জোরপূর্বক ভালোবাসা পর্বঃ ১১

0
2216

জোরপূর্বক ভালোবাসা পর্বঃ ১১
– আবির খান

আবির খাবার টেবিলে বসে আছে…তমা ধিরে ধিরে নিচে নামছে…আবির আড় চোখে দেখছে…

তমা নিচে এসে চেয়ারে না বসে আবিরকে খাবার বেরে দিতে লাগলো…আবিরতো মনে মনে অনেক আবাক আর খুশি…আবিরের খুব ভালো লাগছে…আজ প্রথম নিজের বউ তাকে বেরে খাওয়াবে…ভাবতেই আবিরের কেমন জানি লাগছে…

তমা আবিরকে খাবার বেরে দিয়ে পাশেই দাড়িয়ে আছে..আর ভাবছে উনি কিছুইতো বলল না..চুপচাপ কেমন গম্ভীর ভাবে খাচ্ছে..আমাকে না বসতে বললে আমি কিভাবে খাবো…

এদিকে আবির ভাবছে, কিরে ও বসে না কেন খাইতে..ধুহ আমিইতো বলি নাই..হুহ আদর্শ বউ সেজেছে… জামাই না বলা পর্যন্ত খাবে না..

আবিরঃ এখন বসার জন্য কি ইনভেটেইশন দেওয়া লাগবে তোকে… খেতে বস..
তমা মলিন মুখে আবিরের পাশের চেয়ারটাই বসলো..কিন্তু খাবার নিয়ে খাচ্ছে না…আবিরের দিকে কিভাবে যেনো তাকিয়ে আছে… ফলে আবিরেরও খেতে সমস্যা হচ্ছে…
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/


আবিরঃ কি ব্যাপারটা কি???এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন??
তমাঃ সকালের মতো প্লিজ এখনো খাইয়ে দিবেন?? আপনার হাতে খেতে আমার অনেক ভালো লাগে..প্লিজ..
আবিরঃ কেন রে তুমি কি শিশু নাকি যে তোমাকে খাইয়ে দিবো???কথাটা বলেই আবির নিজে মনে মনে হাসছে…
তমাঃ প্লিজ দেন না স্বামী…
তমার এভাবে স্বামী ডাক শুনে আবিরের খাবার গলায় আটকে গেলো…আর কাশি দিতে লাগলো…তমা তারাতাড়ি পানি এগিয়ে দিলো..আবির পানিটা খেয়ে তমার দিকে রাগী ভাবে তাকিয়ে আছে…
তমাঃ প্লিজ দেন না আমাকে খাইয়ে…নাহলে কিন্তু না খেয়ে অসুস্থ হয়ে যাবো..

আবির ভাবে, জোর করে ভালোবাসা চাও না…দিবো না..
আবিরঃ না খাইলে না খেয়ে থাক…আমার কি…

তমা আবিরের কথায় কষ্ট পেয়ে উঠে সোফায় গিয়ে বসলো…আবির দেখেও না দেখার ভান করে খেয়ে উঠে চলে গেলো…আবির ভাবছে খুদা লাগলে নিজেই খেয়ে নিবে নে…

আবির খাবার শেষ করে উপরে চলে গেলো….গিয়ে রেডি হয়ে বাইরে চলে গেলো বন্ধুদের সাথে দেখা করতে…তমা আবিরের এ রকম আচরণ দেখে কষ্ট পেয়ে রাগ করে উপরে গিয়ে শুয়ে পরে..একসময় তমা হারিয়ে যায় ঘুমের দেশে..

বাইরে…
শুভঃ কিরে কি অবস্থা তোর??
আবিরঃ ভাইরে সত্যি বলতে সেই কষ্ট হচ্ছে..ও শিকার করেছে ও আমাকে অনেক ভালোবাসে..জনিস আজকে প্রথম আমাকে ও খাবার বেরে দিয়েছে..কি যে ফিলটাই না হইছে ভাই..
শুভঃ বলিস কি..
আবিরঃ হুম..
শুভঃ তা মামা আজকেতো তোমার বাসর রাত…প্লান কি??
আবিরঃ শালাবাবু ভালো কথা মনে করিয়েছো আমিতো ভুলেই গেসিলাম…
শুভঃ বাহ মদি জি বাহ…নিজের বাসরের কথা কেউ ভুলে…মজা করে..
আবিরঃ আরে ওর কর্মকান্ড দেখে মাথা হ্যাং হয়ে গিয়েছে…
শুভঃ আচ্ছা বাদ দে..এখন বল প্লান কি??
আবিরঃ শুনতে খারাপ লাগলেও ভাই ওকে এখন আপন করে নিবো না…কারণ বাবা মাকে ছাড়া তমা আর আমি বিয়ে করেছি..তাই সব ঠিক করে সবাইকে নিয়ে আমরা দুইবন্ধু আমাদের প্রেমিকাকে আবার বিয়ে করবো…
শুভঃ আমিতো এহনো বিয়াই করি নাই..তাইলে আমারে আবার কেন কস??
আবিরঃ ওহ হ্যা তাইতো.. তাহলে করে ফেল….তোরতো শালা আমার চেয়েও বেশি বাসর করার ইচ্ছা দেখতাছি…হাহাহা…
শুভঃ কথাটা খারাপ কস নাই…হাহাহা…
এভাবে আবির আর শুভ অনেকক্ষণ কথা বলল…প্রায় রাত ১০টা বেজে গেলো…আবির শুভকে বিদায় দিয়ে বাসায় চলে আসলো..

বাসায়…
আবিরঃ রহিম চাচা…
রহিম চাচাঃ জ্বি বাবা কও…
আবিরঃ তমা কই??
রহিম চাচাঃ উপরে ঘুঘায়..
আবিরঃ দুপুরে তো খেয়েছিলো তাইনা??
রহিম চাচাঃ কি কমু বাবা..তুমি চইলা যাবার পর হে উপরে চইলা গেলো না খাইয়া…তাই আমি খাওন লইয়া উপরে গেসিলাম..দেহি হে কানদে…তাও খাইতে কইছিলাম কিন্তু খায় নায়…
আবিরঃ তমা…..ওহ তমা…এখন না খেয়ে শরীরটা খারাপ না করলে হয়…
আবিরঃ রহিম চাচা আপনি উপরে ওর খাবারটা দিয়ে যান..
রহিম চাচাঃ আইচ্ছা বাবা..

আবির তারাতাড়ি উপরে চলে যায় ওর রুমে… দেখে হ্যা এখনো মহারানী ঘুমাচ্ছে…কি নিস্পাপই টাই না লাগছে…কিন্তু ওর উপর এখন রাগ হচ্ছে…কি জেদি মেয়েরে বাবা…সেই কখন থেকে না খেয়ে আছে…খালি আমাকে কষ্ট দিবে…এর মধ্যে রহিম চাচা খাবার দিয়ে গেলো..

আবির তমাকে ঘুমন্ত অবস্থায়ই কোলে তুলে দাড় করিয়ে দেয়..তমা আচমকা ভয় পেয়ে যায়…আবিরকে দেখে তমার ঘুম উরে যায়..রাগে ফুসছে…

আবিরঃ ২ মিনিটে ফ্রেশ হয়ে আস…এর বেশি যেনো না লাগে…নাহলে কিন্তু…

তমা ভয়ে দৌড়ে ফ্রেশ হতে চলে যায়…কোন রকম ফ্রেশ হয়ে তারাতারি বের হয়ে আসে…এসে দেখে আবির খাবার নিয়ে বসে আছে…

আবিরঃ এখানে বস…
তমা আবিরের পাশে গিয়ে বসলো…
আবিরঃ খাসনাই কেনো??
তমাঃ….
আবিরঃ কি হইলো কথা বল…ধমক দিয়ে…
তমাঃ আপনি খাওয়ান নাই তাই খাইনি…আস্তে করে বলল…
আবিরঃ নে এখন চুপচাপ খা…আর একটা কাহিনীও করবি না…
তমা আবিরের দিকে অসহায় ভাবে চেয়ে আছে..
আবিরঃ কি হলো খা…
তমাঃ আপনি না খাইয়ে দিলে খাবোই না…

আবির ভাবছে, ধুহ…কি যে করি…এখন কি ওর ড্রামার কাছে আমি হেরে যাবো?? না হেরেও লাভ নাই..বউটা আমার অনেক জেদি…দেখা যাবে না খেয়েই বসে থাকবে…

তমা ভাবছে, হিহি এখন কই যাবেন..আমাকে না খাইয়ে দিলে আমিতো অসুস্থ হয়ে যাবো…আর আপনি তা দেখতে পারবেন নাহ..এখনতো আমাকে খাইয়ে দিতে হবেই…

আবির- নাহ রাগ, অভিমান একদিকে আর আমার বউয়ের শরীর একদিকে… থাক দেই খাইয়ে..আর তাছাড়া ওকে খাওয়াতেতো আমার ভালোই লাগে…

আবিরঃ হা কর..গম্ভীর কণ্ঠে..
তমা আবিরের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে ওর হাত থেকে বাচ্চাদের মতো খাচ্ছে…খাওয়ার এক পর্যায় তমা কেদে দেয়…আবির চিন্তায় পরে যায় আবার কি হলো…আবিরতো কিছুই বলে নি..তাহলে..

আবিরঃ কিহলো কাদছিস কেন??বিরক্ত নিয়ে বলল..
তমাঃ পাপাই আর মামনির কথা খুব মনে পরছে…মামনিও আমাকে এভাবে খাইয়ে দিতো…
আবিরঃ….
তমা আবিরের বাম হাত ধরে….
তমাঃ প্লিজ দয়াকরে একটু তাদের সাথে কথা বলিয়ে দিবেন…তাদের খুব মনে পরছে…প্লিজ..আসার সময় তাদের একবার দেখিও নাই…কেদে কেদে বলল..
আবিরঃ খাবার শেষ কর…গম্ভীর কণ্ঠে…
তমা আর কি বলবে…মন খারাপ করে খাবারটা শেষ করলো…
তমাঃ পচা একটা লোক….একটুও দয়ামায়া নেই…কেন যে একে আমি এতো ভালোবাসি…মনে মনে..

আবির তমাকে খাইয়ে বাইরে চলে গেলো..
আবিরঃ আমি ৫ মিনিটে আসতেছি..গম্ভীর কণ্ঠে..

তমাঃ কি ব্যাপার বলে গেলো কেন??
তমা ভাবতে ভাবতেই দেখে ওর পাশে আবিরের ফোনটা রেখে গিয়েছে…
তমাঃ আপনি কেন যে এতো ভালো… সত্যিই আমি অনেক ভাগ্যবান এরকম একটা হাজবেন্ড পেয়ে..তমা অনেক খুশি হয়ে যায়…আর তার মাকে ফোন দেয়..

এদিকে আবির বাইরে দরজার আড়ালে দাড়িয়ে আছে…আর তমা কি বলছে সব শুনছে…

তমাঃ হ্যালো মামনি..কেমন আছো??পাপাই কই??
মাঃ তমা..মা তুই কই???কোথায়???কেমন আছিস??আর তোকে কে তুলে নিয়ে গেসে??কে তোকে ভালোবাসে??অস্থির হয়ে প্রশ্ন করছে…
তমাঃ মামনি তুমি আগে শান্ত হও…আমি একদম ভালো আছি..আমার কিছুই হয়নি..পাপাই??
মাঃ উনিতো বাইরে মা..কিন্তু কার এতো বড় সাহস যে আমার মেয়েকে এভাবে নিয়ে যায়??আর তোর বাবাও কেমন যানি কিছু বলছে না..তোর উপর রাগ করেছে মনে হয়..কিন্তু ছেলেটাকেও কিছু বলছে না…
তমাঃ মা তুমি একটুও টেনশন নিও না…আর একটা কথা বলার ছিলো…
মাঃ কি মা বল..
তমাঃ মা আমার বিয়ে হয়েগিয়েছে…আমি যাকে সত্যিকারী ভালোবাসতাম তার সাথেই..সেও আমাকে খুব ভালোবাসে মা…জানো নিজ হাতে আমাকে খাইয়ে দেয় তোমার মতো… আমাকে একটুও কষ্ট দেয়নি এখন পর্যন্ত… খুব ভালোবাসে আমাকে…
মাঃ তাহলে তুই কেন বিয়েতে রাজি হয়েছিলি??
তমাঃ আসলে মা তুমিতো জানোই আমার জেদ আর রাগটা অনেক বেশি..তাই এসবের বসে অনেক বড় একটা ভুল করতে নিয়ে ছিলাম..কিন্তু উনি আমাকে সেই ভুল করতে দেয় নি মা…সে অনেক ভালো… আর মা আমি সত্যিই অনেক খুশি তার সাথে…
মাঃ তুই যদি খুশি থাকিস আমাদের কোন আপত্তি নেই..তাহলে আমরা আসি একদিন তোর কাছে??
তমাঃ মা এখন না…আমি তোমাদের বলবো আসতে..তখন এসো..
মাঃ আচ্ছা মা..তুই ভালো থাকিস…আর কিছু লাগলে বলিস..
তমাঃ আমার কিছু লাগার আগেই তিনি সব এনে দিচ্ছেন..তোমরা এক্টূও আমাকে নিয়ে টেনসজন করো না মা…রাখ তাহলে..
মাঃ আচ্ছা রাখ..শুন তোর বাবা বাইরে তাই কথা বলতে পারলি না…আরেক সময় ফোন দিস…
তমাঃ আচ্ছা…

আবির তমার কথা শুনে তমার প্রতি খুব মায়া হচ্ছে..আজ সারাদিনে কতই কষ্টটা না ওকে দিলাম..তাও মাকে কিছুই বলে নি..উল্টো আমার কত প্রসংশা করলো…ও আসলেই আমাকে অনেক ভালোবাসে…এই ভালোবাসার প্রতিদান তমা তুমি পাবে…

তমা ফোনটা রেখে দিয়ে ভাবে তিশাকে ফোন দিবে..ঠিক তখনই আবির রুমে এসে তমার কাছ থেকে ওর ফোনটা নিয়ে বিছানায় বসে চালাতে থাকে নিচে তাকিয়ে…

তমাঃ আপনাকে অনেক থ্যাংকস..আপনি আসলেই অনেক ভালো….আই লাভ ইউ সো মাচ..
আবিরঃ ঘুমিয়ে পর….গম্ভীর কণ্ঠে…
তমাঃ কেন আজ না আমাদের বাসর রাত..

আবির তমার দিকে বড় বড় চোখে তাকায়…আবির কোনভাবেই ভাবতে পারছে না যে তমা এমন কিছু বলবে…আবির ভেবে ছিলো হয়তো তমাও চাবে না তাদের বাসর হোক… কিন্তু এই মেয়ে দেখি নিজ থেকেই রেডি…

আবিরঃ ঘুমিয়ে পর…গম্ভীর কণ্ঠে..
তমাঃ নাহ আজ আমাদের বাসর রাত…বাসর রাতে কেউ ঘুমায় নাকি…

আবির দেখছে অবস্থা বেশি ভালো না..ওকে এখন না থামালে পরে তমা এমন কিছু করবে যে আবিরও নিজেকে আর ধরে রাখতে পারবে নাহ…আবির দেখছে তমা ধীরে ধীরে ওর দিকে এগিয়ে আসছে…

আবিরঃ একদম কাছে আসার চেষ্টা করবি না..তোর সাথে আমার কোন বাসর নাই..তোকে আমি ভালোবাসি না..কোন বাসর হবেনা…ওই সোফায় গিয়ে চুপচাপ ঘুমিয়ে পর নাহলে আমার চেয়ে খারাপ আর কেউ হবে না…খুব জোরে রাগী কণ্ঠে বলল…

তমা আবিরের কথা শুনে চোখ দিয়ে অজস্র অশ্রু পরছে…কারণ তমা ভেবে ছিলো…সে তার সবটা আবিরকে দিয়ে তাকে আপন করে নিবে তাহলে হয়তো আবির ওকে মাফ করে দিবে..কিন্তু সব প্লানই মাটি চাপা পরলো..তমার কাছে শুধু এই একটা রাস্তাই ছিলো আবিরকে ফিরে পাওয়ার..কিন্তু সেটাও হাতছাড়া হলো…তমার কষ্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছে…তমা এক লাফে উঠে আবিরের দেওয়া একটা বালিশ নিয়ে সোফাহ গিয়ে শুয়ে নিঃশব্দে কাদতে থাকে…

আবির- তমা আমাকে মাফ করে দিও…তোমাকে আমি আজ আপন করে নিতে পারবো না..কারন আমাদের বিয়েটা আমাদের বাবামায়ের ইচ্ছেতে হয়নি…যেদিন তাদের সবার সম্মতি নিয়ে আমরা আবার বিয়ে করবো সেদিন রাতে তোমাকে একদম আপন করে নিবো..আমাকে মাফ করে দেও…এসব ভাবতে ভাবতে আবির একসময় ঘুমিয়ে যায়..

মধ্যেরাত..
হঠাৎ আবিরের ঘুমটা ভেঙে যায়.. কারণ আবিরের মনে হচ্ছে তার উম্মুক্ত বুকে কোন ভারি তবে নরম কোন কিছু উঠছে..আবির আস্তে করে সাবধানে দেখে এ আর কেউ নয় তমা…আবির কোন কিছু বললনা…কারন সে দেখতে চায় তমা কি করে…

তমা এখন আবিরের উম্মুক্ত ফরসা বুকের উপর মাথা রেখে জরিয়ে ধরে আছে…আবির নিজেকে যতটা সম্ভব শান্ত রাখার চেস্টা করলো…তমা হঠাৎ আবিরের বুকের মাঝে অজস্র চুমু দিতে লাগলো.. এরপর আবিরকে অনেক জোরে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো…আবিরের যে কি অবস্থা.. আবির ফিল করলো এক্টু পর পর আবিরের বুকে পানি পরছে…মানে তমার অমূল্য অশ্রুগুলো আবিরের বুকে পরে ভিজে যাচ্ছে..হঠাৎই তমা আরেকটু উপরে উঠে চেক করতে লাগলো আমি সত্যিই ঘুমিয়ে আছি কিনা..আমি মরার মতো ঘুমের ভান ধরে আছি…এরপর তমা আমার কপালে একটা চুমু দিয়েই আবার বুকের উপর মাথা রাখলো আর বলতে লাগলো…

তমাঃ আজ আপনাকে নিজের সবটা দিয়ে সারাজীবনের জন্য আপন করে নিতে চেয়েছিলাম..তাহলে হয়তো আর আপনি আমার সাথে রাগ,অভিমান করে থাকতে পারতেন নাহ…কিন্তু তা কিছুই হলো না.. আজ এই বাসর রাত নিয়ে আমার কতই না প্লান ছিলো কিন্তু আপনাকে এতোই কষ্ট দিয়ে ফেলেছি যে আজকের এই রাতটা বৃথা গেলো… আমি আসলেই অনেক খারাপ.. কিভাবে আপনার রাগ ভাংবো, কিভাবে আবার সেই আগের আবিরকে ফিরে পাবো যে সবসময় আমাকে তুমি তুমি করে বলতো..কিভাবে আবার আপনার ভালোবাসা ফিরে পাবো, কিভাবে আবার আপনার প্রিয় হবো..আমার খুব কষ্ট হচ্ছে জানেন..খুব..

হঠাৎ তমা একটু উপরে এসেই ওর রসালো ঠোঁটদ্বয় আবিরের ঠোঁটে ডুবিয়ে দেয় আবেগে…তমার চোখের পানি গুলো আবিরের মুখের উপর পরছে…তমা আবিরের ঠোঁটকে কি যে করছে তা আর লিখে বলতে পারবো না..মনে হচ্ছে তমা আইসক্রিম খাচ্ছে…আবির পাগল হয়ে যাচ্ছে তমার অবস্থা দেখে.. আবিরেরও খুব ইচ্ছা করছে এই খেলায় সারা দিতে কিন্তু তা এখন কোনভাবেই সম্ভব নাহ..তাহলে কিছু একটা হয়ে যাবে…তমা প্রায় ১৫ মিনিট পর আবিরকে ছেড়ে দেয়..আবির শ্বাসই নিতে পারছিলো না..তমাও হাপিয়ে গিয়েছে.. তমা আবিরের বুকে মাথা রাখে আবার…আর একটু পর বিড়বিড় করতে হারিয়ে যায় ঘুমের দেশে..

আবির তমাকে আস্তে করে ডাক দেয়..তমা কোন সারা দেয়নাহ..না ঘুমিয়ে পরেছে…এবার আবির তমাকে তার দু’হাত দিয়ে শক্ত করে জরিয়ে ধরে… তমাও ঘুমের মধ্যে আবিরকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে…আবির সারা রাত আর ঘুমাতে পারেনি…শুধু তমাকে অনুভব করেছে…তমার ঘুমন্ত মায়াবী মুখটা দেখেছে..আর আবিরের খোলা বুকে পরা তমার প্রতিটি নিশ্বাস গুনেছে….

সকালে…
তমা ঘুম থেকে উঠেই….

চলবে……
এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

▶ লেখকদের জন্য পুরষ্কার-৪০০৳ থেকে ৫০০৳ মূল্যের একটি বই
▶ পাঠকদের জন্য পুরস্কার -২০০৳ থেকে ৩০০৳ মূল্যের একটি বই
আমাদের গল্পপোকা ফেসবুক গ্রুপের লিংক:
https://www.facebook.com/groups/golpopoka/

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে