জনম জনমে পর্ব-০১

0
285

#জনম_জনমে
#সূচনা_পর্ব
#ইসরাত_ইতি

“মেয়েটা তো কোনো দোষ করে নি,মেয়েটাকে বছরের একটা দিন বাড়িতে ডেকে দু’টো ভালোমন্দ খাওয়ালে তো তোমার জাত যাবে না বৌ।”

পাশের বাড়ির দূরসম্পর্কের বৃদ্ধা খালা শাশুড়ির কথাগুলো কর্ণকুহরে পৌঁছাতেই হাত থেমে যায় জাহিদার। একপলক খালা শাশুড়ির মুখের দিকে তাকিয়ে পুনরায় চপিং বোর্ডে পেঁয়াজ কুচি করতে থাকে, পোলাও টা হয়ে এসেছে। এখন বেরেস্তা ছড়িয়ে দিয়ে নামিয়ে ফেলবে।

“মৃধা ম্যানশনে” আজ বিরাট আয়োজন। এ বাড়ির কর্ত্রী জাহিদা আনামের বাপের বাড়ি থেকে হুট করেই মেহমান এসেছে। তাদের জন্য ভালোমন্দ খাবার দাবারের ব্যবস্থা করেছে। সকাল থেকে রান্নাঘরে ভীষণ ব্যস্ত কদমতলা হাই স্কুলের বাংলা শিক্ষিকা জাহিদা আনাম। আজ বারেও শনিবার। তার ছুটির দিন।

জাহিদার প্রতিবেশী মুরব্বি আবারও বলে ওঠে,”যা করার ওর মা করছে তোমার লগে, দোলা তো কিছু করেনাই। মাইয়াডা কত ভালো, কত নরম,সহজ সরল, না বাপের রক্ত পাইছে না মায়ের। ওর সাথে তুমি সবসময় এমন করো কেন? শুনছি হোস্টেলে পরে থাকে, সৎ মায়ের যন্ত্রনায় বাড়িতে গিয়াও থাকতে পারেনা ঠিক ঠাক‌। ওর আপন বলতে আর কে আছে? জামানও বেঁচে নেই, তুমি একমাত্র মামী, একটু আদর করলে কি হয়?”

জাহিদা উত্তেজিত হয়না। শুধু হাতের গতি থামিয়ে দিয়ে বলে,”কি বলেন তো খালা। কালসাপের পেট থেকে সবসময় কালসাপই বের হয়। কখনও দেখেছেন কালসাপের পেট থেকে বিড়াল ছানা বের হতে? আমি এটা বিশ্বাস করি। আর কি যেনো বললেন ? আদর করি না কেনো! ওর মা বিয়ের পর থেকে আমার জীবনটা ন’রক বানিয়ে রেখেছিলো, মিলা ননদ ছিলো না আমার,ওর মা আমার জন্য ছিলো য’ম। প্রতিটা দিন কি অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছিলো আমার ওপর আমার ননদ-শাশুড়ি মিলে, জারিফ-জায়িনের বাবা পরে থাকতো বিদেশে। আর এখানে ননদ শাশুড়ির অত্যাচারে এক একটা দিন কত কষ্টে কাটিয়েছি। যাই হোক, তিনজন মানুষের কেউই এখন জীবিত নেই। তাদের সম্পর্কে ভালো খারাপ বলার ইচ্ছা নেই। শুধু ঐ মেয়েকে আমি সহ্য করতে পারি না এটাই সত্যি, ওকে দেখলেই ওর মায়ের কথা মনে পরে যায় আমার,যে সুযোগ পেলেই আমার চুলের মুঠি ধরতো,জারিফের বাবাকে দিয়ে আমায় মা’র খাওয়াতো। ঐ মেয়েটাকে দেখতে পারি না আমি,ও একেবারেই ওর মায়ের মতো দেখতে। যা আমাকে আরো রাগিয়ে দেয়।”

জারিফ থ’ম’কে দাঁড়ায়,মায়ের কথাগুলো তার ঘর থেকেই শোনা যাচ্ছিলো। তবুও সে এখানে এসেছিলো শুনতে, মায়ের চেঁচামেচির কেন্দ্রবিন্দু দোলাই কিনা! তার ধারণা ঠিক,দোলার নাম ছাড়া অন্যকারো নাম উঠলে মা এতটা রিয়্যাক্ট করেন না।

সে চুপচাপ খাবার টেবিলের ওপর থেকে গ্লাস নিয়ে ওয়াটার ফিল্টার থেকে পানি ঢেলে নেয়।
বাড়িভর্তি মেহমান,সবাই জারিফের নানা বাড়ি থেকে। দাদাবাড়ির কাউকে তার মা কখনও বাড়িতে ডাকেননা,বলতে গেলে জারিফের বাবা জামান মৃধার মৃত্যুর পরে সম্পর্কই চুকেবুকে গিয়েছে সবার সাথে তাদের।

পানি খেয়ে জারিফ মাথা ঘুরিয়ে একপলক তার মায়ের মুখের দিকে তাকায়। জাহিদা তখনও বকবক করে যাচ্ছে,পাশের বাড়ির জীবনন্নেছা দাদীকে শুনিয়ে যাচ্ছে দোলার প্রতি তার বিতৃষ্ণা ঠিক কতখানি।

জারিফ একটা গভীর নিঃশ্বাস ফেলে মায়ের থেকে চোখ সরিয়ে নেয়, দোলাকে এ বাড়িতে এক বেলা ভালোবেসে দাওয়াত করে খাওয়াতেই মায়ের কত আপত্তি! যখন জারিফ গিয়ে কোনো একদিন মাকে বলবে,”মা আমি দোলাকে বিয়ে করতে চাই!” তখন? তখন কি করবে জাহিদা আনাম? সেদিনের তো বেশি দেরি নেই, শুধু জারিফের চাকরিটা পাওয়ার অপেক্ষায়!

★★★

শেখ ফজিলাতুন্নেসা ছাত্রী নিবাসের তিন তলার তিনশ’চার নাম্বার ঘরটা দোলার কাছে একটা ছোটোখাটো সুখের রাজ্য। হতে পারে এই হোস্টেলের টাংকিতে সবসময় পানি থাকে না, হতে পারে এই হোস্টেলের মিলের শাক ভাজিতে পোকা পাওয়া যায়,হতে পারে সপ্তাহে একদিন মাংস কপালে জোটে,তাও পোল্ট্রি মুরগির যাতে কখনো কখনো মুরগির খুঁজে পায় দোলা, কিন্তু এখানে,এই নিড়িবিলিতে সেই শান্তিটুকু পাওয়া যায় যা বাবার বাড়িতে দোলা পায়না।

এই যে এখন পি’রিয়ডের পেট ব্যাথা নিয়ে চিৎ হয়ে হাত পা ছড়িয়ে দোলা শুয়ে আছে,কেউ এসে এখন দোলাকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলবে না,”সারাদিন শুয়ে থাকে সবাই! সব কাজ আমাকে একাই করতে হয়!”
সৎ মায়ের মা’র খেলেও দোলার এতোটা কষ্ট হতো না,কিন্তু ভদ্রমহিলা হাতে না মেরে দোলাকে মুখে মা’রে। কথার বাণে দোলার কষ্ট হয় বেশি।

পিকপিক যান্ত্রিক আওয়াজ তুলে ফোনটা কাঁপছে বিছানার ওপর। দোলা টিউশনি করাতে গিয়েছিলো সকালে, তখনই ভাইব্রেশন মোডে ফেলে রেখেছিলো ফোনটাকে। নিড়িবিলি কামরায় হঠাৎ এই যান্ত্রিক আওয়াজ টা দোলাকে চ’ম’কে দেয়। মনে করিয়ে দেয় জারিফের বলা ঐ গল্পটা,“একটা ছাত্রী নিবাসে একটা কামরায় দুজন বান্ধবী থাকতো। একবার ঈদের ছুটিতে যখন সবাই হোস্টেল ছেড়ে যার যার বাড়ি চলে গিয়েছিলো,তখন থেকে গিয়েছিলো ঐ বান্ধবী দুজন। গভীর রাতে যখন দু’জনের মধ্যে একজন হোস্টেলের ওয়াশরুমে যায় তখন দেখতে পায় ওপর থেকে দুটো লম্বা লম্বা টকটকে লাল রঙের পা ধীরে ধীরে নিচে নামছে। মেয়েটা আতঙ্কে একটা বি’কট চিৎকার দিয়ে ছুটে যায় তার বান্ধবীর কাছে। মেয়েটার সেই বান্ধবী তাকে আগলে নিয়ে বলে,“কি হয়েছে দোস্ত? এমন করছিস কেন?”
তখন মেয়েটা কাঁদতে কাঁদতে সেই লাল রঙের পা দু’টোর কথা তার বান্ধবীকে জানায়। সবটা শুনে তার বান্ধবী হেসে নিজের পাজামা পায়ের কাছ থেকে কিছুটা ওপরে তুলে মেয়েটিকে বলে,”দোস্ত দ্যাখ তো পা দুটো এমন টকটকে ছিলো কিনা!”

যতবার এই গল্পটার কথা দোলার মনে পরে ততবার তার অন্তরাত্মা কেঁপে ওঠে। যদিও দোলা সবসময় আয়াতুল কুরসি পাঠ করে।

ফোনটা লাগামহীন বেজে চলেছে। দোলা জানে এই সময়ে কে ফোন দিতে পারে। হাত বাড়িয়ে ফোনটা তুলে নিয়ে তার অনুমান সঠিক হয়েছে দেখে দোলা মুচকি হাসে। বিলম্ব না করেই দ্রুত স্ক্রিনে আঙুল চালিয়ে কলটা রিসিভ করে চুপ করে থাকে। ওপাশ থেকে কাঙ্খিত,প্রিয় কন্ঠস্বরে প্রিয় ডাকটা শুনতে পায়,”দুলি!”

দোলা দু চোখ বন্ধ করে বুক ভরে শ্বাস নেয়। এই ডাকটা যতবার সে ঐ মানুষটার থেকে শোনে,আরো একবার শোনার তৃষ্ণা পায় তার।

জারিফ বলে,”চুপ করে আছিস কেনো।”

_শুনছি! বলো! আর তুই তোকারি করবে না।

জারিফ নিশ্চুপ হেসে বলে,

_দুপুরে একবার বেরোতে পারবে? এই আধাঘণ্টা পরেই।

_আধাঘন্টা পরেই!
দোলা অবাক হয়।

_হু।

_খুব কি প্রয়োজন?

_অপ্রয়োজন বলতে চাইছিস…সরি চাইছো?

নীরব দোলা। জারিফ তার স্বভাব সুলভ নম্রস্বরে বলে ওঠে,“কুটুমবাড়ির সামনে চলে আয়…ধূরর এসো…ধূরর,আয়।”

দোলা হেসে ফেলে, কিছুক্ষণ হেসে নিয়ে সে চুপ হয়ে যায়।
দোলার আর কোনো কথা থাকে না,থাকলেও মানুষটার কথার সামনে টিকবে না। তাই বাধ্য মেয়ের মতো বলে,”রাখছি। তৈরি হবো।”

★★★

শহরের পাশ ঘেঁষে বয়ে চলা বিষখালি নদীর কোলে এই রেস্তোরাঁ। এখান থেকে সরাসরি নদীটাকে উপভোগ করা যায়, খাবারের মানও বেশ ভালোই, জারিফ সবসময় দোলাকে এখানেই নিয়ে আসে, শহরের প্রাণকেন্দ্রে বড় বড় নামী রেস্তোরাঁগুলোর থেকে দোলা এখানেই এসে স্বস্তি পায়,তার কারণ যায়গাটা বেশ নিড়িবিলি।

রিকশাওয়ালাকে থামিয়ে দোলা নেমে পরে, ঠিক তখনই তার পাশেই একটা বাইক এসে থামে। দোলা পাশ ফিরে তাকিয়ে জারিফকে আবিষ্কার করে, জারিফ দোলার দিকে একপলক তাকিয়ে রিকশা ওয়ালার ভাড়া মিটিয়ে নিচু স্বরে বলে,”ভেতরে যা! তিন নাম্বার কেবিন বুক করা। আমি বাইক টা পার্ক করে আসছি।”

রেস্তোরাঁ মোটামুটি মানের হলেও এর ভেতরের ঠাট-কাট চমৎকার। এখানে রিভার সাইডে ছোটো ছোটো গুটি কয়েক কেবিনের মতো কামরা তৈরি করা, কামরা গুলোতে দরজা নেই,পর্দা দেওয়া। থাকে দুটো চেয়ার,একটা টেবিল। প্রেমী যুগলের জন্য আদর্শ স্থান। একবার প্রথম বর্ষে থাকতে দোলার জন্মদিনের দিন জারিফ নিয়ে এসেছিলো তারপর থেকে অন্য কোনো রেস্তোরাঁয় তারা দেখা করে না। এখানে ,এই কুটুমবাড়ি রিভারভিউ কিচেনেই আসে।

দোলা নদী দেখছিলো। এই খড়খড়ে রোদে গুটিকয়েক জেলে নৌকা ভেসে বেড়াচ্ছে নদীর মাঝখানে। এখান থেকে কিছুটা দূরেই জেলার লঞ্চ টার্মিনাল। “বাহাদুর চার” নামের একটা বিশাল লঞ্চ ভিরে আছে টার্মিনালে। সম্ভবত সেটির ধোয়া মোছার কাজ চলছে। শ’য়ে শ’য়ে যাত্রী নিয়ে বিকেল চারটায় বরগুনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেবে বলে।

জারিফ কেবিনের পর্দা সরিয়ে ভেতরে ঢোকে, অত্যল্পকাল পরেই জারিফের ম্যান পারফিউমের সুগন্ধে আলোড়িত হয়ে যায় ক্ষুদ্র কামরা টা। আলোড়ন তোলে দোলার অন্তরে।
দোলা নড়েচড়ে বসে,সে এই সুগন্ধটাতেই স্বস্তি খুঁজে পায়। চোখ তুলে জারিফের দিকে তাকিয়ে বলে,“আজ না তোমাদের বাড়িতে মেহমান।”

জারিফ দোলার মুখোমুখি চেয়ারে বসতে বসতে বলে,“হু!”

_কেনো ডেকেছো? মানে এই অসময়ে,বিকেলেও তো ডাকতে পারতে।

জারিফ এতক্ষণে দোলার মুখের দিকে ভালো করে তাকায়। প্রসঙ্গ পাল্টে দোলার চোখে চোখ রেখে বলে,“সকালে কি ছিলো তোদের মিলে?”

_আবার তুই!!

_বল।
জারিফ তার বাইকের চাবি আর মোবাইল ফোনটা টেবিলের ওপর রাখতে রাখতে বলে।

_তুমি জানো তো কি থাকে!
মিনমিন করে বলে দোলা।

_আলুভর্তা আর পাতলা ডাল?

_হু।

ওয়েটার আসে অর্ডার নিতে। জারিফ এক প্লেট ভাত, খাসির মাংস,ইলিশ মাছ, ইলিশের ডিম ভাজা, চিংড়ির দোপেঁয়াজা অর্ডার করে দোলার মুখের দিকে তাকিয়ে বলে,”রসমালাই খাবি নাকি দই?”

দোলা অস্ফুট স্বরে বলে,“দই।”

ওয়েটার অর্ডার নিয়ে চলে যায়। জারিফ দোলার দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে,”তোর সেমিষ্টার ফাইনাল কবে?”

_সম্ভবত সামনের মাসের চৌদ্দ তারিখ!

_পড়িস ঠিকমতো? নাকি সারাদিন টিউশনি করিয়ে বেরাস!

দোলা চুপ। জারিফ বলতে থাকে,”তোর এতো ইগো কেনো?”

_তুই তোকারি বন্ধ করো, তবে জবাব দেবো।

_করবো না!

_তাহলে দেবোও না!

ওয়েটার এসে খাবার পরিবেশন করে দিয়ে যায় টেবিলে। জারিফ বলে,”নে খা।”

_তুমি খাবে না?

_না বাড়িতে গিয়ে খাবো।

_তাহলে এলে কেনো এখন?

_কারন তুই খাবি তাই। এখন খা।

_রোজ রোজ এসব কি!

_তোকে সামনে বসিয়ে খেতে দেখতে ভালো লাগে।

_তুমি বোধ হয় প্রথম প্রেমিক যার প্রেমিকাকে শাড়িতে নয়, এঁটো হাতে গাপুস গুপুস মুখে লোকমা তুলতে দেখতে ভালো লাগে।

জারিফ নিষ্প্রভ। দোলা একদৃষ্টে জারিফের দিকে তাকিয়ে থাকে। জারিফ নিষ্প্রভতা ঠেলে সরিয়ে বলে ওঠে,”আমার পাঠানো টাকাটা ফিরিয়ে দিলি কেন!”

_কেন নেবো? কেনো তুমি আমায় পালবে? আমি কি তোমার বৌ?

_হবি তো!

_যখন হবো তখন। আর এতো টাকা কই পাও? নিজেই তো মামীর কাছ থেকে নাও।

_ওটা আমার টাকা! আমার কামাই করা!

দোলা কিছু না বলে খাওয়া শুরু করে। জারিফ দেখতে থাকে দোলাকে। দোলা একপলক জারিফের দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে,“তুমি খুব বাজে প্রেমিক!”

_কিন্তু খুব ভালো স্বামী হবো!
সাথে সাথে জবাব দেয় জারিফ। দোলা খাওয়া থামিয়ে মানুষটার দিকে তাকায়,কতটা আত্মবিশ্বাসের সাথে জারিফ বলেছে কথাটা। দোলার মন ও মস্তিষ্কে ছেয়ে যায় সুখানুভূতি,কিন্তু কিছুসময়ের জন্য।

চোখ নামিয়ে আবারও খাওয়ায় মন দেয়।

জারিফ বলে,“গান শুনবি দুলি?”

দোলা কিছু বলার আগেই জারিফ নদীর পানিতে দৃষ্টি স্থির রেখে গাইতে শুরু করে,“আর কটাদিন তারপরে বেলা মুক্তি,
কসবার ঐ নীল দেয়ালের ঘর,
সাদা কালো এই জঞ্জালে ভরা মিথ্যে কথার শহরে,
তোমার আমার লাল নীল সংসার!”

চারটা লাইন গেয়ে জারিফ দোলার সুশ্রী,গোলগাল,মায়া ভরা মুখটার দিকে তাকায়। ঐ চাহনি সরাসরি আঘাত হানে দোলার বক্ষপটে। দোলা খাওয়া বাদ দিয়ে তার দিকেই তাকিয়ে আছে। জারিফ বলে,”আরে খাচ্ছিস না কেনো? খা!”

দোলা অস্ফুট স্বরে বলে ওঠে,”আমরা বিয়েটা কবে করছি জারিফ!”

চলবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে