ধোঁকা part-5+6

0
2289

#ধোঁকা
#Tanjina_Akter_Misti
part-5+6

এতো খিদে পেয়েছে যে আমি নরতে ও পারছি না। এমনিতেই আমি খিদে সহ্য করতে পারি না। আর আজ সারাদিন না খেয়ে আছি। কোন রকম উঠে বাইরে এলাম সিরি দিয়ে নামতে ও পারছি না এতো দূর্বল লাগছে মনে হচ্ছে এখনই পরে যাব। নিচে গিয়ে পুরা রুটি আর ডিম নিয়ে বসলাম। একটু ছিড়ে মুখে দিলাম।
ছিহ কি খারাপ হয়েছে খেতে এগুলো কি খাওয়া যায়।
তাও খিদে বেশি পেয়েছে বলে অনেক কষ্টে একটু খেলাম।

ফোন ও নেয় যে আদি কে কল করবো একা একা এখন খারাপ লাগছে ঘুমিয়ে ছিলাম বলে এতোক্ষন কোন রকম লাগে নি। এখন বুঝতে পারছি বাড়িটা কতোটা নিস্তব্ধ। দরজা খুলে বাইরে আসলাম দাড়োয়ান আছে একজন এ ছাড়া আর কেউ নেই বিকেল হয়েছে বলে সে বাগানে পানি দিচ্ছে। আমি এগিয়ে গেলাম তার সাথে একটু কথা বলার জন্য। আর তো কেউ নেই কথা বলার মতো। বাগান টা সুন্দর আদি করেছে মনে হয় সব ধরনের ফুল আছে। দাড়োয়ান কাকা আমাকে দেখে দৌড়ে এলো কিছু বুঝলাম না এমন দৌড়ে আসার কি আছে।

– কি হয়েছে কাকা আপনি দৌড়াদৌড়ি করছেন কেন?( অবাক হয়ে)

– আপনি এখানে কেন , কিছু কি হয়েছে কোন দরকার থাকলে আমি যেতাম আপনি কষ্ট করতে গেলেন কেন।

– এতো ব্যস্ত হওয়ার কিছু নেয়। আমি এমনি এসেছি। বাড়িতে কেউ নেয় তো তাই একা একা ভালো লাগছিল না তাই আপনার সাথে পরিচিতি হতে এলাম।

– ওহ আচ্ছা আর কখনো এভাবে বাইরে আইসেন না। আদি বাবা জানলে আমারে অনেক বকবো। এখন ভিতরে চলে যান।

– এতো ভয় পাচ্ছেন কেন। আর বকবে কেন আমি তো ঘুরতে এসেছি।

সে আর কিছু না বলে চলে গেল এতো ভয় পাওয়ার কি আছে। ঘুরতেই তো এসেছি দেখলাম সে গেটের কাছে গিয়ে তালা দিল ভালো করে তারপর আবার গাছে পানি দিতে লাগল। এখন বুঝলাম ভয়ের কারণ আদি নিশ্চয়ই বলে গেছে আমি যেন বাড়ি থেকে না বের হয়। তারমানে আদি ভেবেছে আমি পালিয়ে যাব।

সত্যি কতো বোকা আদি আমি নাকি পালিয়ে যাব। এটা তো কখনো হবে না শত কষ্ট দিক আমি তো এতো সহজে যাচ্ছি না। যাকে ভালোবাসি যার হাত ধরে বাড়ির সবাইকে ছেড়ে এসেছি। সে কেন আমার সাথে এমন করছে সব না জেনেই চলে যাব অসম্ভব।

কথা গুলো ভেবে ভিতরে চলে এলাম।

রাত আটটা বাজে এখন পযর্ন্ত আদি বাড়ি আসে নাই। এতো বড় একটা বাড়িতে আমি একা ভয়ে ভয়ে আছি কখন আসবে কে জানে ওর কি একটু চিন্তা হচ্ছে না আমি কিভাবে আছি কি করছি। এতো পাষাণ হয়েছে ও।

নয়টার দিকে আদি বাড়ি এলো। মনে হয় অনেক পরিশ্রম করেছে দেখে অনেক টায়ার্ড লাগছে। এসে বাথরুমে গিয়ে গোসল সেরে এলো। তারপর ডাস করে খাটে শুয়ে পরলো। আমি ওর মাথার কাছে গিয়ে বসলাম তারপর মাথা টিপে দিতে লাগলাম। ও আমার হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে বিরবির করে কি যেন বলতে লাগল, তারপর হাতটা ওর বুকে চেপে ধরলো। আমি ওর কথা বুঝার জন্য কানটা ওর মুখের কাছে এগিয়ে নিলাম কিন্তু কিছুই বুঝতে পারছি না।

– আদি কি বলছো আমি তো কিছু বুঝছি না।

এখন আর কথা বলছে না মুখের দিকে তাকিয়ে দেখি ঘুমিয়ে গেছে। কি বলতেছিল আদি,,,শুধু ধোঁকা দিয়েছে কেন,,এটা বুঝেছি কে কাকে ধোঁকি দিয়েছে।

খেয়ে এসেছে নাকি কে জানে। নিচে এসে কি করা যায় ভাবছি পুরো কিচেন ঘুরে নুডলস পেলাম। আমার অনেক পছন্দ আম্মু যখন রান্না করতে আমি দাড়িয়ে থাকতাম আম্মুর পাশে। কারণে ভাইয়ার ও নুডলস পছন্দ খাওয়া নিয়ে ঝগড়া করতাম সবসময় দুজন।

আম্মুর রান্না মনে করে নুডলস রাধলাম। একটু খেয়ে দেখলাম ভালো হয়েছে খাওয়া যাবে। পিলেটে করে রুমে এসে দেখলাম এখন ও শুয়ে আছে আদি। আমি কাছে গিয়ে কয়েক বার ডাকলাম কোন সারা শব্দ নেয় হাত দিয়ে ধাক্কা দিলাম। একি শরীর এতো গরম ভালো করে মাথায় গাড়ে হাত দিয়ে দেখি প্রচণ্ড গরম তার মানে আদির জর এসেছে।

এতো জর এখন কি করব আমি তো কাউকে চিনি ও না এখান কার ডাক্তার পাবো কই। আমার জর আসলে আম্মু পানি ভিজিয়ে দিতো আমি ও তাই করি দেখি কাজ হয় নাকি অনেক ক্ষণ দিলাম কিন্তু কিছুই হচ্ছে না। আদির নাম্বার নিয়ে দাড়োয়ান কাকা কে ফোন দিলাম সে ও ফোন ধরছে না কয়েক বার দিয়ে রেখে দিলাম। মনে হয়ে ঘুমিয়ে পরেছে।

একটু পর কলিং বেল বাজানোর শব্দ পেলাম এতো রাতে আবার কে এলো দরজায় কাছে এসে বললাম,, কে
– ম্যডাম আমি শফিক আপনাদের দাড়োয়ান আমাকে ফোন দিয়েছিলো আদি বাবা।

– ওহ হ্যাঁ আপনি তো আমার ফোন রিসিভ করছিলে না ।

দরজা খুললাম

– কি হয়েছে ম্যডাম এতো রাতে ফোন দিয়েছিল কেন আদি বাবা।

– আদি না আমি দিয়েছিলাম।

– কেন কি হয়েছে?

– আদির অনেক জর এসেছে আমি কি করব ভেবে পাচ্ছি না। আপনি একটু ডাক্তার কে খবর দিতে পারবেন।

– হুম পারব আপনি এতো চিন্তা কইরেন না আমি আসছি।

একটু পর শফিক ডাক্তার নিয়ে আসে।

দুই দিন জর থাকে আদির এতো কষ্ট হচ্ছি লো আমার। উঠতে পারে নাই। আমাকে কিছু বলে ও নি এই দুইদিন আমি ওর সাথেই থেকেছি। দাড়োয়ান কাকা কে বলে বাইরে থেকে খাবার আনিয়ে খাওয়া হয়েছে।

এদিকে মেঘনার বাবা মা মেয়ের চিন্তায় শেষ।

– আমার মেয়েটা কোথায় চলে গেল। চার দিন হয়ে গেছে মেয়েটা নিখোঁজ। তুমি যদি মেনে নিতে ওই ছেলে কে তাহলে আজ মেয়েটা চলে যেত না। কোথায় আছে কি করছে কে জানে।( বলেই কান্না করতে লাগল রুমা বেগম -মেঘনার মা)

– ওই মেয়ের জন্য কেদেঁ কি হবে সে কি আমাদের কথা ভেবেছে। নিজের জন্য আমাদের কে পর করে অন্য একটা ছেলের হাত ধরে চলে গেছে ওই মেয়ের জন্য আর কাদবে না। ( রেগে কথা গুলো বলল মহিউদ্দিন – মেঘনার বাবা)

– তুমি বুঝবে না। মায়ের মন মেয়ে শত খারাপ হলে ও মা কখনো তাকে ভুলতে পারে না আমি ও পারবো না। তুমি আমার মেয়ে কে ফিরিয়ে দাও। ওর যার সাথে খুশি থাক মেনে নাও।

– দুই দিন তো কম খুজলাম না আর ওর নাম মুখে আনবে না।

বলেই উঠে চলে। রুমা বেগম মেয়ের জন্য কষ্ট পাচ্ছে মায়েরা এমন ই হয় সন্তান শত ভুল করলেও ক্ষমা করে দেয়।

মেঘ( মেঘনার ভাই) অফিস থেকে সোজা চলে গেছে বন্ধুদের সাথে আড্ডা খানা।

– কিরে মেঘ তুই এখানে কেন, বন্ধ ছাড়া তো আসিস না আজ একে বারে অফিস থেকে এখানে চলে এলি।( অনি)

কিছু না বলে মদের বোতল হাতে নিয়ে খেতে লাগল।

– এটা কি করছি আজ এলো খাছসিস কেন। বাড়ি যাবি না আন্টি তোকে এভাবে এখন দেখলে অনেক কষ্ট পাবে কিন্তু এমনিতেই মেঘনা কে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। ( দিহান)

– আমি পারছি না আর আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে এগুলো না খেলে আমি পাগল হয়ে যাবো।( মেঘ)

– তোর বাবা মার জন্য নিজকে শক্ত রাখা উচিত । ( অনি)

– হুম অনি ঠিক বলেছে ওই সব ভুলে বাড়ির সবার জন্য খুশি থাক ভাল থাক। মেঘনার কোন খুজ পেয়েছিস।( দিহান)

– নাহ রে পাই নি।

অনেক ক্ষণ থেকে বাড়ি ফিরে এলো মেঘ। আজকে খাওয়া টা বেশি হয়ে গেছে নিজেকে কন্টোল করা। কলিংবেল দেওয়ার সাথে দরজা খুলল, আম্মু আজ ও জেগে আছে।

– কি রে এলি কেন, তুই ও চলে আরেক জনের মতো আর আসতে হবে না। কাউকে দরকার নেই।

– মা হ

– তুই মদ খেয়েছিস?

– না মানে ( কি বলবো আমি বুঝতে পারছি না)

– কি হলো বলে। এগুলো খেবাড়ি আসার আগে আমার জন্য বিষ নিয়ে আসতে। তোদের জন্য কি কোন দিন শান্তি পাব না একজন চলে গেছে ভালোবেসে, আরেকজন দেবদাস হয়েছে।

বলে ই আম্মু কাদতে কাদতে চলে গেল। আমি নিজের রুমে চলে আসলাম। সত্যি কি অনেক খারাপ হয়ে গেছি কিন্তু কেন, ভালবেসে।

অতীত

চলবে…….

#ধোঁকা
#Tanjina_Akter_Misti
part-6
অতীতের পাতায় ডুব দিল মেঘ।

কিরে না খেয়েই বেরিয়ে যাচ্ছিস যে?( মেঘের মা)

একটু আগেই তো খেলাম আবার খাবো কি বলছ! দশটায় খেয়েছি আর এখন মাএ এগারো টা বাজে। ( মেঘ বিরক্ত হয়ে কথাটা বলল,,, সে তার মাকে চেনে কোথাও যেতে গেলে সব সময় এমনি করে। )

তাই কি হয়েছে খেয়েছিস বলে একটু পর তো আবার খিদে পাবে। আমি খাবার টিফিন বক্মে বরে রেখেছি ওইটা নিয়ে যা রাস্তায় খেয়ে নিস! কেন যে দূরে গিয়ে পরতে হবে বুঝি না এখানে কি পরার জায়গা নেয় যে চট্টগ্রাম যেতে হবে? ( কথা গুলো বলেই কান্না কান্না ভাব করে উঠল আম্মু)

ওফ আম্মু তুমি আবার শুরু করলে। একবছরের ই তো ব্যাপার এতো কান্নার কি আছে আমি তো কিছুদিন পর পর আসব। এখন তুমি কান্না করলে আমি কি যেতে পারবো। ( মেঘ ইনোসেন্ট মুড নিয়ে )

আচ্ছা, নিজের খেয়াল রাখবি আর সময় মতো খাওয়া দাওয়া করবি। নিজের প্রতি তো একটু ঔ যত্ন নেস না। আর এই টিফিন বক্ম ব্যাগে বরে নে। আমি আরেক পিলেটে খাবার এনে তোকে খাইয়ে দেবো।( আম্মু)

আমি সত্যি এখন খেতে পারবো না তুমি টিফিন টা দাও নিয়ে যাচ্ছি। মেঘনা কই ওকে দেখছি না যে?

কই আর থাকবে রাগ করে বসে আছে ঘরে!

বোনের রাগ ভাঙাতে ঘরে গেলাম ওরে বাবা রেগে আমার দিকে তাকাচ্ছে ও না। আমি সামনে গিয়ে কানে ধরে,, সরি,, বললাম কাজ হলো না। মেঘনা আমাকে ছাড়া একটু থাকতে পারে না। ও যদি জানে চলে যাব তাহলে না খেয়ে থাকতো তাই ভেবেছিনা জানি জাব কিন্তু সকালে সব জেনে গেছে।

কি হলো কথা বলবি না আমার সাথে সরি বললাম তো এখন কি কান ধরে উঠ বস করতে হবে আমাকে। ( বলে উঠ বস করতে লাগলাম)

থাক আর ভাব দেখাতে হবে না। তুমি তো আমাকে একটু ও ভালোবাস না বাসলে কি না জানিয়ে যাওয়ার কথা ভাবতে পারতে।( রেগে)

তুই কষ্ট পাবি তাই আচ্ছা সরি আর কখনো এমন করবো না এখন আমাকে হাহি মুখে বিদায় দে নয়তো আমি যেতে পারবো না।

অনেক ক্ষণ ভরে মেঘনার রাগ ভাঙাতে সক্ষম হলাম তারপর সবার থেকে বিদায় নি রওনা হলাম চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে।

মাস্টাসে পরতে যাচ্ছি চট্টগ্রাম। বাড়ির সবাইকে ছেড়ে যেতে খারাপ লাগছে কিন্তু সরকারি ভাবে পরতে পারবো তাই চলে এলাম।

এখানে এসে আরেক বিপদ হলো। যে বাড়িতে ভাড়া থাকবো সে বলল,,, আজকে নাকি থাকতে পারবো না। কারণ যে রুমে আমি থাকবে তাতে যারা ছিলো তাদের আজ চলে যাওয়ার কথা ছিলো কিন্তু একটা প্রবলেম এর জন্য আর ও এক সপ্তাহ থাকতে সবে তাদের।

বাড়ির ওয়ালা,,, আমার জন্য তোমার কি বিপদ হলো বাবা এখন কি করি বলো তো এতো দিন ছিল তারা এখন তো আর বলা যায় না চলে যাও।

মেঘ,,, হুম, আনকেল কিন্তু আমি এখন কোথায় যাব আমি তো এখানে কাউকে চিনি ও না আর সাত দিন কোথায় থাকব। আমার কাল থেকে class করতে হবে।

বাড়িওয়ালা,,, আচ্ছা দাড়াও আমি একটা ব্যবস্তা করছি। তোমাকে অন্য এক জায়গায় থাকতে হবে আর বন্ধ হাবিবুর এর বাসায় ওটা ভাড়া দেয় না নিজেদের আমি ফোন করে বলে দিচ্ছি তুমি ওইখানে যাও। এক সপ্তাহ পর এখানে থেকো।

বাড়ির সামনে দাড়িয়ে আছি।
বাড়িটা অনেক বড় দুতালা গেটের বাইরে দারিয়ে আছি। অন্যের বাসায় যেতে ও কেমন জানি লাগছে। হঠাৎ দাড়োয়ান আমাকে দাড়িয়ে থাকতে দেখে বেরিয়ে এলো।

– কাকে চাই এভাবে দাড়িয়ে আছেন কেন?

– এটা কি হাবিবুর রহমানের বাড়ি।

– হুম;

তার সাথে কথা বলে ভিতরে ঢুকলাম ঢুকলাম,, চার পাশে দেখছি অনেক সুন্দর বাড়ি টা। একদম সাজানো গুছানো সবকিছু দেখছিলাম হঠাৎ একটা মিষ্টি কণ্ঠের গান কানে এলো গানটা যেন হৃদয় ছুয়ে যাচ্ছে কে গাইছে এতো সুন্দর করে জানার খুব ইচ্ছে হলো বাড়ির ভিতরে না গিয়ে বাগানের দিকে যেতে লাগলাম ওই দিক থেকেই গানটা আসছে। এই দিকটা তো আরও সুন্দর নানা ফুলের গাছ চার পাশ ফুলের গন্ধে মম করছে মুগ্ধতার সাথে দেখছি আর এগিয়ে যাচ্ছি।

হঠাৎ দেখলাম একটা মেয়ে গান গাইছে আর নাচছে অন্য দিকে যার জন্য আমি মুখ দেখতে পারছি না। আমি দেখার চেষ্টা করছি কিন্তু অন্য দিকে ঘুরে আছে।
মেয়েটা একটা নীল রং এর ফোরক আর সাদা ওড়নাটা কোমরে বেধে রেখেছে। চুল গুলো বেনি করে রেখেছে। হঠাৎ নাচতে নাচতে আমার দিকে ঘুরলো আর সাথে সাথে চিৎকার করে উঠল, আমি কিছু বুঝলাম না মেয়েটার সাথে আমি ও চিৎকার করে উঠলাম।
মেয়েটি হঠাৎ চিৎকার থামিয়ে অবাক চোখে আমার দিকে তাকাল। আর আমি মেয়েটি চোখে হারিয়ে গেছি অসম্ভব সুন্দর দেখতে। মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছি মেয়েটির দিকে অন্য কোন দিক খেয়ালই নেয় হঠাৎ চেচামেচি তে বাস্তবে ফিরলাম।

– এই মিস্টার আপনি কে আর এভাবে চিৎকার করলেন কেন?

– আমি তো আপনার চিৎকার শুনে চিৎকার করলাম। আপনি চিৎকার করলেন কেন?

– আমি তো আপনাকে দেখে চিৎকার করেছি। কিন্তু আপনার চিৎকারের কারণটা বুঝলাম না। আপনি কে আর এখানে কি করছেন ওয়েট ওয়েট আপনি কি চুরি করতে এসেছেন?

– এ্যা

– হুম ঠিক আমি শুনেছি এখন চুর রা ভালো পোশাক পরে আসে আমাদের কে বোকা বানানোর জন্য মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে তারপর সবকিছু নিয়ে চলে যায় কিন্তু আপনার আশা সফল হবে না আমি আপনাকে চিনে ফেলেছি। আববু আববু কোথায় তোমরা চুর ধরেছি।

এ কোন বিপদে পরলাম রে বাবা এই মেয়ে তো অনেক সাংগাতিক আমাকে চুর বানিয়ে দিল।

#চলবে

(ভুলক্রটি হলে ক্ষমা করবেন )

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে