তুমি এলে তাই পর্ব- ১

0
6413

#তুমি এলে তাই ❤
#লেখিকা: অনিমা কোতয়াল
#পর্ব- ১

মাঝ রাতে বিশাল এক ব্রিজের রেলিং এ হেলান দিয়ে, চোখ বন্ধ করে, হাত ভাজ করে দাঁড়িয়ে আছে স্পন্দন। হঠাৎ একটা মিষ্টি মেয়েলি কন্ঠে কেউ বলে উঠলো,

— ” এক্সকিউস মি? একটা লাইটার হবে?”

সেপ্টেম্বরের রাত। শহুরে অঞ্চল হলেও এইখানকার পরিবেশটা খুব নিস্তব্ধ। রাত বাড়ার সাথে সাথে মানুষের আনাগোনাও কমতে থাকে। কখন গরম কখনো ঠান্ডার এই চক্রই প্রবাহমান থাকে এই সময়ের রাতগুলোতে। কখনো ভ্যাঁপসা গরমের এক পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে, আবার কখনো দমকা হাওয়া এসে সব ঠান্ডা করে দিচ্ছে। তবে এসব নিয়ে স্পন্দনের আপাতত কোনো মাথা ব্যাথা নেই। ঘরে খুব বিরক্ত লাগছিলো তাই গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পরেছিলো অজানা গন্তব্যে। ড্রাইভ করতে করতে এই ব্রিজের শান্ত পরিবেশটা ভালো লাগলো তাই গাড়ি পার্ক করে এখানে একটু নিরবে একান্ত সময় কাটাতেই এসছে ও। হঠাৎ হালকা হাওয়া আসাতে চোখ বন্ধ করে সবে সেটা উপভোগ করতে নিয়েছে তখনি মেয়েলি কন্ঠে এমন প্রশ্ন শুনে চোখ খুলে তাকালো স্পন্দন। মেয়েটার কন্ঠস্বরের দিক অনুসরণ করে তাকাতেই একটু অবাক হলো । একটা মেয়ে ওর দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। ল্যাম্পপোস্টের আলোয় স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে মেয়েটাকে। মেয়েটার প্রশ্নটা স্পন্দের কানে গেলেও সেটা মোটেও পছন্দ হয়নি ওর। তাই সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বলল,

— ” সরি?”

ভ্রুটা হালকা কুচকে তাকালো মেয়েটি হয়তো একটু বিরক্ত হলো তবুও দ্বিতীয়বার বলল,

— ” লাইটার হবে একটা?

এবার মেয়েটাকে মাথা থেকে পা পর্যন্ত একবার স্কান করে নিলো স্পন্দন , পরনে একটা লং চেকের শার্ট, ব্লু জিন্স তাও টাকনুর কিছুটা ওপরে ফোল্ড করা, পায়ে হোয়াইট কেডস পরা। মেয়েটার মধ্যে মেয়েলি একটা জিনিসই দেখতে পেলো স্পন্দন সেটা হলো সাইড সিথি করে ছেড়ে দেওয়া পিঠ ছাড়িয়ে যাওয়া হালকা কার্লি চুল। যদিও মেয়েটা যথেষ্ট সুন্দরী কিন্তু তাতে স্পন্দনের কিছু এসে যায় না। তবে মাঝরাতে একটা মেয়ের এভাবে এমন নির্জন রাস্তায় থাকাটা যেমন ভালোলাগেনি ঠিক তেমনি মেয়েটার করা প্রশ্নটাও একদমি ভালো লাগেনি ওর। ও মেয়েটার উদ্দেশ্যে কিছু বলবে তার আগেই মেয়েটি বলে উঠল,

— ” হ্যালো। কিছু জিজ্ঞেস করছি? না থাকলে বলে দাও এভাবে মৌনব্রত পালন করে আমার টাইম ওয়েস্ট করছো কেনো, বস?”

এমনিতেই মেয়েটার এটিটিউড শুরুতেই ভালো লাগেনি। তারওপর কথা বলার ধরণ আর তুমি করে বলাটা মেজাজটাই বিগড়ে দিলো স্পন্দনের। তাই রাগী কন্ঠে বলল,

— ” প্রথমত প্রথম দেখায় অপরিচিত একজনকে তুমি বলা মোটেও ভদ্রতার পরিচয় নয় । আর দ্বিতীয়ত একটা মেয়ে হয়ে মাঝরাস্তায় দাঁড়িয়ে সিগারেট খাবেন? লজ্জা নেই আপনার?”

প্রথম কথাটায় রাগ লাগলেও দ্বিতীয় কথাটায় বেশ অবাক হলো মেয়েটি। হয়তো কথাটা বুঝতে পারেনি। তবুও কিছু একটা ভেবে বলল,

— ” ফার্স্ট অফ অল তোমাকে দেখে আমার তুমি ছাড়া আর কিছু আসেনি। আর যেটা আমার আসেনা সেটা আমি বলিনা বা করিনা। এন্ড সেকেন্ড অফ অল এটা কোথায় লেখা আছে যে সিগারেট ছেলেদের পার্সোনাল প্রপার্টি? কই সিগারেটের গায়ে তো লেখা থাকেনা ফর মেন।”

মেয়েটার কথায় ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো স্পন্দন। ও তো ছেলে মেয়ে ওসব কিছু মিন করে বলেই নি। ওর মতে মেয়েদের মধ্যে ভদ্রতা নামক বস্তুটি থাকা বাঞ্চনীয়, তবে অভদ্রতা ও মোটেও পছন্দ করেনা সেটা ছেলে বা মেয়ে হোক। আচমকাই মেয়েটার বলা কথাটা মনে পরতেই আরেকদফা রেগে গেলো স্পন্দন। পুনরায় হাত ভাজ করে বলল,

— ” মাঝরাতে এমন নিড়িবিলি পরিবেশে একা একটা মেয়ে হয়ে কেনো বেড়িয়েছেন?”

মেয়েটা জিন্সের পকেটে হাত ঢুকিয়ে দুকদম এগিয়ে বলল,

— ” তো এখন থেকে কী তোমার পার্মিশন নিয়ে বেড়োতে হবে?”

স্পন্দন এতোক্ষণে বুঝে গেছে যে মেয়েটা যথেষ্ট ঘাড়বাকা। অনেকটা আই এম দা কিং অফ মাই ওউন কিংডম টাইপ। সো একে কিছু বলে লাভ নেই। তাই মুখ ঘুরিয়ে বিরক্তি নিয়ে বলল,

— ” আপনাদের মতো মেয়েদের মাথায় এসব ঢুকবেনা সো গেট লস্ট।”

মেয়েটা ভ্রু কুচকে চলে যেতে নিয়েছে ঠিক তখনি স্পন্দন বিড়বিড় করে বলল,

— ” ম্যানারলেস গার্ল।”

বিড়বিড়িয়ে বললেও কথাটা মেয়েটার কানে গেলো আর যথেষ্ট গায়েও লাগল। ঘুরে দাঁড়িয়ে শার্টের হাতা ফোল্ড করতে করতে স্পন্দনের দিকে এগিয়ে আসতে আসতে বলল,

—- “হোয়াট? হোয়াট ডিড ইউ সে? কেমন মেয়ে আমি?”

স্পন্দন এতোক্ষণ ঠান্ডা মাথায় কথা বললেও মেয়েটার হাতা ফোল্ড করে এগিয়ে আসা দেখে ওর রাগ চরমে উঠে গেলো। স্পন্দন সাধারণত রাগে না কিন্তু একবার রেগে গেলে ও কী বলে কী করে সেটা ও নিজেই বুঝতে পারেনা তাই রেগে পকেটের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে নিজেও মেয়েটার দিকে একটু এগিয়ে বলল,

— ” মাঝরাতে এরকম নিরিবিলি একটা ব্রিজে কীরকম মেয়েরা আসে সেটা নিশ্চয়ই আপনাকে এক্সপ্লেইন করতে হবেনা?”

কথাটা শোনার সাথে সাথে হাত মুঠো হয়ে গেলো মেয়েটার। শুধু ক্ষীপ্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। দাঁতে দাঁত চেপে কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে থাকার পর ও নিজেই আরো একটু এগিয়ে গেলো স্পন্‍দনের দিকে। এক্কেবারে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বলল ,

— ” জানিতো। আপনি আমাকে যেই টাইপের মেয়ে বলে ইঙ্গিত করলেন সেটা যদি ঠিক হয় তাহলে তো মাঝরাতে ছেলেরাও এরকম নিরিবিলি ব্রিজে সেই টাইপের মেয়েদের জন্যেই আসে? এম আই রাইট মিস্টার… হোয়াট এভার?”

মেয়েটার উত্তর শুনে হুস এলো স্পন্দনের। রাগের বসে কী সব বলছিলো ও? হ্যাঁ এটা ঠিক যে ও উশৃঙ্খলতা, বেয়াদবি, বা ওভার স্মার্টনেস পছন্দ করে না। কিন্তু কোনো মেয়েকে, সে যেমনি হোক, তাকে এইরকম কথা বলে অপমান করাটাও ও সমর্থন করেনা। কিন্তু মেয়েটার এটিটিউট দেখে ওর সরি বলতে কেমন একটা ইগোতে লাগছে, ও নিজেও জানে এটা সঙ্গতিপূর্ণ নয় তবুও। স্পন্দন এসব ভাবতে ভাবতে মেয়েটা শার্টের হাতা ঠিক করতে করতে বলল,

— ” আর হ্যাঁ সিগারেট খাওয়ার জন্যে সিগারেট আর লাইটার লাগে লজ্জা নয়। আর আপনারা যেটাকে লজ্জা বলে মনে করেন মানে আপনাদের ওইসব সো কলড লজ্জা আমার নেই। গুঞ্জন এসবের ধার ধারেনা বুঝলেন?”

মেয়েটাকে ওরকম একটা কথা বলে স্পন্দনের যেটুকু গিল্টি ফিল হচ্ছিলো এই কথাটা শুনে তা নিমেষেই চলে গেলো আবার মনে বাসা বাধলো গুঞ্জনের প্রতি একরাশ বিরক্তি। তবে গুঞ্জন? নামটা বেশ লাগলো স্পন্দনের কাছে। তবে সেই ভালোলাগাকে পাত্তা না দিয়ে বিরক্তিকর কন্ঠে বলল,

— ” তা থাকবে কেনো? আর আপনার পরিবারই বা কেমন? এরকম উচ্ছন্নে যাওয়ার পরেও মেয়েকে শ্বাসন করে না? নাকি তারা আপনাকে কোনো শিক্ষাই দেয়নি।”

গুঞ্জন হাত মুঠো করেই কিছুক্ষণ নিচের দিকে তাকিয়ে রইলো তারপর মাথা তুলে স্পন্দনের দিকে তাকিয়ে বলল,

— ” সেটা আপনি না জানলেও চলবে।”

স্পন্দন একটু দূরে সরে গলা ঝেড়ে বলল,

— ” আপনার বাচালপোনা হয়ে গিয়ে থাকলে জাস্ট গেট লস্ট ।”

— ” অদ্ভুত বাচালপোনা তো আপনি শুরু কররেছেন। আমিতো জাস্ট জানতে চেয়েছিলাম যে লাইটার আছে কী না? আপনি এতেই ভাবলেন যে আমি…মানে থাকলে দিলে দেবেন না থাকলে বলে দেবেন আমি চলে যেতাম। এতো প্যাচানোর দরকার কী ছিলো গুরু?”

স্পন্দন ধকমের সুরে বলল,

— ” ওই! একদম ওসব উশৃঙ্খল নামে ডাকবেননা আমায়। ‍যান তো এখান থেকে।”

গুঞ্জন বিরক্ত হওয়ার থেকে বেশি অবাক হলো। এমন অদ্ভুত কেনো লোকটা? শুধু শুধু ভাট বকে যাচ্ছে। লাইফে অনেকরকম ইরেটেটিং মানুষ দেখলেও আজকের মতো দেখেনি। ও হাত দিয়ে চুলটা ঠিক করে বলল,

— ” আপনি বলবেন তারপর আমি এখান থেকে যাবো? এটা পাবলিক প্লেস নট ইউর বেডরুম ওকে? যে যান বলে ওর্ডার করবেন আর আমি চলে যাবো।”

এটুকু বলে গুঞ্জন গিয়ে ব্রিজের রেলিং এর ওপর ঝট করে উঠে গেলো পা ঝুলিয়ে বসে রইলো। তাও নদীর দিকে মুখ করে। তারপর পকেট থেকে একটা চুইঙ্গাম বের করে মুখে নিয়ে চিবোতে শুরু করলো। স্পন্দন তো অবাকের শেষ পর্যায়ে এটা মেয়ে নাকি আর কিছু? এভাবে ঝট করে লাফিয়ে ব্রিজের রেলিং এ উঠে পরলো? ভয়ডর কিছু নেই নাকি? তবুও নিজেকে সামলে নিয়ে বলল,

— ” হ্যালো মিস? কী জেনো? হ্যাঁ গুঞ্জন। এটা কী হলো?”

গুঞ্জন চুইঙ্গাম চিবোতে চিবোতে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল,

—- ” দ্যাটস নান অফ ইউর বিজনেস। থাকার হলে থাকুন না থাকলে বিদায় হন, বাট আমি এখানেই থাকবো।”

স্পন্‍দন বেশ বিরক্ত হয়ে গেলো গুঞ্জনের কথা শুনে। এতো রাতে একটা মেয়ে একা এরকম নিরিবিলি রাস্তায় বসে থাকবে? যা ইচ্ছে তাই হোক যা খুশি করুক তাতে ওর কী? রাগে গজগজ করে পাশে পার্ক করে রেখে দেওয়া গাড়িতে উঠে বসে গাড়ি স্টার্ট করে চলে গেলো স্পন্দন। তবে গুঞ্জনের বিশেষ কিছু যায় আসলো না এতে ও ওর মতো করেই চুইঙ্গাম চিবোতে চিবোতে রাতের আকাশ দেখতে লাগল।

আর এদিকে স্পন্দন একটু জোরেই কার ড্রাইড করছে। বেশ রেগে আছে ও। এরকম মেয়েও হয়? হ্যাঁ এটা ঠিক যে প্রত্যেকের স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকার আছে। বাট এটাকে স্বাধীনতা নয় বরং সেচ্ছাচারিতা বলে। ড্রেসআপ যাই হোক , রাতে বাইরে থাকবে থাকুক বাট এরকম একা একটা নির্জন জায়গায় বাইরে থাকা? আর কথার স্টাইল, এটিটিউট সবকিছুই মেয়েটার চরম উশৃঙ্খল জীবণযাপনের পরিচয় বহন করে। তার ওপর আবার সিগারেট? ছিঃ। মেয়েটার চেহারা আর নাম যতটা সুন্দর, স্বভাব আর আচরণ ততোটাই খারাপ। তবে যা খুশি হোক ওই দু আঙ্গুলে মেয়ের সাহস কীকরে হয় ওর সাথে ওইভাবে কথা বলার? পুরো মুডটাই খারাপ করে দিলো। এসব ভাবতে ভাবতে চেহারায় একরাশ বিরক্তির ছাপ নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছে স্পন্দন।

_______________________

গুঞ্জনের চার বন্ধু প্রাপ্তি, অঙ্কুর, জিহাদ, জয়।ওরা ওকে খুজতে খুজতে এসে দেখে গুঞ্জন রেলিং এ পা ঝুলিয়ে একমনে চুইঙ্গাম চিবোচ্ছে। সেটা দেখে অঙ্কুর বাকিদের দিকে তাকিয়ে বলল,

— ” লে? এতো ওখানে মনের সুখে বসে আছে আর আমরা খুজে মরছি।”

জয় একটা ছোট্ট শ্বাস ফেলে বলল,

— ” এই মেয়ের মাথায় যে কী চলে তা শুধু ও জানে আর আল্লাহ জানে! এমন কেনো ও? দেখ কোথায় বসে আছে? যদি নিচে পরে যায়?”

এরপর ওরা গুঞ্জনের কাছে এগিয়ে গেলো। প্রাপ্তি গুঞ্জনকে উদ্দেশ্য করে হতাশ কন্ঠে বলল,

— ” তুই এখানে? আর আমরা যে তোকে খুজে মরছি সেই খেয়াল আছে তোর?”

কিন্তু গুঞ্জন কোনো উত্তর দিলো না একবার পেছনে তাকালোও না, যেনো কিছু শোনেই নি। অঙ্কুর ও বিরক্তি নিয়ে বলল,

— ” আরে বাগানে কাঠ দিয়ে আগুন জ্বালাবি বলে লাইটার খুজতে বেরোলি আর ফেরার নামই নেই? সমস্যা কী তোর?”

গুঞ্জন এবার ঠিক যেমন ঝটাং করে উঠেছিলো রেলিং এ, ঠিক সেভাবেই রেলিং থেকে নেমে গেলো। কেউ চমকালো না কারণ এসবে ওরা অভ্যস্ত। গুঞ্জন ওদের দিকে তাকিয়ে বলল,

— ” আমার বাইকটা এনেছিস?”

জিহাদ বলল,

— ” হ্যাঁ। তুই কোথায় না কোথায় তাই..”

— ” আজ আর মুড নেই। বাড়ি যাবো। তোরা তোদের মতো চলে যা আমি আসছি।”

এটুকু বলে গুঞ্জন জিহাদের হাত থেকে চাবিটা নিয়ে ওর বাইকে চড়ে বসে বাইক স্টার্ট করে চলে গেলো। ওদের দিকে একবার তাকালোও না আর না কিছু বলার সুযোগ দিলো। ওরাতো অবাক। অঙ্কুর বলল,

— ” মেয়েটার কখন কী যে হয় মেয়েটা হয়তো নিজেই জানেনা। নিজেই তো আজ রাতটা পাশের বাগানে কাটাবে বলে কোনো প্রস্তুুতি ছাড়াই সবাইকে জোর করে রেখে দিলো। আগুন জ্বালাবে বলে তো লাইটার খুজতে বেড়িয়েছিলো। তাহলে হলোটা কী?”

#চলবে…
#তুমি এলে তাই ❤
#লেখিকা: অনিমা কোতয়াল
#পর্ব- ১

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে