তৃণকান্তা পর্ব-১১

0
1152

তৃণকান্তা
পর্ব : ১১
নিশি রাত্রি

মনের অজান্তেই অস্পষ্ট স্বরে মুখ থেকে বেরিয়ে এলো,
– বাবা!
মহান আল্লাহর দেয়া কি সেই যোগসূত্র। বাবা বলেই কি অবচেতন মন বারবার পিছু ডাকছিলো? এটাই কি রক্তের টান? বাবা মানুষটার পানে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো মাইশা। চোখ দুটো কেমন যেনো ঝাপসা হয়ে এলো। চোখের সামনে বাবা নামের মানুষটা কেমন ঘোলাটে হয়ে এলো। একটা সময় চোখের বাঁধ ভেঙ্গে কপোল গড়িয়ে দু ফোটা চোখের জল বেরিয়ে এলো। কিছুটা এগিয়ে গিয়ে বাবা নামক মানুষটাকে হাতে আলতোভাবে স্পর্শ করেই ঢুকরে কেঁদে উঠলো মাইশা। নিরবে কাঁদছেন সোহান সাহেব। তবে তার চোখের সমুদ্র যেনো চৈত্রের উত্তপ্ত রোদে ফাটা মাঠের মতো চৌচির। পানি নেই সেখানে। তবে মন কাঁদছে। মেয়েকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে কাঁদছেন সোহান। এই যে মায়া আর তারই ভালোবাসার অংশ। বেড়ে উঠতে উঠতে অবিকল মায়ারই একটা রূপ নিবে কে জানতো। তার মেয়ে কি তাকে ক্ষমা করবে? যখন জানবে তার বাবার নিকৃষ্টতার কাছে হেরে গেছে তার মায়ের ভালোবাসা। ছেড়ে গেছে এই পৃথিবী।

আমিন সাহেবও তাকিয়ে আছেন তাদের দিকে। দুর থেকে রাহেলা তাকিয়ে দেখছে তাদের বাবা মেয়ের মধুর মিলন। মনের অজান্তের চোখ দুটো ভিজে এলো। মাইশাকে নিতে এসেছে শুনেই বুকের মাঝখানটাতে একটা অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে। এই কয়েকদিনে অনেক ভেবেছে রাহেলা। কি না পেয়েছে এতোটুকু জীবনে? স্বামী, সংসার, সদ্য ফোটা পুষ্পের ন্যায় দুই দুইটা মেয়ে। ওরা ওতো কতো সুন্দর সুখের সংসার করছে। কোনো কিছুই তার কমতি নেই। মায়ার কারনে হয়তো প্রেমটা নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো কিন্তু এই সংসারে সুখতো কম ছিলো না। এতো সুন্দর সাজানো গুছানো সংসার সবতো মায়ার কারনেই পাওয়া। অতীতে পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়ালেও পথটা যে সুখের গোলাপের পাপড়িতে সাজিয়ে দিয়েছিলো মায়া । কিন্তু রাহেলা কখনোই সেটা বুঝে উঠার চেষ্টা করেনি। সেই যৌবনে পাওয়া বিরহের যন্ত্রণা বুকে নিয়ে দিন কি দিন মায়ার প্রতি তার রাগ ঘৃণা বেড়ে চলছিলো। মাইশা মায়ার অংশ বলেই হয়তো সূত্রধরে তার প্রতিও ঘৃণা কাজ করছিলো। কখনোই মেনে নিতে পারেনি তাকে। কিন্তু দোষ না ছিলো মায়ার না মাইশার। কারোই কোনো দোষ ছিলো না। বাল্যকালের ভালোবাসাটা ভাগ্যে ছিলো না বলেই হয়তো আমিনের সাথে বিয়েটা হয়েছে। সব কিছু ভাগ্য বলে মেনে নিয়ে যখন মাইশাকে নিজের মেয়েদের আসনে বসাতে চাইলো সেখানে পূর্বের ন্যায় ধরা দেয়নি মাইশা। ব্যাথাগ্রস্থ জায়গাটাতে হাত দিলেই ব্যাথার কারনটা ভেসে উঠে চোখের সামনে। সেই ব্যাথার কারন থেকে সহসাই দুরে দুরে থাকাই বুদ্ধিমানের পরিচয়। মাইশা তো মায়ারই অংশ। তবে বুদ্ধির দিক দিয়ে তার থেকে কম নয়। বরং তার থেকেও বেশি। তাই হয়তো মাইশাও তার থেকে দুরে দুরেই থাকে। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভেতরের রুমে পা বাড়ালো রাহেলা। রান্না চড়াতে হবে। বাড়ির জামাই। হোক না সে অতীত। জামাই তো জামাই।

মামার দিকে শান্ত চোখে তাকালো মাইশা । তাকে ছাড়তে চায়না বলে-ই কি মামা মিথ্যের আশ্রয় নিয়েছে? সোহান মাইশার মাথায় হাত রেখে বললো,
– আমি তোমার যাওয়ার সব ব্যবস্থা করতে এসেছি । পাসপোর্টের কাজও আর্জেন্ট করা যাবে সেখানে কথা বলে এসেছি। একেবারে সেটেল্ড হওয়ার আগে ভিজিটিং ভিসায় গিয়ে আগে দেখে আসো দেশটাকে।
– বাবা সামনে আমার এক্সাম। অফিস ও আছে। তাছাড়া মামা তো বললোই এখন আমার মতামতের উপরও আরো একজন আছে । তারও মতামত আছে। তাকে না জানিয়ে আমি কিছুই করতে পারবো না।
– ছয়মাসের জন্য দুজনে না হয় ঘুরে আসো। তারপর তাকেও সেখানে সেটেল্ড করার ব্যবস্থা আমি করবো।
– আমি কথা বলে দেখি।
– আচ্ছা আজ আসি। আমার একজনের সাথে দেখা করতে হবে আবার।
শাড়ির আচঁলে হাত মুছতে মুছতে রাহেলা বললো,
– আরে আসি মানে? যেতে দিলেতো। বাড়ির জামাই এতোদিন পর এলো আর কোথায় বা যাবেন আপনি? যতোদিন আছেন এখানেই থাকুন। মেয়েটাও শান্তিতে বাবার সাথে একটু সময় কাটাতে পারবে।
– আমি হোটেলে উঠেছি ভাবি । ওখানেই থাকবো মাস দুয়েক। কোনো সমস্যা নাই । আজ আসি আরেকদিন আসবো।
বলে বেরিয়ে গেলেন সোহান।

অনেকগুলো দিন পর দেশের মাটিতে পা রেখেছে তুহিন। মায়ের ক্যাঁচক্যাঁচানিতে আর থাকা সম্ভব হলো না। তাই বাধ্য হয়ে আসতেই হলো। এয়ারপোর্টের ঝামেলা শেষ করে বেরিয়ে আসতে আসতেই প্রায় একঘন্টারও বেশি সময় লেগে গেলো। তূর্যতো ভাইকে পেয়ে যেনো আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছে। সে নিজেই এসেছে তুহিনকে রিসিভ করতে। গাড়ির মধ্যে কতো দিনের জমানো কথার ঝুড়ি খুলে বসলো তুর্য। মা কি করছে, বাবা কি করছে, মাইশার গল্প সব গল্প। এ যেনো দুই ভাই নয় দুইজন ভালো বন্ধু।

একসপ্তাহ পর।
মাইশার মোবাইলে দুইদিন একাধারে কল করছে তূর্য। কিছুতেই রিসিভ করছে না মাইশা। ভাইকে পেয়ে এতোটাই ব্যস্ত ছিলো যে অফিস বাদে বাকিটা সময় বরাদ্ধ ছিলো তুহিনের জন্য। আশাও কল করছে কিন্তু তাও রিসিভ করছে না। আগামীকাল তুহিনের আক্দ। স্বর্ণার সাথে আগেই বিয়ের পাকা কথা হয়েছিলো। স্বর্ণার বাবা আজমল সাহেব হুজুর বলে তেমন বড় সড়ো আয়োজনে তার মতামত নেই। ইসলামের নিয়মেই তিনি তার মেয়েকে তার জামাইর হাতে তুলে দিতে চায়। তুহিনও সহমত পোষন করে। তাই আর কেউ দ্বিমত করেনি। তবে ছেলেদের বিয়েতে ঘটা করে আয়োজন করার ইচ্ছে ছিলো আশার। কম করে একসপ্তাহ হলেও বিয়ে বিয়ে আমেজে মেতে থাকবে তার বাড়িটা। কিন্তু কিছুই হলো না। একা মানুষ কতো দিক সামলাবেন। গ্রামের বাড়ি থেকে আসা জা ননাসরা তো আর তাকে সাহায্য করতে আসবে না। একাই হিমশিম খাচ্ছে আশা। এদিকে মাইশাটাকেও মোবাইলে পাওয়া যাচ্ছেনা। টেনশন হচ্ছে খুব।

জ্বরে একাকার মাইশা। মাথাটা যেনো একমণের থেকেও বেশি ভারী হয়ে আছে। গতকাল বৃষ্টি হঠাৎ করে সিড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে পায়ে চোট লাগিয়েছে। এখন হসপিটালে। হাড় ফেটে গেছে অনেকটা। মামা মামি দৌড়ে গেছে বৃষ্টিকে দেখতে। অফিস থেকে ফিরে এসে মাইশাও গেছে বৃষ্টিকে দেখতে।
বৃষ্টির শ্বাশুড়ি অসুস্থ। হসপিটালে একজন থাকতে হবে। তিনি তো আর থাকতে পারবেন না। রাহেলা থাকতে চাইলো কিন্তু এদিকে বাসায় একা শায়লা আর মাইশা একা। একজন পুরুষ মানুষ ছাড়া হসপিটালের কার্তেসী বুঝে উঠাও বেশ ঝামেলার। পরে মাইশা বললো,
তোমরা থাকো আমি আর শায়লা একাই থাকতে পারবো।
পরে ওনারা দুইজনই হসপিটালে রয়ে গেলো। এদিকে সন্ধ্যা থেকেই মাথাটা কেমন ভারভার লাগছে মাইশার । গা টাও কেমন যেন একটু গরম গরম লাগছে। এই অসময়ে জ্বর টর আবার এলো কোথা থেকে। নাপা জাতীয় কিছু খেতে গিয়ে দেখলো বাসায় কোনো মেডিসিন নাই। নরমাল প্যারাসিটামল টাও শেষ। তূর্যকে কল করেছিলো একটাবার আসার জন্য। সে ভাইকে নিয়ে মহা ব্যস্ত।কিন্তু না সে এলো না। পরপর পাঁঁচবার কল করেও যখন তূর্যকে পেলোনা মোবাইলটা সাইলেন্ট করে ফেলে রাখলো। রাগে অভিমানে মোবাইল সেই যে ড্রয়ারে রেখেছে আর বের করেনি মাইশা। কার জন্য বের করবে? শরীর এতো খারাপ লাগছে যে একা বেরিয়ে গিয়ে কিছু আনবে সে সাহসটাও হচ্ছে না। আজতো বিছানা ছেড়ে উঠতেই ইচ্ছে করছে না। কোনো রকম একটা মেইল করে অফিস থেকে ছুটি নিয়েছে। শায়লা সারাদিন চেষ্টা করেও কিছু খাওয়াতে পারলো না মাইশাকে। চোখই খুলেনি বেচারি।
মামা মামিকে কল করতে চাইলে বাধা দেয় মাইশা। দরকার নাই। ঘুমালেই ঠিক হয়ে যাবে। ছোট মানুষ শায়লা সে-ই বা কতোটুকু বুঝে? সেও মাইশার কথামতো চুপচাপ করে রইলো।

মাইশাকে পরপর দুইদিন মোবাইলে না পেয়ে পাগলপ্রায় তূর্য। দুইদিন আগে কল দিয়ে বলেছিলো, তূর্য একটু দেখা করো।
দেখা করবে বলেছিলো তূর্য। তুহিনের সাথে স্বর্ণাদের বাসায় গিয়ে ততোটা দেরী হয়ে যাবে ভাবতেও পারেনি তূর্য। আসার পর থেকেই মাইশাকে কল করছে কিন্তু না পাচ্ছে না তাকে। তুম্পাকে কল দিতেই জানালো তুম্পা নানার বাড়ি গেছে সেও কিছু বলতে পারছে না। অবশেষে কোনো উপায় না পেয়ে বিকেল পাঁচটার দিকে মাইশার বাসায় ছুটলো তূর্য। কলিংবেল বাজাতেই দরজা খুলে দিলো শায়লা। অচেনা যুবক দেখে দরজাটা খুলেই মুখের উপর ধপাস করে দরজাটা বন্ধ করে দিলো সে । তূর্য দরজায় ধাক্কা দিয়ে বললো,
– হেই দরজা খুলো।
– কেডা আফনে?
– আমি তূর্য। মাইশার কাছে এসেছি।
– মাইশা আফা ঘুমায় হের শরীল ভালা না আপনে পরে আইয়েন।
– তুমি দরজাটা তো খুলো।
– বাসায় কেউ নাই আপনি যান।
– তুমি দরজাটা খুলে দাও। আমি মাইশার সাথে দেখা করবো।
অবশেষে তূর্যের সাথে না পেরে বাধ্য হয়েই দরজাটা খুলে দিলো শায়লা। দরজা খুলে দিতেই,
– মাইশা কোথায়?
– আফামনি ঘুমায়। আফনে বন আমি ডাক দিতাছি।
– না না তুমি ডাকতে হবে না আমি যাচ্ছি।
বলেই মাইশার রুমে পা বাড়ালো তূর্য। বিছানায় কুকড়ে শুয়ে আছে মাইশা। তূর্যের পিছন পিছন দৌড়ে রুমে এলো শায়লা। মাইশার খাটের কাছে এগিয়ে যেতেই শায়লার তীব্র হুঙ্কার।
– এই আফনে ওনে দাড়ান আমি আফামনিরে ডাকতাছি।
কিন্তু শায়লার কথা পরোয়া না করেই এগিয়ে গিয়ে মাইশার কপালে হাত রাখতেই আঁৎকে উঠলো তূর্য। জ্বরে তো শরীর পুড়ে যাচ্ছে। কপালে স্পর্শ পেতেই চোখ খুললো মাইশা। তূর্যকে দেখে আবারো চোখগুলো বন্ধ করে ফেললো। চোখের কোণ বেয়ে দুইফোটা পানি গড়িয়ে পরতেই খুব কষ্ট হলো তূর্যের। শায়লাকে বললো,
– কি খেয়েছে তোমার আপু?
– কিছু খায়নাই।
টেবিলের দিকে ইশারা করে, ওইহানে রাখছি খায়নাই। আপনে কেডা?আপনারে তো আগে দেহি নাই আমি।
– আমি?
বলে মাইশার দিকে তাকালো তূর্য। তারপর মৃদু হেসে বললো, তোমার আপুর বর।
শায়লাও হাসলো। যেনো সে সব বুঝে গেছে।
– আপনে থাকেন তাইলে আমি খাওন গুলা গরম কইরা আনি।
বলে ট্রে টা নিয়ে বেরিয়ে গেলো শায়লা। বেরিয়ে যেতেই মাইশাকে টেনে বুকের মধ্যে ধাক্কা দিয়ে বসিয়ে,
– ফোন কই তোমার? কতো কল দিচ্ছি। মা কল দিচ্ছে।
জবাব দেয় না মাইশা।চোখ দুটো বন্ধ করে তূর্যের পিঠে হেলান দিয়ে রইলো। চোখগুলো কেমন জ্বলছে ।
– কবে থেকে জ্বর?

– কিভাবে হলো?

– কি হলো কিছু বলছো না যে?
– কি দরকার বলার? সবাই তো খুব ব্যস্ত। তার অপেক্ষায় কেউ আছে সে খবর তো কারো নেই। আসবে বলেও তো আসেনি।
অভিমানের কান্না যেনো একদম ভেসে বেড়াচ্ছে মাইশার কণ্ঠে।
– সরি কলিজাটা। আমিতো জানিনা এতো অসুস্থ আমার জানটা। ভাইয়ার সাথে গিয়েই রাত হয়ে গেলো। ফিরে এসে কল দিয়েছিলাম রিসিভ করোনি কেনো?

– উঠো ফ্রেশ হও ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। জ্বর মেপে দেখেছো? থার্মোমিটার কই?
– এমনিই ঠিক হয়ে যাবে। তোমার জরুরী কাজে ছোট তুমি।
মৃদু হেসে দুহাতে গভীর ভাবে জড়িয়ে ধরে তূর্য। মাইশাও নেউটা বিড়ালের মতোই কুঁচকে মিশে রইলো তূর্যের বুকে।
– দেখি উঠো ফ্রেশ হতে হবে। খাবার খেতে হবে। অসুধ খেতে হবে।
– মাথা ভারী লাগছে। আমি ঘুমাবো।
অনেকটা জোড় করে মাইশাকে উঠিয়ে ওয়াশরুমে নিয়ে গেলো তূর্য। মাথায় একটু পানি দিয়ে হাত মুখ ধুতে সাহায্য করলো। বেরিয়ে এসে দেখলো শায়লা খাবার রেখে গেছে। তূর্য জোড় করেই একটা ব্রেডের পিস খাওয়ানোর চেষ্টা করলো। কতো বাহানা। খাবে না। কিন্তু তূর্যের সাথে পেরে উঠলো না।
খাওয়া শেষে একমগ গরম কফি নিয়ে এলো শায়লা। এটা দেখে তূর্য খুব খুশি হলো। সে এতো ছোট একটা মেয়ে হয়েও কখন কি লাগবে কতো সুন্দর ভাবে বুঝে।
– দেখো এই পিচ্চিটাও তোমার টেনশনে কিছু খায়নি মুখ কেমন শুকিয়ে আছে।
– আমি খাইছি।
বলে হাসতে হাসতে চলে গেলো শায়লা।
তূর্যও একটু হাসলো।
– কফিটা শেষ করো তারপর হসপিটালে যাবে।
– এটা আমি খেতে পারবো না। এমনিতেই পেট গুলিয়ে আসছে। আমি অসুধের নাম বলছি তুমি ওগুলো এনে দাও তাতেই হবে।
– হ্যাঁ। এমবি বি এস ডাক্তার তো তুমি। উঠো। এখন অসুস্থ হলে চলবে না।
আমাদের বাসায় যেতে হবে। কাল না ভাইয়ার বিয়ে। তুমি না থাকলে আমার ভাললাগবে বলো?
– আমার তো আর বিয়ে না আমি গিয়ে কি করবো
– বিয়ে তো করেই ফেলেছি জানেমান এবার নাহয় একসাথে বাসর টাও হবে।
– এই তুমি যাও তো। মামা মামি চলে আসবে।
শব্দ করে হেসে উঠলো তূর্য।
– কতোদিন পালাবা বাছাধন।
চলবে,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে