তুমি আসবে বলে পর্ব-১০+১১

0
1277

#গল্পের_নাম_তুমি_আসবে_বলে
#লেখনীতে_Alisha_Rahman_Fiza
পর্বঃ১০
আমি খেয়াল করে দেখলাম আওয়াজটা ফায়াজ ভাইয়ের রুম থেকে আসছে।আমি পা পা টিপে তার রুমের সামনে দাড়িয়ে পরি দরজা আধখোলা হয়ে আছে।তা দিয়ে ভিতরে উঁকি দিয়ে আমি যা দেখলাম তাতে আমার বুকটা ধক করে উঠলো ফায়াজ ভাই নিচে বসে আছেন বিছানার কার্নিশ ঘেসে আর তার চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পরছে তার সামনে আয়না ভেঙ্গে পরে আছে।ফায়াজ ভাইয়ের হাত থেকে গলগল করে রক্ত পরছে।আমি নিজেকে আর সামলিয়ে রাখতে পারলাম না দরজা ঠেলে রুমে ঢুকে ফায়াজ ভাইয়ের সামনে হাঁটু গেড়ে বসে পরলাম।ফায়াজ ভাই আমাকে দেখে অবাক হলেন তারপরই আমাকে জড়িয়ে ধরলেন তার রক্তভেজা হাত আমার পিঠে রাখলেন।পুরো কামিজে আমার তরল জাতীয় কিছু বেয়ে পরছে নিশ্চিত ফায়াজ ভাইয়ের রক্ত।আমি তার হাতটা ছাড়াতে চাইলে আরো গভীরভাবে সে আমায় জড়িয়ে ধরে।আমি অনেক কষ্টে নিজেকে ছাড়িয়ে তার রক্তমাখা হাত আমার হাতে নিয়ে দেখলাম হাতের ভিতর কাঁচের কিছু অংশ লেগে কেটে গেছে।আমি তার ড্রয়ার থেকে মেডিসিনের বক্স নিয়ে হাতের কাটা জায়গাটা ব্যান্ডেজ করে দেই।ব্যান্ডেজ করা শেষ হলে আমি ফায়াজ ভাইয়ের দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে বললাম,

~বাচ্চাদের মতো এসব কী করছেন?আপনি যথেষ্ট বড় এসব করে নিজেকে ছোট করবেন না।
বলেই যেই আমি উঠতে নিবো তখনই সে দাড়িয়ে পরে আমার সামনে আমি রাগ নিয়ে বললাম,
~এতো রাতে তামাশা করবেন না।
আমার কথা শেষ হতেই আমি তার পাশ কাটিয়ে যেতল নিবো তখনই সে আমার হাত টান দিয়ে তার বাহুডরে আমাকে আবদ্ধ করলো।আমি তার বুকে গিয়ে পরলাম ফায়াজ ভাইয়ের এহেন আচরণে আমি কিছুই বললাম না সে আমার মাথায় পরম যত্নে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললেন,
~আবীর ভাই কেন তোকে আমার সাথে বিয়ে দিতে চায় না?আর কয়েকদিন পর আমার জবও হয়ে যাবে আমার ভিতর প্রবলেমটা কী?আমি আর এসব নিতে পারছিনা আমি তো ধুকে ধুকে মরছি তুই কী বুঝিস না?আমি জানি তুই বুঝিস কিন্তু আমাকে বুঝাতে চাস না।
এতটুকু বলে সে থেমে গেল তার এসব কথা শুনে আমার চোখের পানি পরতে লাগলো তার শার্ট ভিজে গেছে আমার চোখের পানিতে ফায়াজ ভাই আমায় ছেড়ে দিয়ে তার হাত আমার বাহুডরে রেখে আমার চোখে চোখ রেখে বললেন,

~কিছু তো বল ফিহা?তুই কী আমার মনের কথা বুঝতে পারছিস না
বলেই সে ফ্লোরে বসে পরলো তার চাপা কান্নার আওয়াজ পুরো রুম জুড়ে শোনা যাচ্ছে আমি সেভাবেই দাড়িয়ে রয়েছি স্তব্ধ হয়ে কী বলবো?কিছুই বুঝতে পারছিনা মন কী চায় তা হলো বড় প্রশ্ন আমি নিজেকে ঠিক করে বললাম,
~রাত অনেক হয়েছে ঘুমিয়ে পরুন।আর এসব করবেন না খালামণি এসব দেখলে কী ভাববে?সে কী তার ছেলের এই অবস্থা দেখে সহ্য করতে পারবে।
বলেই এক মুর্হুত সেখানে দাড়ালাম না রুমে এসে ওয়াশরুমে চলে আসলাম কলের ট্যাপ ছেড়ে চাপা কান্না শুরু করলাম ফায়াজ ভাইয়ের কষ্ট দেখে এতো খারাপ কেন লাগছে তাকে ব্যথায় দেখে আমার সহ্য হচ্ছে না।
ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে চুপচাপ মায়ের পাশে শুয়ে পরলাম চোখ বন্ধ করে ফেললাম।
সকালে সবাই ডাইনিং টেবিলে বসে আছে সবার মুখ গম্ভীর হয়ে আছে আমি চুপচাপ নাস্তা করছি হঠাৎ কোথা থেকে যেন ফায়াজ ভাই এসে আমার পাশের চেয়ারে বসে পরলেন সবাই তার দিকে তাকিয়ে আছে
আমি আড়চোখে তাকিয়ে দেখলাম ফায়াজ ভাই একদম স্বাভাবিক ভাবে তার প্লেটে পরোটা তুলছে তারপর পরোটা ছিড়ে মুখে পুরে দিলো।
হঠাৎ আবীর ভাই বললেন,
~খালামণি আমরা আজ চলে যাচ্ছি বাবা বাসায় একা আছেন আর আমারও অফিস শুরু তাই আমাদের বাসায় যাওয়াটা দরকার।
খালামণি বললেন,
~যেটা তোমরা ভালো বুঝো।
আমি ফায়াজ ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে দেখি সে একদম বিন্দাস নাস্তা করছে কেনজানি অনেক অভিমান হলো এই তার ভালোবাসা আমি চলে যাচ্ছি তার কোনো ভাবান্তর নেই।

আবীর ভাই আমার দিকে তাকিয়প বললেন,
~ফিহা যা রেডি হ এখনই বাসার জন্য রওনা হবো।
আমি চেয়ার ছেড়ে উঠতে যাবো তখনই ফায়াজ ভাই আমার হাত ধরে বললেন,
~ফিহা কোথাও যাচ্ছে না।
এতটুকু বলে আমার হাত ধরে সে দাড়িয়ে পরে আবীর ভাই রাগে কটমট করতে করতে বললেন,
~ফায়াজ কালকে রাতে আমি আমার কথা বলে দিয়েছি।আর ফিহার হাত ছাড় নাহলে খবর আছে
ফায়াজ ভাই আমার হাত আরো শক্ত করে ধরে বললেন,
~ছাড়ার জন্য তোমার বোনের হাত ধরিনি আমিও তো বলেছি আমি ফিহাকেই বিয়ে করবো।
আবীর ভাই বললেন,
~তোর মতো ছেলের কাছ থেকে এসব আশা করিনি আমি।
ফায়াজ ভাই বললেন,
~আশা না করাটাই শ্রেয়।
ফায়াজ ভাইয়ের কথায় আবীর ভাই গর্জে উঠলেন আর বললেন,
~খালামণি ফায়াজকে বুঝান আমরা এখন এসব ভাবছিনা
খালামণি একদম চুপ করে আছেন মা বললেন,
~ফায়াজ সব কিছু বুঝার চেষ্টা করো বাবা আমরা পরে কথা বলি এসব ব্যাপারে।
ফায়াজ ভাই বললেন,
~যা হওয়ার এখনই হবে।আমি ফিহাকে কোথাও যেতে দিচ্ছি না
বলেই সে আমাকে নিজের সাথে আরো শক্ত করে চেপে ধরলো।আবীর ভাই বললেন,
~বেয়াদবির সব লিমিট তুমি ক্রস করছো।
ফায়াজ ভাই আর আবীর ভাইয়ের চিল্লাচিল্লিতে রুপা আপু সহ সবাই বের হয়ে আসলো সবাইকে দেখে আমার অনেক খারাপ লাগছে আমার জন্য এসব হচ্ছে।
আমাী চোখ বেয়ে পানি পরছে তখনই খালামণি চিৎকার করে বললেন,
~দুজনই একদম চুপ আর কোনো কথা হবে না।ফায়াজ ফিহাকে ছাড়ো মেয়েটা তোমার জন্য সবার সামনে অপমানিত হচ্ছে।
ফায়াজ ভাই বললেন,
~না মা আমি ওকে ছাড়ছিনা আবীর ভাই ওকে নিয়ে চলে যাবে।
খালামণি এবার আমাকে তার হাত থেকে ছাড়িয়ে বললেন,
~ফিহা কী চায় এটা কেউ জানতে চেয়েছে?তোমরা সবাই নিজের কথা বলছো ওর কথা কেউ শুনেছো।
খালামণির কথা শুনে সবাই চুপ হয়ে যায় ফায়াজ ভাই অসহায়ের মতো আমার দিকে তাকিয়ে আছে আমি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদেই চলছে। খালামণি বললেন,

~ফিহা,তুই বল তোর কী সিদ্ধান্ত?
আমি অশ্রুসিক্ত নয়নে খালামণির দিকে তাকিয়ে বললাম,
~খালামণি কিছুদিনের সময় দেন আমাকে।
খালামণি বললেন,
~অবশ্যই সে পর্যন্ত তুই আমার বাসায় থাকবি।
আমি মাথাদুলালাম খালামণি সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললেন,
~ফিহা কী বলেছো সবাই শুনেছো আর আমার কী সিদ্ধান্ত তাও বলেছি কোনো কথা শুনতে চাইনা।
আর কেউ কোনো কথা বললো না আবীর ভাই রাগী চোখে একবার তাকিয়ে সেখান থেকে চলে গেলেন মা আমাকে রুমে চলে গেলেন।
রুপা আপু আর মায়েরা একসাথে বের হলেন বাসা থেকে আমি এখানেই থাকবো প্রিয়া ভাবিরা কাল চলে আসবে।সবাইকে বিদায় দিতে আমও নিচে আসলাম আবীর ভাই আমার কাছে এসে বললেন,
~দেখ বোনু আমি তোর উপর কোনো সিদ্ধান্ত চেপে দিতে চাইনা তুই যদি ফায়াজকে নিজের জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে চাস আমার কোনো আপত্তি নেই।বুঝে শুনে সিদ্ধান্ত নিস
আমি কিছু না বলে চুপ করে থাকলাম। সবাই চলে যাওয়ার পর রুমে চলে আসলাম মনটা কেমন কেমন করছে। রুমে আসতেই আমার চোখ চড়কগাছ হয়ে গেলো কারণ

চলবে

#গল্পের_নাম_তুমি_আসবে_বলে
#লেখনীতে_Alisha_Rahman_Fiza
পর্বঃ১১
রুমের ভিতরে ঢুকতেই আমার চোখ চড়কগাছ ফায়াজ ভাই আমার রুমের বিছানায় পায়ের উপরে পা তুলে শুয়ে আছে।আমি তাকে দেখে ভ্রুকুচকে আমার কোমড়ে হাত রেখে তার সামনে গিয়ে বললাম,
~এই যে মশাই আপনি এভাবে শুয়ে আছেন কেন?তাও আমার রুমে
ফায়াজ ভাই আমার কথা শুনে ধপ করে বিছানা থেকে উঠে আমার সামনে দাড়িয়ে পরলো আমি দুকদম পিছিয়ে গেলাম।সে আমার একদম কাছে এসে বললেন,
~আমার মন চেয়েছে তোর রুমে আসতে তাই এসেছি কোনো সমস্যা?
বলেই আমার চুল গুলো কানের পিছে গুজে দিলেন।তার স্পর্শ পেয়ে কেঁপে উঠলাম আমি। তার চোখে চোখ পরতেই আমি দূরে গিয়ে দাড়ালাম ফায়াজ ভাই আমাকে দূরে যেতে দেখে মুচকি হেসে বললেন,
~এতো দূরে থেকে লাভ আছে ওইতো আমার কাছে আসতেই হবে।
আমি বললাম,
~দেখা যাবে নে কে কাছে আসে।
ফায়াজ ভাই হেসে আমার কাছে এসে দুগালে তার হাত রেখে বললেন,
~তুই এতো কিউট কেন?বলতে পারিস তুই যখন গাল ফুলিয়ে কথা বলিস তখন তাকে ছোট বাচ্চার মতো লাগে।
ফায়াজ ভাই নির্ঘাত পাগল হয়ে গেছে কী আবোল তাবোল বকছে মাথার সব তাড় ছিড়ে গেছে।আমি কিছুক্ষন এসব ভেবে তাকে বললাম,
~ফায়াজ ভাই,এসব কী বকছেন?
ফায়াজ ভাই আমার গাল টেনে বললেন,
~তোকে বুঝতে হবে না সময় হলে বুঝে যাবি।আর শোন তোর না আমাদের বাসার পাশে পার্কটা পছন্দ আজ আমরা সেখানে যাবো।
আমি তাড়াতাড়ি করে বললাম,
~একদম না খালামণি যেতে দিবে না।
ফায়াজ ভাই বললেন,
~সেটা আমার ব্যাপার ঠিক এক ঘন্টা পর তোকে আমি নিয়ে যাবো।
বলেই সে চলে গেলো আমি হা হয়ে তার দিকে তাকিয়ে রইলাম

ফায়াজ তার মায়ের রুমের সামনে এসে দরজায় টোকা দিলো ভিতর থেকে আওয়াজ আসলো,
~ভিতরে আসো।
ফায়াজ অনুমতি পেয়ে ভিতরে ঢুকে দেখলো তার মা আলমারি গোছাতে ব্যস্ত। ফায়াজ তার মাকে বললো,
~মা একটু কথা আছে।
ফায়াজের মা ছেলের দিকে তাকিয়ে বললো,
~কী হয়েছে বল?
ফায়াজ বললো,
~মা ফিহাকে নিয়ে বাড়ির পাশে পার্কে যেতে চাই।
ফায়াজের মা ছেলের এমন কথায় বললো,
~ফিহা রাজী যেতে?
মায়ের কথায় ফায়াজ বললো,
~তোমার কী মনে হয় তোমার ভাগনী রাজী হবে তুমি পারমিশন দেও আমি ওকে নিয়ে যাবো।
ফায়াজের মা ছেলের এমন পাগলামী দেখে হালকা হেসে বললেন,
~তুই একদম তোর বাবার মতো হয়েছিস জেদী একটা।মেয়েটাকে একা ছাড় ভাবতে দে।
ফায়াজ বললো,
~উফ মা তুমি বুঝতে চাইছো না তোমার ভাগনীকে একা ছাড়া যাবে না।
ফায়াজের মা বললেন,
~যা কিন্তু তোর ভাই আর ভাবী আসবে তার আগেই চলে আসবি।
ফায়াজ বললো,
~যেটা আজ্ঞে মহারাণী।
ফায়াজের মা বললেন,
~যা দুষ্ট কোথাকার।
ফায়াজ হাসিহাসি মুখে মায়ের রুম থেকে বের হয়ে নিজের রুমে গিয়ে রেডি হতে শুরু করলো
আমি আয়নার সামনে দাড়িয়ে হিজাব ঠিক করছি খালামণি এসে বলেগেছেন ফায়াজ ভাইয়ের সাথে যেতে আর আমারও মন চাইছে একটু ঘুরতে তাই ভাবলাম যেতে পারলে খারাপ কী?আমি হিজাবটা ঠিক করে ঠোঁটে হালকা লিপজেল দিয়ে চোখে কাজল দিয়ে রেডি হয়ে নিলাম।তারপর রুম থেকে বের হয়ে ডাইরেক্ট নিচে চলে আসলাম সোফার রুমে।

নিচে আসতে দেখি ফায়াজ ভাই দাড়িয়ে আছে আমাকে দেখে মুচকি হেসে বললেন,
~যাওয়া যাক।
আমি কিছু না বলে হাঁটা শুরু করলাম দরজার বাহিরে গিয়ে আরো একটা ধাক্কা খেলাম কারণ বাইক দাড় করানো।ফায়াজ ভাই বাইকে উঠে তা স্টার্ট দিয়ে বললেন,
~তাড়াতাড়ি বসে পর।
আমি তার পিছে বসে পরলাম ফায়াজ ভাই বললেন,
~শক্ত করে ধরে বস নাহলে পরে যাবি।
আমি বললাম,
~উহু বসেছি তো আর মাত্র ২০মিনিটের রাস্তার জন্য বাইক নেওয়ার কী দরকার ছিল?
ফায়াজ ভাই কিছু না বলে বাঁকা হেসে বাইক চালাতে শুরু করলেন। এমনভাবে চালাচ্ছেন জেনো প্লেন চালাচ্ছেন আমি তাল সামলাতে না পেরে তার কাধে হাত রেখে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম।ফায়াজ ভাই বললেন,
~এখন বুঝেছিস কেন বাইক নিয়েছি।
ফায়াজ ভাইয়ের কথায় আমি লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে ফেললাম মানুষটা বড্ড মুখ কাটা একটা কথাও মুখে আটকায় না।
২০মিনিট পর আমরা পার্কের সামনে এসে পরলাম আমি বাইক থেকে নেমে একসাইডে দাড়ালাম আর ফায়াজ ভাই বাইক এক জায়গায় দাড় করিয়ে দিলেন।
আমি আর ফায়াজ ভাই পার্কের ভিতরে প্রবেশ করলাম পার্কটা অনেক সুন্দর গাছপালায় পরিপূর্ণ ছোট ছোট বাচ্চারা খেলাধুলা করছে আমরা একটা জায়গায় গিয়ে বসে পরলাম। এমন প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে অনেক ভালো লাগে নরম ঘাসের উপরে আমরা বসে আছি আশেপাশে মানুষজন বসে আছে তারাও আড্ডায় মসগুল কেউ কেউ চা বিক্রি করছে তো কেউ কেউ চানাবুট।অনেক ভালোলাগছে মন খুলে নিশ্বাস নিয়ে আশে পাশে তাকাচ্ছি হঠাৎ

ফায়াজ ভাই আমার কানের কাছে এসে বললেন,
~কী দেখছিস এভাবে?
ফায়াজ ভাইয়ের কন্ঠ শুনে আমার সারা শরীরে এক অজানা শিহরণ বয়ে গেলো।আমি শুকনো ঢোক গিলে বললাম,
~আশেপাশের পরিবেশ দেখছি অনেকদিন পর এখানে এসেছি।
ফায়াজ ভাই আমার হাত তার হাতে নিয়ে বললাম,
~তোর জন্যই তো এখানে আসা।
আমি বললাম,
~হাত ছাড়েন আশেপাশের মানুষ দেখছে।
ফায়াজ ভাই আমার হাত শক্ত করে ধরে আমার দিকে তাকিয়েই বললেন,
~দেখুক দেখলে কী হবে?
আমি কিছু না বলে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লাম ফায়াজ ভাই বললেন,
~এখানের পরিবেশটা অনেক সুন্দর একদম তোর মতো নাহ তুই এর থেকেও বেশি সুন্দরী কারণ তুই যে আমার মনের নারী।
আমি ফায়াজ ভাইয়ের কথা শুনে আমার কাজল কালো চোখ নিয়ে তার দিকে তাকালাম সে আমার দিকে একনজরে তাকিয়ে আছে। ফায়াজ ভাই বললেন,
~তোর সিদ্ধান্ত যা হবে আমি তাই মেনে নিবো এটা তুই ভাববিনা আমি চেষ্টা করে যাবো তোকে আমার করার জন্য আর শোন আমি এতো সহজে হার মানবো না।
ফায়াজ ভাইয়ের কথা শুনে আমি কী বলবো তা ভেবে পাচ্ছি না তার মনের ভাব আমার জন্য যে অনেক গভীর তা আমি বুঝতে পারছি।আমার মনেও তার জন্য একটু একটু মনোভাব আছে কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না।একটু সময়ের প্রয়োজন কারণ আমি তারাহুরা করে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চাই না।
ফায়াজ ভাইয়ের পার্কে অনেকক্ষন ঘুরা ফেরা করে আইসক্রিম আর ফুচকা খেয়ে বাসায় রওনা দিলাম আমাদের মাঝে অনেক কথাই হলো প্রিয়া ভাবিরা বাসায় চলে এসেছে তাই আমরা বাসার দিকে রওনা হলাম।বাসায় পৌছে আমি ভিতরে চলে গেলাম ফায়াজ ভাই বাইক রাখতে গেলেন

খালামণি দরজা খুলে আমাকে দেখে বললেন,
~ফায়াজ কোথায়?
খালামণিকে দেখে চিন্তিত লাগছে কিন্তু কেন?আমি বললাম,
~বাইক রাখতে গিয়েছে।
খালামণি বললেন,
~ভিতরে আয়।
আমি ভিতরে ঢুকে আরেক দফা ধাক্কা খেলাম এখন বুঝেছি কেন খালামণি চিন্তিত কারণ তাসিফ আমার সামনে বসে আছে।আমাকে দেখে প্রিয়া ভাবি বললেন,
~আরে ফিহা যে এখানে আসো।
আমি প্রিয়া ভাবির পাশে গিয়ে বসে পরলাম তাসিফ আমাকক দেখে বললেন,
~কেমন আছো ফিহা?
আমি কিছু বলতে যাবো আমার নজর দরজার দিকে পরলো আর তাতেই আমার কলিজার পানি শুকিয়ে গেলো

চলবে

(বিদ্রঃকেমন হয়েছে জানাবেন।ভুলগুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো🥰🥰।Happy Reading🤗🤗)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে