ডিভোর্সের পরে পর্ব-১২+১৩

0
756

#গল্পঃডিভোর্সের_পরে
পর্বঃ১২
#লেখকঃরিয়াজ

আনিস সাহেব হ্যাঁ সম্মত জানিয়ে ফোন রেখে দিলো।এরপর মিম নীলয়কে কল দিয়ে তার কাছে যেতে বল্লো নীলয় বল্লো আচ্ছা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করো আমি আসতিছি।মিম বল্লো বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে পারবো না।তারাতাড়ি এসো।
এর ১০ মিনিট পর নীলয় বাইক নিয়ে মিমের কাছে চলে আসে।এসে তাকে বল্লো হ্যা এইবার বলো কি হয়েছে?

মিম নীলয় কে বলে আমার ভাই দেখে শুনে আমার জন্য এমন একটা ছেলেকে নিয়ে এসেছে যাকে আমার মোটেও পছন্দ হয়নি।লোকটার বয়স বেশি তাছাড়া তার দৃষ্টিও ভালো না।আমার কাছে লোকটাকে কেমন জানি বাজে চরিত্রের লোক মনে হয়।তার সাথে আমার কালকে দেখা হয়েছে আর সে আজকেই আবার একা দেখা করতে চায়।এখন আমি কি করবো বলো তো?

নীলয় কিছুক্ষণ ভেবে বল্লো এখন সে যেহেতু দেখা করতে চাইছে তোমার দেখা করা উচিত তার সাথে। কারণ একটি মানুষের সাথে কথা না বললে একসাথে না থাকলে তার সম্পর্কে কখনোই কিছু জানা হবে না তোমার।

মিমঃআসলে আমার কি মনে হয় জানো।আমি যে আমাদের বাসায় আছি সেটা লিজা আর সহ্য করতে পারছে না।তাই মিরাজকে বলে যাতে আমাকে দ্রুত এ বাড়ি থেকে বিদায় করতে পারে সেজন্য মিরাজ আমার জন্য এমন একটি ছেলে নিয়ে এসেছে। যাতে আমাকে খুব দ্রুত এখান থেকে বিদায় করতে পারে।

নীলয়ঃআরেএ ধুর এমন কিছুই না।এই সব তোমার ভুল ধারণা না।অনেক ধরে একা একা আছো তাই হয়তো মিরাজেরও খারাপ লাগছে তোমার জন্য। সেজন্য আর কি একটি ছেলে পছন্দ করেছে।
মিমঃহুম হতে পারে।

নীলয়ঃতাহলে বিকেলে তুমি যাও যেয়ে তার সাথে দেখা করো দেখো কি বলে সে।মিম বল্লো আচ্ছা ঠিক আছে।আমি তাহলে এখানে কিছু কাজ আছে এগুলো শেষ করে বাসায় যেয়ে বাসার কিছু কাজ করে তারপরেই সেখানে যাবো।নীলয় বল্লো এতো কাজ করে তুমি আর আজকে তার সাথে দেখা করে যেতেই পারবে না। তুমি এখনোই চলে যাও।

মিমঃআরেএ না এখন আরও অনেক কাজ আছে।সময় হলে আমি যাবো।

এই বলে মিম আবার কাজ কর‍তে শুরু করলো।কাজ শেষ করে মিম যখন বাসায় যায় তখন মিমকে আনিস সাহেব কল দেয়।মিমকে বলে তুমি কোথয়?আমি তো পার্কে এসে বসে আছি।মিম তাকে বল্লো জ্বি আমার আসতে আরও কিছুক্ষণ সময় লাগবে আপনি একটু অপেক্ষা করুন।

আনিস সাহেব বল্লো আচ্ছা একটু তাড়াতাড়ি আসার চেষ্টা করিও।আমি বসি তাহলে। মিমদের বাসা থেকে ৩ কিলোমিটার ধুরে একটা পার্ক আছে মিম সেখানেই যাবে আনিস সাহেবের সাথে দেখা করতে।এরপর মিম বাসার কাজ শেষ করে রেডি হয়ে বের হলো আনিস সাহেবের সাথে দেখা করার জন্য।

(এখানে বলে রাখা ভালো মিম কিন্তু এখনো কোনো ভাবেই বুঝতে পারেনি যে নীলয় মিম কে পছন্দ করে।আর নীলয় যার গল্প মিমকে শুনিয়েছিলো সেটা আসলে অন্য কেউ নয়।সেটা ছিলো মিম ই। আর এসবের কিছুই কিন্তু মিম জানেনা।আর নীলয় ও এখনো খোলাখুলি ভাবে মিম কে কিছু বলেনি)নীলয় কেনো মিমকে এখনো কিছু বলেনি সেটা পরে ক্লিয়ার করে বলছি।

এরপর মিম সেই পার্কে গেলো যেখানে আনিস সাহেব যেতে বলেছেন।মিম পার্কের গেইট দিয়ে ডুকতেই তার মনে হলো এই পার্কের সাথে সে অনেক পরিচিত। পার্কের গেইট পার্কের ভিতরের সমস্ত কিছু মিমের অনেক পরিচিত। তখন মিমের মনে পড়লো যখন আয়ানের সাথে সে রিলেশন করতো তাদের বিয়ে হওয়ার আগে।

তখন কলেজ বাংক দিয়ে কতোবার যে এই পার্কে এসেছে সেটা মিম নিজেও জানেনা।যাই হোক মিম পুরনো স্মৃতি মনে না করে সেই পার্কে প্রেবশ করলো।মিম আনিস সাহেব কে কল দিয়ে জিজ্ঞাসা করলো সে কোথায় আছে।আনিস সাহেব বল্লো জ্বি আমি পার্কের উত্তর পাশে কাঠের একটি ব্যাঞ্চে বসে আছি। তুমি এইদিকে আসো।

মিম বল্লো আচ্ছা ঠিক আছে আমি আসছি।অন্যদিকে নীলয় তার বোনের সাথে গল্প করছে তার বোনকে সে বলছে জানিস মিম আজকে একজনের সাথে দেখা করতে গিয়েছে। যদি মিমের কাছে সেই লোক কে ভালো লাগে তাহলে আমি মিম কে বলেছি তুমি তার সাথে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যাবে।নীলয়ের ভাই তখন নীলয় কে বল্লো ভাইয়া তুমি এমন অদ্ভুত কেনো?

একটা মানুষ কে তুমি সেই স্কুল লাইফ থেকে কতোটা ভালোবাসো কিন্তু আজ পর্যন্ত এখন এতো বড় হয়ে গিয়েছো তবুও তুমি তাকে বলতে পারছো না যে তুমি তাকে ভালোবাসো।ভাইয়া তুমি আমাকে বলো তো যে তুমি কেনো এখনো মিম আপুকে বলছো না যে তুমি তাকে সেই ছোট বেলা থেকে পাগলের মতো ভালোবাসো।

তুমি তাকে ভালোবেসে এখনো অন্য কাউকে ভালোবাসোনি।অন্য কোনো মেয়েকে বিয়ে করোনি।যার জন্য এতো অপেক্ষা করলে তাকে তুমি বলছো না কেনো ভাইয়া বলো?নীলয় তার বোনকে বল্লো দেখ এখন আমি মিম কে যখন চাই তখনই পাই।সব মিম আমাকে কল দেয়।

আমাকে মেসেজ দেয়।আমি দেখা করতে চাইলে সে অনায়েসে দেখা করতে চলে আসে।আমি যদি এখন মিম কে বলি আমি তাকে পছন্দ করি আর এতে করে মিম যদি রিয়েক্ট করে আমাদের যেই সম্পর্কটি বর্তমান আছে সেটি শেষ করে দেয় তখন আমি কি করবো?

আমার কাছে এখন আমার ভালোবাসার চাইতে মিমের সাথে বর্তমান যে সম্পর্কটি আছে সেটাই অনেক কিছু।মিমের বোন তখন আর কিছু না বলে সেখান থেকে চলে গেলো।অন্যদিকে মিম আনিস সাহেব কে খুঁজে পেলো তবে অদ্ভুত ব্যাপার হলো আয়ান আর মিম এই পার্কের যেজ ব্যাঞ্চে বসতো আনিস সাহেব এসে ঠিক সেই ব্যাঞ্চটাতেই বসেছে।

মিম আর আয়ান সব সময় এই পার্কে আসলে ঠিক এই ব্যাঞ্চটাতেই বসতো।মিমের এখনো এই সব স্মৃতিই মনে আছে।যাই হোক মিম যেয়ে আনিস সাহেবের পাশে বসলো।এরপর তাকে বল্লো জ্বি বলুন আপনি কি বলতে চান?
আনিস সাহেব তখন মিম কে বল্লো আমি জানি তোমার আগে একটি বিয়ে হয়েছে আর অনেকদিন হলো ডিভোর্স ও হয়ে গিয়েছে।

আমি আসলে বনিতা করে কোনো কথা বলতে চাই না।আমি তোমাকে এখানে ডেকেছি শুধু মাত্র একটি কথা বলার জন্য।যেহেতু তোমার আগে একটি বিয়ে হয়েছে তাই আমি তোমার সাথে বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাই।মিম এ কথা শুনে যেনো তার পায়ের নিচ থেকে মাঁটি সরে গেলো।মিম বসা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে আনিস সাহেব কে কসিয়ে একটি চড় মাড়লো।

আর বল্লো কুত্তার বাচ্ছা এখান থেকে উঠে সোজা যদি এখন চলে না যাস তাহলে এখানেই তোকে শেষ করে ফেলবো ডিভোর্সি নারীদেরকে তোদের কাছে কি মনে হয়?খেলার পুতুল?যেটা বলবি সেটা শুনবে?ডিভোর্সি মেয়েরা কি মানুষ না?তোরা কে এদের মানুষ মনে করিস না।মিমের চিল্লা ফাল্লা শুনে আশেপাশে লোক জমে যাচ্ছিলো তাই আনিস সাহবে আস্তে করে সেখান থেকে চলে গেলেন।

আর মিম বিষন্ন মনে সেখানে বসে বসে কাঁদতে লাগলো।আজকের ব্যাপার টা মিমের কাছে খুবই খারাপ লেগেছে। হঠাৎ করেই কেনো জানি এখন আয়ানের কথা মনে পড়ছে মিমের।

যদি আয়ানের সাথে তার ডিভোর্স টা না হতো তাহলে তার পরিবার, প্রতিবেশি আনিস সাহবের মতো লোক তারা কেউ মিমের চোঁখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে পারতো না। এগলো ভাবছে আর মিম কান্না করছে।হঠাৎ করেই সামনে থেকে কে যেনো মিম কে বল্লো কি ব্যাপার তুমি এখানে একা একা বসে বসে কান্না করছো কেনো কি হয়েছে তোমার?

চলবে??

#গল্পঃডিভোর্সের_পরে
পর্বঃ১৩
#লেখকঃরিয়াজ

মিম অবাক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে রইলো।আজ ৪ বছর ধরে যেই আয়ান তার খবর নেয়নি।তাকে একটি কল দেয়নি।তার সাথে একবার দেখা করতে আসেনি।সেই আয়ান আজ হঠাৎ করে কোত্থেকে এসে তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।তার সাথে কথাও বলছে।মিম আয়ান কে কি বলবে কি উত্তর দিবে সে খুঁজে পাচ্ছে না।

এরপর আয়ান মিমের পাশে বসলো।আয়ান মিম কে বলছে।তোমার মনে আছে কলেজ লাইফে আমরা সব সময় এই পার্কে এসে বসতাম।আর আমরা ঠিক এই ব্যাঞ্চটাতেই বসতাম।তুমি বিশ্বাস করো বা না করো তোমার সাথে ডিভোর্স হওয়ার পর থেকে আমি সব সময় এই পার্কের এই ব্যাঞ্চে এসেই বসতাম।

গত তিন বছর ধরে আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করেছি।তুমি কবে আসবে এই তিন বছর এখানে বসে তোমার জন্য অপেক্ষা করার শুধু মাত্র একটাও কারণ। আমি এই পার্কের এই ব্যাঞ্চে বসে যতোটা ফ্রিলিভাবে কথা বলতে পারি এতোটা ফ্রিলি ভাবে আমি আর কোথাও বসে তোমার সাথে কথা বলতে পারি না।মিম চুপচাপ বসে আছে।

সে কোনো উত্তর দিচ্ছে না।সে কি উত্তর দিবে তার মুখ দিয়ে কোনো কথা বের হচ্ছে না।তাছাড়া মিম একমাত্র তার আয়ানের সাথে ডিভোর্সের পর যতোটা কষ্ট হয়েছে মিমের জন্মের পর থেকে আয়ানের সাথে বিয়ে হওয়ার আগ পর্যন্ত সে এতো কষ্ট কখনোই পায়নি।

অন্যদিকে আয়ান বলেই যাচ্ছে।আমি তোমার সাথে কাঁটানো প্রতিটি মূহর্ত সর্বোক্ষন করি।হয়তো তুমি ভাবছো আমি তোমাকে ভুলে অন্য কাউকে নিয়ে এখন সংসার করছি।কিন্তু এটা তোমার ভুল ধারণা আমি এখনো বিয়ে করিনি।আমি লাইফে একজন কে ভালোবেসেছিলাম।

আমার জীবনে আমি শুধু একজনকেই আমাএ হ্রদয়ে স্থান দিয়েছিলাম।সে স্থানে আমি চাইলেও কখনো কাউকে বসাতে পারবো না।মিম কোনো কিছুই বলছে না।আয়ানের এই কথা গিয়ে মিমের আর সহ্য হচ্ছিলো না।তাই মিম সেখান থেকে উঠে চলে চলে যেতে লাগলো।আয়ান তখন পিছন থেকে মিমের হাত টেনে ধরলো।

মিমঃআপনি ধরেছন কেনো?আপনি কোন অধিকারে আমার হাত ধরেছেন বলুন?হাত ছাড়ুন বলছি নাহলে এখন এখানে অনেক কিছু হয়ে যাবে।আপনি আমার হাত ধরার অধিকার অনেক আগেই হারিয়েছেন।

আয়ান ভয় পেয়ে মিমের হাত ছেড়ে দিলো।এতোদিন পর আয়ান মিমের সামনে আসলো।আয়ান ভেবেছিলো মিম তাকে দেখে অনেক খুশি হবে।তাকে অন্তত একবার জড়িয়ে ধরবে।কিন্তু না হয়েছে এর উলটো টা।মিম আয়ান কে এখন সহ্যই করতে পারে না।কেনোনা আয়ান নামক লোকটি মিমের জীবনটা শেষ করে দিছে।

মিম আয়ানের সাথে আর একটি কথাও না বলে সেখান থেকে চলে গেলো বাসায়।বাসায় যেয়ে মিম দরজা লাগিয়ে একা একা কান্না কান্না করতে লাগলো।আজ মিমের সাথে যা হয়েছে তা সে পারছে কারো সাথে শেয়ার পারছে না কাউকে কিছু বলতে।

হঠাৎ করেই মিমের মনে পড়লো যে এখন তো মিমের পাশে অন্তত একজন আছে।যে মিম কে সব সময় তার পাশে থেকে তাকে ভালো উপদেশ দিতো।তাই মিম আর দেরি না করে নীলয় কে মেসেজ দিলো।

নীলয় আছো তুমি?

নীলয়ঃহ্যা আমি সব সময়ের তোমার অপেক্ষায় থাকি বলো কি করতে পারি তোমার জন্য? লোকটাকে কি ভালো লাগেনি তোমার?? আনিস সাহেবের কথা বাত্রা শুনে কি মনে হলো সে ভালো লোক?

মিমঃআরে বাদ সেই লোকের কথা।আজ আমার সাথে অনেক কিছুই ঘটে গিয়েছে। আমি ব্যাপার গুলো কাউকে বলতে পারছি না কারো সাথে শেয়ার করতে পারছি না।তাই তোমাকে মেসেজ দিলাম।

নীলয়ঃহ্যা বলো কি হয়েছে?

মিমঃশুরুতে সেই আনিস সাহেবের কথাই বলি।লোকটা মোটেও ভালো লোক নয়।সে বিয়ের আগেই আমার সাথে শারিরীক সম্পর্ক করতে চায়।আমার আগে একটি বিয়ে হয়েছে বলে কি আমার এতোটাও নিচে নামতে হবে?তুমি বলো নীলয়?

তোমরা পুরুষ জাতিরা এমন কেনো?ডিভোর্সি মেয়েরা কি মানুষ নয়?তোমরা ছেলেরাও তো ৩’৪ টা বিয়ে করো।কিন্তু আমাদের মেয়েদের একটির বেশি ২ টি বিয়ে হতে গেলে এই সমাজ কেনো মেনে নেয় না বলতে পারবে তুমি?

নীলয়ঃকি বলো ওই লোকটা এই কথা বলেছে তোমায়?তুমি তখনই তাকে জুতা পেটা করলে না কেনো?

মিমঃতাকে আর জুতা পেটা করে কি হতো?আসলে দোষ আমার কপালের।যদি আমি ডিভোর্সি নারী না হতাম তাহলে তো ওই লোক কখনোই আমাকে এমন প্রস্তাব দিতো না।আমার ডিভোর্স হয়েছে বলেই তো সে এই কথা বলেছে আমায়।

আচ্ছা আনিস সাহেবের কথা বাদ দাও।আনিস সাহেব কে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়ার পর আমার সাথে যা হয়েছে তার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।

নীলয়ঃকি বলো আর কি হয়েছে? আমার কাছে সব খুলে বলো?

মিমঃতুমি শুনলে অবাক হবে।আনিস সাহেব কে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়ার পর হঠাৎ করেই আয়ান কোত্থেকে যেনো হাজির হলো?

নীলয়ঃআয়ান মানে তোমার এক্স হাজবেন্ড?কি বলো সে এতোদিন পরে কোত্থেকে আসলো আর কি বল্লো তোমাকে?

মিমঃবলেছে তো অনেক কিছুই।পুরনো দিনের কথা বলছে আমাকে ছাড়া সে ভালো নেই এসব কথা বলছে আমাকে।

নীলয়ঃতারপর তুমি কি বললে?(নীলয় মনে মনে একটা ঝামেলা শেষ হতে না হতেই আরেকটা ঝামেলা হাজির।এই জন্মে হয়তো মিম কে আমার ভালোবাসার কথা আর বলা হবে না।

মিমঃআমি তাকে কি বলবো?ওকে আমার দেখতেই মন চাচ্ছিলো না।যার জন্য আজ আমার লাইফের এই অবস্থা? তার সাথে আমি কেমন ব্যাবহার করবো বলো?

নীলয়ঃযেহেতু তোমরা ভালোবেসে বিয়ে করেছিলা তাই তোমার উচিত ছিলো তার সাথে ভালো ব্যাবহার করতা?

মিমঃনীলয় তুমি এ কথা বলছো?

নীলয়ঃআমার কাছে যেটা ভালো মনে হয়েছে সেটাই বললাম আর কি।

এরপর আরও কিছুক্ষণ তারা কথা বলে কল কেঁটে দেয়।কল কাঁটার সাথে সাথেই মিমের কাছে আরেকটি কল আসে।নাম্বারটি বেশ পরিচিত তবে মিম মনে করতে পারছে না এটা কে?তারপর সে ভাবলো যেহেতু নাম্বারটা পরিচিত ধরে দেখি এটা কে?

মিম কল রিসিভ করলো।ওপাশ থেকে মিমের বেশ পরিচিত একটি কন্ঠ বলে উঠলো কেমন আছো?

মিম অনেকক্ষণ চুপ করে থেকে উত্তর দিলো। আমি সবাইকে বলি না আমি কেমন আছি।কারণ এই সমাজের সবাই জানে ডিভোর্সি মেয়েরা কেমন থাকে।এতক্ষণে মিমের বুঝা হয়ে গিয়েছিলো যে এটা আর কেউ নয় এটা আয়ান।

তারপর আয়ান বল্লো আচ্ছা সেটা না হয় নাই বলো।একটা কথা বলো তো?নতুন কেউকে পেয়েছো নাকি অনেকক্ষণ ধরে কল দিচ্ছিলাম দেখলাম নাম্বার ব্যাস্ত দেখাচ্ছে।এই কথা শুনে মিম রাগে কল কেঁটে দিলো।

চলবে??

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে