তোর_শহরে_ভালোবাসা পর্ব-০৯

0
2350

#তোর_শহরে_ভালোবাসা??
…….{সিজন-২}
#ফাবিহা_নওশীন

পর্ব~৯

ওয়েস্টার্ন ড্রেস পড়া একটা মেয়ে রক্তচক্ষু নিয়ে রাজের সামনে গিয়ে দাড়িয়ে আছে।তাকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে সে রাগে ফেটে যাচ্ছে।
রাজ ওকে দেখে উঠে দাড়িয়ে অনেকটা অবাক হয়ে বললো,
—–জুই তুমি এখানে??

জুই ভ্রু কুচকে বললো,
—–কেন অবাক হচ্ছো?

—–সে তো হচ্ছিই।তোমাকে দেখে যতটা না অবাক হচ্ছি তার চেয়ে বেশী অবাক হচ্ছি তোমার বিহেভিয়ার দেখে।

জয় রাজের কাছে গিয়ে বললো,
—-রাজ মেয়েটা কে?

রাজ নির্দ্বিধায় বললো,
—–ওর নাম জুই।ও আমার পরিচিত।

—–তা এই মেয়ে এখানে এভাবে তোর নাম ধরে ডাকছে কেন?

জুই রাজকে বললো,
—–বলো আমি এখানে কেন?

—–তুমি এখানে কেন সেটা তো আমিও বুঝতে পারছিনা।

জুই চিতকার করে বললো,
—–বুঝতে পারছোনা?কিছুই বুঝতে পারছোনা?
আমার সাথে রিলেশন থাকা অবস্থায় তুমি আরেকজনকে বিয়ে করছো আর আমি বাড়িতে বসে বসে চোখের পানি ফেলবো?

রাজ জুইয়ের কাছে গিয়ে দাতে দাত চেপে বললো,
—–কিসের রিলেশন? তোমার সাথে আমার ব্রেকাপ হয়েছে ৫মাস।

এতোক্ষণে সবাই চলে এসেছে।নিশি,আদি,নিশির মা-বাবা সবাই চলে এসেছে।সামুও চেচামেচি শুনে বসা থেকে উঠে দাড়িয়েছে।ও সবটা বুঝার চেষ্টা করছে।

আদির বাবা ওদের কাছে গিয়ে বললো,
—–কি হচ্ছে এখানে?রাজ,জয় কি হচ্ছে?

জয় নিজেই বুঝতে পারছেনা কি হচ্ছে উত্তর কি দিবে।
জুই বললো,
—–আংকেল আমি বলছি।আমি জুই।আমি আর রাজ এক বছর যাবত রিলেশনে।আর গতকাল জানতে পারলাম ওর বিয়ে।হোয়াট এ জোক!প্রেম করবে আমার সাথে আর বিয়ে আরেকজনকে।আমাকে কি অবলা নারী পেয়েছে?আমি সব চুপচাপ মেনে নিবো?নেভার।

সামুসহ সবাই ওর কথা শুনে স্তব্ধ।

রাজ সাথে সাথে প্রতিবাদ করলো।।
—–মিথ্যা এসব মিথ্যা।হ্যা ওর সাথে আমার রিলেশন ছিলো তবে সেটা অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে।

—–আচ্ছা তাই নাকি?সব শেষ হয়ে গেছে? তুমি আমার সাথে গত পরশু পর্যন্ত কথা বলেছো তার প্রমাণও আমার কাছে আছে।

রাজ আমতা আমতা করে বললো,
—–হ্যা বলেছি বাট সেটা এজ এ ফ্রেন্ড।

জুই তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বললো,
—–ফ্রেন্ড!! ওকে তোমার কথাই ধরে নিলাম ফ্রেন্ড।তবে আমাকে তোমার বিয়ের কথা জানাওনি কেন?ফ্রেন্ডদের তো বিয়ের কথা জানানো হয়।

—–হুট করে বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ায় জানানো হয়নি।

জুই ক্ষেপে গিয়ে বললো,
—–ফালতু কথা বাদ দেও।তুমি কি ভেবেছো তুমি এসব গল্প বলে সবার মন গলিয়ে ফেলবে?সবার মন যদি গলে যায় আমি কিন্তু তোমাকে ছাড়ছিনা।
তারপর সামান্তার দিকে এগিয়ে গিয়ে বললো,
—–বাহ!! তুমি তো ভালো খেলোয়াড় রাজ।সুন্দরী বাচ্চা একটা জুটিয়ে ফেলেছো।শুনেছি ও নাকি ঢাকায় নতুন।সহজ সরল একটা মেয়ের সরলতা সুযোগ নিয়ে তাকে বিয়ের পীড়িতে নিয়ে এলে?কি ভেবেছো ঘরে ঘরকুনো বউ রেখে বাইরে আমার সাথে সম্পর্ক বজায় রাখবে আর আমি কিছুই জানতে পারবোনা? তোমার বউ কিছু জানতে না পারলেও আমি ঠিকই জানতে পারতাম যেমন এখন জেনে গেছি সব।।

রাজ চিতকার করে বললো,
—-শাট আপ জুই।নিজের সীমা পেরিয়ে যাচ্ছো।

—–আর তুমি তো তোমার সীমা অনেক আগেই পেরিয়ে গেছো।আমার আগেও তো অনেক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিলো।তুমি আমাকে ওদের দোষ দেখিয়েছিলে সম্পর্ক ভাংগার রিজন হিসেবে।আমাকে বোকা বানিয়েছিলে।এখন বুঝতে পারছি তুমি ওদেরকেও ফাসিয়েছিলে,,তারপর ব্যবহার করে ছুড়ে ফেলে দিয়েছো।

রাজ রাগে ফেটে যাচ্ছে।গজগজ করতে করতে জুইকে বললো,
—-কেন করছো এসব?কি পাবে তুমি এসব করে?

—–তুমি যদি মনে করো তোমাকে ফেরত পাওয়ার জন্য এসব করছি তবে ভুল।তোমার মতো মানুষকে আমি আর আমার লাইফে চাইনা।আমি সবার সামনে তোমার আসল রুপ দেখানোর জন্য এখানে এসেছি।এই সরল বাচ্চা মেয়েটাকে বাচাতে এখানে এসেছি।তোমার মতো চরিত্রহীন লম্পট মানুষকে বিয়ে করলে ওর লাইফ ধ্বংস হয়ে যাবে।

নিশির মা জুইকে বললো,
—–রাজ যখন স্বীকার করেছে তোমাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিলো তার মানে ছিলো।গত পরশু পর্যন্ত তোমাদের যোগাযোগ ছিলো।বাট ও তোমাকে জানায়নি বিয়ের কথা।সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে রাজ আমাদের অন্ধকারের মধ্যে রাখছে।তোমার কাছে আর কোনো প্রমাণ আছে?

—–আন্টি।ও একটা প্লে বয়।মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে মেয়েদের ফাসায়।আমিও ফেসে গেছি।ভালোবেসে ছিলাম আর ও আমাকে ধোকা দিলো।ওর এর আগে অনেক মেয়ের সঙ্গে রিলেশনে ছিলো।আমি গতকাল কিছু কিছু মেয়ের সাথে যোগাযোগ করি যাদের সাথে ওর রিলেশন ছিলো।ওরা আমাকে ওদের সাথে রাজের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের পিকও পাঠিয়েছে।ও রিলেশনে জড়ায় তারপর তাদের ব্যবহার করে প্রয়োজন ফুড়িয়ে গেলে অজুহাত দেখিয়ে ছেড়ে চলে যায়।ওর লাইফে হয়তো আমার প্রয়োজন ফুড়িয়ে গেছে তাই আমাকে ছেড়ে ওর কাছে এসেছে।এই মেয়েটা হয়তো ওর প্রতি এডিক্টেড হয়নি তাই ও নিজেই বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে।
ও একটা চিটার,,,আমি ওকে ভালোবেসে,বিশ্বাস করে ঠকে গেছি।
(কাদতে কাদতে)

রাজ জুইকে চড় মারার জন্য হাত তুলতেই আদির মা ওর হাত ধরে ফেলে।
রাজ আদির মায়ের মুখের দিকে চেয়ে আছে।আদির মা রাজের হাত ঝাড়া মেরে ছেড়ে দিয়ে কঠোরভাবে বললো,
—–এই বিয়ে হচ্ছেনা।সামান্তার চাইলেও হবেনা।আমি হতে দিবো না।

সামান্তা পেছনে থেকে এসে শান্ত গলায় বললো,
—–না আন্টি আমিও এই বিয়ে করতে চাইনা।

রাজ সামান্তার দিকে অবাক চোখে চেয়ে আছে।সামান্তার বরাবর দাঁড়িয়ে আকুতিভরা কন্ঠে বললো,
—–সামান্তা তুমি ভুল করছো।তুমি আমাকে ভুল বুঝছো।হ্যা ওর সাথে আমার রিলেশন ছিলো এখন আর নেই।ট্রাস্ট মি।বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ডের মধ্যে যেমন সম্পর্ক থাকে আমাদের মধ্যেও তেমন ছিলো কিন্তু জুই যেমন বলছে তেমন কিছুইনা।ও একটা মিথ্যাবাদী।

সামান্তা রাজের দিকে চেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই বললো,
—–আমি কারো সাথে অন্তরঙ্গ মূহুর্ত কাটাইনি।সো আমি যেমন তেমন কাউকেই ডিজার্ভ করি।তুমি তোমার লেভেলের কাউকে ডিজার্ভ করো আমাকে নয়।তোমাকে বিশ্বাস করেছিলাম বাট তুমি তো অন্যকিছু,
সম্পূর্ণ আলাদা।কাক হয়ে ময়ুরের পালক পড়ে ঘুরে বেড়াতে।এখন আমার নিজের উপর ঘৃণা হচ্ছে।

রাজ কন্ঠ মোলায়েম করে সামান্তার ডান বাহু ধরে বললো,
—–সামান্তা আমি তোমাকে ভালোবাসি।প্লিজ ভুল করোনা।সবার কথায় ভুল ডিসিশন নিওনা।

আদির আর এসব ড্রামা ভালো লাগছে না।তার উপর সামান্তাকে ছুয়েছে।তাই রাজের হাত ছাড়িয়ে বলে উঠে,
—–আজব পাব্লিক তো আপনি?একটা মেয়ে বলছে বিয়ে করবেনা তারপরেও তার গায়ে হাত দিচ্ছেন?আপনার সম্পত্তি নয় যে ওকে ছুবেন।ক্যারেক্টর ঠিক করুন,মেয়েদের সম্মান দিতে শিখুন।
আপনি সহ সবাই শুনেছে ও না করেছে তাহলে এতো পেচাচ্ছেন কেন?চাপ না নিয়ে বাড়িতে যান।
আর নিশি(নিশিকে উদ্দেশ্য করে) এই ছেলে তোর দেবর।এর সাথে সামান্তার বিয়ে দিতে চাইছিলি?

নিশি জয়ের দিকে একটু পর পর দেখছে।
জয়ের সামনে গিয়ে কাদতে কাদতে বললো,
—–এই তোমার ভাই?তোমার উপর বিশ্বাস করে আমি সামুকে ওর হাতে তুলে দিতে চেয়েছি।আমি তোমাকে বিশ্বাস করে সবচেয়ে বড় ভুল করেছি।ছিহ!! আমি তোমাকে বারবার বলেছি সামু আমাদের সবার জন্য খুব স্পেশাল।ও আমার বোন।এতো ভালো একটা মেয়ের জন্য এই লম্পটকে ধরে নিয়ে এলে?
জুই দেখাও তো রাজের কীর্তি।তোমার কাছে নাকি প্রুফ আছে।

জুই ফোন বের করে ওর আর রাজের একটা পিক দেখালো।
নিশি দেখে চোখ বন্ধ করে নিলো।
—–ছিহ!!প্রেম ভালোবাসার নামে এই করে বেরিয়েছো?
জুই মাথা নিচু করে নিলো।

নিশি জয়ের দিকে অগ্নি দৃষ্টি দিলো।জয় আমতা আমতা করে বললো,
—–নিশি ওকে ছোট থেকে দেখেছি।আমার ভাই ওকে আমি কি করে অবিশ্বাস করতাম।আমি সত্যিই জানতাম না রাজ এসব করে বেরিয়েছে।

—–জয় তুমি জাস্ট আমার সাথে কথা বলোনা।

রাজের ফ্যামিলি সাপোর্ট দিতে গেলে আদির বাবা বললো,
—–এসব আপনারা অন্যত্র গিয়ে করেন।আমরা আমাদের মেয়ে দিচ্ছিনা ফাইনাল কথা।

আদির মা রাজকে বললো,
—–সামুর জন্য তোমার ভাবতে হবেনা।ওর লাইফে কেউ না কেউ চলে আসবে।তুমি নিজের চিন্তা করো এখন।

রাজ এবার চেচিয়ে বললো,
—–ব্যাস,অনেক হয়েছে।অনেকক্ষণ ধরে শুনছি।আর না।সবাই আমার দিকে আংগুল তুলছে।আমার দোষগুলো দেখছে।কিন্তু সামু?ওকে কেউ দেখো,,ও ওর বাবার কাছ থেকে বিতাড়িত হয়ে এই বাড়ির আশ্রিতা হয়েছে।ওর ফ্যামিলি নেই।ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড নেই।তবুও আমি ওকে বিয়ে করতে চেয়েছি।কি নেই আমার?আর ওর কি আছে?
আন্টি,,ওকে কে বিয়ে করবে?কিভাবে বিয়ে দিবেন?যে মেয়ের বিয়ের দিন বিয়ে ভেঙে যায় তাকে কে বিয়ে করবে?আপনারা ওর ভালো ঘরে বিয়ে দিতে পারবেননা।চ্যালেঞ্জ করে গেলাম।আমিও দেখে নিবো ওকে হাই সোসাইটির কোন ছেলে বিয়ে করে।এই থার্ডক্লাশ মেয়ের জন্য রাজ নয় একটা থার্ডক্লাশ ছেলেই যোগ্য।

রাজের এসব বাজে কথা শুনে আদির মা রাজকে মারার জন্য হাত তুলতেই রাজও উনার হাত ধরে ফেলে।তারপর বললো,
—–ডোন্ট ডেয়ার।

উপস্থিত সকলে নির্বাক,নিস্তব্ধ।আদি রাজের কলার ধরে কড়া গলায় বললো,
—–তোর সাহস তো কম না।আমার মায়ের সাথে অভদ্রতা করছিস।
আদির বাবা-মা আদিকে রাজের থেকে ছাড়িয়ে নিলো।

আদির মা রাজকে ঠান্ডা গলায় বললো,
—–তুমি কি আমাকে চ্যালেঞ্জ করছো?

রাজ তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বললো,
—–হ্যা,,চ্যালেঞ্জ।

আদির মা আদির বাবার দিকে তাকালো।তারা চোখের ইশারায় কিছু বললো যা কারো বোধগম্য হয়নি।
আদির মা আদির সামনে গিয়ে দাড়ালো।তারপর বললো,
—–একটা অসভ্য লম্পট ছেলে তোর মাকে চ্যালেঞ্জ করেছে।তোর মায়ের সম্মান রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে।এখন তোর মায়ের এই চ্যালেঞ্জ জিততে ছেলে হিসেবে তুই কি করতে পারবি?

আদির তো ইচ্ছে করছে রাজকে এখানেই পুতে দিতে।ওর মাকে অপমান করছে ওর সামনে।
—–মা কেউ না জানুক তুমি জানো আমি কিভাবে নিজেকে কন্ট্রোল করছি।
তুমি এই চ্যালেঞ্জ জিতবে যেকোনো মূল্যে।এর জন্য আমি সব করবো।

—–তুই সামুকে বিয়ে কর!!(সোজাসাপ্টা ভাবে বললেন)

এই ওয়ার্ড শুনে উপস্থিত সব মানুষ শকড।আদি হা হয়ে আছে।ও যেনো ওর কানকে বিশ্বাস করতে পারছেনা।
সামুও শকড।এটা কি বললো আদির মা।
আদি চেয়েছিলো বিয়ে ভেঙে যাক।বাট এই ঘটনা যে ওকে ওর গন্তব্যে পৌছে দেবে ভাবতে পারেনি।
আদিকে চুপ থাকতে দেখে ওর মা বললো,
—–কি হলো কথা বল।

সামু আদির মায়ের সামনে এসে বললো,
—–আন্টি কি বলছেন আপনি?আমি উনাকে কি করে বিয়ে করতে পারি?আমাকে ক্ষমা করবেন আমি এই বিয়ে করতে পারবোনা।আমি আর আপনাদের বোঝা হতে চাইনা।আমার জন্য ভাবতে হবেনা।আমি চলে যাবো।

আদির মা গম্ভীর মুখে বললো,
—-তুই কোথাও যাবিনা।

—–আন্টি প্লিজ আপনার কথা ফিরিয়ে নিন।
আমার লাইফে বিয়ের স্থান নেই।বিয়ে এখন আমার কাছে একটা প্রহসন হয়ে গেছে।

আদির মা সামুর কথার গুরুত্ব না দিয়ে আদিকে বললো,
—–আদি!!

সামুর কথা শুনে আদির প্রচন্ড রাগ হচ্ছে।সামু ওকে রিজেক্ট করছে আর রাজকে বিয়ে করতে যাচ্ছিলো।
রাজ আদির মুখের দিকে চেয়ে আছে।
আদি রাজের দিকে চেয়ে রাজের চোখে চোখ রেখে বললো,
—–আমি রাজি।

আদির মায়ের পাশাপাশি সবার মুখে হাসি ফুটে উঠলো।রাজ রাগে গজগজ করতে করতে সামুর চোখাচোখি করে বেরিয়ে গেলো।সাথে ওর বাড়ির সবাই।

সামু আদির মায়ের মুখের দিকে অসহায় ভাবে চেয়ে বললো,
—–আন্টি!!

—–সামু আমি তোকে দয়া করছিনা।তুই এবাড়িতে আসার পর তোর চালচলন কাজকর্ম দেখে আমার তোকে খুব পছন্দ হয়েছে।আমি আদির জন্য এরকম একটা মেয়েই খোজছিলাম।তাই মনে মনে ঠিক করি আদির সাথে তোর বিয়ে দেবো কিন্তু পরক্ষণেই তোর আর রাজের কথা শুনলাম।তাই মনের কথা মনেই রেখে দিয়েছিলাম।কিন্তু আজ যখন সেই সুযোগ নিজ পায়ে এসেছে তখন তো কথাই নেই।আমার উপর বিশ্বাস রাখ তুই ভালো থাকবি।আদি জেদি একটা ছেলে কিন্তু চরিত্রে রাজের মতো কালিমা নেই।

সামু শুধু চোখের জল ফেলছে।ওর এই বিয়েতে একটুও মত নেই।কি করে মত থাকবে আদি যার জন্য ও এবাড়ি ছাড়তে চেয়েছে,যার জন্য বিয়েতে রাজি হয়েছে তাকে স্বামী হিসেবে কি করে মেনে নিবে।

নিশি জুইয়ের কাছে গিয়ে দাড়ালো তারপর বললো,
—–তোমাকে ধন্যবাদ।রাজ যদি কোনো ঝামেলা করে আমাদের জানাবে আমরা তোমার পাশে আছি।সাবধানে থেকো।ওর থেকে দূরে থেকো।

—–ধন্যবাদ।একটা মেয়ের জীবন বেচে গেলো।আমি তাহলে এখন যাই।

.

আদি ওর আর সামুর মাঝে রাখা পর্দা ভেদ করে সামুর দিকে রক্তচক্ষু নিয়ে চেয়ে আছে।আদির ইচ্ছে করছে উঠে চলে যেতে।কেননা সামু সেই কখন থেকে চোখের পানি ফেলেই যাচ্ছে কবুল বলছেনা।তাই আদির প্রচন্ড রাগ হচ্ছে।
আদির মা সামুর কাধে হাত রেখে বললো,
—–তোর মা কি তোর খারাপ চাইবে?আমি তোর মা বলছি।

সামু ঠোঁট ফুলিয়ে কেদে দিলো।তারপর কবুল বলে দিলো।বিয়ে সম্পুর্ন হয়ে গেলো।

তবুও আদির প্রচন্ড রাগ হচ্ছে।রাগ কিছুতেই কমছেনা।

চলবে….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে