তোর_শহরে_ভালোবাসা পর্ব-১০

0
2252

#তোর_শহরে_ভালোবাসা??
………{সিজন-২}
#ফাবিহা_নওশীন

পর্ব~১০

??
মুহুর্তের মধ্যেই পুরো বাড়ি ফাকা হয়ে গেছে।শুধুমাত্র নিশির দু-তিন জন বন্ধু আছে।নিশি জয়কেও বিদায় করে দিয়েছে।আদির রুম সাজানো হচ্ছে।নিশি সামুকে ভালো করে আবার সাজিয়ে দিচ্ছে।কাদতে কাদতে চেহারার বেহাল দশা।
নিশি সামুর মেকাপ ঠিকঠাক করে অপরাধীর দৃষ্টিতে সামুর দুহাত ধরে কেদে দিলো।তারপর কান্নামিশ্রিত কন্ঠে বললো,
—–সামু আমাকে ক্ষমা কর।আমার জন্য তোর জীবনে এতবড় একটা দূর্ঘটনা ঘটে গেলো।শুধু আমার জন্য।

সামু শুকনো হেসে বললো,
—–না আপু তোমার কোনো দোষ নেই।নিজেকে অযথা দোষারোপ করোনা।সবই আমার ভাগ্য।ভাগ্যকে আমরা এড়িয়ে চলতে পারিনা।এটাই আমার কপালে ছিলো।
যাইহোক আমাকে কেন সাজাচ্ছো এভাবে?আমার ভালো লাগছে না এসব।

নিশি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো,
—–যতই হোক আজ তোর বাসররাত।

সামু তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বললো,
—–বাসর!! বেশ বলেছো।

নিশি চুপ করে গেলো।কি আর বলবে।ও সামুর মনের অবস্থা কিছুটা হলেও বুঝতে পারছে।

সামুকে আদির ফুলে ফুলে সাজানো ঘরে নিয়ে বসানো হয়েছে।সামু চুপ করে বসে আছে।
নিশি আর নিশির ফ্রেন্ডরা রুম থেকে যেতেই সামু লেহেঙ্গার ঘোমটা ফেলে দিলো।তারপর মনে মনে বলছে,
—–যাকে আমার এতটা অসহ্য লাগে আজ আমি তার ঘরে তার জন্য বউ সেজে অপেক্ষা করছি।কিছমাতকা কেয়া খেল হে।হে আল্লাহ আমার কপালে তুমি এই রেখেছিলে?কি অপরাধ ছিলো আমার?

সামুর দুচোখ বেয়ে পানি পড়ছে।আজ ওর কান্নার দিন।চোখের পানি বাধই মানছেনা।
আদি রুমে ঢুকলো।রুমে ঢুকে সামুকে কাদতে দেখে ওর মেজাজ আরো খারাপ হয়ে গেলো।
আদি ওর কাছে গিয়ে ধমকে বললো,
—–তুমি আবার কাদছো?কেন কাদছো?আই হেইট টেয়ারস।সো ডোন্ট।

সামু চোখের পানি মুছে কটাক্ষ দেখিয়ে বেড থেকে নেমে বললো,
—–নাটক করছেন?আপনার খুব মজা লাগছে তাইনা? আপনার জন্য আমার জীবন ছাড়খার হয়ে গেলো।আর আপনি জিজ্ঞেস করছেন আমি কেন কাদছি?

আদি দাতে দাত চেপে বললো,
—–আমার জন্য তোমার জীবন ছাড়খার হয়ে গেলো? তা কিভাবে শুনি।

—–এখনো বুঝতে পারেননি?আপনি চাইলেই এই বিয়েতে বাধা দিতে পারতেন।আপনি রাজি না হলে এই বিয়েটা হতোনা।

আদি তাচ্ছিল্য করে বললো,
—–কারণ আমার অনেকদিনের স্বপ্ন ছিলো তোমাকে বিয়ে করার তাই হ্যা বলেছি।

সামু চোখ পাকিয়ে আদির দিকে তাকালো।
—–মজা করছেন আপনি আমার সাথে?

—–ইয়েস আ’ম জোকিং।
দেখো তুমি আমার উপর অযথা চেচামেচি করছো।তুমি আমি কেউ জানতাম না এমন কিছু হবে।আমি যদি দোষী হই তবে তুমিও দোষী।আমি তোমার লাইফে ঢুকেছি তুমিও আমার লাইফে ঢুকেছো।এই দেখো আমার রুমেও ঢুকে গেছো।আর আমাকেই কথা শুনাচ্ছো?নাখড়া দেখাচ্ছো?অদ্ভুৎ মেয়ে তো তুমি।

——হ্যা আমি অদ্ভুৎ মেয়ে।আর হ্যা আপনার রুমে এসে আমি খুশিতে নাচছি না বরং আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে।

আদির মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে সামুর কথা শুনে।
আদি সামুর দুবাহু চেপে ধরে চোখ মুখ শক্ত করে বললো,
—–আমাকে রাগিওনা।সেই তখন থেকে তোমার জন্য আমার মাথা গরম হয়ে আছে।এখন আর নতুন করে কেরোসিন ঢেলোনা পুড়ে যাবে।

সামু ভ্রু কুচকে আদির হাতের দিকে চেয়ে আছে।তারপর আদির দিকে চেয়ে বললো,
—–বিয়ে হতে না হতে জোর দেখাচ্ছেন,
গায়ে হাত দিচ্ছেন।হাত সরান।

সামুর কথাটা আদির গায়ে প্রচন্ডভাবে লাগলো।আদি সামুকে আরো চেপে ধরে স্বাভাবিক ভাবে বললো,
—–তোমাকে ছোয়ার জন্য তো আমি মরে যাচ্ছি।তুমি কি ভেবেছো ঘরে জায়গা পেয়েছো তাই মনেও জায়গা পেয়ে যাবে?নো!!
আদি সামান্তাকে ছুড়ে ফেলে দিলো। সামু বিছানার উপর গিয়ে পড়লো।

তারপর আদি সামুকে বললো,
—–আজকের জন্য বেড তোমার।আগামীকাল নিজের ব্যবস্থা নিজে করে নিবে।

তারপর আদি চলে গেলো।সামান্তা উঠে বসে আদির চোদ্দগুষ্টি উদ্ধার করলো।
বিরবির করে বকছে।
“আদি কলার কাদি জীবনেও ভালো হবিনা।আমাকে বলে কিনা নিজের ব্যবস্থা করে নিতে।আমি কি তোর ঘরে থাকার জন্য মরে যাচ্ছি?আমি এ ঘর থেকে বের হতে পারলেই শান্তি।
আই হেইট বয়েজ।প্রথমে ওই নাহিদ(যার সাথে সামুর বাবা বিয়ে ঠিক করেছিলো), তারপর রাজ আর এখন আদি।এরা আমার জীবন তছনছ করে দিলো।আমিও ছাড়ছিনা।আমিও তোর লাইফ ছাড়খার করে দিবো।”

আদি ছাদের রেলিঙ ধরে দাড়িয়ে আছে।হাতে ওয়াইনের বোতল।
“সেলিব্রেশন তো হওয়া চাই।আদিল চৌধুরী যা চায় তাই পায়।আমিও তোমাকে হাসিল করে নিয়েছি।যা আমার নয় তা কারো নয়।”
আদি বাকা হেসে ওয়াইনের বোতলে চুমুক দিলো।

অপরদিকে রাজ নিজের রুমের জিনিসপত্রের উপর নিজের রাগ ঝেড়েছে।এখানো বিয়ের পোশাক চেঞ্জ করেনি।তান্ডব চালিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।ফ্লোরে বসে আছে।ওর চোখ লাল হয়ে আছে।
আমার পাখি এখন অন্য কারো খাচায় বন্ধি আর আমি এখানে অসহায়ের মতো বসে আছি।বাট আমি দীর্ঘসময় বসে থাকবোনা।আমি আবারো উঠে দাড়াবো তারপর সবার থেকে হিসাব নিবো।এক পাইও ছাড় দিবোনা।

আদি রুমে এসে দেখে সামান্তা চাদর জড়িয়ে ঘুমিয়ে আছে।মুখটা শুকনো লাগছে।মনে হচ্ছে অনেক ক্লান্ত।আদি ওর পাশে বসে ওকে দেখছে।হাত বাড়িয়ে ওকে ছুতে গিয়েও হাত সরিয়ে নিলো।
আদি ভুলেও না।যে মেয়ে তারপর তোকে চরিত্রহীন লম্পট উপাধি দিয়ে বসবে।তাই দূরে থাক।এর থেকে যত দূরে থাকবি ততই মঙ্গল।নয়তো মারা পড়বি।

আদি উঠে গিয়ে সোফায় শুয়ে পরলো।

সামান্তা চোখ মেলে তাকায়।বিছানার পাশের জানালা দিয়ে আলো ঢুকছে।পর্দা টানা হয়নি তাই সোজাসুজি আলো ওর চোখে মুখে পড়েছে।সামান্তার আলসেমি লাগছে উঠে পর্দা টানতে।সামান্তা চোখের উপর হাত দিয়ে আবারো চোখ বন্ধ করলো।চোখ বন্ধ করতেই ওর মনে পড়লো গতকাল ওর বিয়ে হয়েছে আর ও এখন আদির রুমে আছে।
সামু লাফ দিয়ে উঠে বসলো তারপর বিছানায় অন্য কাউকে না দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিলো।সামু পুরো রুমে চোখ বুলালো।এই রুমে এর আগে কখনো আসেনি।সোফায় চোখ পড়তেই দেখলো আদি ঘুমিয়ে আছে।
ও ওখানে ঘুমিয়েছে।আমার আর ঘুমানোর দরকার নেই।
সামু উঠে ভারি লেহেঙ্গা দুহাতে তুলে আয়নার সামনে গিয়ে দাড়ালো।গয়নাগুলো ড্রেসিং টেবিলের উপরে।
সামান্তা ছোট ছোট পা ফেলে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো।নিচে নামতেই চোখ পড়লো আদির মা,নিশির দিকে।নিশি একটা লাগেজে কিছু গুছিয়ে রাখছে।আদির মা পাশে দাড়িয়ে।তিনি একজন লোককে বলছে,
—–ও বাড়ি থেকে যা যা দিয়েছে এখানে সব আছে।বলবেন ওদের দেওয়া সুতোয় রাখেনি।বিয়ের লেহেঙ্গাটা যেহেতু ব্যবহার করে ফেলেছে এর বদলে ক্যাশ দিয়ে দিয়েছি।

নিশি আরেকবার ভালো করে দেখ ওদের কিছু যেনো আমার বাড়িতে না থাকে।

নিশি সব দেখে কনফিডেন্সলি বললো,
—–এখানে সব আছে মা।

নিশি আর নিশির মা সামান্তাকে দেখে চুপ করে গেলো।
সামান্তার দিকে এগিয়ে হাসিমুখে বললো,
—–ফ্রেশ হয়ে আয়।তারপর ব্রেকফাস্ট করবো।নিশি সামুকে শাড়ি পড়িয়ে দিস।

সামান্তা আর কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ নিজের রুমের দিকে যাচ্ছে।ওয়াশরুমে গিয়ে শাওয়ার ছেড়ে দিলো।ভারি লেহেঙ্গা ভিজে যাচ্ছে।মুখে লেগে থাকা বাকি মেকাপ গুলো ধুয়ে যাচ্ছে।
সামান্তা ফ্রেশ হয়ে বেরুতেই দেখে নিশি একটা শাড়ি হাতে নিয়ে বসে আছে।ওয়াশরুমের দরজা খোলতেই নিশি সেদিকে দৃষ্টিপাত করে।
নিশি সামুকে শাড়ি পড়িয়ে দিচ্ছে আর বারবার উসখুস করছে হয়তো কিছু জিজ্ঞেস করতে চাইছে।সামু বুঝতে পেরেও চুপ করে আছে ওর ইচ্ছে করছে না কিছু বলতে।
শাড়ি পড়া শেষ করে ওরা ডাইনিংয়ে এলো।সামান্তা চুপ করে চেয়ার টেনে বসে পড়ল।সবাই নিঃশব্দে খাচ্ছে কারো মুখে কোনো কথা নেই।
আদির বাবা নাস্তা শেষ করে উঠে যেতেই সামু বললো,
—–আন্টি আমি ও ঘরে থাকতে পারবোনা।আমি গেস্টরুমেই থাকতে চাই।

সামু উত্তরের আশায় আদির মায়ের দিকে চেয়ে আছে।
আদির মা গম্ভীরমুখে বললো,
—–প্রথমত আমি তোমার আন্টি না শ্বাশুড়ি।তাই আমাকে মা বলে ডাকবে।আর যেহেতু তোমার আদির সাথে বিয়ে হয়েছে তাই ওটাই এখন তোমার ঘর।তুমি সেখানেই থাকবে।

সামু এতো গম্ভীর কথা শুনে আর কথা বলতে পারলো না।
নিশি চিন্তিত ভংগীতে বললো,
——সামু কি হয়েছে?ভাইয়া কিছু বলেছে?

নিশির মা বললো,
—–নিশি এটা ওদের স্বামী স্ত্রীর ব্যাপার।ওরাই মিটিয়ে নিবে।
আর সামু তুমি তোমার সব জিনিসপত্র গুছিয়ে নেও উপরে পাঠিয়ে দেবো।গেস্টরুম লক করবো।নাস্তা শেষেই গুছিয়ে নিবে।

সামু কথায় কোনো উত্তর দিলো না।

সামু উঠে যেতেই নিশি বললো,
—–মা তুমি এভাবে কথা বলছো কেন?

—–নিশি ওর সাথে এখন কিছুদিন এভাবেই কথা বলতে হবে।ওদের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য ওদের এক ঘরে থাকা জরুরী।আমরা যদি চাপ না দেই তবে সামু ওই ঘরে থাকবেনা।তাই ওকে কিছুদিন চাপে রাখতে হবে।

সামু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে নিলো।একজন সার্ভেন্ট এসে সেগুলো আদির রুমে রেখে এসেছে।
সামান্তা রুমে গিয়ে দেখে আদি সোফা ছেড়ে বেডে ঘুমিয়ে আছে।
সামুর প্রচুর রাগ হচ্ছে।কিন্তু রাগটা প্রকাশ করতে পারছেনা।সামু ভেবেছিলো হয়তো গেস্টরুমে থাকার অনুমতি পাবে।কিন্তু না ওকে আদির সাথে থাকতে হবে।যাকে দেখলেই মেজাজ খারাপ হয়ে যায় তার সাথে নাকি রুম শেয়ার করতে হবে।

সামু ইচ্ছে করে শব্দ করে জিনিসপত্র রাখছে।আদি একটু পর পর নড়ে উঠছে।সামু শব্দের গতি আরো বাড়িয়ে দিলো।আদি বিরক্তি নিয়ে চোখ খোললো।ঘুমঘুম চোখে বিরক্তি নিয়ে বললো,
—–এমন শব্দ কে করে?

সামু কিছুই বলছেনা।আবারো শব্দ করলো।আদি এবার ভালো ভাবে চোখ মেললো।চোখ মেলে সামান্তাকে দেখতে পেলো।
তারপর বিরক্তি নিয়ে কিছু বলতে যাবে তখনই চুপ হয়ে গেলো।সামান্তা শাড়ি পড়েছে।শাড়ি পড়ে আজ দ্বিতীয়বার দেখছে।তবে আজ ওর বউ হিসেবে প্রথমবার দেখছে।হাতে বই,বই গুলো ঠাস ঠাস শব্দ করে রাখছে।আদি বুঝতে পারছে ওকে জ্বালানোর জন্য সামু ইচ্ছে করে এমন করছে।সেটা ভেবে মুচকি হাসি দিলো।
আদির কোনো রিয়েকশন না শুনে সামু আদির দিকে তাকালো আর তখনই আদির সাথে চোখাচোখি হয়ে গেলো।
সামু দৃষ্টি লুকানোর চেষ্টা করলে আদি বলে উঠে,
—–শোনো,আমাকে জ্বালানো এতো সহজ না বুঝেছো?

সামান্তা মুখ ভেংচি কেটে কাজে মন দিলো।আদি মুখের উপর হাত রেখে আবারো বালিশে মাথা রাখলো।হাতের ফাক দিয়ে বারবার সামান্তাকে দেখছে।

সামান্তা ভেবেছিলো আদির ঘুমের ডিস্টার্ব হবে।আদি রাগারাগি করবে।কিন্তু কেন করলোনা বুঝতে পারছেনা।

আদি ফ্রেশ হয়ে নিচে যেতেই আদির মা আদির সামনে গিয়ে দাড়ালো।আদি ওর মাকে এভাবে দাড়াতে দেখে বুঝতে পারছে নিশ্চয়ই কোনো বিষয়ে জ্ঞান দিবে।
—–কি বলবে মা তাড়াতাড়ি বলো।

আদির মা বললো,
—-তুই সামুকে কি বলেছিস?

আদি মনে করার চেষ্টা করে বললো,
—-আমি কি বলেছি যে কারণে তোমার কাছে নালিশ করেছে?

—–নালিশ করেনি তবে অন্যরুমে থাকার কথা বলছিলো।তুই ওকে কিছু বলেছিস?
আর যদি কিছু বলেও থাকিস লাভ নেই ও তোর রুমেই থাকবে কজ ও তোর বিয়ে করা বউ।ভুলে যাস না তুই এখন বিবাহিত।ওর প্রতি তোর একটা দায়িত্ব আছে।উল্টো পাল্টা কিছু করবি না।ওর সাথে খারাপ ব্যবহার করবিনা।

—–ওকে ওকে মা।এখন আমার বের হতে হবে।এখন আমি যাচ্ছি।

—–হ্যা তোর বাইরে বাড়িঘর।বিয়ে করেছিস এখন একটু শোধরানোর চেষ্টা কর।

আদি বাড়িতে তাড়াতাড়ি ফিরে এসেছে।
আজ আর লেট করে নি।
সামু পুরো রুম এলোমেলো করে রেখেছে।এলোমেলো ঘর ওর একদম পছন্দ না।সামু এটাও ইচ্ছে করে করেছে সেটা আদির বুঝতে দেরি হয়নি।সামু বেডের উপর বসে পা ঝুলিয়ে ফোন টিপছে।
আদি সামুকে টেনে বেড থেকে নামিয়ে দাড় করিয়ে বললো,
—–এসব কি?

সামান্তা ভ্রুক্ষেপহীন ভাবে বললো,
—–কিহ!!

আদির প্রচন্ড রাগ হচ্ছে।আদি সামান্তার দুবাহু চেপে ধরে বললো,
—–ইচ্ছে করে করছো তাইনা?

সামান্তা আদিকে ঝাড়া মেরে সরিয়ে দিয়ে বললো,
—-গায়ে হাত দিয়ে কথা বলবেন না।

আদি সামান্তার দিকে এগিয়ে বললো,
—–দিলে কি করবে?

সামান্তা কি বলবে বুঝতে পারছেনা।
—–চিতকার করবো…

আদি ফিক করে হেসে বললো,
—–করো চিতকার।কে নিষেধ করেছে?সাউন্ডপ্রুফ রুম।

সামান্তা যেনো বোকা হয়ে গেলো।তারপর আমতা আমতা করে বললো,
—–খোলা বারান্দায় গিয়ে চিতকার করবো।

—–যাওয়ার আগেই রুমের দরজা লক করে দেবো।

সামান্তা রাগে গজগজ করতে করতে বললো,
—–আমি আপনার মাথা ফাটাবো।

—–তোমার জেল হবে।

—–আপনি একটা অসহ্যকর লোক।
বলেই রাগের মাথায় আদিকে ধাক্কা দিলো।আদি দুপা পিছিয়ে গেলো।আদি ভ্রু নাচিয়ে বললো,
—–তুমি আমাকে ছোয়ার অজুহাত খোজো আর আমি ছুলেই দোষ।

সামু চোখ বড়বড় করে কিছু বলতে যাবে তখনই কিছু একটা মনে পড়ার ভংগীতে বললো,
—–আরে আমি আপনাকে ছুয়েছি।ওহ নো!!আগে হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে হাত ধুয়ে আসি তারপর বাকি কথা বলছি।বলা তো যায়না,,যে দিনকাল যদি করোনা ভাইরাস থাকে।
সামু কথাগুলো বলে টেডি স্মাইল দিয়ে ওয়াশরুমে গেলো।
আদি বেক্কলের মতো দাড়িয়ে আছে।

চলবে……

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে