–‘মাম্মা কোলে!’

আরোহী একবার তাকিয়ে আবার অন্য দিকে তাকিয়ে রইলো!আদ্র এবার মায়া মায়া কন্ঠে বললো,,,

–‘মাম্মা!’

আরোহীর এবার চোখ ঝাপসা হয়ে গেলো,কোনো কিছু না ভেবেই আদ্রকে কোলে তুলে নিয়ে সারা মুখে চুমুতে ভরিয়ে দিলো।আদ্র চুপ করে মায়ের আদর অনুভব করলো!

আরোহী থেমে যেতেই আদ্র আরোহীর মতো করেই আরোহীর গালে কপালে চুমু দিয়ে জড়িয়ে ধরে বললো,,,

–‘আদ্র লাভ ইউ!’

আরোহী অবাক হয়ে আঁধারের দিকে তাকায়, নিশ্চয়ই আঁধার শিখিয়েছে এটা ও!আঁধার আরোহীর দৃষ্টির মানে বুঝতে পেরেই মুচকি হাসি দেয়! আরোহীর থেকে রেসপন্স না পেয়ে আদ্র এবার আরোহীর গলা জড়িয়ে ধরে বলে,,,

–‘মাম্মাম!’

আরোহী আঁধারের থেকে দৃষ্টি সরিয়ে আদ্রের দিকে তাকিয়ে বলে,,,

–‘হুম বাবা!’

–আদ্র লাভ ইউ!’

মায়া মায়া কন্ঠ আদ্রের।

–‘ওইটা লাভস ইউ হবে চ্যাম্প!’

আঁধার এগিয়ে এসে আরোহী সহ আদ্রকে জড়িয়ে ধরে বলে।আদ্র হেঁসে দু’হাতে আরোহী ও আঁধারকে জড়িয়ে ধরে, আরোহী নিজেও হেঁসে ফেলে।

–‘মাম্মাম অলসো লাভস বোথ অফ ইউ বাবা!’

আরোহীর কথার মাঝে আরো দুটি ছোট ছোট হাত তাদের পাঁ পেঁচিয়ে ধরে বলে,,,

–‘তোমলা আমাল ছালে এতানে তি করছো?’

আঁধার আয়রাকে কোলে তুলে গাল টেনে দিয়ে বলে,,,

–‘আমরা তোমায় ছেড়ে কখনো কিছু করতে পারি নাকি প্রিন্সেস!’

আয়রা এবার আঁধারের থেকে দৃষ্টি সরিয়ে আরোহীর দিকে তাকিয়ে বলে,,,

–‘আমি তোমাল তুজতি মাম্মা!’

আরোহী এক হাত দিয়ে আয়রাকে ও জড়িয়ে নিয়ে বলে,,,

–‘আমি ও তো তোমায় খুঁজছিলাম মাম্মামের প্রিন্সেস!’

আরোহীর কথা শুনে আয়রা উজ্জ্বল মুখে তাকিয়ে বলে,,,

–‘মাম্মাম তখন তেত তাটবো!’

–‘ওইটা তখন না কখন হবে আয়রু,আর তেত না কেক হবে তো!’

গম্ভীর কন্ঠে বলে আদ্র!আয়রা জিহ্বায় কামড় দেয়, আরোহী ও আঁধার একসাথে হেঁসে ফেলে!

!
!

–‘আশা, আশা,আমার পান্জাবি কোথায়?’

চেঁচিয়ে বলতে বলতেই রুমে ঢুকলো আদর।আলিশা নিজের শাড়ি ঠিক করে বিরক্ত হয়ে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে বলে,,,

–‘ওই যে ডিভানে দেখো!’

আদর পাঞ্জাবির দিকে তাকিয়ে দুষ্ট হাসি দিয়ে পাঞ্জাবি হাতে নিয়ে আলিশার সামনে এসে বলে,,

–‘পড়িয়ে দিবে বউ!’

আলিশা বিরক্ত হয় না,হালকা হেঁসে বলে,,,

–‘আজকে কি খুব বেশি কাজ করে ফেলেছো নাকি?’

–‘না তবে বউয়ের হাতে পড়ার ইচ্ছে হলো কেনো জানি!’

আলিশার কোমড় জড়িয়ে ধরে বললো আদর।আদরকে পাঞ্জাবি পড়িয়ে দিয়ে বোতাম লাগাতে লাগাতে বলে আলিশা,,,

–‘অভ্যেসগুলো চেঞ্জ করো,সারাজীবন কি আর আমি থাকবো নাকি তো….’

আর কিছু বলতে পারো না আলিশা তার আগেই তার ওষ্ঠাগত দখল করে নেয় আদর!কিছুক্ষণ পড়ে ছেড়ে দিয়ে বলে,,,

–‘এমন কথা বললে কিন্তু আরেকটা বউ নিয়ে বসবো বলে দিলাম!’

চোখ পাকিয়ে তাকায় আলিশা,আদর বাঁকা হেসে আর একটু এগিয়ে যায় কিন্তু তার আগেই তাহশিফ ও তাহমিদ চেঁচিয়ে বলে উঠে,,,

–‘পাপা দেখো না পাশের বাড়ির ইমরান আঙ্কেলের মেয়েটা আমাদের ভাইয়া বলে ডেকেছে!’

আদর তাদের কাছে ডাকে, আর আলিশা ভ্রুকুঁচকে বলে,,,

–‘ভাইকে ভাই ডাকবে না তো কি ডাকবে?’

তাহশিফ ও তাহমিদ একসাথে চেঁচিয়ে বলে উঠে,,,

–‘কিন্তু পাপা যে বললো তার সাথে আমাদের একজনের বিয়ে দিবে!’

আলিশা এবার চোখ কটমট করে তাকায় আদরের দিকে।আদর আমতা আমতা করতে করতে তাহশিফ ও তাহমিদকে টেনে বাহিরে নিয়ে চলে যায়। আলিশা রাগে ফুঁসে উঠে যেনো আরও!

!

!

–‘বাহ বউ আজকে তো তোমায় অনেক হ…..ট লাগছে!’সাথে…

আর কিছু বলতে দেয় না রাহি শিহাবকে সাথে তার কথায় বিরক্ত হয়ে কটমট করেতে করতে বলে,,,

–‘হা আজকে একটা ছেলে পটিয়ে ভেগে যাবো!’

শিহাব বিছানা থেকে উঠে এসে রাহির বাহু শক্ত করে ধরে বলে,,,,

–‘কি বললে?’

–‘শুনতে পাননি আপনি নাকি কান নেই আপনার?’

রাহি দ্বিগুণ তেজ নিয়ে বলে।শিহাব রাহির কোমড় শক্ত করে ধরে বলে,,,

–‘কি বললে আবার বলো?’

রাহি এবার শুকনো ঢোক গিলে নেয়, আমতা আমতা করে বলে,,,

–‘আমি.. আমি না মানে…’

এরইমধ্যে ছোট রাদিফ কেঁদে উঠে। রাহিকে ছেড়ে দেয় শিহাব,,,

–‘রাতে দেখে নেবো তোমায়, আর ছেলেদের থেকে দূরে থাকবে নাহলে কিন্তু!’

শিহাবের রাগ দেখে রাহি হালকা হাসার চেষ্টা করে বলে,,,

–‘আচ্ছা!’

শিহাব আর কোনো কথা না বলেই রাদিফকে কোলে তুলে নেয়!রাহি ভেংচি কাটে,শিহাব শক্ত চোখে তাকায়!

!

!

সকলে অপেক্ষা করে আছে বাচ্চাদের জন্য, চৌধুরী পরিবারে আজকে উৎসবের আয়োজন চলছে!একসাথে তিনটে নাতি নাতনীর জন্মদিন বলে কথা!

সকলে এসেছে সোহেল,নীলিমা,তরী,সাহফিফ, রাতুল ও ক্যারিরা ও আছে এখনো!রাতুল ও ক্যারির বিয়ে ঠিক করেছেন পরিবারের সবাই মিলে আগামী সপ্তাহেই তাদের বিয়ে!

ক্যাথি ও বাংলাদেশে থাকার প্লানিং করছে কিন্তু রিহান ফারুকি ও ফ্লোরা এখনে সিফট হতে পারবেন না বাংলাদেশে তবে ক্যাথিকে রেখে যাবেন।

এরইমধ্যে আদ্র ও আয়রাকে নিয়ে আঁধার ও আরোহী নিচে নেমে আসে!আয়রাকে লাল গাউনে লাল পরীর মতো লাগছে আর আদ্রকে লাল পাঞ্জাবিতে চকলেট বয়ের মতো লাগছে!

আরোহী ব্লাক শাড়ি পড়েছে আর আঁধার তার সাথে ম্যাচিং করে ব্লাক পাঞ্জাবি পড়েছে!এরইমধ্যে রাহিরা ও নিচে নেমে আসে,তারা ও আরোহীদের মতো ম্যাচিং পড়েছে! আর রাদিফ লাল পাঞ্জাবি পড়েছে!

তারেক চৌধুরী এবার কেক কাটার কথা বলেন,বাচ্চারা হইহই করে ওঠে একসাথে।

একসময় কেক কাটার পর সকলের মাঝে হৈ-হুল্লোড় শুরু হয়,আনন্দের মাঝে সকলের জীবন কেটে যায়! চৌধুরী পরিবারের সকলে অনেক খুশি, তাদের সকলের জীবনের সকল অন্ধকার কেটে গিয়ে সুখের ছায়া নেমে আসে!

~সমাপ্ত~

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে