নিশি কাব্য ৪ পর্ব

0
1106

নিশি কাব্য ৪ পর্ব
লেখা- Rudro Khan Himu

সেই দিনের পর থেকে নিজের অজান্তেই মন খারাপ হয়ে যায় অনুভব করতে পারছি আমার অনেক বড় একটা জিনিস হারিয়ে গেছে। নিশির জন্য নিজে দোষকে পরিবর্তন করেছিলাম কিন্তু আজ নিজেকে বড় অচেনা লাগে।
এখন আমার আর মেয়েদের পিছনে ঘুরতে হয় না। বরং চো অনেক মেয়ে আমার পিছনে ঘুরে। কিন্তু এখন ইচ্ছে হয় আগে জীবনে ফিরে যেতে। নিজেকে পরিবর্তন করতে করতে এখন নিজেকে চিনতে পারি না।

৬ মাসে হয়ে গেছে ভাবে ছিলাম নিশি হয়তো নিজের ভুল টা উপলব্ধি করে আমার কাছে ফিরে আসবে।
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/



কিন্তু আমার আশায় গুড়েবালি । নিজের ভুল টা উপলব্ধি না করে । এখন বরং চো ভালোবাসার মিথ্যে খেলায় মেতে উঠেছে। আমার চোখের সামনে দিয়ে ছেলেদের হাতে হাত ধরে হাটে যায়।এই দৃশ্য দেখার পর নিজের উপর রাগ হতে লাগলো।
নিশি আর আমার মধ্যে তৈরি হল অদৃশ্য এক প্রতিযোগিতা। জামার মত আমরা প্রেমিক-প্রেমিকা পরিবর্তন করতে লাগলাম।

নিশি একটা নতুন সম্পর্ক করছে তো আমার ও করতে হবে। নিজেদের মনের কথা অনুভব না করা। আমাদের রাগকে মূল দিতে শুরু করলাম দুইজন।
এখন প্রতিদিন দেখা হয় আমাদের কিন্তু দুইজনের হাত ধরে রাখা মানুষ টা আলাদা । এতোটা প্রতিযোগিতা শুরু হলে যায়ে আমি যদি নীলার (নতুন প্রেমিকার) হাত স্পর্শ করি । সাথে সাথে নিশি সাকিবের অনেক কাছে কাছি চলে যায়। একধাপ এগিয়ে থাকার প্রতিযোগিতা শুরু করে দিয়েছে আমরা।

এমন করে কিছু দিন চলে গেল আমাদের প্রতিযোগিতা পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু রাতের অন্ধকারে যখন পৃথিবীর মানুষগুলো ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে যায়। তখন নিশির কথা ভেবে ভিজে যায় চোখের জলে। মাঝে মাঝে জানতে ইচ্ছে হয় । নিশিরও কি আমার কথা ভেবে রাত জেগে থাকে, চোখ ভিজে ওঠে অশ্রুতে। ধূর কি সব ভাবছি। নিশি আমার কথা একদমই ভাবে না।

কিছু দিন ধরে দেখছি সাকিবের সাথে দেখা করা শেষ ডায়েরীতে লেখালিখি করে।
প্রতিদিন ডায়ছরীটা নিজের কাছে কাছে রাখে । সাকিবের সাথে কি জানেন একটা সমস্যা হয়েছে ।
নিশির চোখ মুখ অন্যরকম লাগছে। দেখা বুঝে যায়ছে নিশি খুব চিন্তিত।
সাকিব একপ্রকার জোরাজুরি করে নিশি কে কোথায় জানেন নিয়ে গেল। হাতে থাকা ডায়েরীটা নিচে পড়ে আছে। আমি জত্ন করে ওঠে নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।

ডায়েরীটা খুলে পড়তে ইচ্ছে করছে খুব । কিন্তু অনুমতি ছাড়া অন্যান্যের ডায়েরী তো পড়তে হয় এটা ভেবে রাখে দিলাম।

রাত ১ টার দিকে খুব বেশি মনে পড়ছে আজ নিশি কে । বার বার মনে হচ্ছে নিশির কোন বিপদ হয়েছে।
ডায়েরীটা স্পর্শ করে আমি নিশি কে অনুভব করতে পারছি। আমার খুব কাছে নিশির অস্তিত্ব অনুভব করছি ।
ডায়েরীটা খুলে পড়া শুরু করলাম”-
‘তুমি’!- শব্দটা মনের ভিতর যখন খেলা করে,তখন তোমার নামটাই
চলে আসে সাব্বির। হ্যা.. আজও অনেক বেশিই ভালোবাসি তোমায়।
.
আমাদের সম্পর্কটা ছিল সূর্য-পৃথিবীর সম্পর্কের মতন। আমি
ছিলাম পৃথিবী আর তুমি ছিলে সূর্য। সূর্য ছাড়া যেমন পৃথিবী
অচল,তেমনি তুমি ছাড়া আমি অচল। মেঘ হলে যেমন সূর্য
মেঘের আড়ালে চলে যেত,তেমনই তুমিও আমার থেকে নানা
কারনে আড়ালে চলে যেতে। সূর্যর আরও গ্রহ
আছে,তেমনি তোমারও অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী আছে। কিন্তু
পৃথিবীর সূর্য একটাই.. তেমনই আমার একটাই তুমি।
.
কিন্তু শুধু তফাৎটা কোথায় যান!? তুমি আমার গ্রহের স্থায়ী সূর্য
নও বা আমি তোমার স্থায়ী সূর্য হতে পারি নি। তবে পৃথিবী
সূর্যকে সবসময় মিস করে.. কিন্তু আমি তোমাকে কখনই মিস করি
না। কারন তুমি মিশে আছ আমার আত্মার সাথে। নিজের আত্মাকে
তখনই মিস করা যায়,যখন এই দেহে আর প্রাণ থাকে না। তবে
কিভাবে আমি তোমাকে মিস করব!?
.
আমাদের ভালোবাসাটা ছিল মানুষ আর চাঁদের ভালোবাসার মত। যখন
মানুষ বাস্তবতার সম্মুখীন হয়, তখন সে চাঁদের সৌন্দর্য উপলব্ধি
করতে পারে। তেমন আমি এখন তোমার ভালোবাসা উপলব্ধি
করতে পারছি।
.
ভালোবাসা কী!? এর কোনো ব্যাখা আছে!? থাকলেও
একজনের কাছে ভালোবাসার ব্যাখা একেক রকম। তবে আমার
কাছে ভালোবাসার ব্যাখা মানে কি তুমি জান?
আমার কাছে ভালোবাসার ব্যাখা মানেই হল তুমি,তোমার ভালোবাসা.
আমার কাছে ভালোবাসার মানে হল তোমার সেই মিষ্টি
হাসি,তোমার সেই মায়াভরা দুটি চোখ,এলোমেলো চুল আর
রাগে ভরা কথা.. এগুলোই তো আমার কাছে ভালোবাসার উৎকৃষ্ট
ব্যাখা!!
.
কতোই অবহেলার শিকার হয়েছি আমি! ভাবতাম তুমি হয়ত রাগ করে
আমার সাথে কথা বলছ না,মেসেজের রিপ্লাই দিচ্ছ না.. কিন্তু আমি
আজও বুঝতে পারি না কেন আমি এতো অবহেলার শিকার হওয়ার
পর এখনও তোমাকেই ভালোবাসি!? ও.. হয়ত এটাই মনে হয়
ভালোবাসা!!..
.
একসময় আমি ভুলে গেছিলাম যে “আত্ম-সম্মান” বলে একটা
শব্দ আছে। তখন ভাবতাম তুমি তো আমার আপন মানুষ,তোমার
কাছে আমার আত্মসম্মানের মূল্য না থাকলেও চলবে! কিন্তু তুমি
আমাকে বুঝিয়েছ আত্মসম্মান কি জিনিস! এর জন্য তোমাকে
অশেষ ধন্যবাদ।
.
হ্যাঁ.. আমি আজও তোমায় ভালোবাসি.. সারাজীবন হয়ত
ভালোবেসেই কেটে যাবে! তবে তোমাকে দেখার
কোনো শখ আমার নেই। যদি কোনোদিন তোমাকে
নিজের হিসেবে তোমাকে পাই!,,তবে সেদিনই
তোমাকে দেখব। যা কিনা ইহলোকে হয়তবা সম্ভব না.. তবে
এইটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি….
<.. তোমাকেই ভালোবাসছি, আর তোমাকেই ভালোবাসব.. > ?।
এতো আমাকে ভালোবাসে মেয়েটা। আমি কিভাবে নিশিকে বুঝতে ভুল করলাম।
কাল দেখা করা নিজের ভুল স্বীকার করে নতুন করে জীবন শুরু করবে। সারারাত ধরে ভাবছি কিভাবে নিশির সামনে যায়ে দারাব।
চলবে ?

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে