নিশি_কাব্য পর্ব- ৭

0
891

নিশি_কাব্য পর্ব- ৭
লেখা-Rudro Khan Himu

বিয়ের কিছুদিন পর।
.
.
~তুমি সুন্দর। কিন্তু ক্রাশ খাওয়ার মতসুন্দর না(সাব্বির)
>>তাই? তাহলে আমার পিছনে লাইনমারতা কেন?(নিশি)
-আমি কই লাইন মারতাম? তুমিই তোবাসায় এসে আমার রুমে উকিঝুকিমারতে
>>সেটাই আমার ভুল ছিল
>শুধু ভুল না মহাভুল
>>আমি বলেই তোমার মত ইয়ে ছেলেকে বিয়ে করছি
>ইয়েটা কিয়ে?
>>জানি না যাও তো।
>উহু বলই না
>>ঝগাড়াটে পোলা
>ও আমিই শুধু ঝগড়া করি? আর আপনি রবীন্দ্রসঙ্গীত চর্চা করেন?
>>জ্বি না। আমি একটা কিউট লক্ষ্মী একটা মেয়ে
> একহাতে যে তালি বাজে না। নিশ্চই জানো?
>>মানে কি? তুমি বলতে চাও আমি ঝগড়া করি?
>চোরের মায়ের বড় গলা
>>এই শুনেন আপনার সাথে আর কথা নাই। আর কথাই বলবনা। হুহ
>দেখাই যাবে
>>কি??
>হুম। মার্কেট করতে গেলে ঠিকই আমার কথা মনে পরবে। তখন কই যাবে কথা না বলে?
>>পকেট কাটবো
>পকেটমারের জায়গা নাই আমার বিছানায়
>>কি বললা? তোমার বিছানা? সারাদিন কে এত সুন্দর পরিপাটি করে গুছিয়ে রাখে? আমার বিছানা হু
>এহ! এবাড়ির সবই আমার। বিছানাও আমার
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/



এবারে নিশি অভিমানী মুখ করেভারী গলায় বলল,”হ্যা তাইতো। সবই তো আপনার। আমি এবাড়ির কে? আমার তো কোনঅধিকার নেই এসবের উপর। সরিমিস্টার সাব্বির। আমি আসলে ভুলেগিয়েছিলাম আমি কে! মাফ করবেন”বলেই ড্রেসিংটেবিলের সামনে ধপ করেবসে পরলো

সাব্বির বুঝলো মহারাণী বেশ অভিমান করেছে। মহারাণী হয়তো জানেইনা যে অভিমানী মুখে তাকে কতটা
সুন্দর লাগে। দেখলো হঠাৎ করে চোখদিয়ে টুপ করে এক ফোটা বৃষ্টি পরলো। বুঝলো মহারাণী কষ্টও পেয়েছে।

কি নিষ্পাপ বাচ্চাদের মতো করে রেখেছে মুখটা। এখনি অভিমানভাঙাতে হবে মহারাণীর।

>এই শুনো
>>…. কথা নেই। চোখ দিয়ে বৃষ্টি পরছেই
>জানু
>>….
>বাবুই পাখিটা?
>>….
>এই যে সোনাপাখিটা
>>….
সাব্বির বুঝলো এভাবে হবে না

>জান আমার ময়নাটা শুনো না। তোমাকে না কাঁদলে কেমন বাচ্চাবাচ্চা লাগে নিষ্পাপ লাগে
>>….
>উহু বাবুই কথা বলো। সরি আর এমন বলবো না। শুনো! একটু কথাতো বলো

নিশির হাত ধরে বললো সাব্বির। হাত ধরতেই বারুদ বিস্ফোরণ করলো নিশি। ঝটকা দিয়ে হাত ছাড়িয়ে বললো

>>কাঁদাতে ভাল লাগে তোমার। তাই না? কথা নাই তোমার সাথে কোন। কাঁদাও যত খুশি
>এই শুনো কেদোনা আর। কাঁদলে তোমার ওই চোখের কাজল লেপ্টে পেত্নীর মত লাগে তোমায়
>>এখন তো পেত্নীই লাগবে তাইনা? পুরোনো হয়ে গেছি তো
>ছি ছি কি বলে আমার জান? তুমিতো আমার একমাত্র মহারাণী। তোমাকে অনেক ভালবাসি। সারাজীবন বাসবো
>>হু কচু। সবই ঢং। কিছুক্ষণ পর এসবের কিছুই খুজে পাওয়া যাবে না
>উহু সত্যি খুব ভালবাসি। চলো তোমার কাজল মুছে গেছে লাগিয়ে দেই

আমি হাতের তালুর মধ্যে শার্টেরহাতা গুটিয়ে ওর লেপ্টে যাওয়া কাজল মুছে দিয়ে নিজ হাতে কাজল লাগিয়ে দিলাম। যদিও খুব ভালভাবে দিতে পারিনা। তবুও নিশির কাছে এটাই সবচেয়ে আনন্দের বড় পাওয়া নিশি আনন্দ মনে চেপে রেখে সাব্বিরকে কঠোর গলায় বললো-
>>কাজল লাগিয়ে দিয়েছো বলে ভেবো না আমি গলে গেছি
>আবার কি হলো?
>>কই কি হলো? আমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য শাস্তি পেতেই হবে আপনাকে
>যথা আজ্ঞা মহারাণী
>>আজকে রাতের খাবার বন্ধ থাকবে তোমার
>কি বলো তুমি? জানো না আমার ক্ষুধার সময় না খেলে বুক ব্যাথা করে?
>>তাতো আর আমি জানিনা নিশি নির্লিপ্ত স্বরে জবাব দিল

>হুহ্ পারো আর কি? এই রান্নাটাই জেনে এত তালুকদারি!
>>বেশ তো কে মানা করছে তোমায় তালুকদারি করতে। একটা ডিম ও তো ভাজতে পারো না। অকর্মার ঢেঁকী
>এখনি দেখাবো কে অকর্মার ঢেঁকী
>>না লাগবে না। আমি জানিতো তুমি অনেক পারো সব পারো
>না দেখাতে হবে তো পারি না পারিবলেই আমি রান্না ঘরে গেলাম ডিমভাজি করতে।
একটু পর পরই রান্নাঘর থেকেএটা কই ওটা কই বলে হয়রান আমি!

>ডিমটা কোথায় গো?
>>ফ্রিজে
>পিয়াজ?
>>কুচি করা আছে ফ্রিজে
>কড়াই?
>>আছে পাশেই দেখো
>দিয়াশলাই?
>>উপরেই দেখো
আমার একের পর এক প্রশ্নের জবাবদিচ্ছিল আর মিটিমিটি মুখ টিপেহাসছিলো।

হঠাৎ মৃদু একটা আতর্নাদ এলোরান্নাঘর থেকে। নিশি
দৌড়ে গিয়ে দেখল সাব্বিরের ডান হাত এলোমেলো ঝাঁকাচ্ছে।

তারাতারি আমার আঙুল মুখে নিয়ে নিল নিশি। চোখে শাসন নিয়েতাকিয়ে আছে নিশি। আর আমি ভয়ার্ত
চোখে তাকিয়ে আছে নিশির দিকে।.

একটু পর ভর কাটিয়ে নিশির ভুবনজয়করা একটা হাসি দিলাম । নিশি সাথে সাথে ছেড়ে দিল আমার হাত।

>>শয়তানটা আবার হাসে
কি করবো বলো
>>যদি বেশি কিছু হতো তবে কিহতো ভাবছো?
>কিছু হয়নি তো চিন্তা করো না
>>আমি কিন্তু একদিক থেকে খুশি হইছি
>কি? আমার কষ্টে তুমি খুশি?
>>হুম। কারন এখন আর অফিস থেকে ফেরার সময় কেরাম খেলতে পারবে না। তারাতারি বাসায় চলে আসবা। আমার বাসায় একা থাকতে বুঝি ভয় করেনা রাত করে আসো?

>থাক তুমি খুশি তো তাতেই ভালো
>>আহারে বাবুটা রাগ করছে মনে হয়। চলো ভাত খাবে চলো
>যাবো না। ক্ষুধা নেই।
>>আমি বলছি যাবে
>হাতে ব্যাথাতো
>>অসুবিধা নাই। চামিচ দিয়ে খাবেহাত ধরে তুলে নিয়ে গেল নিশি

আমি ভাবছিলাম নিশি নিজ হাতেখাইয়ে দিবে। না তাহলো না।।খাবার টেবিলে….
>>হইছে থাক। অনেক হইছে। দেখি এদিকে আসো। হা করো নিশি খাইয়ে দিচ্ছে।
>>আমার থেকে একটু বেশি আদায় করে নিতে এসব করো। বুঝিতো সব আমি
>ক্ষতি কি তাতে?
>>আমাকে কষ্ট দিয়ে তুমি এসব করবা?
>উহু। সরি। নাও এবার তুমি একটু খাও
>>এই কি করো? জ্বলবে তো
>কিচ্ছু হবে না। তুমি মিষ্টি দিয়ে দিবা তখন
>>যাহঃ পাজি বদ দুষ্ট কোথাকার
>শুধুই তোমার
>>ঢং
>ঢং!! ভালবাসি তো
>>কচু বাসো। শুধু আমিই বাসি
>আমি বাসি না?
>>দেখি নি তো কখনো কিছু করতে
>কি করতে হবে?
>>ভালই বাসো নি কখনো। কি করবা?
>তাই?
>>হুম

>একটা গল্প শুনবা তাহলে?
>>হুম বলো
>একটা মেয়ে ছিল
>>কি?
>না না। শুধু মেয়ে না ছেলেও ছিলো
>>তারপর?
>মেয়েটা সাথে ছেলেটার বিয়ে ঠিক হয়। চেনা মনে হচ্ছে গল্পটা?
>>একটু একটু
তারপর মেয়েটা বলে ছেলেটাকে বিয়ে করতে পারবে না।

>>কি করবে বলো? ছেলেটা তো গাধা ছিল। মস্ত বড় গাধা।
>হুম তারপর
প্রতিদিনই নিজেকে পরিবর্তন করছে মেয়েটার জন্য।

মেয়েটাকে পায়ে জন্য। মেয়েটাকে উপলব্ধি করতে চেষ্টা করছে মানুষকে চেহারা দেখে না মন দেখা ভালোবাসতে।
>>ঠ্যাকা পরছে আমার? হুহ্
>আহা শুনোই না
>>কি শুনবো? ভালইতো বাসো নি কখনো। ভীতু কোথাকার
>এইযে আমি মোটেও ভীতু না হুহ্।
চলবে ?
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে