তোমাকে চাই পর্ব-১২

0
1224

#তোমাকে_চাই (#রিক+#তিশা_স্পেশাল)
#মারিয়া_তুন_রিয়া
#পর্ব_১২
দেখতে দেখতে একমাস কেটে গেলো। এখন মারিয়া আর আয়ানের মধ্যে সব ঠিক হয়ে গেছে। কিন্তু মাঝখানে একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। আর তা হলো মারিয়ার মা বাবা একটা কার এক্সিডেনটে মারা গেছেন। এছারা তাদের মধ্যে এখন সব ঠিক।


একমাস পর…………
আমরা সবাই মিলে ক্যান্টিনে বসে আড্ডা দিচ্ছি। এমন সময় একটা সিনিয়ার ভাইয়া আসলো। সিনিয়ার ভাইয়াটিকে দেখে তিশা বলে উঠলো…………..
তিশাঃ কিছু বলবেন ভাইয়া।
রবি (সিনিয়ার ভাইয়া)ঃ হুম।
তিশাঃ জী বলুন।
রবিঃ একটু এদিকে উঠে আসো।
তিশাঃ আমি।
রবিঃ হুম।
ভাইয়াটার কথা মতো রবি উঠে ভাইয়ার সামনে দারালো। তিশা ভাইয়ার সামনে দারতেই ভাইয়াটা তিশার সামনে হাটু মুরে বসে একটা রিং ধরলো। আর বলে উঠলো…………
রবিঃ তিশা I Love You.
ভাইয়াটার কথা শুনে আমরা সবাই উঠে দারালাম। ভাইয়াটা আবার বলে উঠলো…………
রবিঃ প্লিজ তিশা আমাকে রিজেক্ট করোনা। অনেক আশা নিয়ে এসেছি। প্লিজ।
ভাইয়াটার কথা শুনে আমি একবার ভাইয়াটার দিকে তো একবার রিকের দিকে তাকাচ্ছি। রিককে দেখে আমার ভয় হতে শুরু করলো। কারণ ও সহজে রেগে যায়না কিন্তু যখন রাগে তখন সব শেষ করে দেয়।
ভাইয়াটা আবার বলে উঠলো………….
রবিঃ কিহলো তিশা কিছু বলো।
তিশা কিছু বলতে যাবে তার আগে রিক ওর সামনে গিয়ে বলে উঠলো………………
রিকঃ ও আপনাকে রিজেক্ট করছে।
রবিঃ তুমি বলার কে।
রিকঃ আমি সব। (দাতে দাত চেপে)
রবিঃ আমি ওর মুখ থেকে শুনতে চাই।
রিকঃ ও কিছু বলবেনা সো আউট।
রবিঃ হে লিসেন তুমি কিন্তু বেশি বারাবাড়ি করছো।
রিকঃ আউট।
রিকের কথা শুনে এবার ভাইয়াটা ওর কলার চেপে ধরলো। তারপর বলতে শুরু করলো…………
রবিঃ তোর সাহোস কি করে হয় আমাকে যেতে বলার তুই জানিস আমি কে। জানিস আমার কতো বড়ো বড়ো লোকদের সাথে ওঠা বসা।
রিকঃ ওটা যানার আমার প্রয়োজন নেই। কলারটা ছারুন।
রবিঃ না ছারবোনা কি করবি।
রিকঃ কলারটা ছারুন (চিৎকার করে)
বলেই রিক হাতে হ্যাচকা টান দিলো। আর আমরা সবাই এখানে হ্যাবলাকান্ত হয়েদারিয়ে আছি।
সামনে তাকিয়ে দেখি ভাইয়াটা রিকে মারতে যাবে তার আগে রিক হাত ধরে ফেললো। তখনি উপস্থিত হলো প্রন্সিপাল সার। এসে বলে উঠলো………..
ডাঃ রায়হানঃ এখানে কি হচ্ছে।
রিকঃ সার এই ছেলেটা ওকে (তিশাকে) প্রপজ করছিলো। আমি না করাতে আমার কলার ধরেছে।
ডাঃ রায়হানঃ ও করছে তাতে তোমার কী। তুমি জানো পাওয়ার কতো। এখনি তোমাকে এখানে মেরে চলে যেতে পারে।
রিকঃ তার মানে প্রপোজ করলে কোন সমস্যা নে। তাই তো। ওকে ফাইন।
বলেই রিক তিশার সামনে হাটু গেরে বসে সামনে হাত বারিয়ে বলতে শুরু করলো………..
রিকঃ দেখ তিশা তুই আমাকে এতোদিন কিভাবে দেখেছিস আমি জানিনা। বর জানতেও চাই না। কিন্তু আমি ১ম দেখাতেই তোকে ভালোবেসে ফেলেছিলাম। তোকে আমার প্রতি বিভিন্ন ভাবে দুরবল করার চেষ্টা করছি। বাট আমি তাতে কতোটুকু সফল হইছি আমি যানিন। তিশা seriously I love you. Do you love me……….
রিক আর কিছু বলতে যাবে তার আগে ভাইয়াটা এসে রিকের কলার ধরে তার সামনে দার করিয়ে গালে একটা চর মারলো। আমরা এটা দেখে ভয়ে থমকে দারালাম। কেউ বুঝতে পারছিনা কি হবে। রিক নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। রাগ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে। রিক তার ফোন বের করে কাওকে কল করে আসতে বললো।

কিছুখন পর ১০-১১ জন শাদাকালো পোসাক পরা লোক এসে রিকের পিছনে দারালে। তারপর রিক বলতে শুরু করলো………..
রিকঃ তুই জানিস আমি কে?
রবিঃ তোকে জানার মতো কি আছে।
রিকঃ রিক জোহান আমি। জোহান ইন্ডাস্ট্রির নাম তো শুনেছি। সেটার ওনার আমি। আর তুই আমার গায়ে হাত তুলেছিস। তুই কি ভাবছিস আমি তোকে এমনি এমনি ছেরে দিবো। (বাকা হেসে)
রিকের কথা শুনে রবি ভাইয়া আর প্রন্সিপাল সারের মুখ দেখার মতো। দেখেই মনে হচ্ছে অনেক ভয়ে আছে তারা। রিক র্গাডদের কিযানো বললো। সাথে সাথে র্গাডরা রবি ভাইয়াকে তুলে নিশে গেলো। রিক প্রন্সিপাল সারের সামনে গিয়ে বলে উঠলো…………..
রিকঃ কাওকে কম ভাবতে নেই সার। এবার ছেরে দিয়েছি তাই বলে পরের বার ছারবো তা কিন্তু মটেও ভাববেন না।
রিকের কথা শুনে সার তারা তারি ওখান থেকে চলে গেলো। তারপর রিক আবার তিশার সামনে এসে বলে উঠলো……………..
রিকঃ তিশা এনসার টা দে।
তিশাঃ দেখ আমি তোকে এতো দিন বন্ধু হিসেবে দেখে আসছি।
রিকঃ দেখ এরকম বলিসনা। আমি তোকে খুব ভালোবাসি। তুই যা বলবি আমি তাই করবো।
তিশাঃ সত্যি আমি যা বলবো তুই তাই করবি।
রিকঃ হুম।
তিশাঃ মরতে পারবি।
রিকঃ পারবো।
তিশাঃ মরে যা।
রিকঃ তিশা। (কান্না ভেজা কন্ঠে)
তিশাঃ তুই তো বললি মরতে পারবি তো মরেযা।
রিকঃ ওকে চল।
বলেই রিক তিশার হাত ধরে গেটের বাহিরে নিয়ে গেলো। আমরা সবাি জাষ্ট স্তব্ধ। আমরা ভাবতেও পারিনা তিশা এমন কিছু বলবে।
রিক গেটের বাহিরে এসে তিশার হাত ধরে বলে উঠলো…………..
রিকঃ আমি যতখন পযন্ত না তোর চোখে আমার জন্য ভালোবাসা দেখতাছি ততক্ষণ আমি সরবোনা। এতে যদি আমি একদম শেষও হয়ে যাই শেষ হয়ে যাবো। (হাত ছেরে)
আমি তিশার দিকে তাকিয়ে দেখি ও মুগ্ধ নয়নে রিকের দিকে তাকিয়ে আছে। ও একটা দির্ঘ স্বাস নিয়ে চোখ বন্ধ করে বলে উঠলো……………..
তিশাঃ আমি জানি তুই আমাকে অনেক ভালোবাসিস। আমি তো তোর সাথে এমনি মজা করছিলাম। আমিও তোকে অনেক ভালোবাসি। I really Love You.
বলেই চোখ খুলে তাকালো। চোখ খুলে সামনে তাকাতেই দেখলো রিক রোডের মাঝে দারিয়ে আছে। এটা দেখে তিশা বলে উঠলো……………….
তিশাঃ রিক তুই কি করছিস এগুলো।
রিকঃ তুই যেটা বলেছিস তাই করছি।
তিশাঃ আমি তো বললাম আমি মজা করছিলাম।
রিকঃ তুই আমার ভালোবাসা নিয়ে কথা বলেছিস তার প্রমাণ তো দিতেই হবে।
মারিয়াঃ রিক পাগলামি কেনো করছিস। তিশা তো বললো ও মজা করছে।
রিকঃ আমি মজা টজা কিছু জানিনা। আমি শুধু আমার ভালোবাসার প্রমাণ দিবো এটাই জানি।
রাফিঃ রিক পাগলামি করিস না।
রিকঃ আমি পাগলামি করছি না।
রুহিঃ রিক দেখ ট্রাক আসছে।
রিকঃ তো। আমি যতখন পযন্ত না তিশার চোখে আমার জন্য ভালোবাসা দেখতাছি ততক্ষণে আমি সরবোনা।
তিশাঃ দেখ রিক ট্রাক আসছে সরে আয় প্লিজ।
রিকঃ না।
ট্রাকটা যখন রিকের কাছে চলে আসে তখন তিশা চিৎকার করে বলে উঠে…………
তিশাঃ I Love You রিক। প্লিজ চলে আয়।
বলেই তিশা কাদতে কাদতে নিচে বসে পরে।
আমরাও স্তব্ধ হয়ে গেছি। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে কি হয়ে গেলো এটা।
।।
কিছুক্ষন পর………………
রিকঃ উফ…….। আর একটু দেরি করলে আমার কি যে হতো আমি নিজেও জানিনা।
রিকের কথা শুনে আমরা সবাই ওর দিকে তাকালাম। তাকিয়ে দেখি ও সুস্থ অবস্থায় দারিয়ে আছে।ওকে এভাবে দখে সবাই কান্না করে দিয়েছি। তারপর সবাই একসাথে বলে উঠলাম…………
সবাই একসাথেঃ রিক
আমাদের কথা শুনে তিশা উপরের দিকে তাকালো। ওকে দেখে তিশা উঠে দারালো। উঠে দারিয়ে সোজা রিকের গালে একটা চর মারলো। চর মেরে ওকে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো। ওদের এই দৃশ্য দেখে আমরা সবাই কেদে দিয়েছি।










#চলবে………..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে