বড়_বেশি_ভালোবাসি part : 17 ( last)

0
2282

বড়_বেশি_ভালোবাসি
part : 17 ( last)
writer : Mohona

.

নীড় শুনলো : hospital এ যাচ্ছে ,,, suicide attempt করেছে।
কথাটা শুনতেই নীড়ের হাত থেকে মোবাইল পরে গেলো। নীড় হাটু ভেঙে বসে পরলো।
নীড় : মেরিন….
নীড় সব কিছু ফেলে বেরিয়ে গেলো গাড়ি নিয়ে।
নীড় : না এমন হতে পারেনা… ও কেন এমন করলো? ও কি জানেনা আমি মরে যাবো ওকে ছারা…. তবুও… কিছুদিন যাবত dominate করেছি বলে… ?।

.

হসপিটালে….
নীড় পাগলের মতো দৌড়ে ঢুকলো। দেখলো সবাই দারিয়ে আছে।
নীড় : মেহরিন….
মেঘ হাত দিয়ে ইশারা করতেই নীড় ১সেকেন্ডও দেরি না করে ভেতরে ঢুকলো। দেখলো মেরিন শুয়ে আছে। হাতে ক্যানোলা। মেরিন তাকিয়ে দেখে নীড়। মেরিন উঠে বসলো। চোখে মুখে ভয় স্পস্ট। নীড় দৌড়ে গিয়ে মেরিনকে জরিয়ে ধরে হাউমাউ করে কাদতে লাগলো।
মেরিন মনে মনে: উনি এমন বিরহ প্রেমিকের মতো কাদছেন কেন? কি হয়েছে? এতোটুকুর জন্য এতো react করার কি আছে??। না বাবা থাক জিজ্ঞেস করবোনা । করলে কপালে দুঃখ আছে।
নীড় : এমনটা করার আগে তুই একবারও আমার কথা ভাবলিনা…. আমি কি নিয়ে বাচবো? তোর কিছু হয়ে গেলে আমি বাচবো কি নিয়েরে….
মেরিন : এতোটুকু রক্ত গেলে কেউ মরে ? তাহলে ওত…
আর বলতে পারলোনা। কারন নীড় ঠাস করে ১টা থাপ্পর মারলো।
নীড় : এতোটুকু রক্ত? তুমি suicide করতে গেলে কোন সাহসে? হ্যা? বলো…. ফাজিল মেয়ে….

মেরিন: এ্যা হ্যা হ্যা…. ভাইয়া আমাকে dark chocolate মারলো… তাও কোনো কারন ছারা….. এ্যা হ্যা হ্যা….
নীড়: ওই চুপ… আবার থাপ্পর মারবো…. suicide attempt করেছে আবার বলে কোনো কারন ছারা..
মেরিন : এ্যা…এ্যা… আমি কখন suicide attempt করলাম??? আম্মু…. আমার dark chocolate এর মাথা খারাপ হয়ে গেছে… এ্যা এ্যা…
নীড় আরেক গালে আরেকটা থাপ্পর মারলো।
নীড় : আরেকবার ভ্যা ভ্যা করলে আরেকটা লাগাবো।
মেরিন : ?।
কিন্তু ঠোট উল্টিয়ে ঠিকই কাদতে লাগলো। ভীষন cute লাগছে। নীড় মুচকি হেসে মেরিনকে বুুকে জরিয়ে নিলো।
নীড় : কেন বোঝোনা…. যে তুমি আমার দুনিয়া…. কেন suicide attempt করলা…
মেরিন কাদতে কাদতে হিচকি তুলে ফেলেছে।
মেরিন : আআমি… sssuicide aaattemt কককরিনি….
নীড় : আবার মিথ্যা?
মেরিন : আমি সত্যি বলছি…
নীড় মেরিনকে বুক থেকে ওঠালো। মেরিনের গালে হাত রাখলো। এরপর চোখে চুমু দিলো।
বলল: তুমি করোনি তো কে করেছে??।
মেরিন বাম হাত দিয়ে ইশারা করলো। নীড় মেরিনের হাত বরাবর তাকালো। দেখলো যে পাশে আরো ১টা বেড। যেটাতে ইয়া শুয়ে আছে। ওর চোখ বন্ধ। মানে অজ্ঞান। এরপর সবদিক খেয়াল করে দেখলো যে মেরিন ইয়াকে রক্ত দিচ্ছে। নীড় অজ্ঞান…..

.

আসলে ঘটনাটা হলো
এই যে…

নীড়-মেরিনের break up এর পরে যে ইয়াও ইমানের সাথে break up করেছিলো সেটা আগেই বলেছি। তো এখন মেরিনের বিয়ের কিছুদিন আগে ইয়ার engagement হয়েছিলো। ৫টা বছর ইয়া বহু কষ্টে ইমানকে ভুলে ছিলো। কিন্তু মেরিনের বিয়েতে আবার ইমানকে দেখে ইয়ার দিন দুনিয়া ঘুরে গেছে। ও ওর বাবাকে বিয়ে engagement ভাঙার কথা বলতে পারছিলোনা। কারন engagementএর আগে ওর বাবা অনেক বার জিজ্ঞেস করেছিলো যে ও কাউকে ভালোবাসে কিনা? তখন ইয়া না করেছিলো। কিন্তু ইমানকে দেখে যে ভালোবাসা আর আটকে রাখতে পারেনি। ওর অবস্থা এমন যে ও ইমানকে ভুলে অন্যকাউকে বিয়ে করতে পারবেনা। আবার সবকিছু ছেরে ইমানের কাছেও চলে আসতে পারবেনা। এতে ওর বাবার সম্মান মাটির সাথে মিশে যাবে। যে বাবা ওর ভালোর জন্য ২য় বিয়ে করেনি সেই বাবাকে কষ্ট দেয়া ওর সম্ভব না । সেই সাথে ইমানও ইয়াকে রাগ দেখিয়ে বিয়ের জন্য রাজি হয়েছে। খালাতো বোনকে। মেরিনের birthday তে ইমান ওর fiance কে নিয়ে এসেছিলো। যা দেখে ইয়া মেনে নিতে পারেনি। নানা চাপে পরে বাধ্য হয়ে ইয়া suicide attempt করেছে। সেটার খবর শুনেই মেরিনরা দৌড়ে হসপিটালে আসছিলো। নীড় যখন কনিকাকে ফোন করলো তখন গাড়িটা যে জায়গায় ছিলো সেখানে অনেক মাইকিং টাইকিং হচ্ছিলো। যারজন্য নীড় ভুল শুনেছে।
actually কনিকা বলেছিল:
মেরিন হসপিটালে যাচ্ছে। “ইয়া” suicide attempt করেছে ।।
এই “ইয়া” word টাই নীড় শুনতে পায়নি।
???।

.

২দিনপর…
রাতে….
মেরিন : আচ্ছা dark chocolate …. ১টা কথা বলুননা।
নীড়: কি?
মেরিন: ইমান ভাইয়া আর ইয়ার break up কেন হয়েছিলো? ইয়া কেন ইমান ভাইয়াকে ছেরে এসেছিলো?
নীড় : শুনলে কষ্ট পাবেনা তো?
মেরিন: উহু….
নীড় : তোমার জন্য… আমার জন্য…. আমাদের জন্য।
মেরিন: মানে?
নীড় সবটা বলল।

.

মেরিন: ইয়া আমাকে এতোটা ভালোবাসে…. ?। আমার নিজের বোন থাকলে সেও হয়তো আমাকে এতো ভালোবাসতে পারতোনা। ওর জায়গায় আমি থাকলেও হয়তো এমন করতাম না….
নীড় : হয়তো এদেরই নাম best friend ….
মেরিন : হামম। ?।
নীড় : আচ্ছা ইয়া suicide attempt কেন করলো?
মেরিন বলল।
নীড় : আল্লাহ গো…. এতো ঘাপলা? এতো প্যাচ?
মেরিন: হামম। ?।
নীড়: হাসির কিছু বলেছি? ?।
মেরিন: হামম।
নীড় : হাসো হাসো। plan তো তোমাকে বানাতে হবেনা… সেটাতো আমাকেই করতে হবে।
মেরিন : কিসের plan ?
নীড় :ইয়া-ইমানকে মিলানোর plan….
আজব নসীব আমার…. গত ৬-৭ বছর ধরে planই বানাচ্ছি।
প্রথমে নিজের ভালোবাসাকে propose করার plan…
নিজের gf রোজ ২বার হলেও break up করতো সেটাকে ঠিকঠাক করার plan….
নিজের ভালোবাসাকে পাওয়ার জন্য plan….
নিজের বিয়ে করার plan,
বউর মনে নিজের নামে সন্দেহ ঢোকার plan….
বউকে তার পছন্দের জায়গায় হানিমুনে নেয়ার plan…
ভাইয়া-ভাবির patch up + বিয়ের plan…
এখন আবার ইয়া-ইমানের বিয়ের plan…. আমার নিজেকে planগুরু মনে হচ্ছে।
মেরিন নীড়ের গলা জরিয়ে ধরে
বলল: planগুরু কি না জানিনা… তবে লাভগুরু বলা যায় ।
নীড় মেরিনের নাক টেনে
বলল : তাই বুঝি?
মেরিন : হামম। তবে আমার মনে হয়না ইমান ভাইয়া আর ইয়ার বিষয়ে কোনো ভয়ানক plan বানানোর দরকার নেই। uncle … মানে ইয়ার বাবা ভীষন ভালো আর polite… ইয়াকে অননননননেক আদর করে। তাই uncle কে বুঝিয়ে বললেই হবে। আমি কালই বাবা কে বলতে বলবো।
নীড় : বাবা কেন বলবে? ছেলেটা কি বাবার নাকি?
মেরিন: মানে?
নীড়: আরে বাবা বলবে কেন? বলবে uncle … মানে ইমানের বাবা….
মেরিন: ওও… হামম.. কিন….
নীড়: shshh… আর কোনো কথানা… আমাকে আমার কাজটা করতে দাও….
বলেই মেরিনে নিজের সাথে মিশিয়ে সেই বিখ্যাত তিলটাতে কিস করতে লাগলো।

.

ইয়া-ইমানের engagement এর দিন….
মানে রাত… ?…
ইয়াকে মেরিন নিজের হাতে সাজিয়ে দিচ্ছে। আর ইমানকে নীড়। ২জনকেই নীল পরানো হচ্ছে। অথচ ওরা ২জনের কেউই জানেনা যে ওদের engagement ওদের সাথে …. ইমান জানে যে ওর খালাতো বোনের সাথে ওর engagement …. আর ইয়া যানে আজকে ওর কাবিন।

.

আকাশ : কি রে মামমা.. আজকে তোমমার পানচিনি…. কিন্তু মুখ এমন করি রাইকসো যেন তোমারে কেউ বুড়িগঙ্গায় চুবাতি নিয়ে যাচসি।
ইমান: তুই চুপ থাকবি….
নীড় : ওই কথা কম বল তো.. রেডি করতে দে।
রাব্বি: এই কারনেই তো বলি নীড়রে দেখলেই মাইয়ারা কিল্লায় এতো কেরাশ খায়? এততো সাজিয়া গুজিয়ে বের হয়…. মাইয়ারা আহত নিহত হয়।
নীড়: এখন তুই নিহত না হতে চাইলে চুপ থাক।
সূর্য: ওই strawberry ক্ষীর…আমাদের engagement এ তো আমাদের এ্যামনে সাজাসনি? ?।
নীড় : খবরদার যদি আরেকবার strawberry ক্ষীর ডেকেছিস… ?. ওই নামে আমাকে কেবল আমার বউ ডাকবে। ☺☺??।
৩জন: ওরে আমার বউ আলারে।
ইমান: নীড়….
আকাশ : ওই সবাই চুপ…. ইমান কাক্কু যে পাঠার বলি থুক্কু বলির পাঠা হতে যাচ্ছে সে কিছু বলতে চায়…. বলুন please … ???…
ইমান: নীড় এরে সরতে বল।
আকাশ : ok … এই আমি চুপ।
ইমান: দেখনা আমি বিয়েতে রাজি হয়েছি জেনেই ইয়া suicide attempt করেছিলো। আর যদি engagement এর কথা শুনে তাহলে কি করবে….
নীড় : আমার বাপের মাথা করবে…. যে মেয়ে তোকে ভুলে engagement করেছে তুই তার কথা ভাবছিস? আমার মনে হয় ইয়া কখনো তোকে ভালোইবাসেনি….
ইমান : নীড়…?…
নীড় : ?।

.

ওদিকে….
মেরিন: তুই এমন ভাবে কান্না করছিস যেন তোর বিয়ে কোনো চিড়িয়াখানার পেতনির সাথে বিয়ে হচ্ছে। যে তোকে হানিমুনে নিয়ে যাবে সূর্যের দেশে।
ইয়া: ?।
মেরিন: ওই থামতো…সাজাতে দে তোকে…. সব কান্না এখন কাদলে বিদায়ের সময় কি কাদবি? তখন না কাদলে মানুষ কি বলবে বলতো? কি আর বলবে…. বলবে digital বউ…. ☺️☺️। তবে আফসোস আমি digital বউয়ের title টা পাইনি…. ভীষন কান্না আসছিলো। আহারে বেচারি আমি….

.

৩ঘন্টাপর….
ইয়া-ইমান যখন জানতে পারলো যে ওদের engagement তখন খুশিতে ২জন ২জনকে জরিয়ে ধরে কাদতে লাগলো। engagement এর কিছুদিন পর ওদের বিয়ে হলো।

আর কি লিখবো???? ইয়া-ইমান , অধরা-মেঘ &&& নীড়-মেরিনের মিলতো হয়েই গেলো। ১কাজ করি ওদের বেবি হওয়াটাও দেখাই।

.

বেশকিছুদিন পর….
নীড় office থেকে ফিরলো। রুমে গেলো। আর গিয়ে অবাক হয়ে গেলো। কারন সারাঘর কালারফুল মোমবাতি দিয়ে সাজানো। হালকা পাতলা ফুলও আছে। সেই সাথে ছোট্ট টেবিলটাতে ১টা ছোট্ট কেকও রাখা আছে।
নীড়ের মুখে হাসি ফুটলো। নীড় এগিয়ে গেলো। তখন পেছন থেকে মেরিন এসে নীড়কে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো।
মেরিন : ❤❤ #বড়_বেশি_ভালোবাসি ।❤❤।
নীড় মেরিনের হাত জোরা নিয়ে কিস করলো। এরপর মেরিনের দিকে ঘুরলো। আর ঘুরেই তো হা… কারন মেরিন লাল রঙের ১টা শাড়ি actually বেনারসি। অনেক সুন্দর লাগছে মেরিনকে। নীড় ঘোর লাগা চোখে মেরিনকে দেখতে লাগলো। মেরিন নীড়ের চোখের পাতায় হাত রেখে
বলল: আমি তোখ বন্ধ করে থাকুন…. না হলে আমি আমার কথা বলতে পারবোনা।
নীড় আবার মুচকি হাসলো।
নীড় : বলতে হবেনা….
নীড় চোখ থেকে মেরিনের হাত সরিয়ে মেরিনকে ঘুরিয়ে ওকে পেছন থেকে জরিয়ে
ধরে ঘাড়ে মাথা রাখলো। এরপর মেরিনের পেটে হাত রেখে
বলল: আমাদের জুনিয়র আসছে। তাইতো ?
মেরিন: এ্যা? আপনি কি করে জানলেন?
নীড় : আমার যে বউ গত ২বছরে ভুলেও আমাকে এমন surprise বা gift কিছুই দেয়নি…. সে এমন কিছু করলো। কোনো কারন ছারাই? আর কারনটা হলো তার টুইন বেবিই চাই। এসব করার কারন হলো যেন আমি খুশি হয়ে রোজ কিছুনা কিছু জোর ফল নিয়ে আসি।
মেরিন : কি চালাক গো আপনি….
নীড় মেরিনের ঘাড়ে কিস করে
বলল : হামম। thank you… ভাবতেও পারিনি বাবা হওয়ার খবরটাও এতোটা আনন্দের।
মেরিন ১টা মিষ্টি হাসি দিলো।

.

পরদিন সবাই জানতে পারলো। আর আনন্দের ঢল নামলো। নীড় মেরিনের খেয়াল এমনভাবে রাখতে লাগলো যেন মেরিন ১টা নবজাতক শিশু।তবে মেরিনের pregnancy এর ৮-৯মাস নীড়ের ওপর ভূমিকম্প, সুনামি, সিডর, আইলা, ফনি, বুলবুল কি কি যায় নি। মেরিনের অত্যাচারে নীড় পাগল প্রায়। তবুও নীড় কোনো বিরক্ত হয়নি। মেরিনেরও টুইন ছেলে-মেয়ে হলো। নির্বন-নিরাম…. বাবু হওয়ার পরও নীড়ের শান্তি নেই। রাতে ওদের খাওয়ানো চেন্জ করানো ঘুম পারানো সব ওকেই করতে হয়। ওকে মোট ৩টা বাচ্চা সামলাতে হয়।

.

৪বছরপর….
নির্বন: মামনি মামনি….
মেরিন: কি??
নির্বন: দেকো…. নিলাম না আমাস চককেট থেয়ে ফেলতে….
মেরিন: ভালো হয়েছে…. তাতে আমার বাপের কি?
নিরাম: না মামনি ভাইয়া মিততা বলতে… আমি না ও ই আমালতা থেয়েতে…
মেরিন :আরো ভালো।
নির্বন: মামনি সবসময়েল মতো তুমিই থেয়ে ফেলোনিতো….
মেরিন: একদম ধরে করল্লা খাইয়ে দিবো। বাজে কথা বললে। আমার কি চকোলেট নেই যে তোমাদেরটা খাবো? আমার বাবা, ভাইয়া আর জামাইর কি চকোলেট কিনার টাকা নেই যে আমি তোমাদেরটা খাবো?
ধমক খেয়ে ২ভাইবোন কানাকানি করতে লাগলো। মনে হয় মামনিই থেয়েতে। তখন নীড় এলো।

.

নীড়: বাচ্চারা….
২জনই পাপা পাপা করে নীড়ের দিকে দৌড়ে গেলো। আর সব বলল।
মেরিন মনে মনে: এইরে…. এই strawberry ক্ষীর না আবার বাচ্চাদের সত্যিটা বলে দেয়।
নীড় : বাচ্চারা তোমাদেল চককেত কে খেয়ে খেয়েছে জানো?
বাচ্চারা: কে?
নীড় ইশারা দিয়ে
বলল: তোমাদের মামনি…..
চলো মজা দেখাই।
মেরিন: না…. আম্মু ??। dark chocolate দূরে থাকুন….
২বাচ্চা আর নীড় মিলে মেরিনকে সুরসুরি দিতে লাগলো। আর মেরিন খিলখিল করে হাসতে লাগলো। এভাবেই আনন্দের সাথে নীড়-মেরিনের জীবন চলতে লাগলো।

??chocolate সমাপ্ত??

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে