নিশি_কাব্য পর্ব-৮

0
851

নিশি_কাব্য পর্ব-৮

লেখা-Rudro Khan Himu

আমি লুচু? প্রকৃত লুচু তো সে ই যে আশেপাশের সবাইকে লুচু ভাবে।
>>কে লুচু জানাই আছে। অফিসের প্রত্যেকটা মেয়ে কলিগ কে লাইন মারতে না?
>একদম না।
>>কথা লুকাবে না। গাছের ও খাবে আবার তলায় ও কুড়োবে লুচু লুচু
>একটুও না। শুধু তোমারই আমি
>>কচু
>সত্যি তুমিই আমার পৃথিবী

কথাগুলি ক্রমশ সিরিয়াস হচ্ছে দুজনেই জানে। মাত্র এক মাস হলো বিয়ের। দুজনই দুজনকে খুব ভালবাসে। সারাদিনই দুষ্টুমি, ঝগড়া, মান অভিমান লেগে থাকবে দুজনার মাঝে। কিন্তু দিন শেষে দুজনেই হয়ে ওঠে দুজনার পৃথিবী। চির পরিচিত এই দিনগুলির শুরু পারিবারিক ভাবে
। তবে এই ঝগড়া,
রাগ, মান অভিমান যেন চিনি ছাড়া চায়ের মতো।
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/



>>আর আমি? তোমার মাঝেই যে পৃথিবী খুজে বেড়াই জানো না?
>হুম জানি তো তবু ঝগড়া করা লাগবেই?
>>শুধু তো তোমার সাথেই। অন্যকেউ তো নয়
>চল নিচে চল। ঠান্ডা খুব আজ
>>আমার না পায়ে ব্যাথা
>সে কি! নিজেই তো হেটে এলে উপরন্তু আমায় টেনে নিয়ে এলে
>>কেন যে এই ভূতটার নজরে পরলাম। বোকা ভূত কিচ্ছু বুঝেনা। (অভিমান করে বললো নিশি)
>ইঙ্গিত বুঝতে বাকি রইলো না আমার। হঠাৎ নিশিকে কোলে তুলে নিলাম। আর বললাম “ভূত নজর দেইনি। বরং পেত্নী নজর পরছে বলেই আজ আটার বস্তা তুলতে হচ্ছে” তাই না? বলেই আমার বুকে মুখ
লুকিয়ে ডিসুম ডুসুম দুষ্টুমিষ্টি আদর দিতে লাগলো নিশি।

আজ শুক্রবার ছুটির দিন।
.
.
এই দিনটা আমাদের জন্য খুবই আনন্দের একটা দিন।ন প্রতি শুক্রবার আমরা ঘুরতে যাই। রিসকা দিয়ে পুরো শহর ঘুরেবেড়ায়ি । আজ সবুজের মাঝে দুজন হারিয়ে যাবো দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসায়।

.
.
.

–ওফ! তোমাকে না আজ দারুণ লাগছে।(সাব্বির)

-সত্যি। (নিশি)

–হুম সত্যি সত্যি সত্যি তিন সত্যি সোনা বউ।

-তোমাকেও ভাল লাগছে। কিন্তু অন্য মেয়ে গুলো তোমার দিকে এমনভাবে তাকাচ্ছে এটা আমার একদমই ভালো লাগছে না। আর কখনো এই পানজ্বাবি টা পড়বে না।

–আমি জানি , তুমি এ কথাই বলবে।

-হা হা হা… দুজনেই হেসে উঠে।

বিকেলের অনু রোদ গড়িয়ে পরেছে দুজনের পিঠে। পিনপতন নিরবতা। মায়াময় কত গুলো দেবদারু গাছ পাশাপাশি এমন ভাবে দাঁড়িয়ে আছে যেন এই মুহুর্তে একে অপরকে আলিঙ্গন করবে বা করতে চাচ্ছে। ভারি রোমান্টিক একটা মুহুর্ত।

–এই, সোনা বউ হাতটা একটু দাও না।(সাব্বির)

-হাত দেখার জ্যোতিষী হলে নাকি?(নিশি)

-দাও নাও তোমার ভবিষ্যত বলে দিচ্ছি।

নিঃসংকোচে হাতটা বাড়িয়ে দেয় নিশি। আমি হাতটা নিজের হাতের উপর রাখলাম। করতল দিয়ে নিশির করতল আলতো ভাবে স্পর্শ করছি।

-অসভ্যতা হচ্ছে কিন্তু?

–ধ্যাত তুমি না জন্মের বেরসিক। এতো রোমান্টিক মুহুর্তে ছিলাম আর তুমি সব নষ্ট করে দিলে।

-আহারে আমার রসিক ভ্রমরা রে… দেখি দেখি মুখটা একটু দেখি…..!

হেসে ওঠি দুজনেই।

জীবনের ক্লান্তিকর মুহুর্ত গুলো বুঝি জীবনকে স্থবির করে দেয়। প্রিয়জনের সঙ্গ । প্রিয়জনের একটু ভালোবাসাই পারে ক্লান্তির বন্ধ্যাত্ব ঘোচাতে। প্রিয় মুখের একটু হাসি, দু-চারটে মিস্টি কথা ভাল থাকার জন্য যথেষ্ট।

-আচ্ছা আমাদের বাবু কবে হবে ?

–উনি চাবেন যখন।

-হুম, তাই তো অপেক্ষা করছি।

–একটু কাছে এসে বসো না গো সোনা বউ ।

-হুম এলাম। দুষ্টু বর।

–আর একটু কাছে এসো।

-হুম, হলো এবার?

–হুম। বলে আমি নিজের হাতটি নিশির কাঁধে দেয়। শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম।

পাশাপাশি এভাবে জড়িয়ে থাকার নামই বোধহয় জীবন। জীবনের মাহেন্দ্রক্ষণ গুলো সম্ভবত এভাবেই আসে আবার এভাবেই চলে যায়।

-আবার দুষ্টামি ; ভালো হচ্ছে না কিন্তু সাব্বির।

–কি করলে ভাল হবে শুনি ?

-যা করলে ভাল হয়। হাতটা নামাও না। লোকে দেখবে তো।

–ধ্যাত, মানুষ গুলো বড়ই বেরসিক। শান্তি মত একটু সোনা বউটার সাথে প্রেমও করতে দিবে না।

-আহা , আহারে…

–যাও নামালাম। এবার হাসি মুখে আমার দিকে একটু তাকাও না?

-হুম, তাকালাম।

–এবার চোখ বন্ধ কর?

-কেন-কেন?

–বলছি তো করো-ই না?

-হুম, করলাম। কিন্তু কোন দুষ্টুমি না।

–লক্ষী সোনা। আমি একদম নিশির কাছে চলে আসলাম। নিশির নিঃশ্বাসের শব্দ শুনতে পাচ্ছি। আমাদের নিঃশ্বাসের শব্দ আর গভীর হতে লাগলো।
নিশির চুল গুলো ছোঁয়া দিয়েছি। আস্তে আস্তে গালে স্পর্শ করালাম। চুমু দিবো দিবো মূহুর্ত।

-এই কি করছো ! তুমি দেখছি পুরা অসভ্য হয়ে যাচ্ছ।

–কিছু বলে না । দুজনে চুপচাপ বসে থাকে। আমার চোখে মুখে অভিমানের সুরে।
নিশি ঠিক বুঝতে পারলাম।
– ও লক্ষী সোনা বর । অভিমান হয়েছে তাই না।
কাছে এসো ।
— না আমি তো অসভ্য । কাছে একদমই আসবো না যাও।
– ওরে বাবা রে আমার বরটা এতো অভিমান করে। ধারাও তোমার অভিমান ছুটছি।
.
.
এটা বলতে বলতে নিশি আমার ঠোঁটে গভীর চুম্বন করলা।

চুম্বনে অমরতা। জীবনের যত কামুক শক্তি আছে তার মধ্যে চুম্বনের শক্তি সবার উপরে। সবাই কামের দাস নাও হতে পারে তবে চুম্বনের দাস সবাই। জীনের স্বাদ আহ্লাদ যদি আপেক্ষিকতা হয় তাহলে চুম্বন হচ্ছে তার প্রধান রসদ।

হঠাৎ নিশির
– কণ্ঠ, ‘বলে ওঠলে আমার বাবু চাই। ও সোনা বর একটা বাবু দাও না।

– হুম দিবো। আমার কন্ঠ ভারি হয়ে ওঠে লাগলো। বুকে ব্যথা অনুভব করছি। কারণ নিশি তো কখনও মা হতে পারবে না। কষ্টটা চেপে রেখে হাসি মুখে বললাম হ্যাঁ হবে তো।

.
.
.

সন্ধ্যা ঝুঁকে পড়েছে। চারদিকে আঁধার। আমরা বাসায় ফিরে আসলাম।
চলবে ?

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে