চোরাবালি পর্ব-০৪

0
1038

#চোরাবালি
#পর্বঃ৪
# আহিয়া_আমান_অণু


ঢাকা থেকে এসেছি আজ তিনদিন পেরিয়ে চতুর্থ তম দিন। সকাল আটটা বাজে প্রায়, ডিসেম্বরের শেষ সময়টা কুয়াশা ছন্ন সকালের আভাস বয়ে নিয়ে এসেছে।চারদিকে কুয়াশার জন্য নিজের থেকে দচহাত দূরেরই কিছু লক্ষ গোচর হওয়া কঠিন।আমি বারান্দায় দাড়িয়ে ব্রাশ করছিলাম আর আম্মার পিঠা বানানো দেখছি।ভাপা পিঠা বানাতে লাকড়ির চুলায় আগুন জালিয়েছেন উনি।পিঠার জন্য আটার গুড়ি পানি ছিটিয়ে মাখাচ্ছিলেন উনি; আমি সেটাই দেখছিলাম।আগে পারতাম না বানাতে, কিন্তু তাহিফ হওয়ার পর শিখেছি।বাইরের খাবার খাইয়ে যদি অসুস্থ হয়! সেই ভয়েই অনেক কিছুই বানানো শিখেছি, যেনো আমার ছেলেটা কিছু খেতে চাইলে বানিয়ে খাওয়াতে পারি।তাহিফ ছেলে আমার এখনও উঠেনি।মামার সাথে বেশ মিল হয়েছে তার।আমি বিছানা থেকে উঠে আসলে কান্না জুড়ে দিতো।আমার জায়গায় আলিফ গিয়ে শুয়ে পড়লে মামার গায়ের উপর হাত পা ছড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়ে সে।কিন্তু এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় এসেছি; ছেলেটার জ্বর এসে গেছে।ভাবছি একটু বেলা হলে গন্জে যাবো ডাক্তারের কাছে।কাল রাতে ছেলের চিন্তায় ঘুমটা ঠিক হয়নি।ফজরের নামাজ পরে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম।আটটা না বাজতেই আবার জেগে গেছি।ফজরের সময় ফ্রেশ হয়েছিলাম; কিন্তু একটু ঘুমাতেই মুখটা কেমন তেতো তেতো লাগলো।তাই ব্রাশ হাতে নিয়ে বারান্দায় এসে দাড়িয়েছি। আম্মার দিকে তাকিয়ে আনমনে এসব ভাবতে ভাবতে ব্রাশ করে কলপাড়ের দিকে পা বাড়ালাম। আব্বা ফজরের পর পরই আরদে চলে যান। নদীতে যারা মাছ ধরে তারা ফজর পরই আসে মাছ দিতে।আব্বা সেগুলো প্রকিয়াজাত করে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা পাঠিয়ে দেন।সেসবের সাথে আব্বার অল্প কিছু জমিজমা আছে সেগুলো বর্গা দিয়ে দিয়েছেন গ্রামের কিছু কৃষকদের; যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা তাদের খুজে খুজে আব্বা জমি দিয়ে রেখেছেন।উনারা আবাদ ফসল ফলিয়ে তিনভাগের এক ভাগ আব্বাকে দিয়ে যান।আর বাকিটা নিজেরা রাখেন। যদিও বা দুইভাগ করে সমান করে নেওয়ার কথা; কিন্তু আব্বা নিজেই তাদের শ্রম আর খরচের কথা ভেবে তিনভাগ করে একভাগ নেন।এভাবেই দিন সহি সালামতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো ভাবে যায়।নবান্নের সময়টা আনন্দে কেটে যায়।পিঠাপুলির ধুম, বাড়িতে বাড়িতে নতুন ধানের চালের আটার পিঠা; স্বাদটাই অন্য রকম।শহরে চলে যাওয়ার দরুণ মিস করেছি খুব।ব্রাশ হাতে ঘরের দিকে যেতে যেতে এসব ভাবছিলাম; আম্মা চুলারপার থেকে ডাক দিলেন।আমি যেতেই প্লেটে করে দুটো পিঠা সহ প্লেটটা আমার হাতে দিলেন।তারপর বললেন,

“দুটোয় হয়েছে, গিয়ে তোমার ছেলেকে তুলে খাওয়াও।সাথে তুমিও একটা খেয়ে নাও।আরও হোক পরে ডাক দেবো এসে নিয়ে যেও।ঠান্ডা বেশি; ঘরেই থাকো।বাইরে বেলা হোক তারপর বের হবে।আলিফকে তুলে দাও ঘুম থেকে; ওর ক্লাসে যেতে হবে আজ।”

“আচ্ছা আম্মা।”


আম্মাকে সম্মতি জানিয়ে আমি ঘরে আসলাম।আলিফকে তুলে দিবো কম্বল উচু করতেই দেখি আলিফ আর তাহিফ মিলে ফোনে কার্টুন দেখছে।আমি আলিফকে বললাম,

“ভাই আমার বাচ্চাকে ওসব না দেখিয়ে ইসলামিক কিছু দিয়ে রাখ; দেখবি ও চুপ করে শুনবে।কার্টুনের প্রতি আসক্তি আনিস না ওর।পরে দেখা যাবে উঠতে-বসতে, খেতে-শুতে কার্টুন দেখার জন্য জিদ করবে।কার্টুন দেখা মন্দ না হলেও বাচ্চাদের মনে প্রভাব বিস্তার করে দেখার আসক্তি তৈরি করে।যা আমি একদম চাচ্ছি না।আমার বাচ্চা ইসলামিক কিছু দেখে না হয় ইসলামের প্রতিই আসক্তি হোক।আমি নিজে তো ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিতে পারিনি; তাই জীবনে এত দুগর্তি।”

আলিফ আমার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনলো।তারপর ধীর স্বরে বললো,

“আচ্ছা আপু আর দেখাবোনা তাহিফকে।আপু তুই না গেলেই পারতি।জীবনটা তো একটাই;না হয় নিজেকে নির্দোষ প্রমান করতি। আমান দুলাভাই তোকে তো অনেক ভালোবাসে সেটা আমি স্বচক্ষে তো দেখেছি।”

তাহিফ এতক্ষণে আমার গলা জড়িয়ে উঠে গেছে কোলে।আমি তাহিফকে ফ্রেশ করিয়ে দিতে ওয়ারড্রবের উপর রাখা ব্রাশের ঝুড়ি হতে তাহিফের ব্রাশ নিয়ে বাচ্চাটাকে ব্রাশ হাতে ধরিয়ে দিলাম।তাহিফ একা একা ব্রাশ করতে শিখেছে বলে করিয়ে দিতে হয়না।এসব করতে করতে আলিফের কথা শুনলাম।আমি তারপর আলিফের দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে বললাম,

“যে মানুষটা বাকি দশজনের মতোয় আমাকে ভুল বুঝেছিলো, অবিশ্বাস করেছিলো সে অন্তত আমায় ভালোবাসে না আলিফ।ভালোবাসলে হয়তো আমার কথা একবার শুনার চেষ্টা করতো।নিজে নিশ্চয় তাকে ঠকানোর অপরাধে গ্রামের মুরব্বিদের নিয়ে বিচার বসাতে চাইতোনা।”

আলিফ আমার কথায় দমে গেলো।বিছানা ছেড়ে উঠে স্যান্ডেল পায়ে দিতে লাগলো।আমি তাহিফকে মগে করে আনা পানি দিয়ে মুখ ধুইয়ে দিতে বারান্দায় যেতে উদ্যত হলাম।আলিফ তখন বললো,

“আপা শুন!”

” হুম বল?”

“ভার্সিটিতে যাওয়ার সময় একসাথে বেরুবো ঠিক আছে!তুই ডাক্তারের কাছে যাবি আর আমি ভার্সিটিতে।”

আমি মাথা নাড়িয়ে সম্মতি দিলাম।আলিফ চলে গেলো।আমি তাহিফকে মুখ ধুইয়ে দিয়ে ভাপা পিঠা খাওয়াতে লাগলাম খাটে বসে।খাটের উপর রাখা ফোনটা হঠাৎই বেজে উঠলো।তাহিফকে খাওয়ানো বাদ দিয়ে ফোনটা হাতে নিলাম।সাইফা কল দিয়েছে।আমি রিসিভ করে সালাম দিলাম।ও সালামের জবাব নিলে বললাম,

“কেমন আছিস বল?”

“বাড়িতে গিয়ে আব্বা-আম্মাকে পেয়ে আমায় তো ভুলে৷ গেছিস!”

“না রে ভুলিনি; তাহিফের জ্বর আসছে রে একটু।ভালো লাগছেনা তেমন একটা।”

“ডাক্তারের কাছে নিয়ে যা জলদি।সময় ভালো না; শীতের সময় কখন কি হয় বুঝা দায়।”

“হুম আম্মা বলে দিয়েছে বেলা হলে যেতে।”

“আচ্ছা আদ্রিজা গ্রামের সবার ভাবমূর্তি কেমন তোর প্রতি।”

সাইফার এই প্রশ্নে ফুস করে দম ফেললাম।গ্রামের মানুষের কথা কি-ই বা বলবো আর।তবুও উত্তর দিলাম,

“বাদ দে সেসব; যার যেমন মানসিকতা তার ভাবনা গুলোও তেমন আমায় ঘিরে।কেউ খুশি গ্রামের মেয়ে গ্রামে ফেরায়, তো কেউ আবার কুট কাচাল করতে ব্যস্ত।”

“গায়ে মাখাস না সেসব।তাড়াতাড়ি ফিরে আয়; মিস করছি খুব।”

“ফিরবো আর এক সপ্তাহ পর।যাই হোক ওদিকের কি খবর?টেইলার্সে কাজ চলছে ঠিকঠাক?খেয়াল রাখছিস তো?”

“নিশ্চিত থাক।আমি রাস্তাতেই আছি রিকশার ওয়েট করি।রিকশা পেলেই টেইলার্সে পৌছে যাবো।”

“আচ্ছা সাবধানে যা।খেয়াল রাখিস নিজের।আল্লাহ হাফেজ।”

“তুইও নিজের খেয়াল রাখিস।আল্লাহ হাফেজ।”

কথা শেষ করে ফোন কেটে তাহিফের দিকে তাকালাম।ও ভ্রুকুটি করে তাকিয়ে আছে।আমানও তো আমায় ফোনে কারোর সাথে কথা বলতে দেখলে এভাবে তাকিয়ে থাকতো।বাপের স্বভাব পেয়েছে।নিজের চিন্তা দেখে নিজেই অবাক হলাম।মানুষটাকে ভুলতে আর পারলাম না।পারবোও না হয়তো।

“মাম্মা তুমি কেনো সাফু আন্টির সাথে আমায় কথা বলতে দিলে না বলোতো?’

তাহিফ আদো আদো বুলিতে সবই বলতে পারে প্রায়।শুধু মাঝে মাঝে কঠিন শব্দ গুলো বলতে পারেনা এটাই যা।আমি বললাম,

“তোমার আন্টি রাস্তায় আছে।রাতে কথা বইলো।এখন খাও আসো।”

“মাম্মা পিঠা খেতে মজা লাগছেনা। তুমি খাও।”

বুঝলাম জ্বরের জন্য মুখ তিতা হয়ে আছে।তাই জোড় করলাম না।অল্প একটু পানি খাইয়ে শুইয়ে দিলাম বিছানায়।জ্বর খুব বেশি নয় বলে ছেলেটাকে কাহিল করতে পারেনি।তবুও অল্প থাকতেই চিকিৎসা করা ভালো।আমি বিছানা ছেড়ে উঠলাম।তাহিফ তা দেখে বললো,

“মাম্মা কই যাও তুমি।”

“আসি বাবা; তোমার নানিমনির থেকে পিঠা আনি।আমি খাবো।”

তাহিফ আর কিছু বললোনা।আমি বাইরে এসে আম্মার পাশে বসলাম।আম্মাকে দেখলাম পিঠা বানানো শেষ করে ভাত বসিয়ে লাকড়ি আগিয়ে দিচ্ছেন আর তরকারি কুটছেন।আমি বটি আর পিড়ি নিয়ে বললাম,

“আম্মা আপনি ভাত দেখেন; আমি কেটেকুটে নিচ্ছি।”

আম্মা মুচকি হাসলেন।অনেক দিন পর আম্মার সাথে এমন করে তরকারি কাটছি।আগেও এমন করতাম।
আমিও মুচকি হেসে তরকারি কাটতে লাগলাম।

১০
বাজারে ধান ভাঙাতে এসেছে আমান।সাথে দুজন কাজের লোক।ভ্যান থেকে কাজের লোকের সাহায্যে ধানের বস্তা নামিয়ে নিলো আমান।তারপর লোক দুটোকে বললো,

“চাচা আপনারা ধান ভাঙিয়ে বাড়িতে নিয়ে যাইয়েন। আমি একটু পাশের গ্রামে যাচ্ছি ; মিটিং আছে।এই নেন টাকা।আপনারা কিছু খাইয়েন আর বিল দিয়েন ধান ভাঙার। ”

কথাটা বলেই আমান জিন্সের ব্যাগ থেকে মানিব্যাগ থেকে টাকা বের করে উনাদের হাতে দেয়।উনারা আমানদের বাড়িতে বছর কাজের লোক হিসেবে থাকেন।বছর শেষে একবারে টাকা নেন।তাই উনাদের সাথে আমানের মিল বেশ ভালোয়।মধ্যবয়স্ক লোকদুটোকে আমান প্রচুর শ্রদ্ধা করে।লোকদুটোর মাঝ থেকে একজন বলেন,

“আমান বাবা একটা কতা কই?রাগ করবা না তো?”

“না চাচা; আপনি বলুন?”

“আমাগো বউমার একবার ঠিক ভুল যাচাই করে দেখতা বাবা!বউমারে যতডা দেখছি ভালা মাইয়াই মনে হয়ছে।বউমা তোমার বড় বোনের জামাইয়ের লগে কিছু করবার পারে বলে আমাগো মনে অয়না।রাগ কইরো না বাবা।তোমারে নিজের পোলার মতো দেহি বাজান; আমাগো কথায় রাগ কইরোনা।”

“আমিও কিন্তু হের কতার সাথে একমত বাজান।শুনলাম আম্মায় ফিইরা আইছে।তুমি এবার একটু খোজ নিয়া দেহো বাজান।এরমধ্যে নিশ্চিত ভেজাল আছে।তহন তো তুমি আছিলা না বাজান গেরামে।ঢাকায় আছিলা; হেইদিন কি অইছিলো হেইডা তো তুমি দেহো নাই।সবাই যা কইসে তাতে কান দিয়া ভুল করছিলা বাজান।”

পাশ থেকে অপর কাজের লোক কথাটা বলে উঠে।আমান উনাদের কিছু না বলে মেইন রাস্তায় উঠে অটো ভ্যানে উঠে পরে।তারপর আমান উনাদের কথাগুলো ভেবে চিন্তিত হয়ে পরে।সত্যিই তো তখন তো সে গ্রামে ছিলোনা।সদ্য নতুন চাকরি হওয়ায় আদ্রিজাকে রেখেই ঢাকায় যায়।কথা ছিলো বাসা গুছিয়ে তাকেও নিয়ে যাবে।মাস্টার্সে ভর্তি করে দেবে।কিন্তু চাকরির একমাসের মাথায় কি শুনলো সে।আদ্রিজা নাকি তার বড় বোনের স্বামীর সাথে পরকিয়ায় জড়িয়েছে।উহাশী ফজরের সময় নাকি তার বোন জামাইকে আদ্রিজার ঘর থেকে বেরুতে দেখেছে।তখন তার বোনের দ্বিতীয় সন্তান হতে বাপের বাড়ি এসেছিলো।তাই আদ্রিজার ঘরে কোনো দরকারে যাওয়া স্বাভাবিক বলে ধরে নিলে উহাশী বলেছিলো সে প্রায়ই নাকি তাদের দুলাভাই শাহিন তালুকদারের সাথে বসে থাকতে আড্ডা দিতে দেখতো।কথায় কথায় নাকি আদ্রিজার গালে পিঠে হাত দিতো। যেই দুলাভাই কাজের চাপে শ্বশুড়বাড়ি আসতোনা আমানের ঢাকায় যাওয়ার পর ঘনঘন আাতো।আর বড় বোনের স্বামী উহাশী সবাইকে সবটা জানালে তিনি স্বীকার করেন সত্যি আদ্রিজার সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক আছে।আদ্রিজা তাকে ঘরে ডেকেছিলো বলে সে উষশীর ওষুধের সাথে ঘুমের ওষুধও খাইয়ে দিয়েছিলো।সিজারিয়ান ছিলো তার বোন; ওষুধ খাওয়াতে হতো।তাই সমস্যা হয়নি ঘুমের ওষুধ খাওয়াতে।তাকে ঘুম পাড়িয়ে নাকি শাহিন তালুকদার আদ্রিজার ঘরে গিয়ে রাত কাটিয়েছে।কেউ যেন না জানে সেজন্য ফজরের সময় আদ্রিজা তাকে উঠিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয় আর উহাশী তখন দেখে নেয়।আচ্ছা উহাশী তো এমন মেয়ে যে ঘুমের মধ্যে কেউ মারা গেলেও টের পায়না; সে কিভাবে সেদিন ফজরের সময় উঠেছিলো।বাড়িতে তো আরও মানুষ ছিলো।তার মা, দাদী, বাবা তারা তো ফজরে উঠে নামাজ পড়তে তারা কেনো দেখলোনা? শুধুমাত্র উহাশীই কেনো দেখেছিলো দুলাভাইকে ঘর থেকে বের হতে!আর বড় বোনটাও তেমন কত যে বলা হলো চরিত্রহীনটার সাথে সংসার করিস না।করলে বাপের বাড়ি ছাড়তে হবে।হ্যা বোনটা তার বাপের বাড়ি ছেড়েছে; তবু সংসার ছাড়েনি।এজন্যই তো আমানের মন উঠে গেছে বোনের উপর থেকে।বাড়িতে বলে দিয়েছে উষশী তালুকদারের সাথে কেউ দেখা বা যোগাযোগ করলে সে বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে।

“ভাই আইয়া পড়ছি; নামেন।”

ভ্যানওয়ালার ডাকে অতীতের বিচরণ থেকে বর্তমানে আসে আমান। ভ্যান থেকে নেমে ভাড়া মিটিয়ে সুকনপুকুর গ্রামের বাজারে নামে।চারদিকে নজর বুলায়। কিন্তু স্তম্ভিত হয়ে তাকিয়ে থাকে সুকনপুকুর বাজারে ঢোকার রাস্তাটায়।কতদিন পর চেনাপরিচিত সেই মুখ।বুকের মধ্যে হাসফাস করছে আমানের।পানির তৃষ্ণা লাগছে তার শীতের মাঝেও

চলবে?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে