তুমি চাইলে যেতে পারো পর্ব-১৩+১৪

0
753

গল্প:-#তুমি চাইলে যেতে পারো (পর্ব:-১৩+১৪)
লিখা:- AL Mohammad Sourav

আল সিমিকে কেমন করে বিয়ে করেছে? আর সিমির পরিচয় কি? এই সবকিছু আমি বলতেছি। আপনারা সবাই শুনেন তখন বাড়ীর সবাই আগ্রোহ নিয়ে বসেছে। আলের বড় ভাই আরিফ কথাটা বলার সাথে সাথে আল বারণ করেছে এই ব্যাপারে কোনো কথা না বলতে কিন্তু আরিফ আলের কোনো কথা না শুনেই সিমির ব্যাপারে সব বলতে আরম্ভ করেছে।
আরিফ:- ওর পুরা নাম সিমি রহমান ওর বাবার নাম সাব্বির রহমান। সিমির যখন পাঁচ বছর তখনি ওর বাবা একটা দূর্ঘটনাতে মারা যায় তারপর ওর মা আমাদের অফিসের জহির সাহেবের সাথে বিয়ে বসে সিমিকে আর ওর বড় বোন শেলীকে সাথে নিয়ে। জহির সাহেবের বৌ একটা চাঁর বছরের ছেলে রেখে জহির সাহেবকে ডির্ভোস দিয়ে ছেড়ে চলে যায় ওনি নে*শা করতো বলে। জহির সাহেব তাঁর ছেলেকে জোঁড় করে রেখে দেয়। ওনার ছেলেকে ভালো স্কুলে পড়ার ব্যাবস্থা করে আর সবসময় প্রচন্ড আদর করতো ওনি সিমি ও তার বড় বোনকে কখনো মেয়ে বলে জহির সাহেব মেনে নেয়নি। সিমি আর শেলী যতটুকু পড়াশুনা করার সুযোগ হয়ছে সবটা নিজের মেহনত দিয়েই। সিমির মা অনেক কষ্টে দুই মেয়েকে পড়াশুনা করিয়েছে। জহির সাহেব আমাদের কম্পানিতে চাকরি করার আগে আমাদের কম্পানির প্রোডাক্ট বিক্রি করতো কিন্তু ওনার ব্যবসায় লছ হয় ওনি চার দিকে অনেক দেনা হয়ে যাবার পর আলের সাথে চুক্তি করে যে চাকরি করে সেই টাকা পরিশোধ করে দিবে। আল তো নিজের মত করে চুক্তি করে আর জহির সাহেব সেই চুক্তি মেনে নেয়। জহির সাহেব খুব বুদ্ধিবান লোক ওনি চাকরিতে ঢুকে প্রথমে আমাদের বাড়ীর সবার সম্পর্কে খোঁজখবর নেয় এরপর ওনি আলের সম্পর্কে সবকিছু জানতে পারে আর তখনি সিমিকে বিয়ে করার জন্য আল ইসলামকে প্রস্থাব দেয় তবে সাথে একটা শর্ত জোঁড়ে দেয় যদি সিমি বিয়ে করে তাহলে চুক্তির কাগজ গুলি ছিড়ে ফেলতে হবে। আল ওর মেয়ে আনোর কথা চিন্তা করে জহির সাহেবের শর্তে মেনে সিমিকে বিয়ে করতে রাজি হয়। আর জহির সাহেব সিমিকে ভয় দেখায় যদি আলকে বিয়ে না করে তাহলে ওর বড় বোনকে বিয়ে দিবে ওনার বোনের প্রতিবন্ধি ছেলের সাথে। সিমি সবকিছু চিন্তা ভাবনা করে আলকে বিয়ে করতে রাজি হয়। সিমির সাথে বিয়ে হবার পরে আস্তে আস্তে জহির সাহেবের সবকিছু ফাস হতে থাকে আল জানতে পারে সিমির সাথে অন্যায় হয়ছে। তারপর আরও জানতে পারে সিমির বড় একটা আপন বোন আছে গাঁয়ের রং কালো বলে ওকে কেউ বিয়ে করতে রাজি হয়না তখনি সিমির বড় বোনকে আলের পার্টনার সাথে বিয়ে দেয় বিনিময়ে রাহাতের সাথে পার্টনারে যে ব্যাবসটা ছিলো সেই ব্যবসার আলের নামে যা শেয়ার ছিলো সবটা শেয়ার ওর বড় বোন শেলীর নামে আল লিখে দিয়ে দেয়। আর রাহাত সেই লোভে পড়েই শেলীকে বিয়ে করতে রাজি হয় আল যে তার ব্যবসার শেয়ার সিমির বড় বোনের নামে দিয়েছে এটা আল কাওকে বলেনি এটা আজ রাহাতের কাছ থেকে আমি জানতে পারি। কিছুদিন ধরে লক্ষ করছি আল আর জহির সাহেব একটু বেশী কথাবার্তা বলে এরপর থেকে আমার কেমন সন্দেহ তৈরি হলো কিন্তু আমি আজ যখন সকালে অফিসে গিয়ে জহির সাহেবকে একটু আন্দাজে ডিল মারি যে আমি সবকিছুই জানি আল আমাকে সবকিছু বলেছে তখনি ওনি নিজে থেকেই আমাকে সবকিছু বলে। আলকে আমরা যতটা খারাপ মনে করেছি সে ততটা খারাপ নয়। বাবা মা দাদী আমি আজ বলছি আল সত্যি অনেক ভালো ওর সাথে আমরা অনেক অন্যায় করেছি তখনি আলের দাদী বলে।

দাদী:- আল আরিফ যা বলেছে তা সবকিছু সত্যি? আল দাঁড়িয়ে আছে তখনি ওনি আবার বলে। আল আমি তোকে কিছু জিজ্ঞেস করতেছি আরিফের কথা গুলি কি সত্যি? তখন আল বলে।
আল:- হ্যা সব সত্যি আর আমি যা করেছি সবকিছু এই পরিবারের সবার কথা চিন্তা আমার মেয়ে আনোর কথা চিন্তা করে করেছি।
বাবা:- ঠিক আছে আমি মানলাম তুই আমাদের সবার কথা চিন্তা করে এসব করেছিস। কিন্তু আমাদের কথা হলো সিমি এখন কোথায়? আল কিছুই বলছে না তখনি ওর মা বলে।
মা:- আল আমরা সবাই কখন ধরে তোকে বলতেছি তুই চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছিস কেনো? তখনি আল চেঁচিয়ে উঠে আর বলে।
আল:- কি বলবো তোমাদের? বলার মত কোনো কথা নেই আমার কাছে! সিমি যেখানে যেতে চাইয়ে আমি সেখানে সিমিকে দিয়ে এসেছি।
দাদী:- সিমি কোথায় যেতে চাইছে আর তুই কোথায় দিয়ে এসেছিস?
আল:- ওর অতীতের কাছে যেখানে থাকলে ভালো থাকবে তখনি ওর মা ওকে ঠাসস করে একটা থাপ্পড় দিয়ে বলে।
মা:- তুই সিমিকে এই চিনলি? সিমি তোকে ভালোবাসে আর সে তোর কাছে থাকলে বেশী খুশি হবে। তুই আজকের মধ্যে সিমিকে খুঁজে নিয়ে আসবি।
দাদী:- এখন আনোকে কি বলবি? আনো তো আজ সারাদিন মামুনি মামুনি বলে কান্না করেছে! তুই একবার আনোর কথা চিন্তা করলি না?
আল:- দুই চার দিন গেলে সব ঠিকঠাক হয়ে যাবে। আর তাছাড়া আমি নিজেই সিমিকে বলেছি আমার কাজ শেষ হলে ওকে ওর জায়গা মতে দিয়ে আসবো। আজ আমি আমার কথা রাখতে পারছি অল্প কিছুদিনের মধ্যে আমাদের দুজনের ডির্ভোস হয়ে যাবে।
বাবা:- কিন্তু আমি সবাইকে অগ্রিম নিমন্ত্রণ করে রাখছি সামনের মাসে ১২ তারিখ সিমির পরিবারের সবাইকে পরিচয় করিয়ে দিবো। এখন আমি কি বলবো সবার কাছে?
আল:- সিমি আর কখনো এই বাড়ীতে আসবে না আমিও কখনো ওকে আর ফিরিয়ে আনবো না। ১১ তারিখ রাত্রে সবাইকে ফোন করে বলে দিবেন অনুষ্টান হবে না কোনো কারণে আমাদের সেদিন সবাইকে গ্রামের বাড়ীতে যেতে হবে।
মা:- সবকিছু কি তোর কাছে খেলা মনে হয়? বিয়েটা কি এতটাই খেলা যখন ইচ্ছে বিয়ে করবি আর যখন ইচ্ছে বিয়ে ভেঙ্গে দিবি?
আল:- আমি তোমাদের সবার কাছে শেষ বারের মত রিকুয়েস্ট করতেছি দয়া করে সিমির ব্যাপারে আর কোনো কথা বলবে না। আমি চাইনা যে চলে গেছে তাকে নিয়ে কোনো কথাবার্তা হোক। আমার ভালো লাগছে না আমি উপরে যাই বলেই আল চলে গেছে। বাড়ীর সবাই যার যার মত করে বসে পড়েছে এভাবে কিছুকক্ষণ থাকার পর সবাই সবার মত করে চলে গেছে। আর ঐ দিকে সিমিকে শাওন তাঁর বাড়ীতে নিয়ে গেছে। শাওনের বাবা মা আর ওর ছোট বোন দেখে অনেক খুশি হয়েছে।

শাওনের মা:- মা সিমি এসো ভিতরে এসো বলেই সিমির হাতটা ধরে ভেতরে নিয়ে গেছে। সিমি দাঁড়িয়ে আছে তখনি শাওনের বাবা বলে।
শাওনের বাবা:- মা তুমি এখানে নিজের বাড়ীর মত করে থাকবে। তোমার কোনো সমস্যা হলে আমাকে বলবে। সিমি মনে মনে ভাবছে হঠাৎ করে এনারা এতটা পরিবর্তন হলো কি করে? এর আগেও আমার সাথে শাওনের বাবা মায়ের দেখা হয়ছে কিন্তু কোনো সময় এতটা আপ্যায়ন করেনি। বরং সবসময় বলেছে আমি যেনো শাওনের কাছ থেকে দূরে দূরে থাকি। আর এখন আমার বিয়ে হয়ে যাবার পরেও ওনারা আমাকে শাওনের বৌ করার জন্য এতটা আগ্রোহ কেনো দেখাচ্ছে? এমন হাজারো প্রশ্ন মনে মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে তখনি সিমি বলে।
সিমি:- আমার খুব ক্লান্ত লাগছে আমি একটু রেস্ট নিবো। তখনি শাওন ওর রুমে নিয়ে যেতে ছিলো আর সিমি বলে। আচ্ছা শাওন সোনিয়া কোন রুমে থাকে? আমি আপদত সোনিয়ার সাথে থাকতে চাই। যতদিন না আমাদের বিয়েটা হচ্ছে ততদিন আমি সোনিয়ার সাথে ওর রুমে থাকবো যদি কারও কোনো আপত্তি না থাকে।
শাওনের বাবা:- আমাদের এতে কারও আপত্তি নেই। তোমার যেখানে ইচ্ছে সেখানে থাকতে পারো। এই সোনিয়া যা তোর ভাবিকে রুমে নিয়ে যা।
সোনিয়:- ভাইয়া বিয়ে করেছে ফেলছে?
শাওনের মা:- করেনি তবে করবে এখন থেকে তুই ভাবি ডেকে অব্বাশ কর। সোনিয়া আর কোনো কথা বলেনি সিমিকে নিয়ে রুমে গেছে। সিমি কোনো কিছু না ভেবেই খাটের উপরে শুয়ে পড়ছে। মাখাটা প্রচন্ড ব্যথা করছে আনোর কথা ভিষণ মনে পড়ছে খুব জানতে ইচ্ছে করছে আল বাড়ীর সবাইকে কি বলেছে আমার সম্পর্কে? হয়তো সবাইকে বলবে আমি আমার প্রেমিকের সাথে চলে এসেছি। আচ্ছা আমার কথা কি সত্যি ওনার মনে পড়বে না? দূর আমি কি সব চিন্তা ভাবনা করছি আমাকে যে বিন্দু পরিমান সহ্য করতে পারে না তাঁর কথা কেনো আমি ভাবছি? এর চাইতে ভালো আমাকে যে সবচেয়ে বেশী ভালোবাসে তাকে নিয়ে চিন্তা করা! আমার বিয়ে হয়ছে তিন মাস সংসার করার পরেও যে আমাকে নিজের করে নিতে চায়ছে তাকে নিয়ে আমার ভাবা উচিত। এসব ভাবতে ভাবতে সিমি ঘুমিয়ে গেছে আর সেদিকে আনো অনেক কান্না করছে।

আনো:- বাবাই তুমি মামুনিকে নিয়ে এসো? মামুনি আমাকে প্রমিস করেছে আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবে না।
আল:- তোমার মামুনি বেড়াতে গেছে কিছুদিন থেকে আবার চলে আসবে এসো বাবাই তোমাকে গল্প শুনিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিবো।
আনো:- তাহলে আমাকে মামুনির কাছে নিয়ে চলো আমিও মামুনির সাথে বেড়াতে যাবো।
আল:- আগামীকাল সকালে তোমাকে নিয়ে যাবো এখন তুমি ঘুমাও বলে আনোকে অনেক কষ্টে আল শান্ত করে ঘুম পাড়িয়েছে। আল খাটের বাম পাশটাই চেয়ে আছে আর সিমির কথা মনে পড়ে গেছে। যাক সিমির সাথে যা অন্যায় হয়ছে সবকিছু এখন ঠিক করতে পেরে নিজেকে কিছুটা ভালো লাগছে। তবে আগামী কাল সকালে আনোকে বডিং স্কুলে দিয়ে আসতে হবে এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়েছে।

পরের দিন সকালে আনোকে সিমির কাছে নিয়ে যাবে বলে আনোকে সাথে নিয়ে বেরিয়েছে। ঘন্টা খানেক পড়ে আনোকে একটা বডিং স্কুলে নিয়ে এসেছে। আনো এদিক সেদিক সিমিকে খোঁজে বেরাচ্ছে। আল স্কুলের ম্যাডামের সাথে কথা বলে আনোর ভর্তির সব ব্যবস্থা করে ওকে রেখে এসেছে। আনো অনেক কান্না করেছে কিন্তু আল সব মাঁয়া কাটিয়ে ওকে রেখে চলে এসেছে বাড়িতে তখনি আলের মা বলে।
মা:- আনোকে বডিং স্কুলে দেওয়ার কি দরকার ছিলো? আমরা সবাই আছি আমরা তো ওকে দেখে শুনে রাখতে পারতাম?
আল:- নাহ থাক আনো বডিং স্কুলে থেকেই পড়াশুনা করবে। ও বাড়ীতে থাকলে বার বার মামুনি মামুনি বলে কান্না করবে এসব আমার শুনতে খারাপ লাগে। আচ্ছা মা এখন আপদত আনো কিছুদিন বডিংয়ে থাকুক যখন সে সিমিকে ভুলে যাবে তখন আবার ওকে নিয়ে আসবো।
মা:- তোর মেয়ে তুই যা ভালো মনে করিস বলেই ওনি চলে গেছে। আল কিছুটা হেসে সেও চলে গেছে আর আস্তে আস্তে সবকিছু স্বাভাবিক ভাবে চলতে আরম্ভ করেছে।

ঐ দিকে সিমিও নিজেকে পরিবর্তন করার ব্যর্থ চেষ্টা করছে। দেখতে দেখতে আজ এক সাপ্তাহ হয়ে গেছে সিমি আলের বাড়ী থেকে গেছে। সিমির মনে এখনো একটা প্রশ্ন আনোও কি আমাকে ভুলে গেছে? আমার জন্য কি একটু কান্না করে না এসব ভাবতেছে বসে বসে তখনি শাওন রুমে ঢুকে সিমিকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরতে চায়ছে আর তখনি সিমি নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বলে।
সিমি:- শাওন এসব কি? আমি তোমাকে বারণ করেছি না বিয়ের আগে আমাকে স্পর্শ করতে আসবে না। তাও তুমি আমাকে স্পর্শ করতে এসেছো কেনো? তখনি চেয়ে দেখে শাওন কেমন নে*শা নে*শা ভাব নিয়ে সিমির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আর সিমি বলছে। শাওন ভালো হবে না কিন্তু আমার কাছে আসলে? তখনি শাওন বলে।
শাওন:- আমার কাছে এত সতি সাবিত্রী সাজতে হবে না? আমি জানি তুমি আর সতি সাবিত্রী নেই। তোমাকে তিন মাস আল সাহেব কি বাড়ীতে রেখেছে এমনি এমনি? তোমার সাথে আল কিছুই করেনি?
সিমি:- শাওন তুমি কি বলছো এসব?
শাওন:- আমি ঠিকই বলেছি। সিমি এখন বাড়ীতে কেউ নেই তুমি এসো আমি তোমাকে আল সাহেবের থেকে বেশী মজা দিবো। আমি জানি আল সাহেবের সমস্যা আছে যার কারণে ওনার প্রথম স্ত্রী ওনাকে ডির্ভোস দিয়ে চলে গেছে। আর তোমাকে সুখ দিতে পারে না বলেই তো তুমি ওর কাছ থেকে চলে এসেছো?
সিমি:- ছিঃ শাওন তুমি এতটা নিচু মনের মানুষ আমার ভাবতেই ঘৃণা হচ্ছে। আমি এই মুহুর্তে এই বাড়ী ছেড়ে চলে যাবো বলে সিমি চলে যেতে ছিলো তখনি শাওন সিমির হাতটা ধরে ওকে জড়িয়ে ধরতে যায় তখনি সিমি শাওনকে জোঁড়ে ধাক্কা দেয় আর শাওন খাটের উপরে পড়ে কেমন মাতলামি করছে তখনি শাওনের বাবা মা ওদের রুমে ঢুকে দেখে শাওন ম*দ খেয়ে মা*তা*ল হয়ে আছে আর সিমি বেরিয়ে যাবে ভাব তখনি শাওনের বাবা বলে।
শাওনের বাবা:- মা সিমি তুমি একটু শান্ত হও শাওন ম*দ খেয়েছে আমি ওর চামড়া তুলে ফেলবো।
শাওনের মা:- মা সিমি শাওন নিশ্চই তোমার সাথে খারাপ আচরণ করেছে? ওনারা দুজনে সিমিকে অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে কিছুটা শান্ত করেছে। শাওনকে তেঁতুলের পানি খায়িছে ঘন্টা খানেক পড়ে শাওনের ঠিকঠাক হুস ফিরে এসে আর তখন ওর মা সবকিছু বলে তখনি শাওন সিমির কাছে এসে সোজা ওর পায়ে পড়ে যায় আর বলে।
শাওন:- সিমি আমাকে ক্ষমা করে দাও আমি নে*শা*র মাঝে তোমার সাথে কি করেছি কিছুই বলতে পারবো না। সব ঐ হারামি গুলার জন্য ওরা জোঁড় করে আমাকে আজ প্রথম বার ম*দ খায়িয়ে দিয়েছে। আমি তোমাকে ছুঁয়ে কথা দিচ্ছে আর জীবনেও আমি এসব খাবো না। শাওন অনেক ভাবে সিমিকে বুঝিয়ে এবারের মত মানিয়ে নিয়েছে।

এদিকে আল এখন আগের চাইতে বেশী কাজে মনোযোগ দিয়েছে আর জহির সাহেবকে চাকরি থেকে বের করে দিয়েছে তিন মাসের বেতন অগ্রিম দিয়ে। আল কাজ করছে তখনি উকিল সাহেব ফোন করেছে।
উকিল:- আল সাহেব আপনি যেভাবে বলেছেন সেভাবে ডির্ভোস কাগজ তৈরি করেছি। এখন সব কাজ মুটামুটি এক প্রকার কম্পিলিট। আপনারা দুজনে এসে কাগজে সাইন করে দিলেই আমি আদালতে কাগজ জমা দিবো।
আল:- আপনি কাগজটা পাঠিয়ে দিন আমরা সাইন করে দিবো। আপনার কাছে ঠিকানা দেওয়া আছে সেই ঠিকানা মুতাবেক কাগজ পাঠিয়ে দিন।
উকিল:- ঠিক আছে তাই হবে বলে ফোন কেটে দিয়েছে। তখনি আলের মোবাইলে আরেকটা ফোন এসেছে। মোবাইলের স্কীনে তাকিয়ে দেখে আনোর স্কুল থেকে ফোন এসেছে। রিসিভ করতেই স্কুলের ম্যাডাম বলে।
ম্যাডাম:- মিষ্টার আল সাহেব আপনার মেয়ে আনো খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছে। আমরা ওকে মুক্তি হাসপাতালে এডমিন করেছি আপনি সরাসরি সেখানে চলে আসুন। আল কথাটা শুনেই কেমন ভেঙ্গে পড়েছে মুহুর্তের মধ্যে গাড়ীটা নিয়ে চল্লিশ মিনিটের মধ্যে মুক্তি হাসপাতেলে এসে দেখে আনোর ম্যাডাম নিচে দাঁড়িয়ে আছে। ওনার সাথে আনোর কাছে গেছে। আনো ঘুমিয়ে আছে ওর শরীরে প্রচন্ড জ্বর তখনি আল বলে।
আল:- ম্যাডাম আনোর কি হয়ছে আর এমন অবস্থা হলো কি করে?
ম্যাডাম:- আপনার মেয়ে প্রথম দিন থেকে মন মড়া হয়ে থাকে কারও সাথে কথা বলে না কিছু জিজ্ঞেস করলেও কোনো কথা বলে না শুধু বলে মামুনির কাছে যাবো। বাবাই আমাকে মিথ্যা বলেছে আমি মামুনির কাছে নিয়ে যাবার কথা বলে এখানে দিয়ে গেছে। তখনি একজন ডাক্তার এসেছে।
আল:- ডাক্তার ও আমার মেয়ে এখন ওর শরীরের কন্ডিশন কেমন?
ডাক্তার:- আপদত তেমন কোনো সমস্যা দেখছি না ওর জ্বর এসেছে আমি মেডিসিন দিয়েছি ইনশাআল্লাহ ঠিক হয়ে যাবে। তবে এত ছোট বাচ্চাকে বডিং স্কুলে কেনো দিয়েছেন? ওকে যত দ্রুত সম্ভব বাড়ীতে ওর মায়ের কাছে রাখুন। ওনি আমাকে সব বলেছে তাই আমি আপনাকে কথাটা বলেছি।
আল:- ঠিক আছে তাই করবো।
ডাক্তার:- এখন ঘুমাচ্ছে ঘুমাক। ঘুম থেকে উঠলে বাসায় নিয়ে যেতে পারবেন তবে নিয়মিত ঔষধ খাওয়াতে হবে আর ওর সাথে বেশী করে পরিবারের লোকজন সময় দিতে হবে।
আল:- ধন্যবাদ ডাক্তার। আল আনোর পাশে বসে আছে আর মনে মনে ভাবছে আনোকে কি ভাবে সিমির কথা ভুলিয়ে রাখা যায় এসব ভাবছে। ঘন্টা দুই পড় আনোর ঘুম ভাঙ্গছে আলকে দেখেই আনো জড়িয়ে ধরে বলে।
আনো:- বাবাই তুমি এসেছো? আমি আর তোমাকে কষ্ট দিবো না তুমি প্লিজ আমাকে মামুনির কাছে নিয়ে চলো?
আল:- ঠিক আছে তোমাকে তোমার মামুনির কাছে নিয়ে যাবো। তবে এখন না ঠিক পাঁচদিন পর আর এই পাঁচদিন আমি তোমাকে যা বলবো তোমার তাই করতে হবে।
আনো:- আগে তুমি প্রমিস করো আমি তোমার কথা মত থাকলে তুমি মামুনিকে আমাদের বাড়ীতে নিয়ে আসবে? আল কিছুটা চুপচাপ থেকে বলে।
আল:- ঠিক আছে প্রমিস করলাম। তখন আনো অনেক খুশি হয়েছে। আল হাসপাতালের বিল পরিশোধ করে ম্যাডামের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসতেছিলো তখনি পিছন থেকে একজন ডাক দিয়েছে আল পিছনে ঘুরে তো অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আর বলে তুমি এখানে কেনো এসেছো? তখনি আনো আমার হাতটা ছেড়ে দৌড়ে ওর কাছে চলে গেছে ঠিক তখনি সে বলে।

চলবে…

গল্প:-#তুমি_চাইলে_যেতে_পারো (পর্ব:-১৪)
লিখা:- AL Mohammad Sourav

শুনেছি তোমার দ্বীতীয় স্ত্রী নাকী তোমাকে ছেড়ে চলে গেছে? আমি না হয় ভালো ছিলাম না তাঁর জন্য তুমি আমাকে ডির্ভোস দিয়েছিলে কিন্তু তোমার দ্বীতীয় স্ত্রী তো ভালো ছিলো তাহলে সে তোমাকে ডির্ভোস দিয়েছে কেনো? তাঁর মানে আমি যেইটা বলেছি সেইটাই কি সত্যি আর তাঁর জন্যই তোমার দ্বীতীয় স্ত্রী ডির্ভোস দিয়ে চলে গেছে? সত্যি বলতে তুমি যতই বিয়ে করো কোনো মেয়ে তোমার সাথে সংসার করবে না। সবাই তোমাকে নিজে থেকে ছেড়ে চলে যাবে। তুমি কোনো মেয়ের মনে কখনো জায়গা করে তৈরি করে নিতে পারবে না। (কথা গুলি আলের প্রথম স্ত্রী সাহানা বলছে। আর সাহানাকে দেখেই আনো দৌড়ে মামুনি বলে ওর কাছে গেছে। সাহানাও পরম স্নেহের সাথে আনোকে কোলে নিয়েছে)
আল:- সবাইকে নিজের মত করে চিন্তা করোনা। তোমাকে কে বলেছে সিমি আমাকে ছেড়ে চলে গেছে? সিমিকে বরং আমি নিজেই ওর ভালোবাসার মানুষের হাতে তোলে দিয়েছি সবাই তো তোমার মত স্বার্থপর না যে নিজের সুখের কথা চিন্তা করে অন্যদের জীবন নিয়ে চিনিমিনি খেলা করবো। তখনি সাহানা একটু হেসে বলে।
সাহানা:- শাক দিয়ে মাছ ডাকা যায় না আল। তুমি নিজে দূর্বল তাঁর জন্য তোমাকে সে ছেড়ে চলে গেছে। এইটা এখন তার জলন্ত প্রমান তুমি যতই নিজেকে মহান সাজাতে চাও লোকে কিন্তু ঠিকই বুঝতেছে আমার কথাটাই সত্যি। সাহানার কথা শুনে আল রেগে গিয়ে ওকে থাপ্পড় দিতে চাই তখনি একজন পিছন থেকে এসে হাতটা ধরে ফেলে তাকিয়ে দেখে ফয়সাল।
ফয়সাল:- আল সাহানা আমার স্ত্রী ওর গাঁয়ে হাত তোলার সাহোস তোমাকে কে দিয়েছে?
আল:- ফয়সাল আর সাহানা তোমরা বিয়ে করেছো? যাক তাহলে আমার কথাটাই শেষ পর্যন্ত সত্যি হলো। মা আনো এসো আমার কাছে বলেই সাহানার কাছ থেকে আনোকে নিয়ে চলে আসতেছে তখনি ফয়সাল ডেকে বলে।
ফয়সাল:- যৌ*ন চিকিৎসা করার জন্য এসেছিস তাতে কোনো লাভ হবে না বৌ দুইটা গেছে আর যতটা বিয়ে করবি সবগুলি যাবে। তখনি আল এসে সোজা ফয়সালকে গু*সি মে*রে দেয়। এক পর্যায়ে আলের সাথে ফয়সালের হা*তা*হা*তি আরম্ভ হয়ে যায়। হাসপাতালের সিকিউরিটি গার্ড এসে ওদের ঝ*গ*ড়া থামিয়ে দেয়। হাসপাতালের কর্মকর্তারা এক সময় পু*লি*শ*কে খবর দেয় আর পু*লি*শ এসে দুজনকে থা*না*য় নিয়ে যায়। আল তার পরিচয় দিতেই অফিসার বলে।
অফিসার:- আল সাহেব আপনাদের মতন ঘন্যমান্য ব্যাক্তিরা যদি হা*তা*হা*তি করেন তাহলে অন্যরা কি করবে? দেখুন আমি আজকের মত সাবধান করে ছেড়ে দিতেছি এরপর যদি এমন কোনো কাজ দেখি তাহলে কিন্তু আমি বাধ্য হবো আপনাদের আদালতে চালান করতে।
সাহানা:- অফিসার ওনি আমার স্বামীকে মা*র*ছে আর আপনি ওনাকে গে*প্তা*র না করে হু*সি*য়া*রি দিয়ে ছেড়ে দিতেছেন কেনো?
অফিসার:- আমার কাজ আমাকে করতে দিন। আর আপনাদের বলি নিজেদের জবানকে লা*গা*ম দেওয়ার চেষ্টা করুন। এখন আপনারা সবাই আসতে পারেন।
আল:- ধন্যবাদ অফিসার বলেই আনোকে কোলে নিয়ে আল বেরিয়ে এসেছে। আলের গাড়ীটা একজন পু*লি*শ কর্মকর্তা হাসপাতাল থেকে থা*না*য় নিয়ে এসেছে। আল সেই পু*লি*শ কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ দিয়ে গাড়ীটা নিয়ে সোজা বাড়ীর দিকে রওনা দিয়েছে।

ঐ দিকে সিমি সবার সাথে বসে গল্প করছে তখনি দরজার কলিং বেল ভেজে উঠেছে। সোনিয়া গিয়ে দরজাটা খুলেছে তখনি দরজার বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটা বলে। এই বাড়ীতে কি সিমি রহমান নামে কোনো মেয়ে থাকে?
সোনিয়া:- হ্যা থাকে। কিন্তু আপনি কে? তখনি লোকটা বলে আমাকে আপনি চিনবেন না। আপনি সিমি রহমানকে ডাকুন। সোনিয়া গিয়ে সিমিকে পাঠিয়েছে। সিমি উঠে দরজার সামনে আসতেই দেখে উকিল সাহেবের পি/এ দাঁড়িয়ে আছে। সিমি বিয়ের দিন একবার দেখেছিলো লোকটাকে দেখেই বুঝতে পারছে লোকটা মনে হয় ডির্ভোসের কাগজ টাগজ নিয়ে এসেছে। সে বলে মিস সিমি নেন আপনাদের ডির্ভোসের কাগজ স্যার বলেছে আপনি কাগজে কনের জায়গাতে সাইন করে দিতেন আর উপরে একটা লম্বা আকারে সাইন করে দিতেন।
সিমি:- কাগজটা আমার কাছে দিন আমি সবকিছু পড়ে বুঝে এরপর সাইন করে আপনার স্যারের কাছে পাঠিয়ে দিবো। তখনি উকিলের পি/এ বলে
ঠিক আছে তাহলে আমি বসি আপনি পড়ে সাইন করে দিন। স্যার আমাকে বলেছে আপনার কাছ থেকে সাইন নিয়ে এরপর যেতাম।
সিমি:- আপনাকে বলেছি না আমি পড়ে বুঝে এরপর সাইন করে আপনার স্যারের নিকট পাঠাবো। আপনি এখন যান বলেই দরজাটা লাগিয়ে দিয়ে সিমি সবার সামনে এসেছে।
শাওন:- সিমি কে এসেছিলো আর তোমার হাতে ঐটা কি?
সিমি:- উকিল সাহেবের পি/এ এসেছিলো আমাদের ডির্ভোসের কাগজ নিয়ে আমাকে বলে গেছে সবকিছু পড়ে তারপর সাইন করে কাগজটা পাঠিয়ে দিতে।
শাওনের মা:- ওমা সত্যি যাক তাহলে খুব তাঁড়াতাড়ি তোমাদের বিয়েটা পড়িয়ে দিতে পারবো।
সিমি:- আচ্ছা আমি একটু রুমে যায় বলেই সিমি রুমে গিয়ে দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে কাগজটা বের করে খুলে যখনি বরের জায়গাতে তাকিয়েছে তখনি চেয়ে দেখে আলের সাইন নেই সিমি মনে মনে ভাবছে আরে ওনি সাইন না করে আমার কাছে কেনো পাঠিয়েছে? তাঁর মানে ওনি চাই আমি আগে সাইন করি ঠিক আছে যেহেতু ওনি এমনটা চাই তাহলে আমি আগে সাইন করে দিবো তবে ওনার সামনে বসে সাইন করবো। এসব ভাবছে তখনি মনে হলো কাগজটা একটু পড়ে দেখি কি কি মিথ্যা লিখিছে আমার নামে! যখন সিমি কাগজটা পড়তে আরম্ভ করেছে তখন তার চোখে আশ্রু টলমল করতে আরম্ভ করেছে যত দোষ ত্রুটি আছে সব আলের নামে দেখিয়েছে এসব দেখে সিমি কেমন যেনো হয়ে গেছে আর মনে মনে ভাবছে ওনি সব দোষ নিজের নামে কেনো দিয়েছে? ওনি চাইলে তো সব দোষ আমার নামে দিতে পারতো? এমন হাজারো প্রশ্ন মনের মধ্যে উকি দিচ্ছে তখনি মনে হলো নাহ আমি এসব কি চিন্তা করছি? শাওন আমাকে এতটা ভালোবাসে আর ওর পরিবারের সবাই আমাকে নিজের মেয়ের মত স্নেহ মাঁয়া মমতা দিচ্ছে। আমি ডির্ভোসের কাগজে সাইন করে কাগজটা পাঠিয়ে দিবো। নাহ এমন ভাবে লু*কো*চু*ড়ি করে কাগজ পাঠাবো না আমি নিজে ওনার সামনে বসে সাইন করে ওনাকে দিয়ে সাইন করিয়ে উকিলের কাছে জমা দিয়ে শাওনের হাত ধরে বেরিয়ে আসবো বলে কাগজটা সিমি লুকিয়ে রেখেছে।

এদিকে আল বাড়িতে গেছে আনোকে সাথে নিয়ে তখনি দেখে মালা ঝিনুক সহ সবাই বাড়িতে এসে হাজির। আলকে দেখেই ওর বাবা বলে।
দাদী:- আল আনোকে এত তাঁড়াতাড়ি হাসপাতাল থেকে নিয়ে এসেছিস কেনো? আর এখন কেমন আছে?
আল:- হ্যা কিছুটা ভালো তবে তোমরা জানলে কি করে আনো হাসপাতালে ছিলো?
মা:- ড্রাইভার রহিছ মিয়া বলেছে আনোর বডিং ম্যাডাম নাকী তোকে ফোন করেছে আর তুই নাকী রহিছ মিয়ার থেকে গাড়ীর চাবি নিয়ে হাসপাতালে গেছিস। তখনি আলের বাবা বলে।
বাবা:- আমরা আরও অনেক কিছু জানতে পারছি আল তুই আবার ফয়সাল সাহানার সাথে ঝ*গ*ড়া করেছিস কেনো? ঝিনুকের শ্বাশুড়ী ফোন করে আমাদের কথ গুলি কথা শুনিয়েছে।
ঝিনুক:- আমরা সবাই মনে করেছি তুই ভালো হয়ে গেছিস কিন্তু না তুই সেই আগের মতন রয়ে গেলি।
মা:- ঝিনুকের শ্বশুর বাড়ী থেকে আবার ঝিনুককে কতগুলি কথা শুনিয়েছে। কেনো তুই ফয়সালকে মা*র*তে গেলি?
আল:- তোমরা আবার শুরু করেছো? ফয়সাল আর সাহানা আমাকে কত বাজে কথাবার্তা বলেছে সেইটা তোমাদের কেউ বলেনি?
বাবা:- শুধু ফয়সাল আর সাহানা নয় আশে পাশে অনেকেই এসব কথাবার্তা বলছে। এভাবে তুই কতজনের সাথে মা*রা*মা*রি করবি? সবকিছু তুই তোর নিজের মত করে চিন্তা করলে তো হবে না। তুই সিমিকে ফিরিয়ে নিয়ে আয় সবার মুখ বন্ধ হয়ে যাবে।
আল:- যে চলে গেছে তাকে আমি আর কখনো ফিরিয়ে আনবো না।
মা:- আল তোর বয়সের গন্ডি এখনো ত্রিশ পৌছায়নি এর মধ্যে তোর জীবনে বড় দুইটা কলঙ্কের দাগ লেগেছে। আর তাছাড়া আনোর কথাটা তো ভাবতে হবে। সিমিকে ফিরিয়ে নিয়ে আয় আমার বিশ্বাস তুই সিমিকে আনতে গেলে সিমি তোকে কখনো ফিরিয়ে দিবে না।
আল:- মা আমি তো বলেছি সিমি আর আসবে না। ওকে একপ্রকার বাধ্য করে এই বিয়েতে রাজি করানো হয়ে ছিলো। প্লিজ তোমরা আমাকে ওর ব্যপারে আর কোনো কথা বলোনা না। আনোকে মালার কোলে দিয়ে আল চলে গেছে। তখনি সবাই বসে আলাপ করছে তাহলে আলের জীবনটা কি এভাবে নষ্ট হয়ে যাবে তখনি মালা বলে।
মালা:- আমার জানা শুনা একটা মেয়ে আছে যার ছয় মাস আগে তার স্বামী ডির্ভোস দিয়েছে। মেয়েটা ভালো আর চেহারা খুব সুন্দর আমি বলিকি আল ভাইয়ার সাথে এই মেয়েটা বেশ মানাবে। আর মেয়েরা বড় লোক আছে ওর বাবার নিজের ব্যবসা আছে।
ঝিনুক:- কিন্তু আল বিয়ে করতে রাজি হবে?
দাদী:- যদি মেয়েটা আনোর সাথে মিশে যেতে পারে আর আনোকে নিজের মেয়ের মত মেনে নেয় তাহলে আল রাজি হবে।
আরিফ:- এমন বড় লোকের মেয়ে তাঁর কোনো সন্তান নেই সে আলের সম্পর্কে সব জেনে শুনে রাজি হবে বিয়ে করতে?
মালা:- ভাইয়া আমি কহিনুর আপুর সাথে কথা বলেছি (মেয়েটির নাম কহিনুর) আর ওনাকে ভাইয়ার সম্পর্কে সবকিছু বলেছি। ওনি ভাইয়ার সাথে সরাসরি কথা বলতে আগ্রোহ প্রকাশ করেছে। কিন্তু বর্তমানে ভাইয়ার যে অবস্থা তাতে সে রাজি হবে বলে আমার মনে হয় না।
দাদী:- একটা কাজ কর মেয়েটাকে কোনো কফি সপে আমন্ত্রণ কর আর আলের সাথে আনোকে দিয়ে আমি পাঠানোর ব্যবস্থা করবো। সেখানে মেয়েটির সাথে কথা বলিয়ে দিবি তখন মেয়েটিকে বলবি আনোকে একটু বেশি আদর করতো তাহলে আল রাজি হয়ে যাবে।
মালা:- দারুন আইডিয়া। আমি তাহলে কহিনুর আপুকে ফোন করে কথা বলে দেখি ওনি কি বলে।
দাদী:- হ্যা তুই কথা বলে আমাকে জানাস।
মালা:- ঠিক আছে। মালা ঝিনুকের কাছে আনোকে রেখে মালা গিয়ে কহিনুরকে ফোন করেছে কিছুকক্ষণ রিং হবার পর কহিনুর ফোন রিসিভ করেছে।
কহিনুর:- হ্যা মালা বলো?
মালা:- আপু তুমি কি ফ্রি আছো?
কহিনুর:- কেনো?
মালা:- মানে তোমার সাথে আল ভাইয়ার আলাপ করিয়ে দিতাম। তুমি যদি ফ্রি থাকো তাহলে আগামীকাল আমরা একটা রেস্টুরেন্ট অথবা কফি সপে দেখা করি।
কহিনুর:- আগামী কাল তো আমি ভাবির সাথে একটু শপিং করতে যাবো। তুমি বরং তোমার ভাইয়াকে নিয়ে নিশাত শপিংমলে এসো। আমরা সেখানে কোনো একটা কপি সপে বসে কথা বলে নিবো।
মালা:- ঠিক আছে তাই হবে। মালা ফোন কেটে দিয়ে মনে মনে খুশি হয়েছে। মালা গিয়ে ওর দাদীকে বলেছে কহিনুর আপু রাজি হয়ছে। ওনি বলছে নিশাত শপিংমলে আগামীকাল যেতে এবার তুমি ভাইয়াকে যেভাবে হোক রাজি করাতে হবে।
দাদী:- ঠিক আছে সেটা আমার উপরে ছেড়ে দে দরকার হলে আমি শপিংয়ের কথা বলে নিয়ে যাবো। মালা ঝিনুক খুশি হয়ে মালা আবিরকে ফোন করে বলেছে আজকে বাড়িতে থাকবে আগামীকাল যাবে আবির রাজি হয়েছে। আজকের মত ওদের প্ল্যানিং করে দিনটা গেছে তবে মালা আনোকে খুব যত্ন সহকারে মেডিসিন গুলি টাইম টু টাইম খায়িয়ে দিছে। সকালে আল অফিসে গিয়ে দেখে এখনো উকিল সাহেব ডির্ভোসের কাগজ পাঠায়নি। আল তাঁর মোবাইলটা বের করে ফোন করেছে উকিল সাহেবকে কিছুকক্ষণ রিং হয়ে কেটে গেছে আল মোবাইলটা রেখে কাজে মন দিয়েছে কিছুকক্ষণ পর উকিল ফোন করেছে আল রিসিভ করেই বলে।
আল:- উকিল সাহেব আপনি ডির্ভোস কাগজটা এখনো আমার কাছে পাঠালেন না কেনো?
উকিল:- আল সাহেব আমি তো গতকাল আপনার স্ত্রী মানে সিমি রহমানের কাছে কাগজ পাঠিয়েছি।
আল:- মানে! আপনি আগে ওর কাছে পাঠালেন কেনো?
উকিল:- আপনি নিজেই তো ঐ ঠিকানা আমার মোবাইলে মেসেজ করে দিয়েছেন। আমি ভাবছি আগে মিস সিমি রহমানের কাছে পাঠাতে হবে। তাই তো আমি আমার পি/এ দিয়ে কাগজ পাঠিয়ে দিয়েছি। উকিলের কথা শুনে আল অনেক রেগে যায় আর বলে।
আল:- সিমি যদি কাগজটা সাইন করে দেয় তাহলে আমার কাছে পাঠান আমি সাইন করে দেয় তাহলে তো সব ঝামেলা শেষ হয়ে যাবে ঠিক তখনি উকিল বলে।
উকিল:- সিমি রহমান কাগজ এখনো পাঠায়নি। ওনি বলেছে সবকিছু পড়ে বুঝে সাইন করে আমার কাছে পাঠাবে।
আল:- ঠিক আছে সাইন করে পাঠালে আমার কাছে পাঠিয়ে দিয়েন। ফোনটা কেটে মনে মনে ভাবছে সিমি কাগজটা সাইন করে এখনো পাঠায়নি কেনো? তখনি আলের মোবাইলে ওর দাদী ফোন করেছে আল রিসিভ করতেই বলে।
দাদী:- আল তুই যতদ্রুত সম্ভব নিশাত শপিংমলে আয় আনোকে আমরা নিয়ে এসেছি তুই যত দ্রুত পারিস চলে আয় আমরা সবাই মিলে আজ শপিং করবো। আর কোনো কথা না বলে ফোন কেটে দিয়েছে। আল তেমন গুরুত্ব না দিয়ে নিজের কাজ করছে তখনি আবার দাদী ফোন করেছে। আল রিসিভ করে বলে আমি ব্যস্ত আছি আসতে পারবো না তখন ওর দাদী কিছু কথা বলে আর অনেক রিকুয়েস্ট করার পর রাজি হয়েছে। আল তাঁর হাতের কাজ শেষ করে নিজেই ড্রাইভিং করে যাচ্ছে।

ঐদিকে সিমি ভিষণ মন খারাপ করে আছে তখনি শাওনের মা এসে বলে সিমি তোমার তো তেমন কাপর আর কসমেটিক্স নেই তুমি শাওনের সাথে গিয়ে এই গুলা কেনাকাটা করে এসো আর দুজনে বাহির থেকে একটু ঘুরাঘুরি করে এসো। এতে করে তোমাদের দুজনের মন ভালো হয়ে যাবে। সিমি যেতে রাজি হয়না তাও শাওনের মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে সিমি রাজি হয়েছে। শাওন বাইকে করে যেতে চায়ছে কিন্তু সিমি রাজি হয়নি সিমি একটা সি*এন*জি ডাক দিয়ে সেইটা করে যায়। সিমি আর শাওন দুজনে নিশাত শপিংমলেই এসেছে। শাওন তাঁর মত করে সিমির জন্য দুইটা থ্রী-পিছ কিনেছে। যদিও সিমির একদম এসব থ্রী-পিছ একদম পছন্দ নয় একটা গোলাপী আর গ্রীন কালার। শাড়িও কিনেছে সেইম কালারে। যখনি চুড়ির দোকানে গেছে তখনি শাওন বলে।
শাওন:- সিমি তোমার হাতের মাপটা বলো? শাওনের এমন প্রশ্নে সিমির মনে পড়ে গেলো আলের কথা। যে কি না আমাকে স্পর্শ না করেই আমার হাতের মাপ বুঝতে পারছে আর সে আমার সাথে এক বছর প্রেম করেও আজ জিজ্ঞেস করতে হয় আমার হাতে কোন সাইজ চুড়ি লাগবে! আমি কোন কালার কাপড় পছন্দ করি আজ পর্যন্ত শাওন এইটা বুঝতে পারেনি আর অথচ আল আমার সব পছন্দের কাপড় কিনে দিয়েছে। সত্যি আমি আজও বুঝতেছি না আমাকে সত্যিকারের ভালো টা কে বাসে? তখনি শাওন আবার বলে সিমি কি হলো কোথায় হারিয়ে গেলে তোমার হাতের মাপটা বলো?
সিমি:- শাওন আমার চুড়ি লাগবে না এসো আমরা চলে যাই।
শাওন:- সিমি আমি তো ভাবছি আজ তোমাকে নিয়ে অনেক ঘুরাঘুরি করবো। আচ্ছা চলো কফি খায় তারপর সোজা বাসায় চলে যাবো।
সিমি:- ঠিক আছে। শাওন আর সিমি দুজনে কপি সপে এসেছে।
শাওন:- সিমি তুমি বসো আমি একটু ওয়াশরুম থেকে আসছি ততক্ষনে কফিটা চলে আসবে।
সিমি:- ঠিক আছে। শাওন উঠে ওয়াশুরুমের দিকে গেছে সিমি বসে আছে চেয়ারে। এদিক সেদিকে তাকিয়ে দেখছে এমন সময় একটা পিচ্চি ছেলেকে ওর মা কোলে করে নিয়ে যেতে ছিলো আর পিচ্চির হাতে থাকা আইসক্রীমটা ভেঙ্গে সিমির উপরে পড়ে যায়। পিচ্চির মায়ের তো কোনো খবর নেই ওনি যেতে লাগলো আর তখনি পিচ্চি জোঁড়ে এক চিৎকার। পিচ্চির মা পিছনে তাকিয়ে বুঝতে পারে একটা আ*কা*ম করে ফেলছে পিচ্চি। তখন ওনি সিমির কাছে ক্ষমা চাইতে থাকে সিমি সুন্দর করে ওনাকে বুঝিয়ে দেয় যে সিমি কিছু মনে করেনি। ওনি চলে যায় এরপর সিমি আইসক্রীম গুলো পরিষ্কার করার জন্য ওয়াশরুমের দিকে যায়। যখনি ওয়াশরুমের কাছে গেছে তখনি সিমি শাওনের কন্ঠ শুনতে পায়।
আরে বোকা তুমি কোনো চিন্তা করোনা আল সাহেব বলেছে সিমিকে বিয়ের পড়ে আমাকে দশলক্ষ টাকা দিবে। আর সেই জন্য তো বাবা মা সবাই রাজি হয়েছি। সিমির সাথে আগে বিয়েটা হতে দাও এরপর টাকাটা হাতে পেয়ে গেলেই কিছুদিনের মধ্যে সিমিকে ডির্ভোস দিয়ে তোমাকে বিয়ে করে সুখের সাথে সংসার করবো। এখন যদি তুমি এমন ভাবে প্যাড়া দাও তাহলে কিন্তু সব প্ল্যান নষ্ট হয়ে যাবে। সিমি আরেকটু শিউর হওয়ার জন্য একটু সামনে এগিয়ে গেছে যখনি সামনে গেছে তখন দেখে এটা শাওন আবার বলছে আল ছেলেটা কত বোকা নিজে থেকে এসে আমাকে টাকার অফার করেছে তুমি বলো এমন অফার কি করে ফেলে দিবো? তখনি সিমি সেখান থেকে বেরিয়ে আসে আর মনে মনে ভাবছে কি আল শাওনে টাকা দিয়ে আমাকে বিয়ে করার জন্য রাজি করিয়েছে? ছিঃ ওনি এতটা খারাপ আমার জানা ছিলো না? আমি চলে যাবো দূরে অনেক দূরে বলে কফি সপ থেকে বেরিয়ে যেতেছে।

এদিকে আল অলরেডি নিশাত শপিংমলে চলে এসেছে। ওর দাদী আর মালা সবকিছু বলে দিয়েছে। আল সবকিছু শুনে রাজি হয়েছে তবে শর্ত দিয়ে আনোকে নিজের মেয়ের মত দেখতে আর আনোকে এক মাসের মধ্যে সিমির কথা ভুলিয়ে দিতে হবে? মালা আর ওর দাদী রাজি হয়েছে।
আল:- ঠিক আছে চলো তাহলে মেয়েটার সাথে দেখা করি। তারপর মালা ওর দাদী আনো সহ সবাই কহিনুরের সাথে দেখা করতে কফি সপে গেছে। কফি সপে ঢুকেই মালা দেখে কহিনুর বসে আছে মালা আলকে সাথে নিয়ে কহিনুরের কাছে গেছে। তবে কহিনুরের চুল গুলি কালারিং করা একটা কালো থ্রী-পিছ পড়েছে আর হাতের নক গুলি অনেক বড় বড় আল চেয়ে আছে মালার দিকে রাগি ভাব নিয়ে তখনি মালা বলে।
মালা:- আপু এই হচ্ছে আমার ভাই আল আর ওর মেয়ে আনো। আর ওনি আমাদের দাদী। আপনারা দুজনে বসে আলাপ করেন আমরা একটু শপিং করে আসি। নেন আপু আনোকে আপনার কাছে একটু রাখেন কহিনুর বেশ আগ্রোহের সাথে আনোকে কোলে নিয়েছে। মালা দাদী দুজনে চলে গেছে তখনি মালা বলে।
মালা:- কি খাবেন কফি না অন্য কিছু?
আল:- দেখুন আমরা যেই কাজের জন্য এসেছি সেইটা বলে ফেলি। আমার আপনার অতীত নিয়ে কোনো জানার আগ্রোহ নেই আর আমাকে আপনার ভালোবাসতে হবে না আপনি শুধু আনোকে নিজের মেয়ের মত দেখাশুনা করবেন আমি আপনাকে ভালোবাসবো।
কহিনুর:- আপনার কথাটা আমার খুব ভালো লাগছে তখনি আনো কহিনুরের কোল থেকে নেমে মামুনি বলে এক দৌড় দিয়েছে।
আল:- আনো কোথায় যাচ্ছো? তখনি তাকিয়ে দেখে সিমি দাঁড়িয়ে আছে। আর আনো গিয়ে সিমিকে জড়িয়ে ধরেছে মামুনি বলে। সিমিও আনোকে কোলে নিয়ে ওর গালে কপালে একের পর এক চুমু দিয়ে যাচ্ছে। কহিনুর আল দুজনে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে তখনি আনো বলে।
আনো:- মামুনি তুমি না বলেছো আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবে না কিন্তু তুমিও বাবাই এর মত মিথ্যা বলেছো।
সিমি:- মামুনি তোমাকে এখানে কে নিয়ে এসেছে? তখনি আনো আঙ্গুল দিয়ে আলকে দেখিয়ে দেয়। তখনি সিমি আনোকে কোলে নিয়ে আলের কাছে আসতেই কহিনুর বলে।
কহিনুর:- ওনিই কি আনোর মা! তখন আল কিছু বলতে ছিলো তাঁর আগেই সিমি বলে উঠে।
সিমি:- হ্যা আমিই আনোর মা আর যার সাথে বসে গল্প করছেন সে আমার স্বামী। আপনার লজ্জা করে না অন্যের স্বামীর সাথে এমন ভাবে কফি সপে বসে আড্ডা মারতে? সিমির কথা শুনে আল অবাক হয়ে গেছে আর কহিনুর তো রেগেই গেছে তখনি আল বলে।
আল:- সিমি কি হচ্ছে এসব? আর তুমি এখানে কেনো? শাওন কোথায়? তখনি সিমি বলে।
সিমি:- শাওন আবার কে? ও বুঝেছি এখন আমার থেকে সুন্দরী মেয়ে দেখে ওল্টা পাল্টা বলতেছেন? দেখুন আমি আপনার স্ত্রী আর ঘরে এত সুন্দর বৌ রেখে বাহিরে এসে অন্য মেয়েদের সাথে কফি খাওয়া কিন্তু একদম ভালো লক্ষন নয়। তখনি আল রেগে গিয়ে সিমির হাতটা ধরে বলে।
আল:- তুমি এদিকে এসো বলে কিছুটা দূরে নিয়ে গিয়ে বলে। সিমি কি হচ্ছে কেনো এসব করতেছো?
সিমি:- কি করছি আমি যা করছি ঠিকই করছি? সবে তো শুরু করেছি বলেই কহিনুরের কাছে এসে বলে। এই মেয়ে তুই এখনো দাঁড়িয়ে আছিস তোর লজ্জা সরম কিছু নেই? মামুনি তুমি একটু নিচে নামো বলে আনোকে কোলের উপর থেকে নামিয়ে সিমি তার ওরনাটা ভালো করে পেচিয়ে কমোড়ে গুজেছে। সবাই সিমির এমন কান্ড দেখে তাকিয়ে আছে আর অনেকে মোবাইল বের করে ভিডিও করতেছে। তখনি কহিনুর দিক বেদিক না পেয়ে সোজা অন্য দিক দিয়ে বেরিয়ে যেতে যেতে বলছে আল সাহেব এই অপমাণের জবাব আমি ঠিকই নিবো বলেই চলে গেছে তখন আল সিমির দিকে রাগিয়ে চোখে তাকিয়েছে আর সিমি ভয়ে চোখ বন্ধ করে নিয়েছে তখনি আল সিমির হাতটা ধরে টেনে হিচড়ে নিয়ে যেতে লাগলো আর আনো মামুনি মামুনি করতে করতে ওদের পিছনে যাচ্ছে ঠিক তখনি শাওন এসে সামনে হাজির হয়েছে।

চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে